পীর মানেই ভন্ড.......
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ৩০ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:০২:৫১ সন্ধ্যা
মাইজভাণ্ডারীর টাইটেল - 'পিরানে পীর'
মানে পীরদের পীর।
দেওয়ানবাগীর টাইটেল- 'সুফি সম্রাট' মানে সব
সুফিদের সম্রাট।
আটরশির টাইটেল- 'শাহেনশাহে তরিকত'
মানে এই তরিকায় যারা আছে সবার রাজা।
চন্দ্রপুরীর টাইটেল- 'সুলতানুল আওলিয়া'
মানে সকল আওলিয়াদের সুলতান।
রাজারবাগির টাইটেল-'ইমামুস সিদ্দিকিন'
মানে সকল বিশ্বাসীদের ইমাম।
চরমনাই এর টাইটেল - 'আমিরুল মুজাহিদিন'
মানে সকল মুজাহিদিনদের আমির।
এখন আমার প্রশ্ন হল, সবাই দাবি করছে তাদের
পীরই সব পীরদের সেরা । তাদের পীরই সব
পীরের ইমাম।
তাহলে কে সেরা ? আসলে যে যত বড় ভণ্ড তার
টাইটেল তত বড়।
যে যত বড় ধর্ম ব্যবসায়ী সে তত সেরা। কারণ
ক্যাপিটাল ছাড়া ব্যবসা। টেক্স দিতে হয় না।
সরকার নিরাপত্তা দেয়।
বিনিময়ে ওরা সরকারকে বৈধতা দিতে হয়।
সংগ্রহীত
বিষয়: বিবিধ
৩৬৫০ বার পঠিত, ৭৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পীর মানেই বিদআতি, ভন্ড।
আওণ রাহ'বারলিখেছেন : মনে হচ্ছে আপনার কুমিরে খাওয়া রোগ আছে।
আর কথায় তো আছে চোরের মন পুলিশ পুলিশ।
তা কয়টা মুখোশ আছে আপনার?
নাকি বয়স যত হচ্ছে ততো বেওকুফির সিমানা অতিক্রম করছেন?
আচ্ছা আপনার চোখটা কি পুটলিতে নাকি মাথায়?
মাথায় যদি চোখ থাকে স্পষ্ট এখনও দেখুন ইমরান ভাই,হারিকেন, আওণ তিনজনের মন্তব্যে lol ইমোটিকন আছে?
কিন্তু আপনার বেওকুফিতে আপনার মুখোশিয় মন্তব্য সবাই দেখতে পেলো@আব্দুল মাজেদ ভাই।
বুদ্ধি করে কাজ করলে আর ধাঁধায় পড়বেননা।?
আর মন্তব্যে এত আশ্চর্য্য বোধক চিন্হের কি আছে?(!)
শুনে রাখুন আওণ একজন সাধারন মুসলমান।
আওণকে একবার জ্বর অবস্থায় ধরে বেঁধে জোরপূর্বক মুরিদ করে দিছিলো এক পির সাহেবের মুরিদানরা। কিন্তু তাড়পর সেই পীর সাহেবের মসজিদে আওণ প্রায় আনুমানিক ৪/৫ বছর যায়নি।
ধন্যবাদ
***এরখম হলে আমার পোস্টে কমেন্ট করোনা।***
আমি দুখিত খুব কড়া ভাষায় বলার জন্য।
তবে আপনি একতরফা আমাকে বললেন ব্লগার নেহায়েৎ যে এখানে এতগুলো আশ্চর্য্যবোধক চিন্হ ব্যাবহার করলো তাকে তো কিছু বললেন না?
ওনাকে কি আমি আগে কিছু বলেছিলাম?
উনিই তো ফান কমেন্টস এতগুলো আশ্চর্য্যবোধক ! ! ! ! ! ! ব্যাবহার করে মুখোশ এর কথা বললেন?
সেটার কি হবে??
যুক্তিহীন ভাবে এভাবে বেওকুফির দ্বারা কিছু বুলি উড়ানো যায় মানুষের মনকে টুকরো টুকরো করা যায় কিন্তু এতে নিজেই বেওকুফ সাজতে হয় সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলাম।
আর আপনি আমাকে বললেন অথচ নেহায়েৎ এর সম্পর্কে এখন পর্যন্ত চুপ রইলেন বুঝলাম না এ কেমন ব্যাবহার আপনার?
প্রশ্ন থাকলো?
তোমার ভাষার মাঝে এগুলাতে...
"নাকি বয়স যত হচ্ছে ততো বেওকুফির সিমানা অতিক্রম করছেন?
আচ্ছা আপনার চোখটা কি পুটলিতে নাকি মাথায়?"
প্রচন্ড রখমের শত্রুতা পরায়ন ভাব ফুটে উঠেছে। তুমি বড়দের এভাবে বলতে পারনা। এটা তোমার ব্যাক্তিত্বে শোভা পায়না।
তাই নেহায়েতকে কিছু বলার নাই।
একবার জ্বর অবস্থায় জুমু'য়া দেরিতে পড়তে গিয়ে দেয়াল টপকানোর পড়েও রেহাই পেলাম না। জুতা আটকে দিয়ে দলবল সহ আমাকে ধরে বেঁধে আমাকে আটকে রাখলো আবার ঐ পথে যাবো?
পরিস্কার আওণ কোন ভাবেই এমন কোন যায়গায় যাবেনা যেখানে ব্যাবসা হয় আর্থিক লেনদেন এর ব্যাবসা হয়।
তবে উনি (নেহায়েৎ ) এভাবে না বললেও পারতেন।
পীরের মুরিদ হওয়ার কোন ইচ্ছা আমার নাই কারন আমার পীর ভালো লাগেনা কারন পীরদের মধ্যে ভন্ড বেশি। তবে ওহিদ ভাইয়ের মন্তব্য আমার খুব ভালো লেগেছে।
তবে ইমরান ভাই আমি ওনাকে ডিরেক্ট হিট করেছি এটা উচিৎ হয়নাই ।
এর জন্য আমিও দুঃখিত।
তবে এটা পরিপূর্ণ রাগ অবস্থায় করেছি।
ওনারো উচিৎ ছিলো আক্রমনাত্মক ভাবে মন্তব্য না করা।
ধন্যবাদ
তবে এভাবে আর কখোন না বললেই খুশি হব।
কেননা তিনি (নেহায়েৎ) এখন জদি বলেন যে আমিও ফান করছি তাহলে তোমার কি কিছু বলার থাকবে??? আশ্চর্যবোধক চিন্হ নিয়ে তুমি এত কথা বলতেই পারনা।
আর একটা বিষয় তোমার লক্ষ্যনিয়। সেটা হলো তুমি সামনা সমনি কিছু বলনা কিন্তু ঘুড়িয়ে ফিড়িয়ে এমন ভাবে বল যাতে সবাই বুঝতে পারে রাহবার খোচা দিচ্ছে। এবং মাঝে মাঝে কথাগুলো খুব করা ভাষায় হয়। (উদাহরন হিসেবে এখানে ৪ নং কমেন্টসে করা তোমার রিপ্লাই দেখতে পার)
তাই তোমার কাছে একটাই অনুরোধ
***এরখম হলে আমার পোস্টে কমেন্ট করোনা।***
আর কোনটা ফান আর কোনটা ফাননা সেটা আমি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি।
ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটা কমেন্টস করেছেন ভাইজান আমার খুব পছন্দ হইছে। কিন্তু তার পরেরও ২-১ টা কমেন্টে দেখেন ভন্ড মুরিদ পাওয়া যাচ্ছে। এদের সম্মন্ধ্যে কিছু বলেন।
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
মানুষের অন্তর তো টুকরা টুকরা হয়ে যায়।
আমি নিজে কষ্ট পেয়েছি।
ভন্ড পীরের ভন্ড মুরীদ।
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
বমায়ে শাজ্জাদাহ রঙ্গীন কুন
গিরাত পীরে মুগাঁ গোয়াদ
সে সালেক বেখবর নাবুদ
যে রাহে রাসমো মানযালহা।
অর্থাৎ পীরে মুগাঁ অর্থাৎ শুড়ি মশায় যদি বলেন, তাহলে তুমি জায়নামাজকে মদের দ্বারা রাঙিয়ে তুলো। কেননা পথের সন্ধান গুরুজী ভালভাবে অবগত আছেন। এই কবিতায় শুঁড়ি মশায়কে পীরে মুগাঁ বলা হয়েছে।
পীর, পুরোহীত বা পাদরী এর কোন প্রতিশব্দ কুরআন-হাদীসে নেই। আবু বকর, উমর, উসমান, আলী (রাঃ) প্রমুখ সাহাবীগণও কেউ কোনদিন পীর বলে দাবী করেননি। তাবেয়ীনদের যুগে পীরের অস্তিত্ব ছিলনা। ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম মালিক, ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল, ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম আবু দাউদ, ইমাম নাসায়ী, ইমাম তিরমিযী, ইমাম ইবনু মাজাহ (রহ.) প্রভৃতি মহামতি ইমামগণও পীরগিরি করেননি। কোন কুক্ষণে পারস্যের অগ্নি পুঁজারীদের সেই পীর তাওহীদবাদী মুসলিম সমাজের ঘাড়ে-গর্দানে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসল- তা ভেবে কুল পাওয়া যায়না। আরবী ভাষায় উসতায ও নেতাকে শাইখ বলা হয়।
গলা ছেড়ে টান মারবে ইশকে যেন নুরানী
মাঝে মাঝে করবে সে ভাব যেন পাগলামী
কিছুদিনে হবে সে জিলানী,কাদেরী,মাদানী!!
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
আল্লাহ আল্লাহর রাসূল কোরআন হাদিস সঠিক মতো মেনে চললে কোনো পীরের কাছে যেতে হয় না তবে ভালো আলেমের কাছে গেলে ভালোকিছু জানা যায় তাতে দোষের কিছু নেই ।
আমাদের দেশে এখন ভন্ড পীরে আস্তানা ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে !
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
তাদের প্রশ্ন করেন: ইমাম আবু হানীফা (র)পীর ছিলেন না মুরীদ ছিলেন।
যদি উনি পীর হয়ে থাকেন তো উনার মুরিদ কে ?
আর মুরিদ হয়ে থাকলে তার পীর কে ?
এই উত্তর ওদের কাছে নাই।
========
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
==========
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
------পীরপ্রথার কোন স্থান নেই ইসলামে। কে ওলি কে পরহেজগার তা একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন । আর আমারা যদি দেখি কারো আমল আখলাক ভাল তাহলে তার সাথে মিশতে পারি। তার মানে এই না যে তাকে ওলি/গাউস/কুতুব/ সাব্যস্ত করব।।
=================
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
"অনুসরণ কর তাহাদের, যাহারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাহেনা এবং যাহারা সত্পথ প্রাপ্ত।" -সুরা ৩৬:২১
আপনাকে ধন্যবাদ।
============
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
এই পোস্টের দ্বীতিয় ভন্ড পীরের ভন্ড মুরিদ হিসেবে নিজেকে জাহির করলেন।
===========
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
ইসলাম সম্পর্কে বলতে গেলে কুরআন-হাদীসের দলীল নিয়ে কথা বলুন অথবা চুপ থাকুন। মনে রাখবেন, ইসলামের ব্যক্তির মন্তব্য = ০।
কোথাও আমি বলিনাই যে আমি আহলে হাদীস। ফাও প্যাচাল বাদ দেন আপনি।
আছেন শুধু আহলে হাদীসদের পেছনদিয়ে কি বাতাস বের হয় তার ঘ্রাণ নেবার তালে।
এহলাম আমার কনে হবে কেন হইছে তো আপনাদের ভন্ড পীর আর মুরীদদের উপর তাইতো এত গলাবাজী করতেছেন।
আমার পোস্টে কোন ভন্ড মুরিদের স্থান নাই।
ইসলামের ব্যক্তির মন্তব্য = ০ এটা ঠিক বলেছেন যেমন আপনার মন্তব্য = ০
ভাল না লাগলে দুরে থাকুন ১০০ হাত, ভন্ডামির জায়গা আমার পোস্টে নাই। তেমনি ভন্ড মুরীদের জায়গাও নাই।
যাই হোক, আপনার নুরানী চেহারা মুবারক তো আর আমার এতই ভালো লাগেনি যে আপনার পিছনে পিছনে ঘুরতে হবে, বরং আপনি মুসলিম বিশ্বের ১৪০০ বছর ধরে প্রশ্নাতিত রূপে চলে আসা একটি শিক্ষা বিধানকে নিয়ে যেভাবে তামাশা শুরু করেছেন, তাতে আপনার কথার বিপরীতে কথা বলা, নাহলে আমরা বেকার মানুষদের সাথে কথা বলার শখ পোষন করি না।
আমার কথার মূল্য=০, মানলাম, দলীলহীন আপনার কথার মূল্য কি ১০০+ যে বলবেন আর আইন হয়ে গেল? কে আপনাকে অধিকার দিয়েছে? উম্মাহকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রকারীদের দল ত্যাগ করার চেষ্ঠা করুন, নিজে যা ইচ্ছা করার শতভাগ অধিকার আপনার অবশ্যই আছে কিন্তু অন্য কাউকে বিভ্রান্তিতে ফেলার অধিকার ইসলাম কাউকে দেয় না। যদি অন্তরে বিন্দুমাত্র আল্লাহর ভয় থাকে, ইসলামি কোন বিষয়ে কথা বলার আগে উপযুক্ত দলীল প্রমানাদী নিয়ে কথা বলবেন।
যারা ইসলামের কথা প্রচার করে তারাও কারো মুরীদ (শিষ্য) আর যারা উম্মাহকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারাও কারো শিষ্য, পার্থক্য যে কি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আর সূচো কেন ধরনের ভদ্র ভাষা?
আপনার কলিজায় লাগছে পীরকে ভন্ড বলায় সেটাতো সবাই দেখছেই।
এত প্যাচাল বাদ দিয়া পারলে বলেন কোন ভন্ড পীরটা আপনার পীর। আপনি যে পীরের মুরিদ তা সবাই বুঝছে।
আমার পোস্ট থেকে ১০০ হাত দুরে থাকেন। আপনার মতো দুগন্ধ যুক্ত লোকের আমার পোস্টে দরকার নাই।
প্রায় সকল পিরের ভক্তদেরই দাবি তার পির নাকি জমানার গাউস।
কিন্তু এই গাউস জিনিসটা আসলে কি তাই বুঝলাম না।
গাউস সম্মন্ধ্যে আর একদিন বলবো।
==========
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
============
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
==========
সুমা, সত্যি হ্যারে বড় হয়ে গেছে একটা বিয়া দেয়া দরকার...
===========
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
=======
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
আর পীর এর বাংলা অর্থ কি?
আজকে আমার চোখ খুলে গেলো ইমরান ভাই।
উপরোক্ত কোন পীরকে তোমার ভাল মনে হতে পারে কিন্তু আমার কাছে সবগুলাই ভন্ড। তাই বলেছি পীর মানে ভন্ড অর্থগত কোন কিছু বলিনাই।
মাশাআল্লাহ, আরকতদিন চোখ বন্ধকরে চলবা। আজ চোখ খুলছে দেখে খুব ভাল লাগছে। আশাকরি পরবতী সময় চোখ খুলেই চলবা।
আলহামদুলিল্লহ একজনেরতো চোখ খুলতে পারছি। খুব খুশি লাগছে।
পীর মানে ভন্ড এতে তোমার কস্ট লাগলে আমার কিছু করার নাই। আমি তোমাকে কস্ট দিতে চাইনা তবে যদিনা তুমি পীরের মুরিদ হও।
==========
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
নাকি আমার কোনো ভুল??
বর্তমান পীর মুরীদী ক্ষেত্রে মুরীদকে বায়’আত করা, মুরীদের নিকট হতে বায়’আত গ্রহণ এবং মুরীদের পক্ষে পীরের নিকট বায়’আত করা এক মৌলিক ব্যাপার। বস্তুত বায়’আত করা সুন্নাত মোতাবিক কাজ বটে; কিন্তু পীর-মুরীদীর বায়’আত সম্পূর্ণ বিদয়াত, যেমন বিদয়াত স্বয়ং পীর-মুরীদী।
‘বায়’আত’ আরবী শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ হলো ক্রয় বা বিক্রয় করা। এ শব্দটি বললেই দুটি পক্ষের কথা মনে জাগে। একপক্ষ বায়’আত করে আর অপরপক্ষ বায়’আত কবুল করে। একজন বিক্রেতা, অপরজন ক্রেতা। এই ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারটি বড়ই সঙ্গীন। ইসলামে এর স্থান কোথায়, কি এর প্রকৃত ব্যাপার এবং সে ক্ষেত্রে সু্ন্নাত তরীকাই বা কি তা আমাদের বিস্তারিত জানতে হবে।
‘বায়’আত’, শব্দের ব্যাখ্যাদান প্রসঙ্গে ইমাম রাগেব ইসফাহানী লিখেছেনঃ
যখন কেউ কোনো সার্বভৌমত্বের আনুগত্য স্বীকার করে তাকে মেনে চলার স্বীকৃতি দেয়, তখন এ কাজকে বলা হয় ‘বায়’আত’ করা বা পারস্পরিক বায়’আত গ্রহণ। আর এ থেকেই বলা হয়ঃ সে সার্বভৌমের নিকট বায়’আত করেছে বা দুজন পারস্পরিক বায়’আত করেছে।
কুরআন মজীদে আল্লাহ তা’আলা রাসূল(সা) এর নিকট সাহাবাদের বায়’আত করার কথা উল্লেখ করেছেন নানা জায়গায়। প্রথমত যেসব লোক প্রথম ঈমান এনে ইসলাম কবুল করতো, তারা রাসূলের নিকট বায়’আত করতো, রাসূল তাদের নিকট বায়’আত কবুল করতেন। সূরা আল ফতহুর আয়াতে হুদায়বিয়ার গৃহীত ‘বায়’আতের’ উল্লেখ প্রসঙ্গে বলা হয়েছেঃ
إِنَّ الَّذِينَ يُبَايِعُونَكَ إِنَّمَا يُبَايِعُونَ اللَّهَ يَدُ اللَّهِ فَوْقَ أَيْدِيهِمْ ۚ فَمَن نَّكَثَ فَإِنَّمَا يَنكُثُ عَلَىٰ نَفْسِهِ ۖ وَمَنْ أَوْفَىٰ بِمَا عَاهَدَ عَلَيْهُ اللَّهَ فَسَيُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا [٤٨:١٠]
-হে নবী, যারা তোমার নিকট বায়’আত করে তারা আসলে বায়’আত করে আল্লাহরই নিকটে। আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর সংস্থাপিত। অতঃপর যেই এই এ বায়’আত ভঙ্গ করে, এ বায়’আত ভঙ্গের ক্ষতি তার নিজের ওপরই চাপবে। আর যে তা পুরো করবে, যা সে আল্লাহর সাথে ওয়াদা করছে, তাকে অবশ্যই বিরাট প্রতিফল দেয়া হবে।
এ আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, বায়’আত ইসলামী জীবনধারার এক মৌল ব্যাপার। কিন্তু সে বায়’আত রাসূলের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় স্বয়ং আল্লাহর সাথে এবং সে বায়’আত হলো খালিস ও পূর্ণাঙ্গভাবে আল্লাহর দাসত্ব কবুল করার বায়’আত, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে চলার বায়’আত, আল্লাহর পথে তাঁর দ্বীন কায়েমের লক্ষ্যে আত্মদানের বায়’আত, জিহাদে শরীক হওয়ার বায়’আত।
এ হলো সাধারণ পর্যায়ে বায়’আত। এ পর্যায়ের আর এক বায়’আতের কথা উল্লেখ হয়েছে, যা রাসূলে করীম(স) গ্রহণ করতেন মুমিন মহিলাদের নিকট থেকে।
সূরা মুমতাহিনায় বলা হয়েছেঃ
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ عَلَىٰ أَن لَّا يُشْرِكْنَ بِاللَّهِ شَيْئًا وَلَا يَسْرِقْنَ وَلَا يَزْنِينَ وَلَا يَقْتُلْنَ أَوْلَادَهُنَّ وَلَا يَأْتِينَ بِبُهْتَانٍ يَفْتَرِينَهُ بَيْنَ أَيْدِيهِنَّ وَأَرْجُلِهِنَّ وَلَا يَعْصِينَكَ فِي مَعْرُوفٍ ۙ فَبَايِعْهُنَّ وَاسْتَغْفِرْ لَهُنَّ اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٦٠:١٢]
–হে নবী, মুমিন মহিলারা যদি তোমার নিকট এসে বায়’আত করে এসব কথার ওপর যে, তারা আল্লাহর সাথে একবিন্দু শিরক করবেনা, তারা চুরি করবেনা, তারা যিনা-ব্যভিচার করবেনা, তারা তাদের সন্তান হত্যা করবেনা, তারা প্রকাশ্যভাবে মিথ্যামিথ্যি কোনো অমূলক কাজের দোষ কারো ওপর আরোপ করবেনা, আর তারা ভালো পরিচিত কাজে তোমার নাফরমানী করবেনা, তাহলে তুমি তাদের নিকট থেকে এ বায়’আত গ্রহণ করো, আর আল্লাহর নিকট তাদের জন্যে মাগফিরাতের দো’আ করো, আল্লাহ নিশ্চিতই বড় ক্ষমাশীল এবং অতীব করুণাময়। (মুমতাহিনাঃ১২)
এ আয়াত স্পষ্ট বলে দিচ্ছে যে, নবী করীম(স) কি কি বিষয়ে মুসলিম মেয়েদের নিকট থেকে বায়’আত গ্রহণ করেছেন। বিষয়গুলো যে ইসলামী ঈমান ও আমলের একেবারে মৌলিক,- কবীরা গুনাহ না করার প্রতিশ্রুতিতেই যে বায়’আত গ্রহণ করা হয়েছে-তা স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছে। কাজেই সু্ন্নাত অনুযায়ী ‘বায়’আত’ হলো শুধু তাই, যা এসব বিষয়ে এবং এ ধরনের মৌলিক বিষয়েই করা হবে বা গ্রহণ করা হবে। এক কথায়, ইসলামের হুকুম আহকাম পুরোপুরি পালন করার এবং শরীয়তের বরখেলাপ কোনো কাজ না করার ওয়াদা দিয়ে ও নিয়ে-ই যে বায়’আত করা বা গ্রহণ করা হয় তা-ই হলো সুন্নাত মোতাবিক বায়’আত। এরূপ বায়’আত গ্রহণই সুন্নাত হতে পারে অন্য কোনোরূপ বায়’আত নয়।
দ্বিতীয়, বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতি ও প্রয়োজন অনুসারে নবী করীম(স) মুসলমানদের নিকট হতে বায়’আত গ্রহণ করেছেন। এ পর্যায়েরই বায়’আত হলো বায়’আতে রেজওয়ান। এ সম্পর্কে কুরআন মজীদে বলা হয়েছেঃ
لَّقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِي قُلُوبِهِمْ فَأَنزَلَ السَّكِينَةَ عَلَيْهِمْ وَأَثَابَهُمْ فَتْحًا قَرِيبًا [٤٨:١٨]
–যেসব মু’মিন লোক গাছের তলায় বসে হে নবী! তোমার নিকট বায়’আত করেছিল, আল্লাহ তাদের প্রতি রাজি ও খুশি হয়েছেন। তাদের মনের আবেগ ও দরদের ভাবধারা তিনি ভালোভাবেই জেনেছিলেন এবং তাদের প্রতি পরম গভীর শান্তি নাযিল করেছিলেন এবং নিকটতর বিজয় দানেও তাদের ভূষিত করেছিলেন।(আল ফাতহঃ১৮)
হাদীস থেকে প্রমাণিত যে, এরূপ বায়’আত করার জন্য নবী করীম(স) সমস্ত সাহাবীদের আহবান করেছিলেন। এই বায়’আত সম্পর্কে তখনকার লোকেরা বলতোঃ নবী করীম (স) তো লোকদের নিকট হতে মৃত্যু কবুল করার বায়’আত গ্রহণ করেছিলেন।
আর হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ বলেনঃ
নবী করীম(স) ঠিক মৃত্যু কবুলের জন্য বায়’আত গ্রহণ করেননি। বরং আমরা বায়’আত গ্রহণ করেছি এর ওপর যে, আমরা কেউ-ই যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যাবনা। ফলে লোকেরা বায়’আত করেছিল এবং উপস্থিত লোকদের মধ্য থেকে কেবল বনী সালমা গোত্র সরদার জা্দ্দ ইবনে কায়স ছাড়া কেউই পালিয়ে যায়নি।(তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৪র্থ খন্ড)।
‘বায়’আতে রেজওয়ান’ যে কঠিন মুহুর্তে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং কি গুরুতর ব্যাপার নিয়ে তা গ্রহণ করা হয়েছিল, এ আলোচনা থেকে স্পষ্ট জানা গেল। অনুরূপভাবে জিহাদের ক্ষেত্রেও নবী করীম(স) বায়’আত গ্রহণ করতেন।
(সূত্রঃ মওলানা আব্দুর রহীম- ‘সুন্নাত ও বিদয়াত’)।
তোমার প্রতি আমার অনুরোধ ***আগে বিশুদ্ধ জ্ঞান অর্জন কর কোরআন ও সহীহ হাদীসের।***
আর আমার কোন পোস্ট তোমার ভাল না লাগলে তুমিও চির বিদ্রহীর মতো দুরে থাকতে পার এতে আমি খুশি হব। কেননা আমি চাইনা তোমাকে কস্ট দিতে। আর তুমিতো সামান্য কথাতেই কস্ট পাও।
আর জদি কখোন কমেন্টস করো তাহলে কপি পেস্ট করোনা।
জানি কথাগুলো তোমাকে হার্ট করেব কিন্তু আমার বলা উচিত মনে করে তোমাকে বললাম।
আমি তোমাকে ভাল বাসলেও আল্লাহর জন্য আর ঘৃণা করলেও আল্লাহর জন্যই করবো ইনশাআল্লাহ।
আশাকরি এর পরে আর কিছু বলতে হবেনা।
============
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
আবার পানশালার মদ বিক্রেতাকেও পীরে মুগাঁ বলা হয়। কারণ সুফীবাদীরা আধ্যাতিক প্রেমকে রূপকভাবে মদরূপে অভিহিত করে, উক্ত প্রেমরস-পরিবেশককে পীর বা 'শুড়ী মশাই' নামে অভিহিত করে থাকেন। খৃষ্টানদের পাদরী, হিন্দুদের পুরোহিত এবং বৌদ্ধদের ভিক্ষু বলতে যা বুঝায় পীর বলতে ঠিক তাই বুঝায়।
কবি বলেছেন...
বমায়ে শাজ্জাদাহ রঙ্গীন কুন
গিরাত পীরে মুগাঁ গোয়াদ
সে সালেক বেখবর নাবুদ
যে রাহে রাসমো মানযালহা।
অর্থাৎ পীরে মুগাঁ অর্থাৎ শুড়ি মশায় যদি বলেন, তাহলে তুমি জায়নামাজকে মদের দ্বারা রাঙিয়ে তুলো। কেননা পথের সন্ধান গুরুজী ভালভাবে অবগত আছেন। এই কবিতায় শুঁড়ি মশায়কে পীরে মুগাঁ বলা হয়েছে।
পীর, পুরোহীত বা পাদরী এর কোন প্রতিশব্দ কুরআন-হাদীসে নেই। আবু বকর, উমর, উসমান, আলী (রাঃ) প্রমুখ সাহাবীগণও কেউ কোনদিন পীর বলে দাবী করেননি। তাবেয়ীনদের যুগে পীরের অস্তিত্ব ছিলনা। ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম মালিক, ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল, ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম আবু দাউদ, ইমাম নাসায়ী, ইমাম তিরমিযী, ইমাম ইবনু মাজাহ (রহ.) প্রভৃতি মহামতি ইমামগণও পীরগিরি করেননি। কোন কুক্ষণে পারস্যের অগ্নি পুঁজারীদের সেই পীর তাওহীদবাদী মুসলিম সমাজের ঘাড়ে-গর্দানে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসল- তা ভেবে কুল পাওয়া যায়না। আরবী ভাষায় উসতায ও নেতাকে শাইখ বলা হয়।
আর কথায় তো আছে চোরের মন পুলিশ পুলিশ।
তা কয়টা মুখোশ আছে আপনার?
নাকি বয়স যত হচ্ছে ততো বেওকুফির সিমানা অতিক্রম করছেন?
আচ্ছা আপনার চোখটা কি পুটলিতে নাকি মাথায়?
মাথায় যদি চোখ থাকে স্পষ্ট এখনও দেখুন ইমরান ভাই,হারিকেন, আওণ তিনজনের মন্তব্যে lol ইমোটিকন আছে?
কিন্তু আপনার বেওকুফিতে আপনার মুখোশিয় মন্তব্য সবাই দেখতে পেলো@আব্দুল মাজেদ ভাই।
বুদ্ধি করে কাজ করলে আর ধাঁধায় পড়বেননা।?
আর মন্তব্যে এত আশ্চর্য্য বোধক চিন্হের কি আছে?(!)
শুনে রাখুন আওণ একজন সাধারন মুসলমান।
আওণকে একবার জ্বর অবস্থায় ধরে বেঁধে জোরপূর্বক মুরিদ করে দিছিলো এক পির সাহেবের মুরিদানরা। কিন্তু তাড়পর সেই পীর সাহেবের মসজিদে আওণ প্রায় আনুমানিক ৪/৫ বছর যায়নি।
ধন্যবাদ
উপরিউক্ত আমার দেয়া সকল পীর ভন্ড,ভন্ড,ভন্ড।
============
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
@রাহবার, তোমার কমেন্টস পড়লে যে কেউ তোমাকে বুঝবে যে তুমি কি রখম অহংকারী,রগচটা,রাগী,শত্রুতা পরায়ন মনের মানুষ। তাই তোমাকে এরখম কমেন্টস করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।
আওণ রাহ'বারলিখেছেন : অস্বিকার করার কোন উপায় নাই আমি রাগি+রগচটা+অহংকারি তবে শত্রুতা পরায়ণ এটা মানতে পারলামনা । যাই হোক উপরোক্ত মন্তব্য আমি রাগ অবস্থায় করেছি ।
তবে আপনি একতরফা আমাকে বললেন ব্লগার নেহায়েৎ যে এখানে এতগুলো আশ্চর্য্যবোধক চিন্হ ব্যাবহার করলো তাকে তো কিছু বললেন না?
ওনাকে কি আমি আগে কিছু বলেছিলাম?
উনিই তো ফান কমেন্টস এতগুলো আশ্চর্য্যবোধক ! ! ! ! ! ! ব্যাবহার করে মুখোশ এর কথা বললেন?
সেটার কি হবে??
যুক্তিহীন ভাবে এভাবে বেওকুফির দ্বারা কিছু বুলি উড়ানো যায় মানুষের মনকে টুকরো টুকরো করা যায় কিন্তু এতে নিজেই বেওকুফ সাজতে হয় সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলাম।
আর আপনি আমাকে বললেন অথচ নেহায়েৎ এর সম্পর্কে এখন পর্যন্ত চুপ রইলেন বুঝলাম না এ কেমন ব্যাবহার আপনার?
প্রশ্ন থাকলো?
ইমরান ভাই লিখেছেন : আমি যা বুঝছি তাতে নেহায়েত তার কমেন্টস থেকে বোঝাতে চেয়েছে যে "তুমি পীরের মুরীদ" সেটা আজ মুখশ খুলে গেছে। কেননা তুমি ভন্ড পীরদের সাফাই গাইছো হতে পারে সেজন্য।(আমি জদি ভুল না বুঝি) হতে পারে তাই সে আশ্চর্যবোধক চিন্হ ব্যাবহার করেছে সেইজন্য তুমি যাচ্ছেতাই বলাটা অনুচিত।
তোমার ভাষার মাঝে এগুলাতে...
"নাকি বয়স যত হচ্ছে ততো বেওকুফির সিমানা অতিক্রম করছেন?
আচ্ছা আপনার চোখটা কি পুটলিতে নাকি মাথায়?"
প্রচন্ড রখমের শত্রুতা পরায়ন ভাব ফুটে উঠেছে। তুমি বড়দের এভাবে বলতে পারনা। এটা তোমার ব্যাক্তিত্বে শোভা পায়না।
তাই নেহায়েতকে কিছু বলার নাই।
একবার জ্বর অবস্থায় জুমু'য়া দেরিতে পড়তে গিয়ে দেয়াল টপকানোর পড়েও রেহাই পেলাম না। জুতা আটকে দিয়ে দলবল সহ আমাকে ধরে বেঁধে আমাকে আটকে রাখলো আবার ঐ পথে যাবো?
পরিস্কার আওণ কোন ভাবেই এমন কোন যায়গায় যাবেনা যেখানে ব্যাবসা হয় আর্থিক লেনদেন এর ব্যাবসা হয়।
তবে উনি (নেহায়েৎ ) এভাবে না বললেও পারতেন।
পীরের মুরিদ হওয়ার কোন ইচ্ছা আমার নাই কারন আমার পীর ভালো লাগেনা কারন পীরদের মধ্যে ভন্ড বেশি। তবে ওহিদ ভাইয়ের মন্তব্য আমার খুব ভালো লেগেছে।
তবে ইমরান ভাই আমি ওনাকে ডিরেক্ট হিট করেছি এটা উচিৎ হয়নাই ।
এর জন্য আমিও দুঃখিত।
তবে এটা পরিপূর্ণ রাগ অবস্থায় করেছি।
ওনারো উচিৎ ছিলো আক্রমনাত্মক ভাবে মন্তব্য না করা।
ধন্যবাদ
তবে এভাবে আর কখোন না বললেই খুশি হব।
কেননা তিনি (নেহায়েৎ) এখন জদি বলেন যে আমিও ফান করছি তাহলে তোমার কি কিছু বলার থাকবে??? আশ্চর্যবোধক চিন্হ নিয়ে তুমি এত কথা বলতেই পারনা।
আর একটা বিষয় তোমার লক্ষ্যনিয়। সেটা হলো তুমি সামনা সমনি কিছু বলনা কিন্তু ঘুড়িয়ে ফিড়িয়ে এমন ভাবে বল যাতে সবাই বুঝতে পারে রাহবার খোচা দিচ্ছে। এবং মাঝে মাঝে কথাগুলো খুব করা ভাষায় হয়। (উদাহরন হিসেবে এখানে ৪ নং কমেন্টসে করা তোমার রিপ্লাই দেখতে পার)
তাই তোমার কাছে একটাই অনুরোধ
***এরখম হলে আমার পোস্টে কমেন্ট করোনা।***
তবে খুবই সামান্য কিছু ব্যতিক্রম আছে। যে সকল পীর স্রেফ শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে মসজিদ ও দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে দ্বীন প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
এরা নামে মাত্র পীর(উত্তারাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হওয়ায় হুট করে ছেড়ে দিতে পারছেননা। হেকমত হিসেবে তার মাঝে থেকেই শিরক বিদআত বিরোধী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।) কিন্তু শিরক বিদআতকে কোনোভাবে প্রশ্রয় দেননা।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়ঃ চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ। সেখানে কুরআন ও সহীহ হাদীস মেনে চলার জোর প্রচেষ্টা লক্ষণীয়।
এ প্রসঙ্গে উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম তাঁর ‘সুন্নাত ও বিদয়াত’ বইয়ে পীর মুরীদী অধ্যায়ে দীর্ঘ আলোচনা শেষে উপসংহার টেনেছেন এভাবে।
সিলসিলার ও পীরের মৃত্যুর পর গদীনশিন হওয়ার পরও কেউ কেউ এমন আছেন, যিনি পীর মুরীদকে বিদয়াত ও নিছক ব্যবসায়ীর কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধকার থেকে টেনে বাইরে নিয়ে এসে তাকে ঠিক ওস্তাদ-শাগরীদ, শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্ক কার্য্ত স্থাপন করেছেন। মারিফাত চর্চাকে শরীয়তের ভিত্তিতে পুনর্গঠিত করেছেন। শরীয়তের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে মারিফাতের শিক্ষাদানের কাজ করেছেন এবং এই গোটা তৎপরতার সঙ্গে জিহাদের সম্পর্ক স্থাপন করে দ্বীনী বিপ্লবের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। তা দেখে দিল খুশিতে ভরে গেছে এবং মনে আশা জেগেছে যে, আল্লাহর নাযিল করা ও সর্বশেষ নবী রাসূল হযরত মুহাম্মাদ(স) এর প্রচারিত ও কায়েম করা দ্বীন হয়ত এখানে কায়েম হবে। মূলত খিলাফাতে রাশেদার অবসানের পর প্রথম দিকে দ্বীন কায়েমের যেসব চেষ্টা প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল, তা দ্বীনভিত্তিক মারিফাত ও জিহাদের বিপ্লবী ভাবধারা সমন্বিত ছিল, যাঁর ধ্বংসাবশেষ রূপ বর্তমান ব্যবসামূলক বিদয়াতপন্থী পীর-মুরীদী। বর্তমান অবস্থার আমূল পরিবর্তন করে সেই আসল ও আদর্শবাদভিত্তিক উস্তাদ-শাগরিদমূলক জন-সংগঠনের মাধ্যমে দ্বীন কায়েমের জন্য দ্বীন ও শরীয়তের, মারিফাত ও জিহাদের সমন্বয় নতুন করে কায়েম করাই বর্তমান মরণাপন্ন মুসলিম সমাজকে রক্ষা করা ও দ্বীনের ভবিষ্যত উজ্জ্বল করার একমাত্র উপায়। ধর্মহীন রাজনীতি, রাজনীতিহীন ধর্ম- উপরন্তু দ্বীনের শুষ্ক তাত্ত্বিকতা দ্বীন কায়েমের পথে বড় বাঁধা। দ্বীন-ইসলামের নির্ভূল তত্ত্বকে হৃদয়ের ঈমানী আবেগে সঞ্জীবিত করে জিহাদী কার্য্ক্রমের মাধ্যমেই পীর-মুরীদীর পুনর্গঠন হওয়া আবশ্যক।
আমার মতামতঃ আপনি সত্য বলেছেন
।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
আমি আমার পোস্টা পীর শব্দের অর্থের জন্য করি নাই। উপরিউক্ত সব পীর ভন্ড। আর বাংলাদেশে এদেরকে হক্কানী পীর ভাবে অনেকেই। কিন্তু এরা যে ভন্ড তা আমি তুলে ধরেছি।
উপরিউক্ত আমার দেয়া সকল পীর ভন্ড,ভন্ড,ভন্ড।
============
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
বর্তমান পীর মুরীদী ক্ষেত্রে মুরীদকে বায়’আত করা, মুরীদের নিকট হতে বায়’আত গ্রহণ এবং মুরীদের পক্ষে পীরের নিকট বায়’আত করা এক মৌলিক ব্যাপার। বস্তুত বায়’আত করা সুন্নাত মোতাবিক কাজ বটে; কিন্তু পীর-মুরীদীর বায়’আত সম্পূর্ণ বিদয়াত, যেমন বিদয়াত স্বয়ং পীর-মুরীদী।
‘বায়’আত’ আরবী শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ হলো ক্রয় বা বিক্রয় করা। এ শব্দটি বললেই দুটি পক্ষের কথা মনে জাগে। একপক্ষ বায়’আত করে আর অপরপক্ষ বায়’আত কবুল করে। একজন বিক্রেতা, অপরজন ক্রেতা। এই ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারটি বড়ই সঙ্গীন। ইসলামে এর স্থান কোথায়, কি এর প্রকৃত ব্যাপার এবং সে ক্ষেত্রে সু্ন্নাত তরীকাই বা কি তা আমাদের বিস্তারিত জানতে হবে।
‘বায়’আত’, শব্দের ব্যাখ্যাদান প্রসঙ্গে ইমাম রাগেব ইসফাহানী লিখেছেনঃ
যখন কেউ কোনো সার্বভৌমত্বের আনুগত্য স্বীকার করে তাকে মেনে চলার স্বীকৃতি দেয়, তখন এ কাজকে বলা হয় ‘বায়’আত’ করা বা পারস্পরিক বায়’আত গ্রহণ। আর এ থেকেই বলা হয়ঃ সে সার্বভৌমের নিকট বায়’আত করেছে বা দুজন পারস্পরিক বায়’আত করেছে।
কুরআন মজীদে আল্লাহ তা’আলা রাসূল(সা) এর নিকট সাহাবাদের বায়’আত করার কথা উল্লেখ করেছেন নানা জায়গায়। প্রথমত যেসব লোক প্রথম ঈমান এনে ইসলাম কবুল করতো, তারা রাসূলের নিকট বায়’আত করতো, রাসূল তাদের নিকট বায়’আত কবুল করতেন। সূরা আল ফতহুর আয়াতে হুদায়বিয়ার গৃহীত ‘বায়’আতের’ উল্লেখ প্রসঙ্গে বলা হয়েছেঃ
إِنَّ الَّذِينَ يُبَايِعُونَكَ إِنَّمَا يُبَايِعُونَ اللَّهَ يَدُ اللَّهِ فَوْقَ أَيْدِيهِمْ ۚ فَمَن نَّكَثَ فَإِنَّمَا يَنكُثُ عَلَىٰ نَفْسِهِ ۖ وَمَنْ أَوْفَىٰ بِمَا عَاهَدَ عَلَيْهُ اللَّهَ فَسَيُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا [٤٨:١٠]
-হে নবী, যারা তোমার নিকট বায়’আত করে তারা আসলে বায়’আত করে আল্লাহরই নিকটে। আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর সংস্থাপিত। অতঃপর যেই এই এ বায়’আত ভঙ্গ করে, এ বায়’আত ভঙ্গের ক্ষতি তার নিজের ওপরই চাপবে। আর যে তা পুরো করবে, যা সে আল্লাহর সাথে ওয়াদা করছে, তাকে অবশ্যই বিরাট প্রতিফল দেয়া হবে।
এ আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, বায়’আত ইসলামী জীবনধারার এক মৌল ব্যাপার। কিন্তু সে বায়’আত রাসূলের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় স্বয়ং আল্লাহর সাথে এবং সে বায়’আত হলো খালিস ও পূর্ণাঙ্গভাবে আল্লাহর দাসত্ব কবুল করার বায়’আত, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে চলার বায়’আত, আল্লাহর পথে তাঁর দ্বীন কায়েমের লক্ষ্যে আত্মদানের বায়’আত, জিহাদে শরীক হওয়ার বায়’আত।
এ হলো সাধারণ পর্যায়ে বায়’আত। এ পর্যায়ের আর এক বায়’আতের কথা উল্লেখ হয়েছে, যা রাসূলে করীম(স) গ্রহণ করতেন মুমিন মহিলাদের নিকট থেকে।
সূরা মুমতাহিনায় বলা হয়েছেঃ
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ عَلَىٰ أَن لَّا يُشْرِكْنَ بِاللَّهِ شَيْئًا وَلَا يَسْرِقْنَ وَلَا يَزْنِينَ وَلَا يَقْتُلْنَ أَوْلَادَهُنَّ وَلَا يَأْتِينَ بِبُهْتَانٍ يَفْتَرِينَهُ بَيْنَ أَيْدِيهِنَّ وَأَرْجُلِهِنَّ وَلَا يَعْصِينَكَ فِي مَعْرُوفٍ ۙ فَبَايِعْهُنَّ وَاسْتَغْفِرْ لَهُنَّ اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٦٠:١٢]
–হে নবী, মুমিন মহিলারা যদি তোমার নিকট এসে বায়’আত করে এসব কথার ওপর যে, তারা আল্লাহর সাথে একবিন্দু শিরক করবেনা, তারা চুরি করবেনা, তারা যিনা-ব্যভিচার করবেনা, তারা তাদের সন্তান হত্যা করবেনা, তারা প্রকাশ্যভাবে মিথ্যামিথ্যি কোনো অমূলক কাজের দোষ কারো ওপর আরোপ করবেনা, আর তারা ভালো পরিচিত কাজে তোমার নাফরমানী করবেনা, তাহলে তুমি তাদের নিকট থেকে এ বায়’আত গ্রহণ করো, আর আল্লাহর নিকট তাদের জন্যে মাগফিরাতের দো’আ করো, আল্লাহ নিশ্চিতই বড় ক্ষমাশীল এবং অতীব করুণাময়। (মুমতাহিনাঃ১২)
এ আয়াত স্পষ্ট বলে দিচ্ছে যে, নবী করীম(স) কি কি বিষয়ে মুসলিম মেয়েদের নিকট থেকে বায়’আত গ্রহণ করেছেন। বিষয়গুলো যে ইসলামী ঈমান ও আমলের একেবারে মৌলিক,- কবীরা গুনাহ না করার প্রতিশ্রুতিতেই যে বায়’আত গ্রহণ করা হয়েছে-তা স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছে। কাজেই সু্ন্নাত অনুযায়ী ‘বায়’আত’ হলো শুধু তাই, যা এসব বিষয়ে এবং এ ধরনের মৌলিক বিষয়েই করা হবে বা গ্রহণ করা হবে। এক কথায়, ইসলামের হুকুম আহকাম পুরোপুরি পালন করার এবং শরীয়তের বরখেলাপ কোনো কাজ না করার ওয়াদা দিয়ে ও নিয়ে-ই যে বায়’আত করা বা গ্রহণ করা হয় তা-ই হলো সুন্নাত মোতাবিক বায়’আত। এরূপ বায়’আত গ্রহণই সুন্নাত হতে পারে অন্য কোনোরূপ বায়’আত নয়।
দ্বিতীয়, বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতি ও প্রয়োজন অনুসারে নবী করীম(স) মুসলমানদের নিকট হতে বায়’আত গ্রহণ করেছেন। এ পর্যায়েরই বায়’আত হলো বায়’আতে রেজওয়ান। এ সম্পর্কে কুরআন মজীদে বলা হয়েছেঃ
لَّقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِي قُلُوبِهِمْ فَأَنزَلَ السَّكِينَةَ عَلَيْهِمْ وَأَثَابَهُمْ فَتْحًا قَرِيبًا [٤٨:١٨]
–যেসব মু’মিন লোক গাছের তলায় বসে হে নবী! তোমার নিকট বায়’আত করেছিল, আল্লাহ তাদের প্রতি রাজি ও খুশি হয়েছেন। তাদের মনের আবেগ ও দরদের ভাবধারা তিনি ভালোভাবেই জেনেছিলেন এবং তাদের প্রতি পরম গভীর শান্তি নাযিল করেছিলেন এবং নিকটতর বিজয় দানেও তাদের ভূষিত করেছিলেন।(আল ফাতহঃ১৮)
হাদীস থেকে প্রমাণিত যে, এরূপ বায়’আত করার জন্য নবী করীম(স) সমস্ত সাহাবীদের আহবান করেছিলেন। এই বায়’আত সম্পর্কে তখনকার লোকেরা বলতোঃ নবী করীম (স) তো লোকদের নিকট হতে মৃত্যু কবুল করার বায়’আত গ্রহণ করেছিলেন।
আর হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ বলেনঃ
নবী করীম(স) ঠিক মৃত্যু কবুলের জন্য বায়’আত গ্রহণ করেননি। বরং আমরা বায়’আত গ্রহণ করেছি এর ওপর যে, আমরা কেউ-ই যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যাবনা। ফলে লোকেরা বায়’আত করেছিল এবং উপস্থিত লোকদের মধ্য থেকে কেবল বনী সালমা গোত্র সরদার জা্দ্দ ইবনে কায়স ছাড়া কেউই পালিয়ে যায়নি।(তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৪র্থ খন্ড)।
‘বায়’আতে রেজওয়ান’ যে কঠিন মুহুর্তে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং কি গুরুতর ব্যাপার নিয়ে তা গ্রহণ করা হয়েছিল, এ আলোচনা থেকে স্পষ্ট জানা গেল। অনুরূপভাবে জিহাদের ক্ষেত্রেও নবী করীম(স) বায়’আত গ্রহণ করতেন।
(সূত্রঃ মওলানা আব্দুর রহীম- ‘সুন্নাত ও বিদয়াত’)।
আমি আমার পোস্টা পীর শব্দের অর্থের জন্য করি নাই। উপরিউক্ত সব পীর ভন্ড। আর বাংলাদেশে এদেরকে হক্কানী পীর ভাবে অনেকেই। কিন্তু এরা যে ভন্ড তা আমি তুলে ধরেছি।
উপরিউক্ত আমার দেয়া সকল পীর ভন্ড,ভন্ড,ভন্ড।
============
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
============
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
কপি পেস্ট হলেও পীরপন্থী গোমরাহ লোকদের হেদায়াত এর জন্য সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আমি মওলানা আব্দুর রহীম সাহেবের - ‘সুন্নাত ও বিদয়াত’বইটা পড়েছি আমার কাছে বইটা আছে।
আপনি আমার কমেন্টটা দেখেন সেখানে আমি বলেছি ***আমি আমার পোস্টা পীর শব্দের অর্থের জন্য করি নাই। উপরিউক্ত সব পীর ভন্ড। আর বাংলাদেশে এদেরকে হক্কানী পীর ভাবে অনেকেই। কিন্তু এরা যে ভন্ড তা আমি তুলে ধরেছি।***
আশাকরি আপনি বুঝতে পারছেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন