অধিকার সম্মান ভালোবাসা প্রাপ্তির আন্দোলন, পদ্ধতিগত ভুল।
লিখেছেন লিখেছেন সুমাইয়া হাবীবা ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৫:৩৫:৩৯ বিকাল
http://nnbd24.com/news/news_details/478
nnbd24.com উপ সম্পাদকীয়। প্রকাশকাল-৩০জানুয়ারী,২০১৬।
ইসলাম নারীকে দিয়েছে হিমালয় সমান সম্মান। দিয়েছে প্রতিষ্ঠা। এ সবই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অপার রহমতের ফল। এতে না আছে পুরুষের অতিরিক্ত উদারতা বদান্যতা। না আছে নারীদের কোন অতিরিক্ত যোগ্যতা।
যা আছে তাতো সৃষ্টির শুরু থেকেই এ দুভয়ের মধ্যেই বিরাজমান ছিলো। কিন্তু নারী তার যোগ্যতার পুরষ্কার, প্রাপ্য অধিকার প্রাপ্য সম্মান পায়নি। কারন ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়নি পূর্ণরুপে। রাসূলুল্লাহর(সা) যুগে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুবাদেই পুরুষেরা দেখাতে পেরেছে বদান্যতা, নারীরা পেয়েছে সম্মান। অর্থাৎ মানুষের যা কিছু গুনাবলী যা কিছু সফলতা এতে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কারোরই কোন কৃতিত্ব নেই। আল্লাহ বলেন-”যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ না থাকতো তবে তোমরা একজনও পবিত্র হতে পারতেনা।”(নুর:২১) তিনি আরো বলেন-দুনিয়া আখিরাতে প্রশংসা কেবল আল্লাহরই জন্য।”(কাসাস:৭০) আল্লাহ বলেন-”তোমরা পরষ্পরের শত্রু ছিলে। আমি তোমাদের অন্তরে বন্ধুত্বের ভাব সৃষ্টি করে দিয়েছিলাম।”(ইমরান:১০৩)
ইসলাম নারী পুরুষের সমঅধিকারে বিশ্বাস করেনা। বিশ্বাস করে যার যার প্রাপ্য অধিকার প্রাপ্তিতে। কারন ইসলামে নারী ও পুরুষের রয়েছে আলাদা আলাদা অবস্থান। এ বিষয়ে বিশদ আরেকদিন আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ। নারী পুরুষের সমঅধিকারের দাবীটি দীর্ঘদিন যাবতই আন্দোলনের আকারে আমাদের সামনে আছে। নারীবাদীরা, সুশীল সমাজ নামক বিজ্ঞজনেরা, নিজেদের একমাত্র আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্কা ভাবা নারীশ্রেণী এবং এরকম আরো অনেক শ্রেণীপেশার নারীরাই এই আন্দোলনে শরীক আছেন। হতে পারে এর কারন ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারনা, বিভ্রান্তি বা অপপ্রচারে আকৃষ্ট হওয়া, ইসলামকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা কিছু সুযোগ সন্ধানী পুরুষের জুলুমের শিকার হওয়া ইত্যাদি। সে যাই হোক না কেন তারা সমর্থন করেন এটা বাস্তব। যারা ইসলাম মানেন বা মেনে চলার চেষ্টা করেন তারা ছাড়া সমাজের অধিকাংশ শ্রেণীর সাধারন নারীরা এই আন্দোলনটাকে সমর্থন করেন বুঝে বা না বুঝে। মনের ভেতরের হতাশা আর ক্ষোভ থেকে মনে মনে অন্তত সমর্থন দিয়ে শান্তি পেতে চান। এই আন্দোলন চলছে যুগ যুগ ধরে। পরিধি বেড়েছে ব্যপকভাবে। তবু আজ অবধি এটা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
এত দীর্ঘ এবং সোচ্চার আন্দোলনের পরও পরিপূর্ণভাবে কোথাওই হয়নি। বরং নারীর প্রতি সহিংসতাই শুধু নয় অসম্মান অমর্যাদাই বেড়েছে বহুগুন। রাস্তাঘাটে বের হলেই এর সত্যতা চোখে পড়ে প্রকটভাবে। আগে পথ চলতি মানুষেরা কোন মহিলাকে আসতে দেখলে সাইড দিতেন। রিকশা ঠিক করার সময় অগ্রধিকার দিয়ে নিজে পরবর্তী রিকশা আসার অপেক্ষাটুকু করতেন। বাসে কোন মহিলা উঠলে দেখা যেত চার পাঁচ জন দাঁড়িযে যেতেন নিজের জায়গায় মহিলাটিকে বসার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। বর্তমানে কোন প্রেগন্যান্ট মহিলাও যদি ৮ মাসের ভরা পেট নিযে দাঁড়িয়ে থাকেন, বাসভর্তি লোকের ভীড়ে একজন লোকও উঠে তাকে বসার সুযোগটুকু দেয়নি এমনও নজীর আছে। ব্যাংকের লাইনে, অফিস আদালতের ভীড়ে ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই মহিলাদের সম্মান দেখিয়ে এ বাড়তি সুযোগটুকু দেয়া হতো। মহিলারা বাড়তি সুবিধা পেতেন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রেও। হরহামেশাই একটু দেরী করে আসা, মাঝে মাঝেই অনুপস্থিত থাকা, নানান পারিবারিক অযুহাতে আগে বাড়ি ফেরা ইত্যাদি। হ্যা, কটুকথা অনেকেই হয়তো অবশ্যই শুনতেন। তবে সেটা মাত্রাতিরিক্ত নয় এবং চাকুরী চলে যাবার মত ভয়ানক পরিস্থিতির মত নয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। ব্যতিক্রম অবশ্যই ছিল, আছে, থাকবে। তবে সাধারনত পরিস্থিতি এরকমই ছিলো। আর এসবই ছিলো নারীর প্রতি সম্মান, স্নেহ ভালোবাসা থেকে উদ্ভুত প্রশ্রয়, ছাড়। যেটা বর্তমানে দেখা যায়না বললেই চলে। আর পারিবারিক সহিংসতাতো বলার অপেক্ষাই রাখেনা। পত্রিকার পাতা বা চোখ কান একটু খোলা রাখলেই বোধগম্য হয়ে যায়। অথচ নারীর অধিকার চাওয়ার আন্দোলন চলছেই। এর কারন আমি যা মনে করি, খুব সহজভাবে বলতে গেলে, যাদের কাছে অধিকার চাওয়া হচ্ছে মানে বিবাদীপক্ষ অর্থাৎ পুরুষশ্রেণীদেরকে নারীদের প্রতিপক্ষ বানিযে ফেলা হয়েছে। আর বাস্তবতাতো এটাই যে প্রতিপক্ষকে কেউই কোন ছাড় দিতে রাজী নয়। অথচ নারী পুরুষ একে অপরের প্রতিপক্ষ নয় সহযোগী। আল্লাহ বলেন-”মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী একে অপরের বন্ধু।”(তওবা:৭১)
সহযোগীকে ছাড় দেয়া যায়, ইহসান করা যায় কিন্তু প্রতিপক্ষকে নয়। এবং তারপর এই আন্দোলনে এমন অনেক বিষয় যোগ করা হয়েছে যা বাহুল্যতা। এগুলো না থাকলেই বরং আন্দোলন সুন্দর এবং সুশৃংখল হতো। কারন মূলত যে শানে নুযুল থেকে এ আন্দোলন উদ্ভুত তা অবশ্যই যৌক্তিক। যারা এই আন্দোলনের গোঁড়ার ইতিহাস জানেন তারা এটা মানবেন। নারীর সমঅধিকারের আন্দোলন যারা করেন তাদের মূল সমস্যা এটিই। নিয়তেই গলদ এবং পদ্ধতিগত ভুলও প্রকট। তারা তাদের আন্দোলনটাকে যুদ্ধের রুপ দিয়ে দিয়েছেন। যেটা কোনভাবেই সঠিক পন্থা নয়। নারীর প্রাপ্য মর্যাদা অবশ্যই নারীকে দেয়া উচিৎ। তবে সেটা পরিপূর্ণভাবে ইসলামকে মেনে। কারন ইসলামই এক্ষেত্রে একমাত্র সফল। যেটা যুগের পর যুগ ধরে নারীবাদীরা পারেনি সেটা মাত্র তেইশ বছরে আল্লাহর রাসূল(সা) পেরেছিলেন। কারন তার পদ্ধিতি ছিল সঠিক। মূলত পদ্ধতিগত ভুলের কারনে অনেক যৌক্তিক দাবীই ধোপে টেকেনা। যারা সত্যিই ভালো কিছু সামাজিক কাজ করতে চান এটি তাদের বুঝতে হবে। কেবল অভিযোগের পাহাড় দাঁড় করিয়ে দাবী আদায় হয়না। যেমন হয়না শুধুমাত্র শাসন দিয়ে সন্তান মানুষ করা।
যাদের যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন অর্থাৎ পুরুষের অনায্য অন্যায় দাবী নারীদের উপর চাপিয়ে দেয়া, নারীকে বাধ্য করা, যোগ্য সম্মান না দেয়া, অভিযোগে জর্জরিত করা ইত্যাদি। সেই একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি যদি এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে করা আন্দোলনেও ঘটে, একই পন্থা অনুসৃত হয় তবে অধিকার আদায় হওয়া বহুদুর সমাজের শান্তি এবং শৃংখলাই মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। নারী পুরূষ একে অপরের বন্ধু হওয়ার পরিবর্তে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িযে যাবে এবং শত্রৃভাবাপন্ন হয়ে পরষ্পরের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণে ব্যস্ত থাকবে নিজেকে আত্মসচেতন ভেবে এবং নিজের অধিকার আদায় করছে ভেবে। অসহিষ্ণু অবস্থার তৈরী হবে যেমনটা বর্তমানে বিরাজ করছে।
ইতিহাস বলে এটিই বাস্তব, মানুষ কোনদিনই জোর করে চাপিয়ে দেয়া ভার বহন করেনি। মেনে নেয়নি। মানুষ সহজাত প্রবৃত্তিতেই স্বাধীনচেতা। কেবলমাত্র সেটাই মানুষ গ্রহন করে যা ভালোবেসে দেয়া হয়। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন এর সবচাইতে বড় সাক্ষী। আন্দোলন হয়েছিলোই উর্দুকে জোর করে বাঙ্গালী জাতির উপর চাপিয়ে দেবার জন্য। তাই উর্দুকে আমাদের ভালো লাগেনি। আমরা নেইনি। কিন্তু আজ ৬৪ বছর পর যদি সেই একই জাতির দিকে আমরা তাকাই তাহলে দেখবো সেই মাতৃভাষা পাগল জাতির দুই তৃতিয়াংশই আজ হিন্দীতে মজে আছে। ছেলে বুড়ো সকলে। হিন্দী গান আমাদের ভালো লাগে। হিন্দী নাটক আমাদের ভালো লাগে। হিন্দী সিনেমা আমাদের ভালো লাগে। হিন্দীভাষী মানুগুলোর সবই আমাদের ভালো লাগে। যদি জরীপ করা হয় তাহলে দেখা যাবে পৃথিবীর আর কোন ভাষা তো বটেই ভাষাভাষী মানুষদেরও আমাদের এত ভালো লাগেনা। এমনকি ৯০% মুসলমানের দেশে আরবীকেও না। অনেকেই বলতে পারেন এখানে ভাষার কোন ভুমিকা নেই। অবশ্যই ভাষার কোন ভুমিকা নেই। ভাষাভাষী লোকগুলোর চিন্তা চেতনার ভুমিকার কথা বলা হচ্ছে এখানে। তাদের ভুমিকা আছে। উর্দুভাষী লোকগুলোকে আমাদের ভালো লাগেনা। উর্দু চ্যানেল দেখেন ক’জন তা বোধকরি অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও বহু কষ্টে খুজে দেখতে হবে। উর্দু নাটক উর্দু সিনেমা ইত্যাদিরও একই অবস্থা। অথচ ভাষার মাধুর্যতায় উর্দু হিন্দীর চেয়ে অনেকাংশে এগিয়ে। তবু উর্দু অবহেলিত। কারন উর্দুভাষীরা জোর করে তাদের সংস্কৃতিকে আমাদের উপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলো। যা হিন্দীভাষীরা করেনি। তারা এসেছিলো বন্ধুর মত। তারা আমাদেরই জন্য দ্বার খুলেছিলো কিন্তু দ্বার দিয়ে ঘাড় ধরে ঢোকাতে চায়নি। ব্যক্তির জন্য নিজস্ব স্বাধীনতার অবকাশ ছিলো। লোকে দেখেছে, বুঝেছে, মজেছে, আকৃষ্ট হয়েছে।
তেমনি প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের বুঝতে হবে হাঙ্গামা করে, জোরাজুরি করে বিশৃংখলা বৈ প্রাপ্তি কিছুই হয়না। অন্তত যারা ইসলামপন্থী যারা সমাজ সংস্কারকের ভুমিকায় তাদের এই বিষয়টি অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে। যারা পুরুষ তাদেরও আল্লাহভীড়ুতা দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে যে, স্ত্রীর ভালোবাসা পেতে হবে সম্মান পেতে হবে সেবা পেতে হবে নিজ যোগ্যতায়। জোর করে নয়, প্রভাব খাটিয়ে একচেটিয়াভাবে নয়। তবেই প্রকৃত ভালোবাসা সেবা সম্মান সবই দ্বিগুনভাবে পাওয়া যাবে। কারন নারীরা নিস্বার্থভাবে সুবাস বিলাতে জানে। আর জোরাজুরির ফল, চাপিযে দেয়ার ফল, অপমান অবহেলার ফল, ভীতি প্রদর্শনের ফল কেবল তুষের আগুনের মতো আন্দোলনই সৃষ্টি করতে পারে। স্বামীর প্রতি মহব্বত নয়। রাসুলুল্লাহ(সা) বলেন-”তোমাদের মধ্যে সেই সর্বাপেক্ষা উত্তম যে তার পরিবারের নিকট উত্তম।” নারীদেরও একথা মানতে হবে বিশেষত ইসলামপন্থী এবং সমাজ সংস্কারে ভুমিকা রাখা প্রতিটি নারীকে বুঝতে হবে অন্যায় দিয়ে আরেকটি অন্যায়ের প্রতিবাদ হতে পারেনা। এটা সুস্পষ্টই ইসলাম বিরোধী। আর ইসলামের বাইরে কোন সমাধান নেই। যে পদ্ধতির বিরুদ্ধে ভুলের বিরুদ্ধে আন্দোলন সেই একই পদ্ধতি একই ভুল অনুসরনে আন্দোলন সফলকাম হতে পারেনা।
এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষন, যৌতুক ইত্যাদি অনেক ঘৃন্য ইস্যু আছে যেগুলোর সাজা কঠোর থেকে কঠোরতর হয়েছে। কিন্তু এগুলো একটাও থামেনি। বাবামায়ের কঠোর শাসন সত্বেও ঘরে ঘরে পর্ন চলছেই। কারন যারা এসব করছেন তাদের মানসিকতার কোন পরিবর্তন আসেনি। আইন আন্দোলন অবশ্যই প্রয়োজনীয় তবে তার সাথে দরকার সঠিক মূল্যবোধের শিক্ষাদান এবং বিকাশ। ইসলামী শিক্ষার প্রসার। আল্লাহভীরুতা। বিবেকের উপলব্ধি। মানবতার শিক্ষা দেয়া হয়না বলেই একজন অপরাধী কারাবাসের পরও পরবর্তী জীবনে আবার একই অপরাধ করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যেই এই ইস্যুগুলোকে গবেষনা বিবেচনায় আনা হয়েছে। সাইকোলজিক্যাল ট্রিটমেন্টও শুরু হয়েছে। বর্তমানে কারাগারকে আর কারাগার বলা হচ্ছেনা। বলা হচ্ছে সংশোধনাগার। সেখানে অ্যাকটিভিষ্ট, ট্রেইন্ড পারসন, স্পেশাল কেয়ারী ইত্যাদি ফরম্যাটের দক্ষ লোকেরা তাদের দেখভাল করছেন। মন মগজের আমূল পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। পার্শবর্তী দেশ ভারতেও এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং তাদের সুফল দেখে বাংলাদেশেও সংশোধনাগারে রুপান্তরের চিন্তা ভাবনা চলছে বলে শুনেছি।
অর্থাৎ এটি স্বতসিদ্ধ যে মাইন্ড সেটআপ বদলাতে হবে। এবং সেটা বারংবার ব্যক্তির কৃত অপরাধের কথা স্মরন করিয়ে দিয়ে নয়, তীর্যক বাক্যবানে জর্জরিত করেও নয়। ঘৃনা দিয়ে সংশোধন সম্ভব নয়। বলা হয়ে থাকে ”পাপকে ঘৃনা করো পাপীকে নয়।” আর আমার আল্লাহ বলেন-”হিদায়ার দরজা কিয়ামত(মৃত্যু) অবধি খোলা।”
সমস্যার সমাধান করতে হবে সহযোগতিার মনোভাব নিয়ে। কল্যাণকামী হয়ে। প্রতিপক্ষ হয়ে নয়। যুদ্ধ বাধিয়ে নয়। সহমর্মী হয়ে। কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করে নয়। আধুনিক ইসলাম বলে কিছু নেই। এই শব্দটিই ভুল বলে আমি মনে করি। ইসলাম ইসলামই। ইসলাম সকল যুগের জন্যই যুগোপযোগী। সকল যুগেই ইসলাম আধুনিক। প্রতি শতাব্দীতেই মুজাদ্দিদের জন্ম হয়েছে, হবে। শরীয়াহ নিযে ইজতিহাদ হয়েছে, হবে। (আবু দাঊদ:৪২৭০) এবং প্রত্যেকেরই নিজ নিজ বিবেচনা কাজে লাগিয়ে যে কোন ইজতিহাদী ফলাফল গ্রহন করার সুযোগ রয়েছে। এতে অপরের কোন অধিকার ক্ষুন্ন হলে তার প্রতিকার প্রতিবাদ অবশ্যই হতে পারে। তবে, প্রতিবাদের ভাষা তীর্যক করে নয়। প্রতিবাদের ভাষা হবে শালীন, মার্জিত। আল্লাহর রাসুলের(সা) সুন্নাহ অনুযায়ী। খোঁচা দিয়ে, অসম্মানিত করে, অভিযোগের পাহাড় দাঁড় করিয়ে, সহযোগীকে সহবন্ধুকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নয়। রাসুলুল্লাহ(সা) বলেন-”একজন মুসলিমের অন্যায়ের জন্য এটাই যথেষ্ট যে সে আরেক মুসলমানকে অপমান করবে।” লক্ষ্য ব্যক্তি নয় লক্ষ্য হবে সমস্যা। সমস্যার মূলে পৌঁছাতে হবে। সুন্নাহ ও আল্লাহভীরুতার কোন বিকল্প নেই। আল্লাহ বলেন-”শুধু আমাকেই ভয় করো যদি তোমরা সত্যিই ঈমান এনে থাকো।”(ইমরান:১৭৫) আল্লাহ আরো বলেন-”যারা নফসের সংকীর্ণতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারবে তারাই সফলকাম হবে।”(তাগাবুন:১৬)
-সুমাইয়া হাবীবা
সোশ্যাল এন্ড হিউম্যান রাইটস এক্টিভিষ্ট
বিষয়: বিবিধ
১৫১২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ তাই যদি হবে তাহলে আল্লাহ অনুমতি দেবার পরেও কেন স্ত্রীর অনুমতি নেবার মনুষ্য আইন বানিয়েছেন এবং এনজয় করছেন ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন