যুলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের আমল এবং কুরবানীর মাসায়েল

লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৪:২০:২৮ বিকাল





লেখাটি একটু দীর্ঘ, কিন্তু মুসলিম হিসেবে একটু সময় দিন। আল্লাহ আপনাকে এর মাধ্যমে বারাকাহ দান করবেন ইনশাআল্লাহ।


ভূমিকা:

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের জন্য ইসলাম ধর্মকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। দরূদ ও শান্তির অবিরাম ধারা বর্ষিত হোক নবীকুল শিরোমণি মুহাম্মদ (সা) এবং তাঁর পবিত্র বংশধর ও সম্মানিত সাথীদের উপর।

রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “আমার উম্মতের বয়স ষাট থেকে সত্তর বছরের মাঝখানে”। (তিরমিজী) অন্যান্য নবীর উম্মতদের তুলনায় উম্মতে মুহাম্মাদীর বয়স যদিও কম কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদেরকে এমন কিছু মূল্যবান সময় দান করেছেন যাতে অল্প সময়ে অল্প আমল করেও আল্লাহর কাছে অতীতের উম্মতগুলির চেয়ে অধিক প্রিয় বলে গণ্য হতে পারবে। আল্লাহ তায়ালা উম্মতে মুহাম্মদ মুহাম্মাদীকে যেসমস্ত ফজীলতপূর্ণ সময় দান করেছেন, তার মধ্যে জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন অন্যতম।

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন, “জিল হজ্জ মাসের প্রথম দশকের চাইতে উত্তম এমন কোন দিন নেই, যে দিনগুলোর সৎ আমল আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দনীয়”। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর পথে জিহাদও নয়? রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদও নয়। অবশ্য সেই মুজাহিদ ব্যক্তির কথা ভিন্ন, যে স্বীয় জান-মাল নিয়ে জিহাদে বেড়িয়ে পড়ে। অতঃপর উহার কিছুই নিয়ে প্রত্যাবর্তন করেনা। (বুখারী)

তাই প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তির উচিৎ এই দশটি দিনের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার সৎ আমল বেশী করে সম্পাদন করার মাধ্যমে এই মহান ফজীলত অর্জন করে আল্লাহর নৈকট্য লাভে সচেষ্ট হওয়া।

আমরা এই প্রবন্ধে জিল হজ্জ মাসের প্রথম দশকের কতিপয় ফজীলতপূর্ণ আমলের বর্ণনা করব ইনশাআল্লাহ।

১) হজ্জ ও উমরা পালন করা: الحج والعمرة

হজ্জ ইসলামের পঞ্চম রোকন। সামর্থবান ব্যক্তির উপর ইহা জীবনে একবার আদায় করা ফরজ। হজ্জের ফজিলতে অনেক সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি হজ্জ করল, এবং হজ্জ করা অবস্থায় কোন পাপের কাজে লিপ্ত হয়নি, সে এমন নিষ্পাপ অবস্থায় প্রত্যাবর্তন করল, যেমন নিষ্পাপ অবস্থায় মায়ের পেট থেকে জন্ম গ্রহণ করেছিল”। (বুখারী) আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “এক উমরা থেকে অপর উমরা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কৃত অপরাধ সমূহ উমরার মাধ্যমে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর মকবুল হজ্জের পুরস্কার আল্লাহর কাছে জান্নাত ছাড়া অন্য কিছু নয়। (বুখারী)

২) রোযা পালন করা: الصيام

ইমাম নববী বলেন, “এই দিন গুলোতে রোযা পালন করা মুস্তাহাব। বিশেষ করে যে ব্যক্তি হজ্জে যায়নি, তার জন্য আরাফার দিন অর্থাৎ জিল হজ্জ মাসের ৯ তারিখে রোযা রাখা মুস্তাহাব”। আবু কাতাদাহ (রা) হতে বর্ণিত রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আরাফার দিবসের রোযা বিগত এবং আগত এক বছরের গুনাহ মোচন করে দেয়। (সহীহ মুসলিম) তবে যিনি হজ্জের করতে গিয়ে আরাফার মাঠে অবস্থান করছেন, তার জন্য রোজা রাখা বৈধ নয়।

৩) বেশী বেশী তাকবীর বলাঃ الإكثار من التكبير

জিল হজ্জ মাসের চাঁদ উঠার পর থেকেই উঁচু আওয়াজে বেশী বেশী তাকবীর পাঠ করা সুন্নত। ফরজ নামাযের পর, মসজিদে, বাজারে এবং রাস্তায় চলার সময় এ তাকবীর বেশী করে পাঠ করা। মহিলাগণ নিচু আওয়াজে তাকবীর পাঠ করবে। তবে দলবদ্ধভাবে সমস্বরে তাকবীর পাঠ করা সুন্নতের পরিপন্থী। কারণ সাহবাদের থেকে দলবদ্ধভাবে তাকবীর পাঠ করার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়না। অথচ তারা ছিলেন সৎকাজে আমাদের চেয়ে অনেক অগ্রগামী। এই তাকবীর দু‘ ধরণের।

(ক) অনির্দিষ্ট তাকবীর: التكبير المطلق

সময় ও স্থান নির্ধারণ না করে বাড়ী, মসজিদ, রাস্তা ও বাজারে উঁচু আওয়াজে তাকবীর পাঠ করা। জিল হজ্জের প্রথম দিন থেকে ঈদের দিন পর্যন্ত এ তাকবীর চলতে থাকবে। ইমাম বুখারী (রহ) বলেন, ইবনে উমর ও আবু হুরায়রা (রা) এই দিন গুলোতে তাকবীর বলতে বলতে বাজারে যেতেন। তাদেরকে তাকবীর বলতে শুনে লোকেরাও তাকবীর পাঠ করত।

(খ) নির্দিষ্ট তাকবীর: অর্থাৎ নির্দিষ্টভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর তাকবীর পাঠ করা। এই তাকবীর জিল হজ্জ মাসের ৯ তারিখ ফজরের নামাযের পর থেকে শুরু করে আইয়ামে তাশরীক তথা জিল হজ্জ মাসের ১৩তারিখ সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত চলতে থাকবে।

তাকবীরের শব্দ:

[b] ألله أكبر , ألله أكبر, لاإله إلا الله, والله أكبر , الله أكب وللهالحمد


বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লাইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।

৪) ঈদুল আযহার বিধান সমূহ: أحكام عيد الأضحى

ক) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করা: التتطهر

ঈদের দিন সকাল বেলা গোসল করা, সাধ্যানুযায়ী নতুন কাপড় পরিধান করা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত। তবে মহিলাগণ সুগন্ধি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবে।

খ) ঈদের নামায আদায় করা: صلاة العيد

মুসলমানদের সাথে ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামায আদায় করা এবং ঈদের মাঠে ইমাম সাহেবের খুৎবা শ্রবণ করা। ইবনে উমর (রা) হতে বর্ণিত, “নবী (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুই ঈদের দিন তাকবীর পাঠ করতে করতে ঈদের মাঠের দিকে বের হতেন।” বৃষ্টি বা অন্য কোন কারণে মাঠে যেতে অসম্ভব হলে মসজিদেও ঈদের নামায আদায় করা যায়। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমীয়া সহ কতিপয় আলেমের মতে ঈদের নামায আদায় করা ওয়াজিব। কেননা আল্লাহ তা‘য়ালা বলেন:

فصل لربك وانحر

“তুমি তোমার প্রভুর জন্য নামায আদায় কর এবং কুরবানী কর”।
(আল কাউছারঃ২) তবে অধিকাংশ আলেমের মতে তা

সুন্নাতে মুআক্কাদাহ; ওয়াজিব নয়। মহিলাদের জন্যও ঈদগাহে যাওয়া এবং ঈদের নামায আদায় করা বৈধ। তবে বেপর্দা হয়ে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করে নয়। এমন কি ঋতুবতী মহিলাগণও ঈদের মাঠে গমন করবে। তারা নামায আদায় করবেনা। বরং মুসলমানদের সাথে দু‘আয় শরীক হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে আমাদের দেশের কিছু আলেম মহিলাদের ঈদের নামাযে আসাকে হারাম ফতোয়া দিয়ে থাকেন।

গ) পায়ে হেঁটে ঈদের নামাযে গমন করা: إلى الصلاة مشيا الذهاب

সম্ভব হলে পায়ে হেটে ঈদগাহে যাওয়া। ঈদের মাঠে যাওয়ার সময় এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া এবং আসার সময় অন্য রাস্তা ফেরত আসা সুন্নত। (বুখারী)

ঘ) ঈদের নামায আদায়ের পদ্ধতি: كيفية أداء صلاة العيد

বিনা আযানে ও বিনা ইকামতে তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত বার তাকবীরে দুই রাকাত নামায আদায় করা। প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরীমার পর কিরাত পাঠের পূর্বে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাকাতে কিরাতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর পাঠ করা। সহীহ হাদীসে এভাবেই তাকবীরের সংখ্যা উল্লেখিত হয়েছে।

ঙ) ঈদের শুভেচ্ছা প্রদান করা: تبادل تهاني العيد

ঈদের আনন্দ বিনিময় করা এবং একে অপরকে শুভেচ্ছা প্রদান করা জায়েজ আছে। শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় একথা বলা যায়, (تقبل الله منا ومنكم) অর্থাৎ আল্লাহ তা‘য়ালা আমাদের ও আপনাদের সৎ আমলগুলো কবুল করুন।

চ) ঈদের দিন পানা-হার করা: الأكل والشرب يوم عيد الأضحى

দুই ঈদের দিনে পানা-হারের ব্যাপারে রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নত হল ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাযের পূর্বে কিছু খেয়ে ঈদের নামাযে গমন করা। আর ঈদুল আজহার দিন না খেয়ে ঈদের মাঠে যাওয়া। বুরায়দা (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিতরের দিন না খেয়ে বের হতেন না। এবং ঈদুল আজহার দিন না খেয়ে বের হতেন এবং নামায থেকে এসে কুরবানী করে কুরবানীর গোশত থেকে খেতেন। (আহমদ) অনেকে এটাকে রোযা বলে থাকেন। রোযা বলা ঠিক নয়। কারণ দুই ঈদের দিন রোযা রাখা হারাম।

ছ) কুরবানী করা: ذبح الأضحية

সামর্থবান ব্যক্তির উপর কুরবানী করা সুন্নাতে মুআক্কাদা। কুরবানী দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এমন ব্যক্তির জন্য কুরবানী না দেওয়া মাকরূহ। অনেক আলেম আল্লাহর বাণী: (فصل لربك وانحر) “আপনার প্রতিপালকের জন্য নামায আদায় করুন এবং কুরবানী করুন।” এই আয়াতকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করে কুরবানী দেওয়াকে ওয়াজিব বলেছেন। ইবনে উমর (রা) বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনাতে দশ বছর অবস্থান করেছেন। তিনি প্রতি বছরই কুরবানী করেছেন। (তিরমিজী-আহমদ) কুরবানী নিজ হাতে করা উত্তম। নিজে করতে না পারলে

অন্যকে দিয়ে করা যেতে পারে। কুরবানী জবাই করার সময় বিসমিল্লাহ আল্লাহ আকবার বলে জবাই করবে। জবাই করার সময় কুরবানী আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার দু‘আ করা মুস্তাহাব।

জ) কুরবানীর পশু নির্বাচন: اختيار المواشي للأضحية

উট, গরু, ছাগল, দুম্বা-ভেড়া ও মহিষ দিয়ে কুরবানী করা বৈধ। তবে কুরবানীর পশুর ক্ষেত্রে শর্ত হল তা সকল প্রকার দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত হতে হবে। ইমাম বুখারী ও মুসলিম আনাস

