সতর্কবার্তা : সৌদি মুফতিরা আসলে কি #ফতোয়া দিয়েছেন?
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ০৭ আগস্ট, ২০১৪, ০৮:২৯:০৩ সকাল
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن جَاءكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَأٍ فَتَبَيَّنُوا أَن تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَى مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ
মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও। [সুরা হুজুরাত: ৬]
১. “ইসরাইল বিরোধী মিছিল করা হারাম”
২. “ইসরাইলকে অভিশাপ দেওয়া যাবেনা”
=> কোন মুসলমান যদি উপরের কথাগুলো শুনে মাথায় আগুন ধরে যাওয়ার কথা, ইসরাইল এর #বিরোধীতা করা যাবেনা, ইসরাইলকে #অভিশাপ দেওয়া যাবেনা!!?
=> কোন #আলেম কি এই ধরণের কথা বলতে পারেন??
=> সমস্যা হচ্ছে বর্তমান যুগের মুসলমানেরা তাদের দ্বীন কি জানেনা, কোনটা ইসলাম এবং কোনটা ইসলাম নয় – এটা অনেকেই জানেনা। তাই ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন শক্তি (কাফের, মুশরেক, মুনাফেক, শিয়া...) ওলামাদের কথাকে কাট-পেস্ট করে, আউট অফ কনটেক্সটে বলে সাধারণ মানুষকে ওলামাদের ব্যপারে ভুল বোঝায়।
নিচে কথিত যেই বিতর্কিত ফতোয়ার কথা বলা হয়েছে, চলুন দেখি ওলামারা আসলে কি বলেছিলেন, আর তারা যা বলেছেন তা কতটুকু সঠিক?
+++> ১. “ইসরাইল বিরোধী মিছিল করা হারাম”!!
বর্তমানে কেউ কেউ সৌদি #গ্র্যান্ড_মুফতির একটা কথাকে ভুলভাবে প্রচার করছে। তারা বলছে, সৌদি মুফতি নাকি বলেছেন, “ইসরাইল বিরোধী মিছিল করা হারাম”।
প্রকৃতপক্ষে ইসলামের দুশমন মুনাফেক মিডিয়া ও বিভ্রান্ত দল শিয়ারা (প্রেস টিভি, রেডিও তেহরান ইত্যাদি) গ্র্যান্ড মুফতি, আল-আল্লামাহ শায়খ আব্দুল আজীজ ইবনে আব্দুল্লাহ আহলে-শায়খ (হাফিঃ) এর একটা কথাকে ভুলভাবে প্রচার করছে।
প্রকৃতপক্ষে সৌদি প্রধান মুফতি বলেছেনঃ
“এই ধরণের মিছিল-সমাবেশ কোন উপকারে আসে না। এই ধরণের গণতান্ত্রিক কার্যক্রম কোন সাহায্য করতে পারবে না। এসব করার চেয়ে তাদের সাহায্যের জন্য ফান্ড গঠন করা, তাদেরকে সাহায্য ও অনুদান দেওয়া, এসবই বেশি কাজে আসবে।” - শায়খ আব্দুল আজীজ ইবনে আব্দুল্লাহ আহলে-শায়খ (হাফিঃ)।
এই পুরো ফতোয়াটা পড়লে যে কেউ বুঝতে পারবে যে, গ্র্যান্ড মুফতি আসলে ইসরায়েলের বিরোধীতা করতে নিষেধ করেন নি। তিনি ইসরায়েলের বিরোধীতা হিসেবে #মিছিল করার কোন উপকার নেই বলেছেন, যা আসলে তিনি ঠিকই বলেছেন।
কিন্তু বিরোধীরা গ্র্যান্ড মুফতির বিরুদ্ধে তাদের মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে। একজনকে কমেন্ট করে জানালাম, সে আমার কমেন্ট ডিলিট করে দিয়েছে। যাইহোক, আল্লাহই তাদের সঠিক প্রতিদান দিবেন।
আরেকটা কথা, হরতাল ও মিছিল করার মাঝে কোন উপকার নেই, এই ধরণের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করা জায়েজ নয় - এই ফতোয়া আধুনিক যুগের সমস্ত ওলামারাই দিয়েছেন, এমনকি তাদের মাঝে #ইজমা আছে এই কথাটির উপরে যে, মিছিল করা বলতে কোন কিছু ইসলামে নেই।
কিছু বড় আলেমদের নাম দেওয়া হলো যারা মিছিল করা জায়েজ নয় বলে ফতোয়া দিয়েছেনঃ শায়খ বিন বাজ, শায়খ আলবানী, শায়খ উসায়মিন সহ বিগত ও বর্তমান শতাব্দীর সমস্ত ওলামারা।
শায়খ সালিহ আস-শুহাইমি বলেছেনঃ
“এই সমস্ত কর্মকান্ড হচ্ছে ‘আমালু সুফাহাহ’ বা বোকা লোকদের কাজ”।
হরতাল, মিছিল এইসব কখনো ইসলামের পথ হতে পারে না। বরং এই ধরণের ফেতনা-ফাসাদের কাজগুলো কাফের-মুশরেকদের কাছ থেকে মুসলিম সমাজের আমদানী করা হয়েছে, যাতে করে মুসলমান সমাজে বিশৃংখলা ও ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করে তাদের উপর তাদের উপর নিয়ন্ত্রন নিতে পারে। উদাহরণ হিসেবে দেখুন – মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের বিরুদ্ধে মিছিল-সমাবেশ করে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে #মুসলিম ব্রাদারহুড। কিছুদিন পরে একই পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট মুরসিকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে সেনাবাহিনী প্রধান সিসি।
ইতিহাসে এইকথা বারবার প্রমানিত হয়েছে যে, ইয়াহুদী খ্রীস্টানদের শিরকি পদ্ধতি গণতন্ত্র, ভোট ও এর বিভিন্ন শরীয়তবিরোধী কার্যক্রম বিক্ষোভ মিছিল ও সরকারবিরোধী সমাবেশ মুসলমানদের কোন উপকারে আসেনা, বরং অনেক রক্তপাত ও ক্ষতি করেছে।
মুসলিমদের ইতিহাসে প্রথম বিক্ষোভ সমাবেশ করে একদল বিপথগামী লোক উসমান রাঃ এর যামানায়, যার ফলে তাঁকে শহীদ হতে হয়েছিল। তাই সুন্নী ভাই ও বোনদের উচিত আবেগকে বর্জন করে ক্বুরান ও সুন্নাহর দলীল ভিত্তিক জীবন পরিচালনা করা।
+++> ২. “ইসরাইলকে অভিশাপ দেওয়া যাবেনা”
ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেছেন, “সমস্ত ওলামারা একমত হয়েছেন যে, ইসরাইল হচ্ছে ইয়াকুব আঃ (ইসহাক আঃ এর পুত্র, ইব্রাহীম আঃ এর নাতি)।”
হিব্রু ভাষায় #ইসরাইল অর্থ হচ্ছে – আল্লাহর বান্দা, সে হিসেবে ইয়াকুব আঃ এর অন্য আরেক নাম ছিলো ইসরাইল। আর জায়োনিস্ট ইয়াহুদীরা নিজেদেরকে ইয়াকুব আঃ এর অনুসারী হিসেবে দাবী করার কারণে ফিলিস্থিন দখল করে তাদের সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের নাম রাখ #ইসরায়েল।
এজন্য আল-আল্লামাহ, শায়খ সালেহ আল-ফাওজান (হাফিঃ) ফতোয়া দিয়েছেন যে, ইসরায়েলকে অভিশাপ দেওয়া যাবেনা কারণ ইসরায়েলকে অভিশাপ দেওয়া মানে একজন নবীকে অভিশাপ দেওয়া, নাউযুবিল্লাহ। ইসরায়েলকে অভিশাপ না করে, বলতে হবে ইয়াহুদী বা ইয়াহুদী রাষ্ট্রের উপর আল্লাহর অভিশাপ।
এখন কারো যদি মাথায় সামান্য ব্রেইন থাকে ও নবী রাসুলদের গালি দেওয়া কুফুরী, এই কথা জানা থাকে তাহলে একটু চিন্তা করে দেখুন, শায়খ ফাওজান এর ফতোয়া কি ঠিক, নাকি তাঁর নামে ইসলামের মিথ্যাবাদী দুশমনেরা যে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে সেটা ঠিক?
আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন।
বিস্তারিত এখানে: Click this link
বিষয়: বিবিধ
৬৮০৫ বার পঠিত, ৭৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইহুদি খৃষ্টানরা চায়ই মুসলিমদের মাঝে বিভেদ ছড়াতে আর তাদের দেশীয় দোষরতো আছেই। ইসলামের প্রানকেন্দ্র মক্কা ও মদিনাকে নষ্ট করার চাল এগুলো।
তবে সাউদি সরকার জালেম তাতে আমিও একমত কেননা বর্তমানে ভালো মানুষ শাসক হিসেবে পাওয়া দুস্কর।
তবে মক্কা ও মদিনার ইসলাম থাকবেই চিরোদিন।
মিছিল-সমাবেশ করার সহীহ কোন দলীল নেই তাই তা হারাম হতেই পারে অধিকন্ত সৌদি আরবের মাটিতেতো এমনিতেই সমাবেশ নিষিদ্ধ । মিশরেও যখন ইখওয়ানের সমর্থকদের প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সৌদ বাদশারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিয়ে জালেমদের সাহায্য করেছে। মুফতিরাতো সৌদ বাদশাহ নাখোস হবে এজন্য একটি নিন্দাও করতে পারেনি । পদ্ধতিগত ভুল থাকতে পারে । এটা সবার মনে রাখা উচিত, সবাই আল্লাহর সন্ত্তষ্টির জন্যই কাজ করছে ।
তবে মক্কা ও মদিনাকে ফাদে ফেলার চেষ্ট ইহুদি নাসারাদের সব সময়ের একটা ব্যাপার।
যেমন কেমানিক,ফখরুল এদের উদাহরন।
আর আমিও যে খাটি ঈমানদার সেটাও ঠিক নয়। আমিও ফাসিক মুসলিম।
আসন্ন হজেই ক্লিয়ার হয়ে যাবে উনার এবং উনার নিয়োগ দাতার অবস্থান - ইনশা আল্লাহ ।
আর এখানে ইসরায়েল বলতে ইয়াকুব (আঃ)কে বোঝানো হয় নি । ইহুদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে বলা হয়েছে । মুফতি সাহবে কিন্তু ইসরায়েল (আঃ) উচ্চারন করেন নি । আমরা সাধারনত কোন নবী বা রাসূলের নামের শেষে (আঃ) বলি ।
এই বনী ইসরায়েলের লোকেরা বার বার আল্লাহর নাফরমানী করাতে অভিশপ্ত হয়ে গেছে । আল্লাহ তাদের কিছু অংশকে বানরে পরিনত করেছিলেন শনিবারের ব্যাপারে নাফরমানি করার জন্য । আল্লাহর এই শাস্তি কি ইয়াকুব (আঃ) এর উপরও পড়েছিল বা পড়বে ? ঈসা (আঃ)কে নিয়ে খৃষ্টানরা যে শিরকীয় কথা বলে তার দায় কি ঈসা (আঃ) এর উপর বর্তাবে ?
একজনের পাপ কি অন্যজন বহন করবে ?
তবে মক্কা ও মদিনাকে ফাদে ফেলার চেষ্ট ইহুদি নাসারাদের সব সময়ের একটা ব্যাপার।
যেমন কেমানিক,ফখরুল এদের উদাহরন।
"ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেছেন, “সমস্ত ওলামারা একমত হয়েছেন যে, ইসরাইল হচ্ছে ইয়াকুব আঃ"
নবী ও রসুলদের উপর আল্লাহ খুশি আছেন তা কোরআনে স্পষ্ট আছে তাদের উপর স্বাস্তি আসবে ভাবা ঠিক নয়।
কারো দোষ কারো উপর বর্তাবে না। যে যা করবে সে তাই পাবে। আল্লাহ হিসাব গ্রহনে খুব কঠর আর তিনি বেইনসাফ করবেন না।
ফতয়া তারা কোন উদ্যেশে দিয়েছে সেটা আগে জানা উচিত্ । আমি আগে থেকেই সংশয়ে ছিলাম । যে কর্ম ইহুদীরা করছে সেটা কেউ কোন ভাবেই সমর্থন করতে পারেনা । কিন্তু দেশের রাজাদের কথা আলাদা ।কেন আলাদা তা আমরা সবাই জানি
সৌদী গ্র্যান্ড মুফতি যার অধীনে সমগ্র মুসলিম বিশ্ব হজ্জের মত একটি পবিত্র ইবাদাত সম্পন্ন করে তিনি যখন একটি বিবৃতি দেন যেখানে ইয়াহুদীদের পৈশাচিকতা সম্পর্কে একটি টু-শব্দও থাকেনা অথচ সমগ্র বিশ্বের লক্ষ-কোটি বনি আদম ক্ষোভে ফুঁসতে থেকে কিছু না করতে পারার গ্লানিতে নিজ আংগিনাতেই একটি বিক্ষোভ মিছিল করে তাকে অতিরঞ্জিত(একেই বিদা'ত বলে,আর বিদা'ত ইসলামে নিশ্চয় হালাল নয়) বলে তখন মুসলিম উম্মাহর আর লজ্জায় মুখ দেখাবার জায়গা থাকে না!
মিছিল-মিটিং বিদা'ত এই ধরনের ধারনা দেয়ার উদ্দেশ্য একটাই আর তা হচ্ছে মুসলমানদের মসজিদের কোণায় বন্দী করে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা থেকে দূরে সরানো যাতে করে বিধর্মীরা আরামে আয়েশে লুটপাটতন্ত্র চালাতে পারে নিজেরাই অথবা তাদের দোসরদের মাধ্যমে!কি কারণে মিছিল-মিটিং বিদা'ত হবে?মিছিল-মিটিং মানে কি?বেশ কিছু সংখ্যক লোকের একসাথে হওয়া নির্দিষ্ট কোন উপলক্ষ্যে,তো এইটা বুঝি রাসুল সাঃ করেননি?মক্কী যুগে যেদিন নির্দেশ আসলো আজ থেকে প্রকাশ্যে ইসলামের ঘোষণা দিতে হবে তখন কি হয়েছিল?যেই গুটি সংখ্যক মর্দে মুজাহিদ ইমান এনেছিলেন তাঁরা দলে দলে কালেমায়ে শাহাদাত আর আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করতে করতে হেরেম শরীফের দিকে রওনা করেননি?
মুসলমানদের জন্য সবচাইতে বড় মিটিং তো হলো হজ্জ,সবচাইতে বড় মিছিল হলো সাফা-মারওয়া দলে দলে প্রদক্ষিণ করা,তাহলে সেই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই যদি কেউ অন্য আরেকটি কারণে কিছু লোক একসাথে একটি এলাকা প্রদক্ষিণ করতে চায় তবে তা বিদা'ত কেন হবে?যে সকল আলেমরা এই সকল ফতোয়া জারি করেন আমরা তাদের অত্যন্ত সম্মান করি,তবে ভুলে গেলে চলবে না মোঘল সম্রাটদের সেজদা করা যেতে পারে এ ধরনের ফতোয়াও সে সময়কার অনেক আলেম জারি করেছিলেন!দুর্ভাগ্য আমাদের যারা মুসলিমদের মসজিদে আবদ্ধ করে রাখার পরিবর্তে মসজিদ থেকেই সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে মুসলমানদের অনুপ্রাণিত করবার কথা তাঁরাই উলটো মুসলমানদের রাষ্ট্র-সমাজ-অর্থনীতি-রাজনীতি সকল কিছু থেকে মুসলিমদের বঞ্চিত রেখে খালি তজবি জপায় দীক্ষিত করতে চাইছেন!
অবাক লাগে যখন তিনারা ইখওয়ানের বিরুদ্ধে পরিচালিত গণহত্যা নিয়ে কিছু বলতে পারেন না কিন্তু ঠিকই ইখওয়ানকে উলটো সন্ত্রাসি বলে অ্যাখ্যা দিতে পারেন,সিসির মত ইয়াহুদীদের প্রমাণিত দালালদের জন্য হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ দিতে পারেন তখন তিনাদের ফতোয়া জারি হয় না যে এই ধরনের পিশাচদের আর্থিক সহায়তা রাসূল সাঃ কোনদিন করেননি,ইহা বিদা'ত!বুঝি আমরা সবই বুঝি,দুর্ভাগ্য আমাদের আজ আমাদের আলেমরা শুধু আলেম থাকেননি তারা একইসাথে দরবারী আলেমও হয়ে গিয়েছেন যার কারণেই তিনাদের সুর মিলে যায় কাফেরদের সাথে,মুশরিকদের সাথে,ইয়াহুদীদের সাথে,মজলুমদের সাথে নয়!
আচার আচরন দেখেই বোঝা যায় যে সৌদি শাসকরা ইহুদী ও খৃষ্টানদের বন্ধু রুপে গ্রহন করেছে । ফলে তাদের ব্যাপারে কোন নেগেটিভ কিছু বলে না ।
তার সেই সরকারেই নিয়োগ করা গ্র্যান্ড মুফতি কিভাবে তার নিয়োগ দাতাদের বিপক্ষে বলতে পারেন ?
দেখা যাবে হজের সময় খুতবাতে মুফতি সাহেব কি বলেন এ ব্যাপারে ।
ভুলেই গিয়েছিলাম; আপনি মনে করিয়ে দিলেন হামযা(রাঃ) এবং উমর(রাঃ) এর নেতৃত্বের দুই প্যাট্রোল এর মিছিলের কথা!
প্রকৃতপক্ষে ইসলামের দুশমন মুনাফেক মিডিয়া ও বিভ্রান্ত দল শিয়ারা (প্রেস টিভি, রেডিও তেহরান ইত্যাদি) এরাই এই সংবাদকে আউট অফ কনটেক্স হিসেবে ব্যাবহার করছে।
শাসক সম্মন্ধ্যে আমি উপরেরই বলেছি। এখানে আমি মক্কা ও মদিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্তর কে মুখ্য হিসেবে দেখছি।
আর আপনার দেয়া হাদীসে তো জামায়েতের মাধ্যমে করতে বলে না এটা তো ব্যাক্তিকেন্দিওক।
আপনার মতো করে হাদীস বুঝলে তো হবে না ভাই।
আপনার প্রশ্নগুলো এখানে করুন দেখেন কি উত্তর আসে। আমি ওগুলোর উত্তর দিতে চাই না। http://islamqa.info/en/sendq
আর মুশরিকদের বিরুদ্ধে তোমরা সংগ্রাম করো সমবেতভাবে, যেমন তারাও তোমাদের বিরুদ্ধে করে যাচ্ছে সমবেতভাবে। আর মনে রেখো, আল্লাহ মুত্তাকীনদের সাথে রয়েছেন। sura at tawba:ayat 36
দেখুন প্রতিবাদের জন্য কি দরকার এবং কিভাবে হবে সে সম্পর্কে কোরআন কি বলছে? ব্যক্তিগতভাবে নফল ইবাদতসমহু করার নির্দেশ রয়েছে প্রতিবাদ নয়,কারণ প্রতিবাদ-প্রতিরোধ হচ্ছে এমন একটি জিনিষ যা সম্মিলিতভাবে করলেই তা ফল দেয় আর একাকী আজীবণ করলেও কোন ফল দেয় না!সব কিছুকে একত্রে মিশিয়ে ফেলা উচিত নয়!
তা রাসুল সাঃ তো ফেসবুকও ব্যবহার করেননি তাকি বিদা'ত নয়?আরবের বর্তমান খাদকদের ন্যায় আস্ত দুম্বা রোষ্ট করে খাননি,এখন যে তারা খায় তাকি বিদা'ত নয়?রাসুল সাঃ এরোপ্লেনে চলেননি,এখন যে মুফতিরা উড়োজাহাজ ছাড়া নড়েন না তাকি বিদা'ত নয়???
যুগের প্রয়োজন অনুযায়ী অনেক কিছুই ভিন্ন আংগিকে হতে পারে,দেখতে হবে যে তাতে ইসলামের লাভ বেশি না ক্ষতি বেশি? শুধুমাত্র নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সব কিছুকে বিদা'ত ঘোষণা করার জন্য নিম্নের কোরআনের আয়াত!
اشْتَرَوْاْ بِآيَاتِ اللّهِ ثَمَنًا قَلِيلاً فَصَدُّواْ عَن سَبِيلِهِ إِنَّهُمْ سَاء مَا كَانُواْ يَعْمَلُونَ
09
তারা আল্লাহর আয়াত সমূহ নগন্য মুল্যে বিক্রয় করে, অতঃপর লোকদের নিবৃত রাখে তাঁর পথ থেকে, তারা যা করে চলছে, তা অতি নিকৃষ্ট।
তা মক্কী যুগে প্রকাশ্যে ইসলামের ঘোষণা দেবার নির্দেশ আসলে পরে যে গুটি কয়েক মর্দে মুজাহিদ কালেমায়ে শাহাদাত আর আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করতে করতে হেরেম শরীফের দিকে দলবদ্ধ হয়ে পদব্রজে গিয়েছিলেন যেখানে তাঁরা কাফেরদের নির্মম পাথর বৃষ্টির মুখোমুখি হন আর শেষ পর্যন্ত বীর হামযা রাঃ এর চ্যালেঞ্জ যে সাহস থাকে তো আমার সাথে কেউ লড়ো সেই আহবানে ভয় পেয়ে সটকে পড়ে সে ব্যাপারে কি বলবেন?তখন তো কোন জিহাদ হয়নি,কেবল মাত্র কালেমায়ে শাহাদাতের উচ্চারণ হয়েছিল মাত্র!
দৈড়ানো আর মিছিল করা এক জিনিস নয়। আর্মিরা যুদ্ধকরে যুদ্ধের সময় তারা আক্রমনাত্বক কিছু ভঙ্গি করে সেগুলো মিছিল নয়।
আর বিদআত সম্মন্ধ্যে আপনার আরোও জ্ঞান অর্জন করা উচিত কেননা আপনি বিদআত কে গুলিয়ে ফেলেছেন।
আভিধানিক অর্থে বিদআতি মানে নতুন আবিস্কার সে ক্ষেত্রে ফেসবুক,মোবাইল,ইত্যাদি সবকিছু বিদআত।
তবে শরীয়তের পরীভাষায় বিদআত হলো "ইবাদতের উদ্দেশ্যে দ্বীনের মাঝে নতুন কিছু সৃস্টি করা যা রসুল (সা) অথবা তার সাহাবা (রা) করেন নাই"
আশাকরি বুঝছেন।
قُلْ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
162
আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কোরবাণী এবং আমার জীবন ও মরন বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে।
যার অর্থ এটাই দাড়ায়ে যে একজন মুমিনের জীবনের সকল কাজই হবে আল্লাহর জন্য,আর যা কিছু আল্লাহর জন্য তাইতো ইবাদত!তাহলে ফেসবুকিং,ব্লগিং এগুলোও যদি কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করে তবে তা ইবাদত হবে না কেন?আর যদি ইবাদত হয়েই থাকে তবে ইহাতো ইবাদতের নতুন পদ্ধতি আর তার মানেই তা বিদা'ত এবং কিছুদিন আগে একজন মুফতি এই ধরনের হাস্যকর ফতোয়া দিয়েছেনও!
বাকিটা আল্লাহু আ'লাম।
@সাকিব
আর মুফতি সাহেব বলেন নাই যে ইসরাইল আঃ কে অভিশাপ বা গালি দেয়া যাবে না যদি বলতেন তাহলে সেটা সঠিক ছিল।
আমরা জানি ইসরাইল ইহুদী রাষ্ট্র আর ইহুদীরা অভিশপ্ত তাই তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলা কিভাবে পাপ হয় যখন তারা অন্যায়ভাবে মানুষ খুন করেই যাচ্ছে ??
সাফাই গাওয়ার কিছুই নাই।
তার কথার মাঝে ভুল কোথায়। তিনি বর্তমানের ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের কথা বলেন নাই।
সাফাইটা নবী ইয়াকুব (আ) এর জন্য। বর্তমানের ইহুদি ও তাদের গড়া ইসরাইল নামের রাষ্ট্রর জন্য নয়।
কিন্তু মুসলিমরা বুঝতে পারছেনা ।
রসুল(সা) এর সহীহ হাদীসে এসেছে "দ্বীন ফিরে যাবে মক্কা মদিনায় যেভাবে সাপ তার গর্তে ফিরে যায়" (বুখারী)
আল্লাহ চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত থেকে আমাদের হিফাজত কারী।
এ আয়াতের কি ব্যাখ্যা দিবেন? বিশেষ করে হামাস এবং ব্রাদরহুডের সাথে সোৗদি সরকারে আচরণ বিশ্বের মুসলিমরা মেনে নিতে পারছেনা। শিক্ষনীয় পোস্টটির জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আর রাজনিতি গোটা বিশ্বে এমন ভাবে ছড়িয়েছে যে কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক বুঝা বড়ো কষ্ট।
এগুলা নিশ্চিত ফিতনা । তাই এগুলা থেকে দুদুরেই থাকা ভালো । কোন মন্তব্য করবো না।
অথচ যাচাই বাছাই না করে কোন মন্তব্য করতে আল্লাহ মুমীনদের কে কঠোর ভাষায় নিষেধ করেছেন। যাক, আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য।
অন্য দেশের শাসকরাওতো লুকিয়ে আছে কৈ তাদের তো কেউ কিছু বলেনা!! শুধু আরব কেন?
কেমানিক বলছিলো "মক্কার কাবা ঘড়ে হজ্জ করার দরকার নাই কেননা শাসক জালেম" এই হচ্ছে আমাদের অবস্থা। শাসক জালেম সেইজন্য হজ্জ বন্ধ।
ইরাক ফেরত ইমামের লোমহর্ষক বর্ণনা
দাড়ি টেনে তুলে আগুন ধরিয়ে দেয়
প্রথম ব্যাখ্যা নিয়ে অনেকজন অনেক কিছুই বলেছেন।
২য় ব্যাখ্যাটা আমি মানতেই পারছি না। কেউ যদি বলে ফেরআওন কে গালি দেয়া যাবেনা, কারন তার নাম কোরআনে আছে,,,,,, ব্যাপারটা সেরকম হলোনা?
ফেরাউন কি নবী ছিলো?
বেকার প্যাচান কেন ভাই! আমি আত্বপক্ষ বা আত্বিয় পক্ষ কোনটাই করি নাই। আমি শুধু সুরা হুজুরাতের ৬ নং আয়াত ফলো করছি।
কোরআনে গিয়ে আয়াতটা পড়ুন অথবা পোস্টের শুরুতে দেখুন।
জাজাকাল্লাহ।
আর ইসরাইল(ইহুদীদের)কে অভিশাপ দেয়া যাবে না - তাহলে তো শয়তানকেও শত্রু ভাবা ঠিক হবে না - কারণ সে তো জিন হওয়ার পরও অনেক ইবাদত বন্দেগীর কারণে ফেরেশতাদের নেতা ছিলো!
আর এখন যারা ইসরাইলের বিরোধিতা করছেন - তাঁরা কি ইসরাইল অর্থাৎ 'আল্লাহর বান্দা'র সাথে বিরোধিতা করছেন? নাকি আল্লাহর শত্রুদের সাথে?
সুবিধাবাদীদের দিয়ে দ্বিধা-বহুধাবিভক্ত মুসলিম উম্মাহকে আরো কনফিউজড করে দেয়া হচ্ছে এসবের মাধ্যমে!
আপনি ভালো করে পোস্টটা দেখেন। সেখানে ইসরাইল বলতে নবী ইয়াকুব (আ)কে বুঝানো হয়েছে বর্তমানের ইসরাইল রাষ্ট্র নয়।
কোরআনে লক্ষ্য করেন দেখবেন আল্লাহ বার বার বলছেন "ইয়া বানি ইসরাইল" হে ইসরাইলের বংশধর, এখানে ইসরাইল হচ্ছেন ইয়াকুব নবী তার কথাই বলা আছে।
আর ইহুদি সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন "তোমরা ইহুদি খৃষ্টানদেরকে বন্ধু রুপে গ্রহন করো না" এখানে সরাসরি ইহুদি কথাটা আল্লাহই বলেছেন।
কোরআনে আল্লাহ নবী ইসরাইল কেই বন্ধু রুপে গ্রহন করতে না বলেন নাই।
তবে বর্তমান ইহুদিরা এই নামটি নিয়ে নিয়েছে তাদের রাষ্ট্রর নামে।
মুফতি সাহেব ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল এর কথা বলেন নাই তিনি ইসরাইল নবী ইয়াকুব (আ) এর কথা বলছি।
আপনার বলা ইসরাইল(ইহুদীদের)(রাষ্ট্রকে) অভিশাপ দেন কোন সমস্যা নাই। তবে শায়তান আর ইসরাইল নবী কিন্তু এক বিষয় নয়।
আমরা আরব ভালোবাসি, তাই বলে বাদশাহ এবং বাদশাহ কতৃক নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তির অন্যায় আব্দার মানা জরুরী নয়।
ে‘ইসলামের নামে মিসিল মিটিং হারাম’ এসব বাদশাহী ঘোষণা রাষ্ট্রের অনুগত মুফতিদের নিকট থেকে ভয় ভিতি ও প্রলোভনের মাধ্যমে আদায় করা ফতোয়া মাত্র। ধন্যবাদ।
তাই চক্রান্তকারীরা এখন লেগেছে মক্কা ও মদিনার দিকে সামন্য সমস্যা পেলেই ফুসে উঠবেই।
তবে কোরআন ও সহীহ হাদীসের বিপরিতে কথা যেই বলুক তা গ্রহনীয় নয়।
সূতরাং আমরা মুসলমানেরা সবসময় পবিত্র দুই মসজিদ এবং সংশ্লিষ্ট শহর দুটোর নিরাপত্তা কামনা করি এবং আশাও করি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিজ কুদরতে উক্ত পূণ্য ভূমিদ্বয়ের হেফাজত করবেন।
মুসলমানদের উপর ইয়াহুদী নাছারা এবং তাদের দোষরদের জুলুম নিপিড়নের প্রেক্ষিতে সৌদি বাদশাহ এবং তাঁর চামচারা অন্তত নিরব থাকলেই বেঁচে যেতেন। কিন্তু তাঁরা আগ বাড়িয়ে মিসরের ইসলামী সংগঠনকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে এবং হামাসের বিপরীতে ইয়াহুদীদেরকে সহযোগীতা করে বিশ্ব মুসলিমের মনে যে আঘাত দিয়েছেন সে আঘাতের ঘা শুকাতে কত সময় লাগে, আদৌ শুকাবে কি না। তা আল্লাহ্ ভালো জানেন। সৌদি রাজ পরিবার অন্তত নিরপেক্ষ থাকতে পারতেন।
িআপনিও হয়ত আমার সাথে একমত হবেন যে, নিজেদের দেশে আন্দোলনের ধাক্কা আসার ভয়ে আরব বাদশাহ এবং শেখেরা মিলে ‘ব্রাদারহুড’কে সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়া হলো।
সৌদি আরবে শারিরীক-মানসিক ভাবে প্রায় পর্যুদস্ত এবন ব্যুক্তিকে গ্রান্ড মুফতি করা হয়, সাহসী এবং প্রতিবাদী সত্যিকার আলেমদেরকে হয়ত দেশ ছাড়া না হয় জেল অথবা উপরে পাঠিয়ে দেয় হয়।
আল্লাহ এসব শাসকদের অন্তর পবিত্র করে দিন। তারা ভুল করে বন্ধুকে দুষমন মনে করে বসে আছেন। ধন্যবাদ।
আসলে ফিতনা চতুর দিকে ছেয়ে গেছে বেচে চলা মুসকিল।
১)সরকারী
২)তরকারী
৩)দরকারী
উনারা সরকারী হুজুর। আর যে সরকার কুফরের বন্ধু হতে পারে সে সরকারের ফতোয়া আমাদের গ্রহন করা উচিৎ নয়।
সমস্যা হলো মক্কা ও মদিনা কে হেয় করার জন্য চক্রান্তকারীরা উঠে পরে লাগছে। তারা চায় মক্কা ও মদিনাকে সবার কাছে খারাপ বানাতে। মেইন থিমটাতো বুঝতে পারছেন আশাকরি।
আল্লাহ সকল হিসাব গ্রহন কারী ইনশাআল্লাহ যে যা করবে তিনি তার সুক্ষ হিসাব নিবেনেই যেমনটি তিনি প্রতিস্রুতি দিয়েছেন।
আপনি কি স্পষ্ট ভাবে বলতে পারেন যে মক্কার শাসক কাফের?
জাজাকাল্লাহ।
মাওদুদি সাহেব যাকে কুফর শির্ক বললেন আজ সেই গনতন্ত্রকে নতুন পোষাক লাগালে কি হবে?
ইসলামে কিভাবে রাষ্ট্র চলবে সেটা সম্পর্কে জানতে ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ) এর বই শরীয়তি রাষ্ট্রব্যাবস্থা পড়লে আপনার সম্মুখ ধারনা হবে বইটি এখানে পাবেন..Click this link
এছাড়াও ইকামতে দ্বীন পথ ও পদ্ধতি বইটিও আপনাকে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ । বইটি এখানে পাবেন..Click this link
জাজাকাল্লাহু খায়রান ।
সৌদির জালিম শাসকের গ্রান্ড মুফতিও জালিম এবং পথভ্রষ্ট। এই দজ্জালের উপর আল্লাহর লানত।
বিদআত কি জিনিস সেটার জ্ঞান অর্জন করেন।
ধরেন, কোন একটা রাষ্ট্রের নাম হলো "মুহাম্মাদ" এখন আপনিকি বলবেন "মুহাম্মাদের উপর আল্লাহর লানত"???? (নাউজুবিল্লাহ)
আশাকরি সামান্য জ্ঞান থাকলে এই কথা বলার ধিষ্টতা দেখাবেন না। আর জদি খাওয়ারেজ টাইপ হন তাহলে বলতেই পারেন।
খুব সহজেই বললেন "এই দজ্জালের উপর আল্লাহর লানত" খেয়াল রাখবেন সে জদি দাজ্জাল না হয়? সে জদি লানতের উপযুক্ত না হয়?
তাহলে আপনার অভিশাপ আকাশে ঘোড়ার পরে আপনার উপরেই ফিরে আসবে।
তাই কথা বার্তা সাবধানে বলুন। এটাই বুদ্ধিমানের লক্ষ্যন।
রসুল (সা) বলেছেন "উত্তম কথা বলো, না হলে চুপ থাকো"
আপানার পোস্টে যেভাবে গালাগালি করছেন তাতে স্পষ্ট বোঝা যায় আপনার ভিতরে মুনাফেকের স্পষ্ট লক্ষ্যন আছে।
কেননা রসুল (সা) বলেছেন,
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা) হতে বণির্ত :নবী (সা) বলেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে বিদ্যমান সে হচ্ছে খাটি মুনাফেক। যার মধ্যে এর কোন একটি স্বভাব থাকবে, তা পরিত্যগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকের একটি লক্ষন থেকেই যায়। ১. আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে ২. কথা বললে মিথ্যা বলে ৩. অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে ৪. বিবাদে লিপ্তহলে অশ্লিল ভাবে গালাগালি করে।
(সহিহ আল বুখারী, অধ্যায় মুনাফিকের লক্ষন, হাদিস নং-৩৪)
আল্লাহ আমাদেরকে মুনাফেকি থেকে রক্ষাকরুন। আমীন।
এখানে আমি সাউদি নিয়ে কোন কথা বলিনাই আমি শুধু একজন স্মানিত ব্যাক্তির কথাকে আপনাদের মতো স্বল্পজ্ঞানীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। গালাগালি করে মুনাফেকের পরিচয় দেয়া থেকে বিরতো থাকুন।
ফেতনা সবদিকেই ঘিরে রেখেছে। ফেতনা থেকে বাচুন সুরা হুজুরাতের ৬ নং আয়াত ফলো করুন।
এমন আচরন দেখাবেননা যা খাওয়ারিজদের লক্ষ্যন।
ইমরান ভাই, আপনার এ ব্লগটিতে আমি বেশ কয়েকবার ভিজিট করেছি এবং বিভিন্ন মন্তব্যকারীদের মন্তব্যগুলোর পড়ে যাচ্ছি। আমি আপনার একটি কথার কোড করেছি। এখানে আপনি একটি হাদিসের রেফারেন্স টেনে প্রায় প্রত্যেকের মন্তব্যের উত্তরে বিভিন্নভাবে কোড করে যাচ্ছেন। আপনার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। সাধারণত আমি মন্তব্য করার সময় কোরআন এবং সুন্নাহর সরাসরি কোড বা সূত্র উল্লেখ করে মন্তব্য করি না। মূল ভাবকেই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি ব্লগের সব শ্রেণীর পাঠকদের কথা বিবেচনা করেই। আপনার ব্লগটি এবং তার সাথে মন্তব্যগুলোর উত্তরে যে হাদিসের রেফারেন্সটি বার বার দেয়ার ক্ষেত্রে কারো সন্দেহ হতে পারে যে সমস্ত আবেগ ও অন্ধ অনুসরণের উর্ধ্বে না উঠে সৌদি শাসক এবং তাদের রক্ষকবচ হিসেবে ফরমায়েশ তামিলকারী দরবারী আলেমদের বেফাস ফতওয়াকে সমর্থন দিতে গিয়ে কিছুটা জটিলতার সৃষ্টি করা হচ্ছে মনে হয়।
সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় আলেমকে বর্তমানে গায়েব অথবা গুম করে ফেলা হয়েছে শাসকদের ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর স্বার্থ বিরোধী ভূমিকার সমালোচনা করার কারণে। তম্মধ্যে ড. আল গরনী অন্যতম।
আপনার এ কথার জবাব যদি পবিত্র কোরআনের জিহাদ সংক্রান্ত বিভিন্ন আয়াত এবং জালিমের বিরুদ্ধে সার্বিক জিহাদ বা প্রতিরোধ সংক্রান্ত হাদিসের আলোকে কেউ দিতে চাইলে তাকে খামোখা বিরোধীতার খাতিরেই বিরোধিতা করা উচিন নয় বলে মনে করি।
আপনাকে ধন্যবাদ।
আল্লাহ আপনার জ্ঞানকে বৃদ্ধি করুন আমীন।
মুসাদ্দাদ (র).............. আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা) আমাদের বলেছেন : আমার পরে তোমরা অবশ্যই ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দেয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করবে। এবং এমন কিছু বিষয় দেখতে পাবে, যা তোমরা পছন্দ করবে না। তাঁরা জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা) ! তাহলে আমাদের জন্য কি হুকুম করছেন ? উত্তরে তিনি বললেন : তাদের হক পরিপূর্ণরূপে আদায় করবে, আর তোমাদের প্রাপ্য আল্লাহর কাছে চাইবে।
(বুখারী হা-৭০৫২)
শাসক জালেম হবে এটা আমি এজন্য বলেছি। আরো হাদীস আছে আমি হয়তা এখন দেখাচ্ছি না।
আমি কারো বিরোধিতা করছি না। অবশ্যই শাসকের কাছথেকে কুফরি স্পষ্ট হলে তার বিরুদ্ধাচারন করা যাবে।
বর্তমান ফেতনার সময় সব খবর বিশ্বাস করলেও ফেতনায় পতিত হতে হয়। আমি সেটা বলেছি। আর ইসলামের একমাত্র জোর খুটি এখন দারিয়ে আছে মক্কা আর মদিনা।
অমুসলিমরা জানে যে এই দুই খুটি কে কোন কারন ছাড়া নারলে গোটা বিশ্বের মুসলিম হোক সে হানাফি,শাফেয়ী,মালেকী,হাম্বলী,দেওবান্দি,ব্রেলভি, যেই হোক তাদের (কাফেরদের) খবর আছে।
তাই তারা কুটচাল অবলম্বন করে মুসলিমদেরকে বিভক্ত করার তালেই রয়েছে
এখন আপনি দেখুন ফাতাওয়ার জন্য একজন মুসলিম আর একজন মুসলিমকে কিভাবে গালি দিচ্ছে। এমনকি দাজ্জাল,শয়তান, কাফের পর্যন্ত বলছে এটা কি ঠিক?
সর্বপরী ফেতনার সময় চুপকরে থাকাই উত্তম। তাই আর বলবো না চুপ হয়ে গেলাম।
আমি সাউদি শাসকের জন্য কিছুই বলছিনা আমি বলছি শায়খের ফাতাওয়ার বাক্য ছিলো কি সে ব্যাপারে।
জাজাকাল্লাহ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন