দুআ’র ফজিলতঃ পর্ব ২.১
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ০৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:১৪:০৮ রাত
দুআ’র ফজিলতঃ পর্ব ১
"আলহামদুলিল্লাহ"
এই পর্বে আমরা জানবো "আমরা কিভাবে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার কাছে চইবো? " অর্থাৎ দুআ করার আদব কি?
আমি এই পর্বটি কে ৩ টি খন্ড পর্বে আপনাদের সামনে নিয়ে আসবো ইনশাআল্লাহ। ২.১ পর্বে ১১ টি আদব জানাবো ২.২ পর্বে জানাবো ১৮ টি আদব আর শেষ ২.৩ পর্বে জানবো দুআর ক্ষেত্রে কি কি সীমালংঘন হতে পাড়ে।
আল্লাহ আমাদেরকে জানার ও সে অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দিন আমিন।
সাধারণ ভাবে দুআ করার কয়েকটি আদব বা নিয়ম রয়েছে, যা পালন করা বঞ্চনীয়।
১) ইখলাস বা একনিষ্ঠতা:
এটি সর্বাপেক্ষা বড় আদব। আল্লাহ তাআলা বলেন,
সুতারাং আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধ চিত্ত হয়ে তাকে ডাকে, যদিও কাফেরগণ এ অপছন্দ করে (সুরা মুমিন/১৪)
তিনি আরোও বলেন, ”তারাতো আদিষ্ট হয়েছিল আল্লাহর আণুগত্যে বিশুদ্ধ-চিত্ত হয়ে একনিষ্ট ভাবে কেবল তারই উপাসনা করতে----” (সুরা বাইয়্যিনাহ/৫)
২) দৃঢ়তার সাথে প্রার্থনা ও দুআ করা:
দুআ আল্লহ কবুল করবেন এই কথার উপর দৃঢ় প্রত্যয় রাখা। রসুল (সা) বলেন,
তোমাদের মধ্যে কেউ যেন না বলে, হে আল্লাহ! যদি তুমি চাও, তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দাও। হে আল্লাহ! যদি তুমি চাও, তাহলে আমাকে দয়া কর। বরং দৃঢ় নিশ্চিত হয়ে প্রার্থনা করা উচিৎ। যেহুতু আল্লহকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ বাধ্য করতে পারে না। (বুখারী ১৩৯, মুসলিম ২০৬৩)
৩) বার বার দুআ করা:
আগ্রহ নিয়ে নাছোর বান্দা হয়ে বার বার দুআ করা, দুআ’র ফল লাভে শীঘ্রতা না করা এবং অন্তরকে উপস্থিত রেখে দুআ করা উচিৎ। রসুল (সা) বলেন,
”তোমাদের কারো দুআ কবুল করা হয়, যতক্ষন না সে তাড়াতাড়ি করে বলে দুআ করলাম কিন' কবুল হলনা (বুখারী ১৪০, মুসলিম ২০৯৫)
রসুল (সা) বলেন, ” বান্দার দুআ কবুল হয়েই থাকে, যতক্ষন সে কোন পাপের অথবা জ্ঞাতিবন্ধন ভাঙ্গার জন্য দুআ না করে এবং (দুআর ফল লাভে) শীঘ্রতা না করে। জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রসুল (সা) শীঘ্রতা কেমন? বললেন, এই বলা যে, দুআ করলাম আরোও দুআ করলাম অথচ দুআ কবুল হতে দেখলাম না। ফলে সে তখন আক্ষপ করে এবং দুআ করই ত্যাগ করে (মুসলিম ২০৯৬)
রসুল (সা) বলেন, তোমরা আল্লাহর নিকট দুআ করো কবুল হবে এই দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে। আর জেনে রেখো যে, আল্লাহ উদাসীন ও অন্যমনস্ক হৃদয় থেকে দুআ কবুল করেন না (তিরমিজি ৫১৭)
মোটকথা দুআ করার সময় মনকে সজাগ রাখতে হবে, তার দুআ কবুল হবেই এই একিন রাখতে হবে এবং কি চাইছি তাও জানতে হবে। সুতরাং যারা অভ্যাসগত ভাবে দুআ করেন অথবা দুআয় কি চায় তা তারা নিজেই না জেনে তোতার বুলির মতো আরবীতে দুআ করেন তাদের অর্থ জেনে দোয়া করা উচিৎ।
৪) সুখে দুঃখে সর্বদা দুআ করা:
রসুল (সা) বলেন, ” যে ব্যাক্তি পছন্দ করে যে, দুঃখ ও বিপদে আল্লাহ তার দুআ’ কবুল করবেন, সেই ব্যাক্তির উচিত, সুখে ও স্বাচ্ছন্দের থাকার সময় অধীক দুআ কারা (তিরমিজি ৪৬২)
৫) নিজের পরিবার ও সম্পদের উপর বদদুআ না করা:
আনসারদের এক ব্যাক্তির উট চলতে চলতে থেমে গেলে ধমক দিয়ে বলল, চল, আল্লাহ তোকে অভিশাপ করুন, তা শুনে রসুল (সা) বললেন, কে তার উটকে অভিশাপ দিচ্ছে? লোকটি বললো আমি হে আল্লাহর রসুল (সা)! তিনি বললেন, নেমে যাও ওর পিঠ থেকে, অভিশপ্ত উট নিয়ে আমাদের সাথে এসো না। তোমরা তোমাদের নিজেদের উপর বদ দুআ করোনা, তোমাদের সনৱানদের উপর বদ দুআ করোনা, আর তোমাদের সম্পদের উপর বদ দুআ করো না। যাতে আল্লাহর তরফ থেকে এমন মুহূর্তের সমন্বয় না হয়ে যায়, যে মুহূর্তে দান চাওয়া হলে মঞ্জুর (প্রদান) করা হয়। (মুসলিম ২৩০৪)
৬) কেবল আল্লাহরই নিকট প্রার্থনা করা:
রসুল (সা) বলেন, ” যখন কিছু চাইবে, তখন আল্লাহর নিকটই চাও। যখন সাহায্য চাইবে আল্লাহর নিকটই চাও।” (তিরমিজি ৬৬৭, মুসলিম ২৯৩)
যেহুতু প্রার্থনা এক ইবাদত তাই অন্যের কাছে প্রার্থনা করলে আল্লাহর ইবাদতে শির্ক করা হয়।
৭) উচ্চ ও নিঃশব্দের মধ্যবর্তী চাপা স্বরে সংগোপনে দুআ’ করা:
মহান আল্লাহ বলেন, "তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাক। তিনি সীমালংঘন কারীদের পছন্দ করেন না” (সুরা আনআম/৫৫)
আবু মুসা (রা) বলেন, আমারা কোন সফরে নবী (সা) এর সাথে ছিলাম। লোকেরা জোরে শোরে তাকবির পড়া শুরু করল। তখন নবী (সা) বললেন, হে লোক সকল, নিজের উপর কৃপা কর। নিশ্চই তোমরা সর্বশ্রতা নিকটবর্তীকে আহব্বান করছ। তিনি (তার ইলম সহ) তোমাদের সঙ্গে আছেন” (বুখারী ৭৫, মুসলিম ২০৭৬)
৮) আল্লাহর সুন্দরতম নাম এবং মহত্তর অসীলায় দোয়া করা:
আল্লাহর সুন্দর তম নাম দিয়ে এবং মহত্তম গুনাবলীর অসীলায় অথবা নিজের কোন নেক আমলের অসীলায় দুআ করা। আর এছাড়া কোন সৃষ্টি (যেমন, নবী, ওলী, আরশ, কুরসী, দরবেশ, পীর) অসীলা ধরে দুআ না করা।
আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা কোরআনে বলেন, ” হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চই আমরা ইমান এনেছি অতএব আমাদের অপরাধ সমূহ মার্জনা কর এবং জাহান্নামের শাসিৱ হতে আমাদেরকে রক্ষা কর” (সুরা আল ইমরান/১৬)
৯) ইসমে আজম দিয়ে দুআ’ করা:
আল্লাহ তাআলার ইসমে আজম দিয়ে দুআ’ শুরু করলে তিনি তা কবুল করেন।এই ইসমে আজম দিয়ে দুআ’ করার বর্ণনা হাদিসে এসেছে;
দুটি ইসমে আজম বর্ণনা করা হল;
ক) ”আল্লাহ হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্নী আশহাদু আন্নাকা আন্তাল্লা-হ, লা ইলাহা ইল্লা আন্তাল আহদুস স্বামাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওলাম ইউলাদ, ওলাম ইয়্যাকুল্লাহু কুফুওয়ান আ'হাদ” (আবু দাউদ ১৮৯৩, তিরমিজি ৩৪৭৫, ইবনে মাজাহ ৩৮৫৭, আহমাদ, হাকেম, ইবনে হিব্বান)
অর্থঃ ”আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি আল্লাহ, তুমি ব্যাতিত কোন সত্য উপাস্য নাই। তুমি একক, ভরসাস্থ'ল, যিনি জনক নন জাতকও নন এবং যার সমকক্ষ কেউ নাই - এই অসীলায় আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি”
খ) সুরা আম্বিয়া আয়াত ৮৭ "লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নিকুন্তু মিনাজজলেমিন" একটি ইসমে আজম যার অসীলায় দুআ’ করেছিলেন ইউনুস (আ) এবং আল্লাহ তাকে মাছের পেট থেকে উদ্ধার করেছিলেন।
১০) আল্লাহর প্রশংসা ও রসুল (সা) এর উপর দরুদ পড়ে দুআ’ করা:
রসুল (সা) বলেন, ” যখন তোমাদের কেউ দুআ’ করবে তখন তার উচিত আল্লাহর হামদ ও সানা দিয়ে শুরু করা, অতঃপর নবীর উপর দরুদ পড়া, অতঃপর ইচ্ছামত দুআ’ করা” (আবু দাউদ ৭৭, তিরমিজি ৫১৬, নাসাঈ ৪৪)
১১) কাকুতি মিনতি করে দুআ’ করাঃ
কাকুতি মিনতি, বিনয়, আশা, আগ্রহ, মুখাপেক্ষিতা ও ভিতির সাথে দুআ’ করা। একীন ভাবে ফকির হয়ে আল্লাহর দরবারে অক্ষমতা, সঙ্কীর্নতা ও দুরাবস্থার অভিযোগ করা। যেভাবে আয়্যুব (আ) ব্যাধীতে, ইউনুস (আ) মাছের পেটে, যাকারিয়া (আ) সন্তানের জন্য দোয়া করেছিলেন ঠিক সেই ভাবে।
আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলেন, ” তোমার প্রতিপালককে মনে মনে সবিনয় ও সশঙ্কচিত্তে অনুচ্চ স্বরে সকালে ও সন্ধায় স্বরণ কর এবং উদাসিনদের দলভুক্ত হয়োনা। (সুরা আরাফ/২০৫)
”তারা সৎ কাজে প্রতিযোগিতা করতো আশা ও ভীতির সাথে আমাকে ডাকতো এবং তারা ছিল আমার নিকট বিনীত” (সুরা আম্বিয়া/৯০)
চলবে.........>
বিষয়: বিবিধ
৪৩৬৮ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই হাদীসটাকে কাউকে কাউকে দেখছি কোন ব্যক্তিকে ওসীলা করা জায়েয বলার স্বপক্ষে ব্যবহার করতে এবং হাদীসের বাক্যেও মনে হয় ঐরকম কিছুর আভাস পাওয়া যায়।
ওমর রা. দুআর সময় আব্বাস রা. কে অসীলা হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন, এ বিষয়টি দিয়ে অনেকে মৃত ব্যক্তির অসীলা গ্রহণ করার বৈধতা দেয়ার প্রয়াস পান। কিন্তু ওমর রা. আব্বাস রা. এর দুআকে অসীলা হিসাবে গ্রহণ করেছেন তার ব্যক্তিত্বকে নয়। আর আব্বাস রা. তখন জীবিত ছিলেন। যে কোন জীবিত ব্যক্তির দুআকে অসীলা হিসাবে গ্রহণ করা যায়। ওমর রা. তা-ই করেছেন। তিনি বলেছেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবিত থাকাকালে আমরা তার অসীলা দিয়ে দুআ করতাম। এখন তিনি নেই তাই আমরা তার চাচা আব্বাসকে দুআ করার ক্ষেত্রে অসীলা হিসাবে নিলাম। ওমর রা. এর এ বক্তব্যে স্পষ্ট হল যে, তিনি কোন মৃত ব্যক্তিকে দুআর সময় অসীলা হিসাবে গ্রহণ বৈধ মনে করতেন না। তিনি নবী হলেও না।
বিষয়টা এমন, যেমন আমরা কোন সৎ-নেককার ব্যক্তিকে বলে থাকি, আমার জন্য দুআ করবেন। কোন আলেম বা বুযুর্গ ব্যক্তির মাধ্যমে আমরা নিজেদের জন্য দুআ করিয়ে থাকি। এটাও এক ধরণের অসীলা গ্রহণ। এটা বৈধ। কিন্তু কোন বুযুর্গ ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর তাকে অসীলা করে দুআ করা, দুআর সময় তার রূহের প্রতি মনোনিবেশ করা (যেমন অনেকে বলে থাকে আমি আমার দাদাপীর অমুকের দিকে মুতাওয়াজ্জুহ হলাম), তার থেকে ফয়েজ-বরকত লাভের ধারনা করা, এগুলো নিষিদ্ধ ও শিরক। মৃত ব্যক্তি যত মর্যাদাবান বুযুর্গ হোক সে কারো ভাল-মন্দ করার ক্ষমতা রাখে না। যখন সে মৃত্যুর পর নিজের জন্য ভাল মন্দ কিছু করতে পারে না, তখন অন্যের জন্য কিছু করতে পারার প্রশ্নই আসে না। সে কারো দুআ কবুলের ব্যাপারে কোন ভূমিকা রাখতে পারে না। কাউকে উপকার করার বা বিপদ থেকে উদ্ধার করার ক্ষমতা তার থাকে না।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্পষ্টভাবে বলেছেন : মৃত ব্যক্তি নিজের কোন উপকার করতে পারে না। তিনি বলেছেন :
إذا مات الإنسان انقطع عنه عمله إلا من ثلاث : إلا من صدقة جارية أو علم ينتفع به أو ولد صالح يدعو له . رواه مسلم
মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে তখন তার আমল বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু তিনটি কাজের ফল সে পেতে থাকে।
১. ছদকায়ে জারিয়াহ (এমন দান যা থেকে মানুষ অব্যাহতভাবে উপকৃত হয়ে থাকে) ২. মানুষের উপকারে আসে এমন ইলম (বিদ্যা) ৩. সৎ সন্তান যে তাঁর জন্য দুআ করে। বর্ণনায়: মুসলিম
হাদীসটির মাধ্যমে স্পষ্টভাবে জানা গেল মৃত ব্যক্তি জীবিত ব্যক্তিদের দুআ, ক্ষমা প্রার্থনার ফলে উপকার পেতে পারে। কিন্তু জীবিত ব্যক্তিরা মৃতদের থেকে এরূপ কিছু আশা করতে পারেনা।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
রসুল (সা) বলেছেন, মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে তখন তার আমল বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু তিনটি কাজের ফল সে পেতে থাকে।
১. ছদকায়ে জারিয়াহ (এমন দান যা থেকে মানুষ অব্যাহতভাবে উপকৃত হয়ে থাকে) ২. মানুষের উপকারে আসে এমন ইলম (বিদ্যা) ৩. সৎ সন্তান যে তাঁর জন্য দুআ করে। (মুসলিম)
আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলেন, বলেছেন:
إِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتَى وَلَا تُسْمِعُ الصُّمَّ الدُّعَاءَ. (النمل : 80)
নিশ্চয় তুমি মৃতকে শোনাতে পারবে না, আর তুমি বধিরকে আহবান শোনাতে পারবে না। (সূরা নামল, আয়াত ৮০)
আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَلَا تَدْعُ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنْفَعُكَ وَلَا يَضُرُّكَ فَإِنْ فَعَلْتَ فَإِنَّكَ إِذًا مِنَ الظَّالِمِينَ ﴿106﴾ وَإِنْ يَمْسَسْكَ اللَّهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا هُوَ وَإِنْ يُرِدْكَ بِخَيْرٍ فَلَا رَادَّ لِفَضْلِهِ يُصِيبُ بِهِ مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَهُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ ﴿107﴾ (يونس)
আর আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুকে ডেকো না, যা তোমার উপকার করতে পারে না এবং তোমার ক্ষতিও করতে পারে না। অতএব তুমি যদি কর, তাহলে নিশ্চয় তুমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর আল্লাহ যদি তোমাকে কোন ক্ষতি পৌঁছান, তবে তিনি ছাড়া তা দূর করার কেউ নেই। আর তিনি যদি তোমার কল্যাণ চান, তবে তাঁর অনুগ্রহের কোন প্রতিরোধকারী নেই। তিনি তার বান্দাদের যাকে ইচ্ছা তাকে তা দেন। আর তিনি পরম ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু (সূরা ইউনূস, আয়াত ১০৬-১০৭)
আল্লাহ তাআলা বলেন :
مَا كَانَ لِبَشَرٍ أَنْ يُؤْتِيَهُ اللَّهُ الْكِتَابَ وَالْحُكْمَ وَالنُّبُوَّةَ ثُمَّ يَقُولَ لِلنَّاسِ كُونُوا عِبَادًا لِي مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلَكِنْ كُونُوا رَبَّانِيِّينَ بِمَا كُنْتُمْ تُعَلِّمُونَ الْكِتَابَ وَبِمَا كُنْتُمْ تَدْرُسُونَ ﴿79﴾ وَلَا يَأْمُرَكُمْ أَنْ تَتَّخِذُوا الْمَلَائِكَةَ وَالنَّبِيِّينَ أَرْبَابًا أَيَأْمُرُكُمْ بِالْكُفْرِ بَعْدَ إِذْ أَنْتُمْ مُسْلِمُونَ ﴿80﴾. (آل عمران)
কোন মানুষের জন্য সংগত নয় যে, আল্লাহ তাকে কিতাব, হিকমত ও নবুওয়াত দান করার পর সে মানুষকে বলবে, তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে আমার ইবাদতকারী হয়ে যাও। বরং সে বলবে, তোমরা রব্বানী(আল্লাহ ভক্ত) হও। যেহেতু তোমরা কিতাব শিক্ষা দিতে এবং তা অধ্যয়ন করতে। আর তিনি তোমাদেরকে নির্দেশ করেন না যে, তোমরা ফেরেশতা ও নবীদেরকে প্রভূ রূপে গ্রহণ কর। তোমরা মুসলিম হওয়ার পর তিনি কি তোমাদেরকে কুফরীর নির্দেশ দেবেন? (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ৭৯-৮০)
মন্তব্য করতে লগইন করুন