দ্যা এডিটোরিয়ালঃ “প্রবাসের কান্না-পর্ব-৪” আমরা প্রবাসীদের ও ইচ্ছে হয় দেশের মাটিতে খেয়ে না খেয়ে পড়ে থাকি, মা মাটির বিরহে আমাদেরও বুক ফাটে হু হু করে হাহাকার যন্ত্রনা সারাদিন অগ্নিগিরির মত জ্বলতে থাকে।আসলে আমাদের জীবন আমাদের জন্য নয়, দেশের মানুষের জন্য।
লিখেছেন লিখেছেন জিসান গাজি ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০২:৫০:৪৭ দুপুর
দ্যা এডিটোরিয়ালঃ “প্রবাসের কান্না-পর্ব-৪”
আমরা প্রবাসীদের ও ইচ্ছে হয় দেশের মাটিতে খেয়ে না খেয়ে পড়ে থাকি, মা মাটির বিরহে আমাদেরও বুক ফাটে হু হু করে হাহাকার যন্ত্রনা সারাদিন অগ্নিগিরির মত জ্বলতে থাকে।আসলে আমাদের জীবন আমাদের জন্য নয়, দেশের মানুষের জন্য।
কি দুর্ভাগ্য আমাদের! প্রবাস জীবনের অভিশপ্ত দহনে দহিত আমাদের জীবন, তাই পরিবারের অনেক আনন্দ বেদনার মুহূর্ত গুলি কে কখনই উপভোগ করা হয়না, কি বীভৎস আত্মার করুণ আকুতি! কেউ কখনই বুঝার চেষ্টা ও করেনা !
আমাদের সম্পর্কে যা বলা হয় বাস্তবের সাথে মিল রেখে বলা হয় না তাই কষ্ট হয়। আমাদের কষ্ট হয় কি না হয় তাতে কেরো কিছু যায় আসেনা। লক্ষ লক্ষ প্রবাসীদের প্রতি দেশের মানুষের ভূল ধারনাকে প্রমান করার জন্য লিখতে বসি নি। আমাদের বুকের যন্ত্রনার সাথে সবাইকে পরিচিত করে দেয়ার জন্য চেষ্টা করবো। আমরা তো আপনাদেরই একজন আমাদের বুকের যন্ত্রনা হাহাকার আপনাদেকে ছোঁয়ে যায় না? একবারও কি মনে হয় না এই মানুষ গুলো আপনাদের আপনজন?
আমাদের কি ইচ্ছা হয় না আপনাদের মতো দেশের মাটিতে বসবাস করি, সবার সাথে হাসি কাঁদি, মা মাটির আলো বাতাসে বেড়ে উঠি, মায়ের কোলে মাথা রেখে সস্থির নিঃশ্বাস নেই? আমাদেরও ইচ্ছে হয় দেশের মাটিতে খেয়ে না খেয়ে পড়ে থাকি, মা মাটির বিরহে আমাদেরও বুক ফাটে হু হু করে হাহাকার যন্ত্রনা সারাদিন অগ্নিগিরির মত জ্বলতে থাকে। প্রান চায় সব কিছু পিছনে ফেলে রেখে দেশের মাটিতে পড়ে থাকি যেখানে কেটেছে আমাদের শৈশব কৈশর, যে মাটিতে ঘুমিয়ে আছে আমাদের রক্ত বাঁধনের অপনজন কিন্তু পারি না।
আপনাদের মুখে হাসি ফোটাবার দায়িত্ব যে নিয়েছি তাই নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছা বলতে কিছুই অবশিষ্ট নেই।আমাদের চাওয়া পাওয়ার কোন মুল্য নেই। আমাদের জীবন আমাদের জন্য নয়, দেশের মানুষের জন্য।
স্বার্থপরের মত এই সুখ ভোগ করতে পারি নি বলেই আজ আমাদেরকে বলা হয় স্বার্থ্পর। আঁড়চোখে দেখা হয় আঘাত করা হয়, চপেটাঘাত করা হয় ভালোবাসার নিষ্পাপ চেহারায়।
কষ্ট প্রকাশ করা ও এক মহাকষ্ট, এই কথা গুলো লিখতে গিয়ে বুকের মাঝে চিন চিন করে একটা ব্যাথা অনুভব করছি। দুটি চোখ ঝাপসা হয় আসে। হউক যত যন্ত্রনা, অঝোর ধারায় ঝরে পড়ূক লবনাক্ত বিষের জল তবুও আমাকে লিখতে হবে, প্রবাসীর কান্না পৃথিবীর ঘুমন্ত মানুষকে জাগিয়ে তুলে শুনাতে হবে। ভূ্ল ধারনা ভাঙ্গাতে হবে নইলে বিবেকের কাছে আমি দায়বদ্ধ থেকে যাবো। প্রবাসীরা কষ্টের কথা সহজে প্রকাশ করে না।
আমি প্রবাসীর পক্ষ হয়ে লিখছি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোটি কোটি বাংলাভাষী প্রবাসীর হয়ে লিখছি।
যাদের যন্ত্রনা প্রকাশের ভাষা নেই আমি তাদের হয়ে লিখছি।
আমাদের প্রতিদিনের কষ্ট, প্রতি ক্ষন মূহুর্তে ঝরে পড়া আমাদের এক এক ফোটা নয়ন জলের হিসাব জানুক এই পৃথিবীর মানুষ, একটু সহানুভূতির স্ব্রে বলুক “হে প্রবাসী ভাই বোন তোমাদের কষ্ট আমাদের বুকে বাজে, তোমাদের ত্যাগ তোমাদের ঋন শোধ হবার নয়”
চলবে ........
https://www.facebook.com/zishan.saleem?fref=ufi
https://twitter.com/saleemgazi
https://www.youtube.com/user/saleemgazi
https://sa.linkedin.com/in/h-m-wali-ullah-gazi-saleem-6a409442
https://www.ummaland.com/SALEEM_ZISHAN/[i
http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/bloglist/7099/saleemgazi
http://www.somewhereinblog.net/blog/zishansaleem
দ্যা এডিটোরিয়ালঃ “প্রবাসের কান্না-পর্ব-৪”
আমরা প্রবাসীদের ও ইচ্ছে হয় দেশের মাটিতে খেয়ে না খেয়ে পড়ে থাকি, মা মাটির বিরহে আমাদেরও বুক ফাটে হু হু করে হাহাকার যন্ত্রনা সারাদিন অগ্নিগিরির মত জ্বলতে থাকে।আসলে আমাদের জীবন আমাদের জন্য নয়, দেশের মানুষের জন্য।
কি দুর্ভাগ্য আমাদের! প্রবাস জীবনের অভিশপ্ত দহনে দহিত আমাদের জীবন, তাই পরিবারের অনেক আনন্দ বেদনার মুহূর্ত গুলি কে কখনই উপভোগ করা হয়না, কি বীভৎস আত্মার করুণ আকুতি! কেউ কখনই বুঝার চেষ্টা ও করেনা !
আমাদের সম্পর্কে যা বলা হয় বাস্তবের সাথে মিল রেখে বলা হয় না তাই কষ্ট হয়। আমাদের কষ্ট হয় কি না হয় তাতে কেরো কিছু যায় আসেনা। লক্ষ লক্ষ প্রবাসীদের প্রতি দেশের মানুষের ভূল ধারনাকে প্রমান করার জন্য লিখতে বসি নি। আমাদের বুকের যন্ত্রনার সাথে সবাইকে পরিচিত করে দেয়ার জন্য চেষ্টা করবো। আমরা তো আপনাদেরই একজন আমাদের বুকের যন্ত্রনা হাহাকার আপনাদেকে ছোঁয়ে যায় না? একবারও কি মনে হয় না এই মানুষ গুলো আপনাদের আপনজন?
