EXPLORING MUSLIM WOMEN; BLOOMING REAL SPRING
লিখেছেন লিখেছেন সুমাইয়া হাবীবা ২০ মার্চ, ২০১৬, ০৫:০৪:১৪ বিকাল
নারীর জয়গান নারী পুরুষ সবাই গায়। আর আমি নারী পুরুষ উভয়ের জয়গানই গাই। তবে, নারীর সত্যিকার বিজয়গাঁথা দেখলে অনুভব করি, বসন্ত সত্যিই এবার এলো বোধহয়...
১/ বিশ্বের সেরা শিক্ষকের পুষ্কার জিতে নিলেন এক ফিলিস্তিনি নারী। হানান আল হুরুব।
যার জন্ম বেথলেহেমের এক উদ্বাস্তু শিবিরে। এই জন্মটাই একদিন কালের ভাস্বর হবে কে কবে ভাবতে পেরেছিলো! তবু তাই হলো। কারন, জীবনের কন্টকাকীর্ণ পথগুলো, বাঁকগুলো তাকে শিখিয়েছে। শিশুদের জন্য অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে শিখিয়েছে। নিজের পরিবর্তন নয় যারা অন্যের পরিবর্তন চান মহাকাল তাদের এভাবেই ঠাঁই দেয়।
লিংক: https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1028900343846998&set=rpd.100001811273953&type=3&theater
২/ হিজাব পরিহিতা তিন মুসলিম নারী এবার ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। যা নজর কেড়েছে সমগ্র বিশ্বের।
প্রায় একমাস যাবত বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যম এবং ব্লগগুলোতে চলছে এ নিয়ে আলোচনা। কোন পুরুষ সহর্কমী ছাড়াই রয়্যাল ব্রুনাই এয়ারলাইনস এর একটি বিশাল ক্রুজলাইনার উড়িয়ে এনেছেন সুদুর ব্রুনেই থেকে জেদ্দাতে। আরব নিউজ সহ মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যমগুলো বেশ গুরুত্বের সাথে এ খবর ছেপেছে। এএফপি এপি’র মত পশ্চিমা সংবাদসংস্থাগুলোও প্রশংসা করেছে। গত ২ ফেব্রুয়ারী ব্রুনেই এর জাতীয় দিবসে ক্যাপটেন শারিফাহ যারিনাহ সুরিয়ানী সিনিয়র র্ফাস্ট অফিসার নাদিয়া কাশেম ও সিনিয়র র্ফাস্ট অফিসার সারিয়ানা নরডিন কে সাথে নিয়ে বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার এর বিআইও-৮১ নং ফ্লাইটটি পরিচালনা করেন। এটি একটি বিলাসবহুল এয়ারলাইনার। যাতে ২৫৪ জন যাত্রী একসাথে ভ্রমন করে থাকেন। রয়্যাল ব্রুনাই এয়ারলাইনার কোম্পানী এবার মুসলিম নারীদের জন্য অভুতর্পূব সুযোগ তৈরী করেছে। কোম্পানীটি ঘোষণা করেছে এখন থেকে নারীরাও ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যোগ্যতাই মুখ্য এবং হিজাবও কোন বাধা নয়। উল্লেখ্য যে, এ কোম্পানীতে অনেক হিজাব পরিহিতা মুসলিম নারী বিভিন্ন পদে র্কমরত আছেন।
লিংক: https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1031973470206352&set=a.133105140093194.23626.100001811273953&type=3&theater
৩/ ডা: সামার আল হুমুদ। গালফ অঞ্চলের বিখ্যাত নারী কলোরেকটাল সার্জন। তার সবথেকে চমকপ্রদ পরিচয় তিনি কট্টর ইসলামপন্থী হিসেবে খ্যাত সাউদিয়া আরাবিয়াহর মত দেশের প্রথম নারী কলোরেকটাল সার্জন।
সম্প্রতি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত গালফ ও আরব অঞ্চলের হেলথ সার্জারী বিষয়ক কনফারেন্সে অংশগ্রহনের মাধ্যমে তিনি আলোচনায় আসেন। এ উপলক্ষ্যে আরব নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ বিষয়ে সহ অনান্য অনেক বিষয়ে কথা বলেন। বর্তমানে তিনি রিয়াদস্থ বাদশাহ ফয়সাল স্পেশ্যালাইজড হসপিটাল এন্ড রিসার্চ সেন্টারে কলোরেকটাল সার্জন এন্ড কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। একই সঙ্গে তিনি একজন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর। বিভিন্ন দেশের মেডিকেল সামিটে তিনি অংশগ্রহন করেছেন। লাভ করেছেন ইউরোপ আমেরিকার কলোরেকটাল সার্জন সোসাইটির সদস্যপদ। তার প্রতিভার স্বাক্ষর তিনি ছাত্রী অবস্থাতেই রেখেছিলেন। ইংল্যান্ডের বিখ্যাত সেইন্ট মার্ক হাসপাতালে স্কলারশীপ প্রাপ্ত প্রথম আরব নারী তিনি। কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখা এই কৃতি ছাত্রীকে হসপিটাল কতৃপক্ষ হারাতে চাননি। তাই ফেলোশীপ শেষে তিনি অনারারী ভিজিটিং কনসালটেন্ট সার্জন হিসেবে যোগদান করেন ওই হাসপাতালে। পরবর্তীতে তার অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাকে সম্মাননা পুরষ্কারে পুরষ্কৃত করে। এছাড়াও সমাজসেবার ব্রত নিয়েই আজকের অবস্থানে আসা ডা: হুমুদ একজন সমাজসেবিকাও। সাধারন জনগনের জন্য বিশেষ করে বঞ্চিত নারীদের জন্যই তিনি কাজ করে যেতে চান।
নিউজটির লিংক: http://nnbd24.com/news/news_details/5226
একজন সাংবাদিক হিসেবে লেখক হিসেবে আমার কর্তব্য যা নিউজ আমার কাছে পৌঁছায় তা সকলের কাছে পৌঁছানো। এটা আমার ডিউটি। সে বোধ থেকেই এ পোষ্টটি পোষ্ট করলাম।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৪ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই সাংঘাতিকতার যুগে সাংবাদিকতা খুব কঠিন ব্যাপার। আপনাদের জন্যতো বেশি বটেই। হয়তো আপনি সতর্ক পদক্ষেপেই এগুচ্ছেন। এবং তাই করুন। আমি কি বুঝাতে চাইছি, আপনি নিশ্চয় বুঝতে পারবেন।
সুন্দর বিষয়বস্তুর উপর চমৎকার উপস্থাপনা। আপনি একজন সাংবাদিক ও লেখিকা জেনে আরও অনেক ভালো লাগলো।
চমৎকার পোস্টটি পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য শুকরিয়া! আশাকরি নিয়মিত লিখবেন আপু!
মন্তব্য করতে লগইন করুন