‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের প্রতিবাদে খালেদা জিয়ার বাসভবন অভিমুখে মিছিল - আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে ইন্দো-পাক যুদ্ধ বলার পরেও ইন্ডিয়ান এম্ব্যাসি ঘেরাও করা হলো না কেনো?

লিখেছেন লিখেছেন জিসান গাজি ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০২:২০:৩০ দুপুর

এডিটোরিয়াল -‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের প্রতিবাদে খালেদা জিয়ার বাসভবন অভিমুখে মিছিল - আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে ইন্দো-পাক যুদ্ধ বলার পরেও ইন্ডিয়ান এম্ব্যাসি ঘেরাও করা হলো না কেনো? আজকের সমাজ ও রাষ্ট্রে অশুভ শক্তির যে উত্থান ও আক্রমণ, তাতে করে মানুষের জীবন সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত। অশুভ ও শুভ শক্তির দ্বন্দ্ব চিরন্তন। শুভকে পরাজিত করে অশুভ শক্তি প্রাধান্য বিস্তার করলে সমাজে দেখা দেয় অস্থিরতা, নৈরাজ্য- যা ডেকে আনে ধ্বংস। আর অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির জয় হলে প্রতিষ্ঠিত হয় মানবতা, বিকশিত হয় সুন্দর; ধ্বংসের বিপরীতে শুরু হয় সৃষ্টি। এরই ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক সমাজ ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা সম্ভব। বাংলাদেশেও আমরা অশুভ শক্তির পরাজয় কামনা করি। আমরা চাই সব কিছুতে ‘শুভ’র বিজয় অর্জিত হোক। তা হলেই কেবল আমরা মুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছতে পারব। তাই ফজলুল হকের কথার প্রতিধ্বনি করে বলতে চাই- সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

শুভবুদ্ধির উদয়ের জন্য সমাজে এক বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারেন লেখক, কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ অন্যান্য পেশাজীবী। এক কথায়, যাদেরকে বলা হয় বুদ্ধিজীবী। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, বুদ্ধিজীবীদের একটি বড় অংশ অশুভ শক্তির পক্ষে কাজ করছে। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলই এদের প্রধান লক্ষ্য। হীন স্বার্থ চরিতার্থের জন্য এরা অশুভ শক্তির পদলেহনে মত্ত। শাসকের মনোরঞ্জন ও স্তুতিতে এরা দক্ষ ও পটু। পদ-পদবির লোভে তারা নানাভাবে ক্ষমতাবান ও শক্তিধরকে তুষ্ট রাখতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। দালালি ও পদলেহনের প্রতিযোগিতায় যারা অগ্রগামী থাকেন তারা অশুভ শক্তিধরের নৈকট্য লাভ করেন এবং বড় বড় পদবি ও পুরষ্কার লাভ করেন। এ প্রতিযোগিতায় যারা পেছনে থাকেন তারাও ছিটেফোঁটা হালুয়া-রুটি ও ছোটখাটো আনুকূল্য থেকে বঞ্চিত হন না। এরূপ পরিস্থিতিতেও ন্যায় ও সত্যের পূজারি স্বল্পসংখ্যক বুদ্ধিজীবীকে শুভশক্তির পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা যায়। শত নিপীড়ন ও নির্যাতনকে উপেক্ষা করে তারা তাদের বিশ্বাসে অবিচল থাকেন। সর্বকালে, সর্বসমাজে এই উদাহরণের প্রমাণ মেলে। মানবেতিহাসে চাটুকার ও দালাল বুদ্ধিজীবীদের অনৈতিক কার্যকলাপের যেমন প্রমাণ পাওয়া যায়- তেমনি নির্লোভ ও ত্যাগী বুদ্ধিজীবীদের ন্যায় ও শুভশক্তির পক্ষে অবস্থানের কাহিনীও লিপিবদ্ধ আছে। আমাদের অবস্থান শুভশক্তির পক্ষে হোক। কামনা করি, সংশ্লিষ্ট সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক। তা হলে হয়তো ছেলেহারা মা বাবা, স্বামী হারা স্ত্রী, ভাই হারা বোন , বাবা হারা সন্তানেরা সান্ত্বনা খুঁজে পাবেন এবং নিহতদের আত্মাও শান্তি লাভ করবে।

বিষয়: বিবিধ

১১৪৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

355724
৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:০৭
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন :


এর জন্য প্রতিবাদ করার হিম্মত কি ভারতের দালালদের কাছে আছে???
355729
৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৪
জিসান গাজি লিখেছেন : never and forever !! name of fales muktijoddha...

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File