দেখে নিন সেন্টমার্টিন এর ভয়ংকর সেই মৃত্যুফাঁদ ( সচেতন হোন )

লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ১৬ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:০১:৪৫ সকাল

নোট: এটি আমার লেখা কোন ব্লগ নয়। আমি কপি করছি যে ব্লগ থেকে সেটার লিংক দিচ্ছি দেখে নিন সেন্টমার্টিন এর ভয়ংকর সেই মৃত্যুফাঁদ উপকার হবে ভেবে দিলাম।


বেশ কয়েকবছর আগে আমাদের কাছের এক বড় ভাইয়ার এক বন্ধু মারা যান সেন্টমার্টিনে পানিতে ডুবে। সব বন্ধু পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে আর চোখের সামনে মায়াবী নীল পানি গ্রাস করে নিচ্ছে কাছের বন্ধুকে !! ভাবতেই গা শিউরে উঠে।

এরপর যখন আমরা কয়েকটা বন্ধু মিলে সেখানে যাই তখন কথাটা খুব মনে হচ্ছিল!! যাওয়ার পথেও অনেকের কাছেই শুনলাম এরকম হারিয়ে যাওয়ার কিছু সত্য গল্প। অবাক করা বিষয় হচ্ছে বর্ননায় সবার বলা জায়গাটা একটাই মনে হচ্ছিল। তাই ওখানে গিয়ে আমরাও খুজতে লাগলাম জায়গাটি।।

স্থানীর এক হোটেল কর্মকর্তার সাথে এসব নিয়ে কথা হচ্ছিল , কথা প্রসঙ্গে উনিও জায়গাটা দেখিয়ে দিয়েছিলেন, আর তানা হলে হয়ত আজ আর আমার এই পোস্ট টি লেখা হতনা হয়ত অন্যদের মত আমরাও হারিয়ে যেতাম সেখানে কারন জায়গাটা সেন্টমার্টিন নেমে প্রথম বীচে হাটা শুরু করলেই কয়েক মিনিট পরেই ওত পেতে থাকে অর্থাৎ অনেক কাছেই।

ওখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে হতে কিছু বুঝে উঠার আগেই হয়ত ভুলবশত আপনিও পা দিতে পারেন এই জায়গাটিতে!! কারন নীল পানির আচ্ছাদনে আলাদা করে বোঝার কোণ উপায় ই নেই।

এরপরেও প্রায় প্রত্যেক বছর এই একি জায়গায় অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন আর এবার ২০১৪ তে এসে আহছান উল্লাহ ইউনিভার্সিটির এতগুলো ছাত্র অকালে প্রাণ হারালো !! খুব নাড়া দিয়ে উঠলো আর ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করতেছে আমাদের নিষ্ঠুর বিবেক কে, এতটা নিশ্চিত জানা সত্তেও ওখানকার প্রশাসন কোণ ব্যবস্থা নেয়নি এই অভিশপ্ত জায়গা সম্পর্কে !!

যাহোক কথা না বাড়িয়ে আমি আপনাদের কে জায়গাটা একটূ ছবি দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাচ্ছি।।

যার গেছেন তারা নিশ্চই জানেন যে প্রথমে জাহাজে করে সবাইকে সেন্টমার্টিন ফেরীলাইনে নামিয়ে দেয়া হয়। আর সেখান থেকে পায়ে হেটে ব্রীজটা পার হয়ে এসে নামতে হয় সেন্টমার্টীন দ্বীপে।



এখানে নামলেই হাতের ডানদিকে যে বীচ টা দেখতে পাই প্রায় বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা সবাই এই বীচ ধরে হাটি এবং ব্রীজের গোড়ার দিক থেকে পানিতে নামি আর কিনারা ঘেষে ডান দিকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকি।।

পানিতে একবার নেমে পড়োলে আমরা আর কেউই কিন্তু বালিতে উঠে আসিনা সামনে এগুতে থাকি পানি ধরেই। ঠিক সোজা সামনের দিকে এগিয়ে গেলে এবার দ্বীপটা হাতের বা দিকে টার্ন নেয়। ঐ জায়গাকে বলা হয় “জিনজিরা উত্তরপাড়া” স্থানীয়রা বলেন উত্তর বীচ।।

দুইদিকের পানির স্রোত এবং ঐ ত্রিকোনাকৃতির মধ্যস্রোত এই জায়গাটিতে মিলিত হয়েছে এবং ত্রিমুখি স্রোতের কারনে পানির চাপ খুব বেশী ওখানটায় এবং চাপটা নিন্মমুখি।



স্থানটা দেখতে অনেকটা লম্ভাটে খালের মত, আর এই ত্রিমুখি স্রোতের কারনে অনেক জায়গাজুড়ে বড়সড়ো গর্ত তৈরী হয়েছে। জানিনা এবং কোন নির্দেশনা নেই বলেই আমরা সাতার কাটতে কাটতে এই টার্ন দিয়েই বা পাশের বীচের দিকে এগুতে থাকি, আর তখনি কিছু বুঝে উঠার আগেই সমুদ্রের অতলে হারিয়ে যায় অনেকেই Yawn

একিভাবে আমি এবং আমার বন্ধু জাকির ও রিয়াদ সাতার কেটে ওইদিকেই এগুচ্ছিলাম হঠাত ওখানে বীচে হাটাহাটি করা স্থানীয় দুইটা বাচ্ছা ছেলে আমাদের কে বললো ‘ভাইয়া ওইদিকে যাইয়েন না, গর্ত আছে’ আর হয়ত এভাবেই আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়েছেন !!

প্লিইজ সবার কাছে অনুরোধ রইলো এই স্থানটা সম্পর্কে আপনার কাছের সবাইকে সচেতন করে দিন। ছবিগুলো ফোনে নিয়ে নিন যখন যার সাথে কথা হবে দেখিয়ে দিন, যদি আর একটি প্রাণ ও বাঁচে আপনার এই ছোট্র কাজ থেকে তাহলে অনেক বেশী উপকৃত হবেন।। বুঝার সুবিধার্থে আমাদের ক্যামেরায় তোলা কিছু ছবি দিচ্ছিঃ



ফেরী লাইনের ব্রীজে দাঁড়িয়ে তোলা ছবি।।



ব্রীজ থেকে নেমে তোলা সেই একি জায়গার ছবি। জায়গাটার নাম উত্তর বীচ।

বিষয়: বিবিধ

৭৯২০ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

208654
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:১৬
ফেরারী মন লিখেছেন : ধন্যবাদ সতর্ক করার জন্য
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৩৩
157357
ইমরান ভাই লিখেছেন : শুকরান
208655
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:১৭
নীল জোছনা লিখেছেন : সেন্ট মার্টিনে এখনো যেতে পারিনি। তবে উপকারী পোষ্ট । কাজে লাগবে ভবিষ্যতে গেলে
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৩৩
157358
ইমরান ভাই লিখেছেন : শুকরান
208661
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:২৭
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। ফেবুতে দিন।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৩৩
157359
ইমরান ভাই লিখেছেন : শুকরান। আপনি লিংটা কপি করে দিয়ে দিন।
208664
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : আপনার উপকারী পোষ্টটি পড়ে ভাল লাগল। ভবিষ্যতে ওখানে গেলে কাজে লাগবে। অনেক ধন্যবাদ।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৫৯
157382
ইমরান ভাই লিখেছেন : শুকরান্
208665
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ এই সচেতনতামুলক পোষ্ট টির জন্য। সেন্ট মার্টিন,ককসবাজার কিংবা মাধবকুন্ডতে প্রতিবছরই কয়েকজন এই ধরনের দুর্ঘটনাতে মৃত্যুবরন করে। লক্ষনিয় এদের বেশিরভাগই ছাত্র। বেশি নিয়মন ভাঙ্গতে গিয়ে এরা স্থানিয়দের কথা বা নিরাপত্তা সংকেত অমান্য করে এই বিপদে পতিতত হন। এই বিষয়ে এইভাবে জন সচেতনতা সৃষ্টি প্রয়োজন।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:০০
157383
ইমরান ভাই লিখেছেন : আমি কখন যাই নাই। শুকরান।
208667
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৪০
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ উপকারী পোস্ট এর জন্য। এ জায়গায় আমি সাইকেল চালিয়েছিলাম তবে পানিতে নামিনি। আল্লাহ রক্ষা করেছেন।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:০১
157384
ইমরান ভাই লিখেছেন : আমি কখন যাই নাই। শুকরান। নিশ্চই আল্লাহ একমাত্র রক্ষাকারী।
208671
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৪৫
নেহায়েৎ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খাইরান ভাই। আল্লাহ আমাদেরও বাঁচিয়েছেন। ওদিকে আমিও একবার নেমেছিলাম। এখন ছবিতে দেখেই আমার হাত পা কাঁপছে ইমরান ভাই। সেন্টমার্টিনে আমি দুইবার গেছি। একবার রাতে হোটেলে ছিলাম। অনেক সাতার কেটেছি ওদিক দিয়ে। আল্লাহ হেফাজত করনে ওয়ালা।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:০১
157385
ইমরান ভাই লিখেছেন : আমি কখন যাই নাই। শুকরান। এর পরে গেলে সাবধানে নামবেন ঐ দিকের পানিতে।
208691
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:০৭
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আল্লাহ বাচয়েছেন !! শুকরিয়া
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৪৯
157427
ইমরান ভাই লিখেছেন : শুকরিয়া
208698
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:২২
মাটিরলাঠি লিখেছেন : খুবই ভালো করেছেন সচেতন করে। এখন কর্তৃপক্ষের উচিত ঐখানে সতর্কতা মূলক বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৪৯
157428
ইমরান ভাই লিখেছেন : শুকরিয়া
১০
208706
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৩৮
Sada Kalo Mon লিখেছেন : অনেক উপকারী পোস্ট, অনেক গুরুত্বপূর্ন কিছু জায়গা সম্পর্কে জানতে পারলাম। Happy>-
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৪৯
157429
ইমরান ভাই লিখেছেন : শুকরিয়া
১১
208717
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : প্রবাল দ্বীপে এমনিতেই পানির গভীরতা অনুমান করা যায় না। এই ধরনের টেকের পাশে সকল নদীতেই বিপদ ওৎ পেতে থাকে। যতবড় সাতারুই হোক না কেন, ভয়ঙ্কর বিপদ তাকে সহজেই গ্রাস করে।

১৯৮৬ সালে এই বাঁকটি দেখেছিলাম। আমাদের স্যার হুশিয়ার করেছিল যে, এই ধরনের বাঁকে পানির গভীরতা থাকে এবং পানি সর্বদা ঘুরতে থাকে, তাই এখানে নেমে কিছু সংগ্রহ করোনা। অনেক ধন্যবাদ।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৪৯
157430
ইমরান ভাই লিখেছেন : শুকরিয়া
১২
208783
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:০২
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : ভাল একটা পোষ্ট। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৫
157662
ইমরান ভাই লিখেছেন : Love Struck Love Struck Love Struck
১৩
208824
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৫২
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই। কাজে লাগবে
১৭ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৫
157663
ইমরান ভাই লিখেছেন : Love Struck Love Struck
১৪
209038
১৭ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৮
আবু আশফাক লিখেছেন : সচেতনতামূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৫
157664
ইমরান ভাই লিখেছেন : Don't Tell Anyone Don't Tell Anyone Love Struck Love Struck Love Struck
১৫
209105
১৭ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০১
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : সচেতনতামূলক পোস্ট Eat Eat Big Hug Big Hug Good Luck Good Luck Thumbs Up Thumbs Up
২০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
158982
ইমরান ভাই লিখেছেন : এখানে আসো তুমার জন্য দুআ চলছে..Click this link Tongue Tongue
১৬
209109
১৭ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৭
আল্লাহর সন্তুষ্টি লিখেছেন : প্লিইজ সবার কাছে অনুরোধ রইলো এই স্থানটা সম্পর্কে আপনার কাছের সবাইকে সচেতন করে দিন। ছবিগুলো ফোনে নিয়ে নিন যখন যার সাথে কথা হবে দেখিয়ে দিন, যদি আর একটি প্রাণ ও বাঁচে আপনার এই ছোট্র কাজ থেকে তাহলে অনেক বেশী উপকৃত হবেন।
২০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
158984
ইমরান ভাই লিখেছেন : শুকরিয়া।
১৭
209118
১৭ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৮
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : লেখাটা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। খুবই ভালো লেগেছে।
২০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
158985
ইমরান ভাই লিখেছেন : শুকরিয়া।
১৮
209252
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:২৭
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : আমরা যখন গিয়েছি তখনও অনেকে জানতোনা বলে ওই জায়গায় নামতো। ভাবতে অবাক লাগছে এতগুলো দুর্ঘটনা ঘটার পরও প্রশাসন কোন উদ্দ্যোগ নিচ্ছেনা!
২০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
158986
ইমরান ভাই লিখেছেন : শুকরিয়া। ইনশাআল্লাহ নেক্সট টাইম সাবধান হবেন।
১৯
209256
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৩৪
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সচেতনতামূলক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। কোন জায়গায় বেড়াতে গেলে, সেটি যতই নিরীহদর্শন মনে হোক না কেন, স্থানীয়দের কথা মেনে চলা উচিত।
২০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
158988
ইমরান ভাই লিখেছেন : শুকরিয়া। হ্যা ঠিক বলছেন তবে ইয়ংরা একটু এডভেন্চার প্রিয় হয় তাই তারা ধরা খায়। তারা নিজেকে সিনবাদ/হারকিউলিক্স/সুপারম্যান ভাবতে শুরুকরে ফলে বেশি ধরা খায়। তবে স্থানীয় সংকেত ফল করা উচিত।
২০
211277
২১ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:২১
শের খান লিখেছেন : ভাই ধন্যবাদ, আমিও ওই জায়গাটা ভাল করে চিনি। কারন আমাদের জমিটা ওই বিচ এর .৫ কিমি.দূরে অবস্থিত। আমিও ভুলবশত ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সন্ধ্যে বেলায় নেমেছিলাম ওই ঢেউ এরপুর্ব দৃশ্য দেখে,স্তানিও এক জেলে আমাকে পরে সতর্ক করে দেয়।
২২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:০০
159958
ইমরান ভাই লিখেছেন : শুকরিয়া ভাইজান।
এতদিন গ্যাঞ্জাম খান ছিল আপনি নতুন শের খান মাশাআল্লাহ ভাল লাগলো।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File