মুক্তাদী সংক্রান্ত মাস্আলা-মাসাইল।
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ২১ আগস্ট, ২০১৪, ০৪:০২:১৮ বিকাল
১-মুক্তাদীগণ নামাযের উদ্দেশ্যে কখন কাতারবদ্ধ হবেন?
নামায শুরু হওয়ার সময় ইমাম যদি মসজিদের ভিতরে পূর্ব থেকে অবস্থান না করেন; বরং তাঁর বাসস্থান থেকে এসে ইমামতির স্থানে দাঁড়ায় তবে (নামাযের সময় হয়ে গেলে) মুক্তাদীগণ ইমামকে মসজিদে আসতে দেখলেই নামাযে দাঁড়াবেন এবং মুয়াযযিন ইকামত দিবেন, যদিও এখনও ইমাম তাঁর ইমামতির স্থানে না পৌঁছে থাকেন।
আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, ‘নামাযের জন্যে ইকামত দেয়া হত, আর লোকেরা কাতারে অবস্থান নিত, নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্থানে অবস্থান নেয়ার পূর্বে’। [মুসলিম, মাসাজিদ অধ্যায়, নং ১৩৬৮] অবশ্য ইমাম তাঁর স্থানে অবস্থান নেয়ার সময়ও মুয়াযযিন ইকামত দিতে পারে, তাতে নিষেধের কিছু নেই।
উল্লেখ থাকে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরয নামায সমূহের আগে ও পরের সুন্নতগুলি তাঁর গৃহেই আদায় করতেন। তাই তাঁর মসজিদে আসাটাই ফরয নামায শুরু করার সময় ও অনুমতি ধরে নেওয়া হত।
আর যদি ইমাম মসজিদেই থাকেন, তাহলে তিনি যখন মুয়াযযিনকে অনুমতি দিবেন বা নামায আরম্ভ করার নির্ধারিত সময় হবে, তখন বাকি মুসাল্লীরা কাতারবদ্ধ হবেন। কিন্তু ঠিক ইকামতের কোন্ শব্দের সময় উপস্থিত মুসাল্লীরা কাতারবদ্ধ হওয়ার জন্য দাঁড়াবেন, তা নিয়ে কিছু মতামত পাওয়া যায়। কেউ বলেনঃ ইকামত শেষ হওয়ার সময় মুসাল্লীরা দাঁড়াবেন। কেউ বলেনঃ মুয়াযযিন যখন ‘‘ক্বাদ ক্বামাতিস্ স্বালাহ” বলবেন, তখন দাঁড়াবেন। কেউ বলেনঃ আল্লাহু আকবার বলার সময় দাঁড়াবেন। আসলে এ বিষয়ে বিভিন্ন দলীলের দিকে লক্ষ্য করলে বুঝা যায় যে, মুসাল্লীগণ ইমামকে ইমামতির স্থানে আসতে দেখলে, বা তাঁর স্থানে অবস্থান নিলে, মুয়াযযিন ইকামত দেওয়া শুরু করবেন এবং মুক্তাদীরা তাদের সাধ্যমত কাতারবদ্ধ হতে শুরু করবে, একটু আগে বা পরে হলে সমস্যার কিছু নেই, তবে নেকীর কাজে দ্রুতগামী হওয়াই বেশী ভাল।
ইমাম মালেক (রহঃ) বলেনঃ ‘নামাযের ইকামতের সময় মুক্তাদীদের দাঁড়ানোর বিশেষ সময়সীমা সম্পর্কে আমি কিছু শুনিনি। তাই আমি লোকদের সাধ্যানুযায়ী এটা প্রজোয্য মনে করি; কারণ তাদের মধ্যে অনেকে ভারী শরীর-স্বাস্থ্যের লোক থাকেন আর অনেকে হাল্কা স্বাস্থ্যের’।[নায়লুল আউত্বার,৩/২৪৪]
২-ইমামের অনুসরণ করা মুক্তাদীদের অবশ্য কর্তব্য :
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
“إنما جُعل الإمامُ ليؤتَمَّ به، فإذا صلىّ قائما فصلوا قياما، فإذا ركعَ فاركعوا، و إذا رفع فارفعوا”
“ইমাম নির্ধারণ করা হয়, তার অনুসরণ করার জন্য, তাই যখন সে দাঁড়িয়ে নামায পড়বে, তখন তোমরাও দাঁড়িয়ে নামায পড়, যখন সে রুকূ করবে, তখন তোমরাও রুকূ করো আর যখন সে উঠবে, তখন তোমরাও উঠো” [বুখারী, আযান অধ্যায়, নং৬৮৯]
ইমামের অনুসরণের ক্ষেত্রে মুক্তাদীদের অবস্থা চার ভাগে বিভক্তঃ
১-মুত্বাবাআ’হ বা অনুসরণঃ নামাযের কাজ সমূহ ইমামের পরে পরে করা; ইমামের সাথে সাথে নয়। এটাই সুন্নাত এবং মুক্তাদীগণ এমন করতেই আদিষ্ট, যা উপরের হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
২-মুআফাকা’হ বা ইমামের সাথে সাথে করাঃ
ইমামের সাথে সাথে করা আবার দুই ভাগে বিভক্ত। যথা:
(১) নামাযের কর্ম বিষয়ক অংশগুলি তার সাথে সাথে সম্পাদন করা যেমন, ইমাম রুকূ করলে তার সাথে একই সময়ে রুকূ করা।
(২) নামাযের কাউল বা বচন বিষয়ক অংশগুলি তার সাথে সাথে করা যেমন, ইমাম আল্লাহু আকবার বললে তার সাথে সাথে বরাবর সময়ে আল্লাহু আকবার বলা।
বাচনিক বিষয়গুলিতে তাকবীরে তাহরীমা এবং সালাম ব্যতীত বাকি বিষয়গুলি ইমামের সাথে সাথে বা পরে করলে কোন সমস্যা নেই। উদাহরণ স্বরূপ, ইমামের রুকুতে ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আ’যীম’ বলার সময় মুক্তাদীর ইমামের আগে বা পরে কিংবা সাথে সাথে তা বললে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু তকবীরে তাহরীমা ইমামের আগে হলে কিংবা ইমামের ‘আল্লাহু আকবার’ বলা শেষ হওয়ার পূর্বেই মুক্তাদীর তা বলা হলে নামায শুদ্ধ হবে না।
এই ভাবে ইমামের সালামের সাথে সাথে সালাম ফিরালে উলামাগণ এমন করাকে মাকরূহ বলেছেন।
আর মুক্তাদীদের নামাযের কর্ম বিষয়ক অংশগুলিতে ইমামের সাথে সাথে করা মাকরূহ। উদাহরণ স্বরূপ ইমাম যখন আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যান, তখন ইমামের সাথে সাথে মুক্তাদীর একই সময়ে ঝুকে রুকুতে যাওয়া। এটা ঠিক নয়। কারণ হাদীসে ইমামের পরে তা করতে আদেশ করা হয়েছে; সাথে সাথে নয়।
৩-তাখাল্লুফ্ বা ইমামের পরে দেরীতে করাঃ
এটা দুই ভাগে বিভক্ত। যথা:
(১) দেরীতে করায় ওজর থাকা, যেমন কোন মুক্তাদী কিয়াম অবস্থায় আছে অন্য দিকে ইমাম রুকুতে গেছেন কিন্তু সে ইমামের তাকবীর শুনতে পাই নি, যখন শুনতে পাচ্ছে তখন ইমাম সামিয়াল্লাহুলিমান্ হামিদাহ বলছেন। এমতাবস্থায় সেই মুক্তাদী তাৎক্ষণাত রুকু করবে এবং ইমামের বাকি কাজে অনুসরণ করবে; কারণ এখানে তার ওজর রয়েছে।
(২) বিনা ওজরে দেরী করা, যেমন ইমাম রুকুতে গেছে আর মুক্তাদী দাঁড়িয়েই আছে। যখন ইমাম রুকু থেকে উঠছে, তখন সে রুকুতে যাচ্ছে। এই ভাবে অন্যান্য ক্ষেত্র। এমতাবস্থায় মুক্তাদী যদি নামাযের কোন রুকনকে জেনে-বুঝে ইমামের সেই রোকন শেষ হওয়ার পর করে, তাহলে তার নামায বাতিল হয়ে যাবে।
৪-মুসাবাক্বাহ বা ইমামের পূর্বে করাঃ
যেমন ইমামের পূর্বে রুকূ/সাজদা করা কিংবা ইমামের পূর্বে রুকূ/সাজদা থেকে উঠা। যদি কেউ জেনে-বুঝে স্বেচ্ছায় এমন করে তাহলে তার নামায বাতিল হয়ে যাবে। আর যদি অজ্ঞতা বশতঃ কিংবা ভুলে করে, তাহলে তার নামায শুদ্ধ।
এমন আচরণকারীর জন্য কঠোর শাস্তির উল্লেখ করে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “সে ব্যক্তি কি ভয় করে না যে তার ইমামের পূর্বে নিজের মাথা উত্তলন করে, আল্লাহ তায়ালা চাইলে তার মাথাকে গাধার মাথায় পরিবর্তন করে দিবেন কিংবা তার আকৃতিকে গাধার আকৃতির ন্যায় করে দিবেন”। [বুখারী, আযান অধ্যায়, নং ৬৯১, মুসলিম, স্বালাত অধ্যায়ঃ নং ৪২৭] এ বিষয়ে একটি ফেকহী মুলনীতিও রয়েছে, ‘ইবাদতে ইচ্ছাকৃত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করা, ইবাদতকে বাতিল করে দেয়’। [উপরোক্ত প্রকারগুলি বিস্তারিত দেখুন, আশ্ শারহুল মুমতী, ইবনু উসায়মীন, ৪/১৮০-১৯০]
৩- ইমামের পিছনে মুক্তাদীগণের সূরা ফাতিহা পাঠঃ
এটি একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যার সম্পর্কে আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল্ জামায়াতের উলামাগণ মতভেদ করেছেন। আমরা খুবই সংক্ষিপ্তাকারে এ স্থানে দলীল সহ তাঁদের মতামতের বর্ণনা দেয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
ইমামের পিছনে মুক্তাদী হয়ে নামায আদায়কারীকে সূরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে কি না? এ বিষয়ে প্রধান তিনটি মত বিদ্যমান। যথা:
১ম মতঃ
ইমামের পিছনে মুক্তাদী হয়ে নামায আদায়কারীকেও অবশ্যই সুরা ফাতেহা পাঠ করতে হবে। এই মতের প্রধান দলীলাদিঃ
ক-নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ [ لا صلاةَ لمن لم يقرأ بفاتحة الكتاب]
“তার নামায হয় না যে সূরা ফাতেহা পড়ে না”। [বুখারী, অধ্যায়, আযান, অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক নামাযে ইমাম ও মুক্তাদী সকলের প্রতি কিরাআত জরূরী, নং ৭৫৬]
প্রমাণিত হয় যে, সূরা ফাতেহা ব্যতীত কোন নামাযই হয় না, চাই তা ফরয হোক বা নফল বা একা একা পড়া হোক বা ইমামের পিছনে; কারণ এখানে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণী ব্যাপকার্থ বোধক।
খ-নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেনঃ
[ مَن صلّى صلاةً لم يقرأ فيها بأمّ القرآن فهي خِداجٌ ثلاثا غير تمام.]
“যে ব্যক্তি এমন কোন নামায পড়ল, যাতে সে সূরা ফাতিহা পড়লো না, তাহলে সেই নামায অসম্পূর্ণ অসম্পূর্ণ অসম্পূর্ণ -অপূর্ণাঙ্গ”। [মুসলিম, অধ্যায়ঃ নামায, অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক রাকাআতে সূরা ফাতিহা পড়া ওয়াজিব, নং৮৭৬]
প্রমাণিত হল যে, সূরা ফাতেহা ছাড়া কোন নামাযই পূর্ণাঙ্গ নয়, চাই সে নামায একা পড়া হোক বা ইমামের সাথে। উল্লেখ্য যে, অসম্পূর্ণ শব্দটি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাগীদের সাথে তিন বার বলেন।
গ-একদা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবাদের নিয়ে ফজরের নামায পড়ালেন। নামায শেষে তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ কে তার পিছনে কুরআন পড়ছে? কিংবা বললেনঃ তোমরা কি তোমাদের ইমামের পিছনে কিছু পড়ে থাক? তারা বললেনঃ হ্যাঁ, আল্লাহর রাসূল। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সূরা ফাতিহা ব্যতীত এমনটি করো না; কারণ যে সূরা ফাহিতা পাঠ করে না তার নামাজ হয় না”। [আবু দাঊদ, নং ৮২৩, তিরমিযী, নামায অধ্যায়ঃ অনুচ্ছেদঃ ইমামের পিছনে কিরআত, নং ৩১০/আহমদ/হাকেম, সূত্র হাসান, দেখুন তুহফাতুল আহওয়াযী,২/১৯৩-১৯৪]
প্রমাণিত হল যে, ইমামের পিছনে মুক্তাদীদের কেবল সূরা ফাতিহা পড়তে হবে; অন্য কিছু নয়।
২য় মতঃ
ইমামের পিছনে মুক্তাদীদের কখনও সূরা ফাতিহা বা অন্য কোন সূরা পড়তে হবে না বরং চুপ থেকে ইমামের কিরাআত শুনতে হবে। এই মতের দলীলাদিঃ
ক- আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ
( وَ إذا قُرِئَ القرآنُ فاسْتمِعوا له وَ أنصِتوا لعلكم تُرحمون) الأعراف/204
“যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ কর ও চুপ থাক।” [সূরা আরাফ/২০৪]
বুঝা গেল, কুরআন পড়া হলে চুপ থেকে ভালভাবে শুনতে হবে। তাই ইমাম যেহেতু নামাযে কুরআন পড়েন, সেহেতু মুক্তাদীদের চুপ থেকে শুনতে হবে। কোন সূরা পড়া যাবে না।
আপত্তিঃ (১) যদি এই আয়াতের মর্ম এই হয় যে, ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহাও পড়া যাবে না, তাহলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কেন বললেন যে, সূরা ফাতিহা ছাড়া কোন নামায হয় না বা তোমরা সূরা ফাতিহা ব্যতীত অন্য কিছু পড়বে না? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি তাহলে কুরআনের বিপরীত আদেশ দিলেন? (নাউযু বিল্লাহ।)
আপত্তি (২) যদি এই আয়াতকে ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা না পড়ার দলীল ধরেও নেওয়া হয়, তাহলে যুহর ও আসর নামাযে যখন ইমাম চুপি চুপি কিরআত করেন, তখন তো মুক্তাদীরা কুরআন পাঠ শোনে না, এমতাবস্থায় তারা কী করবে? তাই এই আয়াত উপরোক্ত মতের পূর্ণাঙ্গ দলীল হয় না।
খ-নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “যার ইমাম রয়েছে, তার ইমামের কিরাআত তার কিরাআত হিসাবে গণ্য হবে”। [ইবনু মাজাহ, অধ্যায়, ইকামাতুস স্বালাহ, নং৮৪০]
বুঝা গেল, মুক্তাদীকে কোন কিছু পাঠের প্রয়োজন নেই। কারণ ইমামের কিরাআত করাটা তারও কিরাআত ধরা হবে।
আপত্তিঃ (১) হাদীসটি অত্যন্ত দুর্বল-যয়ীফ। অবশ্য কেউ কেউ হাসান বলার চেষ্টা করেছেন। ইবনে হাজার (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি সকল হাদীস বিদ্বানদের নিকট যয়ীফ (দুর্বল) বলে পরিচিত। [ফাতহুল বারী,২/৩১৪, তালখীসুল হাবীর,১/৫৬৯] (২) এই রকম একটি দুর্বল হাদীসের মুকাবিলায় উপরোক্ত বুখারী, মুসলিম সহ অন্যান্য সুনান গ্রন্থের সহীহ হাদীসকে কিভাবে প্রত্যাখ্যান করা যায়?
৩য় মতঃ
জেহরী অর্থাৎ যে সব নামাযে ইমাম সরবে সূরা পাঠ করেন (যেমন ফজর, মাগরিব ও ইশা) এসব নামাযে পড়তে হবে না কিন্তু যে সব নামাযে সূরা নিরবে পাঠ করা হয় (যেমন, যুহর ও আসর) তাতে পাঠ করা আবশ্যিক। এই মতের দলীলঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “যখন তোমরা নামায আদায় করবে, তখন কাতার সোজা করে নিবে, তোমাদের মধ্যে কেউ ইমামতি করবে, যখন সে তকবীর দিবে তখন তোমরাও দিবে ….. আর যখন সে পাঠ করবে, তখন তোমরা চুপ থাকবে”। [মুসলিম, স্বালাত অধ্যায়, স্বালাতে তাশাহ্হূদের বর্ণনা, নং ৪০৪/ নাসাঈ নং৯১২]
আপত্তিঃ হাদীসটির সনদ সহীহ হলেও হাদীসের যেই অংশ থেকে এই মতের দলীল দেয়া হচ্ছে অর্থাৎ যখন সে পাঠ করবে, তখন তোমরা চুপ থাকবে সেই অংশটিকে উঁচু পর্যায়ের মুহাদ্দিসগণের অনেকেই গাইর মাহফূয (অসংরক্ষিত) বলেছেন। যেমন ইমাম বুখারী, ইয়াহইয়া বিন মাঈন, আবু দাঊদ, আবু হাতিম, হাকেম, দারা কুত্বনী, ইবনু খুযাইমাহ, হাফেয আবু আলী নীসাপূরী, বায়হাক্বী, ইমাম নবভী প্রমুখ। [দেখুন, তাহকীকুল কালাম, সাহেবে তুহফা, ২/৮৭] ইমাম নবভী বলেনঃ ‘এই বাক্যটির দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে হাদীসের পণ্ডিতদের একমত হওয়া মুসলিমের সিহ্হাতের উপর প্রধান্য পাবে। বিশেষ করে যখন তিনি তাঁর সহীহ মুসলিমে বর্ণনাটি মুসনাদাকারে বর্ণনা করেন নি’। [শারহু মুসলিম, নভবী, ৪/১২৮, রিয়াদে ছাপা]
উল্লেখ্য, হাদীস বিশারদদের নিকট গাইর মাহফূয বাক্য যয়ীফ হওয়ার কারণে অগ্রহণীয়। তাই এই অংশ দলীল যোগ্য নয়।
অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত মতঃ প্রথম মত। অর্থাৎ মুক্তাদীদেরকে ইমামের পিছনে অবশ্যই সূরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে। আর ফাতিহার পর ইমাম যা পাঠ করবেন তা শুনতে হবে। কারণঃ
১- প্রথম মতের দলীলগুলো বেশী স্পষ্ট ও বেশী শুদ্ধ। তাই দলীলের বিবেচনায় ১ম মত প্রাধান্যযোগ্য।
২-“যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ কর ও চুপ থাক।” [সূরা আরাফ/২০৪] এবং ‘যখন ইমাম পাঠ করবে তখন তোমরা চুপ থাক’ এদুটি সূরা ফাতিহা সহ বাকি কুরআনের ক্ষেত্রে আম বা ব্যাপক আদেশ যা, ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়ার দলীল দ্বারা নির্দিষ্ট বা খাস করা হবে। যেন উভয় মতের দলীলাদির প্রতি আমল করা সম্ভব হয়। অর্থাৎ কুরআন পড়াকালে চুপ থেকে শোনা সাধারণ সময়ের জন্য প্রযোজ্য হবে এমনকি নামাযের সময়ে সূরা ফাতিহার অতিরিক্ত কিরাআতের জন্য প্রযোজ্য হবে কিন্তু সূরা ফাতিহা পাঠকালে তা প্রযোজ্য হবে না বরং মুক্তাদীরাও তা পাঠ করবে।
৩-যে সব দলীলে ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা না পড়ার কথা এসেছে, সে সব দলীলের অর্থ হবে উচ্চ স্বরে পড়া নিষেধ। কারণ উচ্চ স্বরে পড়লে ইমামের কিরাআতে বিঘ্ন ঘটে কিন্তু নিরবে পড়লে তা হয় না। তাই যখন সাহাবী আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কে ইমামের পিছনে থাকলে কি করবো প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি বলেনঃ “মনে মনে পড়ে নিবে।” [মুসলিম, নামায অধ্যায়, অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক রাকাআতে কিরাআত জরূরী]
৪- ইমাম ও মুক্তাদী উভয়ের সশব্দে আমীন বলাঃ
জাহরী তথা সশব্দিক নামাযে ইমাম যখন আমীন বলবেন তার পর মুক্তাদীদেরকেও জোর শব্দে আমীন বলতে হবে। “নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যখন ইমাম আমীন বলবে তখন তোমরাও আমীন বলো; কেননা যার আমীন ফেরেশতাদের আমীনের সাথে খাপ খেয়ে যাবে, তার বিগত পাপ ক্ষমা করা হবে”। ইবনু শিহাব বলেনঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আ—মীন বলতেন। [আ টেনে বলতেন] [বুখারী ও মুসলিম, বুখারী, আযান অধ্যায়ঃ নং ৭৮০]
উপরের হাদীসে যেমন ইমাম ও মুক্তাদী উভয়ের আমীন বলা প্রমাণিত হয়, তেমন উভয়ের তা জোরে বলাও প্রমাণিত হয় কারণ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আদেশ যে, যখন ইমাম আমীন বলবে, তখন তোমরাও বলবে। অর্থাৎ যখন তোমরা ইমামের আমীন বলা শুনতে পাবে নচেৎ সির্রী বা নিরব নামাযে ইমাম কখন আমীন বলে তা শোনা অসম্ভব। আর ইমাম জোরে আমীন বললে মুক্তাদীকেও জোরে বলতে হবে। এমন নয় যে ইমাম জোরে বলবে আর মুক্তাদীরা নিরবে।
ওয়ায়েল বিন হুজ্ র হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “আমি নবীজীকে পড়তে শুনেছি, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পড়লেনঃ (গায়রিল মাগ্ যূবি আলাইহিম্ ওয়া লায্ যা-ল্লীন) এবং বললেনঃ আমীন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর শব্দকে টেনে পড়লেন”। [তিরমিযী, নামায অধ্যায়, অনুচ্ছেদ আমীন প্রসঙ্গ/আবু দাঊদ, আহমদ, বায়হাক্বী
৫- ইমামের ভুল হলে মুক্তাদীদের সংকেত দেওয়াঃ
ইমামের ভুল হওয়া মানবীয় স্বভাব। তাই তার ভুল হলে মুক্তাদীগণ তার ভুলের সংকেত দিবে। যেন সে তার ভুল বুঝতে পারে ও তা শুধরে নেয়। যেমন ইমাম তিন রাকাআত বিশিষ্ট নামাযে যদি চার রাকাআতের জন্য উঠে কিংবা ৩ বা ৪ রাকাআত বিশিষ্ট নামাযে প্রথম তাশাহহুদ শেষে বসে থাকে… ইত্যাদি।
এ সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “নামাযে কারো কিছু ঘটলে সে যেন তাসবীহ পড়ে (সুব্হানাল্লাহ বলে)। কেননা যখন সুবহানাল্লাহ বলা হবে, তখন সে সেদিকে ভ্রুক্ষেপ দিবে। আর তালি দেয়া কেবল মহিলাদের জন্য”। [বুখারী, আযান অধ্যায়, নং৬৮৪]
তবে ইমাম যদি ভুলে চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাযে পঞ্চম রাকাআতের জন্য উঠে দাঁড়ান কিংবা দুই রাকাআত বিশিষ্ট নামাযে তৃতীয় রাকাআতের জন্য কিংবা তিন রাকাআত বিশিষ্ট নামাযে চতুর্থ রাকাআতের জন্য দাঁড়িয়ে যান আর পিছনে তাসবীহ বলার পরেও তিনি না ফিরেন এমতবস্থায় সেই মুক্তাদী কি করবে? কারণ, এটা নিশ্চিত যে তার ইমাম নির্ধারিত রাকাআতের অতিরিক্ত পড়াচ্ছেন।
এমন সময় সেই মুক্তাদী ইমামের সাথে অতিরিক্ত রাকায়াত আদায় না করে বসে তাশাহ্হুদের দুআ-যিকর পাঠ করবে এবং ইমাম যখন অতিরিক্ত রাকাআত শেষে সালাম ফিরাবেন, তখন সেও তাদের সাথে সালাম ফিরাবে। কারণ জেনে-বুঝে স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত রাকাআত পড়লে নামায বাতিল হয়ে যাবে। [সউদী স্থায়ী ফতোয়া বোর্ড,৭/১৩৭, ফতোয়া নং ৯৫২৬] এই ভাবে ইমাম যদি জানতে পারে যে, সে অতিরিক্ত রাকাআতের জন্য উঠে দাঁড়িয়েছে কিংবা তাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তার জন্য জরুরি যে, তিনি সেই রাকাআত না পড়ে বসে পড়বেন। [সউদী স্থায়ী ফতোয়া বোর্ড, ফতোয়া নং১৭১৫৮]
৫- ইমামের ফাতিহা কিংবা অন্য কিরাআতে ভুল হলে স্মরণ করিয়ে দেওয়াঃ
ইমাম যদি কোন আয়াত ভুল পড়ে, তাহলে তাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া বৈধ। [সউদী স্থায়ী ফতোয়া বোর্ড,৬/৩৯৯] তবে বহু ইসলামী বিদ্বানের মতে ফাতেহার ক্ষেত্রে তা ওয়াজিব আর অন্য তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে তা মুস্তাহাব। [মাজমূ, নবভী, ৪/২৩৯] নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা নামায পড়ান এবং সেই নামাযে কিরাআতের সময় তাঁর জটিলতা সৃষ্টি হয়, নামায শেষে তিনি উবাই বিন কাআব (রাযিঃ) কে বললেনঃ তুমি আমাদের সাথে নামাযে ছিলে? সে বললঃ হ্যাঁ। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাহলে তোমাকে কি নিষেধ করলো? (অর্থাৎ স্মরণ করিয়ে দিতে কিসে বাধা দিল?) [আবু দাঊদ, নামায অধ্যায়, অনুচ্ছেদঃ ইমামকে লোকমা দেওয়া]
৬- মুক্তাদীদের ভুল-ত্রুটিঃ
• প্রথম কাতার কিংবা সামনের কাতার পূরোন না করেই আলাদা কাতার বানানো । [সহীহ ইবনু মাজাহ, নং৮১৪]
• প্রথমকাতারে দাঁড়াতে অলসতা করা। অথচ প্রথম কাতারের ফযীলত জানলে তারা পরষ্পরে লটারি করতে হলেও করতো। [বুখারী, নং২৫৪৩]
• কাতার সোজা না করা বরং বাঁকা থাকা সত্ত্বেও নামায শুরু করে দেওয়া। [মুসলিম নং৪৩২]
• বিনা ওজরে একাই এক কাতারে নামায আদায় করা। (এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আগামীতে আসবে, ইনশাআল্লাহ)
• (একান্ত প্রয়োজন ছাড়া) খুঁটি তথা পিলারের মাঝে কাতার তৈরি করা; অথচ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা নিষেধ করেছেন। [সহীহ ইবনে মাজাহ, নং৮২১]
• নামাযের কাজগুলি ইমামের পূর্বে কিংবা তার সাথে সাথে করা। [ইতিপূর্বে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে)
• ইমামের পিছনে জ্ঞানী ও বড়দের অবস্থান না করা; অথচ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “তোমাদের জ্ঞানবান ও সাবালোকরা যেন আমার নিকটে থাকে, অতঃপর তার পরের স্তরের লোকেরা, অতঃপর তার পরের স্তরের লোকেরা”। [মুসলিম, নং ৯৭৩]
............(চলবে ইনশাআল্লাহ)
লেখক: আব্দুর রাকীব (মাদানী)
দাঈ, দাওয়াহ সেন্টার খাফজী, সউদী আরব।
Email-
সম্পাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব
আগের পর্বগুলো পড়তে- Click this link
বিষয়: বিবিধ
৩২০২ বার পঠিত, ৬৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাট্টু ছেলেকে মেয়েরা কিন্তু পছন্দ করে না..মাইনডিট
এমন সময় সেই মুক্তাদী ইমামের সাথে অতিরিক্ত রাকায়াত আদায় না করে বসে তাশাহ্হুদের দুআ-যিকর পাঠ করবে এবং ইমাম যখন অতিরিক্ত রাকাআত শেষে সালাম ফিরাবেন, তখন সেও তাদের সাথে সালাম ফিরাবে। কারণ জেনে-বুঝে স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত রাকাআত পড়লে নামায বাতিল হয়ে যাবে। [সউদী স্থায়ী ফতোয়া বোর্ড,৭/১৩৭, ফতোয়া নং ৯৫২৬]
মুক্তাদীর কি এ অধিকার আছে যে, তিনি ঈমামের ইক্তিদা বর্জন করে ভিন্ন কিছু করতেই থাকবেন, আবার জামায়াতেও থাকবেন??
এই ফতোয়াটি যদি দলিলসহ আলোচনা করতেন:-
আমি এ মাসআলাটি জানিনা-
একথা স্বীকার করতে আমার কোন লজ্জাবোধ নেই-
এবার জবাব চাই ইমরান ভাই এর কাছে,
আশা করি আমাদের দাবীর ব্যপারে কিছু লিখবেন,
যেহুতু সে নিশ্চিত তাই উত্তরটা দেয়া হয়েছে,
"এমন সময় সেই মুক্তাদী ইমামের সাথে অতিরিক্ত রাকায়াত আদায় না করে বসে তাশাহ্হুদের দুআ-যিকর পাঠ করবে এবং ইমাম যখন অতিরিক্ত রাকাআত শেষে সালাম ফিরাবেন, তখন সেও তাদের সাথে সালাম ফিরাবে। কারণ জেনে-বুঝে স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত রাকাআত পড়লে নামায বাতিল হয়ে যাবে। [সউদী স্থায়ী ফতোয়া বোর্ড,৭/১৩৭, ফতোয়া নং ৯৫২৬]
যেহুতু সে নিশ্চিত তাই সে বসে তাশাহুদ ওঅন্য দুআ যিকির পড়বে তবে সালাম ফিরাবে না। সালাম ফিরাবে ইমামের সাথেই।
আশাকরি ব্যপারটা বুঝছেন।
সাথে নিচের এই অংশটুকুও পড়েন তাহলে আরো বুঝতে সহজ হাবে ইনশাআল্লাহ।
"এই ভাবে ইমাম যদি জানতে পারে যে, সে অতিরিক্ত রাকাআতের জন্য উঠে দাঁড়িয়েছে কিংবা তাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তার জন্য জরুরি যে, তিনি সেই রাকাআত না পড়ে বসে পড়বেন। [সউদী স্থায়ী ফতোয়া বোর্ড, ফতোয়া নং১৭১৫৮]"
===========
নিশ্চই মুজতাহিদ সঠিক ইজতিহাদের জন্য ২ নেকি পাবে আর ভুল হলে ১ নেকি।
আল্লাহ আ'লাম।
ইমরান ভাই! বিষয়টা একটু ভাবুন তো !
মুক্তাদীর পক্ষ থেকে ইমাম কে এতো বার ওয়ার্নিং দেয়ার পর ও যদি ইমাম তার সিদ্ধান্তে অটল থাকে তাহলে তো ইমামের নামাজ ই বাতিল বলে গন্য হওয়ার কথা আপনার দেয়া ফাতওয়া অনুযায়ী। আর ইমামের নামায না হলে মুক্তাদীর নামায+ ইক্তিদা কি ভাবে ঠিক হবে??????
মুক্তাদীর (বসে থাকার কারনে)সিদ্ধান্ত সঠিক হওয়া সত্তে ও ইমামের নামায ফাসেদ হওয়ার কারনে মুক্তাদীর নামায কি ফাসেদ হবেনা.?????
আসলে আপনি যেই উত্ত্র দিয়েছেন আমারত ত মনে হয় আপনি আবু সাইফ ভাই ও আমার কথা বুঝতে পারেননি কারন আমাদের মূল প্রশ্নটি ছিল ''''এই ফতোয়াটি যদি দলিলসহ আলোচনা করতেন:-''''
ইজতিহাদি জবাব/দলিল ছাড়া কি কুরআন / হাদিসের দলিল আছে কি? বিস্তারিত !!!!!!!!!!!!!!
লাইট হাউজ ভাই ঠিক ধরেছেন- আমি দলিল জানতে চেয়েছি
এবং
দুটি প্রশ্নও করেছি (১)মুক্তাদীর অধিকার এবং (২)জামায়াতে সাথে [ঈমামের ইক্তিদায় বহাল] থাকা
সে দুটোরও দলিলভিত্তিক জবাব চাই
আশা করি পাবো ..
কিন্তু কিছু কিছু স্থানে বিশেষ করে নাম্বার {{{৫- ইমামের ভুল হলে মুক্তাদীদের সংকেত দেওয়াঃ }}
এই মাসআলাটি তে যে দলিল পেশ করা হয়েছে তাতে কি যথেষ্ঠ ?
কারু ফতোয়া নয়,সরাসরি দলিল পেশ করার জন্য জনাব ইমরান ভাই কে অনুরুদ করছি।
মন্তব্য নং-৩ এর আবু সাইফ ও লাইট হাউজ এর কথার যুক্তি সম্বলিত প্রশ্ন সমুহের উত্তর আশা করছি।
এই টা আবার কেমন মুক্তাদি, ইমাম যা করে তা (ইক্তিদা)করেনা!!!! আবার মুক্তাদির লোকমা ইমাম গ্রহন করেনা !!!!
এমতবস্থায় ! এই রকম ইমামের এক্তিদা করা মুক্তাদির জন্য আবশ্যক কি?
যদি (ইক্তিদা করা)আবশ্যক না হয় তাহলে,মুক্তাদি কি করে এই (ইমামের ইক্তিদা না করার দ্বারা)জামাতের অন্তর্ভূক্তি হয়/থাকে?
ইমরান ভাই তো হারিয়ে যাওয়ার মানুষ না...
হয়তো খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন,
অবসর হলেই ফিরে আসবেন-
সাথে আনবেন আমাদের প্রত্যাশিত মূল্যবান হাদিয়া
শায়খ আব্দুর রাকিব মাদানীর সাথে যোগাযোগ করে তার পরে আপনাদেরকে জানাতে পারবো।
আপনারা উপরিউক্ত সমস্যার সমাধান কি ভাবে দিবেন বা আপনাদের অভিমত কি সেটা জানতে চাচ্ছি???
মনমত হবার কথা কেন বললেন ভাইজান?
এটা কি আমার উপর অনুচিত অভিযোগ হয়ে গেলনা?
শরীয়াহর কোন বিষয় কি মনমত হওয়ার সাথে সম্পর্কিত??
এটা তো আমার নামাজের বিশুদ্ধতার প্রশ্ন
যা জানিনা তা জানতে তো লজ্জা নেই আমার- আমি আগেও বলেছি
এ মাসআলা আমি আগে কখনো শুনিনি/জানতে পারিনি
তাছাড়া এ মাসআলায় শরীয়ার অপর দুটি হুকুম সরাসরি লংঘণ হয়-
সেগুলোর সমন্বয় কিভাবে করা হয়েছে তাতো দলিল না দেখে বুঝা সম্ভব নয়
আর তাই আপনার কাছে দলিল চাওয়া!
ভাইজান, ভুল বুঝবেননা যেন-
আল্লাহ স্বাক্ষী, সঠিক জ্ঞানলাভের তাগিদেই এতো কথা!!
ঠিক আছে-
শায়খ আব্দুর রাকিব মাদানীর সাথে যোগাযোগ করে তার পরেই আমাদেরকে জানান -
এই নেট-মোবাইল-স্কাইপির যুগে এটার জন্য খুব বেশীদিন লাগার কথা নয়!
অপেক্ষায় আছি-
পরকথা,
বিষয়টি ইজ্তেহাদী। তাই আপনার জানা কোন মত থাকলে বলুন আমাদেরও জানা হবে।
তবে এটা শিওর যে ফাতোয়াটি আপনাদের পছন্দ হয়নাই।
আল্লাহ আ’লাম।
257741
২৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:৫৪
আবু সাইফ লিখেছেন : তবে এটা শিওর যে ফাতোয়াটি আপনাদের পছন্দ হয়নাই।
ভাইজান আপনি কী বলছেন একটু ভেবে-চিন্তে বলুন -
এমন কোনো জিনিসের পেছনে লেগে যেও না সে সম্পর্কে তোমার জ্ঞান নেই৷ নিশ্চিতভাবেই চোখ, কান ও দিল সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷ (১৭-ইসরা-আয়াত-৩৫)
বুঝেছি যে ইজতিহাদী মাসআলা,
তাই তো ইজতিহাদ ও রায়ের ভিত্তিটাই তো জানতে চেয়েছি
আমি কি সমাধান দেবো? আমি তো মুফতী নই!
তাছাড়া আপনার মাসআলা নিয়ে কথা হচ্ছে- আমার বা অন্য কারো অভিমত/সমাধান কী তাতো ভিন্ন প্রসংগ
আগে আপনারটার আলোচনা শেষ হোক-
তখন না হয় অন্যগুলোও আলোচনা করা যাবে!
আল্লাহর ওয়াস্তে সঠিক তথ্যগুলো দিয়ে সাহায্য করুন
সৌদি ফাতাওয়ার যে নম্বর দিয়েছেন, সেটার কোন লিংক থাকলে দেন, আমরাই দলিলগুলো ঘেঁটে দেখি- যদি সেকানে দলিল দেয়া থাকে!
রিপোর্ট করুন | জবাব দিন
২৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৪
201421
ইমরান ভাই লিখেছেন : আপনি মুফতি নন তো একজন মুফতি তো উত্তর দিছে ভাই সেটা জদি আপানার পছন্দ না হয় তাহলে আপনি অন্য কাউকে জিজ্ঞাসা করুন। তাহলেই তো হয় ভাই।
আমি শায়খকে এ বিষয়টি অবহিত করেছি তিনি উত্তর দিলে কপি করে দিবো। ধয্যধরুন
দ্বিতীয়তঃ আপনি আমাকেও অন্ধ তাকলীদ করতে বলেছেন-
আমি মুফতী নই, অন্ধ মুকাল্লিদও নই-
তাই তো আমাকে যাচাই করে দেখতে হবে
Click this link
ভুলে যাবেননা যেন!
=====================
আসসালামু আলাইকুম। ভাই সকল!
প্রথমতঃ আমাদের বিষয়টির মূল মাসআলাটি নির্ণয় করে নেয়া ভাল, যেন বুঝতে সুবিধা হয়। তা হচ্ছে, যদি ইমাম চার রাকাআতের পর পঞ্চম রাকাআদের জন্য দাঁড়ায় আর মুক্তাদী নিশ্চিত যে তিনি পঞ্চম রাকাআতের জন্য দাঁড়িয়েছেন। যদি ইমামের মত মুক্তাদিও সন্দেহে থাকে তাহলে সেই বিষয় ভিন্ন।
দ্বিতীয়তঃ ফরয নামাযের রাকাআত সংখ্যা সম্পর্কে উম্মতের ঐক্যমত রয়েছে। তা জেনে বুঝে কেউই কম বেশী করতে পারে না। কেবল ভুল বা সাহূ হিসাবে এমন করলে তা সাজদায়ে সাহূ দ্বারা শুদ্ধ করা হয়। এই মূলনীতির ভিত্তিতে এই ফতোয়া যে মুক্তাদী যদি নিশ্চিত হয় যে, ইমাম নির্ধারিত ফরয নামায বেশী পড়ার জন্য দাঁড়িয়েছেন, তাহলে সে তার অনুসণ করতঃ দাঁড়াবে না। কারণ স্বজ্ঞানে জেনেবুঝে রাকাআত বেশী পড়া হারাম। যেমন ইমাম যদি তার রাকাআত সংখ্যায় নিশ্চিত হয়, তাহলে সে মুক্তাদীর সংকেতের ভ্রুক্ষেপ করবে না।
এটাও মনে রাখা উচিৎ যে, এই ক্ষেত্রে ইমাম ও মুক্তাদীর অবস্থা কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন কারণ; ইমাম তার রাকাআত সংখ্যা নির্ণয়ে অনিশ্চিত বলে তার জন্য বেশী পড়াটা শরীয়তের বিধানের আওতাভুক্ত কিন্তু যে নিশ্চিত সে নামায বেশী পড়তে পারে না।
তৃতীয়তঃ এই প্রশ্ন যে, (মুক্তাদীর কি এই অধিকার আছে যে, তিনি ইমামের ইক্তিদা বর্জন করে ভিন্ন কিছু করতেই থাকবেন, আবার জামাআতেও থাকবেন?)
উত্তরঃ জামাআতে থাকলেই কি মুক্তাদী ইমামের সব ক্ষেত্রে পুরো অনুসরণ করে থাকে? কেন রুকূ সাজদায় ইমাম যত বার দুআ পড়েন, ততবার মুক্তাদিও কি পড়তে আদিষ্ট? অর্থাৎ যদি ইমাম ৫ বার সুবহানাল্লাহ পড়েন, তাহলে মুক্তাদীও কি ৫ বার বলতে বাধ্য? না এর কমও বলতে পারে। যদি কম বলতে পারে, তাহলে সম্পূর্ণ ইক্তিদা কোথায় হল? এই ভাবে তাশাহহূদের সময় মুক্তাদী যদি ইমামের পূর্বে তাশাহহুদ শেষ করে নেয়, তাহলে তার কোন দোষ হয় না। তাই বলছিলাম, ইমামের ইক্তিদায় নামায পড়লেও এমন কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যাতে মুক্তাদী ইমামের আগে বা পরে কিছু করলে তার ইক্তিদা বর্জন হয় না আবার সে জামাআতেও থাকে।
এক্ষেত্রে সালাতুল খাওফ (ভয়-ভীতির সময় নামায) এর অধ্যায়ে যে কয়েকটি নামাযের নিয়ম বর্ণিত হয়েছে, তাতে এর অনেকটা দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে “এক দল নবী (সাঃ) এর সাথে কাতারবদ্ধ হন আর এক দল শত্রুদের সম্মুখে থাকেন। যে দলটি তাঁর সাথে কাতারবদ্ধ হন, তাদের এক রাকাআত নামায পড়ান অতঃপর তিনি (সাঃ) দাঁড়িয়ে থাকেন এবং তারা (মুক্তাদিরা)নামাযের বাকি অংশ পূরণ করে ফিরে যান এবং শত্রুর মুকাবিলায় লাইনবদ্ধ হন। তার পর দ্বিতীয় দলটি আসে। নবী (সাঃ) তাদের দ্বিতীয় রাকাআত পড়ান যেটা তার বাকি সালাত ছিল। তার পর তিনি (সাঃ) বসে থাকেন, তারা (মুক্তাদিরা) বাকি নামায পূরণ করেন অতঃপর নবী (সাঃ) তাদের সালাম ফিরান”। [বুখারী, মাগাযী অধ্যায়, অনুচ্ছেদ নং ৩১, হাদীস নং ৪১২৯]
এখানে দেখা যাচ্ছে, নবী (সাঃ) দাঁড়িয়ে রয়েছেন আর তারা এক রাকাআত পূরণ করে চলে যাচ্ছেন অতঃপর দ্বিতীয় দলটি নবী (সাঃ) এর সাথে এক রাকাআত পড়ার পর নবী (সাঃ) বসে রয়েছেন এবং তারা নিজে এক রাকাআত পূরণ করছেন, তার পর নবী (সাঃ) সবার সাথে সালাম ফিরাচ্ছেন। তাহলে এখানে যেমন তারা ইমাম থাকা অবস্থায়েও তাঁর কিছুটা অনুসরণ ছেড়ে আবার তাঁর সাথে সালাম ফিরাচ্ছেন এবং এতে তাদের ইক্তদা বর্জন হয় না এবং জামাআতেও থাকা হয়, তেমন আমাদের আলোচ্য বিষয়েও হবে ইন শাআল্লাহ।
চতুর্থতঃ সউদী স্থায়ী বোর্ডের ফতোয়াটি আমারর নিকট গ্রহনীয় তাই আমি তা উল্লেখ করেছি এবং বরাত দিয়েছি। কেউ তাঁদের সিদ্ধান্তের বিপরীত কিছু বলতে চাইলে, তাদের নিকট যোগাযোগ করতে পারেন, দলীল চাইতে পারেন। তাঁদের বোর্ড এই জন্যই স্থাপিত।
ধন্যবাদান্তে, লেখক আব্দুর রাকীব (মাদানী)
আমি ব্যক্তিগতভাবে ব্লগে ইমরান ভাই কে ভালো জেনে আসছি, অনেক বিষয়ে তাঁর কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তাঁকে আল্লাহর ওয়াস্তেই ভালোবাসি!
ব্যক্তিগতভাবে আমি মুফতী তো নই-ই, অন্ধ মুকাল্লিদও নই- তাই তো আমার যতটুকু জ্ঞান ততটুকু দিয়ে আগে যাচাই করি, তারপর বিভিন্ন মতের আলিমদের সাথে আলোচনা করি,[আলিমদের মজলিশে উঠাবসার চেষ্টা করি], এরপর সেটার উপর আমল করা-না-করার ফায়সালা করি!
আমি মূলতঃ আলোচনাই করতে চেয়েছি- বিতর্ক নয়!
আপনি একটু দেখুন নিচের ৮নং মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য ও জবাবগুলো!
এত কথার পরেও আমি ইমরান ভাই এবং শাইখ আব্দুর রাকীব মাদানী সম্পর্কে ভালো ধারণাই পাষণ করি, তাঁদের আল্লাহর ওয়াস্তেই ভালোবাসি, একই এলাকায় কর্মরত শায়খ আব্দুল্লাহ শাহেদ মাদানী আমার সম্পর্কে জানেন!
মতপার্থক্য হলেই মনোমালিন্য হতে হবে- এমন ধারণা থেকে আমি বেঁচে থাকার প্রাণপণ চেষ্টা করি!
রব্বানা লা তাজআল ফী ক্বুলুবিনা গিল্লাল লিল্লাজীনা আমানু, রব্বানা ইন্নাকা রউফুর রহীম (আমীন)
অন্য সবার কমেন্টসগুলা দেখেন তাহলে আপনার ধারনা হবে আসলে সবাই কেমন হয়। আমি বার বার বলতেছিলাম যে শায়খ রাকিব ব্যাস্ত আছে আমি বলছি তিনি বলছেন উত্তর দিবেন। কিন্তু কিছু তো লোক আছে যে তারা চাচ্ছিলো যে আমাকে কিভাবে হেয় করা যায়।
যা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
আল্লাহ সবাইকে সরল পথ দেখান আমীন।
ইনশাআল্লাহ আরো দেয়া যাবে।
কিন্তু কিছু কিছু স্থানে বিশেষ করে নাম্বার {{{৫- ইমামের ভুল হলে মুক্তাদীদের সংকেত দেওয়াঃ }}
এই মাসআলাটি তে যে দলিল পেশ করা হয়েছে তাতে কি যথেষ্ঠ ?
কারু ফতোয়া নয়,সরাসরি দলিল পেশ করার জন্য জনাব ইমরান ভাই কে অনুরুদ করছি।
মন্তব্য নং-৩ এর আবু সাইফ ও লাইট হাউজ এর কথার যুক্তি সম্বলিত প্রশ্ন সমুহের উত্তর আশা করছি।
ভাইজান আপনি কী বলছেন একটু ভেবে-চিন্তে বলুন -
এমন কোনো জিনিসের পেছনে লেগে যেও না সে সম্পর্কে তোমার জ্ঞান নেই৷ নিশ্চিতভাবেই চোখ, কান ও দিল সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷ (১৭-ইসরা-আয়াত-৩৫)
বুঝেছি যে ইজতিহাদী মাসআলা,
তাই তো ইজতিহাদ ও রায়ের ভিত্তিটাই তো জানতে চেয়েছি
আমি কি সমাধান দেবো? আমি তো মুফতী নই!
তাছাড়া আপনার মাসআলা নিয়ে কথা হচ্ছে- আমার বা অন্য কারো অভিমত/সমাধান কী তাতো ভিন্ন প্রসংগ
আগে আপনারটার আলোচনা শেষ হোক-
তখন না হয় অন্যগুলোও আলোচনা করা যাবে!
আল্লাহর ওয়াস্তে সঠিক তথ্যগুলো দিয়ে সাহায্য করুন
সৌদি ফাতাওয়ার যে নম্বর দিয়েছেন, সেটার কোন লিংক থাকলে দেন, আমরাই দলিলগুলো ঘেঁটে দেখি- যদি সেকানে দলিল দেয়া থাকে!
আমি শায়খকে এ বিষয়টি অবহিত করেছি তিনি উত্তর দিলে কপি করে দিবো। ধয্যধরুন।
২য় মতঃ
ইমামের পিছনে মুক্তাদীদের কখনও সূরা ফাতিহা বা অন্য কোন সূরা পড়তে হবে না বরং চুপ থেকে ইমামের কিরাআত শুনতে হবে। এই মতের দলীলাদিঃ
ক- আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ
( وَ إذا قُرِئَ القرآنُ فاسْتمِعوا له وَ أنصِتوا لعلكم تُرحمون) الأعراف/204
“যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ কর ও চুপ থাক।” [সূরা আরাফ/২০৪]
বুঝা গেল, কুরআন পড়া হলে চুপ থেকে ভালভাবে শুনতে হবে। তাই ইমাম যেহেতু নামাযে কুরআন পড়েন, সেহেতু মুক্তাদীদের চুপ থেকে শুনতে হবে। কোন সূরা পড়া যাবে না।
আপত্তিঃ (১) যদি এই আয়াতের মর্ম এই হয় যে, ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহাও পড়া যাবে না, তাহলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কেন বললেন যে, সূরা ফাতিহা ছাড়া কোন নামায হয় না বা তোমরা সূরা ফাতিহা ব্যতীত অন্য কিছু পড়বে না? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি তাহলে কুরআনের বিপরীত আদেশ দিলেন? (নাউযু বিল্লাহ।)
আপত্তি (২) যদি এই আয়াতকে ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা না পড়ার দলীল ধরেও নেওয়া হয়, তাহলে যুহর ও আসর নামাযে যখন ইমাম চুপি চুপি কিরআত করেন, তখন তো মুক্তাদীরা কুরআন পাঠ শোনে না, এমতাবস্থায় তারা কী করবে? তাই এই আয়াত উপরোক্ত মতের পূর্ণাঙ্গ দলীল হয় না।
১। আমরা বিজ্ঞ আলেমদের থেকে জানলাম সরব ক্বেরাতের সময় খেয়াল করে শুনতে হবে। আর নিরব ক্বেরাতের সময় চুপ থাকতে হবে। অথচ আপনার শেখ বললেন : এই আয়াত পূর্ণাঙ্গ দলীল হয় না, (নাউযু বিল্লাহ) মন মত ব্যাখ্যা করলেন নাকি ?
২। আর যখন সে পাঠ করবে, তখন তোমরা চুপ থাকবে”। [মুসলিম, স্বালাত অধ্যায়, স্বালাতে তাশাহ্হূদের বর্ণনা, নং ৪০৪/ নাসাঈ নং৯১২]
মুসলিম শরীফের মত কিতাবে (গাইর মাহফূয) অসংরক্ষিত হাদীস এলো কি করে ?
২। সূরায়ে ফাতিহা সম্পর্কে বিজ্ঞ আলেমগণ বলেছেন হাদিসগুলো একাকী নামায ফরয বা নফলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যে হাদিসে ইমামের পিছনে শুধূ সূরায়ে ফাতেহা পড়তে বলা হয়েছে উহা কুরআনের এই আয়াত নাযিল হওয়ার আগের, ব্যাস উত্তর হয়ে গেল আয়াতের উপর আমল হবে, যেহেতু নাসেখ মানসূখের মাসআলা, তাই হাদীসটি কুরআনের বিপরীত হবে কেন ? হাদীস তো কুরআনের ব্যাখ্যা হয়, কিন্তু কুরআন হাদীসের ব্যাখ্যা নয়।
আমীন এর হাদীস গুলোর ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ একমত, কিন্তু জোরে বলতেই হবে এমন নয়, বরং আস্তে বললেও চলবে। আপনার দেওয়া দলীলগুলোতে আবার গিয়ে দেখুন মুক্তাদিদের প্রতি জোরে বলার নির্দেশ আছে কি না, যদি না থাকে অযথা বাড়াবাড়ি না করে বলতে পারেন আস্তে বললেও সমস্যা নেই।
প্রথমে কুরআন হাদীস থেকে মাসআলাগুলো উদৃতি দিলেন কিন্তু শেষের দিকে একে ইজতিহাদের দিকে গেলেন কেন ? কুরআন হাদীস থেকে জবাব চাই।
আবু সাইফ ও লাইট হাউসের মত আমারও প্রশ্ন কুরআন হাদীস থেকে জবাব চাই। অথবা ইজতিহাদের উৎস জানতে চাই।
আপনার উত্তর স্পষ্ট ভাবেই পোস্টে দেয়া আছে ভালো করে চোখ লাগিয়ে পড়ুন।
অযথা না বোঝার ভান করে কি লাভ।
:
@ইমরান ভাই
দ্বীনীজ্ঞানের আলোচনায় আক্রমণাত্মক ও অপ্রাসংগিক কথা বলেন কেন?? এটা মোটেও ভালোকাজ নয়!
