চরমনাই পীরের আশেক মাশুক...
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:৪১:০৯ সকাল
"চরমনাই এরপীর"-- তার লেখাকিতাব (আশেকমাশুক এর ৮৮-৮৯page)-এলিখেছেন,
"মুসা (আঃ)এরদিন পথেচলছিলেন, এমনসময় দেখলেন একরাখাল ধ্যানমগ্ন হয়ে গুনগুন করেবলছেন,'ওগোআল্লাহ,তোমারেযদি পাইতামতাহলে সাবানদিয়া গোসলকরাইতাম,মাথারচুল আচড়াইয়াদিতাম,আতর সুরমালাগাইয়া দিতাম..."
এইসব কথা শুনেমুসা (আঃ) তাকেধমক দিয়েবললেন,'কিসবআজেবাজে কথা বলছ! এসব শিরকিকথা!'
রাখাল ভয়েজঙ্গলে পালিয়েগেল। তখন আল্লাহ(নাকি!) মুসা(আঃ) কে ডাকদিয়ে তিরষ্কারকরলেন এবংজানালেন রাখালেরকথায় তিনি(নাকি!)সন্তুষ্ট ছিলেন!
মুসা (আঃ)নবুয়াত হারানোরভয়ে সেই রাখালকেখুঁজে বের করেতার কাছে মাফচাইলেন। তখনরাখাল জানালোসে নাকি সিরাতুলমুন্তাহা পারহয়ে আরশেরকাছাকাছি পৌছেগিয়েছিল। কিন্তুঐ মুহূর্তেতাকেবাধা দিয়েআল্লাহর দীদারহতে বঞ্চিতকরেছেন।"
এই ঘটনাউল্ল্যেখ করারপরে চরমনাইয়েরপীর সাহেববলেছে,"হে মুমীনভাই সকল!এখনবুইঝালন যে,মুর্খ লোকমারেফতের উপরেরদরজায় পৌছাতেপারে কিনা এবংইহাও খেয়াল করুনযে মারেফতেররাস্তা কত গোপনআর কঠিন, যেখানেমুসা (আঃ) এরমতন নবীওসেইরাখালের অবস্থাবুঝতে পারেননাই!"
দেখুন,কি করেএকজন রাখালকে মুসা (আঃ) এর উপরে প্রাধান্যদিলেন চরমনাইয়েরপীর সাহেব !!মারেফতের নামে ভন্ডামির দ্বারউন্মুক্ত ।
বিষয়: বিবিধ
৪০৩২ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আবার এই আকিদা নিয়ে ইসলাম প্রতিস্ঠা করতে চায়
ইসলামী শোষন তন্ত্র
০১।
ভালবাসাতে কোন ভুলত্রুটি হলে মার্জনীয়
যেমন রাখাল কথাটা বলেছে স্রেফ ভালবেসে বলেছে যদিও শুনতে শিরকি তথাপি কথা গুলো ভালবাসার বসতি হয়েই তিনি বলেছেন
০২।
মহান আল্লাহ তায়ালা কোরানে অনেক বার বলেছেন তিনি মানুষের মুখ দেখেন না দেখেন তার অন্তর,
এই ছেলে মুখে বলেছে ঠিকই কিন্তু অন্তরে তার ভালবাসার কারনেই বলেছে যে আল্লার কাছে ভাল লেগেছে
০৩।
আশেক যত ভুলই করুক না কেন মাশুক তার ভালবাসার উত্তর দিতে দ্বিধাবোধ করেন না,
০৪।
এখানে আরেকটি বিষয় পরিস্কার আর সেটা হলো ভালবাসার ক্ষেত্র সবাই সমান।
মুসা শরীয়তের দিক দিয়ে রাখালের কথাকে তিরস্কার করেছে
কারন মুসা আল্লাহর সাথে কথা বলতে পারে এমনকি আল্লাহর নৈকট্যও লাভ করেছে
কিন্তু রাখালের এসব কিছু নেই,সে কেবল অন্য দৃষ্টিতে বলেছে
এখানে আল্লাহ মুসাকে তিরস্কার করে বলেছেন রাখাল ঠিক কথাই বলেছে এর অর্থ এই নয় যে আল্লাহকে যে কেউ উক্ত কথা বলতে পারবে, এটা তাদের কেবল দুজনের মধ্যেই নির্দিষ্ট।
এখানে কোন অবস্থাতেই রাখালকে বড় মনে করা যাবেনা, বড় মনে করলে কুফরি হবে, রাখালতো রাখালই, হযরত মুসা আঃ হলেন একজন নবী, নবীর সামনে একজন সাধারন মানুষ কিছুই নয়,
চরমোনাই পীর যদি উক্ত দাবী করে বসে তাহলে তাকেও তওবা করতে হবে, একজন নবীকে রাখালের নীচের স্তর মানার জন্য
কিন্তু আপার মনগড়া এই ব্যাখা শুনে সত্যি হতাশ না হয়ে পারলাম না।
১. ভালবাসার স্থর পার হওয়া ঠিক নয় যেমন: আপনি আপনার মাকে বলতে পারবেন না মা তোমার সাথে আমি প্রেম করি। ইশক শব্ধের অর্থ কিন্তু প্রেম। তেমনি আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার শানে এরখমের প্রেম নিশিদ্ধ। এটা বাড়াবাড়ী এবং কোরআন ও হাদিস বহিভূত। যা রসুল (সা) আমাদেরকে শেখায় নি।
২. আল্লাহ যদি এরখম ভালোবাসা চাইতেন তাহলে রসুল (সা) তা আমাদেরকে বলে দিতেন। রসুল (সা) বলেন,
"....আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের চেয়ে বেশী আল্লাহকে ভয় করি, তার ভয় অন্তরে তোমাদের চেয়ে বেশী রাখি।"
(সহীহুল বুখারী ৫০৬৩,মুসলিম ১৪০১, নাসায়ী ৩২১৭, আহমাদ ১৩১২২, ১৩০১৬, ১৩৬৩১)
৩.আশেক ও মাশুকের অর্থ জানা আপনার জন্য জরুরী। আশেক = প্রেমিক আর মাশুক = প্রেমিকা তাই সাবধান হতে হবে এরখম কথা বলতে।
৪. শ্রী রবিশংকর এরখম কথা বলে। এখানে দেখতে পারেন । ইসলামে ভালোবাসা আছে তবে তা হতে হবে সীমার ভিতরে বাহীরে নয়। এবং আল্লাহকে ভালোবাসার সীমা রসুল (সা) যে ভাবে শিক্ষা দিয়েছেন তার বাহিরে নয়।
আর সবথেকে বড় বিষয় অপব্যাখ্যার লেটেস্ট সংস্করন থেকে দুরে থাকুন। কোরআন ও হাদীস কোথাও এরখমের ব্যাখ্যা নাই।
রসূল (সা) আমাদেরকে এরখম কিছু শিক্ষা দেন নাই।
আল্লাহ বলেন ,"...আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।" তাই দ্বীন পরিপূর্ন আর রসুল (সা) আমাদেরকে সবকিছু শিক্ষা দিয়েছেন যা আমাদের দরকার। তাই নতুন কোন কিছু আবিস্কার করা থেকে দুরে থাকুন। না জানলে অবশ্যই জ্ঞানীদের কাছে জেনে নিন।
আশাকরি আপানাকে বোঝাতে পেরেছি।
আল্লহ আপনাকে সরল পথ দেখান আমিন।
আর এই রখম শির্কি আকিদার লোক থেকে দুরে থাকতেহবে। অথচ এরাই বর্তমানে বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিস্টার লড়াই করে??
দুআ করি আল্লাহ এদেরকে সঠিক চিনে তাওহীদ প্রতিস্ঠাকারী তৈরি করুন। আমিণ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন