জনাব আবদুল গাফফার চৌধুরীর বক্তব্য ও তার প্রতিক্রিয়া - ইসলাম-সম্মত বনাম ইসলাম-বিরোধী

লিখেছেন লিখেছেন আঃ হাকিম চাকলাদার ১৫ জুলাই, ২০১৫, ১২:৫২:২২ রাত



জনাব আবদুল গাফফার চৌধুরীর বক্তব্য ও তার প্রতিক্রিয়া -

ইসলাম-সম্মত বনাম ইসলাম-বিরোধী [/b

[b]লেখক-হাসান মাহমুদ
৯ জুলাই, ৪৫ মুক্তিসন (২০১৫)

প্রকাশক- আবদুল হাকিম চাকলাদার(অনুমোদনক্রমে)

গত ০৩ জুলাই ২০০৫ নিউ ইয়র্কের অনুষ্ঠানে জনাব আবদুল গাফফার চৌধুরীর বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় চলছে। সমস্যা হয় ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুল বোঝাবুঝিতে। আমরা জনাব চৌধুরীর বক্তব্য খুঁটিয়ে দেখেছি এবং তাতে ইসলাম-বিরোধীতার লেশমাত্র পাইনি। কেন তা ব্যাখ্যা করছি।

• জনাব চৌধুরীর বক্তব্য ছিল সংস্কৃতির আদান-প্রদান নিয়ে যার প্রধান অনুসঙ্গ ভাষার উদাহরণ হিসেবে আরবী ও বাংলা এসেছে। আরবী ভাষাটা ইসলাম সৃষ্টি করেনি, আরব-বাসীদের চিরকালের ভাষা ওটা। ইসলাম গ্রহণ করার পর সাহাবীরা প্রায় কেউই নাম বদল করেন নি এটা ঐতিহাসিক সত্য। শুধু রসুল (স)-এর পিতা-ই নন, হজরত আবুবকরের (রা) -এর আসল নাম আবদুল্লাহ ইবনে আবু কুহাফাহ, আবু হোরায়রা'র আসল নাম আবদুল রহমান ইবনে সাখর। আবদুল্লাহ ও আবদুল রহমান মানে আল্লাহ'র দাস। "দাস" যেহেতু স্রষ্টারই হয়, তাই প্যাগানদের "আল্লাহ" ওদের স্রষ্টাকেই নির্দেশ করে।

• বিড়ালের বা ছাগলের বাবা শুনে যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের বলি, মধ্যপ্রাচ্যে "আবু" শাব্দিক অর্থে “বাবা”, আর সাংস্কৃতিক অর্থে উপাধির মতন। আমাদের কাছে উদ্ভট লাগতে পারে কিন্তু স্নেহভাজন কাউকে আদর করে "আবু" বলাটা ওদের কাছে একেবারেই স্বাভাবিক। আল্লাহ ছাড়া আর কারো গোলাম হওয়া নিষিদ্ধ কিন্তু আমাদের ভাষা-সংস্কৃতিতে গোলাম নবী, গোলাম মওলা, গোলাম আলী, বন্দে আলী এসব নাম দিব্যি চলেছে। বিশ্ব-মুসলিমের অনেকের কাছে এসব নাম উদ্ভট মনে হবে। মাটিতে ঘুমনোর সময় হজরত আলীর (রা) গায়ে মাটি লেগেছিল - রসুল (স) আদর করে তাঁকে ডেকেছিলেন "আবু তোরাপ" - মানে মাটির বাপ, তোরাপ মানে মাটি – (সহি মুসলিম ৫৯২৪, সহি বুখারী ৫ম খণ্ড ৫৩ ও ৮ম খণ্ড ২২৩ ও ২৯৭)। আবু হোরায়রা বিড়ালকে ভালবাসতেন, রসুল (স) তাঁকে আবু হোরায়রা অর্থাৎ বিড়ালের বাপ বলেছিলেন বলে ও নামটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। হজরত আবু বকর(রা) ছোটবেলায় পোষা ছাগলদেরকে এত ভালবাসতেন যে তাঁর পিতা কাপড় ব্যবসায়ী আবু কুহাফাহ তাঁকে আদর করে ডাকতেন "আবু বকর" - অর্থাৎ ছাগলের বাপ - ওটাই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।

• অনেকের মতে নবীদের মধ্যে যাঁরা রিসালা অর্থাৎ গ্রন্থ পেয়েছেন তাঁরা একইসাথে নবী ও রসুল দুইই। "রসুল"-এর মানে "দূত" বা "সংবাদবাহক" এটাও অনেকে বলেন। রিয়াদের জাদুঘরে নেহেরু'র সম্মানে "শান্তির রসুল" প্ল্যাকার্ড আছে, এ থেকে আমাদের কি কিছুই শেখার নেই?

• আল্লাহ'র প্রায় সব নামই বিশেষণ, গুণভিত্তিক (রহমান, রহীম) বা কর্মভিত্তিক (কাহহার, রাজ্জাক)। প্রতিটি ধর্ম সম্প্রদায় স্রষ্টার ওপরে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান-শব্দ গুলো ব্যবহার করে। প্রাচীন আরবীরা তাই করেছে এমন দলিল আমাদের কাছে নেই কিন্তু ওটাই তো স্বাভাবিক! কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায় তাদের স্রষ্টার ব্যাপারে সর্বশ্রেষ্ঠ শব্দ ব্যবহার করবে না এটা কি সম্ভব? কারো কাছে বিপরীত দলিল থাকলে হুংকার না দিয়ে জাতির সামনে প্রকাশ করলেই তো হয়! অজস্র অবিশ্বাস্য তথ্যে ভরা মুসলিম ইতিহাস। সবাই তো সবকিছু জানেনা, পরস্পরের কাছ থেকে শিখে নেয়াটা খুব জরুরী। আলেম সমাজের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক, তাঁদের দায়িত্বও অনেক। কোনো মতভেদে প্রথমেই দেখতে হয় বলা-বোঝার মধ্যে কোনো ভুল হল কি না। তা না করে গালাগালি ও জনতাকে হিংস্রতার দিকে উসকিয়ে দিলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশী। সবাই নিজের নিজের মাতৃভাষায় নামাজ পড়ুক এটা কেউ বিশ্বাস করবে না কিন্তু এ ফতোয়া দিয়েছিলেন স্বয়ং ইমাম আবু হানিফা (র)-(প্রিন্সিপলস অফ ইসলামিক জুরিসপ্রুডেন্স -বিশ্ববিখ্যাত শারিয়াবিদ ড: হাশিম কামালী, পৃষ্ঠা ৩৫)।

• সবচেয়ে মারাত্মক হল মতভেদ হলেই "ইসলাম থেকে খারিজ", "মুরতাদ" ফতোয়াবাজী করা। বিশ্ব-মুসলিমের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি করেছে এই মারাত্মক বদভ্যাস। বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী'র (র)মত দরবেশ সহ (ভুমিকা, তাঁর বই ফতহুল গয়ব)বহু মুসলিম চিন্তাবিদ এই কালনাগীনির ছোবলের শিকার হয়েছেন, বিশ্ব-মুসলিমের অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছে। যাঁরা মুরতাদ ফতোয়া জারী করেন তাঁরা খেয়াল করেন না তাঁদেরকেও মুরতাদ বলার ইমাম আছেন। এতে ফিতনা বাড়ে, এজন্যই রসুল (স) বলেছেন কোনো মুসলিম অন্য মুসলিমকে ওরকম বললে তাদের একজন সত্যিই মুরতাদ (বুখারী ৮ম খণ্ড ১২৫)। আমরা কেন ভুলে গেলাম রসুল (স)-এর উদ্বিগ্ন সতর্কবাণী -"তুমি কি তাহার বক্ষ চিরিয়া দেখিয়াছ? কে তোমাকে কলমা'র দায় হইতে মুক্ত করিবে, উসামা"? (সিরাত - ইবনে হিশাম/ইবনে ইশাক – পৃষ্ঠা ৬৬৭)

• মুরতাদ শব্দটার মূল হল "রাদ" যা হল স্বকর্ম। যেমন আত্মহত্যা বা আত্ম-সমালোচনা। এগুলো নিজে করতে হয়, বাইরে থেকে কেউ করিয়ে দিতে পারেনা। নিজে থেকে ঘোষণা না করলে তাকে মুরতাদ ঘোষণা করার বিরুদ্ধে কোরান (নিসা ৯৪) ও রসুল (স)-এর সুস্পষ্ট নিষেধ আছে। রসুল (স)-এর নির্দেশমত সাহাবীরা বানিয়েছিলেন মুসলমানের তালিকা, প্রায় ১৫০০ ছিল সেটা। তার মধ্যে নিশ্চয়ই কিছু মুনাফেক ছিল যারা মুসলিম সেজে ক্ষতি করতে চাইত। রসুল (স) তা জেনেও কাউকে সে তালিকা থেকে বাদ দেননি (বুখারী ৪-২৯৩)। তিনি জানতেন ওটা করলে ভবিষ্যতে কিছু মুসলিম অন্য মুসলিমকে অমুসলিম বলবে, ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে মুসলিম সমাজ। কিন্তু তার পরেও মুসলিম ইতিহাস ভরে আছে পরস্পরের প্রতি কাফের মুরতাদ ফতোয়ায়।

জনাব চৌধুরীর প্রতি গালাগালি ও হুমকি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছু নয়। বিশ্বে যখন খবর ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের ইসলামী সংগঠন জাতির নারীদের ক্লাস ৫-এর বেশী পড়তে দেবে না, তত্বাবধায়ক সরকারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে যাতে সংবিধানে যোগ করা হয় নারীরা দেশের নেতৃত্বে আসতে পারবেন না ইত্যাদি অজস্র নারী-বিরোধী চেষ্টা, তখন দেশের ও ইসলামের ভাবমূর্তির মারাত্মক ক্ষতি হয়।

একটা জাতির জীবনে রাস্তাঘাট ব্যবসা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি সবই দরকার কিন্তু সবচেয়ে বড় দরকার মূল্যবোধ যেখানে ভয়াবহ ধ্বস নেমেছে। বর্তমানের মত হেদায়েতের দরকার জাতির জীবনে আর কখনো হয়নি। কাজটা প্রধানত: আলেম সমাজের। তাঁদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, জাতিকে হেদায়েত করুন। আমরা হেদায়েতকারী স্নেহপ্রবণ আলেম সমাজ চাই, হুঙ্কারী মওলানা চাইনা। হুঙ্কারী মওলানারা জাতির কি মারাত্মক ক্ষতি করে তার প্রমাণ পাকিস্তান। এজন্যই কোরান-রসুল সতর্ক করে গেছেন - "ধর্মে বাড়াবাড়ি করোনা, এই করে বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে" -(মায়েদা ৭৭, নিসা ১৭১ ও মুসলিম ২৮০৩)।

এজন্যই বুঝি রসুল (স) বলেছিলেন উম্মতের জন্য তাঁর "সর্বাপেক্ষা বড় উদ্বেগ পথভ্রষ্টকারী আলেমদের লইয়া"-(সহি ইবনে মাজাহ ৫-৩৯৫২)।

**************************

লেখক ওয়ার্ল্ড মুসলিম কংগ্রেস-এর উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য, মুসলিমস ফেসিং টুমরো'র জেনারেল সেক্রেটারী, আমেরিকান ইসলামিক লিডারশিপ কোয়ালিশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও মুসলিম ক্যানাডিয়ান কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও ডিরেক্টর অফ শারিয়া ল'.

“হিল্লা“, “নারী” তার নিজস্ব WEB SITE এ গিয়ে দেখে নিন।

তার নিজস্ব সাইটঃ http://hasanmahmud.com/

বিষয়: বিবিধ

১১৩৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

330006
১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:২১
330010
১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:২৩
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : ধর্ম নিয়ে কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী কটাক্ষ করে যা বলেছিলেন
কাফেরদের দেবতাদের নামে আল্লাহর ৯৯ নাম; এখন বাংলাদেশে বোরকা পরার বিপক্ষে অনেকেই জেগে উঠেছে,সৌদি বাদশাহ আবদুল আজিজ ইবনে সউদ মুসলমান ছিলেন না।

বিদেশের মাটিতে বসে এবার ধর্ম নিয়ে কথা বললেন বিশিষ্ট কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী। আল্লাহর ৯৯ নাম, নারীর পর্দা ও আরবি ভাষাসহ অনেকগুলো বিষয়ে নানা বিরূপ মন্তব্য করেছেন তিনি।

নিউইয়র্কে ৩ জুলাই বিকেলে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘বাংলাদেশ: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় করা এই বুদ্ধিজীবীর মন্তব্য নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার বাংলাদেশের অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রবাসী কলামিস্টের এসব মন্তব্য নিয়ে রিপোর্ট করে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘আজকের আরবি ভাষায় যেসব শব্দ; এর সবই কাফেরদের ব্যবহৃত শব্দ। যেমন— আল্লাহর ৯৯ নাম, সবই কিন্তু কাফেরদের দেবতাদের নাম। তাদের ভাষা ছিল আর-রহমান, গাফফার, গফুর ইত্যাদি। এগুলো ইসলাম ‘অ্যাডপ্ট‘ করে, পরে বাংলা ভাষাও অ্যাডপ্ট করে। এগুলো এখন আরবি শব্দ।’

