"সুবহানাল্লাহী ওয়াল হামদুলিল্লাহী ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার" - - - পাঠ করার ফযিলাত।
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:৪৪:৩৮ সকাল
আনাস ইবন মালিক (রা) হতে বর্ণিত। একদা রসুলুল্লাহ (সা) গাছের ডাল ধরে ঝাকুনি দিলেন কিন্তু কোন পাতা ধরলোনা। অতঃপর আবার ঝাকুনি দিলেন কিন্তু কোন পাতা ঝড়লো না। অতঃপর আবার ঝাকুনি দিলেন এবং এবার পাতা ঝরে পড়লো । তখন রসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “সুবহানাল্লাহী ওয়াল হামদুলিল্লাহী ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার” পাঠ করার মাধ্যমে গুনাসমুহ এমন ভাবে ঝরে যায় যেমন গাছের পাতা ঝরে পড়ে।
(হাদিস হাসান: আহমাদ হা/১২৫৩৪-হাদিসের শব্দাবলী তার. বুখারী আদাবুল মুফরাদ হা/৬৩৪, ত্বাবারানী কিতাবুদ দুআ হা/১৬৮৮, সহীহ আত-তারগীব হা/১৫৭০, আহমাদ শাকির বলেন: এর সনদ হাসান। শুআইব আরনাউত্ব বলেন: সানাদের সিনান ইবনু রবীআহর কারনে মুতাবাআত ও শাওয়াহেদে এর সনদ হাসান। এছাড়া সানাদের অবশিষ্ট রিজাল সিক্বাত এবং বুখারী মুসলিমের রিজাল। আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন)
আবু হুরাইরাহ (রা) হতে বর্ণিত। একদা রসুলুল্লাহ (সা) আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন আমি চারা রোপন করছিলাম। তিনি (সা) বললেন, : হে আবু হুরাইরহ (রা) কি রোপন করছো? আমি বললাম, আমার জন্য চরা লাগাচ্ছি। তিনি (সা) বললেন, আমি কি তোমার জন্য এর চাইতেও উত্তম চারার সংবাদ তোমাকে দিবো না? আমি বললাম, হ্যাঁ হে আল্লাহর রসুল (সা)। তিনি (সা) বললেন, তুমি বলো : “সুবহানাল্লাহী ওয়াল হামদুলিল্লাহী ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার” – এর প্রত্যেকটির বিনিময়ে তোমার জন্য জান্নাতে একটি গাছ রোপণ করা হবে।
(ইবনু মাজাহ, হাকিম। ইমাম হাকিম এর সনদকে সহিহ বলেছেন। আলবানী হাদিসটিকে হাসান লিগাইরিহি বলেছেন। সহিহ আত-তারগীব হা/১৫৪৯)
সংগ্রহ : ম্যাসেজ অফ ম্যসেনজার
বিষয়: বিবিধ
৩৭৩৬ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হযরত আবু হুরায়রা (রা থেকে বর্নিত। তিনি বলেন: রসুলুল্লাহ (স বলেছেন: এমন দুটি বাক্য আছে যা উচ্চারণে হালকা কিন্তু ওযনে ভারী এবং আল্লাহর কাছে প্রিয়। এ বাক্য দুটি হচ্ছে ” সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহি, সুবহা-নাল্লা-হিল আযীম” অর্থাৎ আমরা আল্লাহর প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা বর্ননা করছি মহান আল্লাহ অতি পবিত্র। (বুখারী-৭০৫৩ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও মুসলিম-৬৬৫৪ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার)
হযরত আবু হুরায়রা (রা থেকে বর্নিত। তিনি বলেন: রসুলুল্লাহ (স বলেছেন:যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ বার বলবে ” লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকালাহু লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইইন কাদির- অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহা নেই। তিনি এক। তার কোন শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব তার। সমস্ত প্রশংসা তার। তিনি সমস্ত বস্তুর উপর প্রভাবশালী”। সে দশটি গোলাম আযাদ করার সমান সওয়াব পাবে আর তার নামে লেখা হবে ১০০ টি নেকী এবং তার নাম থেকে ১০০ টি গুনাহ মুছে ফেলা হবে। আর সেদিন সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত শয়তানের প্রলোভন থেকে সংরক্ষিত থাকবে এবং কিয়ামতের দিন কেউ তার চাইতে ভালো আমল আনতে পারবে না একমাত্র সেই ব্যক্তি ছাড়া যে তার চাইতে বেশী আমল করেছে। তিনি বলেছেন যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ বার বলবে ” সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহি” তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে, যদিও তা হয় সমুদ্রের ফেনারাশির সমান। (বুখারী-৫৯৬১ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও মুসলিম-৬৬৫০ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার)
হযরত আবু হুরায়রা (রা থেকে বর্নিত। তিনি বলেন: রসুলুল্লাহ (স বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ (আল্লাহ পবিত্র), ৩৩ বার আল হামদুলিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর) , ৩৩ বার আল্লাহু আকবার (আল্লাহ মহান)পড়ে এবং ১০০ বার পূর্ন করার জন্য ১ বার ” লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকালাহু লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইইন কাদির” পড়ে তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয় যদিও তা হয় সমুদ্রের ফেনারাশির সমান। (মুসলিম-১২৪০ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার)
হযরত সাদ বিন ওবায়দা (রা থেকে বর্নিত। তিনি বলেন: রসুলুল্লাহ (স বলেছেন: যখন তুমি শয্যাগ্রহণ কর তখন নামাযের ওযুর ন্যায় ওযু করে নাও অতপর ডান পাশে কাত হয়ে শয়ন কর। তারপর বল,”আল্লাহুম্মা ইন্নী আসলামতু ওয়জহিয়া ইলাইকা, ওয়াফাওয়াদতু আমরী ইলাইকা, ওয়াল জা-তু যাহরী ইলাইকা, রাগবাতান ওয়া বাহবাতাম ইলাইকা, লা-মালজাআ ওয়ালা মানজাআ, মিনকা ইল্লা ইলাইকা, আমানতু বি কিতাবিল্লাযি আনঝালতা ওয়াবি নাবিয়্যিকাল্লাযি আরসালতা” অর্থাৎ ”হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট আত্মসমার্পণ করলাম, আমি আমার পৃষ্ঠকে তোমারই দিকে ফিরালাম আশা ও ভয় নিয়ে। তোমার নিকট ছাড়া কোন আশ্রয় নেই কোন রক্ষা নেই। আমি তোমার নাযিলকৃত আসমানী কিতাবের উপর বিশ্বাস স্থাপন করলাম এবং তোমার প্রেরিত রসুলের উপর বিশ্বাস স্থাপন করলাম” রসুলুল্লাহ (স বলেন, একথাগুলো (নিদ্রার আগে) তোমার শেষ কথা হিসেবে গ্রহণ করো। এরপর যদি তুমি ঐ রাত্রে মৃত্যুবরণ করো তবে তোমার মৃত্যু স্বভাবধর্ম ইসলামের উপর হবে। (মুসলিম-৬৬৮৮ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার)
মন্তব্য করতে লগইন করুন