চরমোনাই পীর থেকে তাওহীদ পুনরুদ্ধারঃ
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ৩১ অক্টোবর, ২০১৩, ০১:৪০:৩০ দুপুর
ইদানিং টুডে ব্লোগে চরমনাইয়ের পীরের ইসলামি শাসনতন্ত্রর জোরে শোরে প্রচার চলছে। তাই ইমানী দাবী নিয়ে তাদের দাদা পীর এর কাছ থেকে তাওহীদ উদ্ধার করা দরকার।
যাদের কাছে তাওহীদেই নেই তারা আবার কি ইসলামি আইন প্রতিস্ঠা করবে?
চলেন দেখি কি ভাবে তাওহীদকে উদ্ধার করা যায়।
বাংলাদেশে যে সমস্ত পীর সাহেব আছেন তাদের মধ্যে চরমোনাই পীর একজন অন্যতম নামকরা। তার লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও মুরীদান বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। দেশের বাইরেও তার মুরীদ থাকবেন তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। তার মুরীদদের মধ্যে আছেন অসংখ্য আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি মানুষকে আধ্যাত্মিকতার শিক্ষা প্রদান করেন। তার কাছে বাইআত করিয়ে কলব পরিস্কার করার মাধ্যমে নৈতিক চরিত্র সংশোধন করার দাওয়াত দেন। নামাযের পাবন্দ হওয়া, পর্দা রক্ষা করা, সুদ-ঘুষ থেকে বেঁচে থাকা প্রভৃতি বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সাথে প্রাধান্য দেয়া হয়। আর এ জন্যে নির্ধারণ করা আছে দৈনন্দিন ওজীফা। যা সিলেবাস আকারে মুরীদদেরকে জপ করতে হয়। সেই সাথে কসরত করতে হয় নির্দিষ্ট কিছু মুরাকাবার। তাহলেই মুরীদ মারেফতের সিঁড়ি বেয়ে উচ্চস্তরে যেতে পারবেন এবং আল্লাহ্ ওয়ালা হতে পারবেন।
**********************************************
চরমোনাই দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মাদ ইছহাক সাহেব। তিনি মৃত্যু বরণ করলে তার ছেলে সৈয়দ মোঃ ফজলুল করীম খেলাফত লাভ করেন। তিনি পিতার তরীকা অনুসারে মানুষকে মুরীদ করেন। তার মৃত্যুর পর এছহাক সাহেবের ছেলের ছেলে, সৈয়দ রেজাউল করীম এখন খেলাফতের দায়িত্ব পালন করছেন। সৈয়দ এছহাক সাহেব মানুষকে সহজে ইসলাম শিক্ষা দেয়ার জন্যে ছোট-বড় ২৭খানা কেতাব রচনা করেছেন।
তিনি বলেছেনঃ “২৭ খানা কেতাব বাংলা ভাষায় লিখিয়া দিলাম। ইহা পাঠ করিয়া আমল করুন, আপন বাড়ী বেহেশতে চলুন।” (ভেদে মারেফতঃ ৯৪ পৃষ্ঠা)
ঐ সমস্ত গ্রন্থ সবগুলোই আমার সংগ্রহ করা ও পাঠ করা সম্ভব হয়নি। ৩/৪টি বই আমার হাতে পড়েছে। তা পাঠ করে আমার কাছে মনে হয়েছে, পীরদের হাতে যারা বায়আত করেনি বিশ্বের এরকম কোটি কোটি মুসলমান জাহান্নামের পথে এগুচ্ছেন। আর তারা এবং তাদের মত অন্য হক্কানী (?) পীর ও তাদের খাঁটি মুরীদরা নিজেদের তৈরী জান্নাতের পথে এগুচ্ছেন।
প্রকৃতপক্ষে ঐ বই সমূহ পাঠ করে, তার মধ্যে যা আছে তার প্রতি বিশ্বাস রেখে, সে অনুযায়ী আমল করে একজন মুসলমান কোন পথে এগুবেন তার জন্যে চিন্তাশীল, সুস্থ বিবেক সম্পন্ন এবং কুরআন ও ছহীহ্ হাদীছের সামান্য জ্ঞানের অধিকারী পাঠকের সামনে কিছু কথা উল্লেখ করা জরুরী মনে করছি। অতঃপর কুরআন ও ছহীহ্ সুন্নাহর আলোকে তার বিশ্লেষণ করে সত্যাসত্যের বিচার পাঠকের উপর ছেড়ে দিচ্ছি।
নিম্নে মুহতারাম পীর সাহেবের মাত্র দুটি বই (১) ‘ভেদে মারেফত বা ইয়াদে খোদা এবং (২) ‘আশেক মাশুক বা এস্কে এলাহী থেকে সারসংক্ষেপ কিছু উক্তি উল্লেখ করব। তারপর তার বিশ্লেষণ করব। ইনশাআল্লাহ্।
1) পরকালে মুক্তির জন্যে কি পীর ধরা আবশ্যক?
পীর সাহেব লিখেছেনঃ “সত্যই কেয়ামতের অবস্থা এইরূপ (ভয়ানক) হইবে এবং আল্লাহর হুকুমে সেই দিন নিঃসন্দেহে পীরগণ থেকে সাহায্য পাওয়ার আশা করা যায়। (ভেদে মারেফতঃ ২৫-২৬)
পীর সাহেব আরো লিখেছেনঃ কামেল পীর হইলেন আখেরাতের উকীল (ভেদে মারেফতঃ ৬১ পৃঃ)
পীর সাহেব আরো লিখেছেনঃ “হযরত থানবী লিখিয়াছেন, জনৈক দরবেশ সাহেবের মৃত্যুর পর এক কাফন চোর কবর খুড়িয়া (দরবেশের) কাফন খুলিতে লাগিল। দরবেশ সাহেব চোরের হাত ধরিয়া বসিলেন। তা দেখে চোর ভয়ের চোটে চিৎকার মারিয়া বেহুঁশ হইয়া মরিয়া গেল। দরবেশ তার এক খলীফাকে আদেশ করিলেন চোরকে তার পার্শ্বে দাফন করিতে। খলীফা এতে আপত্তি করিলে দরবেশ বলিলেনঃ কাফন চোরের হাত আমার হাতের সঙ্গে লাগিয়াছে, এখন কেয়ামত দিবসে ওকে ছাড়িয়া আমি কেমনে পুলছেরাত পার হইয়া যাইব?” (ভেদে মারেফতঃ ২৭-২৮ পৃঃ)
তিনি আরো লিখেছেনঃ কেয়ামতের সেই মহাবিপদের সময় হক্কানী পীর সাহেবগণ আপন মুরীদগণকে হযরত নবী করীম (সঃ) এর কাছে পৌঁছাইয়া দিবেন। এবং হুজুরে আকরাম (সাঃ) তাহাদিগকে হাউজে কাউছারের পানি পান করাইবেন।” (আশেক মাশুক পৃঃ ৬৬)
তিনি আরো লিখেছেনঃ “এরূপভাবে পরকালেও তাঁহাদের (ওলীদের) ক্ষমতার সীমা থাকিবে না। হাশরের মাঠে একজন আওলিয়ায়ে কেরামের উছিলায় হুজুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া ছাল্লামের হাজার গুনাহগার উম্মতকে আল্লাহ্ পাক মাফ করিয়া দিবেন।” (আশেক মাশুক পৃঃ ৮১)
=========================================
পর্যালোচনাঃ
আখেরাতের মুক্তি আসল মুক্তিঃ
সম্মানিত পাঠক! পূর্বের কথাগুলো আপনাদের কাছে অস্পষ্ট নয়। কঠিন হাশরের দিনে পীর-দরবেশগণ তাদের মুরীদদের সাহায্য করবেন, তাদের পক্ষে ওকালতী করবেন, তাদের গুনাহ্ মাফ করিয়ে দিবেন, তাদের নিয়ে পুলসিরাত পার হবেন, তাদেরকে হাওযে কাউছারের কাছে পৌঁছিয়ে দিবেন। অতএব মুরীদদের আর কোন চিন্তা নাই। সব সমস্যার সমাধান তো তারা করেই দিলেন। কারণ আখেরাতের সমস্যাই তো বড় সমস্যা। আখেরাতের বিপদই তো বড় বিপদ। মুমিনের জন্যে আখেরাতের জীবনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তার কাঙ্খিত কামনা হচ্ছে জান্নাত লাভ। তাই যখন কিনা পীরদের কাছে বায়আত করলে, তাদের পাগড়ি ধরলে তাদের কথা মত যিকির-ফিকির ও ওযীফার আমল করলে এই উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে যাবে, কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছা যাবে তখন আর চিন্তা কিসের? এই জন্যেই মনে হয় লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের হাতে মুরীদ হওয়ার জন্যে প্রতিযোগিতা করেন এবং তাদের সাহায্য ও শুপারিশ লাভের আশায় তাদেরকে সন্তুষ্ট রাখার যাবতীয় ব্যবস্থা করেন। নানান রকমের হাদিয়া, নযরানা, মানত ইত্যাদি পেশ করে তাদের মন তুষ্ট করার চেষ্টা করেন। কেননা পীর সাহেব অসন্তুষ্ট হলে বিপদ। তিনি তখন আর ওকালতি করবেন না। অতএব যাবতীয় কাকুতি-মিনতী তাঁর কাছে নিবেদন করা ছাড়া উপায় নাই।
যখন কিনা এই পীর সাহেবগণ কঠিন আখেরাতের মাঠে মহা প্রতাপশালী আল্লাহর দরবারে মুরীদদের উপকার করতে পারবেন, আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচানোর জন্যে তাদেরকে সাহায্য করার ক্ষমতা রাখেন, তখন দুনিয়ার জীবনে মুরীদদের সাহায্য করা তো খুবই সামান্য ও সাধারণ ব্যাপার! অতএব বিপদ উদ্ধার, রোগ মুক্তি, মামলায় জেতা, শত্রুকে পরাজিত করা, গযব-আযাব থেকে রক্ষা, গুনাহ মাফ, সন্তান লাভ, জিন-ভুতের উপদ্রব থেকে বাঁচা প্রভৃতি উদ্দেশ্যে তাদের কাছে না যাওয়া ও তাদেরকে আহ্বান না করার তো প্রশ্নই উঠে না। এই কারণেই মনে হয় মানুষ উক্ত উদ্দেশ্যে অহর্ণিশ তাদের দরবারে ছুটে চলেছেন। তারা যে ঐ সমস্ত কাজেরও দায়িত্ব পালনের দাবী করে থাকেন তার বিবরণ কিছুক্ষণ পরে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
জনাব পীর সাহেবদের প্রতি আমার প্রশ্ন হচ্ছে, একবারও কি আপনারা চিন্তা করেছেন আপনাদেরকে সেই কঠিন হাশরের দিনে কে সাহায্য করবে? কে আপনাদের জন্যে সুপারিশ করবে? কে আপনাদেরকে পুলসিরাত পার করাবে? কে আপনাদের গুনাহ মাফ করিয়ে দিবে? নাকি আপনারা আল্লাহর নিকট থেকে অগ্রিম ছাড়পত্র পেয়ে গেছেন যে আপনাদের কোন গুনাহ্ হবে না? আপনারা নবী-রাসূলদের মত নিষ্পাপ? নাকি এমন কোন গ্যরান্টিবার্তা পেয়ে গেছেন বা আপনাদের কাছে ওহী হয়েছে যে হাশরের মাঠে আপনাদের কোন সাহায্যের দরকার পড়বে না- আপনারা বিনা হিসেবে মুক্তি পেয়ে যাবেন? আপনারা কি নিশ্চিতভাবে জান্নাতের টিকেট খরীদ করে নিয়েছেন? কে বিক্রি করল আপনাদের কাছে জান্নাতের টিকেট? কোথায় পেলেন এই ক্ষমতা? আল্লাহ্ কি আপনাদেরকে তাঁর ক্ষমতার অংশ বিশেষ দান করে আরাম করছেন? (নাউযুবিল্লাহ্) আপনারা কি আল্লাহর পাকড়াও থেকে নিরাপদ হয়ে গেছেন? কে আপনাদেরকে নিরাপত্তা বার্তা পৌঁছালো? আল্লাহ্ কি বলেন নি?
فَلَا تُزَكُّوا أَنْفُسَكُمْ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ اتَّقَى
“অতএব তোমরা নিজেদেরকে পবিত্র করো না। তিনিই বেশী জানেন কে বেশী আল্লাহকে ভয় করে।” (সূরা নাজমঃ ৩২)
————————–————————–———————-
প্রিয় পাঠক! জনাব পীর সাহেবসহ তার মুরীদান ও সমগ্র মুসলমান জাতিকে নিম্নের আয়াত সমূহ ও হাদীছগুলো গভীরভাবে অনুধাবন ও পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানাচ্ছি|
————————–————————–———————–
কিয়ামতের দিন তাওহীদ ছাড়া উপায় নাইঃ
আল্লাহ্ তাআলা পবিত্র কুরআনে যারা আল্লাহ্র প্রতি ঈমান রাখে, তাঁর তাওহীদকে বাস্তবায়ন করে, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে না, আখেরাতকে বিশ্বাস করে, সে দিন হিসাবের সম্মুখিন হওয়ার ভয় করে তাদেরকে আহ্বান করে এরশাদ করেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا أَنْفِقُوا مِمَّا رَزَقْنَاكُمْ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَ يَوْمٌ لَا بَيْعٌ فِيهِ وَلَا خُلَّةٌ وَلَا شَفَاعَةٌ
“হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছে তা থেকে আল্লাহর পথে খরচ কর সেই দিন আসার পূর্বে যখন না আছে বেচা-কেনা, না আছে বন্ধুত্ব আর না আছে কোন সুপারিশ।” (সূরা বাকারাঃ ২৫৪)
আল্লাহ্ আরো বলেনঃ
وَأَنْذِرْ بِهِ الَّذِينَ يَخَافُونَ أَنْ يُحْشَرُوا إِلَى رَبِّهِمْ لَيْسَ لَهُمْ مِنْ دُونِهِ وَلِيٌّ وَلَا شَفِيعٌ
“হে মুহাম্মাদ (সাঃ) আপনি এই কুরআন দ্বারা তাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করুন যারা তাদের পালনকর্তার কাছে একত্রিত হওয়াকে ভয় করে, সেদিন তিনি (আল্লাহ্) ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী বন্ধু থাকবে না এবং কোন সুপারিশকারী হবে না।” (সূরা আনআমঃ ৫১) ইমাম ইবনে কাছীর (রহঃ) বলেনঃ অর্থাৎ আল্লাহ্ যদি তাদেরকে শাস্তি দেয়ার ইচ্ছা করেন তবে তা থেকে রক্ষা করার জন্যে কোন বন্ধু, কোন আত্মীয়, কোন সুপারিশকারী থাকবে না। (তাফসীর ইবনে কাছীরঃ ৩/২৫৯)
যারা তাওহীদপন্থী প্রকৃত ঈমানদার তাদের একটা পরিচয় আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেনঃ وَيَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ وَيَخَافُونَ سُوءَ الْحِسَابِ “তারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করে এবং তারা কিয়ামত দিবসে কঠিন হিসাবের সম্মুখিন হওয়ার আশংকা করে।” (সূরা রাদঃ ২১)
এই পীর সাহেবগণ কি কিয়ামত দিবসে আল্লাহর সামনে দন্ডায়মান হওয়ার ভয় করেন না? তারা কি আল্লাহর হিসাবের সম্মুখিন হওয়ার ব্যাপারে শংকামুক্ত ও নিরাপদ হয়ে গেছেন? তারা নিজেরাই যদি হিসাবের সম্মুখিন হন তবে অন্যের ওকালতী করবেন কিভাবে? আল্লাহ্ বলেন,
أَفَأَمِنُوا مَكْرَ اللَّهِ فَلَا يَأْمَنُ مَكْرَ اللَّهِ إِلَّا الْقَوْمُ الْخَاسِرُونَ
“ওরা কি আল্লাহর পাকড়াও থেকে নিরাপদ হয়ে গেছে? ক্ষতিগ্রস্থ জাতি ছাড়া কেউ আল্লাহর পাকড়াও থেকে নিজেকে নিরাপদ ভাবতে পারে না।” (সূরা আরাফঃ ৯৯)
আয়াতুল কুরসীর মধ্যে আল্লাহ্ বলেনঃ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ “কে সেই এমন ব্যক্তি যে আল্লাহর কাছে তাঁর অনুমতি ব্যতীরেকে কারো জন্যে সুপারিশ করতে পারবে?” (সূরা বাকারাঃ ২৫৫)
আল্লাহ্ আরো বলেনঃ مَا مِنْ شَفِيعٍ إِلا مِنْ بَعْدِ إِذْنِهِ “তাঁর অনুমতি ব্যতীত কেউ কারো জন্যে সুপারিশ করতে পারবে না।” (সূরা ইউনুসঃ ৩)
মুরীদদের সাহায্য বা সুপারিশ করার জন্যে পীর সাহেবগণ কি দুনিয়াতেই আল্লাহর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নিয়েছেন? কোথায় সেই অনুমতি পত্র, দয়া করে তারা দেখাবেন কি?
আল্লাহ্ ব্যতীত সুপারিশের কেউ মালিক নয়, অধিকারী নয়, অতএব তাঁর অনুমতি ব্যতীত কেউ সুপারিশ করার ক্ষমতা রাখে না। কেউ যদি আল্লাহর অনুমতি না পেয়েই নিশ্চিতভাবে আখেরাতে সুপারিশ করতে পারবে এমন দাবী দুনিয়াতে করে বসে, তবে সে যে নিজেকে আল্লাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করে নিল এবং মুশিরক হয়ে গেল তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
আল্লাহ্ বলেনঃ
أَمِ اتَّخَذُوا مِنْ دُونِ اللَّهِ شُفَعَاءَ قُلْ أَوَلَوْ كَانُوا لَا يَمْلِكُونَ شَيْئًا وَلَا يَعْقِلُونَ، قُلْ لِلَّهِ الشَّفَاعَةُ جَمِيعًا لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
“তারা কি আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যকে সুপারিশকারী গ্রহণ করেছে? তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন! তাদের কোন কিছুতে মালিকানা না থাকলেও এবং তারা না বুঝলেও (সুপারিশ করতে পারবে)? বলে দিন, যাবতীয় সুপারিশ আল্লাহরই আয়ত্বাধীন, আসমান ও যমীনে তাঁরই সম্রাজ্য। অতঃপর তাঁরই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।” (সূরা যুমারঃ ৪৩-৪৪)
========================================
সংকলন ও গ্রন্থনা:মুহা: আবদুল্লাহ্ আল কাফী
(লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
শিক্ষক, আল্ ঈস (ইয়ানবো) ইসলামী সেন্টার, সউদী আরব
Click this link
বিষয়: বিবিধ
৫১১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন