চরমনাই পীরের আসল চেহারা (দলীল প্রমান সহ) সকল প্রসংশা একমাত্র মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার জন্য, দুরুদ ও সালাম নাযিল হোক প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর।

লিখেছেন লিখেছেন জিসান গাজি ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০১:২৩:২৫ দুপুর



চরমনাই পীরের আসল চেহারা (দলীল প্রমান সহ)

সকল প্রসংশা একমাত্র মহান আল্লাহ

সুবহানাহু ওয়া তা’আলার জন্য, দুরুদ ও

সালাম নাযিল হোক প্রিয়

নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর।

আজ

এখানে আলোচনা করবো বাংলাদেশ

এর একজন পীর সম্পর্কে, তিনি হলেন

চরমনাই পীর সাহেব, তার অনেক ভক্ত

ও অনুসারী রয়েছে, তাই তার আসল

চেহারাটা মুসলিমদের

সামনে স্পষ্ট করে তুলে ধরছি,

চরমনাই পীর কী মুসলিম?

চরমনাই পীরের কথা তার নিজের

জবানেই শুনুন, তিনি নিজেই

বলছেনঃ

‘’আমিতো এখন আমাকেই চিনি না,

আমি যে কে তাহাই

আমি জানি না,

আমি কি জাতি, মুসলমান, না ইহুদী,

না অগ্নিপুজক তাহাও

বলিতে পারি না‘’

সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর

রচনাবলী; আল-এছহাক

পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার

প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক

মা’শুক বা এস্কে এলাহী;

পৃষ্ঠা নঃ ৯১

যে ব্যক্তি বলে যে আমি মুসলিম

নাকি ইয়াহুদি নাকি অগ্নিপুজক

তা আমি জানি না সে কখনই মুসলিম

হতে পারে না, কেননা মুসলিম সেই

ব্যক্তি যে ঈমান আনে আল্লাহর

প্রতি, তার ফেরেশ্তাগনের প্রতি,

কিতাবসমুহের প্রতি, পরকালের

প্রতি, রাসুলগনের

প্রতি এবং তাকদীরের ভাল মন্দের

প্রতি। আমরা সবাই জানি যে,

ইয়াহুদিরা আল্লাহর কিতাব

কোরআন এবং আল্লাহর রাসুল

মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর

প্রতি ইমান

আনে না এবং অগ্নিপুজকরা না ঈমান

আনে আল্লাহর প্রতি,

না ফেরেশতাদের প্রতি,

না কিতাব সমুহের

প্রতি না রাসুলগনের প্রতি,

যে ব্যক্তি নিশ্চিত নয়

যে সে কি মুসলিম,

নাকি ইয়াহুদি নাকি অগ্নিপুজারক

সে কাফির,

কেননা ইয়াহুদিরা এবং অগ্নিপুজারকরা কাফির

এবং মুশরিক, আর পীর সাহেব

নিজেই জানেন না তিনি মুসলিম

না অগ্নিপুজক অর্থাৎ কাফির।

চরমনাই পীরের আল্লাহ্ তায়ালার

সাথে চরম বেয়াদবী ও অশালীন

উপমাঃ -১

”ওগো আমার মাশুক মাওলা!

আপনি আপনার কুদরতি নজরে আমার

দিকে চাহিয়া দেখুন,

আমি এখন

আমি নাই,আমি আপনি হইয়াছি,

আর আপনি আমি হইয়াছেন;

আমি হইয়াছি তন, আপনি হয়াছেন

জান” (নাউজুবিল্লাহ)

সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর

রচনাবলী; আল-এছহাক

পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার

প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক

মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৪১

======================

পীর সাহেবের এই আকীদার নাম

হলোঃ “হালুল” বিভ্রান্ত সূফীদের

একটি জঘন্য শিরকি আকীদাহ এটি,

‘হালুল’ বলতে তারা(বিভ্রান্ত

সুফিরা) বুঝায় যে, আল্লাহ তার

প্রিয় বান্দার মধ্যে প্রবেশ করেন

(নাউযুবিল্লাহ), এই ‘হালুল’ এর

আকীদার প্রবরতক হলোঃ “হোসাইন

বিন মানসুর আল-হাল্লাজ” নামক এক

জালিম, এই জামিল নিজেকে হক্ক

বা আল্লাহ বলে দাবী করেছিল,

এবং সে বলতো যে তার বাহ্যিক রুপ

তার অন্তরের রুপকে সিজদাহ

করে কেননা তার বিশ্বাস ছিল যে,

সে বাহির থেকে মানুষ কিন্তু

ভিতর থেকে আল্লাহ।

(নাউযুবিল্লাহ) তার এই

শিরকি আকীদার জন্য

তাকে কেটে ঝুলিয়ে রাখা হয়

অতঃপর

তাকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

ঠিক একই আকীদা পীর সাহেব

থেকেও পাওয়া যাচ্ছে, তাই পীর

সাহেবকেও মানসুর হাল্লাজের মত

শাস্তি দেওয়া উচিত, যাই হোক

পীর সাহেবতো এটাও জানেন

না যে, তিনি মুসলিম

না অগ্নিপুজক!!!

মুসলিমরা জানেন যে, আল্লাহর

সবচেয়ে প্রিয় বান্দা হলেন রাসুল

মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লাম,

যদি আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের

মধ্যে প্রবেশ করতেন

তাহলে তিনি রাসুল মুহাম্মাদ

সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মধ্যেই

প্রবেশ করতেন, মুসলিমরা জানেন

যে কোন সৃষ্টির মধ্যে আল্লাহর

প্রবেশ করা আল্লাহর শানের

বা সম্মানের বাহিরে।

পীর সাহেবের সম্পর্কে কোরআনের

দুটি আয়াত উল্লেখ করলামঃ

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

”তারা আল্লাহ্র যথাযোগ্য

মর্যাদা দেয় না। কিয়ামতের দ্বীন

সমগ্র পৃথিবী তাঁর হাতের

মুষ্টিতে থাকবে, আর

আকাশমণ্ডলী থাকবে ভাজ

করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে।

মাহাত্ম তাঁরই,

তারা যাদেরকে তাঁর শরীক করে,

তিনি তাদের থেকে বহু উরধে”

সুরা আয-যুমার আয়াত নঃ ৬৭

”আর তিনি মুনাফিক পুরুষ ও

মুনাফিকা নারী, মুশরিক পুরুষ ও

মুশরিকা নারীকে শাস্তি দিবেন

যারা আল্লাহ্ সম্পর্কে খারাপ

ধারনা পোষণ করে। তাদের জন্য

আছে অশুভ চক্র। আল্লাহ্ তাদের উপর

রাগান্বিত হয়েছেন আর

তাদেরকে লা’নাত করেছেন।

তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন

জাহান্নাম। তা কতই না নিকৃষ্ট

আবাসস্থল” সুরা আল-ফাতহ আয়াত

নঃ ৬

চলবে

আপনাদের মতামত দিবেন

চরমনাই পীরের আসল চেহারা (দলীল প্রমান সহ)

সকল প্রসংশা একমাত্র মহান আল্লাহ

সুবহানাহু ওয়া তা’আলার জন্য, দুরুদ ও

সালাম নাযিল হোক প্রিয়

নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর।

আজ

এখানে আলোচনা করবো বাংলাদেশ

এর একজন পীর সম্পর্কে, তিনি হলেন

চরমনাই পীর সাহেব, তার অনেক ভক্ত

ও অনুসারী রয়েছে, তাই তার আসল

চেহারাটা মুসলিমদের

সামনে স্পষ্ট করে তুলে ধরছি,

চরমনাই পীর কী মুসলিম?

চরমনাই পীরের কথা তার নিজের

জবানেই শুনুন, তিনি নিজেই

বলছেনঃ

‘’আমিতো এখন আমাকেই চিনি না,

আমি যে কে তাহাই

আমি জানি না,

আমি কি জাতি, মুসলমান, না ইহুদী,

না অগ্নিপুজক তাহাও

বলিতে পারি না‘’

সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর

রচনাবলী; আল-এছহাক

পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার

প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক

মা’শুক বা এস্কে এলাহী;

পৃষ্ঠা নঃ ৯১

যে ব্যক্তি বলে যে আমি মুসলিম

নাকি ইয়াহুদি নাকি অগ্নিপুজক

তা আমি জানি না সে কখনই মুসলিম

হতে পারে না, কেননা মুসলিম সেই

ব্যক্তি যে ঈমান আনে আল্লাহর

প্রতি, তার ফেরেশ্তাগনের প্রতি,

কিতাবসমুহের প্রতি, পরকালের

প্রতি, রাসুলগনের

প্রতি এবং তাকদীরের ভাল মন্দের

প্রতি। আমরা সবাই জানি যে,

ইয়াহুদিরা আল্লাহর কিতাব

কোরআন এবং আল্লাহর রাসুল

মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর

প্রতি ইমান

আনে না এবং অগ্নিপুজকরা না ঈমান

আনে আল্লাহর প্রতি,

না ফেরেশতাদের প্রতি,

না কিতাব সমুহের

প্রতি না রাসুলগনের প্রতি,

যে ব্যক্তি নিশ্চিত নয়

যে সে কি মুসলিম,

নাকি ইয়াহুদি নাকি অগ্নিপুজারক

সে কাফির,

কেননা ইয়াহুদিরা এবং অগ্নিপুজারকরা কাফির

এবং মুশরিক, আর পীর সাহেব

নিজেই জানেন না তিনি মুসলিম

না অগ্নিপুজক অর্থাৎ কাফির।

চরমনাই পীরের আল্লাহ্ তায়ালার

সাথে চরম বেয়াদবী ও অশালীন

উপমাঃ -১

”ওগো আমার মাশুক মাওলা!

আপনি আপনার কুদরতি নজরে আমার

দিকে চাহিয়া দেখুন,

আমি এখন

আমি নাই,আমি আপনি হইয়াছি,

আর আপনি আমি হইয়াছেন;

আমি হইয়াছি তন, আপনি হয়াছেন

জান” (নাউজুবিল্লাহ)

সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর

রচনাবলী; আল-এছহাক

পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার

প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক

মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৪১

======================

পীর সাহেবের এই আকীদার নাম

হলোঃ “হালুল” বিভ্রান্ত সূফীদের

একটি জঘন্য শিরকি আকীদাহ এটি,

‘হালুল’ বলতে তারা(বিভ্রান্ত

সুফিরা) বুঝায় যে, আল্লাহ তার

প্রিয় বান্দার মধ্যে প্রবেশ করেন

(নাউযুবিল্লাহ), এই ‘হালুল’ এর

আকীদার প্রবরতক হলোঃ “হোসাইন

বিন মানসুর আল-হাল্লাজ” নামক এক

জালিম, এই জামিল নিজেকে হক্ক

বা আল্লাহ বলে দাবী করেছিল,

এবং সে বলতো যে তার বাহ্যিক রুপ

তার অন্তরের রুপকে সিজদাহ

করে কেননা তার বিশ্বাস ছিল যে,

সে বাহির থেকে মানুষ কিন্তু

ভিতর থেকে আল্লাহ।

(নাউযুবিল্লাহ) তার এই

শিরকি আকীদার জন্য

তাকে কেটে ঝুলিয়ে রাখা হয়

অতঃপর

তাকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

ঠিক একই আকীদা পীর সাহেব

থেকেও পাওয়া যাচ্ছে, তাই পীর

সাহেবকেও মানসুর হাল্লাজের মত

শাস্তি দেওয়া উচিত, যাই হোক

পীর সাহেবতো এটাও জানেন

না যে, তিনি মুসলিম

না অগ্নিপুজক!!!

মুসলিমরা জানেন যে, আল্লাহর

সবচেয়ে প্রিয় বান্দা হলেন রাসুল

মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লাম,

যদি আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের

মধ্যে প্রবেশ করতেন

তাহলে তিনি রাসুল মুহাম্মাদ

সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মধ্যেই

প্রবেশ করতেন, মুসলিমরা জানেন

যে কোন সৃষ্টির মধ্যে আল্লাহর

প্রবেশ করা আল্লাহর শানের

বা সম্মানের বাহিরে।

পীর সাহেবের সম্পর্কে কোরআনের

দুটি আয়াত উল্লেখ করলামঃ

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

”তারা আল্লাহ্র যথাযোগ্য

মর্যাদা দেয় না। কিয়ামতের দ্বীন

সমগ্র পৃথিবী তাঁর হাতের

মুষ্টিতে থাকবে, আর

আকাশমণ্ডলী থাকবে ভাজ

করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে।

মাহাত্ম তাঁরই,

তারা যাদেরকে তাঁর শরীক করে,

তিনি তাদের থেকে বহু উরধে”

সুরা আয-যুমার আয়াত নঃ ৬৭

”আর তিনি মুনাফিক পুরুষ ও

মুনাফিকা নারী, মুশরিক পুরুষ ও

মুশরিকা নারীকে শাস্তি দিবেন

যারা আল্লাহ্ সম্পর্কে খারাপ

ধারনা পোষণ করে। তাদের জন্য

আছে অশুভ চক্র। আল্লাহ্ তাদের উপর

রাগান্বিত হয়েছেন আর

তাদেরকে লা’নাত করেছেন।

তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন

জাহান্নাম। তা কতই না নিকৃষ্ট

আবাসস্থল” সুরা আল-ফাতহ আয়াত

নঃ ৬

চলবে

আপনাদের মতামত দিবেন

বিষয়: বিবিধ

১৪৯০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

354618
১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৫২
354621
১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৫১
জিসান গাজি লিখেছেন : ধন্যবাদ
354622
১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৫৫
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ওসব দান্দাবাজী ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে অবাক লাগে অনেক নামধারী আলেম ও মুফতি তাদের মুরিদ রয়েছে। যারা শিরিক বেদয়াতের মধ্যেই রয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ
354653
১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৩০
এনাম বিন আব্দুল হাই লিখেছেন : মাইনাস
354660
১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৩৯
জিসান গাজি লিখেছেন : চরমোনাই আর শিয়াদের থেকে দুরে থাকুন, ভন্ড পীর দেখলেই গনধোলাই দিবেন।​​

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File