কুরআন না বুঝে পড়ার পরিণতি.....
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১২:২৪:১৬ দুপুর
আজকের সমাজে আমরা যেমন কুরআনকে ভুলতে বসেছি এবং সেই সাথে পাঠকরাও ছেড়ে দিয়েছি। যারা পরছি তারা কুরআনকে বুঝে পড়ছি না। এরফলে কুরআনের মাহাত্ম, আদেশ, নিষেধ, উপদেশ প্রভৃতি আমরা বুঝতে পারছি না, আর আমলও করতে পারছি না। এক শ্রেণীর আলেম (!) আমাদেরকে কুরআন বুঝে পড়ার প্রতি অনুত্সাহিত করছে এই বলে যে, কুরআন অর্থসহ পড়লে আমরা বিভ্রান্ত হবে। অথচ কুরআন পড়ে কেউ বিভ্রান্ত হয় না বরং সকল বিভ্রান্ত দুরকারীই হলো এই কুরআন। মরিস বুকাইলী কুরআন ভুল ধরতে এসে বলতে বাধ্য হয়েছে কুরআনই নির্ভুল।
এই ভিডিওতে সুন্দর ভাবে কুরআন না বুঝে পড়ে আমরা কিভাবে কুরআনের আহবানকে অবজ্ঞা করছি তা রূপকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এটি আমাদের তৈরীকৃত ভিডিও নয়, বরং ফেসবুকে কোন এক ভাইয়ের ভিডিও । আল্লাহ তাকে এর জন্য উত্তম প্রতিদান দিন।
এরকম সুন্দর সুন্দর ভিডিও তৈরী করে প্রচার করার প্রতি তরুণ সমাজের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
সরাসরি ভিডিও লিংক
সংগ্রহ: ওয়েটু জান্নাহ এর সৌজন্যে
বিষয়: বিবিধ
১৭৫১ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার মতে কুরআন না বুঝার অন্যতম কারন হচ্ছে ভাষাগত পার্থক্য।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে যেহেতু আরবি ভাষা বুঝি নাই তাই সদিচ্ছা থাকা সত্বেও কোরআন বুঝতে কষ্ট হয়। আমার মনে হয় কোনো আলেমের নিকট থেকে কোরআনের ব্যাখ্যা জানা জরুরী
অথবা, তাফসির দেখেন কি বলছে।
তারপরে সহিহ হাদিসে সেই আয়াতের কোন ব্যাখ্যা আছে কিনা দেখেন।
আরোও ভালো ভাবে বুঝতে আরবি ভাষা শিক্ষা করতে পারেন। তবে এর মানে এই নয় যে, অনুবাদ পরে আমারা কোরআন বুঝতে পারবো না? যেমনটা অনেক মুরুব্বি বলেন। যে, কোরআন বুঝতে ১৩/১৫ ভাষায় পরদর্শী হতে হবে।
কেননা তাহলে আল্লাহর এই আয়াতকে অস্বিকার করা হবে,
"আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহনের জন্য, অতএব উপদেশ গ্রহনকারী কেউ আছে কি?"
(সুরা কামার, আয়াত/১৭)
জাজাকাল্লাহু খায়রান।
তবে, অনুবাদ পড়ে,তাফসির পড়ে,সহিহ হাদিসে কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা দেখতে কোন সমস্যা নাই।
সুরা আর বাকারাহ
১২১.) যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি তারা তাকে যথাযথভাবে পাঠ করে। তারা তার ওপর সাচ্চা দিলে ঈমান আনে। আর যারা তার সাথে কুফরীর নীতি অবলম্বন করে তারাই আসলে ক্ষতিগ্রস্ত।
সুরা নিসা
৮২.) তারা কি কুরআন সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে না? যদি এটি আল্লাহ ছাড়া আর কারো পক্ষ থেকে হতো, তাহলে তারা এর মধ্যে বহু বর্ণনাগত অসঙ্গতি খুঁজে পেতো
সুরা মুহাম্মদ
২৪.) তারা কি কুরআন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেনি, নাকি তাদের মনের ওপর তালা লাগানো আছে?
সুরা আ'লাক
১.) পড়ো (হে নবী) , তোমার রবের নামে। যিনি সৃষ্টি করেছেন।
অনুবাদ দেখে পড়লেও তো হতো।
সেটাও অনেকে করে না।
আর এর সাথে যোগ হয়েছে নতুন ফেতনা। কিছু লোক বলে কোরআন বুঝতে ১৩/১৫ ভাষায় পারদশী হতে হবে।
আল্লাহ বলেন কোরআন বোঝা সহজ (৫৪/১৭) আর বেদআতি হুজুর বলেন কঠিন।
এই উম্মতের ধংশের মুল কারনের মাঝে "বিদআ'তি হুজুর" একটা কারণ।
আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য।
ইহা আমার রবের কালাম ইহা আমার রবের কালাম।
হ্যা।
ধন্যবাদ রাহবার।
আপনাকে ধন্যবাদ।
তবে অত্যাধিক পাপিষ্ট হওয়ার কারণে মনে হয় ভালো আমল আমার কাছ থেকে দৌড়ে পালায় অল্প সময়েই!
আল্লাহ আপনার জ্ঞান কে বৃদ্ধি করুন আমিন।
আর হতাশ হবেন না।
আল্লাহ বলেন,
قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
"বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।"
আপনাকে ধন্যবাদ ভাইজান।
জাজাকাল্লাহু খায়রান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন