ডিএনএ কী? ১৪তম পর্ব, EMBRYOLOGY, ভ্রুণ যে ভাবে বর্ধিত হয়। STEM CELL ও CLONING কী?(২)।
লিখেছেন লিখেছেন আঃ হাকিম চাকলাদার ১৪ নভেম্বর, ২০১৫, ০৬:৪৩:৫৩ সকাল
ডিএনএ কী? ১৪তম পর্ব, EMBRYOLOGY, ভ্রুণ যে ভাবে বর্ধিত হয়। STEM CELL ও CLONING কী?(২)।
Figure source- http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/2012/
Figure-1
Shinya Yamanaka (বামে)
জন্ম: ১৯৬২,Osaka, Japan
Sir John B. Gurdon (ড়ানে)
জন্ম: ১৯৩৩, Dippenhall, United Kingdom
এরা দুজনে মেডিসিন বা ফিজিওলজিতে নোবেল বিজয়ী হন ২০১২ সালে।
কী আবিস্কার করেছিলেন তারা? তারা উভয়েই জীব বিঞ্জানের উপর এক যুগান্তকারী আবিস্কার করিয়া এক অসাধারন অবদান রেখেছিলেন।
Sir John B. Gurdon- ১৯৬২ সনে CLONING এর উপর অবদান রাখেন।(বিস্তারিত পর্ব-১৫ দেখুন)
Shinya Yamanaka- ২০০৬ সালে IPS বা INDUCED PLURIPOTENT STEM কোষ আবিস্কার করেন।(বিস্তারিত নীচে দেখুন)
CLONING সম্পর্কে ধারনা পেতে গেলে, আমাদের আগে STEM CELL কী তা বুঝতে হবে। আর STEM CELL কী তা বুঝতে গেলে আগে আমাদের ENBRYOLOGY অর্থাৎ ভ্রুণ কী ভাবে সৃষ্টি হয় ও কী ভাবে জরায়ূতে বর্ধিত হয়, এ সম্পর্কে সামান্যতম হলেও আগে জেনে লওয়া টা একটু প্রয়োজন।
এজন্যই তাহলে আগে আসুন আমরা EMBRYOLOGY ও STEM CELL সম্পর্কে সামান্য কিছু জেনে লই ।
নীচের চিত্রটিতে লক্ষ্য করুন- এখানে দেখানো হয়েছে যে ভাবে অপরিপক্ক ডিম্ব ডিম্বাসয়ে বর্ধিত হয়ে হয়ে পরিপক্ক ডিম্বে পরিণত হয়।একে OOGENESIS বলা হয়।
Source of figure- https://apriliascience.wordpress.com/kelas-ix/sistem-reproduksi-pada-manusia/alat-reproduksi-manusia/
Figure-2
এই ছবিটায় দেখানো হয়েছে ডিম্বাসয়ে (OVARY)তে একটি PRIMARY OOCYTE (প্রাথমিক অপরিপক্ক ডিম্ব)বিভক্ত হয়ে হয়ে শেষ পর্যায়ে একটি পরিপক্ক ডিম্বে (MATURE OVUM) ও ৩টি POLAR BODY তে পরিণত হয়। POLAR BODY গুলী পরে অকেজো হয়ে শরীর হতে বেরিয়ে যায়। POLAR BODY গুলী পরে অকেজো হয়ে গেলেও এর সৃষ্টি নিরর্থক নয়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন এটা মূল ডিম্বের নিরাপত্তা বিধান করে। আর ডিম্ব (Secondary Oocyte) টি যদি পুং জনন কোষ এর সংগে মিলিত হয়ে FERTILIZED হতে পারে তাহলে ওটা জরায়ূতে ধারন করে কোষ বিভাজনের মধ্য দিয়ে বৃদ্ধি পেতে পেতে শিশু উৎপাদনের দিকে অগ্রসর হয়ে শিশুর ভূমিষ্ট ঘটায়।
নীচের চিত্র-৩ লক্ষ্য করুন- জরায়ূ(ডান দিকে,BLASTOCYST ধারণ কৃত অবস্থায়), OVIDUCT বা FALLOPIAN TUBE ও OVARY ডিম্বালয় (বামে)
Source of figure- http://en.wikipedia.org/wiki/Human_fertilization
Figure-3,
কী ভাবে ভ্রুণ সৃষ্টি হয়?
এখানে লক্ষ করুন।স্বাভাবিক অবস্থায় নারীদের প্রতিমাসের MENSTRUAL CYCLE এর প্রারম্ভের দিন হতে আরম্ভ করে মাঝা মাঝি কোন একদিনে ১৪ তম অথবা (১০-১৮ দিনের মধ্যে) প্রতি মাসে ‘OVARY” বা ডিম্বাসয় হতে “OVULATION” এর মাধ্যমে একটি করে “ SECONDARY OOCYTE”( দ্বিতীয় পর্যায়ের অপরিপক্ক ডিম্ব) জরায়ূর (UTERUS) এর OVIDUT বা FALLOPIAN TUBE এর কিছুটা প্রশস্ত AMPULA নামক স্থানে বেরিয়ে আসে।(২,৬,৮)
এই সময় পুরুষের অসংখ্য শুক্রকীট ঐ ডিম্বের দিকে সাতরিয়ে এগিয়ে এসে এই ডিম্বের মধ্যে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু ডিম্বের মধ্যে মাত্র ১টি শুক্রকীট ঢুকে পড়ার পর অন্য শুক্র কীট দের ঢুকার পথ একটি রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে একটির অধিক শুক্রকীট ঢুকতে পারেনা।(৬)
একটি শুক্রকীট ডিম্বের মধ্যে ঢুকে পড়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ের অপরিপক্ক ডিম্বটি (SECONDARY OOCYTE) এ পর্যন্ত MEIOSIS বিভাজনের METAPHASE 2 অবস্থায় থাকা অবস্থা হতে MEIOSIS বিভাজনের বাকী অংশ টুকু পূর্ণ করে একটি MATURE OVUM এ পরিণত হয়ে যায় ও একটি POLAR BODY বের করে দেয়।(৬,৮) MEIOSIS বিভাজন বুঝতে পর্ব ৮ দেখুন। এর পর উভয়ের NUCLEUS একত্রে মিশে OVUM টি FERTILIZED বা নিষিক্ত হয়ে যায়।
মানব জন্মের এই সর্বপ্রাথমিক FERTILIZED এই একটি মাত্র কোষ যার নাম “ZYGOTE”। (চিত্র-৩ ও ৭ দেখুন)
এই এক কোষী ZYGOTE টিই একমাত্র আমাদের পূর্ণাঙ্গ জীবন সূচনার একেবারে সর্ব প্রথম মূহুর্ত।
কী তাৎপর্য এই এক কোষী ZYGOTE টির মধ্যে?
গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য নিহিত থাকে এই এক কোষ বিশিষ্ট ZYGOTE টির মধ্যে,যেমন-
১)যে SPERM ও যে OVUM টা মিলিত হইয়া তাদের ২৩+২৩=৪৬টা CHROMOSOME ঢুকিয়ে এই পূর্ণ এক কোষী ZYGOTE টি সৃষ্টি করিল, তাদের নিজেদের কেই MEIOSIS এ ৭০ ট্রিলিয়ন রকমের সম্ভাব্য বিভিন্ন ধরনের গুনাগুনের মধ্য হইতে HAPHAZARD পদ্ধতির মধ্য দিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট গুনাগুন বহন করে আনতে হয়েছে(বিস্তারিত পর্ব-৮ দেখুন)।
২) এই ZYGOTE টির মধ্যের ৪৬ টি CHROMOSOME ই আমাদের শরীরের ১০০ ট্রিলিয়ন কোষের NUCLEUS এর মধ্যে অবস্থান করে আজীবন মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত আমাদের জীবন কে পরিচালনা করবে। অতএব এই ZYGOTE টির উপাদান SPERM ও OVUM এর MEIOSIS বিভাজনের সময়ে গুনাগুনের HAPHAZARD বন্টনের সময় এদের ভাগ্যে যে ধরণের গুনাগুন বন্টিত হয়েছে, এরা ঠিক সেই গুনাগুন ই বহন করে এনে এই আমাদের পূর্ণাঙ্গ জীবনটি পরিচালনার ফর্মুলা ৪৬ টা CHROMOSOME আকারে এই ZYGOTE কোষটিকে ধারণ করিয়ে দিয়েছে।
এই ZYGOTE কোষটি যা কিছু ধারণ করে রেখেছে এইটাই আমাদের সমস্ত সম্পদ। আমরা এর বাইরে কিছুই হতে পারিনা। আমাদের জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত সব কিছু এই ক্ষুদ্র XYGOTE কোষটি CHROMOSOME এর আকারে ধারণ করিয়া রেখেছে।
৩)এর কী অর্থ তা-কী জানেন? এর অর্থ হল, আপনি বা আমি কিরুপ ধরনের ব্যক্তিটি হইব তা এই ZYGOTE কোষটিকে তার মূল উপাদান, SPERM ও OVAM এর বাছাইকৃত বহন করে আনা গুনাগুনের ফর্মুলা দিয়ে নির্ধারন করে দিয়েছে।এই ZYGOTE টিকে এরা ঠিক যেভাবে ও যতটুকু গুনাগুন বন্টন করিয়াছে, আপনি ও আমি ঠিক সেভাবে এবং তত টুকুই গুনাগুনের অনিকারী হইব।(বিস্তারিত পর্ব-৮ দেখুন)
৪) অতএব খুব সহজেই বুঝতে পারছেন এই এক কোষী ZYGOTE টির মধ্যেই অবস্থান করে থাকে, বিজ্ঞানী আইনষ্টাই, শ্টিফেন হকিং, ও হিটলার। এদের পুর্ণ মাত্রায় প্রকাশিত হওয়াটা শুধু সময় এর ব্যাপার মাত্র।
৫) আরো একটু পরিস্কার করে বলা যাক। ধরুন আপনি. আমি যে ZYGOTE টি বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়ে সৃষ্টি হয়েছি, যদি কোন কারণ বসতঃ ওটা নস্ট হয়ে পড়ে যেত, তাহলে এই বিশ্বে আপনার বা আমার মত আর কখনো কোন দ্বিতীয় ব্যক্তি জন্মানো সম্ভবপর নয়।
৬) এক মাত্র HOMOZYGOTE TWIN (নীচে দেখুন)ছাড়া এই বিশ্বে কেহ অপর আর একজনের মত হওয়া সম্ভব নয়। কারণ HOMOZYGOTE TWIN ছাড়া অন্য সবারই CHROMOSOME পরশ্পর ভিন্ন থাকে।
যেভাবে ভ্রুণ বর্ধিত হয়।
এরপর ZYGOTE টি প্রতি ১০/১২ ঘন্টায়, ১টা হতে ২টা,২টা হতে ৪টা, ৪টা হতে ৮টা, ৮ টা হতে ১৬টা, ১৬টা হতে ৩২টা, ৩২টা হতে ৬৪ টা এই ভাবে MITOTIC বিভাজনের পদ্ধতিতে (পর্ব-৭ দেখুন )বিভাজিত হতে থাকে আবার একই সংগে জরায়ূ এর দিকে এগুতে থাকে।
এক মাত্র প্রজনন কোষ ছাড়া,শিশুর শরীরে প্রতিটা কোষের এই MITOTIC বিভাজন মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত চলতে থাকবে।
OVIDUCT এর গাত্রে CILIARY EPITHELIUM নামক এক জাতীয় কোষের CILIA বা আঁস জাতীয় পদার্থ এই কোষ গুলীকে জরায়ুর দিকে ঠেলতে ঠেলতে এগিয়ে লয়ে যায়।(চিত্র-৩ ও ৭ এ এটা খুব সুন্দর করে দেখানো হয়েছে)
ভ্রুণটির ৩-৪ দিন বয়স কাল-
এই সময় প্রায় ৩০-৪০ টি কোষের এক গুচ্ছ কোষ FALLOPIAN TUBE বেয়ে বেয়ে জরায়ূ গাত্রে এসে যায়। এই কোষ গুচ্ছকে বলা হয় MORULA। (চিত্র-৩ ও চিত্র-৭ দেখুন)
ভ্রুণের বয়স কাল যখন ৫-৭ দিন-
এবার এই MORULA এর প্রায় ৭০-১০০ টা কোষ একটি ফাপা বলের আকার ধারণ করে। এর একটা পাশ জরায়ূর গাত্রের সংগে এটে যায়। কিছু কোষ বলের বাইরের প্রাচীর তৈরী করে। তাকে TROPHOBLAST বলে। এর ভিতরে এক পার্শে কিছু কোষ আটকা পড়ে যায়। যাকে INNER CELL MASS বলা হয়।
এই বলের মত ফাপা কোষ গুচ্ছকে BLASTOCYST বলে।( চিত্র-৩ ও চিত্র-৭ দেখুন)
ভ্রুণের বয়স কাল যখন ৮-৯ দিন -
এসময় এই BLASTOCYST টির বাইরের TROPHOBLAST স্তরটির একাংশ জরায়ূর গাত্রের রক্তের স্তরের মধ্যে ঢুকে গিয়ে জরায়ূর গাত্রে শিকড়ের মত শাখা প্রশাখা ঢুকিয়ে দিয়ে ভাল ভাবে এটে বসতে থাকে। একে IMPLANTATION বলে।এর মধ্য দিয়েই মায়ের শরীরের রক্তের মধ্য দিয়ে খাদ্য, অক্সিজেন ইত্যাদি শরীরের প্রয়োজনীয় বস্তু গুলী পাইতে থাকে।
এটাই ধীরে ধীরে PLACENTA বা ফুল আকার ধারণ করে।
এরপর INNER CELL MASS কয়েকটা স্তরের তৈরীর মধ্য দিয়ে যেমন, AMNION, AMNIOTIC SAC, AMNIOTIC FLUID, ECTODERM, MESODERM, ENTODERM, FORE BRAIN, MID BRAIN, HIND BRAIN, ইত্যাদির মধ্য দিয়ে সমস্ত SYSTEM এর ORGAN, LIMBS ইত্যাদি তৈরী করে ফেলতে থাকে ও একই সংগে ভ্রুনটি শিশু আকারে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হতে থাকে।(২,৩,৪)
তাহলে খুব ভাল ভাবেই বুঝতে পারলেন একটি SPERM (পুং প্রজনন অর্ধ কোষ যাতে অর্ধ সংখ্যক CHROMOSOME অর্থাৎ ২৩টা CHROMOSOME থাকে)একটি OVUM (স্ত্রী প্রজনন অর্ধ কোষ যাতেও অর্ধ সংখ্যক CHROMOSOME অর্থাৎ ২৩টা CHROMOSOME থাকে ) মিলিত হয়ে একটি পূর্ণ কোষ (যাতে পূর্ণ মানব CHROMOSOME অর্থাৎ ৪৬ টা CHROMOSOME থাকে) ZYGOTE সৃষ্টি করিল এবং এই একটি মাত্র ZYGOTE নামক পূর্ণ কোষটি বিভাজিত হয়ে হয়ে ভ্রুণটি বৃদ্ধি পেয়ে ৯ মাস ১০ দিনে একটি পুর্ণাঙ্গ শিশুতে পরিণত হইল।( চিত্র-৩ ও চিত্র-৭ দেখুন)
এই এক কোষী ZYGOTE টাই আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সর্বপ্রথম ইতিহাসের সূচনা। আমরা কেউ ই এর বাইরে অন্য কোন পথের মধ্য দিয়ে আসি নাই বা আসা সম্ভবপর নয়।
নীচে (চিত্র-৪) মাতৃগর্ভে সপ্তাহে সপ্তাহে শিশু বৃদ্ধির চিত্র দেখুন।
Figure source- http://pharmaceuticalintelligence.com/category/hematology-2/hematopoiesis-hematology/neutropenia/
চিত্র-৪,মাতৃগর্ভে সপ্তাহে সপ্তাহে শিশু বৃদ্ধি হওয়ার চিত্র।(৯)
এবার আসুন তাহলে দেখা যাক CLONING কী?
CLONING বলা হয়, একটি প্রাণীর হুবহু জেনেটিক-কপি করে আর একটি প্রাণী তৈরী করাকে।
তার মানে ঠিক আপনার, আমার মত একজন ব্যক্তিকে কপি করে আমাদের মৃত্যুর পরেও এই ধরনীতে ঠিক আপনাকে বা আমাকে ধরে রেখে দেওয়া। এরই বৈজ্ঞানিক নাম CLONING.
এর অর্থ এই যে ডিএন এ এর প্রতিটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিন্দু পর্যন্ত উভয় প্রানীর মধ্যে একই হইতে হইবে, তবেই উভয় প্রানী হুবহু একই রকম হওয়া সম্ভব।
CLONING দুই প্রকার-১) NATURAL CLONING ও ২) ARTIFICIAL CLONING
আজ শুধু NATURAL CLONING টা বর্ণনা করা হবে।
আসুন তাহলে দেখা যাক NATURAL CLONING কী?
NATURAL CLONING বলা হয় IDENTICAL TWIN শিশুকে।
কী ভাবে IDENTICAL TWIN হয়?
জী,হ্যা, ZYGOTE টি যখন প্রথমে বিভাজিত হয়ে হয়ে ১৫-২০টা কোষ পর্যন্ত পৌছায়, তখন এর মধ্যের যে কোন একটি কোষ যদি তার মূল কোষগুচ্ছ হতে পৃথক হয়ে আলাদা ভাবে জন্মানো আরম্ভ করে দেয়, তাহলে তখন সেটা একটা IDENTICAL বা HOMOZYGOTE TWIN হিসাবে জন্মাবে।
এদের উভয়ের DNA এর প্রতিটা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিন্দু পর্যন্ত হুবহু একই প্রকারের হইবে।
ওখানে একাধিক কোষ পৃথক হয়ে জন্মানো আরম্ভ করলে একাধিক IDENTICAL TWIN জন্মাবে।
এদেরকেই NATURAL CLONING বলা হয়, কারণ এখানে কোন কৃত্রিম পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় নাই। আর CLONING অর্থ হুবহু কপি করা।
কেন এরা হুবহু একই রকম হইবে?
কারণ, এখানে এরা প্রতেকেই মূল কোষ ZYGOTE এর হুবহু কপি এবং ZYGOTE এর ৪৬ টা CHROMOSOME এবং এদের প্রত্যকেরই ৪৬ টা CHROMOSOME হুবহু একই হওয়ায় এরা প্রত্যেকেই মুল ZYGOTE এর কপিকৃত হুবহু একই গুনাগুন সম্পন্ন প্রাণী হইবে, ঠিক যেমন আপনি আপনার কম্পিউটারে SAVE করে রাখা একটি পুস্তকের যদি ১০০টা কপি প্রিন্ট বের করেন, তার প্রত্যেকটা কপিই কম্পিউটারে SAVE করে রাখা পুস্তকের হুবহু অনুরুপ হইবে। এবং যত গুলীই প্রিন্ট বের করুননা কেন, সেগুলীও পরশ্পর সব একই রকম হইবে।
একটি বিন্দু পর্যন্ত ও এদিক ওদিক হইবেনা।
এই IDENTICAL TWIN টাই হল NATURAL CLONING।
এদের এমন দেখা যায় যে এদের একজন যে চাকুরী, যে খাদ্য, যে পোষাক পছন্দ করে, অন্যজন ও ঠিক সেইটাই পছন্দ করে।
নীচে (চিত্র-৫ ও ৬) দেখুন, কীভাবে ZYGOTE হতে HOMOZYGOTE TWIN (বামে) ও DIZYGOTE TWIN (ডানে) হতে চলেছে।
Source of Figure- https://en.wikipedia.org/wiki/Twin
চিত্র-৫, বামে, কী ভাবে মাতৃগর্ভে IDENTICAL TWIN বা (NATURAL CLONING) হয় তা দেখানো হয়েছে। ডানে, NON IDENTICAL TWIN হতে চলেছে।
Source of figure- http://doublethefeet.com/fraternal-twins-and-identical-twins
চিত্র-৬ মাতৃ গর্ভে (বায়ে) IDENTICAL TWIN, ডানে NON IDENTICAL TWIN.
NON IDENTICAL বা DIZYGOTIC TWIN কী ভাবে হয়?
কারণ, যদি মাতা ডিম্বাসয় হতে HYPEROVULATION GENE এর অধিকারী হওয়ার কারণে একসংগে একাধিক ডিম্ব নিসঃরন করে ও সেগুলী পৃথক পৃথক SPERM দ্বারা FERTILIZED হয়। এই GENE এর অধিকারী বংশগত কারণেও হতে পারে।(Ref-Source of figure 6)
যেহেতু এখানে পৃথক পৃথক OVUM ও SPERM দ্বারা ZYGOTE সৃষ্টি হচ্ছে এবং প্রতিটা SPERM ও OVUM এর CHROMOSOME এর গুনাবলী ভিন্ন থাকে, তাই এদের থেকে উৎপন্ন যমজ প্রানীরাও ভিন্ন গুনাবলী সম্পন্ন হয়। এজন্য এদেরকে HETEROZYGOTE বা NON IDENTICAL TWIN বলা হয়।
ARTIFICIAL CLONING কী?
ARTIFICIAL CLONING তাকেই বলা হয় যেখানে PLURIPOTENT STEM কোষ কে কৃত্রিম উপায়ে তৈরী করে CLONING করা হয়।
PLURIPOTENT STEM কোষ কী ও এর কী ক্ষমতা? নীচে দেখুন।
ARTIFCIAL CLONING আবার দুই ভাবে করা যায় যেমন-
১)যদি কোন একটি পূর্ণ বয়স্ক প্রাণীর বিশেষায়িত কোষের CHROMOSOME সহ NUCLEUS কে কোষ হতে বের করে এনে অন্য আরেকটি স্ত্রী প্রানীর ডিম্বের NUCLEUS কে বের করে ফেলে, তার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে, ঐ ডিম্বকে অন্য আরেকটি স্ত্রী প্রাণীর জরায়ূর মধ্যে ঢুকিয়ে দিলে তখন ঐ ডিম্বটি ঐ জরায়ুর মধ্যে বিভাজিত হয়ে PLURIPOTENT STEM কোষ তৈরী করে একটি নূতন প্রানী সৃষ্টি করবে।
এই পদ্ধতির আবিস্কর্তা বিজ্ঞানী Sir John B. Gurdon. এই নব প্রাণীটি হুবহু ঐ প্রথম প্রানীটির মতই বা তার কপি রুপ হইবে, যার থেকে CHROMOSOME সহ NUCLEUS বের করে লয়ে আনা হয়েছিল, কারণ তার NUCLEUS এর অভ্যন্তরের CHROMOSOME দ্বারাই এই নব প্রানীটি সৃষ্টি হচ্ছে।আর আগেই জেনেছেন CHROMOSOME ই সমস্ত গুনের বাহক। পর্ব-১৫ তে এর বিস্তারিত দেখুন।
২) IPS বা INDUCED PLURIPOTENT STEM CELL কী
এটাও আর এক ধরনের একটা কৃত্রিম স্টেম কোষ, যা সরাসরি বিশেষায়িত কোষের মধ্যে বিশেষ জ্বীন ঢুকিয়ে করা হয়। একে IPS বা INDUCED PLURIPOTENT STEM CELL বলা হয়।
২০০৬ সালে Shinya Yamanaka এই IDUCED PLURIPOTENT STEM কোষ আবিস্কার করেন।
কী ভাবে তিনি IDUCED PLURIPOTENT STEM কোষ আবিস্কার করেছিলেন?
একটি চর্মের পরিপক্ক বিশেষায়িত (FIBROBLAST) কোষে Oct3/4, Sox2, c-Myc, Klf4
নামক চারটি TRANSCRIPTION FACTOR জ্বীন ঢুকিয়ে দিয়ে EMBRYONIC PLURIPOTENT কোষে ফিরিয়ে লইতে সক্ষম হয়েছিলেন। এই কৃত্রিম কোষ গুলিকেই IPS বা INDUCED PLURIPOTENT কোষ বলা হয়।
এই কৃত্রিম কোষ গুলী সঠিক জ্বীন গুলী পেয়ে যাওয়ার কারণে প্রাকৃতিক EMBRYONIC PLURIPOTENT কোষ গুলীর মতই এরা সব ধরনের বিশেষায়িত কোষে পরিণত হতে পেরেছিল।(১)
Oct3/4, Sox2, c-Myc, Klf4 এই ৪টি এবং Oct3/4, Sox2, Nanog , Lin28, এই ৪টি, এই মোট ৮টি TRANSCRIPTION FACTOR জ্বীন, সাধারণ কোষকে PLURIPOTENT STEM কোষ হওয়ার যোগ্য করায়, ঠিক যে PLURIPOTENT STEM কোষ হতে অন্য সমস্ত বিশেষায়িত কোষ তৈরী হয়।(৫,১০)
আর এভাবে কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্ট PLURIPOTENT STEM কোষ দ্বারাও পূর্বের মত একই ভাবে CLONING করা সম্ভব, কারণ এর মধ্যেও তো কোষ দাতার পূর্ণ ৪৬টা CHROMOSOME পাওয়া যাচ্ছে।
যেহেতু CLONING এর সংগে STEM কোষ সরাসরি সম্পর্কিত বা STEM কোষ বিশেষ করে PLURIPOTENT STEM কোষ তৈরী করা ছাড়া CLONING বা কপি প্রাণী সৃষ্টি করা সম্ভব নয়, তাই আগেই STEM কোষ সম্পর্কে এখানে কিছুটা বর্নণা করা হচ্ছে।
STEM কোষ কী?
( কিছুটা পর্ব-১৩ দেখুন)
STEM কোষ বলা হয় একটি সাধারণ (অবিশেষায়িত)কোষকে যা একটি বিশেষায়িত কোষে পরিণত হয়ে হয়ে ভ্রুণটির বৃদ্ধি ঘটাতে পারে, যেমন একটি সাধারণ কোষ যা প্রয়োজনে একটা হৃদপিন্ডের কোষও হতে পারে,আবার প্রয়োজনে মস্তিস্ক কোষেও পরিণত হতে পারে,আবার প্রয়োজনে একটা লিভার কোষেও পরিণত হতে পারে, আর এ ভাবে সেই অর্গানটাকেও নির্মান করতে পারে।
এবার তাহলে দেখুন একটি ভ্রুণ কী ভাবে STEM কোষের ব্যবহার করে বিশেষ বিশেষ অর্গান গুলী নির্মান করে।
চিত্র-৩ ও ৭ লক্ষ্য করুন। ZYGOTE কোষটি প্রতি ১০- ১২ ঘন্টা পরপর এক এক বার দ্বি-খন্ডিত হয়ে হয়ে বিভাজিত হতে থাকে। ৩-৪ দিন পরে এরা ৩০-৪০ টা কোষ বিশিষ্ট একগুচ্ছ কোষে পরিণত হয়, তখন এদের MORULA বলা হয়। এটা আগেই জেনেছেন।
এই পর্যন্ত আসা কোষ গুলীর প্রত্যেকটি কোষ PLACENTA সহ যে কোন ধরনের বিশেষায়িত কোষ হওয়ার ক্ষমতা রাখে। তাই এদেরকে “TOTIPOTENT STEM কোষ” বলা হয়। এই কোষ গুলী হতে এর পরবর্তী গঠন এর ধাপে BLASTOCYST এর TROPHOBLAST গঠন করে ও তার থেকে PLACENTA এবং আভ্যন্তরীন কোষ “INNER CELL MASS” (চিত্র-৭) গঠন করে। আগেই জেনেছেন।
PLACENTA (ফুল) এর কোষ গুলীর যাত্রা এপর্যন্তই শেষ। কিন্তু আভ্যন্তরীন INNER CELL MASS এর যাত্রা আরো বহু দুর বিস্তৃত, একেবারে শিশুটিকে পূর্ণ নির্মান করা পর্যন্ত।
এই “INNER CELL MASS” কোষ গুলী, এক মাত্র PLACENTA বাদে, শিশু শরীরের সব ধরনের বিশেষায়িত কোষ যেমন,হূদপিন্ড কোষ,মস্তিস্ক কোষ,কিডনী কোষ,অস্থি কোষ, মাংস কোষ,রক্ত কোষ,চর্ম কোষ, সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সহ মোট ২২০ রকমের বিশেষায়িত কোষ ও তার অর্গান উৎপাদন করার ক্ষমতা রাখে এবং তাকে করতেও হয়।
এই বহুবিধ বিশেষায়িত কোষ তৈরী করার ক্ষমতা সম্পন্ন কোষকে “PLURIPOTENT STEM কোষ” বলে।
অতএব তাহলে বুঝতেই পারছেন CLONING করতে গেলে PLURIPOTENT STEM কোষ উৎপাদন ব্যতিরেকে একেবারেই সম্ভব নয়।
এবার জেনে নিন এই STEM কোষ গুলী শরীরের কোথায় কোথায় পাওয়া যায় ও প্রয়োজনের সময়ে কীভাবে শরীরকে সাহায্য করে থাকে।
এই “PLURIPOTENT STEM কোষ” “INNER CELL MASS” এ ছাড়াও ভ্রুণের আরো কয়েক যায়গায় পাওয়া যায় যেমন, AMNIOTIC FLUID, PLACENTAL CORD BLOOD ইত্যাদি।
এই STEM কোষ গুলী ভ্রুণের মধ্যে পাওয়া যায় বলে এদেরকে “EMBRYONIC STEM কোষ” বলা হয়।
এছাড়াও একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির বিশেষায়িত কোষ এর মধ্যে যেমন চর্ম ,মস্তিস্ক, নাড়ীর গাত্র, কর্নিয়া,রক্ত শিরা, মাংস পেশী, দাত,হৃদপিন্ড,লিভার, হাড় মজ্জা ইত্যাদি স্থানেও যথেষ্ঠ “STEM CELL” থাকে। এদেরকে “ADULT STEM” কোষ বলা হয়। জন্মের পর শিশুর PLACENTA তে ও STEM কোষ থাকে, যা সার্জারী চিকিৎসায় অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ADULT STEM কোষগুলী এই সমস্ত বিশেষায়িত কোষ গুলীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত শুপ্তাবস্থায় পড়ে থাকে। কখনো এ সমস্ত স্থান আঘাত প্রাপ্ত হলে, তখন এগুলী কার্যকরী হয়ে উঠে ঐ জায়গার বিশেষায়িত কোষে পরিণত হয়ে ঐ জায়গার ক্ষয় পুরন ও মেরামত করতে থাকে।(১১)
তবে এরা ক্ষমতার দিক দিয়ে PLURIPOTENT STEM কোষ এর পর্যায়ে নয়।
এরা শুধু মাত্র সেই স্থানের বিশেষায়িত কোষ তৈরী হওয়ার ক্ষমতা রাখে। যেমন হৃদপিন্ডের ADULT STEM কোষ, শুধু মাত্র হৃদপিন্ডেরই বিশেষ কোষে পরিণত হওয়ার ক্ষমতা রাখে,বা মস্তিস্কের ADULT STEM কোষ শুধু মাত্র মস্তিস্কেরই বিশেষ কোষে পরিণত হওয়ার ক্ষমতা রাখে।। (১২,১৪)
Source of Figure- http://www.intechopen.com/books/pluripotent-stem-cells/de-differentiation-of-somatic-cells-to-a-pluripotent-state
চিত্র-৭
ADULT STEM কোষ, EMBRYONIC STEM কোষ, TOTIPOTENT , MULTIPOTENT, OLIGO POTENT, UNIPOTENT ও INDUCED (IPS) STEM কোষ কাকে বলে?
ADULT STEM কোষ- যে STEM কোষ পূর্ণ বয়স্কের শরীরের বিশেষ কোষের মধ্যে অবস্থান করে।
EMBRYONIC STEM কোষ- যে STEM কোষ ভ্রণের মধ্যে অবস্থান করে।
TOTIPOTENT STEM কোষ- BLASTOCYST এর হওয়ার পূর্বের কোষ গুলী TOTIPOTENT STEM কোষ থাকে।
TOTIPOTENT STEM কোষ হতে BLASTOCYST এর TROPHOBLAST ও PLURIPOTENT STEM CELL ( INNER CELL MASS) তৈরী হয়েছে, যা হতে শরীরের সব ধরনের বিশেষায়িত কোষ তৈরী হবে।
এরং বাহিরের স্তরের কোষ গুলী দ্বারা PLACENTA বা ফুল তৈরী হইবে।এই স্তরকে বলা হয় TROPHOBLAST.
MULTIPOTENT STEM কোষ- যে STEM কোষ দ্বারা বেশ কিছু সংখ্যক বিশেষায়িত কোষ তৈরী হয় তাকে MULTIPOTENT STEM কোষ বলা হয়।
যেমন রক্ত কোষগুলী MULTIPOTENT STEM কোষ হতে উৎপন্ন হয়। রক্ত কী ভাবে MULTIPOTENT STEM কোষ হতে তৈরী হয় তা নীচের চিত্র-৮ এ দেখুন-
Source of Figure- http://lymphoma.about.com/od/glossary/g/What-Is-Hematopoiesis.htm
চিত্র-৮ HAEMATOPOISIS. (রক্ত তৈরী)
MULTIPOTENT STEM কোষ-
চিত্র-৮ এ সর্বোপরে “PLURIPOTENT STEM CELL” এর ঠিক নীচেই তৈরী কৃত “MYELOBLAST” নামক কোষটি একটি MULTI POTENT STEM কোষ, কারণ তার থেকে অনেক গুলী নির্দিষ্ট রক্ত কোষ অর্থাৎ লোহিত কনিকা, প্লেটলেট,মনোছাইট,নিউট্রোফিল,বেজোফিল ও ইওছিনোফিল তৈরী হতে পারে। কিন্তু তা ছাড়া অন্য কোন বিশেষায়িত কোষ তৈরী হতে পারেনা।(১২)
OLIGOPOTENT STEM কোষ-
চিত্র-৮ এ লক্ষ্য করুন, উপরে প্রথম PLURIPOTENT STEM কোষ হতে বামে “ LYMPHOID STEM CELL” তৈরী হয়েছে। এটা একটি OLIGPOTENT STEM কোষ, কারণ এর থেকে শুধু সীমিত কয়েকটা মাত্র, যেমন T-CELL ও B-CELL ছাড়া অন্য কোন বিশেষায়িত রক্তের কোষ তৈরী হতে পারবেনা। এ কারণে এদের OLIGO POTENT STEM কোষ বলে।
UNIPOTENT STEM কোষ-
ডান দিকে EOSINOPHILIC MYELOCYTE ও BASOPHILIC MYELOCYTE দুইটি STEM CELL কিন্ত এর থেকে একটি মাত্র কোষ EOSINOPHIL ও BASOPHIL তৈরী হতে পারে এ কারণে এদেরকে UNIPOTENT STEM কোষ বলা হয়।
INDUCED (IPS) STEM কোষ কাকে বলে? যখন বিশেষায়িত কোষে TRANSCRITION FACTOR GENE ঢুকিয়ে STEM কোষ সৃষ্টি করা হয়। (উপরে বর্নণা করা হয়েছে।)
ভ্রুণ বৃদ্ধির সংগে ক্রোমোজোমের কী সম্পর্ক?
ভ্রণের মধ্যে যেভাবে যা কিছু বৃদ্ধিপায় বা গড়ে উঠে সবই ক্রোমোজোমের মধ্যে অবস্থিত নির্দেশ অনুসারে গড়ে। ক্রোমোজোমের নির্দেশ নাই এমন কিছুই শিশুর মধ্যে গড়তে পারেনা।
একারণে কারো কোন একটি জ্বীনে ত্রুটিপূর্ণ নির্দেশ থেকে গেলে সেই জ্বীন এর কার্যটাও ত্রুটিপূর্ণ হয়ে যাবে।
যেমন ধরুন কারো হৃদপিন্ড তৈরীর জ্বীনটিতে কোন ত্রুটি থেকে গেছে। তাহলে সে একটি সুস্থ হৃদপিন্ডের অধিকারী না হয়ে একটি ছিদ্রযুক্ত হৃদপিন্ডের অধিকারী হয়ে আজীবন দুর্ভোগ পোহাতে পারে। একে FALLOTS TETRALOGY বলে।
FALLOTS TETRALOGY এর একটি বাস্তব উদাহরণ দেখতে পর্ব-৩১ দেখুন। যে তরুনটি সার্জারীর পর এখন একটি নব জীবন লাভ করে স্বচ্ছন্দ জীবন যাপন করতেছে।
ত্রুটি পূর্ণ জ্বীন এর কারণে এরুপ অসংখ্য রকমের ব্যাধি লয়ে জন্মাতে পারে একটি শিশু।(পর্ব-১২ এর MUTATION দেখুন)
HOMEOBOX নামক একটা গ্রপের ২৩৫টা জ্বীনের কিছু কিছু পত্যেকটা ক্রোমোজোমে রয়েছে। এদের কাজ শিশুর হাত-পা কে সঠিক ভাবে গড়া।(১৩)
মানব দেহের রহস্য জানতে সংগে থাকুন।
অন্যান্য পর্ব সমূহ এখানে দেখুন- https://chkdr02.wordpress.com/
Edited on- 11/13/2015
১৪ তম পর্বের সূত্র সমূহ-
১.. http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/2012/
OVULATION
২. http://en.wikipedia.org/wiki/Ovulation
৩. http://en.wikipedia.org/wiki/Morula
৪. http://en.wikipedia.org/wiki/Blastocyst
CLONING- ARTIFICIAL
৫. http://learn.genetics.utah.edu/content/tech/cloning/whatiscloning/
FERTILIZATION
৬. http://en.wikipedia.org/wiki/Human_fertilization
BLASTOCYST
৭. http://en.wikipedia.org/wiki/Blastocyst
Oogenesis
৮. http://en.wikipedia.org/wiki/Oogenesis
PRENATAL DEVELOPMENT
৯. http://en.wikipedia.org/wiki/Prenatal_development
১০. GENES FOR IDUCING STEM CELLS
http://scienceandreason.blogspot.com/2008/03/embryonic-stem-cells-and-klf4.html
ADULT STEM CELL
১১. http://stemcell.childrenshospital.org/about-stem-cells/adult-somatic-stem-cells-101/where-do-we-get-adult-stem-cells/
HAEMOPOISIS
১২. http://lymphoma.about.com/od/glossary/g/What-Is-Hematopoiesis.htm
HOMEOBOX
১৩ http://ghr.nlm.nih.gov/geneFamily/homeobox
EMBRYONIC STEM CELL
১৪.. http://www.eurostemcell.org/factsheet/embryonic-stem-cells-where-do-they-come-and-what-can-they-do
বিষয়: বিবিধ
১৫৫৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন