‘’দুষ্ট মৌলভীরা মসজিদে নারীদেরকে উপভোগ করতে চায়’’ ----নুরুল ইসলাম ওলীপুরী
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ১৫ আগস্ট, ২০১৪, ১১:৪৪:৫০ সকাল
ওলিপুরি সাহেবের কুরআন ও হাদিস বিরোধী এবং অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদঃ
আমরা কয়েকদিন আগে নুরুল ইসলাম ওলিপুরি সাহেবের একটি ভিডিও বক্তব্য শুনলাম। সেখানে তিনি নারীদের মসজিদে গমনের বিরোধিতা করে বক্তব্য দিয়েছেন। বিরোধিতা তিনি করতেই পারেন, সেই অধিকার ওনার আছে। কিন্তু যে ভাষায় তার মতো একজন আলেম বক্তব্য দিলেন তা কোনভাবেই ইসলামী শিষ্টাচারের মধ্যে পরে না।
উনি বক্তব্যের এক পর্যায়ে উল্লেখ করেছেনঃ
''নারীরা মসজিদে গিয়ে জামা’আতের সাথে নামাজ আদায় করবে এটা একটা নয়া ফ্যাশন, নামাজের নামে এটা ফ্যাশন’’ এবং ‘’দুষ্ট মৌলভীরা মসজিদে নারীদেরকে উপভোগ করতে চায়’’ (লা হাওলা ওয়ালা কু’ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)
আমরা হতবাক হয়ে গেলাম উনার এই কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে। জামা’আতে মহিলাদের অংশগ্রহণকে তিনি ‘নয়া ফ্যাশন’ বলে উপহাস করেছেন। তিনি শরীয়ত সম্মত ইবাদতকে ‘নয়া ফ্যাশন’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
আমরা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বলতে চাই এটা ‘ফ্যাশন’ নয় এটা ইবাদত, যার অনুমতি স্বয়ং রাসুল (সাঃ) দিয়েছেন। আর যে অনুমতি রাসুল (সাঃ) ১৪০০ বছর আগে দিয়ে রেখেছেন সেটাকে ‘নতুন’ বলা জ্ঞানের দৈন্যতাই প্রকাশ করে।
তিনি আরও বলেছেনঃ ''দুষ্ট মৌলভীরা মসজিদে নারীদেরকে উপভোগ করতে চায়’’
আবারো আমরা বলিষ্ঠ কণ্ঠে উনার এই অশ্লীল বক্তব্যের প্রতিবাদ করছি। প্রতিবাদ স্বরূপ আমরা বলতে চাই, এই অনুমতি যার উপর ওয়াহী নাযিল হয়েছে নাবী মুহাম্মাদ (সাঃ) স্বয়ং তিনি দান করেছেন। তাহলে আপনার এই কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য কার উপর গিয়ে পরে আমরা তা ভেবে দেখার অতঃপর তাওবা করার অনুরোধ করছি।
ওলিপুরী সাহেবের বক্তব্যের লিঙ্কঃ
Click this link
মহিলা ও পুরুষের সালাতে কি পার্থক্য? দেখুন শায়খ কামালুদ্দিন জাফরী কি বলেন:
মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে আমরা আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। মহিলারা মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করবে এটা রাসুল (সাঃ)-এর যামানা থেকেই প্রচলিত। মহিলা সাহাবীরা মসজিদে নামাজ আদায় করতে যেতেন। তবে এটা মহিলাদের উপর ফরজ বা ওয়াজিব নয়।
আমরা বিশ্বাস করি মহিলাদের জন্য ঘরে নামাজ পড়াই উত্তম। আমরা আরও বিশ্বাস করি মহিলাদের মসজিদে গমন ইসলাম স্বীকৃত অধিকার। আমরা আরও বিশ্বাস করি তাদের সেই অধিকারে বাঁধা দেয়ার অধিকার কারো নেই।
নিম্নে আমরা আমাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে দলীল উপস্থাপন করলাম। আমরা সস্তা জনপ্রিয়তায় বিশ্বাসী নই, আমরা একটা পরিপূর্ণ জবাব দিতে চেষ্টা করেছি। সেই কারনে আমাদের লেখাটা বিশাল হয়ে গেছে। আমরা বিভিন্ন অধ্যায়ে আমাদের লেখাটা শেষ করেছি। সম্মানিত পাঠকগণ ধৈর্য সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে ‘মসজিদে মহিলাদের উপস্থিতির’ ব্যাপারে সঠিক দিক নির্দেশনা লাভ করতে পারবেন ইন শা আল্লাহ।
মহান আল্লাহ আপনাদেরকে রহম করুন।
বিস্তারিত জানতে বইটি পড়ুন: মাওলানা(!) ওলীপুরির নারীদের মসজিদে না যাওয়ার বক্তব্যের জবাব
উত্তর লিখেছেন আমাদের ভাই আনিসুর রহমান। আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'আলা তাকে জাজায়ে খায়ের দান করুন আমীন।
আনিসুর রহমানের ফেসবুক আইডি: Click this link
বিষয়: বিবিধ
৩৪৩৪ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কোন উত্তমের ব্যতিক্রম করা হারাম বা অবৈধ নয়। যেমন ‘’ফরয ছাড়া অন্য সলাত বাড়ীতে পড়া কোন ব্যক্তির জন্য সর্বোত্তম সলাত’’ মুসলিম ৭৮১
এমনকি মসজিদে নববীতে সুন্নত বা নফল সলাত আদায় করার চাইতে নিজ ঘরে আদায় করা অধিক উত্তম’’ আবু দাউদ ১০৪৪ (আলবানি সহীহ বলেছেন)
উপরোক্ত হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি পুরুষদের জন্য সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করা অধিক উত্তম এবং মসজিদে জায়েজ। এখন এই হাদিস দিয়ে কেউ যদি দলীল পেশ করেন ‘মসজিদে সুন্নত বা নফল নামাজ অবৈধ’ তাহলে তিনি নিশ্চিত ভুলের মধ্যে পতিত হবেন। কারন উত্তমের ব্যাতিক্রম হওয়া মানেই হারাম নয়। অনুরুপভাবে নারীদের ঘরে নামাজ পড়া উত্তম হলেও মসজিদে আদায় করা জায়েজ।
আরোও বিস্তারিত জানতে বইটি পড়ুন। তাহলে ক্লিয়ার হবে।
এখানে ওলীপুরীর বাজে মন্তব্যর দলিল ভিত্তিক জবাব দেয়া আছে। ভালো করে বইটা পড়ুন। উপরে আমি আপনাকে সুন্দর করে উদাহরন দিয়েও দেখিয়েছি। এখানে বিতর্কর কিছু নাই।
হালাল ও হারাম করা আল্লহ ও তার রসুল (সা) এর কাজ। আশাকরি বুঝছেন। নারিরা মসজিদে যেতে পারে জদি চান। কিন্তু তার বক্তব্য শুনে দেখুন তিনি কি বলেন।
(সহিহ আল বুখারী, অধ্যায় মুনাফিকের লক্ষন, হাদিস নং-৩৪)
(সহিহ আল বুখারী, অধ্যায় মুনাফিকের লক্ষন, হাদিস নং-৩৪)
বর্তমান সময় এর দোহাই দিয়ে যারা নারির মসজিদে যাওয়া নিষিদ্ধ দাবি করতে চান তারা কিন্তু নারির বাজারে যাওয়া নিষিদ্ধ করতে চাননা। অথচ মসজিদে নারিদের যাওয়ার পুর্ন অনুমোদন আছে। অনেকে হযরত উমর(রাঃ) এবং উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়শা (রাঃ)এর দুটি বক্তব্য দিয়ে মসজিদে নারিদের নামাজ পড়া কে হারাম বলতে চান। কিন্তু বক্তব্যগুলি ভালভাবে পড়লে বুঝা যায় সেগুলি ছিল মন্তব্য মাত্র। মতামত নয়। এই নিয়ে ফালতু বিতর্ক যারা করতে চায় তারা ইসলামের পক্ষে বলে মনে হয়না।
বিশেষ করে ওয়াজের মজলিসে আমাদের দেশে ব্যানারে লেখা হয় "মহিলাদের জন্য আলাদা সুব্যাবস্থা আছে" এখানে যাওয়া যায়েজ অথচ রসুল (সা) বলেছেন মসজিদে যেতে সেখানে যাওয়া নিষেধ!!!
মাথায় আসে না।
কিছু আরব দেশে মসজিদে গিয়ে মেয়েরা ছেলেদের মত করে নামায পড়তে আরম্ভ করছে, আরো বেশ নতুন সমস্যা তৈরী হচ্ছে নারীরা মসজিদ যাওয়ায়। কুরুচি কর্মের প্রতিবাদ করতে গেলে ভাষা একটু কুরুচি হওয়ায় স্বাভাবিক। যেমন তেতুল তত্ব
আমাদের এই লেখা সেই ফেতনাবাজদের কোন স্থান নাই। ভালোকরে বইটা পড়লে বুঝে আসবে ইনশাআল্লাহ।
আরো বিস্তারিত জানতে উপরে ভিডিও দিয়েছি শায়খ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের বক্তব্য শুনুন।
আর এখানে উত্তম-নিরুত্তমের মাসআলা নয়, ফিতনার ব্যাপারটাই আগে।
ওলিপুরী আমার-আপনার মত দু চারটা ব্লগ লেখে ওলীপুরী হননি, ওনি তো মহিলাদের নিন্দা করেন নি, করেছেন ঐ মতলববাজ আলেমদের যারা মহিলাদের জামাতে আসার জন্য উৎসাহ দেয়। নিজের ইচ্ছাতে মসজিদে যাওয়া আর আরেকজনের উসকানি, উৎসাহ কিংবা হুজুগে মসজিদে যাওয়া এক জিনিস নয়।
একজন আলেম হিসেবে কিছু দুষ্ট কথিত আলেমের সমালোচনা তিনি করতেই পারেন। আপনার তাতে মাথাব্যথার কি কারণ? তওবা করতে বলার আগে নিজে তওবা করুন।
কারন, আপনি সিদ্ধান্ত নিয়েই গবেষণা আর প্রমাণ খুজতে নেমেছেন-যা গ্রহণযোগ্য নয়।যে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে যে মহিলদের মসজিদে এনেই ছাড়বে তার দলিল-দস্তবেজের কমতি থাকবে না, আর সে উত্তম-নিরুত্তমেরও ধার ধারবে না।
তাই গবেষণা করে সিদ্ধান্ত নিন। সদ্ধান্ত নিয়ে গবেষণা করবেন না আল্লাহর ওয়াস্তে।
এখানে সিদ্ধান্ত রসুল(সা) দিয়ে গেছেন। আপনার আমার সিদ্ধন্ত কিছুই না।
কথা হচ্ছে হক কোনটা সেটা জানতে হবে।
নারীদের ঘরে নামাজ পড়া উত্তম হলেও মসজিদে আদায় করা জায়েজ।
এই সম্মন্ধ্যে এখানে বলা আছে।
আলহামদুলিল্লাহ যেআমি ওলীপুরী না। আমি ইমরান আল্লাহর গোলাম।
ভালোকরে বইটা পড়েন ভিডিও দেখেন তাহলে মাথায় ঢুকবে ইনশাআল্লাহ।
যারা মনসুর হাল্লাজকে আইনাল হাক্ক মানে তাদের থেকে দুরে থাকাই উত্তম।
আল্লাহ আরো বলেছেন اتبعوا من لا يسئلكم اجرا و هم مهتدون আপনার শেখরাতো বিনিময় গ্রহন করে, তাই তাদের অনুস্বরণ করা যাবে কি ?
দুই একটা হাদিস পড়ে বা জেনে নিজে আমল করা যেতে পারে, ফতোয়া দেয়া যায় না। ফতোয়া দিতে হলে সবগুলো হাদীস ব্যাখ্যা সহ জানা থাকতে হবে। না হয় কিন্ত ضلوا و اضلوا মনে থাকে যেন। মসজিদে যাওয়ার হুকুম সম্পর্কে আয়েশা রা. এর হাদীস স্বরণ আছো তো ? .......
সোনালী যুগের এ অবস্থা হলে বর্তমান রুপালী যুগের কি অবস্থা হবে ? একটু ভেবে দেখবেন কি??
যে যুগে মেয়েরা মা বোনেরা দিন দপুরে পথে,ঘাটে, স্কুল কলেজে, হাট বাজারে, হসপিটালে মার্কেটে ধর্ষীত হচ্ছে, অতঃপর লাশ মিলছে সে যুগে আবার মসজিদে যাওয়ার কথা ? ভাবলেন কেমন করে ?
এরপরও যদি আপনার মন চায় আপনার মা বোনদের মসজিদে পাঠাইয়েন (ধর্ষীত হলে কাঁদবেন না কিন্তু কইলাম) আমরা কিন্তু পাঠাব না এবং আমাদের আয়ত্বে যারা আছেন তাদেরকেও যেতে দিব না। আল্লাহ বলেছেন يا ايها الذين امنوا قوا انفسكم و اهليكم نارا আল্লাহ পাক সবাইকে বুঝার তাওফীক দিন।
মনেহয় ভুলে গেছেন কোরআনে আল্লাহ এটও বলেছেন "মানুষ শ্রম নির্ভর"
আর পুরা বিষয়টি না পড়ে কমেন্ট করছেন তা বোঝা যাচ্ছে কেননা আপনার কমেন্ট আংশিক। পুরাটা পরেন আর বোঝেন। ভিডিওগুলা দেখেন যদি চোখ সিল মারা না থাকে।
আর আমার মা বোন ধষিত হলে আপনার কোন কষ্ট হবে না তা তো বোঝা যায়।
কেননা আপনি এক মুসলিমের কষ্টে তো কষ্ট পান না। আমরা মুসলিমরা তো ইটের মতো একজেনর কষ্টে অন্য জন ব্যাথা পাইভাই।
এখন চিন্তা করেন মুলিমের কষ্টে, কষ্ট পায়না কে??
তা ছাড়া আমার প্রশ্ন ও দলিল গুলো এড়িয়ে গেলেন কেন ? কুরআন হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়ারই কথা।
ভালকরে বইটা পড়ুন তাহলে সব উত্তর পাবেন।
কাজ করে। ৫০% মহিলাকে ইসলাম থেকে
দুরে রাখা ঠিক না। বোনদের জন্য মসজিদের দরজা খুলে দেওয়া উচিৎ।
এই ওলীপুরীর কোথাও ওয়াজ হলে দেখবেন সেখান লেখা থাকবে "মহিলাদের সু ব্যাবস্থা আছে"
চিন্তা করেন মসজিদে যাওয়া যাবে না কিন্তু তার লেকচার শুনতে যাওয়া যাবে।
হায়রে আলেম......।
মেয়েরা মসজিদে যেতে পারে তাতে বাধা দেবার কেউ নাই। তবে অবশ্যই শরীয়তের ভিতরে থেকে।
ধন্যবাদ নকলবাজ ভাইয়া
জাজাকাল্লাহু খায়রান গ্যাঞ্জাম ভাই। দারুন গ্যাঞ্জাম কমেন্টস করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
""দুষ্ট মৌলভীরা মসজিদে নারীদেরকে উপভোগ করতে চায়""
কতটুকু নিচু মানুষ হলে এরখম কথা বলা যায় যে মসজিদে নারিকে উপভোগ করবে???
আসতাগফিরুল্লাহ!
এদের ধ্যান ধারনাই কি বিশ্রি.....
আল্লহা এদের তাওফিক দিন সঠিক বোঝার।
নাকি না পড়েই পিলাচ..
মন্তব্য করতে লগইন করুন