হেফাজতে ইসলামের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
লিখেছেন লিখেছেন মুছলেহ উদ্দিন সাঈদী ২১ আগস্ট, ২০১৩, ০৮:১৮:৩৬ রাত
‘মামলা, হয়রানি, অপপ্রচার ও অপবাদ রটিয়ে আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না’
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী দেশে বর্তমান সঙ্ঘাতময় নাজুক পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, দেশে নাস্তিক-মুরতাদরা যেভাবে ইসলামের অস্তিত্ব বিপন্ন করার জন্য আস্ফালন শুরু করেছিল, মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা:-এর শানে অত্যন্ত বেয়াদবিপূর্ণ কটূক্তি করে যাচ্ছিল, তেমন পরিস্থিতিতে নবীর উত্তরসূরি হিসেবে ওলামায়ে কেরাম নীরব থাকলে আমাদের এ পবিত্র মাতৃভূমিকে আল্লাহর আজাব-গজব ও দুর্যোগ থেকে রার কোনো উপায় ছিল না। কারণ যে জনপদে আল্লাহর রাসূলের কুৎসা রটনা এবং তার শানে বেয়াদবি করা হয় সেই জনপদে আল্লাহর গজব নেমে আসে। যারা ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক-মুরতাদ ও খোদাদ্রোহীদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে তারা আল্লাহর পাকড়াও ও শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না। ইতিহাসে তার অসংখ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে।
আল্লামা আহমদ শফী বলেন, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন খালেছ ও শান্তিপূর্ণ ঈমানি আন্দোলন। ক্ষমতার কোনো মোহ আমাদের নেই। আমরা রাসূলের প্রেমিক, তাই রাসূলের ইজ্জতের ওপর আঘাত এলে ঘরে বসে থাকা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই শাহবাগী কিছু নাস্তিক যখন আল্লাহকে ফাঁসি দেয়া হবে, কুরআন বাজেয়াপ্ত করা হোক, রাসূল মহাউন্মাদ (নাউজুবিল্লাহ) ইত্যাদি চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ কথা ব্লগে লিখে প্রচার করার দুঃসাহস দেখায়, তখন সারা দেশের আলেম-ওলামা ও তৌহিদি জনতা তাদের শাস্তির দাবিতে গর্জে উঠেছে।
তিনি বলেন, শাপলা চত্বরে গণহত্যা চালিয়ে, মিথ্যা মামলা দিয়ে, হয়রানি করে, নানা রকম অপপ্রচার ও অপবাদ রটিয়ে এই আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না। শিগগিরই দেশের শীর্ষ ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন ডেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
দারুল উলুম হাটহাজারী মিলনায়তনে মঙ্গলবার বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হেফাজত নেতৃবৃন্দের এক সভায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সভাশেষে আল্লামা আহমদ শফী দেশের শান্তি-স্থিতিশীলতা রক্ষা, যাবতীয় অন্যায়-অনাচার ও পাপাচার থেকে মুক্তি, ৫ মের শহীদদের মর্যাদা বুলন্দি এবং আহতদের আশু সুস্থতা কামনায় আগামী ৩০ আগস্ট জুমায় সারা দেশে দোয়া দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সভায় আগামী ৩০ আগস্টের আগে প্রত্যেক এলাকায় খতমে কুরআন, খতমে জালালি, খতমে বুখারি ও দোয়ায়ে ইউনুসের খতম সম্পন্ন করে জুমার দিন সারা বাংলাদেশে প্রত্যেক মাদরাসা ও মসজিদে বাদ আসর একযোগে দোয়া পরিচালনা করার জন্য সর্বস্তরের আলিম-ওলামা, ইমাম-খতিব ও নবীপ্রেমিক তৌহিদি জনতার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
পাশাপাশি প্রত্যেক গ্রামে-ওয়ার্ডে ইসলামের মৌলিক আকিদা-বিশ্বাস, নাস্তিক-মুরতাদদের তৎপরতা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা, ইসলামে নারী-পুরুষের শালিন ও পরিশুদ্ধ জীবনযাপন, ক্রমবর্ধমান সামাজিক অবয় রোধে নৈতিকতাচর্চা এবং হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য আলোচনা সভা, ওয়াজ মাহফিল ও তৃণমূলপর্যায়ে হেফাজতের কমিটি গঠনের জন্য সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়।
বিষয়: বিবিধ
১০৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন