মতিউর রহমান মাদানী সাহেবকে নিয়ে এত আলোচনা/সমালোচনা কেন?
লিখেছেন লিখেছেন মধ্যমপন্থী ১৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:২৫:৫০ রাত
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার, আমরা তাঁর প্রশংসা করি এবং আমরা তাঁর কাছে সাহায্য চাই এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাই এবং তাঁরই কাছে তওবা করি। তাঁরই কাছে আমাদের নফসের অমঙ্গল এবং মন্দ আমল হতে আশ্রয় চাচ্ছি।
আল্লাহ তাআলা যাকে হিদায়েত দান করেন কেউ তাকে পথ ভ্রষ্ট করতে পারে না আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে কেউ হিদায়াত দিতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি একক। তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা তাঁর শেষ এবং চুড়ান্ত রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবার এবং তাঁর অনুসারীদের প্রতি শান্তি ও রহমত বষর্ণ করুন। আমিন।
ভাষাগত দুর্বলতা, পীর-ফকীরদের মাধ্যমে দ্বীন শেখা, পৌত্তলিকদের/বিধর্মীদের সাহচার্যে দীর্ঘদীন অবস্হান ও তাদের দ্বারা শাসিত হওয়া সহ বিভিন্ন কারনে আমরা যখন দ্বীন ইসলামের নামে কবরপুজা, মাজার পুজা, পীরপুজা, চল্লিশা, কুলখানী, কবরে চাদর চড়ানো, পীরের নামে মুরগী জবাই (উদাহরন স্বরুপ কিছু ভিডিও চিত্র দেখুন)
http://www.youtube.com/watch?v=QThu1SHsM_c
http://www.youtube.com/watch?v=sQNQYMjLCNY
হাদীসের নামে জালিয়াতি, সন্তান/স্বামী বসের আমল, জন্মদিন/মিলাদের অনুষ্ঠান এবং সে অনুষ্ঠানে রাসুলুল্লাহর সাঃ জন্য খালি চেয়ার রাখা, রাসুলুল্লাহ সাঃ কবর থেকে উঠে এসে তাবলীগের শায়েখের সাথে করমর্দন করা, পীরসাহেবের জান্নাতের সার্টিফিকেরট দেওয়া, পীরের থুথু খাওয়া থেকে শুরু করে ...... বিভিন্ন ধরনের শীরক-বিদাত বা কুসংস্কারে লিপ্ত হয়ে কুরআন সুন্নাহ থেকে অনেক দুরে অবস্হান করছিলাম, তখন যে অল্পসংখ্যক বাংলাভাষী আলেম এসব শিরক/বিদাতের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে কুরআন সুন্নাহর অমীয়বানী সাহসীকতার সাথে প্রচার করেছেন বা করছেন.....শায়খ মতিউর রহমান মাদানী তাদের মধ্যে অন্যতম। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে তাকে কখনও দেখিনি বা তাকে চিনিও না এবং আমি একজন হানাফী পরিবারের মুসলিম। দ্বীন শেখার প্রচন্ড তাগিদ নিয়ে জীবনে বিভিন্ন আলেমদের বক্তব্য শুনেছি (আলহামদুলিল্লাহ)। মাওলানা দেলওয়ার হুসাইন সাঈদী, তারিক মুনাওয়ার, হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদী, জাকির নায়েক, আব্দুর রহিম গ্রীন, বিলাল ফিলিপস, ইউসুফ ইস্টেটস, তাবলীগের বয়ান থেকে শুরু করে দ্বীন শেখার জন্য যাদের কেই ভাল মনে হয়েছে তাদের বক্তব্য শুনেছি এবং বই পড়েছি। সুরেলা ওয়াজ শুনে কত চোখের পানি ঝরিয়েছি, জীবনে অনেকবার তাবলীগে গিয়েছি (কিন্তু আমার এই ভালবাসা ও প্রচেষ্টা শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই বরাদ্দ রেখেছিলাম, কোন মানুষ বা দলকে লিজ দিয়ে দেইনি-আলহামদুলিল্লাহ)। কিন্তু আল্লাহকে সাহ্মি রেখে বলতে পারি শায়খ মতিউর রহমান মাদানীর মত এত বিশুদ্ধ ও বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য আর কারও থেকে শুনি নাই। আমি মনে করি বংলাভাষায় তার দেওয়া বিষয়ভিত্তিক বক্তব্যগুলি (৭০০ও বেশী বক্তব্য আছে) সাধারন মানুষের বিশুদ্ধ দ্বীন শিহ্মার এক অমুল্য রিসোর্স।
তার দেওয়া বক্তব্যগুলি যে কারনে আমার ভাল লেগেছে তার কতগুলি উল্লেখ না করলেই নয়:
১. তার বক্তব্যে কোন সুর/গুন্নাহ নেই। বস্তুনিষ্ঠতা ও কুরআন সুন্নাহর রেফারেন্সই তার বক্তব্যের মুল আকর্শন। তাই সুর করে মানুষকে আকৃষ্ট করার প্রয়োজন নেই।
২. তার বক্তব্যে কোন বানোয়াট কাহিনী বা জাল যয়ীফের বয়ান পাওয়া যায় না। কোনআন ও বিশুদ্ধ হাদীসের বক্তব্য দিয়েই তিনি এত সুন্দর ভাবে বিষয়গুলি বর্ননা করেন, যা অত্যন্ত শ্রুতিমধুর। তাই তার বক্তব্যে যা কিছু শুনবেন, তার প্রায় সবগুলোই কুরআন বা সহীহ হাদীসে পাবেন।
৩. আরবী ভাষায় তার অসামান্য পান্ডিত্যের কারনে তিনি নিজেই আরবীর শাব্দিক উচ্চারন থেকে শুরু করে সামগ্রীক অর্থ তুলে ধরেন।
৪. তার অলোচনাতে সাধারনত কুরআনের মনগড়া ব্যাখ্যা করা হয় না। বরং সংশ্লিষ্ট কুরআনের আয়াত এবং সহীহ হাদীসের আলোকে সলফে সালেহীনগন কি ব্যাখ্যা বুঝেছেন তা তুলে ধরেন।
৫. তার বক্তব্যগুলো শুধু মানুষের মন রহ্মার বিষয়ের উপর হয় না। যে বক্তব্যগুলি দিলে মানুষের মন গলবে মানুষ প্রশংসা করবে শুধু সেগুলিই বলেন না। বরং যা কিছু শিরক-বিদাত-কুসংস্কার থেকে মুসলিম কে মুক্ত করে বিশুদ্ধ ঈমান আকীদা গঠনে এবং দ্বীন পালনে সহায়তা করবে সে বিষয়গুলির উপরও তিনি বলে থাকেন। যার কয়েকটি প্রমান আমি নিচে দিলাম। এই বিষয়গুলি নিয়ে আমি এর আগে কোনদিন কারও কাছ থেকে কোন বক্তব্য শুনিনি।
ক. বেরলভী আকীদা (http://www.youtube.com/watch?v=HcSBPL37E40)
খ. শরশীনা তরীকা (http://www.youtube.com/watch?v=4E5olige7-c)
খ. ফুলতলী তরীকা (http://www.youtube.com/watch?v=tcSC4INdTG4)
গ. চরমোনাই তরীকা (http://www.youtube.com/watch?v=CXqZmrpcb4s)
ঘ. দেহবন্দী তরীকা (http://www.youtube.com/watch?v=mIcg3OeCIVY)
ঙ. তাবলীগ জামাতের কিছু ভুল (http://www.youtube.com/watch?v=aw_5sSWV2eE)
চ. প্রচলিত বিদাত (http://www.youtube.com/watch?v=IIxdTCbdarI)
ছ. রজব ও সাবান মাসের বিদাত (http://www.youtube.com/watch?v=ZEL0veyIRU4)
জ. মাওলানা দেলওয়ার হুসাইন সাঈদী সাহেবের কিছু ভুল (http://www.youtube.com/watch?v=3lz2nal-Qwo)
ঝ. সপ্নের ধর্ম (http://www.youtube.com/watch?v=wgnfDELzClM)
অথচ এদের (উপরে বর্নিত বিভিন্ন তরিকার) প্রায় সবারই রয়েছে মারাত্মক ধরনের কিছু ভুল, যা হাজার হাজার মুসলিমকে বিভ্রান্ত করেছে এবং করছে। এগুলোর বেশিরভাগই মুসলিমের ঈমান-আকীদা ধংশ করে তাকে মুশরিক বানিয়ে ছাড়ছে, যার পরিনাম চিরস্হায়ী জাহান্নাম। স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও এই ব্যার্থতার দ্বায়িত্ব কে নেবে? এখানেই আমার প্রশ্ন যে, দ্বীন ইসলামের জন্য অতীব জরুরী এই এই অপ্রিয় সত্যগুলি কি আমাদের আলেম সমাজ জানতেন না, নাকি জেনে শুনে গোপন করেছেন? মানুষকে এই বিষয়গুলি না জানালে চিল্লা দিয়ে কি লাভ অথবা রাজনীতি করে কি লাভ? বাকিটা আল্লাহর কাছে সমর্পন করলাম।
৬. তার বক্তব্যের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো কোন বিষয়ের উপর ৩৬০ ডিগ্রী আলোচনা। তিনি যে বিষয়ের উপর আলোচনা করেন তার উপর কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক চতুর্মুখী আলোচনা করেন। এবং এই আলোচনা শোনার পর আপনি বলতে বাধ্য হবেন যে, "বিষয়টির কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক কিছু তথ্য আমি জানতে পেরেছি (আলহামদুলিল্লাহ)"। যেমন নিচের লেকচার গুলির যেকোন একটি শুনুন:
ক. মুসলিমের চরিত্র (http://www.youtube.com/watch?v=0kC_foSFG8A)
খ. ইসলাম ভংগকারীর বিষয় (http://www.youtube.com/watch?v=uS8ectBq3kI)
গ. রকমারি সাদাকাহ (http://www.youtube.com/watch?v=i7eJ5U1SFrY)
ঘ. রুগীর পরিচর্যা (http://www.youtube.com/watch?v=QG2HsBx67P8)
ঙ. রমজানের সৎ আমল (http://www.youtube.com/watch?v=ezYSeMSM-xo)
৭. ইসলামের প্রায় সকল গুরুত্বপুর্ন শাখায় তার বাংলা বক্তব্য পাওয়া যায়। যা বাংলা বা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া বাঙ্গালীদের দ্বীন শিখতে খুবই গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখতে পারে। উনার বক্তব্যগুলি পাবেন নিচের লিংকে:
ভিডিও: http://www.youtube.com/playlist?list=PLC1EE336CA2AEF148
অডিও: http://www.shorolpoth.com/download-audio-lecture-bangla-of-sheikh-motiur-rahman-madani-mp3/
তবে উনার বক্তব্যে যা পাবেন না:
১. সুরেলা ওয়াজ
২. সম্মিলিত মোনাজাত
৩. ইমাম আবু হানিফার ৪০ বছর এশার অযুতে ফজর পড়ার কাহিনী বা শাহজালাল হুজুরের গায়েবী ইলম দিয়ে আসামের বন থেকে ইবনে বতুতাকে রহ্মা করার কাহিনী অথবা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কবর থেকে উঠে এসে করমর্দনের কাহিনীর মত আজগুবী বয়ান। যা কিছু বস্তুনিষ্ট এবং কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে প্রাপ্ত তার বাইরে তেমন কিছু পাবেন না।
৪. রক্তগরম করার মত কোন বক্তব্য পাবেন না
৫. পাবেন না জান্নাতের কোন সার্টিফিকেট
৬. পাবেন না মাযহাবী গোড়ামী
৭. পাবেন না শিরক-বিদাতের প্রতি নমনীয়তা
তবে কেন এত বিতর্ক/কুতর্ক:
কিন্তু এত কিছুর পরও কিছু কিছু ব্লগে বা ফেসবুকে শায়খ মতিউর রহমান মাদানী সাহেবকে নিয়ে অনেক সমালোচনা মুলক পোষ্ট দেখতে পাই। পড়ার আগে আশা থাকে হয়ত গঠন মুলক ও দলিল ভিত্তিক কোন সমালোচনা দেখতে পাব যা মুসলিম উম্মাহর দ্বীন পালনে ভুমিকা রাখবে। কিন্তু সমালোচনা বিষয়ক প্রায় সবগুলো পোষ্ট আমাকে শুধু হতাশই করেনি বরং উনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা বোধ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দেখা যাবে অধিকাংশ হ্মেত্রেই findings এর ভয়াবহতা থেকে মন্তব্যের ভয়াবহতা অনেক বেশী। এর একটা প্রধান কারন হতে পারে আমাদের আনুগত্য আল্লাহ ও তার রাসুল থেকে সরে গিয়ে কোন দল বা ব্যাক্তির উপর পতিত হয়েছে। তাই তো মতিউর রহমান মাদানী সাহেব যখন বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা বা দ্বায়িত্বশীলদের মারাত্মক ভুলগুলো কুরআন সুন্নাহর আলোকে ধরিয়ে দেবার মত কঠিন কাজগুলো সাহসীকতার সাথে করে যাচ্ছেন..... তখন এই নেতাদের অন্ধঅনুসারিদের, তা ভাল লাগছে না। তাই তো তারা ব্যাক্তিগত আবেগের বশবর্তী হয়ে তাদের ঞ্জান ও ইসলামের সীমা অতিক্রম করে যা লিখছেন তা জন্য আল্লাহর কাছে কি অপেহ্মা করছে তা আল্লাহই ভাল জানেন। অবশ্য আমাদের দেশে দুটো বড় দল জামাত ও তাবলীগের ভুল নিয়ে বক্তব্য দেবার জন্য তিনি দলগুলোর অন্ধ অনুসারিদের কাছ থেকে না হলেও আল্লাহর কাছ থেকে উত্তম প্রতিদান পাবেন এই আশা রাখি এবং দ্বীনই ভাই হিসাবে তার জন্য অনেক দোয়া করি। দলগুলোর অন্ধ অনুসারিদের কেউ কেউ এই দলগুলোকে আল্লাহ ও তার রাসুল থেকেও বেশী ভালবাসেন, যার একটি প্রমান আমি দিচ্ছি--
"এই লেকচার গুলোতে বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো পীর-ফকীরের/দলের/মতের ভুলগুলো কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে কিন্তু তাদের অধিকাংশ অনুসারিই মনে করছে তারা ঠিকই করছে- এমনকি কেউ পীরের নামে মুরগী জবাই করছে, তবুও মনে করছে তারা ঠিক করছে! যা শুধু মতিউর রহমান সাহেবের কাছেই নয় বরং অন্যান্ন দলের (জামাত,তাবলীগ) কাছেই শিরক বলে পরিগনিত। হয়ত সবাই বলবেন এই অন্ধ অনুসারিরা যদি একটু চিন্তা করত । ঠিক সেই একই ভাবে বড়দলের ভুল গুলো নিয়ে দলগুলোর অনুসারীদের একটু নিরপেহ্ম ভাবে চিন্তা করা উচিত নয় কি? তা না করে তারা যা করছে তা দিয়ে কি প্রমানিত হয়না যে, তারা তাদের দলগুলোকে আল্লাহ ও তার রাসুল থেকেও বেশী ভালবাসেন !
রাসূল (সা.) বলেছেন :
“ঈমানের সবচেয়ে শক্ত বন্ধন হচ্ছে আল্লাহর ওয়াস্তে আনুগত্য, আল্লাহর জন্য অন্যের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করা, আল্লাহর জন্য (কাউকে) ভালবাসা এবং আল্লাহর জন্য (কাউকে) ঘৃণা করা।” (আল তায়ালিসী, আল-হাকিম, আল-তাবারানী ইত্যাদি - আলবানীর মতে সহীহ)
আর পবিত্র কোরআন বলছে:
“নিশ্চয় শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় জুলুম”। (সূরা লোকমান-১৩) 'সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা'। (আল ময়েদা:২)
আর আমরা আজ শিরক ও বিদাতের প্রতি নমনীয় হয়েছি আর ব্যাক্তিপুজা বা দলীয়/রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের প্রতি অনুগত হয়েছি। তাইতো আজ আমরা আলেমদের ভুল বা অসতর্কতার কারনে মানুষ শিরক বিদাতে লিপ্ত হলেও তাকে সহজ ভাবে নিচ্ছি; কিন্তু আলেমদের ভুল ধরিয়ে দেওয়াটাকে চরম পাপ হিসাবে নিচ্ছি এবং তার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করছী। এবং যারা শিরক ও বিদাতের বিরুদ্ধে লড়াই করছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে নেমেছি। আল্লাহপাক আমাদেরকে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাজ করার তাওফীক দান করুন।
যেমন কয়েকটি উদাহরন নিয়ে যদি বলি:
এক ভাই নিচের ঘটনাটা নিয়ে দেওবন্দীদের সাফাই গেয়েছেন আর শিরক বিদাতের সমালচনা করার কারনে মতিউর রহমান সাহেবের কঠোর সমালচনা করেছেন।
১ নম্বর উদ্ধৃতি: Malfoozat Hakeem ul-Ummat, vol.1, p.244-তে মৌলানা আশরাফ আলী থানভী রাহিঃ তার পীর সম্বন্ধে বলেন:
"হাজী সাহেব (ইমদাদুলালাহ মুহাজির মক্কী) (অস্তিত্বের) তৌহীদ দ্বারা অত্যন্ত অভিভূত হয়ে ছিলেন… আর ওয়াহদাতুল ওয়জুদের বিষয়টা এমন ছিল যে, মনে হতো তিনি যেন এর প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্মী । একবার তিনি সূরা তা’হা শুনছিলেন. এবং তিনি যখন, ‘আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ্ নেই; সুন্দর নামসমূহ তারই’ – এই আয়াত শুনলেন, তখন তাঁর মনে এক ভাবনার উদয় হলো। এই আয়াতের তফসীর করতে গিয়ে তিনি বলেন: “এই আয়তের প্রথম অংশ থেকে একটা প্রশ্ন দেখা দিতে পারে যে, ‘আল্লাহ্ ছাড়া যেহেতু কেউই নেই, তাহলে (চারিদিকের) এসব ঘটনাবলি কি ?’ এর উত্তর হচ্ছে এরকম (যেমনটা আয়াতের পরবর্তী অংশে দেখা যায়), ‘লাহুল আসমা আল-হুসনা’ অর্থাৎ ‘সবই হচ্ছে তাঁর (আল্লাহর) বহিঃপ্রকাশ বা আত্মপ্রকাশ’।” কেউ (একটা কবিতায়) বলেছেন: ‘ বাগানে আমি প্রতিটি ফুল দেখেছি. কোনটিরই তোমার (আল্লাহর) রং বা তোমার (আল্লাহর) গন্ধ নেই।’ হাজী সাহেব (ইমদাদুলালাহ মুহাজির মক্কী) বলেন: “এই কবি হচ্ছেন একজন যাহিরী (কেবল বাইরে থেকে বা বহ্যিকভাবে যা দেখা যায় তা সম্বন্ধেই অবগত/সচেতন)। যদি তিনি (ঐ কবি) একজন ‘আরিফ হতেন, তবে বলতেন: ‘ বাগানে আমি প্রতিটি ফুল দেখেছি। তাদের সবার রয়েছে তোমার (আল্লাহর) রং, তাদের সবার রয়েছে তোমার (আল্লাহর) গন্ধ’। যাহোক, এসব কথা সবার কাছে প্রকাশ করার বা বলার জন্য নয়!”
---এখন এই কথা লেখার পর ও যদি আশরাফ আলী থানভী রাহি: যদি বলেন হাজী সাহেব ওমুক বুঝাতে চেয়েছেন আর তমুক বুঝাতে চেয়েছেন, তার হিসাব তিনি দেবেন কিন্তু আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদের এই জ্বলজ্যান্ত উদাহরন থেকে আমাদেরকে সাবধান করার জন্য মতিউর রহমান সাহেব আল্লাহর কাছে উত্তম পুরস্কার পান এই দোয়া করছি।
আমার মনে হয় আমরা আলেমদের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়াকে শিরক বিদাতের চেয়েও গুরুতর অপরাধ মনে করছি। কিন্তু এটাকে আপনি আলেমদের অসম্মান মনে করললেও শিরক-বিদাতকে আরও অনেক অনেক বেশী গুরুত্ব দিতে হবে...এবং তা থেকে অনেক দুরে থাকতে হবে, যদি আমরা ইসলামের জন্য কথা বলে থাকি। আর তা না করলে... মনে রাখবেন আপনি আলেমদের সম্মান করতে যেয়ে আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধচারন করছেন।
*******************************
আর একটি পোষ্টে দেখলাম Ijharul Islam Al-kawsary মাদানী সাহেবের সমালোচনা করেছন এই জন্য যে, তিনি নাকি আহমদ শফী সাহেব কে কাফির বলেছেন এবং ফেরাউনের চেয়ে জঘন্য বলেছেন। সেখানে তিনি ভিডিও লিংকও দিয়েছেন এবং একটি অনলাইন পত্রিকার লিংক দিয়েছেন।
(http://www.facebook.com/notes/ijharul-islam-al-kawsary/শাহ-আমাদ-শফি-দাবা-সম্পর্কে-খান্নাস-মাদানির-জঘন্য-বক্তব্য-ও-আমাদের-বিশ্লেষণ-কার-ফ/271801272969292)
এবং সেখানে তিনি কুফরী ফতওয়া দেবার বিধান নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন। কিন্তু ভিডিওটি দেখে আমি একদম হতবাক হলাম, কারন সেখানে কোথাও শফী সাহেবকে দেয়া কুফরী ফতওয়া পেলাম না। ওই আলোচনাতে শায়খ মতিউর রহমান মাদানী সাহেব কোন মানুষকে কাফির সম্মোধন না করে, কালিমাকে উল্টিয়ে পড়াকে কুফরী বলেছেন, যা অত্যন্ত যথাযথ। এবং ইবনে আরাবী প্রনীত, ওয়াহদাতুল উজুত (মানে স্রষ্টা ও সৃষ্টি এক সত্তা দাবী করা) আক্বীদাকে ফিরাউনের আক্বীদার চেয়েও নিকৃষ্ট বলেছেন। কারন ফিরাউন শুধু নিজেকে রব দাবী করেছিল, আর এখানে সমস্ত সৃষ্টিকে রব বানানো হয়েছে (নাউজুবিল্লাহ), যা প্রকৃত অর্থে সর্বেশ্বরবাদ। সুতরাং শায়খ মাদানীর এই বক্তব্য সম্পুর্ন একাডেমিক। কিন্তু তার একাডেমিক বক্তব্য কে সহ্য করতে না পেরে তারা যা বলেছে তাতে শুধু তাদের ঞ্জান নয় বরং তাদের রুচিবোধ নিয়ে প্রশ্ন জাগে।
*******************************
সর্বপরি আমি শায়েখকে নিয়ে করা সমালোচনাগুলির কোনটিতেই কোন গুরুতর বিষয় পাইনি। কিন্তু সমালোচনা কারীদের প্রত্যেকেই কোন না কোন ভাবে শিরক-বিদাত-কুফরী মত বিষয়গুলিকে defend করার চেষ্টা করেছেন বলে মনে হয়েছে। আর যারা কিছু না পেয়ে উনার বাচন ভঙ্গী নিয়ে বলেছেন তাদের বলছি....রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কথা বাদই দিলাম......আজ যদি উমার রাঃ থাকতেন, তাহলে দ্বীনের নামে এধরনের শিরক বা কুফর জানার পরে এদের কারও গর্দানে কি কল্লা থাকত?
আর আলেমগন ভুল করতেই পারেন। সে যে আলেমই হোক না কেন। কিন্তু তাদের সমালচনা academic হতে হবে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক হতে হবে এবং একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হতে হবে-দল/মত/আত্মতুষ্টির জন্য নয়।
আল্লাহ আমাদের ভালবাসা একমাত্র আল্লাহর জন্যই উত্সর্গ করার তাওফীক দান করুন। আর সকল দ্বীনই ভাইদের সকল প্রচেষ্টা ভুলত্রুটি মাফ করে কবুল করে নিন। আর সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন।
এটা সম্পুর্ন আমার ব্যাক্তিগত অভিমত। আমার উদ্দেশ্য ছিল একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি। তবুও অনিচ্ছাকৃত ভুলগুলো আল্লাহ পাক হ্মমা করে দিন। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
৫২৯৯ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
“অহদাতুল ওজুদ” নিয়ে কথিত আহলে হাদীসদের মিথ্যাচারঃ একটি দলিল ভিত্তিক বিশ্লেষণ
মাযহাব মানকে তারা শের্ক বলে থাকে। মাযহাব বিষয়ে জানতে হলে আমার পোষ্ট গুলো দেখুন। আরেকটি ব্যাপার উল্যেখ করেছেন কারামত। এটিও সত্য। আউলিয়ায় কেরামগণের কারমত সত্য। এটিই আহলে সুন্নাহর আকীদা। যা ওহাবী গন অবিশ্বাস করে থাকেন। অথচ সাহাবী, তাবেয়ী সহ আমদের পূর্ববর্তী ইমাম মুজাতাহীদগণের জীবনে এমন কারামতের সংখ্যা অজস্র অগণিত। শিঘ্রই এ ব্যাপারে পোষ্ট দিব ইনশাআল্লাহ।
মোটকথা হলো তাদের মজ্জাগত বদঅভ্যাস হয়ে গিয়েছে যে, মাযহাব আর সুফিবাদে বিশ্বাসী সকলকেই মুশরিক ফতোয়া দিতেই হবে। এ কারনেই মতিউর রহমান সেদিন বলতে পেরেছিলেন যে, যার নিজের ইমান এর ঠিক নেই সে কিভাবে ইসলামের হেফাজত করবে ! একজন টাইপিষ্ট এর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর ভুল টাইপিং ইল্লাল্লাহ লা ইলাহা কে কেন্দ্র করে এদেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় বুজুর্গকে যে ইমানহারা বলতে পারে তার ব্যাপারে আর কি ই বা বলার আছে !
কথিত আহালে হাদিস ফিরকার ' কর্মী বাহিনি যে 'বেয়াদপ, গোমরা' ;এটা ওদের সালাফরাই বলে!!
গাইরে মুকাল্লিদ দলটির ব্যাপারে আমাদের কথা নয় তাদের নিজের অনেক বড় ইমাম এবং দলের শ্রেষ্ট আলেম অনেক কিতাবের লেখক নওয়াব ওহিদুজ্জামান লিখেন-আহেল হাদিস নামধারী গায়রে মুকাল্লিদের দলটি এমন বন্ধনহীন ও স্বাধীন চেতা হয়ে উঠেছে যে , তারা উম্মতের ইজমা ধারা প্রমানিত ও সর্ব স্মমত মাছায়েলের কোন পরওয়া করে না । সলফে সালেহিন সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈনের ও কোন ধার ধারে না।অনুবাদ দেখে কুরআনের মনগড়া তাফসীর করে। হাদিস শরিফে বর্ণিত তাফসিরের উপর কর্ণপাত করে না। কিছু মূর্খ আহালে হাদিসের অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, তারা রফে ইয়াদাইন, জোরে আমীন বলা কে আহলুল হাদিস হওয়ার জন্নর যতেষ্ট মনে করে ,কিন্তু অন্যান্য নব্বী আখলাক-চরিত্র,সুন্নাহ ও শিশ্তাচারের প্রয়োজন মনে করে না।গিবত , মিথ্যাচার, নিন্দা ও কুৎসা হতে কাউকে রেহাই দেয় না। আয়িম্মায়ে মুজতাহিদিন, আউলিয়া কেরাম, বুযরগানে দ্বীনের ব্যাপারে ধ্রষ্টতা ও কস্তধায়ক কথা উচ্চারণ করেন।তাদের মত ছাড়া বাকি ্সবাই কে কাফের ও মুশরিক মনে করেন। কথায় কথায় যে কাউকে শিরক ও কবরপূজারী বলে আখ্যা দেয়। ( লুগাতুল হাদিস ,খ ২, পৃ ৯১, অধ্যায় শীন)
মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড " হচ্ছে মূলতঃ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন ঃ------( মতিউর রহমান মাদানী),২) " জামাতে ইসলামী (শিবির) হচ্ছে একটি শয়তান ও কুফৃ দল " ঃ----- ( কথিত আহলে হাদিস নেতা শেখ মতিউর রহমান মাদানি )(৩) " হেফাজতে ইসলামের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দাঃবাঃ) হচ্ছে একজন বড় মাপের নাস্তিক ও কার্ল মার্কসের অনুসারী ,ফেরাউনের কুফরীও আল্লামা শফীর কুফরীকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি " ঃ------ (আহলে হাদীস শেখ মতিউর রহমান মাদানি )(৪) তাবলীগ জামাতের হযরত ইলিয়াস (রহ) মুশরিক ঃ----- (মতিউর রহমান মাদানি)তাহলে এই দুনিয়াতে ইসলাম ধর্মের অনুসারী কোন মানুষের অস্তিত্ত্ব নাই ?????????????বিশ্ব পরিসংখ্যানে সর্বমোট ১৬০ কোটি মুসলিমরা সব নাস্তিক আর কাফীর ???????????????১৪০০ বছর পরে গজিয়ে ওঠা নতুন ফেরক্বা আহলে হাদীসদের কথিত শাইখ মতিউর রহমান মাদানী ই কি বিশ্বের একমাত্র জীবিত মুসলিম ??????????????জাতিসংঘের পরিসংখ্যানে (মুসলিম) ১৬০ কোটির গণনাকারীর ফাসি চাই !!!মুসলিম ব্রাদারহুডের ফাসী চাই !!জামাতে ইসলামের আল্লামা দেলোয়ার হুসাইন সাঈদীদের ফাসী চাই !!দারুল উলূম দেওবন্দ মাদ্রাসা এবং বিশ্বব্যাপী সিংহবাগ তাদের অনুসারী আল কায়েদা, তেহরিকে তালিবান, হেফাজতে ইসলাম, জবহাতুন নুসরা, বোকো হারাম, আল শাবাব, জমিয়তে উলামায়ে দেওবন্দ আরব , মধ্যপ্রাচ্য, পাকিসতান ভারত বাংলাদেশ , বিশ্বের ২০০ প্লাস >> বেষ্টিত তাবলীগ জামাত , (প্রকৃত) সুন্নী মুজাহিদরা এবং চরমোনাই পীর সহ সব নাস্তিক কাফির মুশরিক !!!
মতিউর রহমান মাদানীর দাবিঃ তাকলীদ শব্দ কুরআনে নেই তাই তাকলীদ আবশ্যক নয়!
পরিশেষে বলব তারা কবর পুজারী রেজভীদের শের্কী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কিছু বলে থাকলে তা দেওবন্দীরাও সাপোর্ট করে। আমার নিজেরই তাদের বিরুদ্ধে দলীল সমৃদ্ধ পোষ্ট পাবেন। কিন্তু সৌদীদের পা চাটার কারনে মতিউররা যেভাবে জামাতে ইসলাম, দেওবন্দী, ইখওয়ান সবাইকেই মুশরিক, চরমপন্থি, খারেজী বলে গালাগালি করবেন তার জন্য অবশ্যই তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। যদি তারা মুসলিমদের মাঝে বিভেদের ফেতনাবজী বন্ধ না করে।
না পারলে নিচের লেকচারটি শুনুন। আপনার এলার্জির জন্য বলছি আলোচক সৌদী বেতন ভুক্ত নন।
http://www.icdbd.org/blog/audio/Dr_Mohammad_Saifullah/Sufism_Recorded Audio 12-02-11 04-02-19 PM [001].mp3
আপনি বলেছেন"হেফাজতে ইসলামের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দাঃবাঃ) হচ্ছে একজন বড় মাপের নাস্তিক ও কার্ল মার্কসের অনুসারী ,ফেরাউনের কুফরীও আল্লামা শফীর কুফরীকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি " (আহলে হাদীস শেখ মতিউর রহমান মাদানি )
আপনি কি লেকচার শুনে বললেন নাকি কপি পেষ্ট।
কথাটা মারাত্বক ভুল/মিথ্যা। দেখুন ১ বছর আগেই আমি এটার পোষ্ট মর্টেম করেছি...
(১লা জানুয়ারী ২০১৪)
একটি পোষ্টে দেখলাম Ijharul Islam Al-kawsary মাদানী সাহেবের সমালোচনা করেছন এই জন্য যে, তিনি নাকি আহমদ শফী সাহেব কে কাফির বলেছেন এবং ফেরাউনের চেয়ে জঘন্য বলেছেন। সেখানে তিনি ভিডিও লিংকও দিয়েছেন এবং একটি অনলাইন পত্রিকার লিংক দিয়েছেন।
(http://www.facebook.com/notes/ijharul-islam-al-kawsary/শাহ-আমাদ-শফি-দাবা-সম্পর্কে-খান্নাস-মাদানির-জঘন্য-বক্তব্য-ও-আমাদের-বিশ্লেষণ-কার-ফ/271801272969292)
এবং সেখানে তিনি কুফরী ফতওয়া দেবার বিধান নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন। কিন্তু ভিডিওটি দেখে আমি একদম হতবাক হলাম, কারন সেখানে কোথাও শফী সাহেবকে দেয়া কুফরী ফতওয়া পেলাম না। ওই আলোচনাতে শায়খ মতিউর রহমান মাদানী সাহেব কোন মানুষকে কাফির সম্মোধন না করে, কালিমাকে উল্টিয়ে পড়াকে কুফরী বলেছেন, যা অত্যন্ত যথাযথ। এবং ইবনে আরাবী প্রনীত, ওয়াহদাতুল উজুত (মানে স্রষ্টা ও সৃষ্টি এক সত্তা দাবী করা) আক্বীদাকে ফিরাউনের আক্বীদার চেয়েও নিকৃষ্ট বলেছেন। কারন ফিরাউন শুধু নিজেকে রব দাবী করেছিল, আর এখানে সমস্ত সৃষ্টিকে রব বানানো হয়েছে (নাউজুবিল্লাহ), যা প্রকৃত অর্থে সর্বেশ্বরবাদ। সুতরাং শায়খ মাদানীর এই বক্তব্য সম্পুর্ন একাডেমিক। কিন্তু তার একাডেমিক বক্তব্য কে সহ্য করতে না পেরে তারা যা বলেছে তাতে শুধু তাদের ঞ্জান নয় বরং তাদের রুচিবোধ নিয়ে প্রশ্ন জাগে।
ইসলামের চুড়ান্তশিখড়ের অপর নাম সুফিবাদ
ফাযায়েলে দুরুদের একটি ঘটনার ব্যাপারে আহলে হাদীসদের চরম মিথ্যাচার
"Encourage those with a greater affinity to modernism, such as the Hanafi law school, versus others. Encourage them to issue religious opinions and popularize these to weaken the authority of backward Wahhabi inspired religious rulings. This relates to funding: Wahhabi money goes to the support of the conservative Hanbali school. It also relates to knowledge: More-backward parts of the Muslim world are not aware of advances in the application and interpretation of Islamic law.
— Encourage the popularity and acceptance of Sufism."
তারা ওহাবীদের দুর্বল করতে চায়, আর সুফীবাদকে জনপ্রিয় করতে চায়....।
http://www.peaceinislam.com/mariner/2138/
****************
RAND কর্পোরেশন হলো আমেরিকার একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান এবং এর কাজ হলো আমেরিকার সমরনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, কৌঁসুলি ও অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণী বা থিঙ্কট্যাঙ্ক হিসেবে গবেষণা করা। এই প্রতিষ্ঠানের গবেষণার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত তর্কবিতর্কের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের মার্কিন নীতি বা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
যেমন করছে ডঃ জাকির নায়েক।
যে লোক বাংলার কোটি কোটি মানুষের হ্নদয়ের স্পন্দন আল্লামা শফী কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে আর আপনি বলেন সে অনেক বড় আলেম।
আমার মতে সে তো আবু জেহেলের গোষ্টির সহযোগি।
যে কঠিন সময়ে ইসলামী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ হয়ে বুনইয়ানুম মারসুুস এর প্রতীক হয়ে দ্বীনের ময়দানে কাজ করা প্রয়োজন সে সময়ে মাদানী সাহেবের বিশ্বব্যাপী ৭০/৮০ বছর ধরে ময়দানে লড়াই করে টিকে থাকা দলগুলোকে কুফরী দল বলে ফতোয়া দেয়াটা তো সাধারণ জ্ঞানধারী মুসলমানদের নিকটই অর্থের বিনিময়ে তাঁকে কারো এজেন্ট হয়ে কাজ করার লোক হিসেবে চিহ্ণিত করতে সহায়ক হবে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ফেরকাবাজী থেকে মুক্ত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার তৌফিক দিন, আমিন।
https://www.youtube.com/watch?v=C6uVkIIcsVk
মন্তব্য করতে লগইন করুন