চক্ষু,রেটিনা তে DNA যে ভাবে কাজ করে -২৬(৬)

লিখেছেন লিখেছেন আঃ হাকিম চাকলাদার ১৫ মে, ২০১৪, ০৬:০১:০৬ সন্ধ্যা



বিজ্ঞানীদের চিত্র বাম হতে ডানে-

১)Ragnar Granit

জন্ম: ৩০ অক্টোবর ১৯00, হেলসিংকি, ফিনল্যান্ড।

মৃত্যু: ১২ই মার্চ১৯৯১, স্টকহোম, সুইডেন।

পুরস্কার প্রাপ্তির সময় যেখানে কর্ম রত ছিলেন: Karolinska Institutet, স্টকহোম, সুইডেন।

২) Haldan Keffer Hartline

জন্ম: ২২ডিসেম্বর ১৯০৩ , Bloomsburg, PA, USA

মৃত্যু: ১৭ইমার্চ ১৯৮৩, Fallston, MD, USA

পুরস্কার প্রাপ্তির সময় যেখানে কর্ম রত ছিলেন: Rockefeller University, New York, NY, USA

৩) George Wald

জন্ম:: ১৮ই নভেম্বর ১৯০৬, New York, NY, USA

মৃত্যু: ১২ইএপ্রিল ১৯৯৭, Cambridge, MA, USA

পুরস্কার প্রাপ্তির সময় যেখানে কর্ম রত ছিলেন: Harvard University, Cambridge, MA, USA

উপরোক্ত ৩ জন বিজ্ঞানী রেটিনার ফিজিওলজিক্যাল এবং কেমিক্যাল এর উপর কাজ করিয়া মেডিসিন অথবা ফিজিওলজীতে ১৯৬৭ সনে নোবেল বিজয়ী হন।(১)

আপনারা ২১ পর্ব হতে জেনে আসছেন চক্ষু কীভাবে কাজ করে।২৪ ও ২৫ পর্বে দেখেছেন চক্ষু রেটিনা কী ভাবে কাজ করে।

কী করে এই “রড” ও “কোন” কোষ?

একেবারে সোজা সাপ্টা উত্তর । আর তা হল এই বিশেষ RECEPTOR কোষগুলী, রেটিনার উপর পতিত আলোক রশ্মীকে সরাসরি বৈদ্যুতিক প্রবাহে রুপান্তরিত করিয়া, সেখানে VISUAL CORTEX হতে প্রেরিত বিশেষ স্নায়ু OPTIC স্নায়ু তারের মধ্যদিয়ে VISUAL CENTER-1 (দৃষ্টি কেন্দ্র-১) কে পাঠিয়ে দেয়।চিত্র-৩

VISUAL CENTER-1 (দৃষ্টি কেন্দ্র-১) প্রবাহটিকে VISUAL CORTEX (SECONDARY)- (২য় দৃষ্টি কেন্দ্র) তে পাঠিয়ে দেয়।

তখন VISUAL CORTEX (SECONDARY)- (২য় দৃষ্টি কেন্দ্র) এই বিদ্যুৎ প্রবাহ টিকে বিশ্লেষন করে বস্তুটির আকৃতি, অবস্থান ও গতি বিধি নিরুপন করে ফেলে।

কেবল মাত্র তখনি আমরা বস্তুটিকে দেখতে ও এর সব কিছু জানতে সক্ষম হই।

কী ভাবে এই রডছ ও কোন কোষ আলোক চিত্রকে বি্দ্যুৎ প্রবাহে রুপান্তরিত করে ও দৃষ্টি-কেন্দ্র ও সেই বিদ্যুৎ প্রবাহ কে পুনরায় আলোক চিত্রে রুপান্তরিত করে?

হ্যা, অবশ্যই এই রুপান্তর প্রকৃয়াটি একেবারে ম্যাজিকের মত ঘটে যায়না।এখানে এটা ঘটাতে একটা জটিল রাসায়নিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ঘটানো লাগে।সেইটা যদি ঠিকমত ঘটানো সম্ভবপর হয়, তারপর আলোকরশ্মীটা বিদ্যুৎ প্রবাহে রুপান্তরিত হতে পারে ও তার পরে বিদ্যুত প্রবাহটিও মস্তিস্কে পৌছাইতে পারে ও আমরা দেখতে পাই।

কী রাসায়নিক প্রক্রিয়া সেখানে ঘটে? শিল্প কারখানায় মাল উৎপাদনের সময় যেমন ভাবে এক দিকে বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয়,ঠিক তদ্রুপ “রড” ও “কোন” কোষে আলোকরশ্মীটাকে বিদ্যুৎ প্রবাহে রুপান্তরিত করার সংগে সংগেই কোষের অভ্যন্তরে N-retinylidene-PE, নামক এক প্রকারের বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ পদার্থ উৎপন্ন হয়ে যায়।

এটাকে যদি সাথেসাথে নষ্ট না করে ফেলতে পারেন, তাহলে অচিরেই “রড” ও “কোন” কোষ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে ও চোখ অন্ধ হয়ে যাবে।

তাহলে এবার কী করবেন?

হ্যাঁ, এই বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থটাকে সাথে সাথে নিস্ক্রিয় করে দেওয়ার জন্য ওখানেই এর ANTIDOTE এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সেই ANTIDOTE হল ABCA4 নামক GENE। এই জ্বীনটায় অনবরত ঐ বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ টাকে নিস্ক্রীয় করে দিয়ে দিয়ে আমাদের দৃষ্টিশক্তিকে সক্ষম রাখতেছে।

এই জ্বীনটা MUTATION হয়ে গেলে যে রোগটা হয়ে চক্ষু অন্ধ হয়ে যায় তার নাম

Stargardt macular degeneration.

এধরনের এপর্যন্ত ৫০০ মিউটেশন কেছ পাওয়া গেছে।

(২) চিত্র-১

নীচে ABCA4 জ্বীনটার অবস্থান দেওয়া হল-

এটা ক্রোমোজোম নং-১ এর P বাহুর ২২ অবস্থানে base pairs 93,992,836 to 94,121,148

অবস্থানে অবসথিত



চিত্র-১

এই বর্জ পদার্থটা ছাড়াও আরো বর্জ পদার্থ রয়েছে, এবং তার জন্য ভিন্ন ভিন্ন জ্বীন অনবরত কাজ করে চলেছে।

নীচে ELOVL4 gene নামে আরো একটি জ্বীন দেখানো হলো।এই জ্বীনটার কাজ ভিন্ন ধরনের।

এটা কোষের অভ্যন্তরে ছোট ছোট FATTY ACID কে কার্বন অনু দ্বারা সংযুক্ত করে করে লম্বা FATTY ACID তৈরী করে দেয়।

কিন্ত এই বৃহৎ FATTY ACID চক্ষু কোষে কী কাজে আসে তা এখনো অজানা রয়েছে।

তবে এই জ্বীনটার MUTATION এর কারনেও চোখের দৃষ্টির ক্ষতি হতে দেখা গিয়েছে।(৩)চিত্র-২

ELOVL4 gene এর অবস্থান, ক্রোমোজোম নং-৬ q বাহুর ১৪ অবস্থানে.

: base pairs 79,914,811 to 79,947,597



চিত্র-২



চিত্র-৩ VISUAL CENTER

চলবে-

পূর্ববর্তী পর্ব সমূহ দেখতে নীচের SITE এ যান-

http://chkdr02.wordpress.com/

২৬ তম পর্বের রেফারেন্স সমূহ-

১) http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/1967/

২) http://ghr.nlm.nih.gov/gene/ABCA4

৩) http://ghr.nlm.nih.gov/gene/ELOVL4

বিষয়: বিবিধ

৯৬০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

221926
১৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৮
আঁধার কালো লিখেছেন : অনেক সুন্দর হয়েছে ... চালিয়ে যান।
221937
১৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২২
ছিঁচকে চোর লিখেছেন : ওয়াও সুন্দর তথ্য। আগে জানা ছিলো না। শেয়ার করার জন্য।
221949
১৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৭
ফেরারী মন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ। বিজ্ঞানময় ও জ্ঞানগর্ভ আলোচনা। জেনে অন্তত একটা বিষয় সম্পর্কে ভালো লাগলো।
222059
১৫ মে ২০১৪ রাত ০৯:৩৭
আহ জীবন লিখেছেন : মাথা গুলিয়ে গেলো।
222061
১৫ মে ২০১৪ রাত ০৯:৪৪
আঃ হাকিম চাকলাদার লিখেছেন : সবাইকে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File