নাসিরুদ্দিন হোজ্জার গ ল প...... পর্ব-৩
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:২৩:৫৪ দুপুর
গল্পগুলো শুধু মাত্র একটু বিশুদ্ধ হাসির জন্য
হোজ্জার অঙ্ক কষা
পাড়ার এক ছেলে হোজ্জার কাছে অঙ্ক বুঝতে এসেছে। হোজ্জা আবার অঙ্কে একেবারে অজ্ঞ। তাই বলে ছেলেটির কাছে ছোটও হওয়া যায় না। তিনি বিজ্ঞের মতো বললেন, 'বল, কোন অঙ্কটা বুঝতে পারছিস না?'
ছেলেটা বলল, 'একটা ঝুড়িতে ৫০টা কমলালেবু ছিল। ১৫ জন ছাত্রকে সমান ভাগ করে দিতে হবে। ঝুড়ি খুলে দেখা গেল তার মধ্যে ১০টা কমলালেবু পচে গেছে। তাহলে কয়টা কমলালেবু কম বা বেশি হবে?'
একটু মাথা চুলকে হোজ্জা বললেন, 'অঙ্কটা কে দিয়েছে রে?'
ছেলে জবাব দিল, 'স্কুলের মাস্টারমশাই।'
হোজ্জা রেগে বললেন, 'তোর কেমন স্কুল রে! এমন বাজে অঙ্ক দিয়েছে? আর তোর মাস্টারমশাইয়েরও জ্ঞানবুদ্ধি একেবারেই নেই। আমাদের ছেলেবেলায় এ রকম অঙ্ক কখনো দিত না। আমাদের অঙ্ক থাকত আপেল নিয়ে। কমলালেবু তো পচবেই। আপেল হলে পচত না, আর অঙ্কটাও তাহলে সোজা হয়ে যেত। যেমন তোর পচা মাস্টার তেমনি তোর পচা অঙ্ক। এখন কেটে পড় দেখি, পচা কমলালেবুর বিশ্রী গন্ধ বেরোচ্ছে!'
বিষয়: বিবিধ
২৪৭৯ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিগত দুই দশক ধরে ভারত থেকে হোজ্জার নামে কিছু হাসির বই বের হয়। সেগুলোর মাঝে বর্তমানের কাহিনী যোগ করেও হোজ্জা বা গোপাল ভাড়ের নামে চালিয়ে দেওয়া হয়। প্রকাশনীর দরকার বই বিক্রি। কথাটা হোজ্জায় বলল না গোপালে তাদের কিছু আসে যায় না। তবে.........
এই ক্ষেত্রে সুন্দর ঘটনাগুলো গোপাল ভাড়ের নামে চালিয়ে দেওয়া হয়। আর......।
বেকুবী, ঠগবাজি, প্রতারনার ঘটনা গুলো হোজ্জার নামে চালিয়ে দেওয়া হয়।
লক্ষ্য দুটো শিশু বাচ্চাদের ধারনা দেওয়া হিন্দু মানে ভদ্র ও বুদ্ধিমান এবং মুসলমান মাত্রই শঠ, ঠগ, প্রতারক ও বেকুব। এই ঘটনাটিও নিশ্চয়ই আপনি ভারতীয় কোন প্রকাশনীর বই থেকে সংগ্রহ করেছনে? অনেক ধন্যবাদ
মোল্লা নাসিরুদ্দীন ও হোজ্জা নাসিরুদ্দীন একই ব্যক্তি বলে অনেকে বলে থাকেন তবে দ্বিমতও প্রচুর। তবে দুই জনের কাহিনী, ধরন ও চরিত্র একই বলে, তাদের কে একই ব্যক্তি বলে মনে করেন।
দুই নামের ব্যক্তি যুগলের আরেকটি সাদৃশ্য হল, দু জনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের প্রথমে সাহচর্য পেয়েছেন পরে তাদের ভয়ে দেশান্তরি হয়েছেন। তুর্কি হোজ্জাই হল ইতিহাসের আসল ও মূল হোজ্জা। তিনি তুর্কি থেকেই মধ্য এশিয়া ও সমরখন্দ পালিয়ে বেড়ান। পরে কোন এক সময় দিল্লীতে গিয়ে থাকবেন। কেননা এই কাহিনী গুলো সে সময় লিখিত হয়েছে, যখন সম্রাট আকবর বেচে ছিলেন।
যাক, আমার কাছে কোন তথ্য প্রমাণ নাই, তবে অনেকের ধারনা তাই ছিল, সে হিসেবে আমি উল্লেখ করেছি। তাছাড়া আমার মন্তব্যের বিষয় দুই জন এক হওয়া নয়, ভারতীয়দের মনোবৃত্তি নিয়ে বলা।
শুভেচ্ছা রইলো।
ভালো লাগলো ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন