ফরজ সালাতের সালাম ফেরানোর পর বর্ণিত জিকির সমুহ।
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:২৬:৪৫ সকাল
ফরজ সালাত শেষে আমাদের মতো প্রচলিত নিয়মে রসুল (সা) এবং তার সাহাবা (রা) হতে সম্মিলিত ভাবে মোনাজাত করার কোন সহিহ দলিল পাওয়া যায় না। কিন্তু ফরজ সালাত শেষে অনেক জিকিরের কথা সহিহ ভাবে পাওয়া যায় ।
তাই আসুন বিদআতি মুনাজাত ভুলে সহিহ হাদিসে বর্ণিত জিকির গুলো জেনে নেই এবং তা আমল করি।
«استغفر الله استغفر الله استغفر الله»
«اللهم أنت السلام ومنك السلام تباركت يا ذا الجلال والإكرام» (رواه مسلم)
উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহ (তিনবার)
অর্থ: আল্লাহুম্মা আন্তাস সালামু ওয়া মিনকাস সালামু, তাবারাকতা ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম। (মুসলিম)
অর্থ: আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। (তিনবার)
হে আল্লাহ! তুমি শান্তিময়, আর তুমিই শান্তির উৎস। হে মহামহিম ও সম্মানের অধিকারী মহিমান্বিত তুমি।
«لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد وهو على كل شيءٍ قدير»
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর। (তিনবার) (বুখারী - মুসলিম)
অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্যিকার ইলাহ বা উপাস্য নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা ও রাজত্ব আর তিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
«لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير، اللهم لا مانع لما أعطيت، ولا معطي لما منعت، ولا ينفع ذا الجد منك الجد» (رواه البخاري ومسلم)
উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওলাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বদীর। আল্লাহুম্মা লা মানি‘য়া লিমা আ‘ত্বইতা ওয়ালা মু‘ত্বিয়া লিমা মানা‘তা ওয়ালা ইয়ানফা‘উ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু। (বুখারী - মুসলিম)
অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্যিকার ইলাহ বা উপাস্য নেই। তিনি এক তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা ও রাজত্ব আর তিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
হে আল্লাহ্! তুমি যে দান কর তা বন্ধ করার কেউ নেই আর তুমি যা বন্ধ রাখ তা দানকারী কেউ নেই। কোনো সম্মানিত ব্যক্তির সম্মান কাজে আসবে না, তোমার নিকটেই প্রকৃত সম্মান।
«لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك، وله الحمد وهو على كل شيء قدير، لا حول ولا قوّة إلا بالله، لا إله إلا الله، ولا نعبد إلا إيّاه، له النعمة وله الفضل وله الثناء الحسن، لا إله إلا الله مخلصين له الدين ولو كره الكافرون» (رواه مسلم)
উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়ালা না‘বুদু ইল্লা ইয়্যাহু, লাহুন নি‘মাতু ওয়ালাহুল ফাদলু ওয়ালাহুস সানাউল হাসানু, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসীনা লাহুদদ্বীনা ওয়ালাউ কারিহাল কাফিরূন। (মুসলিম)
অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্যিকার ইলাহ বা উপাস্য নেই। তিনি এক তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা ও রাজত্ব আর তিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য ব্যতীত স্বীয় অবস্থা থেকে পরিবর্তনের ক্ষমতা কারো নেই। আল্লাহ্ ব্যতীত সত্যিকার মা‘বূদ নেই, আমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি, তাঁর পক্ষ থেকে যাবতীয় নেয়ামত ও অনুগ্রহ তাই তাঁর জন্যই সকল উত্তম প্রশংসা। আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্রিকার মা‘বূদ নেই, তাঁর দ্বীন আমরা একনিষ্ঠভাবে মান্য করি যদিও কাফেরগণ তা অপছন্দ করে।
«سبحان الله»
‘‘সুবহানাল্লাহ’’ ৩৩ বার
অর্থ: আমি আল্লাহর জন্য যাবতীয় দোষ হতে পবিত্রতা ঘোষণা করছি।
الحمد لله
‘‘আহামদু লিল্লাহ’’ ৩৩ বার
অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
الله أكبر
‘‘আল্লাহু আকবার’’ ৩৩ বার
অর্থ: আল্লাহ্ সবার বড়। অতঃপর বলবেঃ
"لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير" (رواه البخاري و مسلم)
উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহু, লাহুল মুলক ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর। (তিনবার) (বুখারী - মুসলিম)
অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্যিকার ইলাহ বা উপাস্য নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা ও রাজত্ব আর তিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
অথবাঃ সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার ও আল্লাহু আকবার ৩৪ বার। (তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ)
আয়াতুল কুরসী
﴿ ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلۡحَيُّ ٱلۡقَيُّومُۚ لَا تَأۡخُذُهُۥ سِنَةٞ وَلَا نَوۡمٞۚ لَّهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ مَن ذَا ٱلَّذِي يَشۡفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذۡنِهِۦۚ يَعۡلَمُ مَا بَيۡنَ أَيۡدِيهِمۡ وَمَا خَلۡفَهُمۡۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيۡءٖ مِّنۡ عِلۡمِهِۦٓ إِلَّا بِمَا شَآءَۚ وَسِعَ كُرۡسِيُّهُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَۖ وَلَا ئَُودُهُۥ حِفۡظُهُمَاۚ وَهُوَ ٱلۡعَلِيُّ ٱلۡعَظِيمُ ٢٥٥ ﴾ [البقرة: ٢٥٥]
উচ্চারণ: (আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল কাইয়্যূমু লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহূ মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইযনিহী। ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম)।
অর্থ: “আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ্ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্রাও নয়। আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর। কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন। আর যা তিনি ইচ্ছে করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টন করতে পারে না। তাঁর ‘কুরসী’ আসমানসমূহ ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে; আর এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ সুমহান।”
ফরয নামাযের পর উক্ত আয়াতুর কুরসী পড়বে কেননা হাদীসে বর্ণিত হয়েছেঃ ‘‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাযের শেষে আয়াতুল কুরসী পড়বে তার জন্য মৃত্যু ব্যতীত জান্নাতে যাওয়ার আর কোনো বাধা নেই। (নাসায়ী)
‘‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’’, ‘‘কুল আঊযু বিরাবিবল ফালাক’’ ও ‘‘কুল আঊযু বিরাবিবন্ নাস’’ প্রত্যেক নামাযের শেষে পড়বে।
(আবু দাঊদ, নাসায়ী ও তিরমিযী)
সূরা ইখলাস:
70-(5) بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ﴿قُلْ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ Ǻۚ اَللّٰهُ الصَّمَدُ Ąۚ لَمْ يَلِدْ ڏ وَلَمْ يُوْلَدْ Ǽ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ Ćۧ﴾،
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লাহুস্ সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, তিনি আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ্ হচ্ছেন ‘সামাদ’ (তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী)। তিনি কাউকেও জন্ম দেন নি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয় নি। আর তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।”
সূরা ফালাক:
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ﴿قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ Ǻ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ Ą وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ Ǽ وَمِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِي الْعُقَدِ Ć وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ Ĉ﴾،
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল আ‘উযু বিরব্বিল ফালাক্ব। মিন শাররি মা খালাক্ব। ওয়া মিন শাররি গা-সিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা হাসাদ)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। ‘আর অনিষ্ট হতে রাতের অন্ধকারের, যখন তা গভীর হয়। আর অনিষ্ট হতে সমস্ত নারীদের, যারা গিরায় ফুঁক দেয়। আর অনিষ্ট হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।”
সূরা নাস:
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ﴿قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ Ǻ مَلِكِ النَّاسِ Ą اِلٰهِ النَّاسِ Ǽ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ ڏ الْخَنَّاسِ Ć الَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِيْ صُدُوْرِ النَّاسِ Ĉ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ Čۧ﴾
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল ‘আউযু বিরাব্বিন্না-স। মালিকিন্না-সি, ইলা-হিন্নাসি, মিন শাররিল ওয়াসওয়া-সিল খান্না-স, আল্লাযি ইউওয়াসউইসু ফী সুদূরিন না-সি, মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স।)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের রবের, মানুষের অধিপতির, মানুষের ইলাহের কাছে, আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে; যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্য থেকে এবং মানুষের মধ্য থেকে।”
«اللهم إنّي أسألك علما نافعا، ورزقا طيبا، وعملا متقبلا» (رواه إبن ماجه)
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আসয়ালুকা ইলমান নাফিয়ান ওয়া রিযকান ত্বইয়্যিবান ওয়া আমালান মুতাকাব্বালান। (ইবনে মাজাহ)
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে উপকারী বিদ্যা, পবিত্র রিযিক এবং গ্রহণযোগ্য আমল কামনা করি।
«رب قني عذابك يوم تبعث عبادك» (رواه مسلم)
উচ্চারণ: রব্বি ক্বিনী আযাবাকা ইয়াওমা তুব‘য়াসু ইবাদুকা। (মুসলিম)
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে তুমি তোমার আযাব হতে বাঁচাও যেদিন তোমার বান্দারা উত্থিত হবে।
ফজর ও মাগরিবের নামাযের পর হলে বলবেঃ
«لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد وهو على كلّ شيء قدير» (رواه البخاري و مسلم)
উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহু, লাহুল মুলক ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলাকুল্লি শাইয়্যিন কাদীর। (১০ বার)
অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্যিকার ইলাহ বা উপাস্য নেই। তিনি এক তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা ও রাজত্ব আর তিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান। (তিরমিযী, আহমাদ ও নাসায়ী)
বিষয়: বিবিধ
৩৫৮৪ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহুখাইরান।
হযরত আবু হুরায়রা (রা থেকে বর্নিত। তিনি বলেন: রসুলুল্লাহ (স বলেছেন: এমন দুটি বাক্য আছে যা উচ্চারণে হালকা কিন্তু ওযনে ভারী এবং আল্লাহর কাছে প্রিয়। এ বাক্য দুটি হচ্ছে ” সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহি, সুবহা-নাল্লা-হিল আযীম” অর্থাৎ আমরা আল্লাহর প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা বর্ননা করছি মহান আল্লাহ অতি পবিত্র। (বুখারী-৭০৫৩ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও মুসলিম-৬৬৫৪ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার)
হযরত আবু হুরায়রা (রা থেকে বর্নিত। তিনি বলেন: রসুলুল্লাহ (স বলেছেন: আমার কাছে ”সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার” বলা দুনিয়ার সব জিনিসের চাইতে বেশী প্রিয়।(মুসলিম-৬৬৫৫ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার)
হযরত আবু হুরায়রা (রা থেকে বর্নিত। তিনি বলেন: রসুলুল্লাহ (স বলেছেন:যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ বার বলবে ” লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকালাহু লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইইন কাদির- অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহা নেই। তিনি এক। তার কোন শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব তার। সমস্ত প্রশংসা তার। তিনি সমস্ত বস্তুর উপর প্রভাবশালী”। সে দশটি গোলাম আযাদ করার সমান সওয়াব পাবে আর তার নামে লেখা হবে ১০০ টি নেকী এবং তার নাম থেকে ১০০ টি গুনাহ মুছে ফেলা হবে। আর সেদিন সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত শয়তানের প্রলোভন থেকে সংরক্ষিত থাকবে এবং কিয়ামতের দিন কেউ তার চাইতে ভালো আমল আনতে পারবে না একমাত্র সেই ব্যক্তি ছাড়া যে তার চাইতে বেশী আমল করেছে। তিনি বলেছেন যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ বার বলবে ” সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহি” তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে, যদিও তা হয় সমুদ্রের ফেনারাশির সমান। (বুখারী-৫৯৬১ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও মুসলিম-৬৬৫০ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার)
হযরত আবু হুরায়রা (রা থেকে বর্নিত। তিনি বলেন: রসুলুল্লাহ (স বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ (আল্লাহ পবিত্র), ৩৩ বার আল হামদুলিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর) , ৩৩ বার আল্লাহু আকবার (আল্লাহ মহান)পড়ে এবং ১০০ বার পূর্ন করার জন্য ১ বার ” লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকালাহু লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইইন কাদির” পড়ে তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয় যদিও তা হয় সমুদ্রের ফেনারাশির সমান। (মুসলিম-১২৪০ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার)
হযরত সাদ বিন ওবায়দা (রা থেকে বর্নিত। তিনি বলেন: রসুলুল্লাহ (স বলেছেন: যখন তুমি শয্যাগ্রহণ কর তখন নামাযের ওযুর ন্যায় ওযু করে নাও অতপর ডান পাশে কাত হয়ে শয়ন কর। তারপর বল,”আল্লাহুম্মা ইন্নী আসলামতু ওয়জহিয়া ইলাইকা, ওয়াফাওয়াদতু আমরী ইলাইকা, ওয়াল জা-তু যাহরী ইলাইকা, রাগবাতান ওয়া বাহবাতাম ইলাইকা, লা-মালজাআ ওয়ালা মানজাআ, মিনকা ইল্লা ইলাইকা, আমানতু বি কিতাবিল্লাযি আনঝালতা ওয়াবি নাবিয়্যিকাল্লাযি আরসালতা” অর্থাৎ ”হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট আত্মসমার্পণ করলাম, আমি আমার পৃষ্ঠকে তোমারই দিকে ফিরালাম আশা ও ভয় নিয়ে। তোমার নিকট ছাড়া কোন আশ্রয় নেই কোন রক্ষা নেই। আমি তোমার নাযিলকৃত আসমানী কিতাবের উপর বিশ্বাস স্থাপন করলাম এবং তোমার প্রেরিত রসুলের উপর বিশ্বাস স্থাপন করলাম” রসুলুল্লাহ (স বলেন, একথাগুলো (নিদ্রার আগে) তোমার শেষ কথা হিসেবে গ্রহণ করো। এরপর যদি তুমি ঐ রাত্রে মৃত্যুবরণ করো তবে তোমার মৃত্যু স্বভাবধর্ম ইসলামের উপর হবে। (মুসলিম-৬৬৮৮ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার)
তবে সালাত শেষের জিকির গুলো কিন্তু আমল করা খুবই জরুরী। ইনশাআল্লাহ আমল করবেন।
বেদআ'তি মুনাজাত (সম্মিলিত ফরজ সালাত শেষে) ত্যাগ করার সব থেকে সহজ মাধ্যম হলো এই সকল জিকিরের উপর আমল করা।
বেদআ'তি মুনাজাত (সম্মিলিত ফরজ সালাত শেষে) ত্যাগ করার সব থেকে সহজ মাধ্যম হলো এই সকল জিকিরের উপর আমল করা।
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আসয়ালুকা ইলমান নাফিয়ান ওয়া রিযকান ত্বইয়্যিবান ওয়া আমালান মুতাকাব্বালান। (ইবনে মাজাহ)
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে উপকারী বিদ্যা, পবিত্র রিযিক এবং গ্রহণযোগ্য আমল কামনা করি।[/i
এই দোয়াটা শুধুমাত্র ফজরেরে পরে পড়তে হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন