দুআ’র ফজিলতঃ পর্ব ২.৩
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ০৭ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:৪৬:৩৮ দুপুর
দুআ’র ফজিলতঃ পর্ব ১ দুআ’র ফজিলতঃ পর্ব ২.১ দুআ’র ফজিলতঃ পর্ব ২.২
"আলহামদুলিল্লাহ"
সলাত ও সালাম আমাদের প্রিয় খলিলুল্লাহ্ (সা) এর উপর।
আমরা ধারাবাহিক ভাবে দুআ'র সকল বিষয় গুলি জেনে আসছি। প্রত্যেকের উচিত সদা সর্বদা আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার কাছে অন্তরের অন্তরস্থল থেকে দুআ' করা আর সেই লক্ষে আমাদের ধারাবাহিক পোস্ট......যারা পূর্বের পোস্ট ধারাবাহিক ভাবে পড়েন নাই তাদেরকে অনুরোধ করবো পড়ার জন্য। দুআ’র ফজিলতঃ পর্ব ১ দুআ’র ফজিলতঃ পর্ব ২.১ দুআ’র ফজিলতঃ পর্ব ২.২
পূর্বের পোস্টে আমরা জেনেছি দুআ’র ফজিলতঃ পর্ব ২.২ -১৮ টি দুআ'র আদব।
এই পর্বে আমরা জানবো দুআ'র ক্ষেত্রে সীমালংঘন কি কি?।
পরবর্তী ৩ পর্বে ইনশাআল্লাহ আমরা জনবো কখন কোথায় দুআ’ কবুল হয়?
আল্লাহ আমাদেরকে জানার ও সে অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দিন আমিন।
দুআ’র মাঝেও কি সীমালংঘন আছে?
দুআতে প্রায় ২০ ধরনের সীমালংঘন হতে পারে:
১. শির্ক মূলক দুআ (সকল ধরনের)
২. শরীয়ত যা বলে, তা না হতে দুআ করা; যেমন, আল্লাহ! তুমি কিয়ামত কায়েম করো না, কাফের কে আযাব দিওনা।
৩. শরীয়ত যা হবেনা বলে তা হবার দুআ করা; যেমন: বলা যে আল্লাহ! তুমি কাফেরকে বেহেশত দান কর, আমাকে দুনিয়ায় চিরস্থায়ী কর, আমাকে গায়েবী ইলম দাও, বা আমাকে নিষ্পাপ কর ইত্যাদি।
৪. জ্ঞান ও বিবেকে যা হওয়া সম্ভব তা না হতে দুআ করা।
৫. জ্ঞান ও বিবেকে যা হওয়া অসম্ভব তা হতে দুআ করা। যেমন, আল্লাহ! আমি যেন একই সময়ে দুই স্থানে উপস্থিত ও প্রকাশ হতে পারি ইত্যাদি।
৬. সাধারনত যা ঘটা অসম্ভব তা ঘটার দুআ করা। যেমন, আল্লাহ! আমাকে এমন মুরগী দাও যে সোনার ডিম পাড়ে, আমাকে যেন পানাহার করতে না হয় ইত্যাদি।
৭. শরীয়তে যা হবেনা বলে শ্রুত পুনরায় তা না হতে দুআ করা। যেমন, আল্লাহ! তুমি কাফের কে জান্নাত দিওনা ইত্যাদি।
৮. শরীয়তে যা হবে বলে শ্রুত পুনরায় তা হতে দুআ করা।
৯. প্রার্থিত বিষয়কে আল্লাহর ইচ্ছায় লটকে দেয়া। যেমন, হে আল্লাহ! তুমি যদি চাও তাহলে আমাকে ক্ষমা কর ইত্যাদি।
১০. অন্যায় ভাবে কারো উপর বদদুআ করা।
১১. কোন হারাম বিষয়ে প্রাথনা করা। যেমন, আমি যেন ব্যাভিচার করতে বা চুরি করতে পারি বা তাতে ধরা না পড়ি ইত্যাদি।
১২. প্রয়োজনের অধিক উচ্চস্বরে দুআ করা।
১৩. অবিনীত ভাবে আল্লাহর অনুগ্রহের মুখাপেক্ষী না হয়ে দুআ করা।
১৪. আল্লাহর সঠিক নাম ও গুন ব্যাতিরেখে অন্য নাম ধরে ও গুন বর্ণনা করে দুআ করা।
১৫. যা বান্দার জন্য উপযুক্ত নয় তা চাওয়া। যেমন, নবী বা ফেরেশতা হতে চাওয়া।
১৬. অপ্রয়োজনীয় লম্বা দুআ করা। (একই দুআ ২-৩ ভাষায় বলা)
১৭. কষ্ট-কল্পনার সাথে ছন্দ বানিয়ে দুআ করা।
১৮. কান্নার ভান করে ইচ্ছাকৃত হো হো করে উচ্চ শব্ধে দুআ করা।
১৯. নিয়মিত এমন প্রকার, এমন রুপে এবং এমন স্থান ও কালে দুআ করা যা কিতাব ও সুন্নাতে প্রমানিত নয়।
২০. গানের মত লম্বা সুর-ললিত কন্ঠে দুআ করা।
আল্লাহ আমাদেরকে এই সকল সীমালংঘন থেকে দুরে রাখুন আমিন।
পরবর্তী পোস্ট ...কখন কোথায় দুআ’ কবুল হয়? চলবে...
বিষয়: বিবিধ
৩৪৫৪ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ফেসবুকে আমাকে এড করুন।
আপনাকে ধন্যবাদ।
কেমন আছেন?
আল্লাহ আমাদেরকে সীমালঙ্ঘন থেকে হেফাজত করুন আমিন।
Assalamu alaimum warabmatullah
Ami apnar post gulo ami niomito pori. Goto ak saptah jaboth bivinno karone PC te net use korar sunug hosse na.
Akon sudu mobile nete login kore activate asi. Inshaallah PC te boshar sujug hole apnader sob comment er answer debo. Dua koben
Fi amanillah
ওয়া আলাইকুম আসসালাম.
সুবহানাল্লাহ শুনে খুব ভালো লাগলো যে আপনি আমার লেখা পড়েন এজন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার পিসি দ্রুত সেরে উঠুক এটাই কামনা।
পর সমাচার, একটি ওয়েব সাইডে আহমদ মুসা নামের একজন মডারেটর আছে। আপনি কি সেই আহমাদ মুসা? তা জানার খুব ইচ্ছা ছিল।
পিসি ঠিক হলে ভুলবেন না।
ইতি
আপনার ভাই
আপনার উত্তর দেখেছি। খুব ভালো লাগলো।
আপনার মতো আমিও কিন্তু ইদানিং বাসায় ও একটা পিসি আছে আলহামদুলিল্লাহ।
ইতি আপনার
ভাই
Actually in Jumma prayer & any special days we see many muslims..say their prayer But Many of ours donot know that in Haram income, Allah donot accept our prayer...So try to earn Halal.Boycott Haram.
your thought is Right. thanks again.
Stay with us....
মন্তব্য করতে লগইন করুন