আমাদের কি ইচ্ছা হয় না আপনাদের মতো দেশের মাটিতে বসবাস করি, সবার সাথে হাসি কাঁদি, মা মাটির আলো বাতাসে বেড়ে উঠি, মায়ের কোলে মাথা রেখে সস্থির নিঃশ্বাস নেই? আমাদেরও ইচ্ছে হয় দেশের মাটিতে খেয়ে না খেয়ে পড়ে থাকি, মা মাটির বিরহে আমাদেরও বুক ফাটে হু হু করে হাহাকার যন্ত্রনা সারাদিন অগ্নিগিরির মত জ্বলতে থাকে। প্রান চায় সব কিছু পিছনে ফেলে রেখে দেশের মাটিতে পড়ে থাকি যেখানে কেটেছে আমাদের শৈশব কৈশর, যে মাটিতে ঘুমিয়ে আছে আমাদের রক্ত বাঁধনের অপনজন কিন্তু পারি না।
আপনাদের মুখে হাসি ফোটাবার দায়িত্ব যে নিয়েছি তাই নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছা বলতে কিছুই অবশিষ্ট নেই।আমাদের চাওয়া পাওয়ার কোন মুল্য নেই। আমাদের জীবন আমাদের জন্য নয়, দেশের মানুষের জন্য।
স্বার্থপরের মত এই সুখ ভোগ করতে পারি নি বলেই আজ আমাদেরকে বলা হয় স্বার্থ্পর। আঁড়চোখে দেখা হয় আঘাত করা হয়, চপেটাঘাত করা হয় ভালোবাসার নিষ্পাপ চেহারায়।
কষ্ট প্রকাশ করা ও এক মহাকষ্ট, এই কথা গুলো লিখতে গিয়ে বুকের মাঝে চিন চিন করে একটা ব্যাথা অনুভব করছি। দুটি চোখ ঝাপসা হয় আসে। হউক যত যন্ত্রনা, অঝোর ধারায় ঝরে পড়ূক লবনাক্ত বিষের জল তবুও আমাকে লিখতে হবে, প্রবাসীর কান্না পৃথিবীর ঘুমন্ত মানুষকে জাগিয়ে তুলে শুনাতে হবে। ভূ্ল ধারনা ভাঙ্গাতে হবে নইলে বিবেকের কাছে আমি দায়বদ্ধ থেকে যাবো। প্রবাসীরা কষ্টের কথা সহজে প্রকাশ করে না।
আমি প্রবাসীর পক্ষ হয়ে লিখছি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোটি কোটি বাংলাভাষী প্রবাসীর হয়ে লিখছি।
যাদের যন্ত্রনা প্রকাশের ভাষা নেই আমি তাদের হয়ে লিখছি।
আমাদের প্রতিদিনের কষ্ট, প্রতি ক্ষন মূহুর্তে ঝরে পড়া আমাদের এক এক ফোটা নয়ন জলের হিসাব জানুক এই পৃথিবীর মানুষ, একটু সহানুভূতির স্ব্রে বলুক “হে প্রবাসী ভাই বোন তোমাদের কষ্ট আমাদের বুকে বাজে, তোমাদের ত্যাগ তোমাদের ঋন শোধ হবার নয়”
চলবে ........
https://www.facebook.com/zishan.saleem?fref=ufi
https://twitter.com/saleemgazi
https://www.youtube.com/user/saleemgazi
https://sa.linkedin.com/in/h-m-wali-ullah-gazi-saleem-6a409442
https://www.ummaland.com/SALEEM_ZISHAN/[i
http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/bloglist/7099/saleemgazi
http://www.somewhereinblog.net/blog/zishansaleem
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নাকি বিদেশে চাকরির বেতন বেশী এবং দৈনন্দিন খরচাপাতি কম দেশের চেয়ে ?
মানুষ এক স্থান থেকে যখন অন্য স্থানে জীবিকা নির্বাহ + বসবাসের জন্য যায় তখন অনেক ক্যালকুলেশন করেই যায় ।
যে বাবা মা আপনাকে অনেক কষ্ট করে লালন পালন করেছে- বড় হয়ে , স্টাবলিশ হবার জন্য এখন আপনারা অন্যকে আপন করে নিয়েছেন । বাবা মায়ের জন্য যে কর্তব্য ও দায়িত্ব ছিল তা আরেকজনকে দিচ্ছেন ।
যে সময়ে বাবা মায়েরই প্রয়োজন আপনাকে সে সময়ে তাদের পাশে স্বশরীরে না থেকে বাইরে থেকে মায়া কান্না কাটি (!) করছেন । উনারা কি আপনাকে লালন পালন করেছেন নেপথ্যে থেকে অন্য কাউকে দিয়ে ?
বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে দুই ধরনের লোক যায় ।
এক ধরনের যায় যারা সেখানে টাকা কামাই করে এবং তার সিংহ ভাগই দেশে বাবা মা এবং পরিবারের জন্য পাঠায় । এদের বেশীর ভাগই মিডল-ইস্টে যায় ।
আর যারা ইউরোপ আমেরিকায় যায় তারা স্থাবর অস্থাবর সব সম্পত্তি বিক্রি করে একেবারে চিরতরে থাকার জন্য চলে যায় । বাবা মাকে একটা প্রাচীন বাসায় একাকী রেখে চলে যায় ।সন্তানের সুখের জন্য নিজেদের চাওয়া তারা পাথর চাপা দিয়ে রাখে ।
ইউরোপ আমেরিকার সিটিজেনশিপ থেকে তারা বাংলাদেশের লাগরিকত্বকে লাথি মেরে দূরে ঠেলে দেয় ।
এরাই যখন আবার বাবা মায়ের জন্য , দেশের জন্য আবেগ দেখাতে চায় তখন মনে হয় এর চেয়ে বিরক্ত হবার মত ব্যাপার ২য়টি নেই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন