তোমাদের রসুলের জীবন চরিতও ভাল লাগেনি।
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ২৭ মার্চ, ২০১৪, ০২:১৯:৪১ দুপুর
একটু দারান আমাকে ভুল বুঝবেন না। এটা আমার কথা নয়…বিস্তারিত দেখুন…
>>>>
আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা কোরআনে অনেক যায়গায় রসুল (সা) এর চরিত্রের বর্ণনা দিয়েছেন। এবং সকল মুসলিম এক বাক্যে তা মেনে নিয়েছেন। কোরআনে আল্লাহ বলেন:
وَإِنَّكَ لَعَلى خُلُقٍ عَظِيمٍ
আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।(সুরা কলম আয়াত -৪)
এবং মুমিন মুসলিদেরকে আল্লাহ বলেছেন তার রসুলের (সা) উত্তম চরিত্রকে অনুসরণ করতে বলেছেন..
আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলেন:
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا
যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে উত্তম চরিত্রের নমুনা বিদ্যমান। (আহযাব আয়াত-২১)
মূল কাহিনী:
>>>
আমরা একজন মুশরিকের খুব অন্ধ ভক্ত। এক কথায় বলা যায় তার নাম শুনলে যেন আমরা তার লেখার ভুবনে হারিয়ে যাই। আসলে এরখমটা তারাই করে যারা ইতিহাস জানে না। কেননা যারা ইতিহাস যানে তারা অন্তত এরখম করতেই পারে না।
আমি কার কথা বলছি তা কি আপনারা জানেন?
তিনি হলেন আমাদের দেশের লাক্ষো কন্ঠে গান গাওয়ানো একমাত্র মুশরিক কবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
আমারা অনেকে না জেনে ভাবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর মনেহয় বাংগালীদের অনেক কাছের মানুষ। অথবা তিনি বাংলার খুব কাছের মানুষ।
অথচ তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধ্যে ছিলেন সোচ্চার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেন প্রতিস্ঠা না হয় তার মিটিং এর সভাপতি ছিলেন। ইতিহাস পড়লে তার সাক্ষ্য পাওয়া যায়। আর সবথেকে বড় ব্যাপার তিনি হিন্দু ছিলেন না তিনি নতুন এক ধর্ম প্রবতন করেছিলেন যার নাম ব্রাক্ষ ধর্ম।
যাই হোক আজ সেদিকে যাবো না কারণ বিষয়টি সেদিকে যাবার নয়।
আসলে আমরা দেখবো এই রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর ইসলামের মহামানব, আফজালুল বাশার রসুল (সা) কে নিয়ে কি ভাবতেন? তার সম্মন্ধ্যে তিনি কি ধারনা রাখতেন? অবশ্য এই মুশরিকের কাছে বেশি কিছু আশা করা যায় না।
তবে আশ্চর্য বিষয় আমরা নামধারী কিছু মুসলিম
প্রথমত: জানিই না তিনি কি ভাবতেন রসুল (সা) কে নিয়ে? আবার দ্বীতিয়ত: এই মুশরিকের অন্ধ ভক্ত।
তাই এদেরকে এবং মুসলিমদের সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য এই লেখা।
”এ এক অন্য ইতিহাস-২য় খন্ড ১৫৪ পৃস্ঠায়” গ্রন্থের লেখক ইতিহাসবিদ গোলাম আহমাদ মর্তুজা তিনি লিখেছেন:
”মরহুম মোতাহার হোসেন চৌধুরী শান্তিনিকেতনে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আপনার লেখায় ইসলাম ও বিশ্বনবী সম্পর্কে কোন কথা লেখা নেই কেন?’ উত্তরে কবি বলেছিলেন: “কুরআন পড়তে শুরু করেছিলুম, কিন্তু বেশিদূর এগুতে পারিনি। আর তোমাদের রসুলের জীবন চরিতও ভাল লাগেনি” [দ্রষ্ঠব্য বিতন্ডা: সৈয়দ মুজিবউল্লাহ, পৃ:২২৯]
যে মুশরিক বলতে পারে “তোমাদের রসুলের জীন চরিতও ভাল লাগেনি” তার জন্য কোন মুসলিমের কোন দয়া থাকা উচিত কি???
কোরআনে আল্লাহ সুবাহানাহু তাআলা বলেন:
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِينَ آمَنُواْ الْيَهُودَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُواْ وَلَتَجِدَنَّ أَقْرَبَهُمْ مَّوَدَّةً لِّلَّذِينَ آمَنُواْ الَّذِينَ قَالُوَاْ إِنَّا نَصَارَى ذَلِكَ بِأَنَّ مِنْهُمْ قِسِّيسِينَ وَرُهْبَانًا وَأَنَّهُمْ لاَ يَسْتَكْبِرُونَ
আপনি সব মানুষের চাইতে মুসলমানদের অধিক শত্রু ইহুদী ও মুশরেকদেরকে পাবেন এবং আপনি সবার চাইতে মুসলমানদের সাথে বন্ধুত্বে অধিক নিকটবর্তী তাদেরকে পাবেন, যারা নিজেদেরকে খ্রীষ্টান বলে। এর কারণ এই যে, খ্রীষ্টানদের মধ্যে আলেম রয়েছে, দরবেশ রয়েছে এবং তারা অহঙ্কার করে না। (মায়িদা আয়াত-৮২)
তাই সকল মুসলিমকে ভাবা উচিত কাকে গ্রহণ করছেন ? কার গান আপনি গাইছেন? কার লেখায় আপনি বিভোর? এবং ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত।
এ এক অন্য ইতিহাস ২য় খন্ড
রবিন্দ্রনাথের চেপে রাখা ইতিহাস
{লেখাটি ইতিহাস থেকে সংগ্রিহীত}
বিষয়: বিবিধ
১৬৩২ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন