একটি জিজ্ঞাসা এবং উত্তর চাই। ৩০ লাখ শহীদ এবং ৩ লাখ নারীর সম্ব্রম, এইভাবে না বলে আমরা কি অসংখ্য শহীদ আর অসংখ্য নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে আমদের এই স্বাধীনতা বলতে পারিনা??
লিখেছেন লিখেছেন জিসান গাজি ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০২:৪১:০২ দুপুর
একটি জিজ্ঞাসা এবং উত্তর চাই। ৩০ লাখ শহীদ এবং ৩ লাখ নারীর সম্ব্রম, এইভাবে না বলে আমরা কি অসংখ্য শহীদ আর অসংখ্য নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে আমদের এই স্বাধীনতা বলতে পারিনা?? ৩০ লাখের উপরেওত হতে পারে আবার ৩ লাখের উপরেওত হতে পারে।উপরে হলে তখন কি তাদের তাদের আত্মত্যাগ কে অপমান করা হবেনা??। যেহেতু শহীদ বা নির্যাতিত নারীর সঠিক তথ্য আজো আমাদের জানা নেই।তাহলে কেন একটি মিথ্যা জাতির উপুর চাপিয়ে দেয়া হবে, এই মিথার ভার সবাইকে কেন নিতে হবে?? এই মিথ্যার শাস্তি আমি,আমরা,আপনারা নিবো কেন?? আমার পরিবারের সবাই মুক্তিযুদ্ধের লোক, তারাও আমাকে সঠিক তথ্য দিতে পারেনি, আমার প্রশ্ন - ৩০০০০০০ লক্ষ ভাগ ৬৮০০০ গ্রাম- প্রতি গ্রামে শহীদের সংখ্যা হবে ৪৪ জন, আমার থানায়- ৫৬৪ টি গ্রামে শহীদ সংখ্যা পেলাম ২১১ জন।যা হবার কথা ছিলো ২৪,৮১৬ জন। আবার ৩০০০০০ লক্ষ ভাগ ৬৮০০০ গ্রামে ধর্ষিতা বা নিযাতিতা সংখ্যা হবে ৪.৫ জন করে,কিন্তু আমি আমার থানায় পেলাম ১৪ জনকে যা হবার কথা ছিল ২৫৩৮।এই ভাবে খোজ নিলেই আসল তথ্য বের হবে।আমরা আজো এটি কেন করিনি?? কার জন্ন্য করিনি?? আবুল মুহিত দুইদিন আগে বললেন তিনি আমেরিকা থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।তাহলে এই ভাবেই কি ভুয়া মুক্তিযুদ্ধাদের ধাপটে আমরা আসল মুক্তিযোদ্ধাদের আড়াল করছি কি??প্লিজ আমাকে প্রকৃত সংখ্যা দিন।তথ্য ভিত্তিক।অন্যথায় এই ধরনের মিথ্যার শাস্তি কিন্তু ভয়াবহ।এর শাস্তি আমি,আপ্নি,আপনার পরিবার,দেশ ও জাতীকে পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত পেটে হবে।
নিম্নের এতগুলি বই পড়েও আমি কোন ৩০০০০০০ লক্ষ / ৩০০০০০ লক্ষের কোন পরিসংখ্যান পাইনি।আপনি আপনারা পাইলে আমাকে এই সত্য প্রচার এবং এই নিয়ে বিভ্রান্ত দূর করতে সহযোগীতা করবেন।
আমার পড়া বই সমুহ-
মা।
১৯৭১।
ফিরে দেখা ১৯৭১।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
মূলধারা ৭১।
জোসনা ও জোছনার গল্প।
একাত্তরের দিন গুলি।
একাত্তরের চিঠি।
অনিল বাগিচার একদিন।
শ্যামল ছায়া।
দুই মুক্তিযোদ্ধা।
the vanquished generals and the liberation war of bangladesh।
বিদেশী সংবাদ পত্র ১৯৭১।
সেই পাকিস্থানী যুদ্ধ অপরাধী।
জিনোসাইড ইন বাংলাদেশ, ১৯৭১।
স্পিচ অব তাজউদ্দিন।
মুক্তিযুদ্ধে সিলেটের ভুমিকা।
ভেতরে বাহিরে।
বংগবন্ধু।
মুক্তি যুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার তালিকা ( চাদপুর মহকুমা- লাকসাম,রামগঞ্জ,রায়পুর,লক্ষীপুর ও ফেনী কে নিয়ে গঠিত হয়েছিল)
সর্বশেষ মুক্তিযুদ্ধারা আমাদের অহংকার,আমাদের আত্মা,আমাদের আদর্শ।মুক্তিযোদ্ধারা কারো ব্যাক্তিগত বা দলের সম্পদ নয়,এরা জাতীয় সম্পদ।এদের তুরুপের তাস হিসেবে যারা ব্যাবহার করছে তারাই রাজাকার। তারাই ভুয়া, তারাই আমেরিকা,ইউকে আর ভারতে বসে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে তাদের ধিক্কার এবং এদের মুলতপাটনে এখনই আমাদের রুখে দাড়াতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন