সাবধান থাকুন নিজের চোখকান খোলা রাখুন।
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৫:৫৮:১০ বিকাল
নিচে কয়েকটি হাদীসের মূল আরবী টেক্স তরজমা সহ তুলে দিলাম এই সকল জামাত/দল খেকে সাবধান থাকুন:
« يَخْرُجُ قَوْمٌ مِنْ أُمَّتِى يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَيْسَ قِرَاءَتُكُمْ إِلَى قِرَاءَتِهِمْ بِشَىْءٍ وَلاَ صَلاَتُكُمْ إِلَى صَلاَتِهِمْ بِشَىْءٍ وَلاَ صِيَامُكُمْ إِلَى صِيَامِهِمْ بِشَىْءٍ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ يَحْسِبُونَ أَنَّهُ لَهُمْ وَهُوَ عَلَيْهِمْ لاَ تُجَاوِزُ صَلاَتُهُمْ تَرَاقِيَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنَ الإِسْلاَمِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ »
আবু সাঈদ খুদরী রা: হতে বর্ণিত: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
“আমার উম্মতের মধ্যে একদল লোক বের হবে যার কুরআন পাঠ করবে। কিন্তু তোমাদের (সাহাবীদের) কুরআন পাঠ তাদের তুলনাই কিছুই না। তোমাদের রোযা তাদের রোযার তুলনায় কিছুই না। (অন্য বর্ণনায় তাদের আমলের তুলনায় তোমাদের আমল কিছু না।) কুরআন পড়বে আর মনে করবে কুরআন তাদের পক্ষে কিন্তু আসলে তা তাদের সম্পূর্ণ বিপক্ষে। এ কুরআন পাঠ তাদের গলদেশ থেকে নিচে নামবে না। অথার্ৎ কুরআনের মর্ম তারা বুঝতে সক্ষম হবে না। এ লোকগুলো ইসলাম থেকে সেভাবে বের হয়ে যাবে যেভাবে ধনুক থেকে তীর বের হয়।” (সহীহ মুসলিম, অনুচ্ছেদ: খারেজীদের সাথে যুদ্ধে উৎসাহ, হাদীস নং ২৫১৬, মাকতাবা শামেলা)
অন্য বর্ণনায় উপরোক্ত বৈশেষ্টগুলো সাথে যোগ করা হযেছে:
))ثم لا يعودون فيه سيماهم التحليق ((
صحيح على شرط مسلم و لم يخرجاه
تعليق الذهبي قي التلخيص : على شرط مسلم
“তারা আর দ্বীনে ফিরে আসবে না। আর তাদের বৈশিষ্ট হবে মাথা নেড়ে হওয়া।” (মুসতাদরাক হাকেম। ইমাম জাহাবী রহ: বলেন: হাদীসটি ইমাম মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ।)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন:
“قَوْمٌ يَسْتَنّونَ بِغَيْرِ سُنّتِي، وَيَهْدُونَ بِغَيْرِ هَدْيِي. تَعْرِفُ مِنْهُمْ وَتُنْكِرُ”. فَقُلْتُ: هَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الْخَيْرِ مِنْ شَرَ؟ قَالَ: “نَعَمْ. دُعَاةٌ عَلَىَ أَبْوَابِ جَهَنّمَ. مَنْ أَجَابَهُمْ إلَيْهَا قَذَفُوهُ فِيهَا”. فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللّهِ صِفْهُمْ لَنَا. قَالَ: “نَعَمْ. قَوْمٌ مِنْ جِلْدَتِنَا. وَيَتَكَلّمُونَ بِأَلْسِنَتِنَا” قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللّهِ فَمَا تَرَىَ إنْ أَدْرَكَنِي ذَلِكَ؟ قَالَ: “تَلْزَمُ جَمَاعَةَ الْمُسْلِمِينَ وَإمَامَهُمْ” فَقُلْتُ: فَإنْ لَمْ تَكُنْ لَهُمْ جَمَاعَةٌ وَلاَ إِمَامٌ؟ قَالَ: “فَاعْتَزِلْ تِلْكَ الْفِرَقَ كُلّهَا. وَلَوْ أَنْ تَعَضّ عَلَىَ أَصْلِ شَجَرَةٍ، حَتّىَ يُدْرِكَكَ الْمَوْتُ، وَأَنْتَ عَلَىَ ذَلِكَ
“একদল লোক আমার সুন্নত বাদ দিয়ে অন্যের সুন্নত গ্রহণ করবে। আমার দেখানো পথ ও পদ্ধতি বাদ দিয়ে অন্যের পথ ও পদ্ধতি অবলম্বন করবে। তাদের মধ্যে কিছু জিনিস পছন্দ করবে কিছু জিনিস অপছন্দ করবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এর পর কি আরও খারাপ কিছু আসবে? তিনি বললেন: হ্যাঁ। জাহান্নামের পথের দিকে আহবান কারী। আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল, আপনি তাদের পরিচয় দিন। তিনি বললেন; তারা আমাদেরই বংশ বা আমাদের মধ্য থেকেই হবে (অর্থাৎ তারা বাহ্যিক ভাবে আমাদের মতই হবে কিন্তু তাদের কার্যক্রমে আমাদের বিপরীত হবে।) এবং আমাদের ভাষায় কথা বলবে।….(সহীহ বুখারী, অনুচ্ছেদ: নবুওয়াতে আলামত।)
আরেকটি হাদীস সুন্নান তিরমিযীতে বর্ণিত হয়েছে কিন্তু আল্লামা আলবানী হাদীসটিকে দূর্বল বলেছেন। হাদীসটি হল এই:
يخرج في آخر الزمان رجال يختلون الدنيا بالدين يلبسون للناس جلود الضأن من اللين ألسنتهم أحلى من السكر وقلوبهم قلوب الذئاب
“শেষ যমানায় কিছু মানুষ আসবে যারা দ্বীনকে দুনিয়ার সাথে একাকার করে দিবে। আর নম্রতার কারণে মানুষের সামনে যেন ভেড়ার চামড়া পরে আসবে, তাদের কথা বার্তা হবে চিনির চেয়ে মিষ্টি কিন্তু এদের অন্তরগুলো হবে বাঘের মত হিংস্র।” সুনান তিরমিযী। অনুচ্ছেদ: শেষ যামানায় একদল বের হবে….)
এই গুন/বৈশিস্ঠ সমৃদ্ধ যে কোন দল থেকে সাবধান থাকবেন।
আপনার বন্ধুদেরকেও শেয়ার করুন।
বিষয়: বিবিধ
১৮৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন