আসুন দেখি কিভাবে, কোরআন সীমা লংঘন কারিদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে? অবশ্যই পড়ুন।

লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১০:৪১:৩৮ সকাল



আল কোরআন যা মানবতার পথ প্রদশক আমাদের জন্য আল্লাহর এক দয়া যা দিয়ে আমরা জাহেলিয়াতের অন্ধকার থেকে সত্যর আলোর দিকে বেরহতে পেরেছি। এই সেই কোরআন যা নযিল হয়েছিল জাহেলিয়াতের যুগে এক রসুল (সা) এর উপরে এবং যার ব্যাখ্যাও এক। সেসময় ছিলনা কোন ২য় দল সত্যর দল একটিই তা হল আল জামা’আত।

আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, “আমি অবতির্ণ করি কোরআন, যা বিস্বাসিদের জন্য আরোগ্য ও দয়া, কিন্তু তা সীমা লংঘন কারিদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে” (বনি ইসরাইল:৮২)

আজ আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তাহল

“কিভাবে কোরআন সীমা লংঘন কারিদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে “


কাদিয়ানিদের উদাহরন:

কাদিয়ানীরা রসুল (সা) কে সেষ নবী হিসেবে মানতেই রাজিনা। তারা বলে যে রসুল (সা) শেষ নবী না গোলাম কাদিয়ানী হচ্ছে শেষ নবী (নাউযুবিল্লাহ)

এবং তারা এর পক্ষ্যে দলিল হিসেবে কুরআনকেই ব্যাবহার করে। চলুন দেখি তাদের যুক্তি কি বলে?

তারা আপনাকে কোরআনের সুরা আরাফ এর ৩৫ নাম্বার আয়াত দিয়ে বলবে দেখেন কোরআনে আল্লাহ বলেছেন

“হে আদম সন্তান, স্বরন রাখ তোমাদের মধ্যে হতে যদি এমন কোন রসুল তোমাদের নিকট আসে এবং আমার বানি ও নিদশন তোমাদের বননা করে, তখন যারা (আল্লাহকে) ভয় করবে এবং নিজেকে সংসোধন করে নিবে তাদের কোন ভয় ভিতি থাকবেনা, এবং তারা দুঃখিত ও চিন্তিত হবেনা” (আরাফ:৩৫)

এখন আপনাকে বলবে দেখেন এই আয়াতে আল্লাহ আদম সন্তানের সাথে অংগিকার করেছে যে তোমাদের মাঝে আরোও রসুল আসবে কারন আদম সন্তান থাকলে নবী আসবে এবং আল্লাহর বানী ও নিদর্শন বর্ণনা করবে তখন আমাদের কাজ হচ্ছে তার প্রতি ইমান আনা। তাই এখন কার নবী হলেন কাদিয়ানী এবং আমরা তার উপর ইমান এনেছি।

তারা আপনাকে প্রশ্ন করবে বলেনতো “আল্লাহ কি অংগিকার পুরা করতে পারেন কি পারেন না?”

এখন আপনি যদি বলেন যে হ্যা পারেন তাহলে আপনি কাদিয়ানি হয়ে ইমান হারাবেন আবার যদি বলেন যে না আল্লাহ অংগিকার পুরা করতে পারেনা তাহলেও অবিশ্বাস করার কারনে কাফির হয়ে যাবেন।

কি এক মহাবিপদ!!!!!

যাদের ইসলামের জ্জান কম তারা তো বিপদেই পড়েগেল আবার ইসলামের ভাষা ভাষা জ্জান থাকলেও মনে সন্ধেহ ঢুকে গেল।

অথচ আল্লাহ কোরআনে স্পস্ট বলে দিয়েছেন সুরা আহযাবে,

”মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যে কোন পুরুষের পিতা নন, বরং তিনি আল্লাহর রসুল এবং শেষনবী। আল্লাহই সব বিষয়ে সবজ্জ” (আহযাব:৪০)

অনেক হাদিসে রসুল (সা) বলেছেন “…….আমার পরে কোন নবী নেই”

সহাবারা (রা) কত ভন্ড নবী দাবিদারকে হত্যা করেছে তার উদাহরন তো সহিহ হাদিসে পাওয়া যায়।

কোরআন থেকে হেদায়েত না নিয়ে তারা গোমরাহী নিচ্ছে।

তাই দেখেন “কিভাবে কোরআন সীমা লংঘন কারিদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে “

জামালপুরের ভন্ডনবী:

জামালপুরের ভন্ডনবী সে আবার কাদিয়ানীদের এই তথ্যগুলো রিসার্স করে নতুন ফেতনা বানাইছে চলেন দেখি কিভাবে?

সে সুরা আরাফের : ৩৫ নাম্বার আয়াতের ব্যাখ্যা কাদিয়ানিদের কাছথেকে নিয়ে আর একটু যোগ করে বলে,

দেখেন এই আয়াতে তো আল্লাহ বলেছেন “স্বরন রাখ তোমাদের মধ্যে হতে যদি এমন কোন রসুল তোমাদের নিকট আসে” তার মানে নবী থাকবে সব সময়। তোমাদের কাদীয়ানী তো মারা গেছে তাই বর্তমানে আমি হলাম নবী (নাউযুবিল্লাহ)।
অপব্যখ্যার লেটেস্ট সংস্করন


তারপর সে আপনাকে বলবে যে কোরআনে আল্লাহ বলেছেন,

”ইন্নালহা আলা কুল্লি সইইন কাদির” অর্থ: নিশ্চই আল্লাহ সব বিষয়ে সর্বচ্চ ক্ষমতাবান এবং সে কোরআনের কোন কোন সুরায় কোন আয়াতে, আয়াত সংখ্যা কত, কতবার বলা হয়েছে সব বলবে।

এখন আপনাকে বলবে বলেনতো তাহলে ***”আল্লাহর কি ক্ষমতা নাই একজন নতুন নবী পাঠানোর?”

এখন আপনি কোন দিকে যাবেন? যদি বলেন যে ক্ষমতা নাই তাহলে ক্ষমতা অস্বিকার করার কারনে কাফের হয়ে যাবেন

আবার যদি বলেন যে হ্যা ক্ষমতা বান তাহলে জামালপুরের নবীকে বিশ্বাস করতে হবে তাতেও আপনি কাফের হয়ে জাবেন।

তাই দেখেন “কিভাবে কোরআন সীমা লংঘন কারিদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে “

***নোট: কেউ জদি আপনাকে এরখম কোন প্রশ্ন করে তালে তাকে কি উত্তর দিবেন?

উত্তর: আল্লাহর দুই ধরনের ক্ষমতা আছে এক হল পরিপুর্ন আর আর এক হল অপরিপুর্ন

পরিপুর্ন: এর মানে হল আল্লাহ ১৪০০ বছর আগে যে রসুল (সা) পাঠিয়েছেন তাকে দিয়েই কিয়ামতের আগে পযন্ত তার দ্বীন কায়েম রাখবেন আর রসুল পাঠাবেন না যা আল্লাহ ঘোশনা দিয়েছেন ।

অপরিপুর্ন: অপরিপুর্ন হল পরিপুর্ণের বিপরিত। এখন তাকে বলেন আপনি কোনটা বিশ্বাস করেন?

সে যদি পরিপুর্ন বলে তাহলে মুসলিম থাকবে আর যদি অপরিপুর্ন বলে তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।


নজীবুল বাশার মাইজভান্ডারী:

নজীবুল বাশার মাইজভান্ডারী কে এক আলেম প্রশ্ন করেছিল,

প্রশ্নকারী: হুজুর আমার প্রশ্ন হল আপনার কাছে মুরিদ হবার পর নামাজী ব্যাক্তি আর নামাজ পড়েনা কেন?

নবামা: এইটা কোরআনে আছে

প্রশ্নকারী: আমিতো কোরআনের কোথাও খুজে পাইনি?

নবামা: ভাল করে পড়েন পেয়ে জাবেন

প্রশ্নকারী: আমি তো পাইনাই আপনিই বলেন?

নবামা: কোর আনে আল্লাহ বলেছেন, সুরা নিসা:৪৩

হে ইমানদারগন, তোমরা যখন নেশাগ্রস্থ থাক, তখন নামাজের কাছেও যেওনা

আমি আমার মুরিদেরকে আল্লাহর নেশায় নেশাগ্রস্থ করি তাই তাদের জন্য নামাজের প্রয়োজন নাই। (আস্তাগফিরুল্লাহ)

নবামা = নজীবুল বাশার মাইজভান্ডারী


তাই দেখেন “কিভাবে কোরআন সীমা লংঘন কারিদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে “

মানিকগন্জ এর পির:

মানিকগন্জ এর পির তার বই “পীর ধরার অকাট্য দলীল” এ লিখেছেন,

সুরা ফাতিহার ৭ নাম্বার আয়াতের তাফসির “তাদের পথ যাদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ করেছেন”

এই অনুগ্রহ প্রাপ্ত লোক গুলো হল সমগ্র পির মুর্শিদ। (আসতাগফিরুল্লাহ)

এই আয়াতের তাফসির ইবনে কাসির (র) বলেছেন,

“আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা হলেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ। আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম। (সুরা নিসা:৬৯) এরাই হল এই অনুগ্রহ প্রাপ্ত দল।

(ইবনে কাসির, ১ম খন্ড ১১১ পৃ)

কোথাথেকে তিনি এই তাফসির পেলেন তা আমার জানা নাই। তবে আমি এতটুকু বলতে পারি,

তাই দেখেন “কিভাবে কোরআন সীমা লংঘন কারিদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে “

নাস্তিকদের কথা:

এদের কথা কি আর বলব এরা তো আরো বেশি কোরআন আর হাদিসের অপব্যখ্যা করে যা কেউ কোনদিন শোনেনি। আর নাস্তিক মানেই যেন ইসলামের বিপরিত। আমি বেশিরভাগ নাস্তিকদেরকে দেখি ইসলামের বিরুদ্ধে লিখতে তারা অন্য ধর্ম নিয়ে খুব কমই লেখে। তবে মাশাআল্লাহ এতে ইসলামের ভালই হয়েছে। কেননা এদের প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে নিজের অনেক কিছু জানা হয়ে যায়।

যেমনটি আল্লাহ বলেছেন,

”এবং কাফেরেরা চক্রান্ত করেছে আর আল্লাহও কৌশল অবলম্বন করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম কুশলী।” (আল ইমরান: ৫৪)

এরা তো ইসলামের, কোরআন হাদিস জেনেও পথভ্রস্ট। এদের জন্য কোরআনের একটি আয়াত যথেস্ট

“আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি” (বাকারা:৭)

আরোও অনেক কিছুই আসছিল মাথায় যা বলা দরকার আল্লাহ তাওফিক দিলে পরবর্তিতে বলব।

শুধু মাঝে মাঝে অবাক হই এই সেই কুরআন যা ১৪০০ বছর আগে এসে জাহেলিয়াতের যুগের মানুষ গুলোকে আদর্শ মানুষ হিসেবে এক গন্ডিতে নিয়ে এসেছিল আর আজ আমরা এর অপব্যাখ্যা সুনে কাফের হয়ে যাচ্ছি দলে দলে। আর যারা কাফের হওয়া থেকে বেচে গেছি তারাও আবার কত দল,উপদল,শাখাদল,মতবাদ দল,ভীন্ন দল হয়ে ভাগ হয়ে গেছি।

আজ আমরা এত মুসলমান গোটা বিশ্বে থাকার পড়েও যেন খড়কুটোর মত স্রোতে ভেসে যাচ্ছি।

আল্লাহ আমাদেরকে এত দলাদলী বাদ দিয়ে আল-জাম’আত এর একটি দল যা নাজাত প্রাপ্ত তার অনুসারী করুন আমিন।

আপনাদের কাছে নতুন কোন তথ্য থাকলে যোগ করুন আর সবাইকে জানার ব্যাবস্তা করে দিন।

বিষয়: বিবিধ

২১৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File