তিনি বলেন, সাত শ’ বছর ধরে আমরা ‘নামাজ’, ‘খোদা হাফেজ’ শব্দ বলেছি। এখন ‘সালাত’, ‘আল্লাহ হাফেজ’ শব্দে পরিণত হয়েছে। নারীদের উৎসাহিত করা হয় হিজাব পরতে। হিজাব একটি আরব সংস্কৃতির পোশাক, বাঙালির নয়। এগুলো ওহাবীদের সৃষ্টি।

নারীদের বোরকা ও হিজাব নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করে গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে এটা হচ্ছে ওহাবিদের লাস্ট কালচারাল ইনভলব। আমি অবাক হচ্ছি। ক্লাস টুয়ের মেয়েরা হায়েজ-নেফাস পড়বে! এটা আমাদের ধর্ম শিক্ষা হতে পারে?’

তিনি বলেন, ‘মুসলমান মেয়েরা মনে করে হিজাব, বোরকা হচ্ছে ইসলামের আইডিন্টিটি। আসলে কি তাই? বোরকা পরে যাচ্ছে কিন্তু প্রেম করছে। আবার ইন্টারনেটেও প্রেম করছে। আচরণ ওয়েস্টার্ন কিন্তু বেশভূষা ইসলামিক করে আত্ম-প্রতারণা করছে তারা।’

এই কলাম লেখক বলেন, ‘এখন যুগ পাল্টেছে। এখন বাংলাদেশে বোরকা পড়ার বিপক্ষে অনেকেই জেগে উঠেছে। এসব ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’

তিনি নিজে কিছুদিন মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন দাবি করে বলেন, এখন যে ইসলাম ধর্ম চলছে তা বাড়াবাড়ির ইসলাম।

আলোচনায় মূল বিষয়ের বাইরে গিয়ে আল্লাহ ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই বিব্রতবোধ করেন।

আলোচনা সভায় উপস্থিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্র কমান্ডের আহ্বায়ক আবদুল মুকিত চৌধুরী দ্য রিপোর্ট প্রতিনিধিকে বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা যে দল কিংবা মতের হই না কেন, আল্লাহ, নবী, ইসলাম ও নারীর পর্দা নিয়ে এসব কথা বলা উচিত নয়।’

আল্লাহর ৯৯ নাম ও ইসলামে নারীর পর্দা নিয়ে তার বক্তব্য একান্ত ব্যক্তিগত নাকি বিশ্লেষণনির্ভর— একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কিছুদিন মাদ্রাসায় পড়েছি। কোরআন কিংবা ইসলাম সম্পর্কে যে সব জানি, তা কিন্তু নয়। আমি আমার জানার ধারণা থেকে বলছি। এখন যে ইসলাম প্রচার বা চর্চা হচ্ছে, তা বাড়াবাড়ি ছাড়া কিছুই নয়।’

রসুল আর রসুলুল্লাহ শব্দটি এক নয় দাবি করে গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘রসুল মানে দূত, অ্যাম্বাসেডর। রসুলে সালাম মানে শান্তির দূত। রসুল বললেই আপনারা মনে করেন হযরত মুহম্মদ (সা.), তা কিন্তু নয়। যখন রসুলুল্লাহ বলবেন তখন মনে করবেন আল্লাহর প্রতিনিধি। এখন মোমেন ভাই আমেরিকায় থেকে যদি বলেন কিংবা আমি নিজেকে রসুল দাবি করলে কল্লা যাবে।’

কিছুদিন মাদ্রাসায় পড়ার কথা উল্লেখ করে গাফফার চৌধুরী আরো বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি হাদিস সংগ্রহকারী আবু হুরায়রা নামের অর্থ হচ্ছে বিড়ালের বাবা। আবু বকর নামের অর্থ হচ্ছে ছাগলের বাবা। কাফেরদের মধ্যে যারা মুসলমান হয়েছিল পরবর্তীতে তাদের নাম পরিবর্তন করা হয়নি।’

গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘পুরো দেশ এখন দাড়ি-টুপিতে ছেঁয়ে গেছে। সরকারি অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টুপি আর দাড়ির সমাহার। অথচ তারা ঘুষ খাচ্ছেন। এত বড় দাড়ি, এত বড় টুপি; কিন্তু ঘুষ না পেলে ফাইলে হাত দেন না- এটা কী ইসলামের শিক্ষা?’

সৌদি আরবের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এর নাম সৌদি আরব হবে কেন। তারা রসূলের (সা.) অনুসারী হলে এর নাম হবে মোহাম্মদিয়া। কাবা শরিফের দরজাগুলোর নাম বাদশাহদের নামে দেয়া হয়েছে। কোনো সাহাবিদের নামে নয়।

ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার দায়ে মন্ত্রিত্ব হারানো আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে সাফাই গান তিনি। অনেকটা রসিকতার সুরে তিনি বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী কী এমন বলেছিল? তাকে বিপদে পড়তে হয়েছে। তার জন্য আজকে দেশে বিক্ষোভ হচ্ছে। এসবই হচ্ছে ওহাবীয় মতবাদ ও মাওলানা মওদুদীর চাপিয়ে দেওয়া সংস্কৃতি, যা আমাদের বাংলা ভাষার মধ্যে ঢুকে পড়েছে।’

গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘মানুষের মগজধোলাই করে জামায়াত ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। তারা প্রকৃত ইসলামী অনুশাসনে বিশ্বাসী নয়। এরা দীনে মোহাম্মদী নয়; দীনে মওদুদী। আবদুল ওহাব নামে কট্টর এক ব্যক্তির ধারায় এ অঞ্চলে ওহাবী মতবাদ চাপিয়ে দেয় সৌদি আরব।’

বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদের উত্থান প্রসঙ্গে এই লেখক বলেন, ‘আমেরিকা তালেবান সৃষ্টি করে বিপদে পড়েছে। আর ব্রিটিশরা ভারত বর্ষকে ভেঙে টুকরো করার পাশাপাশি ইসলামী মতবাদকেও বিভক্ত করেছে পাকিস্তানকে দিয়ে।’

তিনি জানান, পরবর্তীতে সৌদি ও ইরানের অর্থায়নে এ অঞ্চলে ওহাবী মতবাদ মাওলনা মওদুদীকে দিয়ে জামায়াতের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। অথচ এই পাকিস্তানই ৫০ হাজার কাদিয়ানী হত্যার দায়ে মাওলানা মওদুদীর ফাঁসির রায় দিয়েছিল। পরবর্তীতে যদিও ফাঁসি কার্যকর করতে পারেনি।

তিনি বলেন, ‘এভাবে মুসলমানে মুসলমানে বিভেদ সৃষ্টি করেছে ওহাবী ইজম। আমি তো মনে করি শেখ হাসিনার শত ভুলত্রুটি থাকলেও আজকে সিম্বল অব সেক্যুলারিজমের জনক হচ্ছেন তিনি। সে শক্ত হাতে এসব দমন না করলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যেত।’

গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘যত দিন আমাদের মনে তিনটি প্রাচীর থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ নিরাপদ। বাংলা ভাষা, রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু। এই তিনটি প্রাচীর থাকলেই তালেবানরা বাংলাদেশকে দখল বা ধ্বংস করতে পারবে না।’
330026
১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ০২:৩০
শেখের পোলা লিখেছেন :
বাংলা ভাষা, রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু।
আখেরাতে এ গুলোই গফ্ফার ও তার সমর্থকদের পুল সিরাত পার করে দেবে হয়ত৷তাই তাদের এত দম্ভ৷
330033
১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ০৩:৩১
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, ‘আজকের আরবি ভাষায় যেসব শব্দ এর সবই কাফেরদের ব্যবহৃত শব্দ। যেমন- আল্লাহর ৯৯ নাম, সবই কিন্তু কাফেরদের দেবতাদের নাম। নাউযুবিল্লাহ ।

সে বলেছে যে ,তাদের ভাষা ছিল আর-রহমান, গাফফার, গফুর ইত্যাদি। সবই কিন্তু পরবর্তীতে ইসলাম এডাপ্ট করেছিল।’

=============================================================

প্রিয় দেশবাসী মুসলিম ভাইবোনেরা আপনাদের কাছে বিনীত অনূরোধ এই ভন্ড মুরতাদের কথার সত্যতার কোন অবকাশ নেই। কারণ অসংখ্য হাদীস দ্বারা প্রমানীত যে , যখন ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে আল্লাহ, রাহমান ,রাহীম,গাফুর,ইত্যাদী আল্লাহর গুনবাচক নাম গুলো উচ্ছারণ করতেন তখনি কাফেররা বলত ?من الله? من الرحمن ?من الرحيم অর্থাৎ কেআল্লাহ ؟ কে রাহমান ?কে রাহীম ? ইত্যাদী,

মূলত কাফেররা এই সকল নাম সম্পর্কে কোন প্রকারের অবগত ও ছিলেন না। যদি দেবতাদের নাম হত, বা আগে থেকে অবগত থাকত তাহলে তারা এ প্রশ্ন কখনই করতেন না কে আল্লাহ ? কে রাহমান ?কে রাহীম ? ইত্যাদী।

ইসলাম ধর্ম, দেবতা তথা মূর্তি পুজাকে বিশ্বাস এলাউ করেনা , ইসলামে দেবতা পুজার কোন স্হান নেই। আপনারা যারা ইতিহাস জানেন তাদের ও আবশ্যই জানা থাকার কথা যে আজকে যে হিন্দু ও -বৌদ্ধ ধর্মে দেবতা পুজার যে হিড়িক চলছে, ঐ সকল ধর্মের মূল গ্রন্হেই লেখা আছে যে মূর্তি দেবতা পুজা নট এলাউ । সেখানে ইসলাম ধর্মে আল্লাহর গুনবাচক নাম দেবতাদের নাম বলে মানুষ কে বিভ্রান্তি করার অপকৌশল মাত্র ।

আর আল্লাহ হলেন যিনি একক অদ্বিতীয় যার কোন শরীক নেই যার কোন মাতা পিতা নেই , তিনি কাউে জন্ম দেননি এবং তাঁকে ও কেউ জন্ম দান করেন নি , তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন ,সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী তিনিই হলেন আল্লাহ ।

আর দেবতা বলা হয় যার শরীক আছে যাদের ছেলে-মেয়ে আছে, যাকে জন্ম দান করেছেন কেউ ,তিনিও কাউকে জন্ম দিয়েছেন। তাছাড়া দেবতা তথা মূর্তি গুলো কোন এক সময় মানুষ ছিল, তাদের মৃত্যুর পর ভক্তরা তার মূর্তি বানিয়ে তাদের পুজা শুরু করে দিয়েছে ।। ইসলাম মুসলমানগন মানব পুজা করেনা ।

মুসলমান এমন দেবতাদের এবাদত করেনা । যাকে শরিয়তে ইসলামে শীর্ক ও হারাম করা করা হয়েছে ।

আর আল্লাহর গুনবাচক নাম গুলো দেবতাদের নাম হয় কি ভাবে ? এই নব্য নাস্তিকের কাছে আমার জিজ্ঞাসা যেমন ধরুন আল্লাহর গুনবাচক নাম সমূহের একটি حى القيوم অর্থাৎ যিনি জিবীত এবং চিরন্জীব । পৃথিবীতে এমন কোন দেবতার কি অস্হিস্ত আছে যে ,যিনি জিবীত এবং চিরজিবী ?

তাহলে এটা দেবতার নাম হয় কি ভাবে ؟

আল্লাহর অপর গুনবাচক নাম خالق সৃষ্টি কর্তা অর্থাৎ ভূমন্ডল- নবমন্ডলে মানব দানব আসমান জমিন গ্রহ নক্ষত্র সহ সব কিছুরই যিনি সৃষ্টি কর্তা ।

পৃথিবীতে যারা দেবতা পুজক তারাও আজ পর্যন্ত এই কথার দাবী করর সাহস পায়নি যে তাদের দেবতা ছোট একটি মশা মাছি আর পিপিলীকার মত ছোট্ট প্রানী সৃষ্টি করেছে । তাহলে خالق দেবতার নাম হয় কি ভাবে ؟

তেমনি ভাবে الصمد অর্থাৎ অমুখাপেক্ষী و আল্লাহ যিনি মানব দানব তথা সৃষ্টি কুলের মত কোন কিছুরই মুখাপেক্ষী নয় ।

পৃথিবীতে এমন কোন দেবতা আছে কিو

যে কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নয় ? প্রথমত দেবতার অস্হিত্বের জন্য মাটি, পাথর ,রং, অলংকার ,পোশাক,আর মানবের হাতের স্পর্শের মুখাপেক্ষী, । মানবের হাতের তৈরী এ মূর্তি বা দেবতা কি ভাবে الصمد অমুখাপেক্ষী و আল্লাহর এ গুনবাচক নাম ধারণ করতে পারে ؟

এই সকল নাস্তিকদের প্রতি জিজ্ঞাসা ।

তাহলে আল্লাহর ৯৯ নাম গুলো কি ?

========================

মূল "আল্লাহ" শব্দ হল আল্লাহর নাম ।আর আল্লাহ জাল্লাহ শানুহুর ৯৯ নামের কিছু নাম এসেছে আল্লাহর নিজের পছন্দে যা কোরআনুল করিমে আল্লাহ নিজেকে নিজে অভিহিত করেছেন, কিছু এসেছে জিব্রায়িল ফেরেশতার পরামর্শে। যা হাদীসে রসুল সা্ঃ দ্বারা প্রমানীত এ নাম গূলো সম্পর্কে পৃথিবীবাসী কখনো এর পূর্বে ওয়াকেফহাল ছিলেন না। ৯৯ নামের হাদিসটি আবু হোরায়রা (রা) বর্ণিত, এর সনদ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

এই নাম গুলোর মাধ্যমে আল্লাহর বিশেষ ক্ষমতা মাহাত্য ও কুদরতের বহিঃপ্রকাশ করে থাকেন ।

কাবা শরীফে ৩৬০টির মত মূর্তি ছিলো তাদের নামের সাথে আল্লাহর ৯৯ নামের কোনো মিল নেই, লাত ,উজ্জা, মানাত, অবগাল ,দুল খালসা, হুবাল, মালাকবেল, এল্লাহ, নেব, নের্গাল,সিন সুয়া, ইগুছ,নছর, নুহা, সুয়া, রুভা ,

‘ছাফা’ পর্বতে ‘এসাফ’ এবং ‘মারওয়ায়’ ‘নায়েলা’ইত্যাদি। শুধু "এল্লাহ" নামটি আল্লাহর নামের কাছাকাছি, কিনতু এল্লাহ দেবতার নাম হলেও কাফেররা "আল্লাহ"কে আল্লাহই ডাকতো। আর দেবতাদের ডাকতো আল্লাহ পর্যন্ত পৌছার মাধ্যম হিসাবে ।

কিনতু আল্লাহর গুনবাচকতায় বিভিন্নতা ছিলো। কিন্তু শাব্দিক উচ্চারণে একই আল্লাহ শব্দে আল্লাহকে ডাকতো কাফেররা এবং মুসলমানরা, কিন্তু ৯৯ বা ততোধিক নামের গুনবাচকতার অর্থে মুসলমানদের আল্লাহ আলাদা ।

দেবতাদের যে নামেই ডাকা হতনা কেন, সেগুলি কখনো আল্লাহর নাম ছিলনা। দেবতাদের নাম থেকে আল্লাহর নাম এডাপ্ট করা হয়নি। এই আগাচো কোথায় পেলেন এই ভূল তথ্য ? আমরা এর নিন্দা জানাই ও শাস্তির মুখোমুখি করতে দেশবাসী ও সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাই ,
330034
১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ০৩:৩২
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : কাবার প্রথম ও প্রধান মূর্তি " হুবাল" বা হুবুল" ইলাত বা ইলাহ নয়

=====================================

সম্প্রতি আলোচীত সমালোচীত নব্য ইতিহাস বিকৃতিকারী আঃ গাফ্ফার চৌধুরী অন্য এক বক্ততায় বলছে, কাবার প্রথম মূর্তির নাম নাকী " ইলাত, বা ইলাহ," থেকে আল্লাহ শব্দ এসেছে ,নাউযুবিল্লাহ । অথচ এই আগাছা বুড়ো বয়সে ইতিহাস বিকৃত করে মানুষ কে কি মেসেজ দিতে চাচ্ছে আমরা জানিনা আসলে ইতিহাস বলছে তৎকালীন আইয়্যামেজাহেলিয়াতে মক্কার প্রথম ও প্রধান মূর্তির নাম হল " হুবাল" বা হুবুল " যা সর্ব প্রথম তৎকালীন মুশরেকদের সরদার আমর বিন লুহাই ,সিরিয়া থেকে এনে সেই কাবা ঘরে রেখেছিল সেই থেকে মক্কা তথা কাবা ঘরে মূর্তি পুজা শুরু হয়। সুতরাং হুবাল বা হুবুল হল কাবার প্রথম মূর্তি ।

