রাসুলুল্লাহ ( সা: ) এর যে সুন্নাহগুলি আমাদের সমাজে উপেহ্মিত ...
লিখেছেন লিখেছেন মধ্যমপন্থী ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৯:১৫:৫৯ সকাল
“যুহাইর ইবনে হরব ও শায়বান ইবনে আবী শায়বাহ আনাস রা: থেক রেওয়ায়েত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)বলেছেনঃ
কোন বান্দা সে পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যে পর্যন্ত না আমি তার নিকট তার পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদ ও অন্যান্ন সব লোকের তুলনায় অধিক প্রিয় হব।“(মুসলিম-ঈমান পর্ব:৭৪)
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
রাসুলুল্লাহ (সা: ) বলেছেন:
মুসলিম সেই, যার হাত ও জিহবা হতে অপর মুসলমান নিরাপদ (Muslim :: Book 1 : Hadith 65 )
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
আবু যর রা: থেকে রেওয়ায়েত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)বলেছেনঃ
তিন ব্যাক্তির সাথে রোজ কিয়ামতে আল্লাহ পাক কথা বলবেন না । তাদের দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না। তাদের কে পবিত্র করবেন না । আর তদের জন্য রয়েছে ভীষন আযাব। রেওয়ায়েতকারী বলেন তিনি এ আয়াতটি তিনবার পড়লেন । আবু যর রা: বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সঃ), তারা কারা? তিনি বললেন, তারা হল:
যে ব্যাক্তি টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পড়ে , যে ব্যাক্তি দান করে খোটা দেয় এবং যে ব্যাক্তি মিথ্যা শপথ করে মাল বিক্রি করে। (মুসলিম-ঈমান পর্ব:১৯৫)
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
আল্লাহ বলেন,"আর যখন তোমাদের সালাম করা হয়, তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম উত্তর দিবে অথবা কমপক্ষে তার সমপরিমান দিবে, নিশ্চয় আল্লাহ সর্ব বিষয়ে হিসাব গ্রহণ কারী।" (সূরা নিসাঃ আয়াত:86)
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও।(Sura Hujurat:7)
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
* নবী করিম (সাঃ) বলেছেনঃ “ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত ছেড়ে দেয়া।” (মুসলিম হাঃ ১৫৪)* রুরাইদা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “আমাদের এবং কাফিরদের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত, অতএব যে সালাত ছেড়ে দিল সে কুফরী করল।” (নাসাঈ, ই.সে. হাঃ৪৬৪)
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত , রাসূলুল্লাহ (সঃ)বলেছেনঃ সাবধান! মন্দ ধারণা হতে দূরে থাক। কেননা মন্দ ধারণা অনুমান সবচেয়ে বড় মিথ্যা। (বুখারী ও মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন-১৫৭৪)
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
রাসুলুল্লাহ (সা: ) বলেছেন:
বনি আদমের উপর ব্যভিচারের অংশ লিখিত রয়েছে, তা অবশ্যই সে পাবে । দুই চোখের ব্যভিচার হল দৃষ্টিপাত করা । দুই কানের ব্যভিচার হল শ্রবন করা। জিহবার ব্যভিচার হল বলাবলি করা। হাতের ব্যভিচার হল ধরা বা স্পর্শ করা । পায়ের ব্যভিচার হল হেটে যাওয়া । অন্তরের ব্যভিচার হল কামনা ও বাসনা করা। আর গুপ্তাঙ্গ তা বাস্তবায়িত বা অবাস্তব প্রতিপন্ন করে।(মুসলিম অনুবাদ: হাদিস:৬৫১৫)
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
“কাতার সোজা করো, কাঁধের সাথে কাঁধ বরাবর করো, ফাঁক বন্ধ করো, শয়তানের জন্য কোন ফাঁক রাখবে না। যে ব্যক্তি কাতারের সংযোগ স্থাপন করে আল্লাহও তার সাথে সংযোগ স্থাপন করেন, আর যে কাতার ছিন্ন করে, আল্লাহও তার সাথে সংযোগ ছিন্ন করেন।” (আবু দাউদ, প্রগুক্ত, কিতাবুস সালাত, বাব নং ৯৫, হাদীস নং ৬৬৬, ১/১৭৮)
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
“এক মুসলিম আর একজন মুসলিম এর ভাই । সে তার উপর জুলুম করে না, এবং তাকে শত্রুর হাতে সমর্পনও করে না । এবং যে তার ভাইয়ের অভাব মিটিয়ে দিবে, আল্লাহপাক তার অভাব পূরণ করে দিবেন । এবং যে ব্যাক্তি, কোন মুসলিমের বিপদ দুর করবে, আল্লাহপাক তার বিনিময়ে কেয়ামতের দিন তাকে বিপদ থেকে মুক্ত করবেন । যে ব্যাক্তি, মুসলমানের দোষত্রুটি গোপন রাখবে, আল্লাহপাক রোজ কিয়ামতে তার দোষত্রুটি গোপন রাখবেন "(মুসলিম অনুবাদ বইয়ের : হাদীস ৬৩৪৪)
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
"It is narrated on the authority of Abu Huraira that the Messenger of Allah (may peace and blessing be upon him) observed: He will not enter Paradise whose neighbor is not secure from his wrongful conduct." (Muslim :: Book 1 : Hadith 74)
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
আর সুন্নাহর গুরুত্ব বোঝার জন্য নিচের আয়াতগুলিই যথেষ্ট:
“হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, এবং নির্দেশ মান্য কর রসূলের….”(Sura Nisa:59, Same mentioned in Al Maida:92, An-Nur:54, )
“নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।“(An Nur:56)
“বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।“ (Al-Imran:31)
“…তারা ভাল কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তা’আলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী। (At-Tauba:71)
“মুমিনদের বক্তব্য কেবল এ কথাই যখন তাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের দিকে তাদেরকে আহবান করা হয়, তখন তারা বলেঃ আমরা শুনলাম ও আদেশ মান্য করলাম। তারাই সফলকাম।“(An Nur:51)
Narrated by Abu Huraira: Allah's Apostle (peace be upon him) said,
All my followers will enter Paradise except those who refuse.' They said, 'O Allah's Apostle! Who will refuse?' He said, 'Whoever obeys me will enter Paradise, and whoever disobeys me is the one who refuses (to enter it) [Bukhari Volume 9, Book 92, Number 384]
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন