পীর মানেই ভন্ড.......

লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ৩০ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:০২:৫১ সন্ধ্যা

মাইজভাণ্ডারীর টাইটেল - 'পিরানে পীর'

মানে পীরদের পীর।

দেওয়ানবাগীর টাইটেল- 'সুফি সম্রাট' মানে সব

সুফিদের সম্রাট।

আটরশির টাইটেল- 'শাহেনশাহে তরিকত'

মানে এই তরিকায় যারা আছে সবার রাজা।

চন্দ্রপুরীর টাইটেল- 'সুলতানুল আওলিয়া'

মানে সকল আওলিয়াদের সুলতান।

রাজারবাগির টাইটেল-'ইমামুস সিদ্দিকিন'

মানে সকল বিশ্বাসীদের ইমাম।

চরমনাই এর টাইটেল - 'আমিরুল মুজাহিদিন'

মানে সকল মুজাহিদিনদের আমির।

এখন আমার প্রশ্ন হল, সবাই দাবি করছে তাদের

পীরই সব পীরদের সেরা । তাদের পীরই সব

পীরের ইমাম।

তাহলে কে সেরা ? আসলে যে যত বড় ভণ্ড তার

টাইটেল তত বড়।

যে যত বড় ধর্ম ব্যবসায়ী সে তত সেরা। কারণ

ক্যাপিটাল ছাড়া ব্যবসা। টেক্স দিতে হয় না।

সরকার নিরাপত্তা দেয়।

বিনিময়ে ওরা সরকারকে বৈধতা দিতে হয়।

সংগ্রহীত

বিষয়: বিবিধ

৩৬৫০ বার পঠিত, ৭৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

215501
৩০ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৮
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : পীর মানেই ভন্ড নয় বরং যাদের আমরা পীর বলি তারা পীর নয়
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৯:২৪
164490
ইমরান ভাই লিখেছেন : পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
215518
৩০ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৪
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : imranh নিকের সবাই মানে শাহবাগি ইমরান Rolling on the FloorRolling on the FloorRolling on the FloorRolling on the FloorRolling on the FloorRolling on the FloorRolling on the Floor
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৯:২৪
164491
ইমরান ভাই লিখেছেন : ভালইতো তাহলে বিরানি খাওয়া শুরু আর ্ই বিরানির পথপ্রদর্শক তুমি রাহাবার...Rolling on the Floor Rolling on the Floor
পীর মানেই বিদআতি, ভন্ড।
০২ মে ২০১৪ সকাল ১০:০৩
164517
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : রাহাবার মানে (বিরানির) পথপ্রদর্শক Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
০২ মে ২০১৪ সকাল ১০:০৪
164518
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আওণ মানে কি? Yahoo! Fighter
০২ মে ২০১৪ সকাল ১০:১১
164520
ইমরান ভাই লিখেছেন : হ্যারে, তুমি এর একটা অর্থ দিয়ে দাও যা বিরানির পথপ্রদর্শকের সাথে মানায়...Tongue Tongue Tongue
০৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৪
165108
নেহায়েৎ লিখেছেন : এতদিনে আওণ রাহবারের মুখোশ খুলে গেল!!!!!!!!!!!
০৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:০৫
165135
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : @নেহায়েৎ বড় ভাই।
আওণ রাহ'বারলিখেছেন : মনে হচ্ছে আপনার কুমিরে খাওয়া রোগ আছে।
আর কথায় তো আছে চোরের মন পুলিশ পুলিশ।
তা কয়টা মুখোশ আছে আপনার?
নাকি বয়স যত হচ্ছে ততো বেওকুফির সিমানা অতিক্রম করছেন?
আচ্ছা আপনার চোখটা কি পুটলিতে নাকি মাথায়?
মাথায় যদি চোখ থাকে স্পষ্ট এখনও দেখুন ইমরান ভাই,হারিকেন, আওণ তিনজনের মন্তব্যে lol ইমোটিকন আছে?
কিন্তু আপনার বেওকুফিতে আপনার মুখোশিয় মন্তব্য সবাই দেখতে পেলো@আব্দুল মাজেদ ভাই।
বুদ্ধি করে কাজ করলে আর ধাঁধায় পড়বেননা।?
আর মন্তব্যে এত আশ্চর্য্য বোধক চিন্হের কি আছে?(!)
শুনে রাখুন আওণ একজন সাধারন মুসলমান।
আওণকে একবার জ্বর অবস্থায় ধরে বেঁধে জোরপূর্বক মুরিদ করে দিছিলো এক পির সাহেবের মুরিদানরা। কিন্তু তাড়পর সেই পীর সাহেবের মসজিদে আওণ প্রায় আনুমানিক ৪/৫ বছর যায়নি।
ধন্যবাদ
০৪ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪৮
165314
ইমরান ভাই লিখেছেন : @রাহবার, তোমার কমেন্টস পড়লে যে কেউ তোমাকে বুঝবে যে তুমি কি রখম অহংকারী,রগচটা,রাগী,শত্রুতা পরায়ন মনের মানুষ। তাই তোমাকে এরখম কমেন্টস করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।

***এরখম হলে আমার পোস্টে কমেন্ট করোনা।***

আমি দুখিত খুব কড়া ভাষায় বলার জন্য।
০৪ মে ২০১৪ সকাল ০৯:২৫
165325
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : অস্বিকার করার কোন উপায় নাই আমি রাগি+রগচটা+অহংকারি তবে শত্রুতা পরায়ণ এটা মানতে পারলামনা । যাই হোক উপরোক্ত মন্তব্য আমি রাগ অবস্থায় করেছি ।
তবে আপনি একতরফা আমাকে বললেন ব্লগার নেহায়েৎ যে এখানে এতগুলো আশ্চর্য্যবোধক চিন্হ ব্যাবহার করলো তাকে তো কিছু বললেন না?
ওনাকে কি আমি আগে কিছু বলেছিলাম?
উনিই তো ফান কমেন্টস এতগুলো আশ্চর্য্যবোধক ! ! ! ! ! ! ব্যাবহার করে মুখোশ এর কথা বললেন?
সেটার কি হবে??
যুক্তিহীন ভাবে এভাবে বেওকুফির দ্বারা কিছু বুলি উড়ানো যায় মানুষের মনকে টুকরো টুকরো করা যায় কিন্তু এতে নিজেই বেওকুফ সাজতে হয় সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলাম।
আর আপনি আমাকে বললেন অথচ নেহায়েৎ এর সম্পর্কে এখন পর্যন্ত চুপ রইলেন বুঝলাম না এ কেমন ব্যাবহার আপনার?
প্রশ্ন থাকলো?
০৪ মে ২০১৪ সকাল ১০:০৩
165333
ইমরান ভাই লিখেছেন : আমি যা বুঝছি তাতে নেহায়েত তার কমেন্টস থেকে বোঝাতে চেয়েছে যে "তুমি পীরের মুরীদ" সেটা আজ মুখশ খুলে গেছে। কেননা তুমি ভন্ড পীরদের সাফাই গাইছো হতে পারে সেজন্য।(আমি জদি ভুল না বুঝি) হতে পারে তাই সে আশ্চর্যবোধক চিন্হ ব্যাবহার করেছে সেইজন্য তুমি যাচ্ছেতাই বলাটা অনুচিত।

তোমার ভাষার মাঝে এগুলাতে...
"নাকি বয়স যত হচ্ছে ততো বেওকুফির সিমানা অতিক্রম করছেন?
আচ্ছা আপনার চোখটা কি পুটলিতে নাকি মাথায়?"

প্রচন্ড রখমের শত্রুতা পরায়ন ভাব ফুটে উঠেছে। তুমি বড়দের এভাবে বলতে পারনা। এটা তোমার ব্যাক্তিত্বে শোভা পায়না।

তাই নেহায়েতকে কিছু বলার নাই।
০৪ মে ২০১৪ সকাল ১০:২৮
165342
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আমার খেয়েদেয়ে কাজ নাই পীর সাহেবের মুরিদ হবো Time Out Time Out Time Out
একবার জ্বর অবস্থায় জুমু'য়া দেরিতে পড়তে গিয়ে দেয়াল টপকানোর পড়েও রেহাই পেলাম না। জুতা আটকে দিয়ে দলবল সহ আমাকে ধরে বেঁধে আমাকে আটকে রাখলো আবার ঐ পথে যাবো?
পরিস্কার আওণ কোন ভাবেই এমন কোন যায়গায় যাবেনা যেখানে ব্যাবসা হয় আর্থিক লেনদেন এর ব্যাবসা হয়।
তবে উনি (নেহায়েৎ ) এভাবে না বললেও পারতেন।
পীরের মুরিদ হওয়ার কোন ইচ্ছা আমার নাই কারন আমার পীর ভালো লাগেনা কারন পীরদের মধ্যে ভন্ড বেশি। তবে ওহিদ ভাইয়ের মন্তব্য আমার খুব ভালো লেগেছে।
তবে ইমরান ভাই আমি ওনাকে ডিরেক্ট হিট করেছি এটা উচিৎ হয়নাই ।
এর জন্য আমিও দুঃখিত।
তবে এটা পরিপূর্ণ রাগ অবস্থায় করেছি।
ওনারো উচিৎ ছিলো আক্রমনাত্মক ভাবে মন্তব্য না করা।
ধন্যবাদ
০৪ মে ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
165346
ইমরান ভাই লিখেছেন : আল্লাহই ভাল জানেন সবার ভিতরের খবর।
তবে এভাবে আর কখোন না বললেই খুশি হব।
কেননা তিনি (নেহায়েৎ) এখন জদি বলেন যে আমিও ফান করছি তাহলে তোমার কি কিছু বলার থাকবে??? আশ্চর্যবোধক চিন্হ নিয়ে তুমি এত কথা বলতেই পারনা।

আর একটা বিষয় তোমার লক্ষ্যনিয়। সেটা হলো তুমি সামনা সমনি কিছু বলনা কিন্তু ঘুড়িয়ে ফিড়িয়ে এমন ভাবে বল যাতে সবাই বুঝতে পারে রাহবার খোচা দিচ্ছে। এবং মাঝে মাঝে কথাগুলো খুব করা ভাষায় হয়। (উদাহরন হিসেবে এখানে ৪ নং কমেন্টসে করা তোমার রিপ্লাই দেখতে পার)

তাই তোমার কাছে একটাই অনুরোধ
***এরখম হলে আমার পোস্টে কমেন্ট করোনা।***
০৪ মে ২০১৪ সকাল ১১:০০
165349
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ৪নং কমেন্টস শুধু অপ্রিয়কে করেছি আর কাউকে করিনাই।
আর কোনটা ফান আর কোনটা ফাননা সেটা আমি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি।
ধন্যবাদ।
০৪ মে ২০১৪ সকাল ১১:২৫
165356
ইমরান ভাই লিখেছেন : বোঝার জন্য অনেক শুকরিয়া।
০৪ মে ২০১৪ সকাল ১১:৩০
165358
নেহায়েৎ লিখেছেন : সবার কমেন্টসই পড়লাম। তবে আমার বলার কিছু নাই। আল্লাহ সবার মনের খবর জানেন।
215519
৩০ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৫
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : গাউছে চুমা দাওনি! (চমদানী), মাহবুবে রাবিশ( ধোকা দেয়ার জন্য ওরা ব্যবহার 'রাব্বানী'), মুশকিল কোশা,(বিপদে নিক্ষেপ), হাজতে রাঁওয়া (জাহান্নামে রাওয়ানা), ফিতনাতে কাদিয়ানী, আক্বিদায়ে ফেরাউন, খাসলতে মালাউন, তরিকায়ে ভান্ডারী (ভন্ডামী), সিলসিলায়ে ফিতনায়ী, গোমরাহে আকবরী, দ্বীনে ইলাহী, রয়িসুল খোবাইয়েস হযরত খাজায়ে গাঞ্জাবাবার দরগায়ে আগামী ৩৩ তারিখ মহা সমারোহে অনুষ্ঠিত হইবে (অ)পবিত্র ওরুশে মু,লাআনত। এতে সবাইকে সবান্ধবে শরীক হয়ে জাহান্নামের টিকিট সংগ্রহ করতে পরামর্শ দেয়া অইলো।
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৯:২৭
164492
ইমরান ভাই লিখেছেন : পীরের পাছায় লাথি মার জান্নাতের টিকিট কনফার্ম কর। এই হউক স্লোগান।

অনেক সুন্দর একটা কমেন্টস করেছেন ভাইজান আমার খুব পছন্দ হইছে। কিন্তু তার পরেরও ২-১ টা কমেন্টে দেখেন ভন্ড মুরিদ পাওয়া যাচ্ছে। এদের সম্মন্ধ্যে কিছু বলেন।

পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
215522
৩০ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৯
অপ্রিয় সত্য কথা লিখেছেন : দলিল দেখুন-আহলে হদসের মুখপাত্র বেতন ভুক্ত দায়ী,মুসলিম উম্মাহের মাঝে বিভ্রান্তি এবং অনেক্য সৃস্টি কারি কুখ্যাত সেীদি গোলাম ইমারান সারখারের যোগ্য মিতা ইমরান ভাই। Give Up
৩০ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
163783
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : অপ্রিয় @একটু নরম হওয়া যায়না?
মানুষের অন্তর তো টুকরা টুকরা হয়ে যায়।Sad Crying
আমি নিজে কষ্ট পেয়েছি।
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৯:২৮
164493
ইমরান ভাই লিখেছেন : জালে যেমন মাছ উঠে তেমনি এই পোস্টে একটা ভন্ড পীরের মুরিদ ফাসলো। গুড। মুরীদ চিনে নেন সবাই।
ভন্ড পীরের ভন্ড মুরীদ।

পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
০৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৪১
165111
নেহায়েৎ লিখেছেন : কবি বলেছেন...
বমায়ে শাজ্জাদাহ‌ রঙ্গীন কুন
গিরাত পীরে মুগাঁ গোয়াদ
সে সালেক বেখবর নাবুদ
যে রাহে রাস‌মো মান‌যালহা।
অর্থাৎ পীরে মুগাঁ অর্থাৎ শুড়ি মশায় যদি বলেন, তাহলে তুমি জায়নামাজকে মদের দ্বারা রাঙিয়ে তুলো। কেননা পথের সন্ধান গুরুজী ভালভাবে অবগত আছেন। এই কবিতায় শুঁড়ি মশায়কে পীরে মুগাঁ বলা হয়েছে।
পীর, পুরোহীত বা পাদরী এর কোন প্রতিশব্দ কুরআন-হাদীসে নেই। আবু বকর, উমর, উসমান, আলী (রাঃ) প্রমুখ সাহাবীগণও কেউ কোনদিন পীর বলে দাবী করেননি। তাবেয়ীনদের যুগে পীরের অস্তিত্ব ছিলনা। ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম মালিক, ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল, ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম আবু দাউদ, ইমাম নাসায়ী, ইমাম তিরমিযী, ইমাম ইবনু মাজাহ (রহ.) প্রভৃতি মহামতি ইমামগণও পীরগিরি করেননি। কোন‌ কুক্ষণে পারস্যের অগ্নি পুঁজারীদের সেই পীর তাওহীদবাদী মুসলিম সমাজের ঘাড়ে-গর্দানে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসল- তা ভেবে কুল পাওয়া যায়না। আরবী ভাষায় উসতায ও নেতাকে শাইখ বলা হয়।
215524
৩০ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩১
Sada Kalo Mon লিখেছেন : কেউ খায় গাঞ্জা আর কেউ খায় বিরিয়ানী
গলা ছেড়ে টান মারবে ইশকে যেন নুরানী
মাঝে মাঝে করবে সে ভাব যেন পাগলামী
কিছুদিনে হবে সে জিলানী,কাদেরী,মাদানী!! Time Out Time Out At Wits' End
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৯:২৯
164494
ইমরান ভাই লিখেছেন : Love Struck Love Struck
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
215525
৩০ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩১
মামুন আব্দুল্লাহ লিখেছেন : বাংলাদেশে পীর শব্দটা এখন ভন্ডামীই তবে এক সময় আমাদের দেশে অনেক খাটি পীর ছিলো তাদের সহবতে থেকে মানুষ ভালো কিছু শিখতো জানতো আর এখন পীর মানেই ব্যবসা আর ভন্ডামীর কারখানা ।
আল্লাহ আল্লাহর রাসূল কোরআন হাদিস সঠিক মতো মেনে চললে কোনো পীরের কাছে যেতে হয় না তবে ভালো আলেমের কাছে গেলে ভালোকিছু জানা যায় তাতে দোষের কিছু নেই ।
আমাদের দেশে এখন ভন্ড পীরে আস্তানা ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে !
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৯:২৯
164495
ইমরান ভাই লিখেছেন : Love Struck Love Struck Love Struck
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
215538
৩০ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫২
পরবাসী লিখেছেন : খেয়াল করলে দেখবেন এই সব পীর নিজেদের হানাফী দাবী করে থাকে।

তাদের প্রশ্ন করেন: ইমাম আবু হানীফা (র)পীর ছিলেন না মুরীদ ছিলেন।
যদি উনি পীর হয়ে থাকেন তো উনার মুরিদ কে ?
আর মুরিদ হয়ে থাকলে তার পীর কে ?
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৯:২৯
164497
ইমরান ভাই লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
এই উত্তর ওদের কাছে নাই।
========
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
215551
৩০ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৯
শাহ আলম বাদশা লিখেছেন : কুরআন-হাদিস থেকে এবং নবী-সাহাবীদের দলীল ও জবানীতে যার প্রমাণ নেই কিংবা বলা যায় ইসলামী পরিভাষায় ''পীর'' বলে কিছু না থাকায়--একে আমিও ভণ্ডামী মানি। আর ভণ্ডামীর আবার ভাল-মন্দ খোজাও আরেক ভণ্ডামী---
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৩০
164498
ইমরান ভাই লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খায়রান বাদশা ভাই। পুরা বাদশাহ দের মতো কথা বলছেন
Love Struck Love Struck
==========
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
215567
৩০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:১৮
আবু জান্দাল লিখেছেন : "হে ঈমানদারগণ! পন্ডিত ও সংসারবিরাগীদের অনেকে লোকদের মালামাল অন্যায়ভাবে ভোগ করে চলছে এবং আল্লাহর পথ থেকে লোকদের নিবৃত রাখছে। আর যারা স্বর্ণ ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আযাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।"-৯:৩৩

------পীরপ্রথার কোন স্থান নেই ইসলামে। কে ওলি কে পরহেজগার তা একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন । আর আমারা যদি দেখি কারো আমল আখলাক ভাল তাহলে তার সাথে মিশতে পারি। তার মানে এই না যে তাকে ওলি/গাউস/কুতুব/ সাব্যস্ত করব।।
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৩১
164499
ইমরান ভাই লিখেছেন : তার পরেও দেখেন ভন্ড মুরীদের অভাব নাই।
Love Struck Love Struck Love Struck
=================
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
১০
215569
৩০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:২২
আবু জান্দাল লিখেছেন : আরেকটি কথা যারা ওয়াজ করে/নামাজ পড়িয়ে টাকা নেয় তারাও ভুল পথে আছে। এগুলো হারাম। ওরা ওদের পেটে আগুণ ঢূকাচ্ছে । আল্লাহ্‌ কি বলছেন দেখেন>>>>

"অনুসরণ কর তাহাদের, যাহারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাহেনা এবং যাহারা সত্‍পথ প্রাপ্ত।" -সুরা ৩৬:২১

০২ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৩২
164501
ইমরান ভাই লিখেছেন : ভাই এখেত্রে মাসালায় কিছুটা দ্বিমত আছে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
Love Struck Love Struck Love Struck
============
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
১১
215576
৩০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:৩৯
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : এসব ফালতু পোস্টের মানে কি! পীরের মধ্যে যেমন ভন্ডের আকাল নেই, ফাঁকা বুলি আওড়ানো লোকেরও তেমনি আকাল নেই। অতীতে দেখা গেছে, কার দৌড় কতটুকু, মুসলমানদের বিপদে কারা বুক চিতিয়ে লড়ে। আর এই ধরনের কথা বলার আগে কুরআন-হাদীসের দলিল দেখান, তারপর বলেন। মনে রাখবেন, কবর পুজারীরাও কিন্তু কবর পুজার কথা জোর গলায়েই বলে, যদিও তাদের কাছে উপযুক্ত কোন দলিল নেই।
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৩৫
164502
ইমরান ভাই লিখেছেন : এসব ফালতু পোস্টে কমেন্টস করে তো নিজেও ফালতু হয়ে গেলেন জনাব।

এই পোস্টের দ্বীতিয় ভন্ড পীরের ভন্ড মুরিদ হিসেবে নিজেকে জাহির করলেন।
===========
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
০২ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০২
164660
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : নিজে ফালতু হতে যাইনি, বরং ফালতু মানুষগুৃলোকে বুঝানোর ব্যর্থ চেষ্ঠা করেছি। আর আজেবাজে প্যাচাল বাদ দেন। আপনার কানে কি গায়েবী এলহাম হইসে যে সব পীর ভন্ড আর ফালতু? বরং উম্মাহর মধ্যে ফেতৎনা কায়েমের উদ্দেশ্যে গঠিত তথাকথিত আহলে হাদীস সম্প্রদায়ই সবচেয়ে ভন্ড ও বেদআতী। ইংরেজ সরকারের কাছে লেখা আহলে হাদীসদের ব্যারিস্টার মুহাম্মাদ হুসাইন বাটালভীর লেখা তোষামোদি চিঠি এখনো সবার সামনে আছে। যারা মূর্খের মতো কথায় কথায় অন্যদের বিদআতী আর কাফের সাব্যস্ত করতে উথাল পাথাল শুরু করেছে, তারা নিজেরাও জানে তারা কোন গোমরাহী কিনে নিয়েছে।
ইসলাম সম্পর্কে বলতে গেলে কুরআন-হাদীসের দলীল নিয়ে কথা বলুন অথবা চুপ থাকুন। মনে রাখবেন, ইসলামের ব্যক্তির মন্তব্য = ০।
০২ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:১৮
164679
ইমরান ভাই লিখেছেন : আপনার মত ফালতু কমেন্টকারদের সাথে কথা বলার আমার কোন ইচ্ছা নাই। ভাল না লাগলে আমার পোস্ট থেকে ১০০ হাত দুরে থাকুন।
কোথাও আমি বলিনাই যে আমি আহলে হাদীস। ফাও প্যাচাল বাদ দেন আপনি।
আছেন শুধু আহলে হাদীসদের পেছনদিয়ে কি বাতাস বের হয় তার ঘ্রাণ নেবার তালে।

এহলাম আমার কনে হবে কেন হইছে তো আপনাদের ভন্ড পীর আর মুরীদদের উপর তাইতো এত গলাবাজী করতেছেন।

আমার পোস্টে কোন ভন্ড মুরিদের স্থান নাই।
ইসলামের ব্যক্তির মন্তব্য = ০ এটা ঠিক বলেছেন যেমন আপনার মন্তব্য = ০

ভাল না লাগলে দুরে থাকুন ১০০ হাত, ভন্ডামির জায়গা আমার পোস্টে নাই। তেমনি ভন্ড মুরীদের জায়গাও নাই।
০২ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৪
164696
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : ছুচোর কিন্তু মুখে প্রকাশ করা লাগে না যে সে ছুঁচো, তার দূর্গন্ধই সেই সাক্ষি বহন করে বেড়ায়। আর আপনার আগের লেখাগুলোতেও আমি কমেন্ট করেছিলাম, সেখানেও কুপমুন্ডকের মতো একই কথা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে টানছিলেন। আর আমার কথায় যেভাবে আপনার তেলে বেগুনে লেগেছে তাতেই বোঝা যাচ্ছে আপনার আসল রূপ।
যাই হোক, আপনার নুরানী চেহারা মুবারক তো আর আমার এতই ভালো লাগেনি যে আপনার পিছনে পিছনে ঘুরতে হবে, বরং আপনি মুসলিম বিশ্বের ১৪০০ বছর ধরে প্রশ্নাতিত রূপে চলে আসা একটি শিক্ষা বিধানকে নিয়ে যেভাবে তামাশা শুরু করেছেন, তাতে আপনার কথার বিপরীতে কথা বলা, নাহলে আমরা বেকার মানুষদের সাথে কথা বলার শখ পোষন করি না।
আমার কথার মূল্য=০, মানলাম, দলীলহীন আপনার কথার মূল্য কি ১০০+ যে বলবেন আর আইন হয়ে গেল? কে আপনাকে অধিকার দিয়েছে? উম্মাহকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রকারীদের দল ত্যাগ করার চেষ্ঠা করুন, নিজে যা ইচ্ছা করার শতভাগ অধিকার আপনার অবশ্যই আছে কিন্তু অন্য কাউকে বিভ্রান্তিতে ফেলার অধিকার ইসলাম কাউকে দেয় না। যদি অন্তরে বিন্দুমাত্র আল্লাহর ভয় থাকে, ইসলামি কোন বিষয়ে কথা বলার আগে উপযুক্ত দলীল প্রমানাদী নিয়ে কথা বলবেন।

যারা ইসলামের কথা প্রচার করে তারাও কারো মুরীদ (শিষ্য) আর যারা উম্মাহকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারাও কারো শিষ্য, পার্থক্য যে কি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
০২ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৩
164702
ইমরান ভাই লিখেছেন : ফাও প্যাচাল বাদ দিয়া অন্য কোথাও গিয়া প্যাচাল পারেন। আপনার প্যাচাল শোনার সময় নাই। সবাই জানে কে কেমন। আপনারে বলতে হবে না। কমেন্টস পড়লে সবাই বুঝবে কে প্রথম খারাপ দিকে কথা নিছে।

আর সূচো কেন ধরনের ভদ্র ভাষা?

আপনার কলিজায় লাগছে পীরকে ভন্ড বলায় সেটাতো সবাই দেখছেই।

এত প্যাচাল বাদ দিয়া পারলে বলেন কোন ভন্ড পীরটা আপনার পীর। আপনি যে পীরের মুরিদ তা সবাই বুঝছে।

আমার পোস্ট থেকে ১০০ হাত দুরে থাকেন। আপনার মতো দুগন্ধ যুক্ত লোকের আমার পোস্টে দরকার নাই।
১২
215643
৩০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৪০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : পিরে কামেল,চোরে টাইটেল!
প্রায় সকল পিরের ভক্তদেরই দাবি তার পির নাকি জমানার গাউস।
কিন্তু এই গাউস জিনিসটা আসলে কি তাই বুঝলাম না।
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৩৬
164503
ইমরান ভাই লিখেছেন : পিরে কামেল,চোরে টাইটেল Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor

গাউস সম্মন্ধ্যে আর একদিন বলবো।
==========
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
১৩
215703
০১ মে ২০১৪ রাত ০৩:৩১
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ভাই আমাদের ওদিকে আছে সামছুল উলামা,সাহেবে কিবলা ইত্যাদি।
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৩৬
164504
ইমরান ভাই লিখেছেন : সব ভন্ডামী
============
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
১৪
215840
০১ মে ২০১৪ সকাল ১১:০০
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আমার খুব জান্তে ইচ্ছে করে, এই সব পীরগীরি কবেথেকে জন্ম হলো? খুলাফায়ে রাশেদীন, তাবেঈন, তবে-তাবেঈনগনের যুগে কি নামে ডাকাহতো এসব পীরদেরকে?
০১ মে ২০১৪ রাত ১১:১৭
164417
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : বাব্বাহ! হ্যারি তো বড় হয়ে গেছে! Surprised কি দারুন এক প্রশ্ন নামক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল ভন্ডদের! Love Struck Love Struck Applause Applause
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৩৯
164505
ইমরান ভাই লিখেছেন : এরা খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে গজায়া উঠলে এদের গর্দানে মাথা থাকতো না। তাই এরা এখন এসেছে মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে জাবার জন্য। এদের নাম তখন ছিল ভন্ড এখন ভন্ড।
==========
সুমা, সত্যি হ্যারে বড় হয়ে গেছে একটা বিয়া দেয়া দরকার...Tongue Tongue
===========
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
১৫
216298
০১ মে ২০১৪ রাত ১১:১৮
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : একমত! পীর আবার কি!
০২ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৩৯
164506
ইমরান ভাই লিখেছেন : সহমত পীর মানেই
=======
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
০২ মে ২০১৪ সকাল ১০:০১
164514
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : সুম্মু লিখেছেন: হ্যারি তো বড় হয়ে গেছে! Crying Crying Crying
১৬
216675
০২ মে ২০১৪ রাত ১০:২৫
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : শায়েখ এর বাংলা অর্থ কি?
আর পীর এর বাংলা অর্থ কি?
আজকে আমার চোখ খুলে গেলো ইমরান ভাই।
MOney Eyes MOney Eyes MOney Eyes MOney Eyes MOney Eyes
০৩ মে ২০১৪ সকাল ১১:৫৭
165026
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : এত্তদিন পরে চোখ খুল্লো তোমার? এখন কি সর্ষেফূল দেখতে পাচ্ছো? Don't Tell Anyone Don't Tell Anyone
০৪ মে ২০১৪ সকাল ০৮:২৮
165310
ইমরান ভাই লিখেছেন : আমার পোস্টের কোথাও পীর শ্বব্দটার অর্থের কোন কথা নাই। তাই তোমার অর্থোর উত্তর দিতে আমার মনে চাচ্ছেনা।
উপরোক্ত কোন পীরকে তোমার ভাল মনে হতে পারে কিন্তু আমার কাছে সবগুলাই ভন্ড। তাই বলেছি পীর মানে ভন্ড অর্থগত কোন কিছু বলিনাই।

মাশাআল্লাহ, আরকতদিন চোখ বন্ধকরে চলবা। আজ চোখ খুলছে দেখে খুব ভাল লাগছে। আশাকরি পরবতী সময় চোখ খুলেই চলবা।
আলহামদুলিল্লহ একজনেরতো চোখ খুলতে পারছি। খুব খুশি লাগছে।

পীর মানে ভন্ড এতে তোমার কস্ট লাগলে আমার কিছু করার নাই। আমি তোমাকে কস্ট দিতে চাইনা তবে যদিনা তুমি পীরের মুরিদ হও।
==========
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
১৭
216679
০২ মে ২০১৪ রাত ১০:৩৭
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ইমরান ভাই আপনি কি আমার মন্তব্য ডিলিট করে দিয়েছেন??
নাকি আমার কোনো ভুল??
০৩ মে ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
165025
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : কোন মন্তব্যটা ডিলিট হয়েছে রাহিকাপু? এই পোস্টে?
০৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০৭
165120
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : পীরবাদ বা বায়‘আত গ্রহণ রীতি
বর্তমান পীর মুরীদী ক্ষেত্রে মুরীদকে বায়’আত করা, মুরীদের নিকট হতে বায়’আত গ্রহণ এবং মুরীদের পক্ষে পীরের নিকট বায়’আত করা এক মৌলিক ব্যাপার। বস্তুত বায়’আত করা সুন্নাত মোতাবিক কাজ বটে; কিন্তু পীর-মুরীদীর বায়’আত সম্পূর্ণ বিদয়াত, যেমন বিদয়াত স্বয়ং পীর-মুরীদী।
‘বায়’আত’ আরবী শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ হলো ক্রয় বা বিক্রয় করা। এ শব্দটি বললেই দুটি পক্ষের কথা মনে জাগে। একপক্ষ বায়’আত করে আর অপরপক্ষ বায়’আত কবুল করে। একজন বিক্রেতা, অপরজন ক্রেতা। এই ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারটি বড়ই সঙ্গীন। ইসলামে এর স্থান কোথায়, কি এর প্রকৃত ব্যাপার এবং সে ক্ষেত্রে সু্ন্নাত তরীকাই বা কি তা আমাদের বিস্তারিত জানতে হবে।
‘বায়’আত’, শব্দের ব্যাখ্যাদান প্রসঙ্গে ইমাম রাগেব ইসফাহানী লিখেছেনঃ
যখন কেউ কোনো সার্বভৌমত্বের আনুগত্য স্বীকার করে তাকে মেনে চলার স্বীকৃতি দেয়, তখন এ কাজকে বলা হয় ‘বায়’আত’ করা বা পারস্পরিক বায়’আত গ্রহণ। আর এ থেকেই বলা হয়ঃ সে সার্বভৌমের নিকট বায়’আত করেছে বা দুজন পারস্পরিক বায়’আত করেছে।
কুরআন মজীদে আল্লাহ তা’আলা রাসূল(সা) এর নিকট সাহাবাদের বায়’আত করার কথা উল্লেখ করেছেন নানা জায়গায়। প্রথমত যেসব লোক প্রথম ঈমান এনে ইসলাম কবুল করতো, তারা রাসূলের নিকট বায়’আত করতো, রাসূল তাদের নিকট বায়’আত কবুল করতেন। সূরা আল ফতহুর আয়াতে হুদায়বিয়ার গৃহীত ‘বায়’আতের’ উল্লেখ প্রসঙ্গে বলা হয়েছেঃ
إِنَّ الَّذِينَ يُبَايِعُونَكَ إِنَّمَا يُبَايِعُونَ اللَّهَ يَدُ اللَّهِ فَوْقَ أَيْدِيهِمْ ۚ فَمَن نَّكَثَ فَإِنَّمَا يَنكُثُ عَلَىٰ نَفْسِهِ ۖ وَمَنْ أَوْفَىٰ بِمَا عَاهَدَ عَلَيْهُ اللَّهَ فَسَيُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا [٤٨:١٠]
-হে নবী, যারা তোমার নিকট বায়’আত করে তারা আসলে বায়’আত করে আল্লাহরই নিকটে। আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর সংস্থাপিত। অতঃপর যেই এই এ বায়’আত ভঙ্গ করে, এ বায়’আত ভঙ্গের ক্ষতি তার নিজের ওপরই চাপবে। আর যে তা পুরো করবে, যা সে আল্লাহর সাথে ওয়াদা করছে, তাকে অবশ্যই বিরাট প্রতিফল দেয়া হবে।
এ আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, বায়’আত ইসলামী জীবনধারার এক মৌল ব্যাপার। কিন্তু সে বায়’আত রাসূলের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় স্বয়ং আল্লাহর সাথে এবং সে বায়’আত হলো খালিস ও পূর্ণাঙ্গভাবে আল্লাহর দাসত্ব কবুল করার বায়’আত, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে চলার বায়’আত, আল্লাহর পথে তাঁর দ্বীন কায়েমের লক্ষ্যে আত্মদানের বায়’আত, জিহাদে শরীক হওয়ার বায়’আত।
এ হলো সাধারণ পর্যায়ে বায়’আত। এ পর্যায়ের আর এক বায়’আতের কথা উল্লেখ হয়েছে, যা রাসূলে করীম(স) গ্রহণ করতেন মুমিন মহিলাদের নিকট থেকে।
সূরা মুমতাহিনায় বলা হয়েছেঃ
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ عَلَىٰ أَن لَّا يُشْرِكْنَ بِاللَّهِ شَيْئًا وَلَا يَسْرِقْنَ وَلَا يَزْنِينَ وَلَا يَقْتُلْنَ أَوْلَادَهُنَّ وَلَا يَأْتِينَ بِبُهْتَانٍ يَفْتَرِينَهُ بَيْنَ أَيْدِيهِنَّ وَأَرْجُلِهِنَّ وَلَا يَعْصِينَكَ فِي مَعْرُوفٍ ۙ فَبَايِعْهُنَّ وَاسْتَغْفِرْ لَهُنَّ اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٦٠:١٢]
–হে নবী, মুমিন মহিলারা যদি তোমার নিকট এসে বায়’আত করে এসব কথার ওপর যে, তারা আল্লাহর সাথে একবিন্দু শিরক করবেনা, তারা চুরি করবেনা, তারা যিনা-ব্যভিচার করবেনা, তারা তাদের সন্তান হত্যা করবেনা, তারা প্রকাশ্যভাবে মিথ্যামিথ্যি কোনো অমূলক কাজের দোষ কারো ওপর আরোপ করবেনা, আর তারা ভালো পরিচিত কাজে তোমার নাফরমানী করবেনা, তাহলে তুমি তাদের নিকট থেকে এ বায়’আত গ্রহণ করো, আর আল্লাহর নিকট তাদের জন্যে মাগফিরাতের দো’আ করো, আল্লাহ নিশ্চিতই বড় ক্ষমাশীল এবং অতীব করুণাময়। (মুমতাহিনাঃ১২)
এ আয়াত স্পষ্ট বলে দিচ্ছে যে, নবী করীম(স) কি কি বিষয়ে মুসলিম মেয়েদের নিকট থেকে বায়’আত গ্রহণ করেছেন। বিষয়গুলো যে ইসলামী ঈমান ও আমলের একেবারে মৌলিক,- কবীরা গুনাহ না করার প্রতিশ্রুতিতেই যে বায়’আত গ্রহণ করা হয়েছে-তা স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছে। কাজেই সু্ন্নাত অনুযায়ী ‘বায়’আত’ হলো শুধু তাই, যা এসব বিষয়ে এবং এ ধরনের মৌলিক বিষয়েই করা হবে বা গ্রহণ করা হবে। এক কথায়, ইসলামের হুকুম আহকাম পুরোপুরি পালন করার এবং শরীয়তের বরখেলাপ কোনো কাজ না করার ওয়াদা দিয়ে ও নিয়ে-ই যে বায়’আত করা বা গ্রহণ করা হয় তা-ই হলো সুন্নাত মোতাবিক বায়’আত। এরূপ বায়’আত গ্রহণই সুন্নাত হতে পারে অন্য কোনোরূপ বায়’আত নয়।
দ্বিতীয়, বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতি ও প্রয়োজন অনুসারে নবী করীম(স) মুসলমানদের নিকট হতে বায়’আত গ্রহণ করেছেন। এ পর্যায়েরই বায়’আত হলো বায়’আতে রেজওয়ান। এ সম্পর্কে কুরআন মজীদে বলা হয়েছেঃ
لَّقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِي قُلُوبِهِمْ فَأَنزَلَ السَّكِينَةَ عَلَيْهِمْ وَأَثَابَهُمْ فَتْحًا قَرِيبًا [٤٨:١٨]
–যেসব মু’মিন লোক গাছের তলায় বসে হে নবী! তোমার নিকট বায়’আত করেছিল, আল্লাহ তাদের প্রতি রাজি ও খুশি হয়েছেন। তাদের মনের আবেগ ও দরদের ভাবধারা তিনি ভালোভাবেই জেনেছিলেন এবং তাদের প্রতি পরম গভীর শান্তি নাযিল করেছিলেন এবং নিকটতর বিজয় দানেও তাদের ভূষিত করেছিলেন।(আল ফাতহঃ১৮)
হাদীস থেকে প্রমাণিত যে, এরূপ বায়’আত করার জন্য নবী করীম(স) সমস্ত সাহাবীদের আহবান করেছিলেন। এই বায়’আত সম্পর্কে তখনকার লোকেরা বলতোঃ নবী করীম (স) তো লোকদের নিকট হতে মৃত্যু কবুল করার বায়’আত গ্রহণ করেছিলেন।
আর হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ বলেনঃ
নবী করীম(স) ঠিক মৃত্যু কবুলের জন্য বায়’আত গ্রহণ করেননি। বরং আমরা বায়’আত গ্রহণ করেছি এর ওপর যে, আমরা কেউ-ই যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যাবনা। ফলে লোকেরা বায়’আত করেছিল এবং উপস্থিত লোকদের মধ্য থেকে কেবল বনী সালমা গোত্র সরদার জা্দ্দ ইবনে কায়স ছাড়া কেউই পালিয়ে যায়নি।(তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৪র্থ খন্ড)।
‘বায়’আতে রেজওয়ান’ যে কঠিন মুহুর্তে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং কি গুরুতর ব্যাপার নিয়ে তা গ্রহণ করা হয়েছিল, এ আলোচনা থেকে স্পষ্ট জানা গেল। অনুরূপভাবে জিহাদের ক্ষেত্রেও নবী করীম(স) বায়’আত গ্রহণ করতেন।

(সূত্রঃ মওলানা আব্দুর রহীম- ‘সুন্নাত ও বিদয়াত’)।
০৪ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৩৭
165311
ইমরান ভাই লিখেছেন : হ্যা তোমার মন্তব্যটা আমি ডিলেট করছি। কেননা সেই কপি পেস্ট মন্তব্যটা এই পোস্টে আমার কাছে বেমানান মনে হয়েছে।

তোমার প্রতি আমার অনুরোধ ***আগে বিশুদ্ধ জ্ঞান অর্জন কর কোরআন ও সহীহ হাদীসের।***

আর আমার কোন পোস্ট তোমার ভাল না লাগলে তুমিও চির বিদ্রহীর মতো দুরে থাকতে পার এতে আমি খুশি হব। কেননা আমি চাইনা তোমাকে কস্ট দিতে। আর তুমিতো সামান্য কথাতেই কস্ট পাও।

আর জদি কখোন কমেন্টস করো তাহলে কপি পেস্ট করোনা।

জানি কথাগুলো তোমাকে হার্ট করেব কিন্তু আমার বলা উচিত মনে করে তোমাকে বললাম।
আমি তোমাকে ভাল বাসলেও আল্লাহর জন্য আর ঘৃণা করলেও আল্লাহর জন্যই করবো ইনশাআল্লাহ।

আশাকরি এর পরে আর কিছু বলতে হবেনা।
১৮
216686
০২ মে ২০১৪ রাত ১০:৫৬
আফরা লিখেছেন : আমরা কখনো পীর টীর বিস্বাস করি না ।ধন্যবাদ ইমরান ভাইয়া ।
০৪ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৩৮
165312
ইমরান ভাই লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খায়রান বোনজি।
============
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
১৯
216897
০৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৮
নেহায়েৎ লিখেছেন : পীর শব্দটি ফারসী শব্দ। এটি আরবী শব্দ নয়। কুরআন হাদিসের পরিভাষার অন্তর্ভুক্ত কোন শব্দও নয়। ব্যবহারিকভাবে মানুষের বয়স বেশি হয়ে গেলে সেই বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাদের উভয়কে পীর বলা হয়। পারস্যের অগ্নিপূজারীদরে পূরোহিতকে বলা হয় পীরে মুগাঁ। মুগঁ এর বহুবচন মুগাঁ-মানে অগ্নিপূজারীগণ। পীরে মুগাঁ মানে অগ্নি পূজারীদের পীর। ফারসী ভাষায় পীরে মুগাঁর অর্থ করা হয়েছে "আতাশ পোরস্তুকা মুরশেদ" অর্থাৎ অগ্নিপূজারীদের পীর। তবে মুগাঁরা যখন তাদের পীরকে ডাকেন তখন পীরে মুগাঁ বলে ডাকেন না, পীর বলেই ডাকেন।
আবার পানশালার মদ বিক্রেতাকেও পীরে মুগাঁ বলা হয়। কারণ সুফীবাদীরা আধ্যাতিক প্রেমকে রূপকভাবে মদরূপে অভিহিত করে, উক্ত প্রেমরস-পরিবেশককে পীর বা 'শুড়ী মশাই' নামে অভিহিত করে থাকেন। খৃষ্টানদের পাদরী, হিন্দুদের পুরোহিত এবং বৌদ্ধদের ভিক্ষু বলতে যা বুঝায় পীর বলতে ঠিক তাই বুঝায়।

কবি বলেছেন...
বমায়ে শাজ্জাদাহ‌ রঙ্গীন কুন
গিরাত পীরে মুগাঁ গোয়াদ
সে সালেক বেখবর নাবুদ
যে রাহে রাস‌মো মান‌যালহা।
অর্থাৎ পীরে মুগাঁ অর্থাৎ শুড়ি মশায় যদি বলেন, তাহলে তুমি জায়নামাজকে মদের দ্বারা রাঙিয়ে তুলো। কেননা পথের সন্ধান গুরুজী ভালভাবে অবগত আছেন। এই কবিতায় শুঁড়ি মশায়কে পীরে মুগাঁ বলা হয়েছে।
পীর, পুরোহীত বা পাদরী এর কোন প্রতিশব্দ কুরআন-হাদীসে নেই। আবু বকর, উমর, উসমান, আলী (রাঃ) প্রমুখ সাহাবীগণও কেউ কোনদিন পীর বলে দাবী করেননি। তাবেয়ীনদের যুগে পীরের অস্তিত্ব ছিলনা। ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম মালিক, ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল, ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম আবু দাউদ, ইমাম নাসায়ী, ইমাম তিরমিযী, ইমাম ইবনু মাজাহ (রহ.) প্রভৃতি মহামতি ইমামগণও পীরগিরি করেননি। কোন‌ কুক্ষণে পারস্যের অগ্নি পুঁজারীদের সেই পীর তাওহীদবাদী মুসলিম সমাজের ঘাড়ে-গর্দানে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসল- তা ভেবে কুল পাওয়া যায়না। আরবী ভাষায় উসতায ও নেতাকে শাইখ বলা হয়।
০৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৯
165131
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : মনে হচ্ছে আপনার কুমিরে খাওয়া রোগ আছে।
Good Luck আর কথায় তো আছে চোরের মন পুলিশ পুলিশ।
তা কয়টা মুখোশ আছে আপনার?
নাকি বয়স যত হচ্ছে ততো বেওকুফির সিমানা অতিক্রম করছেন?
আচ্ছা আপনার চোখটা কি পুটলিতে নাকি মাথায়?
মাথায় যদি চোখ থাকে স্পষ্ট এখনও দেখুন ইমরান ভাই,হারিকেন, আওণ তিনজনের মন্তব্যে lol ইমোটিকন আছে?
কিন্তু আপনার বেওকুফিতে আপনার মুখোশিয় মন্তব্য সবাই দেখতে পেলো@আব্দুল মাজেদ ভাই।
বুদ্ধি করে কাজ করলে আর ধাঁধায় পড়বেননা।?
আর মন্তব্যে এত আশ্চর্য্য বোধক চিন্হের কি আছে?(!)
শুনে রাখুন আওণ একজন সাধারন মুসলমান।
আওণকে একবার জ্বর অবস্থায় ধরে বেঁধে জোরপূর্বক মুরিদ করে দিছিলো এক পির সাহেবের মুরিদানরা। কিন্তু তাড়পর সেই পীর সাহেবের মসজিদে আওণ প্রায় আনুমানিক ৪/৫ বছর যায়নি।
ধন্যবাদ
০৪ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪৫
165313
ইমরান ভাই লিখেছেন : আমি আমার পোস্টা পীর শব্দের অর্থের জন্য করি নাই। উপরিউক্ত সব পীর ভন্ড। আর বাংলাদেশে এদেরকে হক্কানী পীর ভাবে অনেকেই। কিন্তু এরা যে ভন্ড তা আমি তুলে ধরেছি।

উপরিউক্ত আমার দেয়া সকল পীর ভন্ড,ভন্ড,ভন্ড।
============
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।

@রাহবার, তোমার কমেন্টস পড়লে যে কেউ তোমাকে বুঝবে যে তুমি কি রখম অহংকারী,রগচটা,রাগী,শত্রুতা পরায়ন মনের মানুষ। তাই তোমাকে এরখম কমেন্টস করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।
০৪ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৪৬
165328
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : @ইমরান ভাই
আওণ রাহ'বারলিখেছেন : অস্বিকার করার কোন উপায় নাই আমি রাগি+রগচটা+অহংকারি তবে শত্রুতা পরায়ণ এটা মানতে পারলামনা । যাই হোক উপরোক্ত মন্তব্য আমি রাগ অবস্থায় করেছি ।
তবে আপনি একতরফা আমাকে বললেন ব্লগার নেহায়েৎ যে এখানে এতগুলো আশ্চর্য্যবোধক চিন্হ ব্যাবহার করলো তাকে তো কিছু বললেন না?
ওনাকে কি আমি আগে কিছু বলেছিলাম?
উনিই তো ফান কমেন্টস এতগুলো আশ্চর্য্যবোধক ! ! ! ! ! ! ব্যাবহার করে মুখোশ এর কথা বললেন?
সেটার কি হবে??
যুক্তিহীন ভাবে এভাবে বেওকুফির দ্বারা কিছু বুলি উড়ানো যায় মানুষের মনকে টুকরো টুকরো করা যায় কিন্তু এতে নিজেই বেওকুফ সাজতে হয় সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলাম।
আর আপনি আমাকে বললেন অথচ নেহায়েৎ এর সম্পর্কে এখন পর্যন্ত চুপ রইলেন বুঝলাম না এ কেমন ব্যাবহার আপনার?
প্রশ্ন থাকলো?
০৪ মে ২০১৪ সকাল ১০:০৬
165334
ইমরান ভাই লিখেছেন : @রহবার,
ইমরান ভাই লিখেছেন : আমি যা বুঝছি তাতে নেহায়েত তার কমেন্টস থেকে বোঝাতে চেয়েছে যে "তুমি পীরের মুরীদ" সেটা আজ মুখশ খুলে গেছে। কেননা তুমি ভন্ড পীরদের সাফাই গাইছো হতে পারে সেজন্য।(আমি জদি ভুল না বুঝি) হতে পারে তাই সে আশ্চর্যবোধক চিন্হ ব্যাবহার করেছে সেইজন্য তুমি যাচ্ছেতাই বলাটা অনুচিত।

তোমার ভাষার মাঝে এগুলাতে...
"নাকি বয়স যত হচ্ছে ততো বেওকুফির সিমানা অতিক্রম করছেন?
আচ্ছা আপনার চোখটা কি পুটলিতে নাকি মাথায়?"

প্রচন্ড রখমের শত্রুতা পরায়ন ভাব ফুটে উঠেছে। তুমি বড়দের এভাবে বলতে পারনা। এটা তোমার ব্যাক্তিত্বে শোভা পায়না।

তাই নেহায়েতকে কিছু বলার নাই।
০৪ মে ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
165345
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আওণ রাহ'বারলিখেছেন : আমার খেয়েদেয়ে কাজ নাই পীর সাহেবের মুরিদ হবো
একবার জ্বর অবস্থায় জুমু'য়া দেরিতে পড়তে গিয়ে দেয়াল টপকানোর পড়েও রেহাই পেলাম না। জুতা আটকে দিয়ে দলবল সহ আমাকে ধরে বেঁধে আমাকে আটকে রাখলো আবার ঐ পথে যাবো?
পরিস্কার আওণ কোন ভাবেই এমন কোন যায়গায় যাবেনা যেখানে ব্যাবসা হয় আর্থিক লেনদেন এর ব্যাবসা হয়।
তবে উনি (নেহায়েৎ ) এভাবে না বললেও পারতেন।
পীরের মুরিদ হওয়ার কোন ইচ্ছা আমার নাই কারন আমার পীর ভালো লাগেনা কারন পীরদের মধ্যে ভন্ড বেশি। তবে ওহিদ ভাইয়ের মন্তব্য আমার খুব ভালো লেগেছে।
তবে ইমরান ভাই আমি ওনাকে ডিরেক্ট হিট করেছি এটা উচিৎ হয়নাই ।
এর জন্য আমিও দুঃখিত।
তবে এটা পরিপূর্ণ রাগ অবস্থায় করেছি।
ওনারো উচিৎ ছিলো আক্রমনাত্মক ভাবে মন্তব্য না করা।
ধন্যবাদ
০৪ মে ২০১৪ সকাল ১১:১৮
165353
ইমরান ভাই লিখেছেন : ইমরান ভাই লিখেছেন : আল্লাহই ভাল জানেন সবার ভিতরের খবর।
তবে এভাবে আর কখোন না বললেই খুশি হব।
কেননা তিনি (নেহায়েৎ) এখন জদি বলেন যে আমিও ফান করছি তাহলে তোমার কি কিছু বলার থাকবে??? আশ্চর্যবোধক চিন্হ নিয়ে তুমি এত কথা বলতেই পারনা।

আর একটা বিষয় তোমার লক্ষ্যনিয়। সেটা হলো তুমি সামনা সমনি কিছু বলনা কিন্তু ঘুড়িয়ে ফিড়িয়ে এমন ভাবে বল যাতে সবাই বুঝতে পারে রাহবার খোচা দিচ্ছে। এবং মাঝে মাঝে কথাগুলো খুব করা ভাষায় হয়। (উদাহরন হিসেবে এখানে ৪ নং কমেন্টসে করা তোমার রিপ্লাই দেখতে পার)

তাই তোমার কাছে একটাই অনুরোধ
***এরখম হলে আমার পোস্টে কমেন্ট করোনা।***
২০
216907
০৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০৩
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : পীর মানেই ভন্ড, বিদআতী কিনা এটা নির্ভর করছে পীর শব্দটির মানে আপনি কি করছেন বা এর কি মানে করা হচ্ছে। বলা বাহুল্য-বাংলাদেশে ৯০%ই ভন্ড যেখানে পীর-মুরীদি প্রথা,শিরকপূর্ণ অনেক প্রথা বিদআতী ওযীফা চালু আছে।

তবে খুবই সামান্য কিছু ব্যতিক্রম আছে। যে সকল পীর স্রেফ শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে মসজিদ ও দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে দ্বীন প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

এরা নামে মাত্র পীর(উত্তারাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হওয়ায় হুট করে ছেড়ে দিতে পারছেননা। হেকমত হিসেবে তার মাঝে থেকেই শিরক বিদআত বিরোধী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।) কিন্তু শিরক বিদআতকে কোনোভাবে প্রশ্রয় দেননা।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়ঃ চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ। সেখানে কুরআন ও সহীহ হাদীস মেনে চলার জোর প্রচেষ্টা লক্ষণীয়।

এ প্রসঙ্গে উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম তাঁর ‘সুন্নাত ও বিদয়াত’ বইয়ে পীর মুরীদী অধ্যায়ে দীর্ঘ আলোচনা শেষে উপসংহার টেনেছেন এভাবে।

সিলসিলার ও পীরের মৃত্যুর পর গদীনশিন হওয়ার পরও কেউ কেউ এমন আছেন, যিনি পীর মুরীদকে বিদয়াত ও নিছক ব্যবসায়ীর কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধকার থেকে টেনে বাইরে নিয়ে এসে তাকে ঠিক ওস্তাদ-শাগরীদ, শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্ক কার্য্ত স্থাপন করেছেন। মারিফাত চর্চাকে শরীয়তের ভিত্তিতে পুনর্গঠিত করেছেন। শরীয়তের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে মারিফাতের শিক্ষাদানের কাজ করেছেন এবং এই গোটা তৎপরতার সঙ্গে জিহাদের সম্পর্ক স্থাপন করে দ্বীনী বিপ্লবের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। তা দেখে দিল খুশিতে ভরে গেছে এবং মনে আশা জেগেছে যে, আল্লাহর নাযিল করা ও সর্বশেষ নবী রাসূল হযরত মুহাম্মাদ(স) এর প্রচারিত ও কায়েম করা দ্বীন হয়ত এখানে কায়েম হবে। মূলত খিলাফাতে রাশেদার অবসানের পর প্রথম দিকে দ্বীন কায়েমের যেসব চেষ্টা প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল, তা দ্বীনভিত্তিক মারিফাত ও জিহাদের বিপ্লবী ভাবধারা সমন্বিত ছিল, যাঁর ধ্বংসাবশেষ রূপ বর্তমান ব্যবসামূলক বিদয়াতপন্থী পীর-মুরীদী। বর্তমান অবস্থার আমূল পরিবর্তন করে সেই আসল ও আদর্শবাদভিত্তিক উস্তাদ-শাগরিদমূলক জন-সংগঠনের মাধ্যমে দ্বীন কায়েমের জন্য দ্বীন ও শরীয়তের, মারিফাত ও জিহাদের সমন্বয় নতুন করে কায়েম করাই বর্তমান মরণাপন্ন মুসলিম সমাজকে রক্ষা করা ও দ্বীনের ভবিষ্যত উজ্জ্বল করার একমাত্র উপায়। ধর্মহীন রাজনীতি, রাজনীতিহীন ধর্ম- উপরন্তু দ্বীনের শুষ্ক তাত্ত্বিকতা দ্বীন কায়েমের পথে বড় বাঁধা। দ্বীন-ইসলামের নির্ভূল তত্ত্বকে হৃদয়ের ঈমানী আবেগে সঞ্জীবিত করে জিহাদী কার্য্ক্রমের মাধ্যমেই পীর-মুরীদীর পুনর্গঠন হওয়া আবশ্যক।
০৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:০৩
165133
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খাইরান ভাইয়া।
আমার মতামতঃ আপনি সত্য বলেছেন

জাজাকাল্লাহু খাইরান।
০৪ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৫০
165315
ইমরান ভাই লিখেছেন : @ওহীদ ভাই ধন্যবাদ
আমি আমার পোস্টা পীর শব্দের অর্থের জন্য করি নাই। উপরিউক্ত সব পীর ভন্ড। আর বাংলাদেশে এদেরকে হক্কানী পীর ভাবে অনেকেই। কিন্তু এরা যে ভন্ড তা আমি তুলে ধরেছি।

উপরিউক্ত আমার দেয়া সকল পীর ভন্ড,ভন্ড,ভন্ড।
============
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
২১
216912
০৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০৮
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : পীরবাদ বা বায়‘আত গ্রহণ রীতি
বর্তমান পীর মুরীদী ক্ষেত্রে মুরীদকে বায়’আত করা, মুরীদের নিকট হতে বায়’আত গ্রহণ এবং মুরীদের পক্ষে পীরের নিকট বায়’আত করা এক মৌলিক ব্যাপার। বস্তুত বায়’আত করা সুন্নাত মোতাবিক কাজ বটে; কিন্তু পীর-মুরীদীর বায়’আত সম্পূর্ণ বিদয়াত, যেমন বিদয়াত স্বয়ং পীর-মুরীদী।
‘বায়’আত’ আরবী শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ হলো ক্রয় বা বিক্রয় করা। এ শব্দটি বললেই দুটি পক্ষের কথা মনে জাগে। একপক্ষ বায়’আত করে আর অপরপক্ষ বায়’আত কবুল করে। একজন বিক্রেতা, অপরজন ক্রেতা। এই ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারটি বড়ই সঙ্গীন। ইসলামে এর স্থান কোথায়, কি এর প্রকৃত ব্যাপার এবং সে ক্ষেত্রে সু্ন্নাত তরীকাই বা কি তা আমাদের বিস্তারিত জানতে হবে।
‘বায়’আত’, শব্দের ব্যাখ্যাদান প্রসঙ্গে ইমাম রাগেব ইসফাহানী লিখেছেনঃ
যখন কেউ কোনো সার্বভৌমত্বের আনুগত্য স্বীকার করে তাকে মেনে চলার স্বীকৃতি দেয়, তখন এ কাজকে বলা হয় ‘বায়’আত’ করা বা পারস্পরিক বায়’আত গ্রহণ। আর এ থেকেই বলা হয়ঃ সে সার্বভৌমের নিকট বায়’আত করেছে বা দুজন পারস্পরিক বায়’আত করেছে।
কুরআন মজীদে আল্লাহ তা’আলা রাসূল(সা) এর নিকট সাহাবাদের বায়’আত করার কথা উল্লেখ করেছেন নানা জায়গায়। প্রথমত যেসব লোক প্রথম ঈমান এনে ইসলাম কবুল করতো, তারা রাসূলের নিকট বায়’আত করতো, রাসূল তাদের নিকট বায়’আত কবুল করতেন। সূরা আল ফতহুর আয়াতে হুদায়বিয়ার গৃহীত ‘বায়’আতের’ উল্লেখ প্রসঙ্গে বলা হয়েছেঃ
إِنَّ الَّذِينَ يُبَايِعُونَكَ إِنَّمَا يُبَايِعُونَ اللَّهَ يَدُ اللَّهِ فَوْقَ أَيْدِيهِمْ ۚ فَمَن نَّكَثَ فَإِنَّمَا يَنكُثُ عَلَىٰ نَفْسِهِ ۖ وَمَنْ أَوْفَىٰ بِمَا عَاهَدَ عَلَيْهُ اللَّهَ فَسَيُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا [٤٨:١٠]
-হে নবী, যারা তোমার নিকট বায়’আত করে তারা আসলে বায়’আত করে আল্লাহরই নিকটে। আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর সংস্থাপিত। অতঃপর যেই এই এ বায়’আত ভঙ্গ করে, এ বায়’আত ভঙ্গের ক্ষতি তার নিজের ওপরই চাপবে। আর যে তা পুরো করবে, যা সে আল্লাহর সাথে ওয়াদা করছে, তাকে অবশ্যই বিরাট প্রতিফল দেয়া হবে।
এ আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, বায়’আত ইসলামী জীবনধারার এক মৌল ব্যাপার। কিন্তু সে বায়’আত রাসূলের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় স্বয়ং আল্লাহর সাথে এবং সে বায়’আত হলো খালিস ও পূর্ণাঙ্গভাবে আল্লাহর দাসত্ব কবুল করার বায়’আত, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে চলার বায়’আত, আল্লাহর পথে তাঁর দ্বীন কায়েমের লক্ষ্যে আত্মদানের বায়’আত, জিহাদে শরীক হওয়ার বায়’আত।
এ হলো সাধারণ পর্যায়ে বায়’আত। এ পর্যায়ের আর এক বায়’আতের কথা উল্লেখ হয়েছে, যা রাসূলে করীম(স) গ্রহণ করতেন মুমিন মহিলাদের নিকট থেকে।
সূরা মুমতাহিনায় বলা হয়েছেঃ
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ عَلَىٰ أَن لَّا يُشْرِكْنَ بِاللَّهِ شَيْئًا وَلَا يَسْرِقْنَ وَلَا يَزْنِينَ وَلَا يَقْتُلْنَ أَوْلَادَهُنَّ وَلَا يَأْتِينَ بِبُهْتَانٍ يَفْتَرِينَهُ بَيْنَ أَيْدِيهِنَّ وَأَرْجُلِهِنَّ وَلَا يَعْصِينَكَ فِي مَعْرُوفٍ ۙ فَبَايِعْهُنَّ وَاسْتَغْفِرْ لَهُنَّ اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٦٠:١٢]
–হে নবী, মুমিন মহিলারা যদি তোমার নিকট এসে বায়’আত করে এসব কথার ওপর যে, তারা আল্লাহর সাথে একবিন্দু শিরক করবেনা, তারা চুরি করবেনা, তারা যিনা-ব্যভিচার করবেনা, তারা তাদের সন্তান হত্যা করবেনা, তারা প্রকাশ্যভাবে মিথ্যামিথ্যি কোনো অমূলক কাজের দোষ কারো ওপর আরোপ করবেনা, আর তারা ভালো পরিচিত কাজে তোমার নাফরমানী করবেনা, তাহলে তুমি তাদের নিকট থেকে এ বায়’আত গ্রহণ করো, আর আল্লাহর নিকট তাদের জন্যে মাগফিরাতের দো’আ করো, আল্লাহ নিশ্চিতই বড় ক্ষমাশীল এবং অতীব করুণাময়। (মুমতাহিনাঃ১২)
এ আয়াত স্পষ্ট বলে দিচ্ছে যে, নবী করীম(স) কি কি বিষয়ে মুসলিম মেয়েদের নিকট থেকে বায়’আত গ্রহণ করেছেন। বিষয়গুলো যে ইসলামী ঈমান ও আমলের একেবারে মৌলিক,- কবীরা গুনাহ না করার প্রতিশ্রুতিতেই যে বায়’আত গ্রহণ করা হয়েছে-তা স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছে। কাজেই সু্ন্নাত অনুযায়ী ‘বায়’আত’ হলো শুধু তাই, যা এসব বিষয়ে এবং এ ধরনের মৌলিক বিষয়েই করা হবে বা গ্রহণ করা হবে। এক কথায়, ইসলামের হুকুম আহকাম পুরোপুরি পালন করার এবং শরীয়তের বরখেলাপ কোনো কাজ না করার ওয়াদা দিয়ে ও নিয়ে-ই যে বায়’আত করা বা গ্রহণ করা হয় তা-ই হলো সুন্নাত মোতাবিক বায়’আত। এরূপ বায়’আত গ্রহণই সুন্নাত হতে পারে অন্য কোনোরূপ বায়’আত নয়।
দ্বিতীয়, বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতি ও প্রয়োজন অনুসারে নবী করীম(স) মুসলমানদের নিকট হতে বায়’আত গ্রহণ করেছেন। এ পর্যায়েরই বায়’আত হলো বায়’আতে রেজওয়ান। এ সম্পর্কে কুরআন মজীদে বলা হয়েছেঃ
لَّقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِي قُلُوبِهِمْ فَأَنزَلَ السَّكِينَةَ عَلَيْهِمْ وَأَثَابَهُمْ فَتْحًا قَرِيبًا [٤٨:١٨]
–যেসব মু’মিন লোক গাছের তলায় বসে হে নবী! তোমার নিকট বায়’আত করেছিল, আল্লাহ তাদের প্রতি রাজি ও খুশি হয়েছেন। তাদের মনের আবেগ ও দরদের ভাবধারা তিনি ভালোভাবেই জেনেছিলেন এবং তাদের প্রতি পরম গভীর শান্তি নাযিল করেছিলেন এবং নিকটতর বিজয় দানেও তাদের ভূষিত করেছিলেন।(আল ফাতহঃ১৮)
হাদীস থেকে প্রমাণিত যে, এরূপ বায়’আত করার জন্য নবী করীম(স) সমস্ত সাহাবীদের আহবান করেছিলেন। এই বায়’আত সম্পর্কে তখনকার লোকেরা বলতোঃ নবী করীম (স) তো লোকদের নিকট হতে মৃত্যু কবুল করার বায়’আত গ্রহণ করেছিলেন।
আর হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ বলেনঃ
নবী করীম(স) ঠিক মৃত্যু কবুলের জন্য বায়’আত গ্রহণ করেননি। বরং আমরা বায়’আত গ্রহণ করেছি এর ওপর যে, আমরা কেউ-ই যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যাবনা। ফলে লোকেরা বায়’আত করেছিল এবং উপস্থিত লোকদের মধ্য থেকে কেবল বনী সালমা গোত্র সরদার জা্দ্দ ইবনে কায়স ছাড়া কেউই পালিয়ে যায়নি।(তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৪র্থ খন্ড)।
‘বায়’আতে রেজওয়ান’ যে কঠিন মুহুর্তে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং কি গুরুতর ব্যাপার নিয়ে তা গ্রহণ করা হয়েছিল, এ আলোচনা থেকে স্পষ্ট জানা গেল। অনুরূপভাবে জিহাদের ক্ষেত্রেও নবী করীম(স) বায়’আত গ্রহণ করতেন।

(সূত্রঃ মওলানা আব্দুর রহীম- ‘সুন্নাত ও বিদয়াত’)।
০৪ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৫১
165316
ইমরান ভাই লিখেছেন : @ওহীদ ভাই ধন্যবাদ কস্ট করে কপিপেস্ট করার জন্য।

আমি আমার পোস্টা পীর শব্দের অর্থের জন্য করি নাই। উপরিউক্ত সব পীর ভন্ড। আর বাংলাদেশে এদেরকে হক্কানী পীর ভাবে অনেকেই। কিন্তু এরা যে ভন্ড তা আমি তুলে ধরেছি।

উপরিউক্ত আমার দেয়া সকল পীর ভন্ড,ভন্ড,ভন্ড।
============
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
২২
216998
০৩ মে ২০১৪ রাত ০৯:০৫
আবু জান্দাল লিখেছেন : মাওলানা্- আমার প্রভু !!!!!
০৪ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৫২
165317
ইমরান ভাই লিখেছেন : Smug Smug

============
পীর মানেই বিদআতি,ভন্ড।
২৩
217151
০৪ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৪১
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : ইমরান ভাই, ২১ নং মন্তব্য ভালো ভাবে না পড়েই জবাব দিলেন।

কপি পেস্ট হলেও পীরপন্থী গোমরাহ লোকদের হেদায়াত এর জন্য সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
০৪ মে ২০১৪ সকাল ১০:১০
165336
ইমরান ভাই লিখেছেন : @ওহীদ ভাই, আমাকে ভুল বুঝবেন না।
আমি মওলানা আব্দুর রহীম সাহেবের - ‘সুন্নাত ও বিদয়াত’বইটা পড়েছি আমার কাছে বইটা আছে।
আপনি আমার কমেন্টটা দেখেন সেখানে আমি বলেছি ***আমি আমার পোস্টা পীর শব্দের অর্থের জন্য করি নাই। উপরিউক্ত সব পীর ভন্ড। আর বাংলাদেশে এদেরকে হক্কানী পীর ভাবে অনেকেই। কিন্তু এরা যে ভন্ড তা আমি তুলে ধরেছি।***

আশাকরি আপনি বুঝতে পারছেন।
২৪
229368
০২ জুন ২০১৪ সকাল ১০:৫৪
জোনাকি লিখেছেন : খুব ভাল্লাগ্লো লেখাটা।
০২ জুন ২০১৪ সকাল ১১:০০
176091
ইমরান ভাই লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File