‘’দুষ্ট মৌলভীরা মসজিদে নারীদেরকে উপভোগ করতে চায়’’ ----নুরুল ইসলাম ওলীপুরী

লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ১৫ আগস্ট, ২০১৪, ১১:৪৪:৫০ সকাল



ওলিপুরি সাহেবের কুরআন ও হাদিস বিরোধী এবং অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদঃ

আমরা কয়েকদিন আগে নুরুল ইসলাম ওলিপুরি সাহেবের একটি ভিডিও বক্তব্য শুনলাম। সেখানে তিনি নারীদের মসজিদে গমনের বিরোধিতা করে বক্তব্য দিয়েছেন। বিরোধিতা তিনি করতেই পারেন, সেই অধিকার ওনার আছে। কিন্তু যে ভাষায় তার মতো একজন আলেম বক্তব্য দিলেন তা কোনভাবেই ইসলামী শিষ্টাচারের মধ্যে পরে না।

উনি বক্তব্যের এক পর্যায়ে উল্লেখ করেছেনঃ

''নারীরা মসজিদে গিয়ে জামা’আতের সাথে নামাজ আদায় করবে এটা একটা নয়া ফ্যাশন, নামাজের নামে এটা ফ্যাশন’’ এবং ‘’দুষ্ট মৌলভীরা মসজিদে নারীদেরকে উপভোগ করতে চায়’’ (লা হাওলা ওয়ালা কু’ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)


আমরা হতবাক হয়ে গেলাম উনার এই কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে। জামা’আতে মহিলাদের অংশগ্রহণকে তিনি ‘নয়া ফ্যাশন’ বলে উপহাস করেছেন। তিনি শরীয়ত সম্মত ইবাদতকে ‘নয়া ফ্যাশন’ বলে কটাক্ষ করেছেন।

আমরা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বলতে চাই এটা ‘ফ্যাশন’ নয় এটা ইবাদত, যার অনুমতি স্বয়ং রাসুল (সাঃ) দিয়েছেন। আর যে অনুমতি রাসুল (সাঃ) ১৪০০ বছর আগে দিয়ে রেখেছেন সেটাকে ‘নতুন’ বলা জ্ঞানের দৈন্যতাই প্রকাশ করে।


তিনি আরও বলেছেনঃ ''দুষ্ট মৌলভীরা মসজিদে নারীদেরকে উপভোগ করতে চায়’’

আবারো আমরা বলিষ্ঠ কণ্ঠে উনার এই অশ্লীল বক্তব্যের প্রতিবাদ করছি। প্রতিবাদ স্বরূপ আমরা বলতে চাই, এই অনুমতি যার উপর ওয়াহী নাযিল হয়েছে নাবী মুহাম্মাদ (সাঃ) স্বয়ং তিনি দান করেছেন। তাহলে আপনার এই কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য কার উপর গিয়ে পরে আমরা তা ভেবে দেখার অতঃপর তাওবা করার অনুরোধ করছি।



ওলিপুরী সাহেবের বক্তব্যের লিঙ্কঃ


Click this link



মহিলা ও পুরুষের সালাতে কি পার্থক্য? দেখুন শায়খ কামালুদ্দিন জাফরী কি বলেন:


মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে আমরা আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। মহিলারা মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করবে এটা রাসুল (সাঃ)-এর যামানা থেকেই প্রচলিত। মহিলা সাহাবীরা মসজিদে নামাজ আদায় করতে যেতেন। তবে এটা মহিলাদের উপর ফরজ বা ওয়াজিব নয়।

আমরা বিশ্বাস করি মহিলাদের জন্য ঘরে নামাজ পড়াই উত্তম। আমরা আরও বিশ্বাস করি মহিলাদের মসজিদে গমন ইসলাম স্বীকৃত অধিকার। আমরা আরও বিশ্বাস করি তাদের সেই অধিকারে বাঁধা দেয়ার অধিকার কারো নেই।

নিম্নে আমরা আমাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে দলীল উপস্থাপন করলাম। আমরা সস্তা জনপ্রিয়তায় বিশ্বাসী নই, আমরা একটা পরিপূর্ণ জবাব দিতে চেষ্টা করেছি। সেই কারনে আমাদের লেখাটা বিশাল হয়ে গেছে। আমরা বিভিন্ন অধ্যায়ে আমাদের লেখাটা শেষ করেছি। সম্মানিত পাঠকগণ ধৈর্য সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে ‘মসজিদে মহিলাদের উপস্থিতির’ ব্যাপারে সঠিক দিক নির্দেশনা লাভ করতে পারবেন ইন শা আল্লাহ।

মহান আল্লাহ আপনাদেরকে রহম করুন।

বিস্তারিত জানতে বইটি পড়ুন: মাওলানা(!) ওলীপুরির নারীদের মসজিদে না যাওয়ার বক্তব্যের জবাব

উত্তর লিখেছেন আমাদের ভাই আনিসুর রহমান। আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'আলা তাকে জাজায়ে খায়ের দান করুন আমীন।

আনিসুর রহমানের ফেসবুক আইডি: Click this link

বিষয়: বিবিধ

৩৩৯২ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

254492
১৫ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:৫০
কাহাফ লিখেছেন : মহিলাদের মসজিদে গমণ বিষয়ে হুকুম হল-বর্তমান পরিবেশ পরিস্হিতি বিবেচনা করে মসজিদে না যাওয়া সবচেয়ে উত্তম, উত্তম ফেলে কেন বিতর্ক..........?
১৫ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
198226
ইমরান ভাই লিখেছেন : ইবন উমার (রাঃ) সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’তোমরা তোমাদের নারীদের মসজিদে যেতে নিষেধ করো না। তবে তাদের ঘরই তাদের জন্য উত্তম’’ আবু দাউদ ৫৬৭; আহমাদ ৫৪৬৮; ইবন খুজায়মাহ ১৬৮৪ (আলবানি হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন)

কোন উত্তমের ব্যতিক্রম করা হারাম বা অবৈধ নয়। যেমন ‘’ফরয ছাড়া অন্য সলাত বাড়ীতে পড়া কোন ব্যক্তির জন্য সর্বোত্তম সলাত’’ মুসলিম ৭৮১
এমনকি মসজিদে নববীতে সুন্নত বা নফল সলাত আদায় করার চাইতে নিজ ঘরে আদায় করা অধিক উত্তম’’ আবু দাউদ ১০৪৪ (আলবানি সহীহ বলেছেন)

উপরোক্ত হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি পুরুষদের জন্য সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করা অধিক উত্তম এবং মসজিদে জায়েজ। এখন এই হাদিস দিয়ে কেউ যদি দলীল পেশ করেন ‘মসজিদে সুন্নত বা নফল নামাজ অবৈধ’ তাহলে তিনি নিশ্চিত ভুলের মধ্যে পতিত হবেন। কারন উত্তমের ব্যাতিক্রম হওয়া মানেই হারাম নয়। অনুরুপভাবে নারীদের ঘরে নামাজ পড়া উত্তম হলেও মসজিদে আদায় করা জায়েজ।

আরোও বিস্তারিত জানতে বইটি পড়ুন। তাহলে ক্লিয়ার হবে।
১৫ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৯
198373
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : এই ফতওয়াডা আপনে কুন কেতাবে পাইলেন? উত্তম ফতওয়াডা তাহলে মক্কা এবং মদিনায় কেন বাস্তবায়ন হচ্ছে না হুজুর?
254503
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : খুবই দুখঃজনক Sad
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
198243
ইমরান ভাই লিখেছেন : সত্যিই দুঃখ জনক মাওলানার তওবা করা উচিত বলে আমরা মনে করি। Happy
254504
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
কাহাফ লিখেছেন : "পরিবেশ ও অবস্হার কারণে হুকুম বদলায়" "হারামও হালাল হয়ে যায়, আবার হালাল কাজও হারাম হয়ে যায়" এখনকার ফেতনাময় সময়ে মসজিদের নামে মহিলাদের কে বাহিরে না আনলেই নয় কি.......? বিতর্ক না করে একতা বদ্দ্ব হওয়া দরকার সবার।
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
198242
ইমরান ভাই লিখেছেন : এখানে বিতর্ক করা হয় নাই। ভালো করে বইটা ডাউনলোড করে পড়ে দেখুন তাহলে ক্লিয়া হয়ে যাবে ভাই।

এখানে ওলীপুরীর বাজে মন্তব্যর দলিল ভিত্তিক জবাব দেয়া আছে। ভালো করে বইটা পড়ুন। উপরে আমি আপনাকে সুন্দর করে উদাহরন দিয়েও দেখিয়েছি। এখানে বিতর্কর কিছু নাই।

হালাল ও হারাম করা আল্লহ ও তার রসুল (সা) এর কাজ। আশাকরি বুঝছেন। নারিরা মসজিদে যেতে পারে জদি চান। কিন্তু তার বক্তব্য শুনে দেখুন তিনি কি বলেন।
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
198245
ইমরান ভাই লিখেছেন : আপনি বই ডাউনলোড করতে না পারলে এখানে গিয়ে দেখেন তাহলেও হবে...Click this link
254514
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৪১
মাহফুজ আহমেদ লিখেছেন : উনি প্রায়ই অশালীন ভাষায় অন্য আলেমের সমালোচনা করেন।
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:০৫
198251
ইমরান ভাই লিখেছেন : আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা) হতে বণির্ত :নবী (সা) বলেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে বিদ্যমান সে হচ্ছে খাটি মুনাফেক। যার মধ্যে এর কোন একটি স্বভাব থাকবে, তা পরিত্যগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকের একটি লক্ষন থেকেই যায়। ১. আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে ২. কথা বললে মিথ্যা বলে ৩. অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে ৪. বিবাদে লিপ্তহলে অশ্লিল ভাবে গালাগালি করে।
(সহিহ আল বুখারী, অধ্যায় মুনাফিকের লক্ষন, হাদিস নং-৩৪)
254529
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৫২
নিউজ ওয়াচ লিখেছেন : মাহফুজ আহমেদ লিখেছেন : উনি প্রায়ই অশালীন ভাষায় অন্য আলেমের সমালোচনা করেন।
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:০৫
198252
ইমরান ভাই লিখেছেন : আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা) হতে বণির্ত :নবী (সা) বলেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে বিদ্যমান সে হচ্ছে খাটি মুনাফেক। যার মধ্যে এর কোন একটি স্বভাব থাকবে, তা পরিত্যগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকের একটি লক্ষন থেকেই যায়। ১. আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে ২. কথা বললে মিথ্যা বলে ৩. অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে ৪. বিবাদে লিপ্তহলে অশ্লিল ভাবে গালাগালি করে।
(সহিহ আল বুখারী, অধ্যায় মুনাফিকের লক্ষন, হাদিস নং-৩৪)
254538
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:০৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : মসজিদে নারিদের নামাজ পড়া কিংবা মসজিদে শিশুদের যাওয়া নিয়ে কিছু মানুষ এর আচরন আইয়ামে জাহিলিয়াত এর তুল্য। তারা কেবল বয়স্ক পুরুষদেরই মানুষ ও মুসলিম মনে করেন! ব্যাপারটা বোধ হয় প্রাচিন হিন্দু মানসিকতা থেকে আসছে। যেখানে নারি সবসময় শুদ্র এবং উপনয়ন না হওয়া পর্যন্ত বালকরাও বেদপাঠ ইত্যাদির অধিকারি নন।
বর্তমান সময় এর দোহাই দিয়ে যারা নারির মসজিদে যাওয়া নিষিদ্ধ দাবি করতে চান তারা কিন্তু নারির বাজারে যাওয়া নিষিদ্ধ করতে চাননা। অথচ মসজিদে নারিদের যাওয়ার পুর্ন অনুমোদন আছে। অনেকে হযরত উমর(রাঃ) এবং উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়শা (রাঃ)এর দুটি বক্তব্য দিয়ে মসজিদে নারিদের নামাজ পড়া কে হারাম বলতে চান। কিন্তু বক্তব্যগুলি ভালভাবে পড়লে বুঝা যায় সেগুলি ছিল মন্তব্য মাত্র। মতামত নয়। এই নিয়ে ফালতু বিতর্ক যারা করতে চায় তারা ইসলামের পক্ষে বলে মনে হয়না।
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:৫২
198260
ইমরান ভাই লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খায়রান।
বিশেষ করে ওয়াজের মজলিসে আমাদের দেশে ব্যানারে লেখা হয় "মহিলাদের জন্য আলাদা সুব্যাবস্থা আছে" এখানে যাওয়া যায়েজ অথচ রসুল (সা) বলেছেন মসজিদে যেতে সেখানে যাওয়া নিষেধ!!!

মাথায় আসে না। Love Struck
254548
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:৩৯
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা লিখেছেন : খেয়াল করবেন, কিছুদিন পূর্বে লন্ডনে মহিলারা জুমার ইমামতি শুরু করেছে।
কিছু আরব দেশে মসজিদে গিয়ে মেয়েরা ছেলেদের মত করে নামায পড়তে আরম্ভ করছে, আরো বেশ নতুন সমস্যা তৈরী হচ্ছে নারীরা মসজিদ যাওয়ায়। কুরুচি কর্মের প্রতিবাদ করতে গেলে ভাষা একটু কুরুচি হওয়ায় স্বাভাবিক। যেমন তেতুল তত্ব
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:৫৪
198262
ইমরান ভাই লিখেছেন : যারা ইসলাম জানে না তারা আপনার মতো চিন্তা করতে পারে। ইসলামে মহিলার ইমামতি হারাম । তাই যারা এরখম করে তারা তো ফেতনাবাজ।

আমাদের এই লেখা সেই ফেতনাবাজদের কোন স্থান নাই। ভালোকরে বইটা পড়লে বুঝে আসবে ইনশাআল্লাহ।

আরো বিস্তারিত জানতে উপরে ভিডিও দিয়েছি শায়খ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের বক্তব্য শুনুন।
254560
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৭
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা লিখেছেন : ভাই, না বুঝে কথা বলবেন না। আমি বলতে চেয়েছি ঐ সকল ফিতনা শুধুমাত্র মহিলারা মসজিদে যাওয়ার দরূণ ঘটেছে।

আর এখানে উত্তম-নিরুত্তমের মাসআলা নয়, ফিতনার ব্যাপারটাই আগে।

ওলিপুরী আমার-আপনার মত দু চারটা ব্লগ লেখে ওলীপুরী হননি, ওনি তো মহিলাদের নিন্দা করেন নি, করেছেন ঐ মতলববাজ আলেমদের যারা মহিলাদের জামাতে আসার জন্য উৎসাহ দেয়। নিজের ইচ্ছাতে মসজিদে যাওয়া আর আরেকজনের উসকানি, উৎসাহ কিংবা হুজুগে মসজিদে যাওয়া এক জিনিস নয়।
একজন আলেম হিসেবে কিছু দুষ্ট কথিত আলেমের সমালোচনা তিনি করতেই পারেন। আপনার তাতে মাথাব্যথার কি কারণ? তওবা করতে বলার আগে নিজে তওবা করুন।
কারন, আপনি সিদ্ধান্ত নিয়েই গবেষণা আর প্রমাণ খুজতে নেমেছেন-যা গ্রহণযোগ্য নয়।যে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে যে মহিলদের মসজিদে এনেই ছাড়বে তার দলিল-দস্তবেজের কমতি থাকবে না, আর সে উত্তম-নিরুত্তমেরও ধার ধারবে না।
তাই গবেষণা করে সিদ্ধান্ত নিন। সদ্ধান্ত নিয়ে গবেষণা করবেন না আল্লাহর ওয়াস্তে।
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৭
198289
ইমরান ভাই লিখেছেন : কিছু লেখার আগে উপরে ভিডিওর লিংক দেয়া আছে সেখানে গিয়ে দেখেন তিনি কি বলছেন অন্য শায়খরা কি বলছেন।

এখানে সিদ্ধান্ত রসুল(সা) দিয়ে গেছেন। আপনার আমার সিদ্ধন্ত কিছুই না।
কথা হচ্ছে হক কোনটা সেটা জানতে হবে।
নারীদের ঘরে নামাজ পড়া উত্তম হলেও মসজিদে আদায় করা জায়েজ।
এই সম্মন্ধ্যে এখানে বলা আছে।

আলহামদুলিল্লাহ যেআমি ওলীপুরী না। আমি ইমরান আল্লাহর গোলাম।
ভালোকরে বইটা পড়েন ভিডিও দেখেন তাহলে মাথায় ঢুকবে ইনশাআল্লাহ।

যারা মনসুর হাল্লাজকে আইনাল হাক্ক মানে তাদের থেকে দুরে থাকাই উত্তম।
১৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:৩০
198416
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা লিখেছেন : ভাই, যতটা না জায়েজ তারচেয়ে বেশি নাজায়েজ শুধুমাত্র ফিতনার কারনে। তিন পয়সার উসূলে ফিকহ জানেন না, আবার নিজেই খামকা প্যান প্যান লাগাইসেন। আহলে হাদিসদের যে দশা হয় আরকি!!
২৬ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৯:৩৭
201996
ইমরান ভাই লিখেছেন : আপনি জানেনতো? বেশ ভালো। ডাইলপুরি খান তাতেই আপনার চলবে।
254580
১৫ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:০৩
আবু জান্নাত লিখেছেন : আপনার কথা তো সৌদী আরবের রিয়াল দ্বারা পরিচালিত শেখদের মত মনে হচ্ছে। আপনি বললেন হালাল হারাম তো আল্লাহ ও রাসূল স. নির্ধারণ করে গেছেন। ইসলামী দাওয়া সেন্টারে কাজ করে এর প্রতিদান নেওয়া তো আল্লাহ হারাম করেছেন, কুরআন মাজীদে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ আছে و لا تشترو بايات الله ثمنا قليلا তোমরা কুরআনের খেদমত করে এর বিনিময় গ্রহন করো না। আপনার রেফারেন্স দেওয়া শেখগণ কেন রিয়াল গ্রহন করে ??
আল্লাহ আরো বলেছেন اتبعوا من لا يسئلكم اجرا و هم مهتدون আপনার শেখরাতো বিনিময় গ্রহন করে, তাই তাদের অনুস্বরণ করা যাবে কি ?
দুই একটা হাদিস পড়ে বা জেনে নিজে আমল করা যেতে পারে, ফতোয়া দেয়া যায় না। ফতোয়া দিতে হলে সবগুলো হাদীস ব্যাখ্যা সহ জানা থাকতে হবে। না হয় কিন্ত ضلوا و اضلوا মনে থাকে যেন। মসজিদে যাওয়ার হুকুম সম্পর্কে আয়েশা রা. এর হাদীস স্বরণ আছো তো ? .......
সোনালী যুগের এ অবস্থা হলে বর্তমান রুপালী যুগের কি অবস্থা হবে ? একটু ভেবে দেখবেন কি??
যে যুগে মেয়েরা মা বোনেরা দিন দপুরে পথে,ঘাটে, স্কুল কলেজে, হাট বাজারে, হসপিটালে মার্কেটে ধর্ষীত হচ্ছে, অত‍ঃপর লাশ মিলছে সে যুগে আবার মসজিদে যাওয়ার কথা ? ভাবলেন কেমন করে ?
এরপরও যদি আপনার মন চায় আপনার মা বোনদের মসজিদে পাঠাইয়েন (ধর্ষীত হলে কাঁদবেন না কিন্তু কইলাম) আমরা কিন্তু পাঠাব না এবং আমাদের আয়ত্বে যারা আছেন তাদেরকেও যেতে দিব না। আল্লাহ বলেছেন يا ايها الذين امنوا قوا انفسكم و اهليكم نارا আল্লাহ পাক সবাইকে বুঝার তাওফীক দিন।
১৫ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:১২
198316
ইমরান ভাই লিখেছেন : কাজ করেন তার পরে উপার্জন না করে সংসার চালাবেন কাজের পারিশ্রমিক নিবেন না।
মনেহয় ভুলে গেছেন কোরআনে আল্লাহ এটও বলেছেন "মানুষ শ্রম নির্ভর"

আর পুরা বিষয়টি না পড়ে কমেন্ট করছেন তা বোঝা যাচ্ছে কেননা আপনার কমেন্ট আংশিক। পুরাটা পরেন আর বোঝেন। ভিডিওগুলা দেখেন যদি চোখ সিল মারা না থাকে।

আর আমার মা বোন ধষিত হলে আপনার কোন কষ্ট হবে না তা তো বোঝা যায়।
কেননা আপনি এক মুসলিমের কষ্টে তো কষ্ট পান না। আমরা মুসলিমরা তো ইটের মতো একজেনর কষ্টে অন্য জন ব্যাথা পাইভাই।
এখন চিন্তা করেন মুলিমের কষ্টে, কষ্ট পায়না কে??

১৫ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:৫১
198343
আবু জান্নাত লিখেছেন : আপনি কষ্ট পেলে এই ফেতনার যুগে আপনার মা বোনদের মসজিদে পাঠাতে এত ব্যাকুল কেন ?
তা ছাড়া আমার প্রশ্ন ও দলিল গুলো এড়িয়ে গেলেন কেন ? কুরআন হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়ারই কথা।
১৭ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৮:০৫
198801
ইমরান ভাই লিখেছেন : উত্তর কাকে দিবো সেটাও বিবেচনার বিষয়। কেননা আপনি তো মুসলিমের কষ্টে কষ্ট পান না ভাই।
ভালকরে বইটা পড়ুন তাহলে সব উত্তর পাবেন।
১০
254598
১৫ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৫
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : আমেরিকা, ইউরোপ, কানাডা, সাউথ আমেরিকা,সব জায়গায় বোনদের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। কেবল বাংলাদেশ, পাকিস্থান, ইন্ডিয়া, আফগানিস্থান ছাড়া। বাহিরে দেশ গুলতো রিভারটেট বোনরাই বেশী দাওয়াতি
কাজ করে। ৫০% মহিলাকে ইসলাম থেকে
দুরে রাখা ঠিক না। বোনদের জন্য মসজিদের দরজা খুলে দেওয়া উচিৎ।
১৭ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৮:০৮
198802
ইমরান ভাই লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খায়রানা।
এই ওলীপুরীর কোথাও ওয়াজ হলে দেখবেন সেখান লেখা থাকবে "মহিলাদের সু ব্যাবস্থা আছে"
চিন্তা করেন মসজিদে যাওয়া যাবে না কিন্তু তার লেকচার শুনতে যাওয়া যাবে।

হায়রে আলেম......।
১১
254619
১৫ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৬
আফরা লিখেছেন : ভাল লাগল নকলবাজ ভাইয়া ! আমাদের এখানেও মহিলারা মসজিদে যায় । তবে আমি তেমন যাই না আমার মামনি যায় মাঝে মাঝে । মৌলভীরা যখন এই ধরনের ফাউল কথা বলে তখন আসলেই কষ্ট লাগে ।ধন্যবাদ নকলবাজ ভাইয়া ।
১৭ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৮:০৯
198803
ইমরান ভাই লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খায়রান আফরাম্নি + মনাপাখি।
মেয়েরা মসজিদে যেতে পারে তাতে বাধা দেবার কেউ নাই। তবে অবশ্যই শরীয়তের ভিতরে থেকে।

ধন্যবাদ নকলবাজ ভাইয়া Crying Crying
১২
254630
১৫ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩১
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : আমাগো দেশে অনেক ধরনের পুরী পাওন যায়। ডাইলপুরি, ক্বিমাপুরি, বাদামপুরী, চনামুড়ি ইত্যাদি। এসব পুরিগুলোর স্বাদ নির্ভর করে কারিগরের দক্ষতা এবং রেসিপি তৈরীর উত্তম ফর্মূলা প্রয়োগ করার দক্ষতার উপর। কেন্তু ব্যতিক্রম শুধু ওলিপুরী নামের ভেজাল এবং নষ্ঠ হয়ে যাওয়া বাসী মাল দিয়ে তৈরী পুরীডাই। এই পুরীডার মূখ দিয়ে শুধু নোংরা দূর্গন্ধই বের হয়। পঞ্চ ইন্দ্রীয় সজাগওয়ালা কুনো মানুষের পক্ষে খাওয়া তো পরের কথা এই পুরীডার দূর্গন্ধ পর্যন্ত সহ্যা করা সম্ভব নয়।
১৭ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৮:১১
198804
ইমরান ভাই লিখেছেন : কিছু কিছু জর্দাও আছে এই যেমন, হাকিমপুরী,মনিপুরী,বাবাপুরী,পানপুরী.... এই জর্দা খাওয়া হারাম। তাই পুরী থেকে সাবধান। Love Struck

জাজাকাল্লাহু খায়রান গ্যাঞ্জাম ভাই। দারুন গ্যাঞ্জাম কমেন্টস করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৩
254656
১৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৪৪
বুড়া মিয়া লিখেছেন : কার মনে যে কি আছে, কে যে কি জন্য কি কয় – আল্লাহই জানে! আলেম-আলেম মারামারি করাটা খারাপ মনে হয় আমার।
১৭ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৮:১৪
198805
ইমরান ভাই লিখেছেন : এই ভাষাটা একবার চিন্তা করেন
""দুষ্ট মৌলভীরা মসজিদে নারীদেরকে উপভোগ করতে চায়""

কতটুকু নিচু মানুষ হলে এরখম কথা বলা যায় যে মসজিদে নারিকে উপভোগ করবে???
আসতাগফিরুল্লাহ!

এদের ধ্যান ধারনাই কি বিশ্রি.....
আল্লহা এদের তাওফিক দিন সঠিক বোঝার।
১৪
254681
১৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০২
প্রিন্সিপাল লিখেছেন : রাসূলের ইসলামে যা জায়েজ, তা উলিপুরীর ইসলামে নাও থাকতে পারে। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
১৭ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৮:১৪
198806
ইমরান ভাই লিখেছেন : হুম ঠিক... জাজাকাল্লাহ। Love Struck
১৫
254711
১৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:৩৮
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : পিলাচ
১৭ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৮:১৫
198807
ইমরান ভাই লিখেছেন : Broken Heart Broken Heart Rolling Eyes বইটি পড়েছেন তো?
নাকি না পড়েই পিলাচ..Waiting
১৬
254761
১৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৪:১৫
১৭ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৮:২৩
198808
ইমরান ভাই লিখেছেন : At Wits' End At Wits' End At Wits' End Thumbs Up
১৭
256388
২০ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০০
একাকী মানুষ লিখেছেন : বুচছি (পিস টিভি)
২৬ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৯:৩৬
201995
ইমরান ভাই লিখেছেন : Happy ............ জাক আপনার জ্ঞানের অবস্থাও বুঝছি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File