ঈদের কিছু সুন্নাহ জেনে নিন
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ২৮ জুলাই, ২০১৪, ১২:৫৫:৩৪ দুপুর
ঈদ সংক্রান্ত বিধান সমূহ:
০=০=০=০=০=০=০=০=০=০=০=০=০=০
!
আসুন সংক্ষেপে জেনি নেই ঈদ সংক্রান্ত বিধান সমূহ:
১) ঈদের দিন রোযা রাখা নিষেধ
=========================
প্রখ্যাত সাহাবী আবু সাঈদ (রা হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
-‘নবী ﷺ ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা এ দু দিন
রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন’। [১]
২) ঈদের রাত থেকে তাকবীর পাঠ করা
========================
ঈদের রাতের সূর্য ডুবার পর থেকে আরম্ভ করে ঈদের
নামায পড়া পর্যন্ত এ তাকবীর পড়তে হবে। পুরুষগণ
মসজিদ, হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট তথা সর্বত্র
উচ্চস্বরে তাকবীর পাঠ করবে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন
ঈদের আনন্দ প্রকাশ করা হয় অন্যদিকে আল্লাহর
আনুগত্যের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। তাকবীর পড়ার
নিয়ম হল,
“আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লালাহু
ওয়াল্লাহু আকবার। আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল
হামদ্।”
৩) ঈদ উপলক্ষে পরস্পরে শুভেচ্ছা বিনিময় করা
===========================
মুসলমানগণ পরস্পরে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
করাতে অসুবিধা নেই। কারণ সাহাবীগণ ঈদ
উপলক্ষে তা করতেন। তারা এই বলে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন
করতেন
-‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম’
অর্থাৎ আল্লাহ আমাদের এবং আপনার (ইবাদত-বন্দেগী)
কবুল করুন। [২]
৪) ভালো পোশাক ও ভালো খাবারের আয়োজন করা
==================================
ঈদ উপলক্ষে যথাসম্ভব পরিবারের
সদস্যদেরকে ভালো খাবার ও সুন্দর পোশাক দেয়ার
ব্যবস্থা করা উত্তম। তবে অপচয় যাতে না হয়
সে দিকে লক্ষ্য রাখা জরুরী। অনুরূপভাবে আত্মীয়-স্বজন,
বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা-সাক্ষাত করা কর্তব্য। সেই
সাথে প্রতিবেশীর খোঁজ-খবর রাখতে হবে। দরিদ্রদের
যথাসম্ভব সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে। যাতে ঈদের
আনন্দ থেকে তারা বঞ্চিত না হয়।
৫) ঈদের নামাযের প্রতি যত্মশীল হওয়া
=============================
ঈদুল ফিতরের নামায বিলম্বে পড়া সুন্নত। যাতে ঈদের
দিন সকালবেলা ফিতরা বণ্টন করার সময় পাওয়া যায়।
পক্ষান্তরে ঈদুল আযহার নামায তাড়াতাড়ি পড়া সুন্নত।
৬) গোসল ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
=================================
নামাযে যাওয়ার পূর্বে গোসল করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন
হবে। তারপর সুগন্ধি ব্যাবহার করে ও
সাধ্যানুযায়ী সবচেয়ে সুন্দর কাপড় পরিধান করে ঈদগাহ
অভিমুখে যাত্রা করবে। তবে কাপড় পরিধান করার সময়
সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, যেন পুরুষের কাপড়
টাখনুর নিচে না যায়। কেননা, পুরুষের জন্য টাখনুর
নিচে কাপড় পরিধান করা হারাম। আর মহিলাকে তার
সর্বাঙ্গ আবৃত করতে হবে এবং রূপ-সৌন্দর্য পরপুরুষের
সামনে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত
সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যক। কেননা মহান
আল্লাহ বলেন:
-‘আর তারা (মহিলাগণ) তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ
করবে না তাদের স্বামী, পিতা,স্বামীর
পিতা…..ছাড়া অন্যের নিকট’। [৩]
৭) ঈদের মাঠে যাওয়ার আগে কোন কিছু খাওয়া:
ঈদুল ফিতরে ঈদের মাঠে যাওয়ার আগে কোন কিছু
খাওয়া সুন্নত। আনাস (রা বলেন,
-‘নবী ﷺ ঈদুল ফিতরের দিন কয়েকটা খেজুর না খেয়ে ঈদের
মাঠে যেতেন না। আর তিনি তা বেজোড় সংখ্যায়
খেতেন’।(বুখারী)
৮) মহিলাদের ঈদগাহে যাওয়া
====================
মহিলাদেরকে সাথে নিয়ে ঈদের নামায পড়তে যাওয়ার জন্য
রাসূল ﷺ নির্দেশ প্রদান করেছেন। তিনি বলেন:
-‘কর্তব্য হল, পর্দানশীন কুমারী মেয়েরা; এমন
কি ঋতুবতী মহিলারাও ঈদগাহে যাবে।
তবে ঋতুবর্তী মহিলাগণ নামাযের স্থান
থেকে দূরে অবস্থান করে কল্যাণময় কাজ এবং মুমিনদের
দু’আতে শরীক হবে’।[৪]
৯) পায়ে হেঁটে ঈদগাহে গমন করা
==================
পায়ে হেঁটে ঈদগাহে গমন করা এবং ভিন্ন পথে ঈদগাহ
থেকে ফিরে আসা সুন্নত। [৫]
উত্স:
======
[১] বুখারী হা/১৮৫৫
[২] বায়হাকী (২/৩১৯)-সনদ হাসান
[৩] সূরা নূর: ৩১
[৪] বুখারীঃ হাদীস নং ৯২৭
[৫] বুখারীঃ হাদীস নং ৯৩৩
বিষয়: বিবিধ
১১৪০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঈদ মোবারক!
মন্তব্য করতে লগইন করুন