পর্ব-৯,ডিএনএ কী? ক্রোমোজোম,জীবনের ব্লুপ্রিন্ট, যেখানে আমাদের পিতা মাতা।
লিখেছেন লিখেছেন আঃ হাকিম চাকলাদার ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৭:৫৯:২৫ সকাল
পর্ব-৯,ডিএনএ কী? ক্রোমোজোম,জীবনের ব্লুপ্রিন্ট, যেখানে আমাদের পিতা মাতা।
Source of Figure-https://en.wikipedia.org/wiki/Chromosome
চিত্র-১
আবিস্কার-
আমেরিকান GENETICIST & PHYSICIAN, Walter Sutton (বামে)
(এপ্রিল ৫, ১৮৭৭ – নভেম্বর ১০, ১৯১৬) এবং জার্মান বায়োলোজিস্ট Theodor Heinrich Boveri (ডানে) (১২ অক্টোবর ১৮৬২ – ১৫ অক্টোবর ১৯১৫) ১৯০২ সালে ক্রোমোজোম থিওরীর অগ্রগতি সাধন করেন।(১)
ক্রোমোজোম কী?
DNA এবং CHROMOSOME একই বস্তু । শুধু মাত্র পার্থক্য এতটুকুই যে DNA, UNPACK অবস্থার লম্বা ডবল চেইনের অতি সূক্ষ্ম সূতার মত বস্তুকে বুঝায়।আর CHROMOSOME হল এই লম্বা ডবল চেইনের সূতার মত বস্তুকেই যখন HISTONE নামক পদার্থকে কেন্দ্রে রেখে অসংখ্য বার কয়েলের মত পেচিয়ে পেচিয়ে অত্যন্ত এটে সেঁটে প্যাকেজ করিয়া রাখা হয়।
যেমন ধরুন বাংলাদেশের মোরেল গঞ্জের কোন একটি চিংড়ী খামারে চিংড়ী উৎপাদন করা হল। কিন্ত চীংড়ী মাছটা পাক করে উপভোগ করবে লন্ডন ও নিউইয়র্ক বাসীরা। এর জন্য শুধু মাছটা ব্যাগে করে জাহাজে করে পাঠিয়ে দিলেই উদ্যেশ্য পূর্ণ হবেনা। এর জন্য সব ধরনের ক্ষতিকারক বিষয় হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে সংরক্ষণ ও প্যাকেজিংএর ব্যবস্থাটাও করতে হবে।
এভাবেই DNA কে অনন্তকাল বংসানুক্রমিক ভাবে সংরক্ষিত থেকে জীবন প্রনালীর ব্লুপ্রিন্ট হিসাবে অনবরত কার্য প্রনালী চালিয়ে যাওয়ার জন্যই CHROMOSOME এর এই সর্বোৎকৃষ্ট ও নিরাপদ রাখার জন্য বিশেষ PACKAGING এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই কাজে আরো সাহায্য করে NUCLEOSOME ও CHROMATIN নামক প্রোটীন পদার্থও।
টাইট এবং কয়েলিং এমন সূক্ষ বুদ্ধিমত্তার ও কৌশল খাটিয়ে করতে হয়েছে যাতে ৬ ফুট দীর্ঘ DNA টি অতি ক্ষুদ্র NUCLEUS এর মধ্যে অতি ক্ষুদ্র CHROMOSOME আকারে জায়গার সংকুলান হয়,এবং যাতে জীবনের মূল এই ব্লুপিন্টটি স্বাধীন ভাবে তার অসংখ্য রকমের কাজ কাম চালানো স্বত্বেও তার নিজস্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে, যেমন কোষ বিভাজনের সময় নিরাপত্তার সহিত UNPACK ও REPLICATE হতে পারা, TRANSCRIPTION(৩য় পর্ব দেখুন) নিরাপত্তার সহিত করতে পারা, এরুপ অসংখ্য রকমের কাজ কাম তাকে আমাদেরই জীবন প্রণালী চালানোর জন্য অনবরত পেচ খুলে কার্য সমাধা করতে হয় আবার কাজের শেষে পেচিয়ে গুটিয়ে নিরাপদ ভাবে রক্ষা করে রাখা লাগে।ঠিক যেমন আপনার ১০০ ফুট দীর্ঘ MEASURING TAPE টি কাজের সময়ে এক টান দিয়ে ১০০ ফুট দীর্ঘ করে কাজটি সমাধান করে থাকেন, আবার কাজ শেষে এটি ছোট্ট একটি বক্সের মধ্যে পেচিয়ে পেচিয়ে গুটিয়ে যায়।
না,না, কী ভাবে জীবনের এই ব্লুপ্রিন্টটাকে সবচেয়ে নিরাপদ ভাবে রেখে এর জটীল কাজ কাম চালাতে হবে তার প্রতিটা কোষে, তারজন্য একটি কোষও কখনই আমাদের নিকট সামান্যতম পরামর্শও চায় না, বা মূল্যও চায় না, আর আমরাও কোন ভাবে সাহায্য করি না,বা কোন মূল্যও দেইনা। কোষ নিজে নিজেই অতি বুদ্ধিমত্তার সংগে আমাদেরই প্রয়োজনে কাজটি অতি সুন্দর ও নিখুত ভাবে আমাদের অজান্তে অনবরত চালিয়ে যাচ্ছে।
আমরা অতিশয় ভাগ্যবান যে বিনা বেতনের প্রর ২০,০০০-২৫,০০০ GENES কে ২৪ ঘন্টা নিস্বার্থ ও নিরলস ভাবে আমাদের জন্য অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় আমাদের জীবন ভর প্রয়োজনীয় কাজ কাম করে চলেছে।
এদেরকে দিয়ে কাজ করানোর জন্য সামান্য তম মূল্য দিতে হলেও আমাদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় ছিল। যেমন ধরুন ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড,যক্ষ্মা বা ডাইরিয়ার মত কোন কিছু হলে আমাদেরকে সামান্য কিছু মূল্য দিতে গেলেই আমরা হিমসিম খেয়ে যাই।(১,২) (VIDEO-১), চিত্র-২
Figure source- http://ghr.nlm.nih.gov/handbook/basics/chromoso
চিত্র-২, ক্রোমোজোম
চিত্রটির একটু বর্নণা।
মনে রাখতে হবে স্বাভাবিক অবস্থায় ক্রোমোজোমকে মাইক্রোস্কোপে দেখা যায়না।
শুধুমাত্র তখনই দেখা যায় যখন কোষ বিভাজনের পূর্বে ক্রোমোজোম দুই কপি হয়ে যায় ও CHROMATIN নামক পদার্থটি গাঢ় হয়ে STAIN লয়।
অতএব এই চিত্রটি বিভাজনের পূর্বে ২ কপি হওয়া অবস্থার চিত্র।
লক্ষ্য করুন। ডানে উপরে DNA DOUBLE HELIX ।এটা HISTONE PROTEIN কে DNA এর কয়েলের কেন্দ্রে রেখে কয়েল হয়ে এবং প্যাক হয়ে হয়ে CHROMOSOME এ পরিণত হয়েছে।
এদের এক একটি STRAND কে CHROMATID বলে। এবং একটিকে আর একটির SISTER CHROMATID বলা হয় । এদের উভয়েরই GENETIC MATERIALS হুবহু একই বা IDENTICAL হয়।(পর্ব-৮ এ বিস্তারিত দেখুন)
এদের প্রত্যেকটির BODY এর মাঝখান হতে একটু প্রান্তের দিকে কিছুটা CONSTRICTION বা চাপা থাকে।
এই জায়গাটাকে CENTROMERE বলে। এখানে একটি CHROMATID এর BODY অন্য CHROMATID টির BODY এর সংগে লাগানো থাকে, যাতে এরা একে অপরকে ছেড়ে গিয়ে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যেতে পারে। কারণ ?
কারণ এরা যদি প্রথমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে CELL DIVISION এর কাজ ওলট পালট হয়ে যাবে।CELL DIVISION এর সময় এদের সতর্ক থেকে দুই জনকে অবশ্যই দুই মেরুর দিকে যেতে হবে।এরা যদি এক মেরুর দিকে চলে যায় তাহলে নব গঠিত কোষে ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা দিবে।
তাই এরা এদিকটায় লক্ষ্য রেখে এরা বিচ্ছিন্ন হয় ঠিক সময় মত CELL DIVISION এর সুনির্দিষ্ট ANAPHASE স্তরে,যখন এদের বিচ্ছিন্ন হয়ে দুইটা দুই মেরুর দিকে যাওয়ার ঠিক সময় এসে পড়ে। এদের অত্যন্ত সতর্কতার সংগে কাজ চালাতে হয়। এরা যদি একটু অসতর্কতার কারণে সামান্য ভূল করে ফেলে,তার জন্য আমাদেরকে চরম মূল্য দিতে হয়। (পূর্ব পর্ব-৮ দেখুন)
SISTER CHROMATID দের এরুপ জোড় বাধা অবস্থায় ৪ বাহু বিশিষ্ট X আকারে দেখায়।
বিজ্ঞানীগন GENE এর সঠিক অবস্থান বর্নণা করার জন্য একটি CHROMOSOME এর CENTROMERE এর দুই পার্শের দুইটি বাহুর দুইটি নাম দিয়েছেন।
SHORT বাহুটার নাম P ও LONG বাহুটার নাম q রেখেছেন। চিত্র-২ (২) ও ভিডিও গুলী দেখুন।
মানব GENOME কী”
মানব জাতির AUTOSOME কোষে ২৩ জোড়া বা ৪৬ টা এবং প্রজনন কোষে বিভাজনের পরে ২৩টা ক্রোমোজোম থাকে। প্রায় সমস্ত GENE এই CHROMOSOME গুলীর মধ্যেই থাকে।
