কী আবিস্কার করিয়া এই ৩ বিজ্ঞানী ২০১১ সনে মেডিসিনের উপর নোবেল বিজয়ী হলেন? MHC CLASS-2 কী? DENDRITIC কোষের কী কাজ?DNA এর সম্পর্ক, ৪৬ (৬) তম পর্ব।

লিখেছেন লিখেছেন আঃ হাকিম চাকলাদার ১২ এপ্রিল, ২০১৫, ০৬:৩০:৪৫ সকাল





কী আবিস্কার করিয়া এই ৩ বিজ্ঞানী ২০১১ সনে মেডিসিনের উপর নোবেল বিজয়ী হলেন?

MHC CLASS-2 কী? DENDRITIC কোষের কী কাজ?DNA এর সম্পর্ক, ৪৬ (৬) তম পর্ব।

এই ৩ বিজ্ঞানী শরীরের রোগ প্রতিরোধ এর কোন্ বিষয়টি আবিস্কার করিয়া ২০১১ সনে মেডিসিন এর উপর নোবেল বিজয়ী হয়েছিলেন, সেটা বুঝতে হলে তারপূর্বে একটু জানার দরকার আছে, শরীর কী ভাবে রোগ প্রতিরোধ করে।

আসুন তাই আমরা কিছুটা জেনে লই শরীরের রোগ প্রতিরোধ বলতে কী বুঝায়, আর এর গুরুত্বই বা আমাদের জীবনের উপর কতটুকু?

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় বলা হয় IMMUNITY

.

IMMUNITY কে অন্য ভাবে বলা যায় শরীর এর বহিশত্রুর সংগে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে টিকে থাকার অদম্য প্রচেষ্টার ক্ষমতাকে।

শরীরের প্রতিরক্ষা সৈনিক কোষ বাহিনী শরীরকে প্রতিরক্ষা করার জন্য অনবরত অজস্র প্রকারের কলা কৌশল প্রয়োগ করে যাচ্ছে। মূলতঃ এতদ-সমস্ত জটিল কলাকৌশল টি DNA তার নির্দিষ্ট জ্বীন এর কোড দ্বারা বিশেষ বিশেষ প্রোটীন উৎপাদন করে করিয়ে থাকে। যেখানে যে ধরনের কাজের প্রয়োজন হয় DNA সেখানে ঠিক সেই ধরনের কাজ করতে পারে তেমন ধরনের প্রোটীন তৈরী করাইয়া কাজ করায়।

DNA ও তার জ্বীন সম্পর্কে জানতে ৯-১২ পর্ব পড়ুন।

আগের পর্বে আপনারা MHC CLASS 1 এর প্রতিরক্ষার কলা কৌশল সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আজ বর্ণনা করতে চাচ্ছি “MHC CLASS-2” নামক একটি প্রোটীন যৌগ COMPLEX কী ভাবে অনবরত শরীর এর প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

MHC এর পূর্ণ অর্থ “MAJOR HISTOCOMPATIBILITY COMPLEX”.

অর্থাৎ কোন টিসু বা কোষ শরীরের অভ্যন্তরে থাকবার যোগ্য কিনা তা লক্ষ্য করার প্রধান দায়িত্ব এই প্রোটীন যৌগটির। HISTO অর্থ টিসু বা কোষ।

এই প্রোটীন যৌগটি কী ভিন্ন ধরনের কলা কৌশল প্রয়োগ করে প্রতিরক্ষার দায়িত্বটা পালন করে, তা এখনই জানতে চলেছেন।

কী এই MHC CLASS 2 প্রোটীন?

কোথায় কী ভাবে উৎপাদন হয়?

কোথায় এটা অবস্থান করে?

আর কী-ই বা এর কাজ?

জী, হ্যাঁ, তাহলে আসুন এ সব বিষয়ে এক এক করে পর্যালোচনা করে দেখা যাক।

নীচে চিত্রে-১ এ এই যৌগটির আকৃতি দেখুন।

এটা গঠিত ALPHA 1, ALPHA 2, BETA 1 ও BETA 2 প্রোটীন দ্বারা।



চিত্র-১-

MHC CLASS 2. ALPHA 1, ALPHA 2, BETA 1 ও BETA 2 নামক প্রোটীন উপাদান দ্বারা এভাবে এ যৌগটি গঠিত। এটা APC (ANTIGEN PRESENTING CELL) এর কোষ প্রাচীরের উপরে রয়েছে। এর খাজের মধ্যে CD4 T NAÏVE কোষকে PRESENT করার জন্য জীবানুর ANTIGEN (লাল রংএর) ধরে রেখেছে

(2)

উৎপাদন স্থান-

DNA অন্যান্য সমস্ত প্রোটীন এর ন্যায় এর প্রোটীন উপাদান গুলীও RIBOSOME নামক প্রোটীন ফ্যাক্টরীর দ্বারা উৎপাদন করিয়ে ER (ENDOPLASMIC

RETICULUM)এর মধ্যে পাঠিয়ে দেয়। এর পর ER এই উপাদান গুলীকে একটি জটিল প্রকৃয়ার মধ্য দিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে MHC 2 এর রুপ দান করে এর খাজের মধ্যে জীবানুর প্রোটীন (ANTIGEN) ঢুকিয়ে কোষ (APC) প্রাচীর এর বহিরাবারণে CD4 T NAÏVE কোষ কে PRESENT করার জন্য পাঠিয়ে দেয়। (১১ তম পর্ব পড়লে DNA কী ভাবে RIBOSOME দ্বারা প্রোটীন উৎপাদন করায় বিস্তারিত জানতে পারেন।)

আপনাদের সহজে বুঝার জন্য, MHC CLASS-2 বর্ণণার সংগে সংগে ছোট্ট একটা উদাহরণ দিতে চাই। তাহলে আশা করি এই সূক্ষ্ম জটিল বিষয়টি আপনাদের বুঝতে কিছুটা সহজ হবে। যদিও উদাহরণে উভয় পক্ষের বিষয়ে সবক্ষেত্রে শত ভাগ মিল নাও থাকতে পারে।

কল্পনা করুন বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিভাগের একটি বিশেষ ব্যবস্থাপনার কথা। সে ব্যবস্থাপনাটা ধরুন ঠিক নিম্ন বর্ণিত ভাবে পরিচালনা করেSadউদাহরণে “ক” বিভাগ বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিভাগের জন্য ও “খ” বিভাগ শরীরের এর নিরাপত্তা বিভাগের এর জন্য বর্ণণা করা হয়েছে)

উদাহরণ-১ (ক)

ধরুন, বাংলাদেশের অসংখ্য বিভিন্ন ধরনের SECURITY FORCE বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে, প্রতিটা দল যার যার ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব লয়ে, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও যোগাযোগ মাধ্যম সহ COVERED ভ্যানে করে সমগ্র দেশ ব্যাপী হন্যে হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে ও খুজতেছে কোথাও কোন বহিদেশের শত্রু পাওয়া যায় কিনা।

এদের নাম ধরে নিন,যথাক্রমে “BATTALION A”, “BATTALION B” ও “BATTALION C”, ,………ইত্যাদি ।

এদের প্রথম সারির সেনা দলের নাম ধরুন “BATTALION A”

এদের কাজ হল দেশের মধ্যে কোথাও কোন শত্রু পেলে তাকে ধরে কেটে টুকরো টুকরো করে মেরে ফেলা এবং তাদের নিকট থেকে তাদের IDENTITY টা সংগ্রহ করে “mhc 2” নামক একটি লাল-হলুদ বক্সে করে আর একটি দল যাদের নাম “BATTALION B” এর হাতে তুলে দেওয়া।

ধরুন, যেহেতু এই “BATTALION A” টা শত্রুর IDENTITY অন্য দলের হাতে তুলে দেয় এই কারনে এদেরকে IDENTITY PRESENTING BATTALION বা “IPB” দল ও বলা হয়।

উদাহরণ-১ (খ)

আর ঠিক একই ভাবে আমাদের শরীরের মধ্যেও প্রতিরক্ষা কোষ সমূহ ও হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কোথাও কোন জীবানু, যা আমাদের শরীর রাজ্যের কোন শত্রু পাওয়া যায় কিনা।

শরীর এর কোষের এই বিভিন্ন নিরাপত্তা দল গুলীর নাম ধরে নিন যথাক্রমে, “battalion a”, “battalion b” ও “battalion c”, “,…… ইত্যাদি ।

এর মধ্যে শরীরের প্রথম সারির দলটির নাম “battalion a” ধরুন। এই “battalion a” এর অন্তর্ভূক্ত আছে শরীরে বাস্তবে DENDRITIC CELL. PHAGOCYTIC (MACROPHAGE) CELL ও B CELL.

এই দলটি শরীরের কোথাও কোন জীবানু পেলে তাকে ENGULF (গিলে ফেলে)করে ও মেরে এর প্রোটীনকে MHC 2 নামক একটি প্রোটীন যৌগের বক্সে করে, “battalion b” (যারা শরীরে বাস্তবে হল “CD 4 T NAÏVE CELL”)নামক কোষ এর নিকট তুলে ধরে। ( চিত্র-১,২ ও ৩ দেখুন)

যেহেতু এরা জীবানুর ANTIGEN কে ধরে অন্য দলের নিকট তুলে ধরে এই কারণে এদেরকে ANTIGEN PRESENTING CELL বা “APC” বলা হয়।

উদাহরন-২ (ক)

এবার মনে করুন বাংলাদেশের প্রথম সারির টহল সেনা দল “BATTALION A”, টহল দিতে দিতে, দেশের কোন এক জায়গায় কিছু বার্মিজ শত্রু অস্ত্রসস্ত্র সহ পেয়ে গেল। তখন এদের দায়িত্ব হল, এই শত্রুদলকে ঘিরে ফেলে কভার্ড ভ্যানে তুলে এনে সবাইকে টুকরো টুকরো করে ও খন্ড বিখন্ড করে ধংশ করে ফেলা।

এবং এই বার্মিজ শত্রু দলের IDENTITY টা “BATTALION B” এর নিকট তুলে দেওয়া।

আর এই IDENTITY টার মধ্যে থাকে, এরা বার্মিজ শত্রু, এরা কী ধরণের অস্ত্র ব্যবহার করে ও সেই অনুসারে তাদের সংগে যুদ্ধের জন্য এর বিপরীতে কী ধরণের অস্ত্র উৎপাদন করতে হবে।

উদাহরন-২ (খ)

ঠিক এভাবেই শরীরের প্রথম সারির টহল সেনাদল “battalion a”, যারা হল “APC” যারা হল বাস্তবে DENDRITIC CELL, PHAGOCYTIC CELL ও B CELL. ঠিক তাদেরও দায়িত্ব হল শরীরে অনবরত টহল দিতে দিতে যদি কোথাও কোন জীবানু বা অন্য কোন বহি শত্রু পেয়ে যায় তাহলে তাকে ENGULF বা গিলে ফেলে কোষের অভ্যন্তরে এনে একটি প্যাকেটে করে যার নাম PHAGOSOME, এর মধ্যে ঢুকিয়ে কোষের নিজস্ব রাসায়নিক অত্যধিক এসিডিক অস্ত্র, যা LYSOSOME নামক প্যাকেটের মধ্যে থাকে, এর এসিড এই জীবানূর প্যাকেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে এর দেহের প্রোটীনকে খন্ড বিখন্ড করে করে মেরে ফেলা, ঠিক যেমনটা করে বংলাদেশের “BATTALION A” দল অস্ত্র দ্বারা।

এরপর এদের খন্ডিত প্রোটীন কে ANTIGEN হিসাবে “battalion b” এর হাতে তুলে দেওয়া।

এই ANTIGEN প্রোটীনটাই জীবানুটার IDENTITY. এর মধ্যে থেকে যায় জীবনুটা কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে এবং এর বিরুদ্ধে কী ধরণের অস্ত্র উৎপাদন করা প্রয়োজন।

জেনে রাখা দরকার, শরীর এর অস্ত্রের নাম “ANTIBODY” নামক একটা বিশেষ প্রোটীন।

ধরা যাক এই কোষ গুলী টহল দিতে দিতে টিবি(যক্ষ্মা) এর জীবানু পেয়ে গেল। তাহলে এই টিবি(যক্ষ্মা) এর ANTIGEN ই এদেরকে জানিয়ে দিবে এর বিরুদ্ধে কী ধরনের অস্ত্র (ANTIBODY) উপযোগী হইবে। এদের বিরুদ্ধে একমাত্র উপযোগী অস্ত্র হইল টিবি(যক্ষ্মা) ANTIBODY নামক বিশেষ প্রোটীন।

নীচে চিত্র-২ দেখুন।



চিত্র-২

লক্ষ্য করুন যেভাবে একটি PHAGOCYTIC কোষ জীবানুকে গিলে মেরে ফেলতেছে, ও এর প্রোটীনকে LYSOSOME এর এসিড দ্বারা টুকরো টুকরো করে দিচ্ছে। এরপর এর খন্ডিত প্রোটীন কে এর বহি প্রাচীরে MHC-2 এর বক্সের খাজের ভিতর রেখে CD4 T NAÏVE কোষকে PRESENT করতেছে।(নীচে চিত্র-৩ দেখুন)

(3)



চিত্র-৩

(৩)

উদাহরণ-৩ (ক)

এবার চিন্তা করুন, বাংলা দেশের নিরাপত্তা ফোর্স “BATTALION A”, যদি এখানেই শুধুমাত্র ঐ বার্মিজ শত্রুগুলীকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়, তাহলেই কী সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বা তাতেই কী দেশের জন্য যথেষ্ঠ নিরাপত্তা এনে দিবে?

উত্তর- মোটেই নয়। আরো অতিরিক্ত কিছু ব্যবস্থা গ্রহন করার প্রয়োজন আছে নয় কী? ঐ গ্রুপের শত্রুরা যখন ভবিষ্যতে আক্রমন করবে তখন এদের সংগে মোকাবেলা করতে গেলে, ওদের পরিচিতি, ওরা কী ধরণের অস্ত্র ব্যবহার করে তা রেকর্ডে ধরে রাখার প্রয়োজন আছেনা? এবং আক্রমনের পদ্ধতি আগে থেকে জানা থাকলে পরবর্তিতে আক্রমনের সময় ওদের দ্রুত পরাজিত করা সহজ হবে না?

এই সমস্ত কারনে ঐ বার্মিজ শত্রুদের পরিচিতি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগের কম্পিউটার MEMORY তে SAVE করে রাখার দরকার আছে নয় কী?

অন্য সমস্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যোদ্ধা সৈনিকদরকে এই বার্মিজ শত্রুদের তথ্য পাঠিয়ে, এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উৎসাহিত করার প্রয়োজন আছেনা?

এদের সংগে এই মুহুর্তেই ও ভবিষ্যতে যুদ্ধ করতে এদের বিরুদ্ধে উপযোগী অস্ত্রটা উৎপাদনের প্রয়োজন আছেনা?

এই সমস্ত উদ্যেশ্যকে সামনে রেখেই, এরপর বাংলাদেশ ফোর্স ঐ বার্মিজ শত্রুদের শরীর হতে একটি সুনির্দিষ্ট IDENTITY (সমস্ত তথ্য সম্বলিত একটি পরিচায়ক) সংগ্রহ করল। এই IDENTITY এর মধ্যে রয়েছে তারা কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে, ও কী কৌশলে শত্রুকে আক্রমন করে, এর বিরুদ্ধে কী ধরণের অস্ত্র উপযোগী ।

আর এদিকে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগ পূর্ব হতে ঐ “BATTALION A” কে একটি বিশেষ ছোট লাল-হলুদ বক্স সরবরাহ করে দিয়ে নির্দেশ দিয়ে রেখেছে যে যখনি কোন বহিশত্রু আটকিয়ে মেরে ফেলতে পারবে তখনি তোমরা ঐ শত্রুদের বিশেষ IDENTITY টা ঐ লাল-হলুদ বক্সের মধ্যে রেখে, BATTALION B এর হাতে তুলে দিবে। তখন তারা এর জন্য বাকী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

এই লাল-হলুদ বক্সটির নাম ধরুন “mhc 2”

উদাহরণ-৩ (খ)

প্রীয় পাঠক বর্গ, শরীর এর ঐ APC কোষগুলী (“battalion a”) ও ঠিক বাংলাদেশ নিরাপত্তা বিভাগের “BATTALION A” এর মত একই কাজ করে থাকে।

কী ভাবে করে?

জী,হ্যা,

ঐ কোষগুলী জীবানুগুলীকে LYSOSOME নামক একটি ক্ষুদ্র প্যাকেট এর শক্তিশালী এসিড দ্বারা ঐ টিবি জীবানু মেরে ফেলার পর, তার দেহের খন্ডিত প্রোটীন যাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় ANTIGEN বলে, তাকে MHC 2 (চিত্র-১,২,৩ ) নামক একটি বিশেষ বড় যৌগ প্রোটীন বক্সের উপরের খাজের মধ্যে গূজে এনে এই বক্সকে “battalion b” নামক কোষ দলের কাছে তুলে ধরে।

“battalion b” শরীরে বাস্তবে হল “CD NAIVE T CELL”.

এখন প্রশ্ন হল কোষের “battalion a”, এই MHC-2 এর বিশেষ বক্স কোথা হতে সংগ্রহ করে?

জী,হ্যা,

কোষের CHROMOSOME NO. 6 এর জ্বীন এর নির্দেশ অনুসারে কোষের RIBOSOME (প্রোটীন উৎপাদক ফ্যাক্টরী)এই MHC-2 এর প্রোটীন উপাদানগুলী উৎপাদন করে ROUGH ENDOPLASMIC RETICULUN (RE) নামক কোষের আর একটি জটিল ফ্যাক্টরীর মধ্যে পাঠিয়ে দেয়(পর্ব ১১ ও ৪৫ দেখুন)।

তখন এই ফ্যাক্টরী(RE) এই প্রোটীন উপাদানগুলীকে একটি জটিল প্রকৃয়ার মধ্য দিয়ে, MHC-2 আকারে নির্মান করে ও সাজিয়ে গুছিয়ে এর উপরে খাজের মধ্যে ঐ টিবি জীবানুর ঐ খন্ডিত প্রোটীন যার বৈজ্ঞানিক নাম ANTIGEN টাকে গূজে বসিয়ে GOLGI BODY ও ENDOSOME নামক ট্রাফিক এর মাধ্যমে কোষের বহি আবরনে পাঠিয়ে দেয়।

এই ANTIGEN টাই টিবি(যক্ষ্মা) জীবানুর IDENTITY. এর মধ্যে টিবি জীবানূর সমস্ত তথ্য বিদ্যমান।

এই TB ANTIGEN টার নিকট থেকে তথ্য পাওয়া যায়, টিবি(যক্ষ্মা)জীবানুর বিরুদ্ধে শরীরের নিরাপত্তা বিভাগ কে কী ধরণের অস্ত্র (ANTIBODY) উৎপাদন করতে হবে। এরা এটার দ্বারা জেনে ফেলে এদের বিরুদ্ধে একমাত্র অস্ত্র ‘TB ANTIBODY” উৎপাদন করতে হবে।

কী ভাবে জটিল পদ্ধতির মধ্য দিয়ে এবং আরো কয়েকটা প্রোটীন এর সহযোগিতায় RE এই MHC 2 কে সাজিয়ে গুছিয়ে কোষের অভ্যন্তর হতে কোষের বহিরাবারনে পাঠিয়ে দেয় তা সুন্দর ভাবে দেখানো হয়েছে নীচে VIDEO নং ১ এ এটা আপনারা দেখতে পারেন।

এখানে সেটা বর্ণনা করতে গেলে বিষয়টা আপনাদের নিকট জটিল হয়ে যাবে। একারণে এখানে বর্ণণা করা হলনা।

এরপর এই “battalion a” দল টিবি(যক্ষ্মা) জীবানুর এই ANTIGEN কে বহিরাবারনের উপর ধরিয়া আর একটি বিশেষ বাহিনী “battalion b” নামক কোষ দলের কাছে তুলে ধরে বা PRESENT করে, কেমন যেন বলে এটা গ্রহন কর ও পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন কর।( চিত্র-৩ ও ৪ দেখুন)

এই বাহিনীটার বাস্তবে বৈজ্ঞানিক নাম হল “ CD4 NAIVE T CELL”,

এর পরে কী ঘটবে?

উদাহরণ-৪ (ক)

এদিকে মনে করুন, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগ তার “BATTALION B” বিভাগকে একটি নির্দেশ দিয়ে রেখেছে যে, যখনই “BATTALION A” তোমাদের নিকট mhc 2 বক্সে করে. যেটা তালা দিয়ে আটকানো থাকে, বিদেশী শত্রুদের IDENTITY তুলে ধরবে, ওটাকে তোমরা তোমাদের চাবী দ্বারা খুলে গ্রহণ করবে।

আর বলে দিয়েছে, তোমাদের চাবী নং হল cd4. এই নাম্বার এর চাবী আর কাকেও দেওয়া হয় নাই। অতএব এই বক্স একমাত্র তোমরা “BATTALION B” ছাড়া আর কেহই খুলতে সক্ষম নয়।

তালাটা খুলে এর মধ্যে বিদেশী শত্রুদের যে IDENTITY টা পাইবে, তখনি বিদেশী শত্রুদের IDENTITY টা সংগ্রহ, সংরক্ষন করবে ও এদের আগমনের কথা অন্য সকল বাহিনীকে জানিয়ে দিয়ে বলবে এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এখনি ঝাপিয়ে পড়, এবং এই অনুপ্রবেশকারী শত্রুদের IDENTITY টা ভবিষ্যতের জন্য কম্পিউটারের MEMORY তে SAVE করে রাখ ও এই শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য যথোপোযোগী অস্ত্র উৎপাদন কর।

বক্স হতে “BATTALION B” বার্মিজ শত্রুর IDENTITY সংগ্রহ করার পর কী করবে?

জী, হ্যা,

তবে, মনে করুন, এই “BATTALION B” টা এমন একটি দল যারা এই কাজে এই প্রথম, অপরিপক্ক ও অকর্মা ভাবে থাকে। এরা এখনো পর্যন্ত কোন নিরাপত্তার কাজে নামে নাই। এই সর্বপ্রথম কোন নিরাপত্তা কাজের দায়িত্ব পেতে চলেছে।

এরা প্রথমে সহজে সাড়া দেয়না। একে জাগ্রত করতে ৩ জোড়া বস্তু দ্বারা পরপর আঘাত করে উত্তেজিত করে এদের শুপ্ত ক্ষমতাকে জাগ্রত ও কার্যকরী করতে হয়। (যদিও বাংলাদেশ নিরাপত্তা বিভাগের ক্ষেত্রে বাস্তবে এরুপ ঘটেনা, মনে করুন, কোষের ক্ষেত্রের সংগে মিল রাখার জন্য এ ঘটনা এখানে কল্পনা করা হল)

এদের আঘাতের পর একবার জাগ্রত ও কার্যকরী হয়ে গেলে, এদের প্রমোশন ও দায়িত্ব দিয়ে নাম দেওয়া হয় বাংলাদেশ নিরাপত্তা বিভাগ “BATTALION C”

এবার এই “BATTALION C” বাংলাদেশ নিরাপত্তা বিভাগের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তা বিভাগে পরিণত হইল।

মনে রাখবেন এই “BATTALION C” কে এখন এই বার্মিজ শত্রুর IDENTIY টা লয়ে এই বিদেশী শত্রুদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য ৩ টা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ লইতে হইবে, যেমন-

১) বার্মিজ শত্রুদের IDENTITY টা নিরাপত্তা বিভাগের কম্পিউটারে SAVE করে রাখবে, ভবিষ্যতে এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাতে সহজ হয়।

২) অন্য সৈনিকেরা যারা এখনো যুদ্ধে লিপ্ত হয় নাই, তাদের অনুপ্রবেশ কারী বার্মিজ শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হতে নির্দেশ দিবে।

৩) এদের সংগে যুদ্ধের জন্য যে ধরনের অস্ত্র উপযোগী, ঠিক সেই ধরণের অস্ত্র নির্মানের নির্দেশ দিয়ে দিবে।

উদাহরণ-৪ (খ)

এবার আসুন দেখা যাক এদিকে কোষে কী ঘটতেছে-

ইতিমধ্যে কোষের এই “battalion a” টিবি(যক্ষ্মা)জীবানুকে টুকরো টুকরো করে মেরে, এর খন্ডাংশ প্রোটীনকে ANTIGEN বা IDENTITY হিসাবে MHC 2 এর খাজের মধ্যে আটকিয়ে রেখে আর একটি কোষদল যার নাম “CD4 T NAIVE CELL” (এদের নাম ধরা হয়েছে “battalion b”) কে তুলে ধরবে। (আগেই জেনেছেন)।

এখানেও ঠিক বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগের ন্যায় শরীর এর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগ CHROMOSOME NO 12 এর DNA, NAIVE T CELL (যাকে “battalion b” নাম দেওয়া হয়েছে) কে নির্দেশ দিয়ে রেখেছে যে, যখনি তোমাদেরকে “battalion a” MHC 2 বক্স PRESENT করবে তখন ওটা তোমরা গ্রহন করবে ও খুলে এর মধ্য হতে জীবানুর ANTIGEN বা IDENTITY সংগহ করে পরবর্তী ধাপের পদক্ষেপ গুলী লইবে।

আরো বলে দেয় এই MHC 2 এর বদ্ধ তালাটা খোলার চাবীটা একমাত্র তোমাদের হাতেই দেওয়া হল।

আর সেই চাবীটার নং হল “CD 4”(CO-STIMULATOR).

অতএব “Battalion a” (যাদের কে APC কোষ বলা হয়েছে) কোষের MHC 2 এর ANTIGEN (টিবি জীবানুর IDENTITY) টা “CD4 T NAIVE CELL” ছাড়া অন্য কারো পক্ষে খোলা সম্ভব নয়।

১১ ও ১৬ তম পর্বে DNA এর এই কাজের বিস্তারিত বিবরণ দেখুন।

DNA এভাবে সুনির্দিষ্ট করে নির্বাচন না করতে পারলে জীবন প্রকৃয়া বহু পূর্বেই অচল হয়ে যেত। একটা পদক্ষেপ ও অগসর হইতে পারিতোনা।

এখানে একটা বিষয় জানা ভাল-

এই CD4 T CELL টি একটি NAIVE T CELL. NAIVE অর্থ হল ঘুমন্ত বা এখনো পর্যন্ত নিরাপত্তার কাজের যোগ্যতা অর্জন করে পারে নাই, কিন্ত এর মধ্যে সে যোগ্যতা শুপ্ত রয়েছে।

এখানে আরো একটি জটিল ব্যাপার রয়েছে, তা হল “CD4 T NAIVE CELL” গুলী যেহেতু অপরিপক্ক ও অনুপোযোগী, এই কারণে এদেরকে পরিপক্ক ও যোগ্য করার জন্য উত্তেজিত (STIMULATION)করার প্রয়োজন হয়।

NAÏVE অর্থ হল অপরিপক্ক বা নূতন বা ঘুমন্ত।

এদেরকে উত্তেজিত করে দায়িত্বপূর্ণ কাজে নামিয়ে দেওয়ার জন্য ৩ জোড়া CO-STIMULATORY পদার্থ কে সমন্বীত ভাবে এদেরকে উত্তেজিত করা লাগে ।

এর পর যখন এরা উত্তেজিত হওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তার দায়িত্ব লয়ে কাজ করা আরম্ভ করে দেয়, তখন এদের পদোন্নতি দিয়ে নাম দেওয়া হয় T-HELPER CELL, অর্থাৎ এখন আর “CD4 T NAIVE CELL” বা অপরিপক্ক কোষ নামটা থাকলনা।

এরা এখন শরীরের নিরাপত্তা বিভাগের উচু মাপের দায়িত্ববান ও ক্ষমতাবান অফিসার “T HELPER CELL” এ রুপান্তরিত হল ও ঐ নামে পরিচিত হইল।

এদের এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে।(VIDEO 1,2,3,4 ও REF, 2,5 দেখূন)

ধরে নিতে পারেন এরা যেন ঠিক পূর্বোল্লিখিত বাংলাদেশ নিরাপত্তা বাহিনী “BATTALION C” এর সমপর্যায়ের হইল।

আর হ্যা,

যে ৩ জোড়া CO-STIMULATORY FACTOR যৌথ ভাবে উত্তেজিত করে CD4 NAIVE T-CELL কে T- HELPER কোষে উন্নীত করল, তাদেরকেও একটু চিনে রাখতে পারেন, তারা হল-

ON LYMPHOCYTE-

1.LFA 1= LYMPHOCYTE FUNCTIONAL ANTIGEN 1.

2. CD 2= CLUSTER DIFFERIANTIATION 2

3. CD 28= CLUSTER DIFFERIANTIATION 28

ON PHAGOCYTE-

1. ICAM 1= INTERCELLULAR ADHESION MOLECULE

2. LFA 3= LYMPHOCYTE FUNCTIONAL ANTIGEN 3

3. CD 80= CLUSTER DIFFERIANTIATION 80.

নীচে চিত্র-৪ এ এরা কী ভাবে সংযুক্ত হয়ে কাজ করতেছে দেখুন।



চিত্র-৪

এখানে লক্ষ্য করুন, MACROPHAGE CELL (এটা একটি PHAGOCYTIC CELL) MHC 2 (ANTIGEN সহ) CD 4 T LYMHOCYTE(NAÏVE T CELL) ,উপরে, এর সংগে সাক্ষাৎ করে ANTGEN PRESENT করতেছে। ও একই সংগে যে ভাবে ৩ জোড়া CO-STIMULATORY FACTOR সমন্বীত ভাবে কাজ করে CD4 NAIVE T CELL কে T- HELPER CELL এ উন্নীত করে গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগিয়ে দিচ্ছে।

(বিস্তারিত VIDEO-3 এ দেখুন)

আশা করি উদাহরনের মাধ্যমে বর্ণনায় এই জটিল বিষয়টি আপনাদের বুঝতে কিছুটা সহজ হবে।

এরপর এই T-HELPER কোষ ও বাংলাদেশ নিরাপত্তা বিভাগ “BATTALION C”

এর মত ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করায়। আর তা হল-

১) এই শত্রু টিবি(যক্ষ্মা)জীবানুর IDENTITY টা নিরাপত্তা বিভাগে MEMORY CELL তৈরী করে তার কম্পিউটারে SAVE করে রাখবে, ভবিষ্যতে এই টিবি জীবানুর সংগে যুদ্ধের সময় কাজে লাগানোর জন্য।

২) অন্য সৈনিক কোষরা যারা এখনো যুদ্ধে লিপ্ত হয় নাই, তাদের অনুপ্রবেশ কারী টিবি (যক্ষ্মা)জীবানুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হতে উত্তেজিত করবে।

৩) টিবি (যক্ষ্মা) জীবানুর সংগে যুদ্ধের জন্য যে ধরনের অস্ত্র ঊপযোগী, সেই ধরণের সঠিক অস্ত্র যার নাম “TB ANTIBODY” উৎপাদনের নির্দেশ দিবে।

মনে রাখবেন শরীরে এদের এই অস্ত্র “TB ANTIBODY” আমাদের তৈরী রাইফেল,বন্দুক, মেসিনগান অস্ত্রের চাইতেও অনেক বেশী শক্তিশালী ও কলা কৌশলপূর্ণ।

রাইফেল, মেসিনগান, একটি দলের মধ্যে শত্রু-মিত্র সবাইকে হত্যা করে,বার্মিজ, চাইনীজ, জাপানীজ সব শত্রুদেরই হত্যা করবে, কিন্ত শরীর এই TB ANTIBODY অস্ত্র এমন ভাবে উৎপাদন করে যে, সে শুধু মাত্র যে শত্রুর জন্য উৎপাদন করে কেবল মাত্র সেই শত্রুকেই চিনে চিনে বেছে বেছে আক্রমন করবে।

রাইফেল মেসিনগান কখনো শরীরের টিবি (যক্ষ্মা) জীবানু মারতে সক্ষম নয়, কিন্তু শরীর এর এই উৎপাদিত অস্ত্র সক্ষম।

এখানে এই TB ANTIBODY টা শুধু মাত্র টিবি (যক্ষ্মা)জীবানুকেই আক্রমন করবে, এই অস্ত্র (TB ANTIBODY)কখনোই টাইফয়েড বা ম্যালেরিয়া জীবানুকে ভূল করেও আক্রমণ করবেনা বা করার ক্ষমতাই নাই।

আবার এরা নিজ শরীরের কোষকেও কখনই আক্রমন করবেনা।

তবে কোন কোন ক্ষেত্রে এদের মূল উৎপাদক DNA তে যদি কোন MUTATION (বৈকল্য) ঘটে যায়, তখন ভূল ANTIBODY অস্ত্র তৈরী হয়ে যায়, তখন এই ANTIBODY গুলীই শত্রুকে চিনতে সক্ষম হয়না, ফলে আত্মঘাতি হয়ে নিজ শরীরের কোষকেই আক্রমন করতে থাকে। এরা তখন MISFIRING করতে থাকে। তখন এটা বড় বড় মারাত্মক ব্যাধি আকারে দেখা দেয়।

এই ব্যাধি গুলীকে AUTOIMMUNE DISEASE বলে। যেহেতু এটা DNA সম্পর্কিত, এ কারণে এই রোগ শরীর এর যে কোন SYSTEM এ হতে পারে।

এই T HELPER কোষ এখন কীভাবে অন্য যোদ্ধা কোষ, যারা এখনো যুদ্ধে লিপ্ত হয় নাই, তাদের এই শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উত্তেজিত করায় ও এই শত্রদের IDENTITY টা MEMORY CELL এর কম্পিউটারে SAVE করে রাখায়, কী ভাবে এই শত্রুদের বিরুদ্ধে ঠিক উপযোগী অস্ত্র উৎপাদন করায়, সেই আকর্ষনীয় ঘটনা পরবর্তী পর্বে জানতে পারবেন।

এখানে বর্নণা করতে গেলে পর্বটা অনেক বড় ও আপনাদের জন্য অনেক জটিল হয়ে যাবে, এ কারণে এখানে বর্নণা করা হলনা।

ধৈর্য ধরে সংগে থাকুন। রহস্যময় মানব দেহের অনেক রহস্য জানতে পারবেন।

কী ভাবে কোষ MHC-2 উৎপাদন করে সে সম্পর্কিত VIDEO এখানে দেখুন-

1. https://www.youtube.com/watch?v=TMnkihN6zVM

2. https://www.youtube.com/watch?v=RBaTZQthmCk&feature=iv&src_vid=Am2RVvWdT48&annotation_id=annotation_3840034177%23t=11m41s

3. https://www.youtube.com/watch?v=LwLYGTS_3EI

4. Difference between MHC Class I and MHC Class II

https://www.youtube.com/watch?v=gn-Q9r7app8

পূর্বের পর্ব সমূহ এখানে দেখুন-

http://WWW.CHKDR02.WORDPRESS.COM

৪৬ তম পর্বের সূত্র সমূহ-

1.NOBEL PRIZE

.http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/2011/

2. MHC 2 STRUCTURE

http://en.wikipedia.org/wiki/MHC_class_II

3, PHAGOCYTOSIS

http://en.wikipedia.org/wiki/Phagocyte

3. RE

http://animal-kid.com/animal-cell-rough-endoplasmic-reticulum.html

4. cd 74

http://ghr.nlm.nih.gov/gene/CD74

5. T-HELPER CELL (PICTURE),FUNCTION OF CYTOKINES/INTERLEUKINS

http://en.wikipedia.org/wiki/T_helper_cell

6.MHC 2 GENE

http://ghr.nlm.nih.gov/gene/HLA-DQB1

7.CD4 GENE

http://ghr.nlm.nih.gov/gene/CD4

বিষয়: বিবিধ

১০৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File