(রা) হতে বর্ণনা করেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিং বিশিষ্ট দু‘টি কাল মুখ ও কাল পা বিশিষ্ট ভেড়া দিয়ে কুরবানী করেছেন। (বুখারী) চার প্রকার পশু দিয়ে কুরবানী করা সিদ্ধ নয়। সুস্পষ্ট অন্ধ, সুস্পষ্ট রোগ বিশিষ্ট, সুস্পষ্ট খোঁড়া এবং একেবারে দুর্বল ও গোশত হীন যা জবেহ করার স্থান পর্যন্ত হেটে যেতে অক্ষম। (তিরমিজী)

একটি ছাগল বা দুম্বা এক পরিবারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট হবে। যদিও পরিবারের লোক সংখ্যা অনেক হয়ে থাকে। একটি উটে দশজন এবং একটি গরুতে সাত জন পর্যন্ত শরীক হয়ে কুরবানী করা বৈধ। এব্যাপারে সহীহ হাদীস রয়েছে। তবে ছাগল-খাসীতে শরীক হওয়া জায়েজ নাই। আমাদের দেশে কুরবানীর গরুর সাথে ভাগে আকিকা দেওয়ার নিয়ম প্রচলিত আছে। হাদীসে এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায়না। সুতরাং ইহা আল্লাহর রাস্তায় কুরবানী করার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নিয়ে খেলা-ধুলার শামিল।

ঝ) কুরবানীর পশুর বয়স: أعمار مواشي الأضحية

কুরবানীর পশুর জন্য শর্ত হল, তার বয়স পূর্ণ হতে হবে। ভেড়া-দুম্বার ক্ষেত্রে ছয় মাস পূর্ণ হতে হবে। (নাসাঈ) ছাগল-খাসীর বয়স এক বছরের কম হলে তার দ্বারা কুরবানী চলবে না। গরুর বয়স দুই বছর পূর্ণ হতে হবে। উটের বয়স পাঁচ বছর পূর্ণ হতে হবে। (মুসলিম)

ঞ) কুরবানী করার সময়: أوقات ذبح الأضحية

ঈদের নামাযের পর থেকেই কুরবানী করার সময় শুরু হয়। ঈদের নামাযের পূর্বে জবাই করলে তা কুরবানী হিসাবে গ্রহণযোগ্য হবেনা। কেহ যদি নামাযের আগেই জবাই করে ফেলে, তবে তাকে নামাযের পর তদস্থলে আর একটি পশু জবাই করতে হবে। কুরবানী করার শেষ সময় হল জিল হজ্জ মাসের ১৩তারিখ সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। অর্থাৎ ঈদের দিন এবং ঈদের পর তিন দিন। পরের তিন দিনকে হাদীসের পরিভাষায় আইয়ামে তাশরীক বলা হয়। তাশরীক অর্থ সূর্যের আলোতে শুকানো। সাহাবিগণ এই দিনগুলিতে কুরবানীর গোশত কেটে টুকরো টুকরো করে রৌদ্রে শুকাতেন বলে এই দিনগুলোকে আইয়ামে তাশরীক বলা হয়।

ট) কুরবানীর গোশত খাওয়া:

কুরবানীর গোশত থেকে অল্প হলেও খাওয়া সুন্নত। রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম)মদীনাতে অভাবী লোক থাকার কারণে কুরবানীর গোশত তিন দিনের বেশী রাখতে নিষেধ করেছিলেন।পরবর্তীতে যখন মুসলমানদের অবস্থার পরিবর্তন হল, তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর গোশতযতদিন ইচ্ছা রেখে দেওয়ার অনুমতি প্রদান করেছেন।

ঠ) কুরবানী দাতা যা থেকে বিরত থাকবে: الأشياء التي يبتعد عنها المضحي

যে ব্যক্তি কুরবানী দিতে উচ্ছা করবে, তার জন্য জিল হজ্জ মাসের চাঁদ উঠার পর থেকে কুরবানীর করার পূর্ব পর্যন্ত মাথার চুলহাত বা পায়ের নক কাটা সম্পূর্ণ নিষেধ। উম্মে সালামা (রা) হতে বর্ণিত রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেছেন, যখন তোমরা জিল হজ্জ মাসের চাঁদ দেখবে এবং তোমাদের কেহ কুরবানী করার ইচ্ছাপোষণ করবে, সে যেন কুরবানীর পশু জবাই করার পূর্বে তার মাথার চুল বা হাত-পায়ের নখকাটা থেকে বিরত থাকে। (মুসলিম-আহমদ) এই বিধান শুধুমাত্র পরিবারের যে কুরবানী করবে, তার জন্য স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্য এ বিধানের অন্তর্ভুক্তনয়।

ড) কুরবানীর গোশত বণ্টন করা: توزيع لحوم الأضاحي

কুরবানী দাতার জন্য সুন্নত হল নিজে পরিবারসহ কুরবানীর গোশত খাবে, প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনকে উপহার দিবে এবং গরীব-মিসকিনকে ছদকা করবে। আল্লাহ তা‘য়ালা বলেন, “তোমরা উহার গোশতখাও এবং ফকীর ও অভাবগ্রস্তদেরকে খেতে দাও”। (সূরা হজ্জঃ২৮)

অনেক উলামায়ে দ্বীন কুরবানীর গোশত তিন ভাগে বণ্টন করে একভাগ নিজে খাওয়া, একভাগ ধনী আত্মীয়দেরকে হাদীয়া দেওয়া এবং আর একভাগ ফকীর-মিসকিনদেরকে দান করা পছন্দ করতেন। তবে এধরণের বণ্টন করা ওয়াজিব নয়।

ঢ) মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করা: الأضحية عن الميت

মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করা তিন ধরণের হতে পারে। যথা:

(১) নিজের কুরবানিতে পরিবারের মৃত ও জীবিত ব্যক্তিদেরকে নিয়তের মাধ্যমে শামিল করা। ইহা বৈধ। নবী (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এধরণের কুরবানী করার কথা প্রমাণিত আছে। এভাবে দেওয়া কুরবানীর গোশত পরিবারের সবাই খেতে পারবে।

(২) মৃত ব্যক্তি জীবিত থাকা অবস্থায় তাঁর পক্ষ থেকে কুরবানী করার ওসীয়ত করে থাকলে ওসীয়ত বাস্তবায়ন করার জন্য মৃত ব্যক্তির তরফ থেকে কুরবানী করা জায়েজ আছে।

(৩) মৃত ব্যক্তির জন্য আলাদাভাবে কুরবানী করা। এব্যাপারে বিদ্যানগণ মতবিরোধ করেছেন। কারণ এ ধরণের কুরবানী করার কথা হাদীসের মাধ্যমে সরাসরি প্রমাণিত নাই। আল্লামা ইবনু উসাইমীন ছদকা স্বরূপ মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করা বৈধ বলে মত প্রকাশ করেছেন। এভাবে কুরবানী করলে গোশত দরিদ্রদের মাঝে ছাদকাহ করে দিতে হবে। নিজে খাওয়া যাবে না।

আল্লাহর কাছে প্রার্থনা এই যে তিনি যেন আমাদের সমস্ত সৎ আমল কবুল করেন ।


লেখক: সম্মানিত শায়খ আবদুল্লাহ আল কাফী

উৎস: জাজাকাল্লাহু খায়রান

বিষয়: বিবিধ

৩০৭০ বার পঠিত, ৫৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

267561
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৬
আবু সাইফ লিখেছেন : Thumbs Up Rose

জাযাকাল্লাহ.. Praying Praying
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৬
211546
ইমরান ভাই লিখেছেন : ওয়া আনতুমফাজাজাকুমুল্লাহু খায়রান।
267575
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:১২
মামুন লিখেছেন : আমীন।
অনেক ধন্যবাদ লিখাটির জন্য। সময় নিয়েই পড়লাম। Thumbs Up
আল্লাহপাক আমাকে সহ যেন সকল মুসলমানকে এই দশ দিনের নেক আমল করার তৌফিক দান করেন-আমীন।
আর আপনাকে অনেক উত্তম বদলা প্রদান করেন। আপনার লিখাটি পড়েই তো এই নেক কাজ করার ইচ্ছেটা জেগেছে মনে। অন্তত রোজাটি তো রাখতে পারব।
ভালো থাকবেন, এরকম আরো লেখার ডালি সাজিয়ে আমাদেরকে উপহার দিবেন।
জাজাকাল্লাহু খাইর। Rose Rose Good Luck Good Luck
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৬
211545
ইমরান ভাই লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ! আমীন।
267617
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:০৭
বুড়া মিয়া লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ইমরান ভাইকে সময়োপযোগী বিষয়ের আলোচনা করায়
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৫
211544
ইমরান ভাই লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খায়রান।
267661
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:২০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
তবে একটি বিষয় একটু ডিটেইল জানা প্রয়োজন। সেটা হলো ৯ই জিলহজ্জ কি রোজা রাখা হারাম কিনা। নাকি ১০-১৩ ই জিলহজ্জ।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৫
211542
ইমরান ভাই লিখেছেন : আপনার প্রশ্নটি এখানে করুন ভাই রিদওয়ান
267745
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:১৪
আনিস১৩ লিখেছেন : Thank you brother. Very useful post.
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৫
211543
ইমরান ভাই লিখেছেন : ধন্যবাদ আনিস ভাই ।
267854
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:০৫
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ। Rose Rose Rose
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:১৩
211843
ইমরান ভাই লিখেছেন : ওয়া আনতুম ফাজাজাকুমুল্লাহু খায়রান।
267877
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:২৮
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : প্রিয় তালিকায় রেখে দিলাম। ধীরে ধীরে পড়ব। সময়োপযোগী পোস্টের জন্য আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন....আমীন।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০০
211939
ইমরান ভাই লিখেছেন : Surprised Surprised Crying Crying কুরবানী শেষ হলে পড়বেন Worried Worried Time Out Time Out Time Out Time Out
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩২
211971
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমি কি তাই বলেছি?Frustrated প্রতিদিন একটু একটু করে পড়বWorried
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১২:০১
212150
ইমরান ভাই লিখেছেন : বুঝতে মিসটক হয়েছে খাপু Crying Crying Crying Tongue
267894
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৪
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : জাঝাকাল্লাহু খাইর Good Luck
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০৬
211941
ইমরান ভাই লিখেছেন : ওয়া আনতুম ফাজাজাকুমুল্লাহু খায়রান। Love Struck
267927
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:০২
পবিত্র লিখেছেন :
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:১৪
211950
ইমরান ভাই লিখেছেন : ওয়া আনতুম ফাজাজাকুমুল্লাহু খায়রান। Love Struck পবিত্র একটা আতা ফল নেন আর একটা গাছেই থাকতে দেন Loser Big Grin

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৪
212023
পবিত্র লিখেছেন : আরেক্টা গাছে থাকতে দিবো কেন? phbbbbt
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
212056
ইমরান ভাই লিখেছেন : ঐটা হারিকেনের মুমাবাতির জন্য বরাদ্ধ রাক্সি.....Tongue Tongue
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:২৫
212442
পবিত্র লিখেছেন : মোমবাতিকে খুজতে থুজতে হারি ভাইয়াও হারিয়ে গেলো। Worried মোমবাতিকে নিয়ে আসলে তখন আরেক্টা দিয়েন ওদের দু'জনকে। Happy>- আমি কিন্তু দুটোই নিয়ে নিবো। আমার থেকে কাউকে ভাগ দিবো না। Frustrated Waiting
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:১২
212588
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : Crying Crying Crying পবিত্র আপুতো দুইটাই নিয়ে নিছে ইমরু Crying Crying মোমবাতির জন্য কিছুতো নেই Broken Heart Broken Heart
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২৪
212595
ইমরান ভাই লিখেছেন : হ্যারি এটা নাও পুরাই তোমার পবিত্রকে দিও না Big Grin

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:০৭
212621
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : ইহাও পবিত্র কে দিয়ে দাও, আমি খেতে পারবো নাহ্ Worried Worried Frustrated
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:১৪
212626
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : ইহাতো মেয়েরাই খায় Talk to the hand আমাকে অন্য কোন ফল দাও phbbbbt Don't Tell Anyone @ইরমু দাদা
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০১
212635
ইমরান ভাই লিখেছেন : স্টক সীমিত..... Big Grin
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:২২
212717
পবিত্র লিখেছেন : @ইমরান ভাইয়া, আমি খাইনা এমন টক তেতুল, ওগুলো হারি ভাইয়ার মোমবাতির জন্যই রেখে দেন। Talk to the hand
আর মন্তব্যে একটু দাড়ি, কমা অথবা ইমো দিয়েন। Don't Tell Anyone

@হারি ভাইয়া, মোমবাতিকে খুজতে খুজতে আপনিও কোথায় হারিয়ে গেলেন? এখন কি পেয়েছেন নাকি খালি হাতে ফিরে এসেছেন? :Thinking Waiting
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪১
212723
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : @পবিত্র, মোমবাতিও যদি তেতুল না খাওয়ার সম্প্রদায়ের একজন হলে কী করবেন? ততদিনে তেতুলগুলোও পঁচে যাবে, তাই সময় থাকতে আপনি খেয়ে নিন অল্প অল্প করে Tongue Tongue Talk to the hand Talk to the hand খেয়ে দাত ব্রাশ করিয়েন্না Crying Crying
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫১
212730
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : @পবিত্র, খালি হাতে ফিরছি মানে? Time Out Time Out Surprised Time Out Time Out মোমবাতি সবসময়ই আমার মনের গহীনে থাকে, দেখতে খালি হাত হলেও 'খালি মন' কখনও হয়না Love Struck Love Struck
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫৪
212733
পবিত্র লিখেছেন : @হারি ভাইয়া, জী নাহ্! আমি এগুলো খাই না। এগুলো আপনার জন্য ইমরান ভাইয়া নিয়ে এসেছেন, তো আপনিই খান! Talk to the hand
চিন্তা করছি ইমরান ভাইয়া এতো তেতুল নিয়ে ঘুরছেন কেনো? :Thinking
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:০১
212735
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : @পবিত্র, এত চিন্তা করতে হপে নাহ্ Talk to the hand ইমরানদাদা বউ এর অর্ডার পালন করছে শুধু Big Grin পথে আপনাকে দেখে, এক প্লেইট দিয়ে দিছে Don't Tell Anyone এই আরকী Tongue Tongue
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩২
212738
ইমরান ভাই লিখেছেন : Crying Crying Not Listening Not Listening Don't Tell Anyone Don't Tell Anyone Tongue Tongue
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩৫
212739
ইমরান ভাই লিখেছেন : Crying Crying Not Listening Not Listening Don't Tell Anyone Don't Tell Anyone Tongue Tongue
১০
267939
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩২
আফরা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খাইর ।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:২১
211954
ইমরান ভাই লিখেছেন : ওয়া আনতুম ফাজাজাকুমুল্লাহু খায়রান Love Struck আফরা, একটা জলপাই নাও, বাকি গুলো বাসায় নিয়ে যেও, খালামনি আচার বানালে আমাকে পাঠায় দিও Loser Big Grin

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪২
211962
আফরা লিখেছেন : ওরে বাবা ওগুলো দেখেই আমার কেমন যেন লাগছে । আমি টক এক্কেবারে খেতে পারি না ভাইয়া । বাসায় নিতে পারি আমার ভাবী অনেক পছন্দ করে । ধন্যবাদ ভাইয়া ।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪০
211982
ইমরান ভাই লিখেছেন : ঠিক আছে তাহলে একটা ভাবির জন্য নিয়ে যাও বাকিগুলো আচার বানায়ে ব্লগে সবাইকে বিলিয়ে দাও Big Grin Big Grin
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
212065
আফরা লিখেছেন : এই নিন ভাইয়া আপনার জলপাইয়ের আচার সবাই মিলে খান ।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৫২
212147
ইমরান ভাই লিখেছেন : আজকে নিয়ে আজকেই বানায়া ফেললা Surprised Surprised মশলা,চিনি,তেল কবে কিনলা Crying Crying এতো তেল দিছো Drooling Drooling দারুন টেস্টহবে মনে হচ্ছে Drooling Drooling দারাও টেস্ট করি Drooling Drooling
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৫৪
212148
আফরা লিখেছেন : আরে ভাইয়া এসব তো ঘরে থাকেই কিছু না কিছু ।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১২:০২
212151
ইমরান ভাই লিখেছেন : বুঝতে পারছি Smug Applause Applause দারুন হইছে আচার বানানো Happy Happy ১০০ তে ১০০, তুমি খাইছো Tongue
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:১৩
212589
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : টক খেতে পারি না তবুও আমারতো জ্বিবে জল এসেগেছে phbbbbt phbbbbt এখন কী করবো? Rolling Eyes Rolling Eyes
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২৪
212594
ইমরান ভাই লিখেছেন : হ্যারি এটা খাও Big Grin

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:০৬
212619
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আমি তেতুল একদম খেতে পারি না। জলপাইয়ের আচারটা দেখে একটু করে মুখে দিতে ইচ্ছে করতেছে, কিন্তু ভীষণ ভয় লাগে Surprised Worried কারন একপিচ আচার খেলে এক সপ্তাহ অন্য কিছু খেতে পারি না..... Broken Heart Crying
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
212632
ইমরান ভাই লিখেছেন : Big Grin Big Grin Big Grin এত ভয় হাহাহা...
১১
268008
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৪৬
সন্ধাতারা লিখেছেন : Wonderful writing with valuable discussion mashallah.
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০৮
211942
ইমরান ভাই লিখেছেন : ধন্যবাদ জানবেন সন্ধাতার আপা। জাজাকাল্লাহ।
১২
268869
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:১৪
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : খুব্বি ইমপর্টেন্ট নকলিং Thumbs Up খুবই সুন্দর - ভালো লাগলো অনেক Good Luck Good Luck যাজাকাল্লাহু খাইর Rose Good Luck Good Luck Rose
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২৫
212596
ইমরান ভাই লিখেছেন : ভালো জিনিস নকল করা খুবই স্বাস্থের জন্য উপকারী এই তেতুলের মতো Big Grin

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:০৮
212622
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : তেতুল কী স্বাস্থের জন্য উপকারী? Worried Surprised Frustrated
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
212630
ইমরান ভাই লিখেছেন : খেয়ে দেখো বুঝবা Big Grin Big Grin
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:২২
212719
পবিত্র লিখেছেন : মোমবাতিকে খুজতে খুজতে আপনিও কোথায় হারিয়ে গেলেন? এখন কি পেয়েছেন নাকি খালি হাতে ফিরে এসেছেন? :Thinking Waiting
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩৮
212722
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : @পবিত্র, আমি কখন বল্লাম মোমবাতিকে খুঁজতে গেছি আমি? Sad Broken Heart মোমবাতি মা/বাবার সাথেই আছে সেই শান্তনাতেই শান্তি আছি আমি Loser Waiting
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৩
212724
ইমরান ভাই লিখেছেন : পবিত্র,
মোমবাতি Love Struck তার বাবা-মার Broken Heart কাছে ফিডার খাচ্ছে Tongue Tongue
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫১
212729
পবিত্র লিখেছেন : @হারি ভাইয়া, আচ্ছা! তো সে শান্তিতেই কি বুড়ো হয়ে যাবেন? Tongue
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫৫
212734
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আরে Time Out Time Out বুড়ো হবো কেনু? নিয়ে আসবো তো মোমবাতিকে Loser ঘর কোনটাতে বড়ো হচ্ছে এখনও ঠিক ধরতে পারি নাই I Don't Want To See তাই ইকটু দেরি হচ্ছে Sad Broken Heart Sad

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File