ইসলামকে জানতে হলে

লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ২৫ আগস্ট, ২০১৩, ০১:১১:৪০ দুপুর

আমরা সবাই মুসলিম বাপ দাদার সুত্রে।

তবে ইদানিং সবাই চেষ্টা করি দেখে পড়ে মুসলিম হতে।

কারন, কোরআন ও সহিহ হাদিসের এমনে একটি আকর্শন আছে যা আমাদের স্বভাবগত ভাবেই কাছে টেনে নেয়।

আজ আমরা চেষ্টা করি কোরআন ও সহিহ হাদিস দিয়ে নিজের জীবন গড়তে কিন্তু অনেক বাধা আসবেই।

সকল বাধা বিপত্তি পাড় হয়ে কোরআন ও সহিহ সুন্না অনুসরন করাই হল মুসলিম এর চরিত্র।

কোরআন ও সহিহ হাদিসের সাথে মেলে এমন যেকোন কথা মানতে কোন সমস্যা নেই কিন্তু জদি না মেলে তাহলে কোরআন ও সহিহ সুন্নাকে অগ্রাধিকার দিতে কুন্ঠা বোধ করা যাবেনা।

আসুন নিজের ইসলাম সম্পর্কে জনতে নিচের লেকচার গুলো সুনি এবং নিজের ইমানকে আরোও তরতাজা করি।



শায়খ মতিউর রহমান এর লেকচার কেন বেশি পছন্দ হয়:

১/ তার বক্তব্যে কোন সুর/গুন্নাহ নেই। বস্তুনিষ্ঠতা ও কুরআন সুন্নাহ রেফারেন্সই তার বক্তব্যের মুল আকর্শন। তাই সুর করে মানুষকে আকৃষ্ট করার প্রয়োজন নেই।

২/ তার বক্তব্যে কোন বানোয়াট কাহিনী বা জাল যয়ীফের বয়ান নেই। কোনআন ও বিশুদ্ধ হাদীসের বক্তব্য দিয়েই তিনি এত সুন্দর ভাবে বিষয়গুলি বর্ননা করেন, যা অত্যন্ত শ্রুতিমধুর। তাই তার বক্তব্যে যা কিছু শুনবেন তার প্রায় সবগুলোই কুরআন বা সহীহ হাদিসে পাবেন।

৩/ তিনি অন্য কারও অনুবাদের সাহায্য নেন না। আরবী ভাষার উপর অগাধ ঞ্জানের কারনে তিনি নিজেই আরবীর শাব্দিক উচ্চারন থেকে শুরু করে পুরো বিষয়ের অর্থ তুলে ধরেন।

৪/ তিনি মনগড়া কুরআনের ব্যাখ্যা করেন না। বরং সংশ্লিষ্ট কুরআনের আয়াত এবং রিলেভেন্ট সহীহ হাদীসের আলোকে সলফে সালেহীনগন কি ব্যাখ্যা বুঝেছেন তা তূলে ধরেন।

৫/ তিনি মানুষের মন রহ্মার জন্য বক্তব্য দেন না। যে বক্তব্যগুলি দিলে মানুষের মন গলবে মানুষ প্রশংসা করবে শুধু তাই বলেন না। বরং যা কিছু শিরক-বিদাত-কুসংস্কার থেকে মুসলিম কে মুক্ত করে বিশুদ্ধ দ্বীন পালনে সহায়তা করবে তাই তিনি নির্ভয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে বলে থাকেন।

উনার বক্তব্যে যা পাবেন না:-

১. সুরেলা ওয়াজ

২. সম্মিলিত মোনাজাত

৩. ইমাম আবু হানিফার ৪০ বছর এশার অযুতে ফজর পড়ার কাহিনী বা শাহজালাল হুজুরের গায়েবী ইলম দিয়ে আসামের বন থেকে ইবনে বতুতাকে রহ্মা করার কাহিনী অথবা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কবর থেকে উঠে এসে করমর্দনের কাহিনীর মত জাল যয়ীফের কাহিনী। যা কিছু বস্তুনিষ্ট এবং কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে প্রাপ্ত তার বাইরে তেমন কিছু পাবেন না।

৪. রক্তগরম করার মত কোন বক্তব্য পাবেন না

৫. পাবেন না জান্নাতের কোন সার্টিফিকেট

৬. পাবেন না মাযহাবী গোড়ামী

৭. পাবেন না শিরক-বিদাতের প্রতি নমনীয়তা

বক্তব্যের লিংক

বিষয়: বিবিধ

২২০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File