আপনি উত্তর টি যানেন কি?
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:২০:৩০ সকাল
একটি হাদিস ও একটি প্রশ্ন:
হাদিস:
আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম বলেছেন : (ইমামের দৃস্টি আকর্ষনের জন্য) পুরুষের বেলায় “তাসবিহ্”(সুবহানাল্লাহ) বলা। তবে মহিলাদের বেলায় ”তাসফীক”(হাতের তালু দিয়ে হাতের পিঠে আঘাত করে শব্দ করা)
(সহিহ আল বুখারী, ২১/৫ অধ্যায় হা/১২০৩,১২০৪ অন্য হাদিসে আছে “কারো সালাতের মধ্যে কোন সমস্যা দেখা দিলে সে যেনো “সুবহানাল্লাহ” বলে। কারন কেউ “সুবহানাল্লাহ” বলতে শুনলে অবশ্যই সেদিকে লক্ষ্য করবে। বুখারী হা/১২৩৪)
প্রশ্ন:
সালাতে ইমাম কোথাও ভুল করলে আপনি মুক্তাদি হিসেবে তা বুঝতে পারার পরে কি করবেন?
অপশন চারটির মধ্যে যেকোন একটি চুজ করুন।
ক. আল্লাহুআকবার বলবেন।
খ. সুবহানাল্লাহ বলবেন।
গ. হাতে তালি দিবেন ।
ঘ. আলহামদুলিল্লাহ বলবেন।
নিচের কমেন্টেসে উত্তর দিন।
বিষয়: বিবিধ
১৭৫৬ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « التَّسْبِيحُ لِلرِّجَالِ وَالتَّصْفِيقُ لِلنِّسَاءِ (سنن ابى داود، كتاب الصلاة، باب التَّصْفِيقِ فِى الصَّلاَةِ، رقم الحديث-940)
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তাসবীহ হল পুরুষদের জন্য, আর তাসফীক তথা মৃদু তালি হল মহিলাদের জন্য। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৯৪০, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১০৩৪, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১১৪৫, সহীহ মুসলিম হাদীস নং-৯৮২}
উক্ত বর্ণিত হাদীসে নামাযরত অবস্থায় পুরুষের জন্য সতর্ক করার বিষয় নির্ধারিত করা হয়েছে তাসবীহকে আর তাসবীহের মাঝে আল্লাহু আকবার, সুহবানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ সবই শামিল। তাই হানাফি ইমাম মতে ইমামদের মতে ইমাম কোন ভুল করলে তাকে যে কোন প্রকারের তাসবীহ বলে সতর্ক করা যায়। আল্লাহু আকবারও বলা যাবে, অন্য কোন তাসবীহও বলা যাবে। তবে স্বাভাবিকভাবে আমাদের মাঝে আল্লাহু আকবার বললেই যেহেতু ইমাম বুঝে নেয় যে, তার ভুল হয়েছে। তাই এ শব্দ আবশ্যকীয় মনে করে নয়, বরং এটিও বলা যায় হিসেবে আল্লাহু আকবার বলা হয়ে থাকে।
কপি পেস্টের কথা গুলো কারো মতামত।
উপরে স্পস্ট সহিহ হাদিস দেয়া আছে ভালো করে চেক করবেন প্লিজ।
আর তাসবিহ মানে হল সুবহানাল্লাহ তাহমিদ মানে হল আলহামদুলিল্লাহ তাকবির মানে হল আল্লাহুআকবার।
বিষয়টি আপনার না জানা থাকলে আহলে ইলমদের কাছে জেনে নিবেন ইনশাআল্লাহ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
পুরুষ হলে সুবহানাল্লাহ, মহিলা হলে তালি।
তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী। এখানে কি শুধু সুবহানাল্লাহ পড়তে বলা হয়েছে
এর দারাই আপনার উত্তর হয়ে যায়। কেননা এখানে রসুল (সা) সালাতে সমস্যা হলে ”সুবহানাল্লাহ” বলতে বলেছেন। এটা রসুল (সা) এর আদেশ। নতুন করে কারো মতামতের প্রয়োজন হয় না। কারন হুকুম স্পস্ট। তাই এই আয়াত নিয়ে এসে [u]আল্লাহুআকবার[/u] কে তাসবিহ প্রমান করা যায় না।
তার পরেও বলছি,
সুরা নাসর এর তাফসির ইবনে কাসিরে বলা আছে, এই সুরা রসুল (সা) এর মৃত্যুর সংবাদ বাহী সুরা (সহিহ আল বুখারী)
মা আয়েশা (রা) বলেন, রসুল (সা) তার রুকু ও সিজদায় নিম্নলিখিত তাসবিহ অধিক পরিমানে পাঠ করতেন: ”সুবহানাকাল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়াবিহামদিকা আল্লাহুম্মাগফিরলী”। রসুল (সা) কুরআনের “ফাসাববিহ বিহামদিকা…..এই আয়াতের উপর অধীক পরিমান আমল করতেন। (বুখারী,মুসনাদে আহমাদ,তাফসির ইবনে কাসির ১৮ খন্ড পৃ:৩০৮)
রসুল (সা) পড়তেন, “সুবহানাকাল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়াবিহামদিকা আল্লাহুম্মাগফিরলী” এখানে কোথাও রসুল (সা) আল্লাহুআকবার পড়েন নাই। তাই এর মাধ্যমে আল্লাহুআকবার কে তাসবিহ (আপনার মতে) প্রমান করা যায় না।
আপনার সামনে কোরআন ও সহিহ হাদিস স্পস্ট তার পরেও আপনি যদি গোড়ামিকে আকড়ে ধরেন তাহলে কিছু করার নাই। একমাত্র আল্লাহই পারেন বোঝাতে।
আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার ও সত্য গ্রহনের তাওফিক দিন আমিন।
আপনি সঠিক জেনে সুবহানাল্লাহ বলেন খুবই ভালো কথা এটাই মুসমিম।
কিন্তু সঠিক জানার পরেও না মানা গোড়ামি বলাটাই ছ্রেয়।
কারন বিহীন কাউকে বেদাতি,কাফের বলা আমারো অপছন্দ। আর মানুষ কখন পৃথিবী ছাড়া অন্য কোন গ্রহের হয় বলে আমার জানা নাই।
আপনাকে ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহু খায়রান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন