আমার বাবা..ভিআইপি এবং সেলিব্রেটি..দুটোই।

লিখেছেন লিখেছেন সুমাইয়া হাবীবা ২৪ মার্চ, ২০১৪, ১০:৫৯:৩৩ রাত



১)

১আগষ্ট। সারা বাড়িতে খুশীর রোল। নতুন মেহমান এসেছে। গ্রামে খবর দেয়া হলো। নাম রাখা হলো ইসলামের প্রথম নারী শহীদের নামে। তিনদিনের মাথায় দাদী এলো নয়া নাতীর মুখ দেখতে। কোলে নিয়েই ভুল বুঝতে পারলো। প্রচন্ড বিরক্তিতে আম্মার দিকে তাকালো। আম্মার মুখ নীচু। বেশ ঝাজের সাথে নামিয়ে রাখলো নাতনীকে। হাবিব! এই ছ্যান দেখার জন্য আমারে খবর দিয়া আনলি!

-মা..আমারতো আরেকটা জান্নাত বাড়লো। আমার এখন তিন মেয়ে। আমার জান্নাতে যাওয়া কেউ আটকাতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ। আব্বার মুখে তৃপ্তির হাসি।

২)

১৯৯৪ সাল। আব্বার সাথে গিয়ে স্কুলে ভর্তি হয়ে বাসায় এলাম। আম্মা সব শুনে বাকরুদ্ধ। আব্বা নির্বিকার। আম্মা কিছুতেই মানতে পারছেনা। বললো:

-তুমি কোন আক্কেলে সুমুরে টুতে ভর্তি করলা!

-কি আশ্চর্য! আমি কি করলাম। ও ভুল করে ওয়ানের বদলে টু ক্লাসে ঢুকে গেসিলো। সবই পারসে। মাশাআল্লাহ। স্যারেরা বললো টুতেই দিয়ে দিতে। আব্বা আমার প্রতিভায় ব্যপক মুগ্ধ। কিন্তু আম্মা কিছুতেই ইমপ্রেসড হচ্ছেনা। যে মেয়ের কেজি ক্লাসে যাবার কথা টাকার অভাবে তাকে সরকারী স্কুলে ওয়ানে দেওয়া। ওখানে কেজি নেই। তাই বলে টু! এই লোকটা কি কোনদিনই সংসার বুঝবেনা!

৩)

১৯৯৯ সাল। হোষ্টেলে এলাম। দোতলায় ক্লাস হয়। আমি ক্লাস থেকেই বুঝি আব্বা আসছে। হ্যামিলী বলে কে বলসে! আমি আকর্ণ হেসে বলি আব্বার যে ভরাট গলা ওটাতো আমি ছয়তলায় থাকলেও শুনতাম।একটু পরেই ফাতেমা বুয়া হাঁক ছাড়ে ক্লাস সেভেনের সুমাইয়ার গার্জিয়ান আসছে। আমি লাফিয়ে নামি। কিরে মা কেমন আসো? শরীরটা ভালো আসে? আর দুএকটা কথা। শেষে একটা পলিথিন আরেক হাতে দশ টাকার একটা নোট। পলিথিনে এক প্যাকেট বিস্কিট, এক প্যাকেট টানাচুর, আর একটা পটেটো চিপস। প্রতি সোমবারের রুটিন। যখন আব্বা চলে যেত আমি পোটলাটা হাতে গেট ধরে কানতাম। আর সান্তনা দিতাম নিজেকে আর তো দুইটা দিন। বৃহস্পতিবারেতো সোজা মিরপুর!

৪)

২০০৩-৯ সাল। বিভিন্ন সামাজিক কাজে বাইরে ঘোরাঘুরি করি। আব্বার খুব অপছন্দ। তাও করি। চেষ্টা করি সন্ধার আগে আসতে। প্রায়ই পারিনা। বাসায় ঢুকেই বলি অফিসের গাড়ী দিয়ে গেসে। একটু শান্ত হয়। জানপ্রান দিয়ে কাজ করতাম। কে মূল্যায়ন করলো কে করলোনা ডোন্ট কেয়ার। নিজের মেধা যোগ্যতায় আন্তরিকতায় দায়িত্বের পরিধি বাড়তে থাকলো। বড় বড় যে কোন কাজে আমি। নানান অভিজ্ঞতা হয়েছে। সবচেয়ে বিচিত্র যেটা, সেটা হলো কোন চাচা বা খালাম্মার প্রশংসা শেষে জিজ্ঞাসা তুমি কি অমুক ভাইযের মেয়ে? কিংবা তুমি কার মেয়ে? নাম বললে উনাদের হতাশ চেহারা দেখে মায়া হতো। বুঝতাম ওনারা এমন কারো নাম আশা করছেন যাকে নাম শুনলেই চেনা যায়। কি আর করা। অনেক সময় দেখতাম বাবার পরিচয়ের কারনে কতজনকে কত আহ্লাদ পেতে। নানান প্রয়োজনে বিভিন্ন বড় প্রতিষ্ঠান বড় মানুষজনদের কাছে গেছি। যাওয়ার আগে আমার দায়িত্বশীলার ফোন অমুককে না তমুককে(হোক একদম নিষ্ক্রিয় তবু) সাথে নিয়ে যাও। কেন আপু! ওতো অমুক চাচার মেয়ে সুবিধা হবে। বৃহত্তর স্বার্থে সামি’না ওয়াত’না। কিন্তু মনের মাঝে কিলবিলিয়ে উঠতে চায় একটা জিজ্ঞাসা আমার যোগ্যতা আমার পজিশনটা কতটা পলকা..অইটুকুনই। এরপর আর মাথায় থাকতনা। কারন আমি বুঝতাম দায়িত্বশীলারোতো কিছু করার ছিলনা। আর আমার ঘরানায় যোগ্যতাই আসল নইলেতো আমি আমার পজিশনে আসতামনা।

অনেকে মেয়ে খুজতে বলতো। আমার সাদাসিধে আম্মা বলতো তুই বলতি তোর বড় বোন আছে। মনে হতো জমিন ফাঁক হোক আমি ঢুকে যাই… ক্যামনে বুঝাই উনারা কি চান! তখন বড়পুকে খুব ফিল করতাম। বুঝতাম ওর কেমন লাগে যখন ওকেই বলা হয় ওর চেয়ে ছোট কোন মেয়ের বিয়ের ঘটকালি করার কথা। শুধুমাত্র বাবার পজিশনের কারনে। আমি হলফ করে বলতে পারি আমার বোনেরা তার চেয়ে বহুগুন ভালো ছিল দেখতে শুনতে। কেউ কেউ কুফুর মাসয়ালা শুনাতেন। মাঝে মাঝে ভাবতাম একই ঘরানার লোক হয়েও মানসিকভাবে কত গোত্রে বিভক্ত এরা! বড়পুর বিয়ে হলো দেশের নামকরা একটা প্রাইভেট ভার্সিটির মালিকের ঘরে। মেঝপুরও প্রথম সারির ব্যাংকের পরিবার, আর আমার স্বনামধন্য হসপিটাল পরিবার। প্রত্যেকটি বিয়ে আব্বার ধার্মিকতা, ইসলামপ্রিয়তাকে সম্মান দেখিয়েই হয়েছে। এই পরিবারগুলোর কুফুর শিক্ষা নেই। উনারা অতটা ইসলাম বোঝেননা কি না!

৫)

২০১১ সাল। আব্বা রিটায়ার করলেন। পেনশনের টাকার ভাগ হলো। আমার আর মেঝপুর বিয়ে, কিছু ধার শোধ, হজ্ব। সারাজীবন একটা বই আব্বা এতবেশীবার পড়েছেন যে কোন পৃষ্ঠায় কোন শব্দ সব মুখস্ত! ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হজ্বের বই। কে একজন দিসিলো। আর টিভিতে কাবার ছবি দেখলেই উল্লাসে ফেটে পড়তেন। কি কি চেঞ্জ হইসে বলতেন। আর দীর্ঘশ্বাস ফেলতেন আহারে আল্লাহ! কবে নিবা! তোমার ঘর দেখাইবা!

গ্রামের মেহমান এলো। গ্রামে ঘাট করতে হবে। সেই ভোলা গিয়ে লঞ্চ ধরতে হয়। ভাড়া অনেক বেড়ে যায়। কেউ টাকা দেয়না। একজন দিলে কমিশন নিবে। আব্বা নাকচ করে দিলেন। নিতে হবেনা টাকা। তাহলে! বৃদ্ধবয়সের শেষ অবলম্বন পেনশনের টাকার চেক তুলে দিলেন। আম্মা নির্বাক। বললো তোমার হজ্ব! আল্লাহ চাইলে হবেই একদিন ইনশাআল্লাহ। এখনো চকচকে লোভাতুর চোখে সৌদি চ্যানেলে দিনরাত দেখেন তবে নীরবে। পাছে উনার সাদাকা নষ্ট হয়!

৬)

২০১৩ সাল। বিয়ের পর প্রথম আব্বা আমার বাসায় এলো। আমার রান্না খেয়ে খুবই আনন্দিত। এখনও খেতে বসলেই বলবে সুমুর বাসায় কলিজা খাওয়াইসিলো ইত্যাদি ইত্যাদি। আব্বা বিদায় নিল, বললো আসিরে মা, ভালো থাকো। ঠিক আগের মতো। আমার বাঁধটা যেন ভেঙ্গে গেল। আব্বা বেরোতেই মাটিতে হাত পা ছড়িয়ে কাঁদতে বসলাম। ও আব্বাকে এগিয়ে দিয়ে এসে দেখে ঘরে এটো বাসন-কোসন। আমি মাঝখানে হাউমাউ করে কাঁদছি। কান্না আর থামেনা। ও পাশে বসে দেখছে। হড়বড় করে যা বললাম তার অনেকটাই বোঝা গেলনা। কোনমতে বললাম আব্বা আমাকে কই রেখে গেল! মাদরাসার হোষ্টেল থেকেতো একদিন বাসায় ফিরবো সান্তনা পেতাম। কিন্তু আমার সেই বাসাটাইতো আর নাই! এই হোষ্টেল থেকেতো আর কোনদিনই ফেরা হবেনা! কেন বড় হইলাম!

৭)

২০১৪ সাল। আব্বা মাহফিলে যাবে। বিদায় দিতে এলাম। দেখলাম আব্বা টাকা গুনছে। মাত্র দুহাজার টাকা। এতবার গোনার কিছু নাই। আসলে দেখছে আর ভাবছে ভাড়া, থাকা, খাওয়া…

যাবার সময় পকেট টিস্যু দিলাম এক প্যাকেট। একদিন পর আব্বা ফোন দিয়ে জানালো প্যাকেটের ভেতর কিছু টাকা পেয়েছে। আমি খুব অবাক হয়ে বললাম ও তাই! কত জায়গায় রাখি। ভুলে যাই। আল্লাহর ইচ্ছা। কত গরীব-দুঃখী আসবে না ওখানে। রেখে দ্যান। লাগবে তো। ফোন রাখতে চাইলাম। আব্বাও বুঝলো। রেখে দিল। আব্বাকে মিথ্যা বললাম। আল্লাহ নিশ্চই ক্ষমা করবে। কি করবো! যে ঘর্মক্লান্ত বাবা গুলিস্তান থেকে আরমানীটোলা পর্যন্ত হেটে যেয়ে আমাকে দশটাকা করে হাতে তুলে দিতো তাকে আজ হাতে হাতখরচ দেয়ার দুঃসাহস আমার কোনদিনই হবেনা। এরকমই নানানরকম ছলনার আশ্রয় আমায় নিতেই হবে। কারন যতই দেই পৃথিবীর সমস্ত টাকা উনাকে এনে দিলেও সেই দশটাকার সমান কোনদিন হবেনা…

৮)

আব্বা খুব রাগী মানুষ। না ধমকে কথা বলতে পারেনা। ফ্রেন্ডলী বাবা বলতে যা বুঝায় তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা। সবাই যখন বাবার কাছে বায়না করে আমরা তখন আব্বার ভয়ে অস্থির। যখন আদুরে বাবার হাত ধরে বেড়াতে যায় আমরা তখন জেনেছি মেয়েদের জন্য ঘরই উত্তম। যখন দামী জিনিসপত্র দেখায় আমরা তখন শিখেছি আধপেটা খেলেও আত্মীয়দের সাহায্য করতে হয়। সমবয়সীরা যখন ভাল স্কুলের বড়াই করে তখন জেনেছি মাদরাসার দ্বীনি শিক্ষা স্কুলের চাইতে উত্তম। সবার বাবা যখন স্বপ্ন দেখে ছেলে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবে আব্বা তখন দেখে ভাইয়া হাফেজ হবে, বড় মুফতি মুহাদ্দিস হবে, সাঈদী সাহেবের মত দেশে-বিদেশে ওয়াজ করবে। আমরা একেকজন বিশ্ববরেন্য আলেম হবো। সবাই যখন আদুরে বাবার গল্প করে আমরা ভাইবোনেরা এ ওর দিকে তাকাই। সবার বাবা জন্মদিনে কেক আনে গিফট দেয় আর আমার আব্বা বলে দুনিয়া কিছুইনা! দুপুরবেলা দুইটাকার পুরি খেয়ে মাস শেষে বাড়িতে মায়ের খরচ দেয়। বাংলাবাজার থেকে মোহাম্মদপুর হেটে গিয়ে ছেলেকে বুখারী শরীফের অরিজিনাল কিতাব কিনে দিয়ে আসে। কিতাবের ভারে কাঁধ কুজো হয়ে যায় কিন্তু অন্তরের স্বপ্নবীজ নষ্ট হয়না।

সস্তা ফ্রেমের চশমা, মাথায় হিমকবরী তেলের দাগ পড়া টুপি, সাদা পাজামা পাঞ্জাবী(রিটায়ার করার আগে ইন ছাড়া শার্ট আর বানানো প্যান্ট), পায়ে তলা ক্ষয়ে যাওয়া রংচটা স্যান্ডেল, গায়ে জুমার দিনে মসজিদের সামনে থেকে কেনা আতরের কড়া ঘ্রান। আতরের গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে বলতাম আব্বা বড়পু যে আতর পাঠাইসে সেটা লাগান। উনার একটাই জবাব সারাজীবনতো এইটাই লাগাইসি। এখন বিদেশী জিনিস পায়া ওইটা না কিনলে ওদের সংসার চলে নাকি! ওইটা উঠানো থাক কোথাও বেড়াতে গেলে লাগাবো। এই আমার আব্বা।

৯)

বাবা দিবসে পত্রিকায় বিশেষ সংখ্যা বের হয়। এছাড়াও নানান আয়োজন হয়। সবখানেই একটা ব্যপার কমন। ভিআইপি বা সেলিব্রেটি হলে সেটাই মোস্ট প্রায়োরিটি। এদের কথা মানুষ জানতে চায়। যা তা হলেও সই। সুপার হিট। ভাত খেলেও সেটাই অনেক লাইক পায়। সবাই মন্ত্রমুগ্ধ হয়। আমিও হই। যখন ছোট ছিলাম তখন নাবুঝেই এসব দেখে মন খারাপ হতো। ভাবতাম যদি আব্বাও ভিআইপি নেতা বা সেলিব্রেটি হতো! অবুঝ মনের শুদ্ধ চাওয়া শুধু এটুকুই ছিল আব্বাকেও পুরো দেশ, বিদেশ সবাই চিনত আর গুরুত্ব দিত। পোলাপাইনী গবেষনা আর কি!

আব্বার সাথে আমাদের প্রয়োজন ছাড়া কথা বলতে গেলে হতোইনা। বিয়ের আগে কোনদিন আব্বা কেমন আসেন টাও জিজ্ঞেস করা হয়নি। অথচ বটবৃক্ষ ছায়া ঠিকই দিয়েছে। অনেকেরই বাবার গল্পটা এমনই কিছু। হয়তো এমনই সাদাসিধে। যে মানুষ সারাটা জীবন শুধু শ্রম দিয়ে যায় বিনা বিনিময়ে। আমার কাছে সেইসব সাদাসিধে মানুষগুলোই ভিআইপি। সেলিব্রেটি। আমি গর্বিত আব্বাকে নিয়ে। আমাকে বিশুদ্ধভাবে পৃথিবীতে আনার জন্য। সেজন্যই আমি জারজ নই অনেকের মত! আমাকে ডাস্টবিনে না ফেলে পেলেপুষে বড় করার জন্য। যেমনটা কতই পাওয়া যায়! আমাকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য। নাহলে আমার দুনিয়া আখিরাত দুটোই নষ্ট হতো! কারো জানার দরকার নাই। কারো চেনার দরকার নাই। কারো আহ্লাদে গদগদ হওয়ারও দরকার নাই। আমার আব্বা আমার কাছে ভিআইপি। আমার কাছে সেলিব্রেটি। আমি আর আমার আল্লাহই যথেষ্ট আমার বাবার জন্য।

বিষয়: Contest_father

২২৫৯ বার পঠিত, ৮৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

197359
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:০৯
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। অসম্বব ভাল মানুষ আপনার আব্বা এবং সেলিব্রিটি তো বটেই। স্যালুট করলাম
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৪৩
147565
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই। আমি এটাই বুঝাতে চেয়েছি যে সব বাবাই শ্রেষ্ঠ, ভিআপি, সেলিব্রেটি। তার জীবনের গল্প হোক আনকমন বা কমন।সব বাবাকেই স্যালুট!
197360
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:১১
চোথাবাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৪৩
147566
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : হুম আপনাকেও।
197368
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:২৩
উম্মু রাইশা লিখেছেন : কুফুর ব্যাপারটা বুঝিনাই। তবে দাদীর ব্যাপারটা বুঝেছি। আমারজন্মের সময় আমার মাও মুখ নাড়া খেয়েছিল।মেয়ে হওয়া মমানে সারাজীবন সয়ে যাওয়া।
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৪৪
147569
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : আসলে দাদীরা আগের যুগের মানুষ তো..বাট বড় হলে কিন্তু ঠিকই নাতনীদের আদর করে।Happy
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৪৭
147576
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : কুফুর ব্যপারটা অনেক আলোচনার ব্যপার। অল্পকথায় বলতে পারি-বংশ পরিচয়,সামাজিক অবস্থান, সম্মান, মর্যাদার দুপক্ষের সমতা। ভবিষ্যতে ডিটেইলস লিখবো একদিন।
197393
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:০০
অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী লিখেছেন : মন্তব্য করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমার বাবার সাথে বলা যায় পুরোপুরি মিল কি কাজে কি লেবাসে কি আচরণে। দোয়া করি আপনার বাবাকে আললাহ সুস্থ্য রাখুন।
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৫০
147577
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : জানিতো অনেকের বাবাই এমনই হয়ে থাকে। তবু ভালো লাগলো। Happy আপনার বাবার জন্যও দোয়া রইলো।
197401
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৩০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কি মন্তব্য করব মাথায় আসছেনা। গুলিয়ে গেছে সব। এত সুন্দর লিখাটির জন্য ধন্যবাদ কিভাবে দেব তাও বুঝতে পারছিনা। একটানে পড়লাম।
আর কিছু বলতে পারছিনা।
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৫১
147578
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : কষ্ট করে যে পড়েছেন আমি কৃতজ্ঞ।Happy
197402
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৩২
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : সত্য কথাগুলো যে অকপটে সবার সামনে তুলে ধরেছেন এমনটা সেলিব্রেটি বাবার মেয়ে বলে সম্ভব হয়েছে। কুফুর ব্যাপারটা বুঝিনি। ভালো লাগলো বাবাকে নিয়ে মনের কথাগুলো Good Luck Rose
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:০০
147582
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : ওপরে লিখেছি কুফুর কথা। আর আমাদের শোনানো হয়েছিল কারন আমার বাবা সেই ঘরানার তেমন কেউ নন। কোন নেতা নন। কোন ভিআইপি নন। যদিও আমাদের এলাকায় এবং আমাদের গ্রামে আমরাই সবথেকে প্রভাবশালী শুধুমাত্র আব্বার বংশমর্যাদা এবং সম্মানের কারনে।
আসলে বাবা-মায়ের ব্যপারগুলো খুব সেন্সেটিভতো। একদম ভেতরে গিয়ে লাগে। তাই লিখে ফেললাম।
197427
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৫:০৩
রাইয়ান লিখেছেন : যতই দেই পৃথিবীর সমস্ত টাকা উনাকে এনে দিলেও সেই দশটাকার সমান কোনদিন হবেনা…

কিতাবের ভারে কাঁধ কুজো হয়ে যায় কিন্তু অন্তরের স্বপ্নবীজ নষ্ট হয়না।


পড়লাম আর বুঝলাম , আমি কাঁদছি। আমরা যে কিভাবে আমাদের বাবা ছেড়ে থাকি , মাঝে মাঝে ভেবে অবাক ই লাগে !
এত্ত সুন্দর লিখেছেন , যে মন্তব্য করার মত যোগ্য কোনো ভাষাই আর খুঁজে পাচ্ছিনা ! আল্লাহ আপনার বাবাকে হায়াতে তাইয়েবা দান করুন।
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:০৫
147586
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : শুকরিয়া আপা। সেটাই। আমরা মেয়েরাতো উনাদের ছেড়ে আসি আমরা বুঝি ছেড়ে থাকার কষ্ট।।
197478
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:১৮
আগামী দিনের প্রধান মন্ত্রী লিখেছেন : রাইট, ভাল লাগলো
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:০৫
147587
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : Happy
197565
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : অনেক অনেক শ্রদ্ধা আপনার সেলিব্রেটি বাবাকে।

পোস্টটি স্টিকি করার জন্য মডারেটরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অসম্ভব ভালো একটি লেখা।
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:০৭
147588
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : আপনার বাবাও সেলিব্রেটি। ওনাকেও শ্রদ্ধা ও সালাম।।Happy
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:০৯
147592
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : অফকোর্স। আমার কাছে আমার বাবা সত্যিই সেলিব্রেটি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১০
197658
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:০১
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:০৮
147590
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : Happy
১১
197817
২৫ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৯
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : আপনার বাবার মতো আমার বাবাও সাদাসিদে জীবন যাপন করেন। আজ দুপুরে প্রবাসে বাবাকে ফোন করে বলি..বাবা, তোমার ছোট ছেলে আমেরিকা থেকে দুবাই হয়ে দেশে যাবে..আপনার জন্য কিছু লাগবে কি না..সেই আগের মতই উত্তর..............না কিছুই লাগবে না..............এই হচ্ছে আমার সাদাসিদে বাবা.যার এক একটি শাট/পেন্ট এর বয়স ছিল পাঁচ/ছয় বছরের বেশী। কি আর বলব..........এমন বাবাকে পেয়ে আমরা ধন্য.............
২৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
148109
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : অবশ্যই ধন্য! Happy আমার সালাম জানাবেন উনাকে।
১২
198113
২৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৩৩
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : চমৎকার!
২৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
148111
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : শুকরিয়া আপা। Happy
১৩
198187
২৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:১৭
ভিশু লিখেছেন : বেশ আকর্ষনীয় তো আপনার কথা বলার ধরন! ভালো লাগ্লো...Happy Good Luck বিশেষত্ব দেখতে পেলাম উপস্থাপনাটিতে! সুন্দর!
১৪
198211
২৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:৩২
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : Happy Happy আপনাদের ভালো লাগলে আমারও ভালো লাগে।
১৫
198321
২৬ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৫০
জবলুল হক লিখেছেন : পড়ে তো আমার চোখে পানি আসার অবস্তা। আল্লাহ আপনার আব্বাকে নেক হায়াত দান করুন।আজ এক যুগ হয়ে গেছে আমার আব্বা দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। আমার আব্বার জন্যও সবাই দোয়া করবেন।
২৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৪৮
148821
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : আমীন। অবশ্যই ভাই। মাগফিরাত কামনা করছি।
১৬
198637
২৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:১৬
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। এক কথায় চমৎকার!
২৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৫০
148827
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : Happy ধৈর্য ধরে পুরোটা পড়েছেন সেজন্য অনেক শুকরিয়া ভাই।
১৭
199035
২৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:০৩
মহি১১মাসুম লিখেছেন : সুন্দর সাবলীল উপস্থাপনা। মা বাবা সত্ত্বা সন্তানদের কাছে চির আরাধ্য বিষয়। অতুলনীয় সেরা মহান মহৎ -----।
ধন্যবাদ।
২৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:১৭
149029
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : আপনার আন্তরিকতায় আমিও মুগ্ধ। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।Happy
১৮
199150
২৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:১৮
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ১) ২০১৩ সাল। বিয়ের পর প্রথম আব্বা আমার বাসায় এলো। আমার রান্না খেয়ে খুবই আনন্দিত। এখনও খেতে বসলেই বলবে সুমুর বাসায় কলিজা খাওয়া্সিলো ইত্যাদি ইত্যাদি।

২) কোনমতে বললাম আব্বা আমাকে কই রেখে গেল! মাদরাসার হোষ্টেল থেকেতো একদিন বাসায় ফিরবো সান্তনা পেতাম। কিন্তু আমার সেই বাসাটাইতো আর নাই! এই হোষ্টেল থেকেতো আর কোনদিনই ফেরা হবেনা! কেন বড় হইলাম!

৩)কি করবো! যে ঘর্মক্লান্ত বাবা গুলিস্তান থেকে আরমানীটোলা পর্যন্ত হেটে যেয়ে আমাকে দশটাকা করে হাতে তুলে দিতো তাকে আজ হাতে হাতখরচ দেয়ার দুঃসাহস আমার কোনদিনই হবেনা। এরকমই নানানরকম ছলনার আশ্রয় আমায় নিতেই হবে। কারন যতই দেই পৃথিবীর সমস্ত টাকা উনাকে এনে দিলেও সেই দশটাকার সমান কোনদিন হবেনা…

৪) যে মানুষ সারাটা জীবন শুধু শ্রম দিয়ে যায় বিনা বিনিময়ে। আমার কাছে সেইসব সাদাসিধে মানুষগুলোই ভিআইপি। সেলিব্রেটি।
**************
প্রথমতঃ মডুদের ধন্যবাদ জানাই "প্রিয় বাবা" কে নিয়ে প্রতিযোগীতা দেয়ার জন্য। কারণ এ প্রতিযোগীতাটি না হলে এত হৃদয় ছোয়া একটি গল্প পড়া হতোনা।

এ গল্পের মুল্যায়ন আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আমাকে যদি এ প্রতিযোগীতার বিচারক দেয়া হত, তাহলে এটি হতো প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত। কারণ এটির মাঝে একজন সাদাসিদে বাবাকে যেভাবে সেলিব্রেটি করে তোলা হয়েছে, তুলে আনা হয়েছে জীবন চলার পথ হতে শিক্ষণীয় অনেকগুলো বিষয়, তা সত্যিই চমতকার।
আপনার ব্লগে এ প্রথম আসলাম। কি বলবো। লিখার মত একজন মানুষের যে দৃষ্টিভঙ্গী অনুভুতি তার সবটুকুনই আপনি মনের মাধূরী মিশিয়ে ঢেলে দিয়েছেন। আমি বিস্মিত হয়েছি স্বামীর বাড়ী হতে বাবার বিদায়ে আপনার কান্না আর চোখের পানিতে একাকার হওয়া মুহুর্তের অনুভমের উপমাটা দেখে। তাই এসব কোড করেছি আমার মন্তব্য।

আমার একটা মেয়ে আছে। ৭ম শ্রেণীতে। ওকে নিয়ে কাবা ঘরে তওয়াপের সময় দেখি বার বার আমার খালি দেহ থেকে ঘ্রাণ নি্চেছ।
- কেনরে মা এমন করছিস?
- বাবা। তোমার দেহের ঘ্রাণটা আমার খুব ভাল লাগে।
পিতা হওয়ার পর মেয়েদের অনুভুতির রাজ্য ঘুরতে ঘূরতে আমি অবাক হই। বিস্মিত হই। খোলা আকাশের নীচে স্বামী নামক মানুষটি জেলে থেকেও ওদের মিছে তৃুপ্তি...হায় আল্লাহ, ওদের জান্নাতে দেয়ার তোমার প্রতিশুতি এখন বুঝি।

ধন্যবা। সরি। অনেক বড় হয়ে গেল।
২৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:২৩
149033
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : আপনি অনেক বড় মাপের একজন লেখক, একজন বাবা, একজন মানুষ। তাই এত আন্তরিকতা নিয়ে লেখাটা পড়েছেন। বাবা হিসেবে আপনাকে স্যালুট! আর ছেলে হিসেবেও স্যালুট দেয়ার আকাঙ্খা পোষন করছি। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি বাবার লেখা উপহার দিয়ে সে সুযোগ দেবেন।Happy
১৯
199198
২৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:২৭
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : আর একটা কথা, আমি আপনার রঙ্গের মানুষ সিরিজে সিরিজ পাঠক হিসেবেই আছি। কিন্তু প্রায়ই ফোন থেকে পড়ায় হয়তো কমেন্ট করা হয়না। সেজন্য দুঃখীত ভাই।
২০
199205
২৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৬
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : জামাতী খালাআম্মাদের যেভাবে বাশ দিছেন সেটা কিন্তু সত্য। এরা দেখে আপনি কৃমি না খোকন না নিজামী-কাশেমের মেয়ে-পোয়া। আদর আপ্পায়ন টা কিন্তু তাদের বাপের নামে হয়। এরাই আবার এসলামের কথা কয়। আজিব
২৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৫১
149044
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : খালি বাশটাই দেখলেন! Surprised অবশ্য যার যেটাতে রুচি Tongue
২৮ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৫
149045
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : "মাঝে মাঝে ভাবতাম একই ঘরানার লোক হয়েও মানসিকভাবে কত গোত্রে বিভক্ত এরা!"
সবখানেই কিছু আতেল থাকে বুচ্ছেন যারা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ এবং পন্ডিত হিসেবে জাহির করতে গিয়ে নিজেদেরতো বটেই পুরো জিনিসটার বারোটা বাজায়!
২৮ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:০৮
149049
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : আপনিও কিন্তু নিজের ঢোল বাজাইছেন আপু,

বড়পুর বিয়ে হলো দেশের নামকরা একটা প্রাইভেট ভার্সিটির মালিকের ঘরে। মেঝপুরও প্রথম সারির ব্যাংকের পরিবার, আর আমার স্বনামধন্য হসপিটাল পরিবার।

Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
২৮ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৫০
149075
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : ওই যে আপনার বাশ..Tongue ভুলে গেলেন!Happy
২১
199285
২৮ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৬
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : কুইক কমেন্টঃ
ভালো লাগলো || ধন্যবাদ || পিলাচ || মাইনাস || অনেক ধন্যবাদ || স্বাগতম ||

কুইক কমেন্ট তৈরি করুন
২৮ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪১
149107
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : :Thinking :Thinking
২২
199315
২৮ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩২
অলীক সুখ লিখেছেন : চমতকার লিখেছেন আপি। :-)
২৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:০৪
149123
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : Happyধন্যবাদ ভাই।
২৩
200226
৩০ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:০৫
ভিশু লিখেছেন : ১মেই রইলো ২য়বার মন্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা! আসলে ১ম্বার কেমন যেন ক্লাসের ব্যাকবেঞ্চ থেকে ব্ল্যাকবোর্ডে পড়েছিলাম লেখাটি! আজ হঠাৎ বইয়ের মতো করে পড়লাম অনেক যত্নের সাথে! প্রতিটি অধ্যায়েই অভিভূত হয়েছি আমি! কি সাদামাটা - কিন্তু দারুন এক ধরন কথার! যেমন বাবা, তেমন ফ্যামিলি - আর আপনিও সেরকম, মাশাআল্লাহ! গল্পপ্রতিযোগিতার ঘোষণা-পোস্টের কমেন্ট লেখার সময় আমি যা ভেবেছিলাম - এটি ঠিক সেইমানের+বৈশিষ্ট্যের একটি লেখা! অনেক অন্নেক ভালো লাগ্লো! আর দেখলাম, হসপিটাল পাড়ায় থাকেন নাকি?! তাতে আরো ভালো লাগ্লো! আমি অন্তর থেকে বলছি, এধরনের সহব্লগারদের নিয়ে আমার খুব গর্ব হয়, ভালো লাগে! লিখে যান আরো আরো, এগিয়ে চলুন, প্লিজ... Loser Happy Good Luck Rose
২৪
200229
৩০ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:১৩
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : ব্যাকবেঞ্চাররা এত মনোযোগী হয়! জানা ছিলনাতো! Surprised আপনি বোধহয় বন্ধুদের চাপে ব্যাকবেঞ্চার! Thinking
আসলে রতনে রতন চিনে কি না! Big Grin Big Grin
২৫
200350
৩০ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৬
আহমদ মুসা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
৩০ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৬
150092
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : শুকরিয়া ভাই।
৩০ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০১
150099
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : না পইড়া রেডিমেইড মন্তব্যতে শুকুরিয়া আদায় করলে যারা মনোযোগ সহকারে পইড়া মন্তব্য করে তার নিকট কি বলবেন?
৩০ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:১৮
150107
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : শুকরিয়া তো ভাই সার্বজনীন। ক্ষেপেন ক্যান!
মোবাইলে তো অনেকের সাথেই কথা হয় কিন্তু এফ এন এফ তো সবাই না। মনোযোগী পাঠকের(যদিও সবাই পড়েই ভালো লাগলো বলে আমার বিশ্বাস, তবু মি.গ্যাঞ্জামের উত্তরে বলছি) জন্য এফ এন এফ!Happy
২৬
200362
৩০ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০৯
আলোর আভা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ ।
৩০ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:১৮
150108
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : Happy
২৭
200412
৩০ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৬
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আপনার এই লিখা পড়ে আমার বাবাকে নিয়ে লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে ,কিন্তু পারিনা লিখতে।
আপনার লিখা আর আপনার বাবার মান একই ,,মাশা আল্লাহ
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:০৭
150488
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : না ভাই লিখুন। সবকিছু পারতে হয়না।
২৮
200451
৩০ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৪
শেখের পোলা লিখেছেন : আল্লাহ আপনার আব্বাকে জান্নাত দান করুক৷ একেবারে খাঁটি কথা আমার বাবাই আমার কাছে ভি আই পি৷ ধন্যবাদ৷
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:০৮
150489
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : Happy আপনাকেও আমন্ত্রন।
২৯
200725
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : স্যালুট এমন বাবাকে। আল্লাহ উনার আশা পূর্ণ করুন।
ভালো লাগলো
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:০৮
150490
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : Happy দোয়া করবেন।
৩০
200787
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:০৫
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আমি আপনার লিখাটা গভীর ভাবে পড়লেও শেষের দিকের কিছু অংশ বিশেষ করে ৪ নং কথাগুলোর কথা লিখিনি। কথাগুলো আবার পড়ে খুব আহত হলাম। আমার ত্রিশ বছরের সাংগঠনিক জীবনের জমে থাকা বেদনাগুলোকে আপনি আবার ফুটো করে আগুন লাগিয়ে দিলেন। লিখতে গেল মনে হয় কাব্য হবে। তখন সবাই বলবে আমি...। দ্বীনি ভাইদেরকে মুলত তখনই চিনলাম যখন আমি একটু সরে দাড়ালাম। আপনার কষ্টগুলো আমার সবচেয়ে বেশী অনুভব হয়। কারণ আমি দেখেছি সীসার প্রাচীরের ভেতর লুকিয়ে থাকা কাচের দেয়াল। কথায় আছেনা, ইয়ে সীসা হো কি দিল, টুট যাতা হ্যায়...
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:১০
150491
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : কি আর করা! একটা গাছের সব ডাল সমান মজবুত হয়না! ভালো আর মজবুত ডাল নিয়েই গেরস্ত আশায় বুক বাধেঁ।Happy
১২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৪
155201
ইবনে হাসেম লিখেছেন : ভাই, একটি বাস্তববাদী এবং ক্যাডারভিত্তিক সংগঠনের যদি এই দশা হয়, তাহলে অন্য সংগঠনগুলোর আরো কি করুণ দশা, তা অনুমান করে নিতে কষ্ট হয়না। আশা করি একদিন এই নীচু মানসিকতা কাটিয়ে উঠতে সমর্থ হবে প্রিয় এই আন্দোলনের প্রতিটি কর্মী ও সদস্যগন।
১২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:২৯
155256
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ত্রিশ বছর সংগঠন করার পর আমিও সেই ঝড়ে পড়ে গেছি।
৩১
202370
০৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৪:৩৬
চেয়ারম্যান লিখেছেন : অসম্ভব ভালো লাগলো
০৯ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
154136
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : Happy
৩২
206535
১২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২১
ইবনে হাসেম লিখেছেন : বাহ্ বেশ সুন্দর করে লিখেছো সুমাইয়া। আল্লাহ তোমাদের দ্বারা আমাদের ভঙ্গুর পঁচা সমাজের কিছু উন্নতির সোপান রচনা করবেন, এই প্রতীক্ষায় রইলাম। ৪ নং অধ্যায়ের কাহিনী পড়ে খুব ব্যথিত হলাম। আল্লাহ যে কবে আমাদেরকে এমন নীচু মানসিকতা হতে মুক্তি দিবেন তিনিই ভালো জানেন।
আমিও বাবা এবং সম্প্রতি নানাও হয়েছি। তাই তোমাকে তুমি বলেই সম্বোধন করলাম।
দোয়া রইলো তোমাদের জন্য।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
156052
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : কোন সমস্যা নেই। আমি তুমিতেই কমর্ট ফিল করবো। আপনি দোয়া করবেন। Happy
৩৩
209133
১৭ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪০
মু নূরনবী লিখেছেন : ক্যারি অন....

সমস্যা সব জায়গায় আছে..বাট ভালোটার দিকে দেখে কারাপগুলোকে মাথা থেকে ফেলে দেওয়া কি উত্তম না@
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:১৬
157789
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : উত্তমটাকেই ধারন করা হয়েছে। এবং সবাই যাতে করে সেই মেসেজটাই দেয়া হয়েছে লেখায়। কাইন্ডলি লেখা+মন্তব্যগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ার আমন্ত্রন রইলো।
৩৪
216514
০২ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:১৫
মনটা আমার বাঁধনহারা লিখেছেন : এই লেখাটি আগেই পড়েছিলাম। কিন্তু মন্তব্যের ভাষা খুঁজে পাইনি। বাবার ব্যাপারে আমার শব্দরা ডানা মেলতে পারে না। আপনি সত্যি অসাধারণ লিখেছেন। মাশা আল্লাহ। Rose Rose Rose
০২ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:০৩
164707
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : পারবে। যাই হোক, যেমনই হোক, লিখে ফেলুন না..প্লিজ..
৩৫
216555
০২ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৭
আতিক খান লিখেছেন : একজন চোখের আড়ালে থাকা অসাধারন বাবাকে নিয়ে হৃদয়ছোঁয়া লেখা। ভালো লাগলো।
০৪ মে ২০১৪ রাত ০৮:০৩
165611
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : আমার চোখে এমন আড়ালে থাকা প্রতিটি বাবাই অসাধারন,, সেলিব্রেটি,, ভিআইপি।। Happy Happy
৩৬
217444
০৪ মে ২০১৪ রাত ০৮:০৯
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আচ্ছা যাদের বাবা নাই তারা কি খুউব রাগি হয়?
আর যাদের বাবা নাই তানা সেলিব্রিটি বাবা কোথায় পাবে?
আসলে বাবা নিয়ে পোষ্ট এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করি কেননা বুকের বা দিকটায় কেমন যেনো একটু আলতো ব্যাথা আর খালি খালি একটা ভাব লাগে।
একটু কষ্ট লাগে।
ধন্যবাদ সুমাইয়া আপু আপনাকে।
০৪ মে ২০১৪ রাত ১১:৩৩
165689
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : জানি! পুরোপুরি বুঝি বললে ভুল হবে তবে কিছুটা হলেও বুঝি। অনুভব করতে পারি বলেই যাদের আছে তাদের মেসেজ দেয়ার চেষ্টা করেছি যাতে হারিয়ে যাওয়ার আগেই উনার মর্মটা বুঝতে পারে সবাই।।Praying Praying
৩৭
226753
২৬ মে ২০১৪ রাত ১১:৩৭
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : পড়ে বেশ ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।
১৭ জুন ২০১৪ দুপুর ০২:০৯
182248
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনারা অগ্রজ। আপনাদের ভালো লাগলে উতসাহ পাই।Happy Happy
৩৮
238476
২৪ জুন ২০১৪ রাত ০৯:২০
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : বাবা প্রতিযোগীতায় আপনি নির্বাচিত হননি। কিন্ত আপনার লিখাটাই তাই আজ আবার পড়লাম। হৃদয়ে ছুয়ে এ লিখাটি কেন জানি প্রিয়তে রেখে দিয়েছি। লিখার প্রতিযোগিতায় নাম্বারে না আসলেও পাঠকের হৃদয়ে বাবার জন্য দারুণ এক অনুভুতি জাগাতে পেরেছেন। এটাই বা কম কিসে?
২৫ জুন ২০১৪ দুপুর ০২:১৪
185168
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : আপনার মন্তব্যটাইতো আমার পুরষ্কার!! আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার! আমি জীবনে বহু পুরষ্কার পেয়েছি। এবং প্রথম পুরষ্কার প্রায় সবই। কিন্তু এমন পুরষ্কার কোনদিন পাইনি...আল্লাহর সিজদাবনত হলাম...Praying Praying
৩৯
302872
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১২:৩৪
সাইমুম হাবিব লিখেছেন : সুমাইয়া হাবিবা বাবাকে নিয়ে আপনার লিখাটা সত্যি অসাধারন। স্যালুট আপনার গর্বিত মহান বাবাকে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:০৫
245006
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : Happy Happy আপনার মহান বাবার জন্যও দোয়া রইলো। আমার দৃষ্টিতে সব বাবাই গর্বিত এবং মহান। যদিও আমরা মহানের বিচারটা করি নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে।
৪০
303735
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:০৪
সাইমুম হাবিব লিখেছেন : সঠিক বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুমাইয়া হাবিবা

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File