“রেখেছ বেধে মোরে কোন সুতোই তুমি......।”
লিখেছেন লিখেছেন বিশ্বাসী হৃদয় ১৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৭:৪০:৪৭ সন্ধ্যা
আজ চারিদিকে আল্লাহর রাসুলের শানে নাত শুনতে পাচ্ছি।বছরের অন্যান্য দিনে অবশ্য রাসুল প্রেমের বহিঃপ্রকাশ করার প্রয়োজন কেউ বোধ করেন না।
যাই হোক যা বলতে চাচ্ছিলাম,
আল্লাহ প্রত্যেক যুগেই নবী রাসুল পাঠিয়েছেন একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে।
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, “আমি অবশ্যই প্রত্যেকটি জাতির কাছে রাসুল পাঠিয়েছি,যাতে করে তোমরা এক আল্লাহ তায়ালার ইবাদাত করো এবং তাগুতকে বর্জন করো”।(সুরা নাহল-৩৬)
আর রাসুল প্রেরনের আরেক কারন মহান আল্লাহ বলেছেন সুরা আন নিসায়।
এখানে আল্লাহ বলেন, “রাসুলগন সুসংবাদবাহী ও ভয় প্রদর্শনকারী, যাতে করে রাসুলদের আগমনের পর আল্লাহ তায়ালার উপর মানব জাতির কোন অজুহাত খাড়া করার সুযোগ না থাকে,আল্লাহ তায়ালা মহা পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়”।(নিসা-১৬৫)
অন্যত্র আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা বলেন,
"আল্লাহ অবশ্যই তাঁর ঈমানদার বান্দাদের উপর এই অনুগ্রহ করেছেন যে,তিনি তাদেরই একজনকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন,যে তাদের কাছে আল্লাহর কিতাবের আয়াতসমুহ পড়ে শোনায় এবং তাদের জীবনকে পরিশুদ্ধ করে। তাদের আল্লাহর কিতাব ও জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা দেয়,অথচ এরা সবাই ইতিপূর্বে স্পষ্ট গোমরাহীতে নিমজ্জিত ছিলো”।(সূরা আলে ইমরান-১৬৪)
রাসুলে করীম (সাঃ) সম্পর্কে আল্লাহর সুস্পষ্ট ঘোষনা, “তোমাদের জন্য অবশ্যই আল্লাহর রাসুলের মাঝে অনুকরনযোগ্য সর্বোত্তম আদর্শ রয়েছে,এমন প্রতিটি ব্যক্তির জন্যে যে আল্লাহ তায়ালার সাক্ষাত পেতে আগ্রহী এবং যে পরকালের আশা করে,যে বেশি পরিমানে আল্লাহকে স্মরন করে”।(সূরা আহযাব-২১)
সুতরাং আল্লাহর রাসুল প্রেরিত হয়েছেন এক আদর্শকে বাস্তবায়ন করার জন্য,শুধুমাত্র বিশেষ কিছু দিনে মানুষের মনে স্মরনে থাকার জন্য নয়।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তিনিই হচ্ছেন সেই মহান সত্বা ,যিনি তাঁর রাসুলকে পথ- নির্দেশ ও সঠিক জীবন বিধান সহকারে পাঠিয়েছেন,যাতে করে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) অন্য সব বিধানের উপর একে বিজয়ী করে দিতে পারে”।(সূরা ফাতাহ-২৮)
রাসুলের অবর্তমানে এই দায়িত্ব তাঁর উম্মতের।জীবনের সকল পর্যায়ে আল্লাহর বিধান কায়েম করায় হচ্ছে রাসুল প্রেমের প্রমান হতে পারে।এ ছাড়া কেউ ঈমানদারর হতে পারবেনা।
কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “না,তোমার রবের শপথ করে বলছি,এরা কিছুতেই ঈমানদার হতে পারবেনা,যতোক্ষন না তারা তাদের যাবতীয় মতবিরোধের ফায়সালায় তোমাকে বিচারক মেনে নেবে,অতঃপর তুমি যা ফায়সালা দেবে সে ব্যাপারে তাদের মনে আর কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবেনা বরং তোমার সিদ্ধান্তকে তারা সর্বান্তকরনে মেনে নেবে”।(সূরা আন নিসা -৬৫)
মিশকাত শরীফের একটি হাদিসে উঠে এসেছে একই বানী। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্নিত,তিনি বলেনঃ রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “ততক্ষন পর্যন্ত তোমাদের কেই মুমিন হতে পারবেনা,যতক্ষণ তার ইচ্ছা ও প্রবৃত্তি বা খায়েশ আমি যে আদর্শ নিয়ে এসেছি তার পূর্ণ অনুসারী হয়ে না যায়”।
তাই যারা আল্লাহর রাসুলকে ভালোবাসেন, তাঁকে ভালোবেসে তাঁর ভালোবাসার প্রমাণ দিতে চাই তাদের উচিত শুধুমাত্র বিশেষ এক দিনে মিলাদ মাহফিল না করে,সে রাসুলের আদর্শকে জীবনের সকল পর্যায়ে বাস্তবায়নের সংগ্রামে নিয়োজিত হওয়া।
তবেই হবে আল্লাহর রাসুলের জীবনের পূর্ন অনুসরন আর আমরা পেয়ে যাব আমাদের কাংক্ষিত মানযিল.........।
বিষয়: বিবিধ
১২২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন