নাসিরুদ্দিন হোজ্জার গল্প-------
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ২৯ এপ্রিল, ২০১৪, ০৪:৩৯:৫৪ বিকাল
নাসিরুদ্দিন হোজ্জার সময় এক তর্কবাগীশ (তর্কবীদ) লোক ছিল। তো সে বলল যে সে, নাসিরুদ্দিন হোজ্জার সাথে তর্ক করবে।
শহরে ঢোল পিটায়া বলল, নাসিরুদ্দিন হোজ্জার সাথে তর্ক করবে। সবাই তো অবাক কেননা নাসিরুদ্দিন হোজ্জা তার সাথে পারবে না এটা সবাই জানত।
তো একদিন সেই তর্কবাগীশ হোজ্জার বাসায় গেল তর্ক করার জন্য। হোজ্জা বুঝতে পারায় আগেই তার বাসায় তালা লাগায়ে বাহিরে চলে গেছিল।
তর্কবাগীশ গিয়ে দেখলো, বাসায় হোজ্জা নাই। তো সে কি করল দরজায় একটা কথা লিখে দিয়ে গেল। "গাধা"
তো পরের দিন বাজারে হোজ্জার সাথে সেই তর্কবাগীশের দেখা।
হোজ্জা জিজ্ঞাসা করলো: "আপনি কি গতকাল আমার বাড়ীতে গিয়েছিলেন?"
তর্কবাগীশ বলল: আপনি কি ভাবে বুঝলেন?
হোজ্জা বলল: "এটা তো খুব সহজ আপনি দরজায় আপনার নাম লিখে আসছিলেন"
বিষয়: বিবিধ
১৮৭২ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
গল্পটির মরাল হচ্ছে বেশি পন্ডিতি করলে গাধা বনতে হয়।
গল্পটা শুধু মাত্র একটু বিশুদ্ধ হাসীর জন্য। ভাল কথা দিয়েও হাসা যায় এটা তার প্রমান।
এই নেন আর একটা...
হোজ্জা তাঁর বন্ধুকে চিঠি লিখছিলেন।
একজন উৎসুক প্রতিবেশী চুপিচুপি হোজ্জার পেছনে এসে চিঠিতে কী লেখা হচ্ছে, তা পড়তে থাকে।
এদিকে হোজ্জার সামনে ছিল একটা আয়না। ওই আয়নাতেই হোজ্জা লোকটাকে দেখতে পেলেন।
হোজ্জা,পুরো ব্যাপারটা পাত্তা না দিয়ে চিঠি লিখতে লাগলেন: ‘অনেক কিছুই লেখার ছিল। কিন্তু পারলাম না। ঠিক এই মুহূর্তে একজন অভদ্র ও নির্লজ্জ লোক আমার পেছনে দাঁড়িয়ে চিঠি পড়ছে—’
লোকটা রেগেমেগে অভিযোগ করল, ‘হোজ্জা, আপনি এসব কী লিখছেন? আমি কখন আপনার পেছনে দাঁড়িয়ে চিঠি পড়েছি?’
জবাবে হোজ্জা বললেন, ‘তুমি যদি আমার পেছনে দাঁড়িয়ে চিঠি না পড়তে, তাহলে জানলে কী করে চিঠিতে আমি কী লিখেছি?’
হোজ্জার পীর একদিন ওযু করতে গিয়া পুকুরের পানিতে পড়ে গেল।
তো মসজিদের সকল মুসল্লিরা এসে বলতে লাগলে "পীর সাহেব আপনার হাতটা দেন, পীর সাহেব আপনার হাতটা দেন"
কিন্তু পীর সাহেব হাত দিল না।
মুরীদ হোজ্জা এসে বলল, "ভাইসব, আমার পীর শুধু নিতে জানে দিতে জানেনা,"
"পীর সাহেব আমার হাতটা নেন"
এই কথা বলা মাত্রই পীর সাহেব হোজ্জার হাত ধরে উঠে আসল....
এটা তোমার জন্য...
ফুলটা আপনার আর ফুলের উপরের পোকাটা হারিকেন
হারিকেনরে টোকা দিয়ে ফেলায় দেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন