তোমায় হৃদমাঝারে রাখবো...যেতে দেব না... ..
লিখেছেন লিখেছেন সুমাইয়া হাবীবা ১৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ১০:২৭:৫৮ রাত
সিএনজিতে পাশাপাশি গায়ে গা লাগিয়ে জুবুথুবু হয়ে বসে আছি দু’জনে। আমার পাশের পর্দা নামানো। গায়ে ভারী কাশ্মিরী শাল জড়ানো, পায়ে মোজা, শীত ঠেকানোর কোন চেষ্টাই বাদ রাখিনি। তবু ঠান্ডায় প্রায় জমে যাচ্ছি। হু হু করা ঠান্ডা বাতাস কাপিঁয়ে দিচ্ছে বারবার। ও একহাতে আমাকে জড়িয়ে আমার শীত কমানোর বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছে। যদিও জানে লাভ নেই তবু করবে। গন্তব্য মিরপুর। আজ আখিঁর বিয়ে। আমার ছোটবেলার ছোট সাথী। যত্ন নিয়ে সেজেছি আজ। অনেকেই বলে খামোখা এত কষ্ট করে সেজে লাভ কি! বোরকা তো দুর নেকাবটাইতো খুলোনা! কেউতো দেখেইনা! আমি মিষ্টি করে হাসি। কি করে বোঝাই…কারো দেখার জন্যতো করিনা। যার দেখার জন্য এত কষ্ট করা, সেইতো দেখে!
নিজের চেঞ্জ দেখে নিজেই অবাক হই। এই আমি কি সেই আমি! আমার সমস্ত অন্তরাত্মা জুড়ে আজ এই মানুষটা। এই মানুষটা খুশী হলে আমার অন্তর দোলে..এই মানুষটার চোখের দৃষ্টি আমার ভেতর কালবৈশাখী তোলে..এই মানুষটার জন্য নিজেকে সাজাই..রাঙ্গাই..মনে পড়লো প্রথমবার দেখা করতে যাবার কথা। ফ্যামিলি দেখার আগে আমাদের আনঅফিশিয়ালি দেখা হয়েছিলো। যাবার আগে বড়পুর উপদেশ
-একটু ফেসপাউডার লাগাও।
-না!
-আচ্ছা, থাক। লিপস্টিক লাগাও একটু, হালকা করে একদম। আর কিসুনা।
-না প্লিজ, আমার কেমন যেন আনইজি লাগতেসে!
-কেন!
-একটা ছেলের জন্য লিপস্টিক লাগাবো! তাকে দেখাবো!
-ইসলামেতো পারমিশন আছে।
-হুম!
-হ্যা। লাগাও।
আর আজ…ধুর! কোথায় আখিঁকে নিয়ে ভাববো তা না..
কলোনীর অলিগলিতে আমাদের কত খেলা..কত দৌড়াদৌড়ি..কত মান অভিমান..এবং কত মারামারি! আর আজ! আমি ঘরনী, আর একজনও হতে যাচ্ছে। ভাবতেই কেমন লাগছে…বান্ধবীদের প্রায় সবাই আজ এমনই। কারো কারো ২টা, ৩টা করে বাচ্চা। আখিঁর জন্য অদ্ভুত একটা ফিল হলো। আচ্ছা..কেমন লাগছে ওর এখন? একটুপরেই ৫মিনিটের একটা আনুষ্ঠানিকতা। তারপরই সব ভজঘট! লাইফটা রি-এরেঞ্জ! যেন স্বাধীনতা দিবসে ভারতেশ্বরী হোমসের ডিসপ্লে। এই ছিল মানচিত্র হয়ে গেল শাপলা ফুল! এতদিনের কাছের মানুষগুলো একটু পিছু হটলো আর নতুনকিছু মানুষকে কাছে আসার জায়গা দিল। দুটোই সুন্দর।
নিজের বিয়ের কথা মনে পড়লো…
দেখতে দেখতে কতগুলোদিন পেড়িয়ে গেল। অথচ মনে হয় এইতো সেদিন! এমন একটা সময়ের কথা যখন আমি আমার ক্যারিয়ারের স্বপ্নে বিভোর, মাসের শেষে আম্মার টানাটানি ঘুচানোর স্বপ্নে বিভোর। এর ওর কাছে ধরনা দিয়েও লাভ হলোনা। আত্মীয়দের মতামত ছেলে দেখতে ভাল, জব ভাল, ফ্যামিলি ভাল, ওদের মতই আল্লাহ ওয়ালা। আর ছেলে নিজে পছন্দ করসে। না করবেন কোন যুক্তিতে, পরে যে কেউ পছন্দ করবে তেমন কিছুতো না ও। কঠিন যুক্তি! বড়পুর ফোন-তোমার চিন্তা ঠিক আছে বাট দ্যাখো আল্লাহর সিদ্ধা্ন্তই কল্যানকর। নাহলে তোমাকে নিয়ে এখনই আর্জন্টলি আমরা ভাবিনি বাট আল্লাহ ভেবেছেন। আব্বার শরীর দিনদিন খারাপের দিকে। তুমি না বলোনা। ইমোশনাল যুক্তি!
আম্মা চিন্তিত অঞ্চল নিয়ে। চিটাগাংয়ের ফ্যামিলি..কিছু না চাইলেও ওদের কালচার বউয়ের বাড়ি দিবে। আমরাতো কিছু দিইনা। বড়টার মত গয়না দিতাম কিন্তু এখন দুটো মেয়ের পরপর..তারউপর দাম..অবশেষে হলো বিয়ে। রাত ১০টায় চিটাগাংয়ের মাটিতে পা রাখলাম। অদ্ভুত একটা ফিলিং হলো। অচেনা কিন্তু মিষ্টি। এর আগেও চিটাগাং গেছি। বাট এবার কেমন যেন নতুন লাগল। আচমকা হাতে একটা স্পর্শ। হালকা চাপ, কিন্তু পরম নির্ভরতা। আমার হাতে টান পড়লো। একটু উচু কন্ঠে বললো-চলো। যে বড় ঘোমটা দিসো, কিছুইতো দেখবানা। আমি চুপ। তবে মজা পেলাম। কারন, বুঝলাম গলা উচুর কারন পাশে থাকা অন্যরা।
আমরা ছোট্ট একটা বাসা নিলাম। জিনিস বলতে কিচ্ছু নেই বাসায়। তোষকে ঘুমাই। বাট আমার পর্দার সমস্যা হবে বলে দুরুমের বাসা। প্রতিবেশীরা দেখতে এসে অবাক হয়ে বলে-
ঘরেতো কিছুই নাই, খামোকা দুইরুমের বাসা নিসো ক্যান!
আমি সলাজ হেসে বলি-
আসলে খালাম্মা আমিতো পর্দা করি। একরুমের বাসা নিলে পুরুষ গেস্ট আসতে চাইবেনা। আর তাছাড়াও আপনাদের জামাইয়ের তো ভাই দুলাভাই, মামা, চাচা আছে। তারা চিটাগাং থাকে। তাই গেস্ট মানেই থাকার গেস্ট।
-মাত্র সংসার শুরু করলা, নিজেদেরই খাট নাই, এখনই শশুড়বাড়ির গেস্টের চিন্তা!
-কি করবো, শশুড়বাড়ি হলেও ফ্যামিলিটাতো এখন আমার! আর আমার বাড়িতে আমার ফ্যামিলি মেম্বাররা যখন তখনই আসতে পারে।
বেডরুমের পাশে রান্নাঘর। আমি রান্না করতে করতে হঠাত পেছন ফিরলে দেখতাম ও তাকিয়ে আছে। এখন আরেকটু বড় বাসায় থাকলেও অভ্যাসটা রয়ে গেছে ওর। আমার রুমের জানালা আছে একটা যেটা দিয়ে রান্নাঘর দেখা যায়। এখন ও জানালায় পিঠ ঠেকিয়ে বসে যেন একটু পরপর আমাকে দেখা যায়।
দিনের বেশিরভাগ সময় আমার একাই কাটে। উন্মুখ হয়ে থাকি কখন আম্মার বাসায় যাব। আমার কষ্ট বুঝতে পেরে ও দিয়ে এলো। আমি খুবই খুশি। বাট কিছুক্ষণ পর এই খুশিটা একটু কমে গেল। ওর কথা মনে পড়লো। দুপুরে খেতে বসেও একই অবস্থা। ও কি খেলো, খেলো কি না..রাতে বিছানা ঝাড়তে পারলো তো?
ওই যে দোটানার শুরু…আজ অবধি তাই চলছে। এবং মুরুব্বীদের কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমান করে পাল্লাটা এদিকেই ভারী হযে গেছে। আমি আমার স্বল্প জ্ঞানে ভালোবাসা বলতে এটাই বুঝি।
হঠাত সিএনজি থমকে দাড়াঁলো। কি ব্যপার? ওহ, সিগনাল।আমি বর্তমানে ফিরলাম। একটা পিচ্চি ফুলওয়ালা এলো। আমি উতসুকভাবে তাকালাম। ও না বলে দিল। এক মিনিটও দেরী হলোনা। আমি নিশ্চুপ, তবে ভেতরটা থমকে গেল। মানুষটা এতদিনেও বুঝলোনা ফুল আমাকে কতটা প্রশান্তি দেয়! এ জীবনে কেবল শ্লোগানই বুঝলো! সিএনজি এগোলো। রাস্তাটা এত ভাঙ্গা! উফ! সিএনজি গর্ততে হোচঁট খেয়েছে। ঝাঁকুনিতে ব্যাথা পেলাম আমি। আমার চেয়ে বেশি পেল ও। মনে। কারন তার বউ ব্যাথা পেয়েছে। বউয়ের কষ্ট হয়েছে। সিএনজিওয়ালাকে ধমক লাগালো। আমাকে নিজের দিকে সরিয়ে নিল। আমি তাকিয়ে রইলাম। মনে পড়লো কুরবানীর ঈদের দিন গ্রাম থেকে আসার সময়ও এমন হয়েছিলো। গাড়ীতে জানালার পাশে বসেছিলাম। আমার পেছনে বসেছিলো ও। জানালার রডে বারবার আমার মাথা ঠেকে যাচ্ছিলো। একটুপর আর লাগলোনা। কি ব্যপার! তাকিয়ে দেখি ও রডে হাত দিয়ে রেখেছে। যাতে আমার মাথা ওর হাতে লাগে। রডে নয়। আমি ওর দিকে তাকালাম। শান্ত মুখ, সামনে চেয়ে আছে। চোখে পানি চলে এলো। ফুলের মাঝে ভালোবাসা খুজছিলাম আমি! কি হয় একটা ফুলে! ভালোবাসা তো আমার পায়ে লুটোপুটি খাচ্ছে। আমরা মেয়েরা যে আসলে কি…!
আমার ফ্রেন্ডদের বিয়ের পর অনেকেই অভিযোগ করেছে ভালোবাসা প্রথমদিকে অনেক থাকে, ধীরে ধীরে কমে যায়। যায় কি না জানিনা, তবে আমার বেড়েছে। আমি জানি ওরও বেড়েছে। আমি টের পাই। আসলে সময়ের সাথে ম্যাচিউরিটি আসে যেটা অনেকের কাছে কমে যাওয়া, আমার মতে স্থিতাবস্থা। অনেকেই বলে অমুকের হাজবেন্ড এমন করে তমুকের তেমন করে। আর ও কেমন যানি! ইমোশন নাই! গিফট দিযে চমকে দেয়না। আরো অনেক হাবিজাবি। এরকম আমার মনেও আবছা আবছা আসে। আসবে নাই বা কেন, শয়তানতো অলওয়েজ সক্রিয়! বাট আল্লাহ আমাকে বাচিঁয়ে দেন। সীমালঙ্ঘন করতে দেননা। কারন আমরা চাইওনা। হোকনা একটু কাঠখোট্টা, একটু সাধারন, সাধাসিধে। নাইবা পারুক ইমোশনাল ডায়ালগ বলতে, না বুঝুক আকাশের লালীমা, না দেখুক পূর্ণীমা..
কি আসে যায়!
এক জীবনে কতটাইবা নস্ট হবে!
একটা মানব কতটাইবা কষ্ট দেবে!
কাছাকাছি এসে গেছি। আমার অস্বস্তি শুরু হতে লাগলো। যদি এখানেও….! ইদানীং কোথাও যাওয়াটা যেন আমার জন্য যুলুম হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে শশুড়বাড়ির দিকে। কুশল শেষেই কমন প্রশ্ন-কোন খবর আছে? বছর যে পেরিয়ে, কবে পাব, ইত্যাদি। কেউ কেউ আবার মাত্রা ছাড়িয়ে-কেন খবর নাই, কি ব্যপার, পর্যন্ত চলে যান। কেউ হাসতে হাসতে গল্প বলেন-আমিতো সংসারের কিছু বোঝার আগেই অসুস্থ হয়ে গেলাম। বছর ঘুরলোনা মা হয়ে গেলাম। প্রথম প্রথম অপ্রস্তুত হয়ে যেতাম। এখন সয়ে গেছে। তবু মাঝেমাঝে উথাল পাথাল লাগে। নিজেকে খুব ছোট লাগে। শূণ্য লাগে। ওকে বললাম একদিন-
-তোমারও খারাপ লাগে নিশ্চই? আর সবাই বলে, তুমি বলোনা।
-লাগে। তোমার জন্য।
-মানে!
-তুমি কষ্ট পাচ্ছ তাই লাগে। কারন আমি শুনসি তুমি বাচ্চা খুব ভালবাসো। স্কুল প্রোগ্রামগুলো তোমাকে ছাড়া ইমপসিবল ছিল। আর দেখতেসিও। আমারও বাচ্চাকাচ্চা ভাল লাগেনা তা নয় ঠিক, তার জন্য মন খারাপ লাগেনা তাও নয়।
-উফ! প্লিজ!
-হুম, সত্যি এটাই। আল্লাহ দিলে দিবে। যখন উনি চাইবেন দেবেন। ভাল লাগবে। না চাইলে দেবেননা। খারাপ লাগবে। তার সাথে আমাদের দু’জনের সম্পর্ক খারাপ হতে যাবে কেন! আমি চক্ষু শীতলকারী বউ চাইসিলাম। পাইসিতো। বাচ্চাওয়ালা বউতো চাইনাই!
-ধ্যাততেরি!
-তবে লোকের কথাতো আমরা বন্ধ করতে পারবোনা। সবর করাই উত্তম। আসো আমরা সবর করি। বি নরমাল।
নাহ! আমার চিন্তায় আরো সংযত হওয়া দরকার। সংসারে সব আমার মনের মত হবে এমন কেন ভাবি! বললে বলুক। কেন কুকড়ে যাচ্ছি আমি! আমার মত ভাগ্যবতী বা কজন? যে সর্বাবস্থায় এমন একজন সঙ্গী পেয়েছে!
ওর হাতটা টেনে নিলাম। নিজের মুঠোয় চেপে রাখলাম। যেমন প্রথমদিন ও রেখেছিল। অদ্ভুত একটা প্রশান্তি পেলাম..
ব্লগে বিয়ের গল্প প্রতিযোগীতা চলছে। ভেবেছিলাম কিছু একটা লিখব আমার বিয়ের মজার কিছু স্মৃতি নিয়ে। সেটা বোধহয় আর হলোনা। কি লিখব আমি! আমাদের দু’জনের বিয়ের গল্প যে প্রেজেন্ট কন্টিনিউয়াস..এখনও চলছে। এই ভালোবাসা যে শেষ হওয়ার নয়…
বিষয়: বিবিধ
৪৫৫৮ বার পঠিত, ১২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমীন।আমীন।।
সু+মাইয়া = ভালো+মাইয়া
কিন্তু আমি এতো বোকা কেনু কেনু কেউ আমাকে বুঝিয়ে বলতেও চায় না, হু হু
বারাকাল্লহু ফিক
আপনার দোয়া কবুল হোক।আমীন।।
না চাইতেই সবার হারির খবর জানা যাইচ্ছে....
ভাল না...খুব ভালো তো...
ধন্যবাদ আপনাকে।
নাইস রাইটিং। ভালোবাসা আরো ভালোবাসাময় হোক এই প্রার্থনা। শুভকামনা।
এই কথাটি যদি সে জেনে ফেলে তাহলে হয়ত চোখ দিয়ে টুপ করে দু'এক ফোটা জল গড়িয়ে পরবে।
এই জল আনন্দের। জীবন যুদ্ধের অসম প্রতিযোগিতায় ক্লান্ত হয়ে ওঠা মনের ভিতর এক মুঠো সুখের উষ্ণতা।
অন্নেক ভাল লেগেছে।
আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।তবে আপুকি চিটাগাং এর?ভাষা বুঝতে কিঞ্চিত সমস্যা বোধ করছেন না তো? ]
অসাধারন গল্পটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আমি ওর দিকে তাকালাম।শান্ত মুখ,সামনে চেয়ে আছে।চোখে পানি চলে এলো।ফুলের মাঝে ভালোবাসা খুজছিলাম আমি!কি হয় একটা ফুলে!ভালোবাসা তো আমার পায়ে লুটোপুটি খাচ্ছে। সুপার....
আর দুয়া করি যাতে খুব তাড়াতাড়ি মামা হয়ে যাই
আমরা!
নায়িকার মত মানুষ মাত্রই যদি এমন সব বিবেচনাবোধকে জাগ্রত রাখেন - তবে জীবন টা আপনা আপনি নিয়ন্ত্রনে যেমন থাকে - তেমন করে সুখ-শান্তি বিরাজ করে আলটিমেটলী জীবনের জয় হয়।
ভিন্ন স্বাদের সাবলীল লিখার জন্য ধন্যবাদ।
আর আমার লেখার মূলভাব,মূলউদ্দেশ্য ধরতে পেরেছেন বলে খুব আনন্দ হচ্ছে।অনেক শুকরিয়া ভাই।
একটু ভাবুনতো যদি সেই মানুষটাই না থাকে কার উপর নিজের রাগ ঝাড়বেন আপনি!আর কার সাথেই বা সে খুনসুটি করবে!দু’জনেরতো কেবল দু’জনই আছেন তাইনা!
আপনার হাত তো অনেক ভালেআ..ক্যারি অন...
একটু আগে এক ফ্রেন্ডের বিয়ে নিয়ে কন্সাল্টিং করছিলাম! ব্যাচেলর হলেই বিয়ে নিয়ে কনসাল্ট করা যাবে না..প্রভাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিলাম আপু!...
হাহাহা...
বর না হলে কি হবে! অনেকের পাগড়িতো পরেছি!...হাহাহা
এনিওয়ে, এখন নো বিশ্বাস করি যতই আমাদের সমাজ নোংরামিতে ভরে যাক না কেন...এখনো অনেক নারী আছে...যারা সত্যিকার অর্থেই শুষ্ক মরুতেই ফুল ফুটাতে পারে...
আল্লাহ যেন আমাদের সঠিক ইসলাম মানার এবং সে অনুযায়ী চলার তৌফিক দেন।
মনেহচ্ছে এ যেন নসিম হিজাজীর নায়িকার বিবরণ পড়ছি।
[ভাবি? আমি কিন্তু আপনার লিখার ফ্যান হয়ে গিয়েছি]
এই ধরনের লেখা বেশি লিখবেন। যাতে পোলাপাইন বিয়ের পরের প্রেমে হাবুডুবু খায়। আল্লাহ আপনার লেখার হাতকে আরো শাণিত করে দিক। আমিন
শিখে নিতে ভুলবেননা- চাটগাঁইয়া ভাষা, শুঁটকি খাওয়া, আর মেজবানির গরুর গোশত রান্না।
দেবরের জন্য বউ দেখবে?..মিয়া সিরিয়াল ছোট্র করেন...না হলে ব্রেক মারমু!
মন্তব্য করতে লগইন করুন