"কোরআন ও সহীহ হাদীসকে প্রধান্য দেয়া হয়েছে" বলছেন,
অথচ আমার প্রশ্নটি নিয়ে কী যে গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন তাতো দেখা/বুঝাই যায়!
আপনার শায়খের নেকনজরের অপেক্ষায় তিনদিন পেরিয়ে গেছে
আবার স্বীকার করেছেন ওটা "ইজতিহাদী মাসআলা"
যাহোক, অপেক্ষায় আছি!
মেহেরবানী করে দ্বীনীজ্ঞানের আলোচনার পরিবেশকে কটুকথা দিয়ে কলুষিত করবেননা!
আমরা তো আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির জন্যই পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলি- তাই না?
তাহলে তাঁকে অসন্তুষ্ট করে এমন কথা কেন বলবেন??
আপনি ভালই জানেন যে আপনার এ কথাটি সমাজে ব্যঙ্গকথা(গালি?) হিসেবেই প্রচলিত-
মাযহাবীদের এই মত পছন্দ হবে না সেটা সবার ই জানা।
এমন ভাব দেখান যেন কোরআন আপনাদের উপর নাজিল হইচে (নাউজুবিল্লাহ) রসুল (সা) তার সাহাবা (রা) যা বোঝেন নাই আপনার তাও বুঝে ফেলছেন (নাউজুবিল্লাহ)
উক্ত আয়াতের তাফসির দেখুন।
আর বেশি সমস্যাহলে আমার পোস্ট থেকে দুরে থাকুন।
অযথা কথা কেড়ে নিয়ে কথা বাড়ানো কি ঠিক!!
যার কমেন্ট তাকে বলছি ফকে কথা বাড়ান কেন ভাই।
আর আহমেদ শফী সাহবেও বলেন যে "আমার মাযহাবী" তো তিনি কি গালি দিছেন??
আর আপনার প্রশ্ন নিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েছি এটা আপনাকে কে বললো???
শায়খ উত্তর দিয়েছেন ভালো করে দেখুন।
আমি তিনদিন থেকে লক্ষ্য করছি আপনার আঠার মতো লেগে আছেন এই পোস্টে শুধু মাত্র আমাকে হেও করার উদ্দেশ্য।
আল্লাহ আপনাদের অন্তরের অন্তস্থলের খবর রাখেন। আপনার কথা "গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন" থেকে ই তা বোঝা যায়।
আর বেশি সমস্যাহলে আমার পোস্ট থেকে দুরে থাকুন।
===========================
এই কথা গুলি কি? আন্দাজের উপর ভিত্তি করে এই রকম কথা বলা কতটুকু ঠিক তা চিন্তা করুন প্লিজ।
আর হে, আপনি যেই ভাষায় উত্তর দিচ্ছেন তা কি কোন দায়ীর ভাষা? ব্লগে দাওয়াতী কাজ করতে এসে এসব কি যা তা বলে যাচ্ছেন?
আপনার মাসয়ালা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্তপূর্ণ____ তাই যথাযথ/যাচাই/বাছাই করা ই কি আমাদের অপরাধ?
আক্রমনাত্তক কথা পরিহার করা উচিত নয় কি?
আর হে আপনার ই তো বলে থাকেন কুরাআন ছহিহ হাদিস ছাড়া কোন আমাল করা যাবেনা আর নামাযের বেলায় তো আর কথা ই নাই !!!!
আর কি বললেন ? আপনার পোষ্ট ছেরে চলে যেতে ?
এইটা ভুল করলে---- তাহলে আপনার কষ্টের দাওয়াত কার কাছে করবেন? কাকে দাওয়াত দিবেন?
মাযহাবীদের দিবেন্না তো কাকে দিবেন?
আপনার/আপনাদের মত যারা কিছু কিছু শায়েখ এর অন্ধ তাকলিদ করে, তাদের মাঝে দাওয়াত/জ্ঞান বিলি করবেন?
আমি লক্ষ্য করছি (আল্লাহ জানেন) আপনি একাই কয়েক নিকে ব্লগে লেখেন মনেহয়।
শুধু আপনি না আরো কয়েক জন আছে।
(আল্লাহু আ’লাম)
উপরিউক্ত কথা বলেছি তার কারনো আছে। ভালো করে চোখ খুলে দেখুন।
না বুঝলে আরো কয়েক বার পড়ুন মাথায় আসবে আশাকরি।
দাওয়াত দেয়া আমার কাজ। যারা বুঝবে তারা ঠিকেই বুঝবে যারা বুঝবেনা তারা আপনার মতো কমেন্টস করতেই থাকবে।
আশাকরি উত্তর পাইছেন।
অনেক কথাই লিখার ছিল, যার কিছুটা আবু সাইফ ভাই ও লাইট হাউস ভাই পূরণ করেছেন। বাকীটা লিখার ইচ্ছা হচ্ছে না, কারণ ব্লগটাকে আপনার ব্যক্তিগত সম্পদ মনে করেই অন্যদেরকে আপনার পোষ্ট থেকে দূরে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন, তাই বলবো আমাকে আপনার ব্লগ পড়ার আমন্ত্রণ না জানালেই পারতেন, যেহেতু মাযহাবী বলে আমাদের ব্যাঙ্গ করলেন বা গালি দিলেন, একজন দায়ী হিসাবে আপনার জ্ঞানের পরীক্ষাটাও দিয়ে দিয়েছেন, আসলে কুরআন হাদীসের ইলম না থাকলে জীবনভর শেখদের তাওয়াজ্জুহের দিকেই তাকিয়ে ছাড়া কি উপায় থাকে? তাই অনুরোধ করবো, কুরআন হাদিসের ইলম অর্জন করুন, মানুষকে সঠিক পথ দেখান, তবে শেখদের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকবেন না প্লিজ, তাহলে কিন্তু আপনিও মুক্বাল্লিদদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, যেটা আপনার কোনদিন কাম্য নয়।
আরেকটি কথা না বললে নয় : নিছে শেখ থেকে ধারকরা যে মাসআলা কপি পেষ্ট করলেন, সেটি কিন্তু কুরআনের স্পষ্ট বিধান জিহাদের ময়দানের নামাজের মাসআলা, নিঃসন্দেহে সঠিক, কিন্তু এই মাসলার উপর কেয়াস করে (ভিত্তি করে)ইমাম মুক্তাদীর নামাজের সাথে যুক্তি দেখালেন, কিন্তু কেন তা করলেন? এতো মাজহাবীদের কাজ, কেয়াস করা, একটি মাসআলার উপর ভিত্তি করে আরেকটি মাসআলা বের করা, এটাই তো ইজতিহাদ, তার মানে কি আপনারাও শায়েখদের তাক্বলীদ করেন? তাহলে আপনারাও মাযহাবী?
ইসলামের সোনালী যুগে জন্ম নেয়া মুসলিম পন্ডিতদের মতামত বা ইজতেহাদ মেনে নিলে আমরা হই নিন্দনীয়, আর আপনার ১৪০০ বছর পরের শেখ পন্ডিতদের মতামত বা ইজতিহাদ মেনে নিয়ে তা আবার প্রচার করলেও আপনার হন খাটি আহলে হাদিস মুসলমান। অনেক ধন্যবাদ ভাই ইমরান। অনেক ধন্যবাদ। খুব সুন্দর লিখছেন। এভাবেই চালিয়ে যান।
আপনিও কোরআন হাদীস পড়ুন অন্ধ মুকাল্লিদ হওয়া থেকে বাচুন।
মাযহাবী হওয়া থেকে বাচুন।
ধন্যবাদ আপনাকে। শায়খ উত্তর দিছে ভালো করে দেখুন।
যারা মাযহাব মানে তাদের থেকে ও আপনি অনেক বড় খাটি মুকাল্লিদ বনে গেলেন,,,, যা আবু জান্নাত ভাই লিখেছেন।
আল্লাহ আমাদের সঠিক পথের দিশা দিন। আমিন।
(আল্লাহু আ'লাম)
আমার পোস্টে আসার দরকার আছে আপনার বলে আমি মনে করি না।
কেননা যারা কোরআন হাদীস গ্রহন করার তারা গ্রহন করবে আপনাদের মতো গোড়ামী করা লোকদের জন্য আমার পোস্ট নয়।
আপনাদের অন্তরের খবর আল্লাহ যানেন তাই সাবধান হউন।
উদাহরণ সরূপ বলছি: ফেনী জেলা শহর থেকে ৫ কি:মি: পশ্চিমে অবস্থিত আল-হুদা ইসলামীক একাডেমী, পরিচালক হাফেজ মাওলানা হা.......সাহেব। আহলে হাদীস কিনা জানতে চাইলে বলে আমি ১নাম্বার হানাফী আপনারা নকল হানাফী। রিয়াল সম্পর্কে উত্তর দিলেন মাসিক ১০০০ রিয়াল। আমার অনেক ঘনিষ্ট বিধায় এরকম আরো অনেক প্রশ্নই করতাম, উনি হেসে হেসেই উত্তর দিতেন। অবশ্যই আক্বীদা সম্পর্কে অনেক খুটিনাটি বিষয় উনার থেকে জেনেছি। কিন্তু ইজতিহাদি কোন মাসআলা সম্পর্কে জিজ্ঞাস করলে উনি উনার মত করে উত্তর দিতেন, কোন কোন সময় সহীহাইন ছাড়া অন্য হাদীস গ্রন্থ থেকেও উত্তর দিতেন এবং বলতেন এগুলো তাহকীকের মাধ্যমে সহীহ প্রমানিত, বলতান কার তাহকীকের কথা বললেছন, উনি বলতেন আলবানীর তাহকীক, আমি এই সুযোগে বলতাম আপনি আলবানীর তাক্বলীদ করেন বুঝি!.... ব্যাস এই শুরু...... কোন খা....র পোলায় কয় আমি তাকলীদ করি, আরো যা... তা...। সেই অনেক কাহিনী, যাকে তাকে মুশরীক, বিদাআতী, কাফের, মূর্খ বলা ইত্যাদি ইত্যাদি।
যাই হোক, ইমরান ভাইয়ের কথা বার্তা কিন্তু তেমনি মনে হচ্ছে।
@ জান্নাত আপনাকে সালাম।
==========
কখন যে গালি দিলাম সেটাইতো বুঝলাম না। !!!
উত্তর দেবার পরেও আবার উত্তর চায়, এ কেমন জাহেলিয়াত রেভাই।
শায়খ নিজেই উত্তর দিয়েছেন অথচ তার পরেও সমস্যা!!!
গোমড়া হলে কি এরখম গোমড়া হয়!! আশ্চর্য!!!
@জান্নাত আপনাকে সালাম।
আপাততঃ মেনে নিলাম
ফী আমানিল্লাহ, মাআসসালাম
আবার দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে ইনশাআল্লাহ
=====================
আসসালামু আলাইকুম। ভাই সকল!
প্রথমতঃ আমাদের বিষয়টির মূল মাসআলাটি নির্ণয় করে নেয়া ভাল, যেন বুঝতে সুবিধা হয়। তা হচ্ছে, যদি ইমাম চার রাকাআতের পর পঞ্চম রাকাআদের জন্য দাঁড়ায় আর মুক্তাদী নিশ্চিত যে তিনি পঞ্চম রাকাআতের জন্য দাঁড়িয়েছেন। যদি ইমামের মত মুক্তাদিও সন্দেহে থাকে তাহলে সেই বিষয় ভিন্ন।
দ্বিতীয়তঃ ফরয নামাযের রাকাআত সংখ্যা সম্পর্কে উম্মতের ঐক্যমত রয়েছে। তা জেনে বুঝে কেউই কম বেশী করতে পারে না। কেবল ভুল বা সাহূ হিসাবে এমন করলে তা সাজদায়ে সাহূ দ্বারা শুদ্ধ করা হয়। এই মূলনীতির ভিত্তিতে এই ফতোয়া যে মুক্তাদী যদি নিশ্চিত হয় যে, ইমাম নির্ধারিত ফরয নামায বেশী পড়ার জন্য দাঁড়িয়েছেন, তাহলে সে তার অনুসণ করতঃ দাঁড়াবে না। কারণ স্বজ্ঞানে জেনেবুঝে রাকাআত বেশী পড়া হারাম। যেমন ইমাম যদি তার রাকাআত সংখ্যায় নিশ্চিত হয়, তাহলে সে মুক্তাদীর সংকেতের ভ্রুক্ষেপ করবে না।
এটাও মনে রাখা উচিৎ যে, এই ক্ষেত্রে ইমাম ও মুক্তাদীর অবস্থা কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন কারণ; ইমাম তার রাকাআত সংখ্যা নির্ণয়ে অনিশ্চিত বলে তার জন্য বেশী পড়াটা শরীয়তের বিধানের আওতাভুক্ত কিন্তু যে নিশ্চিত সে নামায বেশী পড়তে পারে না।
তৃতীয়তঃ এই প্রশ্ন যে, (মুক্তাদীর কি এই অধিকার আছে যে, তিনি ইমামের ইক্তিদা বর্জন করে ভিন্ন কিছু করতেই থাকবেন, আবার জামাআতেও থাকবেন?)
উত্তরঃ জামাআতে থাকলেই কি মুক্তাদী ইমামের সব ক্ষেত্রে পুরো অনুসরণ করে থাকে? কেন রুকূ সাজদায় ইমাম যত বার দুআ পড়েন, ততবার মুক্তাদিও কি পড়তে আদিষ্ট? অর্থাৎ যদি ইমাম ৫ বার সুবহানাল্লাহ পড়েন, তাহলে মুক্তাদীও কি ৫ বার বলতে বাধ্য? না এর কমও বলতে পারে। যদি কম বলতে পারে, তাহলে সম্পূর্ণ ইক্তিদা কোথায় হল? এই ভাবে তাশাহহূদের সময় মুক্তাদী যদি ইমামের পূর্বে তাশাহহুদ শেষ করে নেয়, তাহলে তার কোন দোষ হয় না। তাই বলছিলাম, ইমামের ইক্তিদায় নামায পড়লেও এমন কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যাতে মুক্তাদী ইমামের আগে বা পরে কিছু করলে তার ইক্তিদা বর্জন হয় না আবার সে জামাআতেও থাকে।
এক্ষেত্রে সালাতুল খাওফ (ভয়-ভীতির সময় নামায) এর অধ্যায়ে যে কয়েকটি নামাযের নিয়ম বর্ণিত হয়েছে, তাতে এর অনেকটা দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে “এক দল নবী (সাঃ) এর সাথে কাতারবদ্ধ হন আর এক দল শত্রুদের সম্মুখে থাকেন। যে দলটি তাঁর সাথে কাতারবদ্ধ হন, তাদের এক রাকাআত নামায পড়ান অতঃপর তিনি (সাঃ) দাঁড়িয়ে থাকেন এবং তারা (মুক্তাদিরা)নামাযের বাকি অংশ পূরণ করে ফিরে যান এবং শত্রুর মুকাবিলায় লাইনবদ্ধ হন। তার পর দ্বিতীয় দলটি আসে। নবী (সাঃ) তাদের দ্বিতীয় রাকাআত পড়ান যেটা তার বাকি সালাত ছিল। তার পর তিনি (সাঃ) বসে থাকেন, তারা (মুক্তাদিরা) বাকি নামায পূরণ করেন অতঃপর নবী (সাঃ) তাদের সালাম ফিরান”। [বুখারী, মাগাযী অধ্যায়, অনুচ্ছেদ নং ৩১, হাদীস নং ৪১২৯]
এখানে দেখা যাচ্ছে, নবী (সাঃ) দাঁড়িয়ে রয়েছেন আর তারা এক রাকাআত পূরণ করে চলে যাচ্ছেন অতঃপর দ্বিতীয় দলটি নবী (সাঃ) এর সাথে এক রাকাআত পড়ার পর নবী (সাঃ) বসে রয়েছেন এবং তারা নিজে এক রাকাআত পূরণ করছেন, তার পর নবী (সাঃ) সবার সাথে সালাম ফিরাচ্ছেন। তাহলে এখানে যেমন তারা ইমাম থাকা অবস্থায়েও তাঁর কিছুটা অনুসরণ ছেড়ে আবার তাঁর সাথে সালাম ফিরাচ্ছেন এবং এতে তাদের ইক্তদা বর্জন হয় না এবং জামাআতেও থাকা হয়, তেমন আমাদের আলোচ্য বিষয়েও হবে ইন শাআল্লাহ।
চতুর্থতঃ সউদী স্থায়ী বোর্ডের ফতোয়াটি আমারর নিকট গ্রহনীয় তাই আমি তা উল্লেখ করেছি এবং বরাত দিয়েছি। কেউ তাঁদের সিদ্ধান্তের বিপরীত কিছু বলতে চাইলে, তাদের নিকট যোগাযোগ করতে পারেন, দলীল চাইতে পারেন। তাঁদের বোর্ড এই জন্যই স্থাপিত।
ধন্যবাদান্তে, লেখক আব্দুর রাকীব (মাদানী)
মন্তব্য করতে লগইন করুন