ইউনিভার্সেল ট্রুথ-স্বরণ আছে কি?
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ০২ অক্টোবর, ২০১৪, ০৪:৫৭:১৯ বিকাল
ইউনিভার্সেল ট্রুথ নামে একটা বাক্য আছে আর সেই বাক্যটা জানেন না এমন কেউ কি আছেন? থাকলে হাত তুলুন।
যাক আশা করি কেউ নাই।
"প্রত্যোক প্রানিকেই মৃত্যু বরণ করতে হবে" এটাই সেই ইউনিভার্সেল ট্রুথ।
অন্য প্রাণি বাদ দিলাম শুধু মানুষ এর কথাই বলি, যদি মানুষ কখনই মৃত্যু বরণ না করতো তাহেল কি হতো?
কাজি জাহান আলী সাহেবের লেখা একটা বই পড়েছিলাম নাম "আল কোরআন দ্যা চ্যালেঞ্জ-মহাকাশ" সেখানে তিনি দেখিয়েছেন যে,
মানুষ জদি না মরতো তাহলে পৃথিবীতে এত মানুষের জায়গা থাকতো না। কেননা মানুষ না মরার মানে হচ্ছে তার সেল জীবিত থাকা, ফলে মানুষের আকৃতি বৃদ্ধিপেত ফলে বিরাট আকৃতি হতে হতে পৃথিবীর সমান হতো, ফলে পৃথিবীতে থাকা অসম্ভব হয়ে যেত।
(অশাকরি অনেকে বইটা পড়েছেন হয়তোবা)
আমাদের স্রষ্টা মহা বিজ্ঞানী আল্লহ সুবহানাহু তাআলা সেজন্যই কোরআনে বলেদিয়েছেন...
আল্লাহ্ তা'আলা বলেন
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ
কবে যে আপনি, আমি, উপরের ঐ ছবির পায়ের মতো নিথর হয়ে পড়ে থাকবো তা কি স্বরণ হয়!?!?!? আমি যখন ইন্তেকাল করব বেপার টা কেমন হবে ভাবতেই গাঁ শিউরে উঠে !!
যাক এটা একটা রিমাইন্ডার মাত্র। আসুন দেখি মানুষ মরলে কিভাবে কি করতে হবে.....
============
মৃত্যু অবধারিত সত্য। মৃত্যু থেকে পালাবার কোন পথ নেই। আল্লাহ্ তা’আলা এরশাদ করেন:
كُلُّ نَفْسٍ ذاَئِقَةُ الْمَوْتِ
“প্রত্যেক প্রাণকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে।” (আল ইমরান- ১৮৫)
তিনি আরো বলেন:
“মৃত্যু যন্ত্রনা সত্যসত্যই আগমণ করবে, যা থেকে তুমি অব্যাহতি চাচ্ছিলে।” (ক্বাফ- ১৯)
আল্লাহ তায়ালা আরও বলনে:
“কখনই নয়, যখন প্রাণ কন্ঠাগত হবে এবং বলা হবে কে তাকে (রক্ষা করার জন্য) ঝাড়-ফুঁক করবে। আর সে মনে করবে যে, বিদায়ের সময় এসে গেছে।” (ক্বিয়ামাহ্- ২৬-২৮)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
أكْثِرُواْ مِنْ ذِكْرِ هاَدِمِ اللَّذَّاتِ
“জীবনের স্বাদ বিনষ্টকারী (মৃত্যুর) কথা তোমরা বেশী বেশী স্মরণ কর।” (তিরমিযী, নাসাঈ, ইরউয়া- ৬৮২)
তাই প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য হল অধিকহারে সৎআমল করা এবং মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
মুসলিমকেউ মৃত্যু বরণ করলে কি করতে হবে?:
কোন মুসলিম মৃত্যু বরণ করলে উপস্থিত জীবিতদের উপর নিম্ন লিখিত কাজগুলো আবশ্যক হয়ে যায়:
১) মৃতের চোখ দুটি বন্ধ করে দিবে। যখন আবূ সালমা (রা: ) মৃত্যু বরণ করেন, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর চোখ দুটি বন্ধ করে দিয়ে বলেন:
إنَّ الرُّوحَ إذاَ قُبِضَ تَبِعَهُ الْبَصَرُ
“যখন জান কবজ করা হয়, তখন দৃষ্টি তার অনুসরণ করে।” (মুসলিম)
২) তার জোড় সমূহ নরম করে দিবে, যাতে করে তা শক্ত না হয়ে যায়। আর পেটের উপর ভারী কিছু রেখে দিবে যাতে করে তা ফুলে না যায়।
৩) বড় একটি কাপড় দিয়ে সমস্ত শরীর ঢেকে দিবে। আয়েশা (রা: ) বলেন: রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওফাতের পর তাঁকে নকশা খচিত একটি কাপড় দিয়ে ঢেঁকে দেয়া হয়। (বুখারী ও মুসলিম)
৪) ছহীহ্ হাদীছের নির্দেশ মোতাবেক মৃত ব্যক্তিকে গোসল, জানাযা ছালাত এবং দাফনের ক্ষেত্রে দ্রুততা অবলম্বন করবে। (বুখারী ও মুসলিম)
৫) যে এলাকায় তার মৃত্যু হবে সেখানেই তাকে দাফন করা। কেননা ওহুদ যুদ্ধের শহীদদেরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানেই দাফন করেছিলেন। (সুনান গ্রন্থ)
======
পরবর্তী পোস্টে আমরা সচিত্র মৃতকে গোসল দেবার পদ্ধতি সম্মন্ধ্যে জানবো ইনশাআল্লাহ। সাথেই থাকবেন।
বিষয়: বিবিধ
২৬১৫ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জানি যত ভয়ই পাই তবু আমাকে মৃত্যুর বরন করতেই হবে ।
জাজাকাল্লাহ খাইরান ।
আপজি, স্পেশাল অর্ডার দিয়ে আনলাম আপনার জন্য হারিকেনরেস্টুরেন্ট থেকে, কেমন হয়েছে বলবেন কিনতুউ
ওস্তাদ রাগ করলে কিন্তু তোমার বিয়া বন্ধ খেয়াল থাকে জেন
---------- ----------
এ এক বিয়্যার কথা বলে বলে কত্ত বার যে ফ্রী খেয়ে গেছো আমার রেস্টুরেন্ট থেকে, তার কোন হিসেব নেই আর পারছি না বিয়্যাও বাদ, তোমারে ফ্রী খাওয়াও বাদ আগের সব বিল দিয়ে দাও ২৪ ঘন্টার ভিতরে
প্রস্তুতি যেমনই হোক- পরীক্ষা দিতে ভালোবাসি আজীবন
তেমনি মরণকেও ভালোবাসি-
যদিও আল্লাহর রহমতের আশা ছাড়া অন্য কিছুর ভরসা করিনা!!
অগ্রীম শুভেচ্ছা- কুরবানী ও ঈদ মোবারক
ব্যক্তি ও সমাজ জীবন ত্যাগের আলোকে উদ্ভাসিত হোক
জাজাকাল্লাহু খায়রান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন