কী আবিস্কার করিয়া এই ৩ বিজ্ঞানী ২০১৪ সনে মেডিসিনের উপর নোবেল বিজয়ী হলেন? ALZHEIMERS রোগ কী? কী তার প্রতিকার? ৪০ তম পর্ব।

লিখেছেন লিখেছেন আঃ হাকিম চাকলাদার ২০ অক্টোবর, ২০১৪, ০৯:৩৫:৫৬ রাত



John O’Keefe (বামে)

জন্ম: 1939, New York, NY, USA

Affiliation at the time of the award: University College, London, United Kingdom

Prize motivation: "for their discoveries of cells that constitute a positioning system in the brain"

Field: physiology, spatial behavior

Prize share: ½

May-Britt Moser (মাঝখানে)

জন্ম: 1963, Fosnavåg, Norway

Affiliation at the time of the award: Centre for Neural Computation, Trondheim, Norway

Prize motivation: "for their discoveries of cells that constitute a positioning system in the brain"

Field: physiology, spatial behavior

Prize share: ¼

Edvard I. Moser (ডানে)

জন্ম: 1962, Ålesund, Norway

Affiliation at the time of the award: Kavli Institute for Systems Neuroscience, Trondheim, Norway

Prize motivation: "for their discoveries of cells that constitute a positioning system in the brain"

Field: physiology, spatial behavior

Prize share: 1/4

এরা গবেষনা করেছেন ইদুরের মস্তিস্কের স্নায়ু কোষকে সরাসরি IMAGING পদ্ধতি এর মাধ্যমে অবলোকন করিয়া। এর মধ্যে কোন আনুমানিক তথ্য নাই। পরে মানুষের মস্তিস্কের এই স্নায়ু কোষ গুলীকে IMAGING এর মাধ্যমে পরীক্ষা করিয়া দেখা গিয়েছে যে, মানুষ এবং ইদুরের মস্তিস্কের এই স্নায়ু কোষ গুলী একই পদ্ধতিতে এই কাজটি করে।

কী আবিস্কার করেছিলেন তারা?

২০০ বৎসর পূর্বে দার্শনিকগন মনে করতেন, মানুষের মনের পূর্ব সৃতি ধরে রাখার ক্ষমতা আছে। আর এই বিজ্ঞানীগন সেইটা মস্তিস্কের কোন কোষগুলী, কখন কীভাবে কাজ করিয়া, এই কাজটি করে, সেটা বের করে ফেলেছেন।

যে ভাবে তারা এটা আবিস্কার করলেন।

John O’Keefe , ১৯৭১ সনে দেখতে পান, ইদুরকে কোন একটি নূতন রুমে লয়ে গেলে, ইদুরের মস্তিস্কের HYPPOCAMPUS (নীচে চিত্র-৩ দেখুন)নামক অংশের কিছু স্নায়ূ কোষ (যার নাম তিনি PLACE CELL দেন)কার্যকরী হয়ে উঠে।

এরপর আর একটা রুমে লয়ে গেলে পার্শবর্তি আরকিছু PLACE CELL কার্যকরী হয়ে উঠে, শুধু তাই ই নয়, এই রুম গুলীর পারিপার্শিক দৃশ্যের ম্যাপ ও এই স্নায়ূ কোষগুলী অঙ্কন করে রেখে দেয়।

অর্থাৎ সে কোথায়, কোন পরিবেশের মধ্য এই মুহুর্তে আছে, এই কোষগুলী তার একটি চিত্রাঙ্কন করে কম্পিউটারে SAVE করে রাখার মত SAVE করে রেখে দেয়।(চিত্র ১,২,দেখুন)

এর ৩৪ বৎসর পরে, ২০০৫ সনে May-Britt Moser ও Edvard I. Moser (যারা দুইজনে বিবাহিত স্বামী – স্ত্রী) আবিস্কার করেন, পূর্বোক্ত মস্তিস্কের HYPPOCAMPUS অংশের পার্শে ENTORHAINAL (চিত্র-৩ দেখুন)নামক অংশের স্নায়ূ কোষ গুলী (যার নাম GRID CELL)ও PLACE CELL গুলীর সংগে একই সময়ে কার্যকরী হয়ে উঠে।

এই দুই ধরনের কোষ, PLACE CELL ও GRID CELL একত্রে সমন্বীত ভাবে কাজ করে প্রাণীটির আরো সূক্ষ্ম ও সঠিক অবস্থান (POSITION) নির্ধারণ করে ফেলে।(চিত্র-১ ও ২)

এ কারণে এই কোষগুলীকে POSITION কোষ ও বলা হয়।

এরা এভাবে মস্তিস্কের এই অংসে GPS বা GLOBAL POSITIONING SYSTEM এর ম্যাপ ধারণ করে SAVE করে রেখে দেয়।

এটা আমাদের কী কাজে প্রয়োজন হয়?

এই কোষগুলী আমাদের পূর্বের অবস্থানের ম্যাপ অংকন করে ধরে রাখে দেয় বলে আমরা সাভারের আমাদের বাড়ী হতে সকালে রওনা দিয়ে, ঢাকার গুলসানে গিয়ে নানান রকমের কাজ কাম করার পরেও আবার সন্ধায় সাভারে আমাদের নিজ বাড়ীতে ফিরে আসতে সক্ষম হই।

আমাদের কাছে মনে হয় এটা তো স্বাভাবিক ভাবেই আমরা করতে পারি। কিন্তু তা মোটেই নয়। এই POSITIONING কোষগুলী আমাদের সাভারের বাড়ীর চিত্রটি ম্যাপ অংকন করে ধরে রাখে বলেই, আমরা পুনরায় সন্ধা বেলায় সাভারে নিজ বাড়ীতে ফিরতে সক্ষম হই। এর জন্য এই কোষগুলীকে অবশ্যই যথেষ্ঠ মূল্য বহন ও করতে হয়। কিন্তু সুস্থ অবস্থায় আমরা এটা কিছুই টের পাইনা।

এই কোষগুলী কারো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে গেলে সে কোথাও গিয়ে আর নিজে নিজে বাড়ীতে ফিরে আসতে সক্ষম হবেনা।

ALZHEIMERS রোগ কী?

অতিরিক্ত বয়স হয়ে গেলে, তা অন্তত ৮০ এর পরের দিকে, কারো কারো দ্রুত এই POSITIONING কোষ গুলী দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকে। তখন তাদের মস্তিস্কের এই কোষ গুলী আর পৃর্বের অবস্থানের ম্যাপ ধরে রাখতে পারেনা।

ফলে স্বাভাবিক ভাবেই কোথাও গেলে আর পূর্ব জায়গায় ফিরে আসতে পারেনা।কারণ তার মস্তিস্কের ঐ কোষ গুলীতো তার পূর্বের অবস্থানের জায়গার ম্যাপ ধরে রাখে নাই। তাই সে পথ হারা হয়ে যায়।

প্রতিকার- ৩৯ পর্বের বর্ণিত প্রতিকার গুলী পালণ করলে এই রোগ একেবারেই হইবেনা, হলেও বিলম্বিত হইবে ।দৈনিক অন্ততঃ ৩ মাইল লম্বা পা ফেলে হাটবেন, তা হলে

ALZHEIMERS হবেনা ,একটা বিজ্ঞান অনুষ্ঠানে শুনেছি।।(১,২,৩)

চিত্র সমূহ-



পূর্বের পর্ব সমূহ এখানে দেখুন-

http://WWW.CHKDR02.WORDPRESS.COM

৪০ পর্বের সূত্র সমূহ-

1. http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/

2.FOX NEWS

http://www.foxnews.com/world/2014/10/06/john-okeefe-may-britt-moser-and-edvard-moser-win-nobel-prize-in-medicine-for/

3. THE GUARDIAN

http://www.theguardian.com/science/live/2014/oct/06/nobel-prize-physiology-medicine-announcement-stockholm-2014-live

কী আবিস্কার করিয়া এই ৩ বিজ্ঞানী ২০১৪ সনে মেডিসিনের উপর নোবেল বিজয়ী হলেন? ALZHEIMERS রোগ কী? কী তার প্রতিকার? ৪০ তম পর্ব।

John O’Keefe (বামে)

জন্ম: 1939, New York, NY, USA

Affiliation at the time of the award: University College, London, United Kingdom

Prize motivation: "for their discoveries of cells that constitute a positioning system in the brain"

Field: physiology, spatial behavior

Prize share: ½

May-Britt Moser (মাঝখানে)

জন্ম: 1963, Fosnavåg, Norway

Affiliation at the time of the award: Centre for Neural Computation, Trondheim, Norway

Prize motivation: "for their discoveries of cells that constitute a positioning system in the brain"

Field: physiology, spatial behavior

Prize share: ¼

Edvard I. Moser (ডানে)

জন্ম: 1962, Ålesund, Norway

Affiliation at the time of the award: Kavli Institute for Systems Neuroscience, Trondheim, Norway

Prize motivation: "for their discoveries of cells that constitute a positioning system in the brain"

Field: physiology, spatial behavior

Prize share: 1/4

এরা গবেষনা করেছেন ইদুরের মস্তিস্কের স্নায়ু কোষকে সরাসরি IMAGING পদ্ধতি এর মাধ্যমে অবলোকন করিয়া। এর মধ্যে কোন আনুমানিক তথ্য নাই। পরে মানুষের মস্তিস্কের এই স্নায়ু কোষ গুলীকে IMAGING এর মাধ্যমে পরীক্ষা করিয়া দেখা গিয়েছে যে, মানুষ এবং ইদুরের মস্তিস্কের এই স্নায়ু কোষ গুলী একই পদ্ধতিতে এই কাজটি করে।

কী আবিস্কার করেছিলেন তারা?

২০০ বৎসর পূর্বে দার্শনিকগন মনে করতেন, মানুষের মনের পূর্ব সৃতি ধরে রাখার ক্ষমতা আছে। আর এই বিজ্ঞানীগন সেইটা মস্তিস্কের কোন কোষগুলী, কখন কীভাবে কাজ করিয়া, এই কাজটি করে, সেটা বের করে ফেলেছেন।

যে ভাবে তারা এটা আবিস্কার করলেন।

John O’Keefe , ১৯৭১ সনে দেখতে পান, ইদুরকে কোন একটি নূতন রুমে লয়ে গেলে, ইদুরের মস্তিস্কের HYPPOCAMPUS (নীচে চিত্র-৩ দেখুন)নামক অংশের কিছু স্নায়ূ কোষ (যার নাম তিনি PLACE CELL দেন)কার্যকরী হয়ে উঠে।

এরপর আর একটা রুমে লয়ে গেলে পার্শবর্তি আরকিছু PLACE CELL কার্যকরী হয়ে উঠে, শুধু তাই ই নয়, এই রুম গুলীর পারিপার্শিক দৃশ্যের ম্যাপ ও এই স্নায়ূ কোষগুলী অঙ্কন করে রেখে দেয়।

অর্থাৎ সে কোথায়, কোন পরিবেশের মধ্য এই মুহুর্তে আছে, এই কোষগুলী তার একটি চিত্রাঙ্কন করে কম্পিউটারে SAVE করে রাখার মত SAVE করে রেখে দেয়।(চিত্র ১,২,দেখুন)

এর ৩৪ বৎসর পরে, ২০০৫ সনে May-Britt Moser ও Edvard I. Moser (যারা দুইজনে বিবাহিত স্বামী – স্ত্রী) আবিস্কার করেন, পূর্বোক্ত মস্তিস্কের HYPPOCAMPUS অংশের পার্শে ENTORHAINAL (চিত্র-৩ দেখুন)নামক অংশের স্নায়ূ কোষ গুলী (যার নাম GRID CELL)ও PLACE CELL গুলীর সংগে একই সময়ে কার্যকরী হয়ে উঠে।

এই দুই ধরনের কোষ, PLACE CELL ও GRID CELL একত্রে সমন্বীত ভাবে কাজ করে প্রাণীটির আরো সূক্ষ্ম ও সঠিক অবস্থান (POSITION) নির্ধারণ করে ফেলে।(চিত্র-১ ও ২)

এ কারণে এই কোষগুলীকে POSITION কোষ ও বলা হয়।

এরা এভাবে মস্তিস্কের এই অংসে GPS বা GLOBAL POSITIONING SYSTEM এর ম্যাপ ধারণ করে SAVE করে রেখে দেয়।

এটা আমাদের কী কাজে প্রয়োজন হয়?

এই কোষগুলী আমাদের পূর্বের অবস্থানের ম্যাপ অংকন করে ধরে রাখে দেয় বলে আমরা সাভারের আমাদের বাড়ী হতে সকালে রওনা দিয়ে, ঢাকার গুলসানে গিয়ে নানান রকমের কাজ কাম করার পরেও আবার সন্ধায় সাভারে আমাদের নিজ বাড়ীতে ফিরে আসতে সক্ষম হই।

আমাদের কাছে মনে হয় এটা তো স্বাভাবিক ভাবেই আমরা করতে পারি। কিন্তু তা মোটেই নয়। এই POSITIONING কোষগুলী আমাদের সাভারের বাড়ীর চিত্রটি ম্যাপ অংকন করে ধরে রাখে বলেই, আমরা পুনরায় সন্ধা বেলায় সাভারে নিজ বাড়ীতে ফিরতে সক্ষম হই। এর জন্য এই কোষগুলীকে অবশ্যই যথেষ্ঠ মূল্য বহন ও করতে হয়। কিন্তু সুস্থ অবস্থায় আমরা এটা কিছুই টের পাইনা।

এই কোষগুলী কারো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে গেলে সে কোথাও গিয়ে আর নিজে নিজে বাড়ীতে ফিরে আসতে সক্ষম হবেনা।

ALZHEIMERS রোগ কী?

অতিরিক্ত বয়স হয়ে গেলে, তা অন্তত ৮০ এর পরের দিকে, কারো কারো দ্রুত এই POSITIONING কোষ গুলী দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকে। তখন তাদের মস্তিস্কের এই কোষ গুলী আর পৃর্বের অবস্থানের ম্যাপ ধরে রাখতে পারেনা। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই কোথাও গেলে আর পূর্ব জায়গায় ফিরে আসতে পারেনা।কারণ তার মস্তিস্কের ঐ কোষ গুলীতো তার পূর্বের অবস্থানের জায়গার ম্যাপ ধরে রাখে নাই। তাই সে পথ হারা হয়ে যায়।

প্রতিকার- ৩৯ পর্বের বর্ণিত প্রতিকার গুলী পালণ করলে এই রোগ একেবারেই হইবেনা, হলেও বিলম্বিত হইবে ।দৈনিক অন্ততঃ ৩ মাইল লম্বা পা ফেলে হাটবেন, তা হলে ALZHEIMERS হবেনা ,একটা বিজ্ঞান অনুষ্ঠানে শুনেছি।।(১,২,৩)

চিত্র সমূহ-

পূর্বের পর্ব সমূহ এখানে দেখুন-

http://WWW.CHKDR02.WORDPRESS.COM

৪০ পর্বের সূত্র সমূহ-

1. http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/

2.FOX NEWS

http://www.foxnews.com/world/2014/10/06/john-okeefe-may-britt-moser-and-edvard-moser-win-nobel-prize-in-medicine-for/

3. THE GUARDIAN

http://www.theguardian.com/science/live/2014/oct/06/nobel-prize-physiology-medicine-announcement-stockholm-2014-live

বিষয়: বিবিধ

১৩৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File