এবং এই CHROMOSOME গুলী কোষের NUCLEUS এর মধ্যে থাকে। অতএব NUCLEUS টা হল সমগ্র কোষের তথা সমগ্র শরীরের নিয়ন্ত্রন কক্ষ। NUCLEUS হল কোষের নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র বা রাজধানী।
তাছাড়া কোষের সাইটোপ্লাজমেও MITOCHONDIA নামক অতি ক্ষুদ্র ORGALLE আছে সেখানেও কিছু পরিমান CHROMOSOME, যার বেশীর ভাগ মাতৃ হতে, পাপ্ত থাকে।
পিতৃ হতে MITOCHONDRIAL CHROMOSOME, সন্তান অতি অল্প পায় কারণ অধিকাংশ পিতৃ MITOCHONDRIAL CHROMOSOME , SPERMATOZOA এর TAIL এ থাকে, সাতরিয়ে এগিয়ে চলার শক্তি যোগানের জন্য। এবং OVUM FERTILIZATION এর সময় TAIL অংস OVUM এর বাইরে পড়ে যায়।
একারণে একটি শিশু পিতার চাইতে মাতার DNA কিছুটা বেশী পায়।
মাইটোকন্ড্রিয়াল DNA,CHROMOSOME আকারে প্যাক করা থাকেনা,থাকে সূক্ষ্ম লম্বা রশির আকারে।
ব্যাকটেরিয়ার DNA ও সূক্ষ্ম লম্বা রশির মত থাকে, CHROMOSOME আকারে প্যাক করা থাকেনা।
এজন্য বিজ্ঞানীগন মনে করেন হয়তো অনেক পূর্বে কখনো মানুষের কোষ ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে এটা হয়ে থাকতে পারে।এটা তারই লক্ষণ।
কোষের নিউক্লীয়াছের ৪৬ টা ক্রোমোজোম এর DNA এবং কোষের ছাইটোপ্লাজমের MITOCHONDRIA এর DNA, এই সমগ্র DNA গুলীকে একত্রে মিলে “HUMAN GENOME” বলা হয়। যেহেতু CHROMOSOME কোষের নিউক্লীয়াছের মধ্যে থাকে, এবং এবং রক্তের লোহিত কনিকা কোষে কোন NUCLEUS থাকেনা ,অতএব রক্তের লোহিত কনিকায় কোন CHROMOSOME থাকেনা ।
আমাদের জীবনের জেনেটিক বই।
এটা শুনতে কী খুব অবাক লাগতেছে যে আমাদের জীবনটা পরিচালিত হয় আমাদের জেনেটিক বইটায় যে ভাবে পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া আছে ঠিক সে ভাবেই? এই নির্দেশ নামার বাইরে আমাদের শরীর সামান্য চুল পরিমান ও কোন কিছু করার ক্ষমতা রাখেনা।
ধরে নিন ঠিক যে ভাবে NISSAN MOTOR কোম্পানির ম্যানেজারকে তার মালিক যে ফর্মূলা অনুসারে তার CAR উৎপাদন করতে বলেছে, ম্যানেজারের ক্ষমতা তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তার কারখানার সমস্ত কাজ কাম সেই ফর্মুলার মধ্যে বাঁধা। তার বাইরে তার কিছুই করার ক্ষমতা নাই।
হ্যাঁ, সত্যিই আমাদের জীবন পরিচালনার জন্যও আমাদের ১০০ ট্রিলিয়ন কোষের প্রতিটা কোষের NUCLEUS এর মধ্যেও ২ কপি বিরাট ভলুমের নির্দেশ- নামা, পুস্তক আকারে সেই জীবণের প্রথম কোষ ZYGOTE সৃষ্টি হওয়ার সময় হতে সংরক্ষন করে রাখা হয়েছে, এবং মৃত্যু পর্যন্ত এটা থাকবে। আমাদের জীবনের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান এই ২টি পুস্তক আমাদেরকে আমাদের কোন্ আপন জন প্রদান করেছেন তা কী জানেন? সম্ভবতঃ তা জানেন না। তাহলে আজ হতে জেনে রাখুন পৃথিবীর সব কিছুর চাইতে আমাদের জীবনের জন্য এই ২টি মূল্যবান পুস্তকের একটি প্রদান করেছেন আমাদের সবচেয়ে আপন জন পিতা এবং আর একটি প্রদান করেছেন মাতা, মনে করতে পারেন ঠিক যেমনটা তারা তাদের সম্পত্তি, বিষয়াদি ও আমাদেরকে অবদান করেন।
কাজেই পিতা মাতার এই অবদান কে আমাদের অস্বীকার করার বা অকৃতজ্ঞ হওয়ার কোনই পথ নাই। আমাদের ১০০ ট্রিলিয়ণ কোষের প্রতিটা কোষই আমাদের পিতা মাতার সৃতি ও অবস্থিতির স্বীকৃতি প্রতি মূহুর্তে প্রকাশ করতেছে।
অতএব আপনাকেও তদ্রুপ করতে হবে। আমি কোন মুনি ঋষির উপদেশ বাক্য আওড়াইতেছিনা, এখানে যা কিছু বলা হচ্ছে বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত বিষয়ই বলা হচ্ছে। (২,৫)
এই উভয় ভলুমেই ২৩টা ভিন্ন ধরনের ও ভিন্ন ছাইজের চ্যাপটার রয়েছে। পিতা মাতার ২৩ টা করে CHROMOSOME ই এই ২৩ টা চ্যাপ্টার ।
বই এর এই চ্যাপটার গুলীর প্রতিটা পাতায় GENETIC CODE (সংকেৎ) এর মাধ্যমে আমাদের জীবন পরিচালনার সমস্ত নির্দেশাবলী দেওয়া রয়েছে।
এই GENETIC নির্দেশ এর পৃষ্ঠা কোন চ্যাপ্টারের মধ্যে বেশী যেমন. ১ নং CHROMOSOME এ আছে ৪২২০টা জ্বীন ও কারো মধ্যে কম যেমন. ১১ নং CHROMOSOME এ মাত্র ৩৭৯ টা জ্বীন আছে। আবার নূতন কোন জ্বীন আবিস্কৃত হলে এই সংখ্যা বেড়ে যায়।(১,২)
বিজ্ঞানীগন আবিস্কার করে ফেলেছেন, এই বইএর সমগ্র পাতায় সমগ্র নির্দেশ লিখতে মাত্র চারটি রাসানিক সাংকেতিক অক্ষর, A, T, C ও G ব্যবহার করেছে। এবং এর মধ্য হতে যে কোন ৩টি অক্ষর লয়ে এক একটা শব্দ তৈরী করেছে।এই প্রত্যেক ৩টি অক্ষরকে (TRIPLET) ১টি CODON বলে।( CODON কী? ৩য় পর্ব দেখুন) চিত্র-৩,৫
এই ৪টি রাসায়নিক অক্ষর ৪ টি রাসায়নিক যৌগ পদার্থ (NUCLEOTIDE) কে নির্দেশ করে,(পূর্বেই বলা হয়েছে) যেমন, A=ADENINIE NUCLEOTIDE, T= THYMINE NEUCLEOTIDE, C=CYTOSINE NUCLEOTIDE G=GUANINE NUCLEOTIDE. (২য় পর্ব দেখুন)
আমরা ঠিক বইএর পাতার উপর শব্দ দেখে যে ভাবে ওটা পড়ে ফেলি, আমাদের শরীরের কোষগুলী ও ঠিক তদ্রুপ DNA এর পাঠানো রাসায়নিক শব্দ দ্বারা তৈরী নির্দেশটা পড়ে ফেলে। এরপর কোষগুলী তদনুসারে নির্দেশ পালন করে।
শরীরের কোষের কাজের ইয়ত্তা নাই। এক এক ধরণের কোষের এক এক ধরনের কাজ করতে হয়।যেমন লিভার কোষের এক ধরনের কাজ করতে হয়, মস্তিস্ক কোষের এক ধরনের কাজ করতে হয়, হৃদপিন্ড কোসের এক ধরণের কাজ করতে হয়, স্নায়ূ কোষের এক ধরনের কাজ করতে হয়।
এরুপ নানান যায়গায় নানান রকমের কাজ করা লাগে।
এভাবে যার যেখানে যে ধরনের কাজের প্রয়োজন হয় তাকে শুধু মাত্র সেই ভাবেই কাজের নির্দেশ পত্রটা দেয়।
ঠিক যেমন ধরে নিতে পারেন, একটি রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রন কক্ষ সেনা বাহিনীকে এক ধরনের নির্দেশ, প্রশাসন বিভাগকে এক ধরনের নির্দেশ, আইন প্রয়োগ সংস্থাকে এক ধরনের নির্দেশ, চিকিৎসা বিভাগকে এক ধরনের নির্দেশ পাঠিয়ে সুস্ঠু কাজের সমন্বয় সাধন করে থাকে।
একজনের নির্দেশ আর এক জনকে দিলে কাজ অচল হয়ে পড়বে। তাই তা কখনোই করবেনা।
ঠিক একই ভাবে DNA ও যে কোষের যে কাজ,তাকে সেই কাজেরই নির্দেশ নামা পাঠায়। কখনো এক জাতীয় কোষের নির্দেশ নামাকে অন্য জাতীয় কোষকে দেয়না। তা করলে শরীর সংগে সংগে অচল হয়ে পড়বে।
আবার একটা পুস্তক যখন পুরাতন হয়ে যায়,তখন এর পাতা গুলী যেমন পুরাতন হয়ে অক্ষর গুলী অস্পষ্ট হতে থাকে বা পাতা ছিড়ে ছিড়ে যেতে থাকে, এর উপরের লেখাগুলী আর ভাল ভাবে পড়া যায়না,এবং নির্দেশ ও বুঝে ঠিক ভাবে পালন করা যায়না, ঠিক তদ্রুপ আমরা বৃদ্ধ হতে থাকলেও আমাদের জেনেটিক বইয়ের লেখা নির্দেশ গুলীও দুর্বোধ্য হতে থাকে। এর জন্য বৃদ্ধ বয়সে আমাদের উপর নানান রকমের দুর্ভোগ ও নেমে আসতে থাকে।
HUMAN GENOME এর GENE গুলীর রাসায়নিক অক্ষর হতে উৎপন্ন শব্দ গুলীর SEQUENCE (পরম্পরতা) গুলী এবং LOCATION, অর্থাৎ CHROMOSOME এর কোন বাহুর (p অথবা q) কোন জায়গায় অবস্থিত,তা THE HUMAN GENOME PROJECT সংগ্রহ করে করে,ম্যাপ করে ও DATA BASE করে সংরক্ষন করে রেখে দিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত ১২৮০০ টা জ্বীনের DATA BASE সংরক্ষন করতে পেরেছে। তবে এখনো পর্যন্ত বহু জ্বীন এর ডাটা অনুদ্ধারিত রয়ে গিয়েছে ,এবং সেই সব অনুদ্ধারিত জ্বীন গুলী BODY কে কী ধরনেরই বা নির্দেশ দেয় তা আবিস্কার করতে বহু বৎসর সময় লেগে যাবে।
তারা জানতে পেরেছেন প্রত্যেকটা জ্বীন এর একটি নির্দিষ্ট স্থান (LOCI) ও একটি নির্দিষ্ট কাজ রয়েছে।
আমাদের জ্বীন গুলী এটাও নির্ধারণ করে দেয়, আমাদের শরীর কী ভাবে বৃদ্ধি পাবে, কতটুকু পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে , আমরা দেখতে কেমন হব, যেমন আমাদের চর্ম সাদা রং হবে নাকী কালো রংএর হবে, চক্ষু ও চুলের রং কেমন হবে, আমরা কতটুকু উচু হব, আমাদের নাকের আকৃতি কেমন হবে, আমাদের মুখমন্ডল টা কী রকম হবে, আমাদের মেধা কতটুকু হবে ইত্যাদি।
কোন একটি জ্বীনে একটি নির্দিষ্ট প্রোটীন উৎপাদনের জন্য কয়েক শত হতে কয়েক হাজার পর্যন্ত রাসায়নিক সাংকেতিক শব্দ থাকতে পারে।
এই জ্বীন গুলী DNA তে সুতায় গীঁট দেওয়ার মত কিছু পর পর গোটা গোটা দানা আকারে (BEAD) দেখতে পাওয়া যায়।
DNA এর এই কিছু পর পর এই গোটা গোটা দানার, এক একটা গোটার (BEAD) এর মধ্যে এক একটা GENE এর সাংকেতিক কোড অবস্থান করে। এটা সম্পূর্ণ DNA এর ১% মাত্র, যার মধ্যে GENETIC সাংকেতিক কোড থাকে। DNA এর এই অংসকে বলে CODING DNA।
আর DNA এর বাকী ৯৯% অংসকে বলে NON CODING DNA অথবা JUNK DNA.(২)
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই বিরাট অংশের JUNK DNA এর মধ্যে কোষের জন্য কোন কার্য পালনের সাংকেতিক নির্দেশনা থাকেনা।
এই JUNK DNA এর পুরাপুরি কার্য কারিতা এখনো বিজ্ঞানী গন জানতে পারেন নাই। তবে যৎ সামান্য কিছু কিছু কাজ জানতে পেরেছেন যেমন এর একটি অংশ “SWITCH ON” এবং SWITCH OFF এর কাজ ও FORENSIC MEDICINE এ ব্যক্তির BIOLOGICAL সম্পর্ক অনুসন্ধানের কাজে বিশেষ সহায়তা করে থাকে।
“SWITCH ON” ও ‘SWITCH OFF” কী?
কোন জ্বীন এর কোন একটি প্রোটীন এর উৎপাদন এর প্রয়োজন হইলে সেই জ্বীন কে ACTIVE করে দেওয়াকে “SWITCH ON”বলে। আর যখন প্রয়োজন না থাকে তখন IN ACTIVE করে রাখাকে ‘SWITCH OFF” বলে। ঠিক যেমনটা আমরা প্রয়োজনে ঘরের বৈদ্যুতিক বাতিটার সুইচ অফ-অন করে থাকি।
যেমন ধরুন, আমাদের শরীরে চর্ম কোষ,মাংস কোষ,মস্তিস্কের স্নায়ু কোষ,হৃদপিন্ড মাংস কোষ,কীডনী কোষ,লিভার কোষ, থাইরয়েড কোষ, এরুপ ধরনের শতাধিক বিভিন্ন ধরনের কোষ রয়েছে যাদের কার্যও ভিন্ন ভিন্ন ধরনের।
আবার আমাদের প্রত্যেকটি কোষের NUCLEUS এ হুবহ একই DNA ও জ্বীন রয়ে গিয়েছে।
যেমন ধরুন একটি লিভার কোষেও যে জ্বীন রয়ে গিয়েছে,ঠিক সেই জ্বীন ই কীডনি ও হৃদপিন্ড বা স্নায়ূ কোষেও রয়ে গিয়েছে।
তাহলে কী হৃদপিন্ডের কোষের ভিতর যে কীডনী , লিভার ও স্নায়ূ কোষে কাজ করার জ্বীন গুলী রয়েছে সেগুলীও কী কাজ করতে থাকবে?
না,তা কখনই করবেনা। হৃদপিন্ডে যদি কীডনি , লিভারে ও স্নায়ূ কোষে যে বস্তু উৎপন্ন করা হয়, তা উৎপন্ন করা হলে তো ব্যক্তিটি সাথে সাথেই মারা যাবে।
হৃদপিন্ড কোষে হৃদপিন্ডের কাজ পরিচালনা করার জন্য যে জ্বীন গুলী প্রয়োজন শুধু মাত্র সেই জ্বীন গুলীই “SWITCH ON” করে কাজ চালানো হয়, এবং কিডনী ও লিভার বা স্নায়ূ কোষ এর কার্য পরিচালনার জন্য যে জ্বীন গুলী থাকে সেগুলীকে ”SWITCH OFF” করে রেখে কাজ বন্ধ রাখা হয়।
এরুপ ভাবে ভিন্ন ভিন্ন কোষে শুধু মাত্র তার নিজস্ব প্রয়োজনের জ্বীন গুলীই ACTIVE করে রাখা হয় এবং অন্যদের প্রয়োজনীয় জ্বীন গুলী IN ACTIVE বা “SWITCH OFF” করে রাখা হয়। (২,৫)
আর এই নিয়ন্ত্রনের কাজটি, বিজ্ঞানীদের ধারনা, NON CODING, বা JUNK DNA করে থাকে।
তাহলে দেখতে পারলেন তো,শুধু খাওয়া দাওয়া করেই আমরা বাচতে পারিনা, বরং আমাদের আভ্যন্তরীন সমস্ত অর্গান গুলী সহ সমস্ত কোষ গুলী কে DNA অতি সুক্ষ্ম ও নিখুত ভাবে বিনা মূল্যে অনবরত সেবা প্রদান করে , আমাদেরকে বাচিয়ে রাখার মূল দায়িত্বটা পালন করতেছে। শারীরিক এই জটিল সুক্ষ্ম কারিকরী কাজের জন্য আমাদের কোন ব্যয় ও করতে হচ্ছেনা বা কোন ঔষধ ও প্রয়োগ করার দরকার হচ্ছেনা।
এটা পরিচালনার জন্য কোন ঔষধের উপর নির্ভরশীলতা থাকলে, এই পৃথিবীতে, শুধু মানুষ ই নয়, কোন প্রানীর পক্ষেই বেচে থাকা সম্ভবপর ছিলনা।
ধরুন যদি আমাদের মোট ১০০ ট্রিলিয়ন কোষের DNA গুলীকে সঠিক ভাবে কাজ করানোর দায়িত্বটা আমাদের উপর ন্যস্ত থাকত, তাহলে আমাদের অবস্থাটা কী হইত?
হ্যা, আমরা বড়ই ভাগ্যবান যে এদিকে আমাদের ফিরেও তাকানো লাগেনা, এরা আমাদের অজান্তে আমাদের শরীরের এসব অতিশয় সূক্ষ্ম ও জটিল কাজ গুলী অনবরত চালিয়ে আমাদেরকে জীবন্ত ও প্রানবন্ত করে রাখতেছে।
এর ফলে আমরা আমাদের রুটি-রুজীর দিকে পূর্ণ মাত্রায় মনোযোগ দিতে পারি। এত সুবিধা ভোগ করার পরও আমরা কীই বা করতে পারতেছি?
শরীরের সমস্ত জ্বীন সব সময় “SWITCH ON” বা ACTIVE থাকেনা।
আবার কিছু কিছু জ্বীন আছে যারা শুধুমাত্র শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত ACTIVE থাকে। শিশু ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর তাদের আর কোন কাজ থাকেনা বলে তারা DNA এর মধ্যে আজীবন ”SWITCH OFF” অবস্থায় কাটিয়ে দেয়।এরা জরায়ূতে ভ্রুনের STEM কোষ হতে বিশেষায়িত (CELL DIFFERENTIATION) কোষ বিশেষায়িত করার কাজ করে।
শিশু ভুমিষ্ঠ হয়ে যাওয়ার পরে এই কাজটা ফুরিয়ে যাওয়ায় এদেরকে “SWITCH OFF” করে বসিয়ে রাখা হয়।
কতবড় নিয়মের শৃংখলতা এদের রক্ষা করতে হয় একবার দেখুনতো। আমরা মানুষেরাও বোধ হয় এরুপ নিয়ম কানুনের প্রতি এতটা আন্তরিক ও শ্রদ্ধাশীল হতে পারিনা।
সামাজিক নিয়ম কানুনের প্রতি,যার যার অবস্থানের দায়িত্বের প্রতি আমরা এরুপ নিয়মানুবর্তী হতে পারলে আমাদের গোটা সমাজ ও উন্নতির চরম শিখরে উঠে যেতে পারতো।
উন্নত দেশগুলীতে উন্নতির মূল রহস্যের চাবি কাঠি তাদের নিয়মানুবর্তিতা ও নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে আন্তরিকতা। যে যেখানে আছে কারোরই নিয়মের বাইরে কিছু করার ক্ষমতা নাই, তাদের সঠিক দায়িত্ব পালনের কাজটিকে সবচেয়ে পবিত্র কাজ মনে করে। সেখানে ঘুষ ও পক্ষপাতিত্ব অচল।
অনেকে আমেরিকা বা উন্নত বিশ্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এই বলে যে, এখানে কঠোর নিয়ম কানুনের মধ্য দিয়ে চলতে হয়, যেমনটা ধরা যাক আমেরিকার প্রেসিডেন্টকেও বিচারের কাঠ গড়ায় দাড়ানো লাগে।
তারা এতটুকু চিন্তা করেনা যে, আমেরিকায় কঠোর নিয়ম কানুন আছে বলেই আজ আমেরিকা “আমেরিকা” আছে, নইলে আমেরিকা, আফ্রিকা এশিয়ায় পরিণত হয়ে যেত।
এরুপ ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়া ও।
যে পরিবারে বা জাতিতে শৃংখলা ও নিয়মানুবর্তিতা নাই, সে পরিবার বা জাতি ব্যর্থ পরিবার বা জাতিতে পরিণত হতে বাধ্য।
DNA কোষকে কী ভাবে কাজের নির্দেশ পাঠায়, তার একটি বিশেষ উদাহরন দেখুন।
DNA শরীরের এক এক ধরনের কোষে এক এক ধরনের GENE এর রাসায়নিক সাংকেতিক কোড এর ব্যবহার করে এক এক ধরনের কার্য পরিচালনা করে।
ধরা যাক আমাদের গলনালীর সম্মুখে “থাইরয়েড গ্রন্থি” নামে একটি গ্রন্থি আছে তার কথা।
এই গ্রন্থিটার বিশেষ কোষ আমাদের T3 ও T4 (THYROXINE) নামক একটি বিশেষ ধরনের হরমোন আমাদের শরীরের প্রতিটা কোষের METABOLISM পরিচালনার জন্য অনবরত একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় উৎপাদন করে আমাদের শরীরে বিনা পয়সায় সরবরাহ করে যাচ্ছে।
এটা ছাড়া আমাদের কোষের METABOLISM বন্ধ হয়ে যাবে এবং তখন আমরা খাওয়া দাওয়া ঠিক মত করলেও সে খাদ্য দ্বারা শরীর শক্তি উৎপাদন করতে পারবেনা, আর তখন আমরা ধীরে ধীরে দুর্বল হতে হতে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে থাকব, যদি কিনা রোগটি যথা সময়ে নির্ণিত না হয় এবং উপযুক্ত রোগ নির্নয়ের মাধ্যমে চিকিৎসক কৃত্রিম উপায়ে উৎপাদিত THYROXINE HORMONAL ঔষধ টি উপযুক্ত মাত্রায় প্রতিদিন দেওয়ার ব্যবস্থা না করতে পারেন।
মনে রাখা ভাল বিজ্ঞানের অবদানে উদ্ভাবিত সেই কৃত্রিম THYROXINE TAB এর যথেষ্ঠ মূল্য আছে। আমাদের দেশে সবাই এটা আজীবন চালিয়ে যেতে আর্থিক ভাবে সক্ষম হবেননা।
তবে উন্নত বিশ্বের সরকার গুলী নাগরিকদের জন্য সরকারী খরচায় সমস্ত চিকিৎসা খরচা বহন করে থাকে।
আমাদের দেশে এ সুবিধাটা এখনো গড়ে উঠে নাই। আশা করা যায় অদুর ভবিষ্যতে আমাদের দেশের জনগনের জন্য সরকার এ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
এবার আমাদের মূল বিষয়ে আসা যাক। থাইরয়েড গ্রন্থির বিশেষ কোষ এ THYROXIN উৎপাদন করতে গেলে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদার্থ যেমন আয়োডিন সহ একটি বিশেষ “এমাইনো এসিড” (প্রোটীন একক) এর একান্ত প্রয়োজন হয়। এই “এমাইনো এসিড” (প্রোটীন একক) টির নাম TYROSINE এমাইনো এসিড।এটা ২২ নং এমাইনো এসিড।
এবার দৃষ্টি দেওয়া যাক DNA কোন সাংকেতিক নির্দেশ ববহার করে, কী ভাবে থাইরয়েডের বিশেষ কোষকে TYROSINE উৎপাদন করে দেয়।
Source of Figure- http://bioinfo.bisr.res.in/cgi-bin/project/crat/theory_codon_restriction.cgi
চিত্র- ৩ আর এন এ CODON টেবিল।
উপরের চিত্র-২ লক্ষ করুন।
বাম দিক হতে ৩য় লাইনের সর্বোপরে UAU এবং UAC, CODON দুইটি TYROSINE এর উৎপাদনের তিন অক্ষর বিশিষ্ঠ সংকেৎ বা CODON নির্দেশ করতেছে। এই দুইটার যে কোন একটি CODON, DNA ,
RNA(চিত্র-৫) কে TRANSCRIBE বা কপি (৩য় পর্ব, TRANSCRIPTION দেখুন) করে ,NUCLEUS এর বাইরে CYTOPLASM এর মধ্যে অবস্থিত RIBOSOME (চিত্র-৪) নামক অতি ক্ষুদ্র কোষ একক (ORGANELLE),এর নিকট পাঠিয়ে দেয়। RIBOSOME এর আর একটা RNA, যার নাম TRANSLATION RNA বা সংক্ষেপে tRNA, এটা অনুবাদ করে RIBOSOME কে TYROSINE উৎপাদন করতে বলে দেয়।(৩,৪)
RIBOSOME তখন কোষকে থাইরয়েড গ্রন্থির কোষকে TYROSINE উৎপাদন করে দেয়। এর পরে THYROID GLAND এর কোষগুলী, অন্যান্য সব পরিস্থিতি ঠিক থাকলে, THYROXINE নামক এই অতি প্রয়োজনীয় হরমোনটি আমাদের জন্য উৎপাদন করে দেয়।
কী ভাবে RIBOSOME, tRNA দ্বারা DNA কোডকে ভাষায় রুপান্তরিত করে প্রোটীন উৎপাদন করে তার জন্য দেখুন পর্ব-১১।
এখানে মনে রাখা দরকার RIBOSOME কোষের মধ্যে প্রোটীন উৎপাদনের কারখানা হিসাবে কাজ করে।
এখানে আরো একটু মনে রাখা ভাল, যদি DNA এর উক্ত TYROSINE এর UAU এবং UAC রাসায়নিক সাংকেতিক কোড গুলী, কোন কারণে যেমন ULTRA VIOLET এর আঘাতে বা ধুম পানের BENZO A PYRENE নামক একটি বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের আঘাতে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কোষ আর TYROSINE উৎপাদন ও সরবরাহ করতে পারবেনা, এবং THYROID কোষ ও আর THYROXINE উৎপন্ন করতে পারবেনা।
কোষের DNA এর এই পরিবর্তনকে MUTATION বলে। MUTATION সম্পর্কে জানতে পড়ুন “পর্ব- ১২” ।
তবে যেহেতু প্রতি কোষে পিতৃ ও মাতৃ CHROMOSOME এর ২টা CHROMOSOME বই থাকে, একারণে একটা অকেজো হয়ে যাওয়ার পর অন্যটার সুস্থ জ্বীনটা কাজ চালিয়ে নিয়ে যায়।
ঠিক যেমন আমাদের পিতা মারা গেলে,আমাদের মাতা আমাদের জীবণটা চালিয়ে লওয়ার দায়িত্বটা কাঁধে লয়।
এভাবেই আমাদের প্রতিটা কোষে পিতা-মাতার ডবল CHROMOSOME রেখে আমাদের শারীরিক আভ্যন্তরীন নিরাপত্তা আরো জোরালো করে রাখা হয়েছে, ঠিক যেমনটা আমাদের জন্মের পর হতেও আমাদের পিতা মাতা আমাদেরকে বাহ্যিক বিপদ আপদ থেকেও সংরক্ষনের দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
অন্যভাবে, পিতা মাতা আমাদের ভিতরে ও বাহিরে উভয় ক্ষেত্রেই অবস্থান করে আমাদের রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বপালন করে যাচ্ছেন।
Figure source-http://mrsgiegler.weebly.com/bio-bloggin/and-the-election-winners-are
চিত্র-৪ , রাইবোছোম, কোষের প্রোটীন তৈরীর কারখানা
Figure source- https://en.wikipedia.org/wiki/Genetic_code
চিত্র-৫, RNA যে ভাবে DNA হতে CODON কপি করে বহন করে লয়ে যায় (পর্ব-৩ এ বিস্তারিত দেখুন)
মানব দেহের রহস্য জানতে সংগে থাকুন।
অন্যান্য পর্ব এখানে দেখুন- https://chkdr02.wordpress.com/
Edited on- 8/17/2015
ভিডিও গুলী দেখুন-
১) http://www.youtube.com/watch?NR=1&feature=fvwrel&v=yqESR7E4b_8
২) http://www.youtube.com/watch?v=T76usaEe7yE
৩) http://www.youtube.com/watch?v=xUrlreMaUrs
৪) http://www.youtube.com/watch?v=C8OL1MTbGpU
নবম পর্বের সূত্র সমূহ-
১) http://en.wikipedia.org/wiki/Chromosome
২) http://ghr.nlm.nih.gov/handbook/basics/chromosome
৩) http://en.wikipedia.org/wiki/Tyrosine
৪) http://en.wikipedia.org/wiki/Codon
5) https://www.genome.gov/26524120
বিষয়: বিবিধ
১১৯৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাদের একটু কাজে লাগার জন্যই আমার এই অসাধ্য পরিশ্রম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন