মা,আমার এক একটি পায়ের আঘাত কে গোলাপ ফুলের স্পর্শ ভেবে হাসি মুখে বরণ করে নিয়েছো,অবশেষে, দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবর্ণনীয় প্রসব যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে, তোমার সন্তানের বাস্তবিক রুপ দিয়েছো মা।
লিখেছেন লিখেছেন জিসান গাজি ১৯ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৭:৫৬:০৭ সন্ধ্যা
মা, মাগো!!ও মা আমার....
তোমার সর্ব ত্যাগের বিনিময়ে লালিত স্বপ্নের প্রতিটি পরতে পরতে বিরাজ করেছে আমার বা আমাদের মত প্রবাসী সন্তানদের প্রতিটি মুহুর্ত।মা,তোমরাই আদর্শ স্থাপন করেছো কতটা অপেক্ষার প্রহর গুণে ভালোবেসে কল্পনার বাস্তব রুপ দিতে হয়।
অসহ্য সব যন্ত্রণা গুলোকে জীবনের স্বাভাবিক নিয়ম মনে করে লুকিয়ে কেঁদে ভুলে গিয়েছো সব।
আমার এক একটি পায়ের আঘাত কে গোলাপ ফুলের স্পর্শ ভেবে হাসি মুখে বরণ করে নিয়েছো।
এমন করেই দীর্ঘ দশমাস দশদিন সীমাহীন সব যন্ত্রণা গুলোকে, স্বপ্ন সার্থকতার সংগ্রাম হিসেবে পরম মমতায় মেনে নিয়েছো।
অবশেষে, দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবর্ণনীয় প্রসব যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে, তোমার সন্তানের বাস্তবিক রুপ দিয়েছো।মৃতপ্রায় রক্তমাখা ক্লান্ত দেহে কর্ণকুহরে যখন আমার বা আমাদের প্রথম কান্নার শব্দ শুনতে পেয়েছো, ভুলে গিয়েছো সকল দুঃসহ স্মৃতি, আমাদের নিষ্পাপ মুখে দৃষ্টি রেখে হেসেছো স্বপ্ন আর সার্থকতার হাসি। মা ও আমার মা।
আমার জন্ম, বেড়ে উঠার পিছনে আমার সংগ্রামী আম্মাজানের কথা বলছি।
অসহ্য সব যন্ত্রণা গুলোকে বরণ করা এক জীবন্ত কিংবদন্তীর কথা বলছি।
জনমদুখিনী এক স্বপ্নদ্রষ্টার কথা বলছি। মা, তোমার ছোট্ট উদরে আমার
দীর্ঘ দশমাস দশদিন ঠাই হয়েছে, কনকনে শিতের রাতে ভেজা আঁচলে গা পেঁচিয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে বুকের মাঝে আমায় ঢেকে রেখেছিলে। একটুখানি চোখের অদেখায় পাগলের মত
ব্যাকুল হয়ে খুজে ফিরেছো আমাকে।
মা,ও আমার মা,প্রবাসের অনলে দহিত জীবনে থেকে কোন খেদ্মত ই করতে পারছিনা আম্মা।
আপন গুণে ভুলগুলো সব করে দাও ক্ষমা।
বিষয়: বিবিধ
১৬৩২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খুব ভাললাগল ধন্যবাদ ভাইয়া ।
যেহেতু আমার বাবা মা কেউ ই বেচে নাই ,
তাই কোন আর কারো কাছে মাফ ও চাইতে পারি না.।
মন্তব্য করতে লগইন করুন