আমর বিন লুহাই কি ভাবে মূর্তি আনলেল

আমর ইবন লুহাই বনু খুজা‘আ গোত্রের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। ছোটবেলা থেকে এ লোকটি ধর্মীয় পূণ্যময় পরিবেশে প্রতিপালিত হয়েছিল। ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে তার আগ্রহ ছিল অসামান্য। সাধারণ মানুষ তাকে ভালবাসার চোখে দেখতো এবং নেতৃস্থানীয় ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ হিসেবে মনে করে তার অনুসরণ করতো। এক পর্যায়ে এ লোকটি সিরিয়া সফর করে। সেখানে যে মূর্তিপূজা করা হচ্ছে সে মনে করলো এটাও বুঝি আসলেই ভাল কাজ। যেহেতু সিরিয়ায় অনেক নবী আবির্ভূত হয়েছেন এবং আসমানী কিতাব নাযিল হয়েছে। কাজেই সিরিয়ার জনগণ যা করছে সেটা নিশ্চয় ভালো কাজ এবং পূণ্যের কাজ। এরূপ চিন্তা করে সিরিয়া থেকে ফেরার পথে সে ‘হুবাল’ নামের এক মূর্তি নিয়ে এসে সেই মূর্তি কা‘বাঘরের ভেতর স্থাপন করলো। এরপর সে মক্কাবাসীদের মূর্তিপূজার মাধ্যমে আল্লাহর সাথে শির্ক করার আহবান জানালো। মক্কার লোকেরা ব্যাপকভাবে তার ডাকে সাড়া দেয়। মক্কার জনগণকে মূর্তিপূজা করতে দেখে আরবের বিভিন্ন এলাকার লোকজন তাদের অনুসরণ করলো। কেননা, কা‘বাঘরের রক্ষণাবেক্ষণকারীদের বৃহত্তর আরবের লোকেরা ধর্মগুরু মনে করতো। (শায়খ মুহাম্মদ ইবন আব্দুল ওহাব, মুখতাছারুস সীরাত, প্রাগুক্ত, পৃ. ২)।
330036
১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ০৩:৩৭
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : ولله الاسماء الحسنى فادعوه بها وذروااللذين يلحدون فى اسمائه سيجزون ما كانوا يعملون
অর্থাৎ আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সেই নাম ধরেই তাকে ডাক। আর তাদের বর্জন কর ,যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে। তারা নিজেদের কৃত কর্মের ফল শীঘ্রই পাবে । আল আরাফ -আয়াত ১৮০ ।

এই আয়াতের ব্যাখায় (মুফতি শফি ছাঃ রাহঃ তফসীরে মারেফুল কোরআন বাংলা সংস্করণ মাওঃ মহিউদ্দিন খান কতৃক ৫০৬ পৃঃ ) বলেছেন এই নিদ্দিষ্ট নাম গুলি যদি আল্লাহ ছাডা অপর কারো ক্ষেত্রে ভ্রান্ত বিশ্বাসের ভিত্তিতে হয় ,যাকে এসব শব্দ সম্বোধন করা হচ্ছে তাকেই যদি খালেক কিংবা রায্যাক মনে করা হয় ,( যেমনটি আঃ গাফ্ফার চোধুরী বলেছেন এই নাম গুলি দেবতাদের নাম ) তাহলে তা সম্পূর্ণ কূফর। (অর্থাৎ কাফের হয়ে যাবে ) ।আর বিশ্বাস যদি ভ্রান্ত না হয়, শুধু অমনোযোগিতা কিংবা না বুঝার দরুন কাউকে খালেক ,রায্যাক রাহমান কিংবা সুবহান বলে ডাকা হয়, যেমনটি ( যেমনটি আঃ গাফ্ফার চোধুরী বলেছেন এই নাম গুলি দেবতাদের নাম ) তাহলে তা যদি ও কুফর নয়, কিন্তু শেরেকী সূলভ শব্দ হওয়ার কারনে কঠিন পাপের কাজ ।( মারেফুল কোরআন বাংলা বঙ্গানুবাদ মহিউদ্দিন খান কৃত ৫০৬ পৃঃ ) অর্থাৎ শির্ক হওয়ার কারনে বিনা তাওবায় ক্ষমা যোগ্য নয় ।
330055
১৫ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৯:৫৩
সত্যের লিখেছেন : ""আল্লাহ'র প্রায় সব নামই বিশেষণ, গুণভিত্তিক (রহমান, রহীম) বা কর্মভিত্তিক (কাহহার, রাজ্জাক)। প্রতিটি ধর্ম সম্প্রদায় স্রষ্টার ওপরে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান-শব্দ গুলো ব্যবহার করে। প্রাচীন আরবীরা তাই করেছে এমন দলিল আমাদের কাছে নেই"""
উপরের কথা গুলো পোষ্টের লেখক লিখেছে !!!!
এই বেয়াদিব লেখককে বলছি যার জ্ঞান/ প্রমান দলিল জান না তার পক্ষে সাফাই গাও কেন ?

তুমিও কি তার মতোই.........।
330108
১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:২৪
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : সাফাই গাও কেন ?

তুমিও কি তার মতোই.........।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File