৮ম পর্ব- ডিএনএ কী?- কোষ বিভাজন MEIOSIS-এই বিশ্বে কখনই একজন মানুষ হুবহু আর একজনের মত হওয়া সম্ভব নয়।(HOMOZYGOTE TWIN বাদে)

লিখেছেন লিখেছেন আঃ হাকিম চাকলাদার ১৫ অক্টোবর, ২০১৩, ০৬:০০:২৭ সকাল



৮ম পর্ব- ডিএনএ কী?- কোষ বিভাজন MEIOSIS-এই বিশ্বে কখনই একজন মানুষ হুবহু আর একজনের মত হওয়া সম্ভব নয়।(HOMOZYGOTE TWIN বাদে)

প্রজনন কোষগুলী অর্থাৎ SPERMATOZOA ও OVUM, MEIOSIS পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়। বিভাজন হওয়ার পূর্বে এদের মধ্যে থাকে ২৩ জোড়া বা ৪৬ টা ক্রোমোজোম এবং বিভাজিত হওয়ার পর এদের মধ্যে থাকে ২৩ টা ক্রোমোজোম।অর্থাৎ সোজা কথায় বিভাজনের পর প্রতিটা প্রজনন কোষ অর্দ্ধেক CHROMOSOME এর অধিকারী হয়ে যায়।

এবার কোষের MEIOSIS পদ্ধতি এর মধ্যে আপনাদেরকে লয়ে গিয়ে আরো অধিক এক অদ্ভুৎ কোষ কারখানার মধ্যে লয়ে যাব। যার জটিল কান্ড কারখানা দেখে আপনারা অবাক না হয়েই পারিবেননা।

মুলতঃ এই জটিল পদ্ধতিরই মধ্য দিয়েই আমাদের জীবনের বীজ অঙ্কুরিত হয়।

কাজেই কার্ না আগ্রহ থাকে নিজে কী ভাবে এই বিশ্বজগৎ দেখতে পেলাম তা একটু জানতে? না,না, আমরা কেহই মোটেই একেবারে মসৃন পথ দিয়ে এই ভূবনের রঙ্গমঞ্চে এসে পৌছাতে পারি নাই।পথে অসংখ্য বিপদ আপদ এড়িয়ে তারপরে এখানে পৌছাতে হয়েছে।

তাহলে এবার আসুন আমরা কোষের MEIOSIS এর কারখানায় ঢুকে পড়ি।

তবে কারখায় ঢুকবার পূর্বে আপনাকে CHROMOSOME এর কিছুটা সাধারন ধারনা লইতে হইবে। এটা যেন ঠিক এরুপ, যেমন কোন বিদেশীরা কক্সবাজার টুর করতে চাইলে পর্যটক অফিস, পর্যটকদের প্রথমে কক্সবাজার সম্পর্কে কিছু ম্যাপ ও গাইড পুস্তিকা প্রদান করে থাকে,যাতে তাদের পর্যটনটা আরো বেশী উপভোগ্য ও স্বার্থক হতে পারে।

কারণ CHROMOSOME টাই এই কাখানার প্রধান বিষয় বস্তু।

প্রানী জগতের উপর MEIOSIS এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য কেন এত বেশী?

MEIOSIS বিভাজনের মাধ্যমে CHROMOSOME এর গুনাগুন শুধু মাত্র অঙ্কুরিত ব্যক্তিটা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকেনা বরং এটা বংশানুক্রমিক ভাবে ও বংশধরদের মধ্য দিয়ে ও গড়াতে থাকে। MEIOSIS এর কারখানার মধ্যেই সিদ্ধান্ত এসে যায় পিতৃ-মাতৃ প্রজনন কোষ হতে উৎপন্ন ব্যক্তিটির গুনাগুন কিরুপ হইবে। এই কারখানার মধ্য দিয়েই বাছাই হতে থাকে ৭০ ট্রিলিয়ন ধরনের বিভিন্ন গুনাবলী সম্বলিত GENETICS MATERIALS এর CHROMOSOME এর মধ্য হতে কোন গুনাবলী সম্বলীত GENETICS MATERIALS এর CHROMSOME টি উৎপন্ন ব্যক্তিটির ভাগে পড়তে চলেছে। হ্যাঁ এটা বড় মারাত্মক ব্যাপার ই বটে।

এই কারখানার মধ্য দিয়েই নিরুপিত হয়ে যায় উৎপন্ন ব্যক্তিটি একজন আইনষ্টাইন আসতেছে নাকি একটা উন্মাদ আসতেছে। এই কারখানার মধ্য দিয়েই জীব জগতের বৈশিষ্টের বৈচিত্রতা প্রকাশিত হয় ও এর মধ্য দিয়েই DNA এর GENETICS MATERIALS এর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রানী জগতের বংশ ধারার মধ্যে বিবর্তন ধারাও চলতে থাকে।(২)ভিডিও-১

অদ্ভুত ব্যাপার হল এগুলী সবই আমাদেরই ব্যাপার বটে কিন্তু এটা আমাদের হস্তক্ষেপ বা নিয়ন্ত্রনের একেবারেই বাইরে, এবং সম্পূর্ণ দৃষ্টির বাইরে এক অদৃশ্য জগতের কারখানা।আমরা যেন সেখান থেকে কোন এক অদৃশ্য হস্তের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কলের পুতুল মাত্র। আর এই পুতুলের মধ্যের কলটি যেন DNA।আর এই পুতুল টি কতক্ষন চলা ফিরা করবে? সোজা উত্তর,কলে যতক্ষন ব্যাটারীর শক্তি বিদ্যমান থাকবে। তাহলে DNA এর এই ব্যাটারী টা কী? হ্যা DNA মেসিন টি অবশ্যই ব্যাটারী ছেট করা রয়েছে। চর্চের ব্যাটারী ফুরিয়ে আসতে থাকলে ঠিক আলোর তীব্রতা যেমন কমতে কমতে নিশেষ হয়ে যেতে থাকে, DNA এর ব্যাটারী TELOMERE নামক পদার্থ টির চার্জ কমতে থাকলেও আমরা ক্রমান্বয়ে বার্ধক্যের দিকে এগুতে এগুতে এক সময় আমাদের কোষগুলীরও স্বাভাবিক মৃত্যু হতে হতে আমাদের ও স্বাভাবিক মৃত্যু অবধারিত হয়ে যায়।(TELOMERE কী?৫ম পর্ব দেখুন) ধরুন আর ১০- ২০ বৎসর পরেই,বিজ্ঞানীগন আবিস্কার করে ফেল্ল এই DNA মেসিন কে রিচার্জ করার পদ্ধতি অর্থাৎ TELOMERE কে নিয়ন্ত্রিত করে এর আয়ু বর্ধিত করার পদ্ধতি,তখন ব্যস, কী আনন্দ!! আমরাও তখন একটা অতি দীর্ঘ যৌবন জীবনের অধিকারী হয়ে যাব। (৫ম পর্ব দেখুন)।

আমরা নিতান্ত অসহায়

আছে কী আমাদের হাতে কোন ক্ষমতা, রক্ষা পাওয়ার যদি GENETIC EXGHANGE এর সময় একটা CANCER GENE, DOWN’S SYNDOME এর গরমিল DNA অথবা THALASSAEMIA এর মত বা আরো হাজার রকমের ক্ষতিকারক কোন GENETIC গরমিল বা ত্রুটি বিচ্যুতি আমাদের কারো ভাগে পড়ে যায়?

হ্যা, একটা ব্যক্তির হাজার হাজার রকমের GENETIC বৈকল্যগত ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় এই MEIOSIS বিভাজনে GENETIC MATERIALS এর মিশ্রনের সময় কোন রকমের বৈকল্য বা বিচ্যুতি ঘটে যাওয়ার উপর। এ সম্পর্কে পরে আলোচনা করা হবে।

সেই অদ্ভুৎ কারখানায় আমাদের কোনই নিয়ন্ত্রন নাই। সেখানে আমরা নিতান্তই অসহায় ও নিরুপায়।

হ্যাঁ, কী করে এই অদ্ভুৎ কারখানার মধ্য দিয়ে এই আমরাই আসতেছি তা এই MEIOSIS চ্যাপটারটা ভাল ভাবে পড়লেই বুঝতে পারবেন।

তার আগে একটু জেনে নেওয়া ভাল কারা DNA সম্পর্কে নিয়মিত ভাবে অনবরত গবেষনা চালিয়ে এ সম্পর্কে নূতন নূতন তথ্য আবিস্কার করে করে বিশ্ববাসীকে জ্ঞ্যানের আলোকে আলোকিত করতেছেন। তাদের কাছে একটু খানি হলেও তো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিৎ।

এরা হল-

হিউম্যান জেনম প্রোজেক্ট

(Human Genome Project)

কী এই হিউম্যান জেনম প্রোজেক্ট?

“হিউম্যান জেনোম প্রোজেক্ট” হল একটি আন্তর্জাতিক গবেষনা কার্যক্রম সংস্থা যাদের গবেষনার লক্ষ্য হল মানুষের সমস্ত GENE এবং GENE SEQUENCE কে চিহ্নিত করা। এই প্রোজেক্টটি সমন্বয় করেছিল The U.S. National Institutes of Health and the U.S. Department of Energy’ এরপরে আরো অবদান রাখে আমেরিকার অনেক ইউনিভার্সিটি,ইউকে,ফ্রান্স,জার্মানী,জাপান এবং চীন। “হিউম্যান জেনোম প্রজেক্ট” কার্যতঃ আরম্ভ হয়েছিল ১৯৯০ সালে এবং এর কাজ সম্পূর্ণ করেছিল ২০০৩ সালে,নির্ধারিত সময় সূচীর দুই বৎসর পূর্বেই।

এই সকল গবেষকগন DNA এর মধ্যে মনুষ্য জাতির লুক্কায়িত থাকা ব্লুপ্লিন্ট ( মডেল বা খসড়া) ধরে ফেলতে সক্ষম হন। এবং এর দ্বারা অর্জিত হয় অনেক চিকিৎসা ও সামাজিক সুবিধা সহ অন্যান্য আইন গত সুবিধাও।(6)

MEIOSIS বুঝতে গেলে CHROMOSOME সম্পর্কে সামান্যতম হলেও আপাততঃ একটু ধারনা থাকার দরকার আছে। পরে বিস্তারিত বলা হবে।

তাই CHROMOSOME সম্পর্কে অন্ততঃ কিছুটা হলেও ধারনা পাওয়ার জন্য প্রথমে CHROMOSOME গুলির ম্যাপ বা KARIOTYPE টা একটু দেখে নিন। কারণ MEIOSIS বিভাজনে এই CHROMOSOME গুলীরই বিভাজনটাই মুখ্য উদ্দেশ্য্। কাজেই আগে ভাগেই তাদের চেহারাটা একটু দেখে এদেরকে একটু চিনে নিন। আর এদের গঠন সম্পর্কে জেনে নিন ১ম ও ২য় পর্ব পড়ে।

KARYOTYPE

KARYOTYPE কী?

আমাদের জানতে হবে আমাদের SOMATIC কোষের মধ্যে আমাদের ২৩ জোড়া বা ৪৬ টা ক্রোমোজোম থাকে। বিভিন্ন ধরণের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা, নিরীক্ষা, বিশ্লেষণের, ও রোগাক্রান্ত CHROMOSOME এর সংগে সুস্থ CHROMOSOME এর তুলনা করিয়া ধারণা লইবার সুবিধার্থে বিজ্ঞানী গন মানুষের ২৩ জোড়া CHROMOSOME কে সারিবদ্ধ ভাবে সাজিয়ে এক নজরে দেখে নিতে একটা ম্যাপের আকৃতি দিয়েছেন, যাকে KARYOTYPE বলা হয়। চিত্র-১) কোষের নিউক্লীয়াসের মধ্যে এই ২৩ টা CHROMOSOME এর প্রত্যেকটায় ২টা করে SET রয়েছে। একটি পিতার ও একটি মাতার।এই SET সংখ্যাকে “ N” দ্বারা প্রকাশ করা হয়। সমস্ত SOMATIC কোষে থাকে ২N, (৪৬ টা),আর একে DIPLOID বলে। আর পুরুষ স্ত্রী প্রজনন কোষে (SPERM ও OVUM) থাকে ১ ছেট, একে বলা হয় N বা HAPLOID (২৩ টা)। CHROMOSOME এর মধ্যে হাজার হাজার GENE রয়েছে,যারা একদিকে যেমন আমাদের জীবনটাকেও অনবরত পরিচালনা করে আবার এর মধ্যদিয়ে বংসগত গুনাগুন ও রোগ ব্যাধিও আমরা যেমনটা পুর্ব পুরুষ হতে গ্রহন করে থাকি, ঠিক একই ভাবে আবার এই আমরাই আমাদেরই পরবর্তি বংশধরদের মধ্যেও পাঠিয়ে থাকি।

যেহেতু আমাদের জীবনের প্রারম্ভের সর্ব প্রথম সৃষ্ট কোষ ZYGOTE নামক মাত্র একটি DEPLOID কোষের মধ্য দিয়ে শুরু হয়, মাত্র একটি MALE GAMATE (পুং প্রজনন কোষ) কোষ দ্বারা মাত্র একটি FEMALE GAMATE (স্ত্রী প্রজনন কোষ) FERTILIZED হওয়ার মাধ্যমে, সেই প্রজনন কোষ দ্বয় নিজেরাই কী ভাবে DIPLOID কোষ হতে HAPLOID কোষে পরিণত হয় সেইটাই MEIOSIS পদ্ধতিতে দেখানো হয়েছে।

বড়ই জটিল এবং তাৎপর্যপূর্ণ এই MEIOSIS পদ্ধতির কোষ বিভাজন।

KARYOTYP



চিত্র-১, KARYOTYPE-SOMATIC কোষে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম ম্যাপ আকারে।

এই চিত্রে, প্রথম ২২ জোড়া CHROMOSOME কে AUTOSOME বলে। ২৩ তম জোড়া (X,Y) যেহেতু লিংগ (SEX) নির্দ্ধারক ক্রোমোজোম তাই একে SEX CHROMOSOME বলে। আর এই ২৩ জোড়ার একটিকে আর একটির HOMOLOGOUS ক্রোমোজোম বলে। এদের আকার আকৃতি একই রকম ও উভয়ের CENTROMERES একই LEVEL এ থাকে। তাই বলে এরা IDENTICAL বা হুবহু একই রকমের CHROMOSOME নয়, যেমনটা হয় SISTER CHROMATID দ্বয়। এদেরকে নাম্বারিং করা হয়েছে সবচেয়ে বড় আকার হতে ছোট এর দিকে ক্রমান্বয়ে,১নং,২নং,৩নং,৪নং…………………….হতে ২৩নং পর্যন্ত। এক নং ক্রোমছম সবচেয়ে বেশী বড় হয়।(১) চিত্র-১।

একটি উৎপাদন কোষের( SPERM বা OVUM) KARYOTYPE এর চিত্র কল্পনা করতে চাইলে,উপরোক্ত চিত্রের প্রতি জোড়ার স্থলে একটি করে CHROMOSOME ধরে নিন।

SEX CHROMOSOME (লিংগ নির্ধারক ক্রোমোছম)

X ও Y CHROMOSOME মিলিত হয়ে পুরুষ তৈরী করে এবং X ও X CHROMOSOME মিলিত হয়ে নারী তৈরী করে।

অতএব SOMATIC কোষে এক জন পুরুষের ২৩ তম জোড়ায় থাকে এক জোড়া XY CHROMOSOME এবং এক জন নারীর থাকে এক জোড়া XX CHROMOSOME।

আর একটি উৎপাদন কোষে ২৩ তম স্থানে পুরুষের থাকে কোনটায় X CHROMOSOME আর কোনটায় থাকে Y CHROMOSOME। আর নারীদের উৎপাদন কোষ একটি মাত্র OVUM হয় তাতে একটি মাত্র X CHROMOSOME থাকে। আর ৩টি POLAR BODY এর HAPLOID CHROMOSOME SET গুলী POLAR BODY এর সংগে অকেজো হয়ে যায়।(১,৭)

কোষ চক্র

MEIOSIS এ মাইটোসিসের মত কোন কোষ চক্র নাই। এটা একটা ONE WAY PROCESS বা এক মুখী পদ্ধতি। চিত্র-২ (২)

চিত্র-২



চিত্র-২, MEIOSIS

মাইটোসিস ও মায়োসিস এর মধ্যে পার্থক্য কি?

১) মাইটোসিস হয় সমস্ত SOMATIC কোষে, মায়োসিস হয় শুধু মাত্র প্রজনন কোষে। প্রজনন কোষ (SPERM ও OVUM) বাদে সমস্ত কোষকে SOMATIC কোষ বলা হয়।

২) মাইটোসিস এর কোষ চক্র আছে কিন্তু মায়োসিসের কোন কোষ চক্র নাই।

৩) মাইটোসিস ৫টি স্তরের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়ে যায় (পর্ব-৭)।

আর মায়োসিসিসের স্তর প্রথমে দু ভাগে বিভক্ত- মায়োসিস -১ ও মায়োসিস-২।

এরপর উভয় মায়োসিস এর থাকে ৫টি স্তর, যেমন ১) প্রোফেজ-১, ২)মেটাফেজ-১, ৩)এনাফেজ-১, ৪)টেলোফেজ-১ ৫)সাইটোকাইনেছিছ-১

৪) মাইটোসিস এ একটি কোষ বিডাজিত হয়ে ২টি কোষে পরিণত হয় এবং বিভাজিত কোষ গুলীতে PARENT কোষ এর সমান সংখ্যক এবং হুবহু একই গুনাগুন সম্পন্ন CHROMOSOME থাকে। অর্থাৎ PARENT কোষ ও ২N বা DIPLOID থাকে এবং শিশু কোষ ২ টি ও ২N বা DIPLOID হয়। অন্যভাবে এখানে প্রত্যেকেরই ৪৬ টাই হুবহু একই ক্রোমোজোম থকে।

আর মায়োসিসে একটি কোষ বিভাজিত হয়ে পুরুষের ৪টি কোষে পরিণত হয়,আর নারীদের একটি OVUM হয় এবং এখানে PARENT কোষে CHROMOSOME এর সংখা ২N বা DIPLOID থাকে কিন্তু বিভাজিত কোষ গুলীর ক্রোমোজোমের সংখ্যা হয় N বা HAPLOID। অর্থাৎ ৪৬ টা CHROMOSOME এর স্থলে ২৩ টা করে থাকে।এবং নবীন কোষের গুণাগুন PARENT কোষের ক্রোমোজোমের সংগেও একরকম হয়না এবং নব কোষ গুলীর ও একটার সংগে আর একটার মিল হয়না।(২)

এখানে উল্লেখ্য একটি পুরুষ প্রজনন কোষ বিভাজন হয়ে ৪টি প্রজনন কোষ হয়, কিন্তু একটি স্ত্রী প্রজনন কোষ বিভাজিত হয়ে মাত্র একটি ডিম্বকোষ হয় আর ৩টি অকার্যকরী POLAR BODY তৈরী হয়, যা পরবর্তিতে নষ্ট হয়ে যায়, পোলার বডি গুলী শুধু মাত্র OVUM এর তৈরী পর্যন্ত সাহায্য কারী হিসাবে আসে।(৩)

একটি সীমিত সংখ্যক স্ত্রী প্রজননকোষ OVARY তে জন্মের পূর্বেই সৃষ্টি হয়ে যায়। এরপর আর নূতন করে কখনো তৈরী হয়না।(৩)

পুরুষ প্রজনন কোষ অন্ডকোষে বয়ঃসন্ধিক্ষন (PUBERTY) কাল হতে আরম্ভ করিয়া মৃত্যু পর্যন্ত অনবরত এবং বিলিয়ন বিলিয়ন উৎপন্ন হতে থাকে।(৪)

চিত্র-৩

http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/5/54/Meiosis_diagram.jpg

চিত্র-৩ মায়োসিস,এখানে ২টা CHROMOSOME এর MEIOSIS দেখানো হয়েছে।

কী ভাবে মায়োসিস ঘটে।

এবার তা হলে দেখা যাক একটি DIPLOID প্রজনন কোষ কী ভাবে MEIOSIS এর স্তর গুলী একটার পর আর একটা পার হয়ে হয়ে একটি HAPLOID কোষে পরিণত হয়ে প্রজননের উপযোগী হয়।

মায়োসিসকে প্রথমে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-মায়োসিস-১ ও মায়োসিস-২।

মায়োসিস আরম্ভ হওয়ার পূর্বেই INTERPHASE স্তরে কিছু কাজ হয়। তাই এটাও আগে বর্ণনা করার দরকার আছে।

INTERPHASE-মায়োসিস আরম্ভ হওয়ার পূর্বেই INTERPHASE এর SYNTHESIS PHASE এ প্রতিটা ক্রোমোজোম (২৩ জোড়া)চিত্র-১, REPLICATE করে MITOSIS (৭ম-পর্ব)এর ন্যায় ডবল হয়ে যায়। অর্থাৎ প্রত্যেকটি ক্রোমোজোমের পিতৃ ও মাতৃ ক্রোমোজোম REPLICATE হয়ে মোট ৪ টি CHROMATID উৎপন্ন হয়। তখন এই CHROMATID জোড়াকে SISTER CHROMATID বলা হয়।

SISTER CHROMATID দ্বয় পরস্পর CENTROMERE এ X আকারে সংযুক্ত থাকে। এই ডবল কৃত পিতৃ ও মাতৃ কোষ দ্বয়ের একটাকে আর একটার HOMOLOGOUS ক্রোমোজোম বলা হয় (২)চিত্র-২ ও চিত্র-৩,(ভিডিও-১,২ ও ৩ নং দেখুন)SISTER CHROMATIDS দ্বয় IDENTICAL অর্থাৎ হুবহু একই গুনাগুন সম্পন্ন হয়।

একটি HOMOLOGOUS এর SISTER CHROMATID কে অন্য HOMOGOUD SISTER CHROMATID এর NON SISTER CHROMATID বলে।এদের গুনাগুন পরশ্পর ভিন্ন থাকে।

মায়োসিস-১ এ কী ঘটে?

মায়োসিস-১ এর কাজ

১)পিতৃ ও মাতৃ ক্রোমোজোমের GENETIC MATERIALS এর মধ্যে RECOMBINATION ঘটিয়ে, GROSS OVER করিয়ে GENETIC MATERIALS কে একে বারে সোজা কথায় বারো-ভাজাল করিয়া ফেলা। আমাদের দেশে হকাররা বাজারে যে বারো-ভাজা বিক্রি করে থাকে ঠিক তাইই।

এর জন্য আরো একটা উদাহরন দেই। তাস খেলায় তাস ৪ জন প্লেয়ারের মধ্যে বন্টন করার পূর্বে তাসের মধ্যে যাতে বন্টনের পর কোন রকমের ক্রমিকতা থাকতে না পারে তার জন্য তাস ছেটকে যে ভাবে বার বার SHOUFLING করা হয় ঠিক তদ্রুপ ভাবেই পিতৃ ও মাতৃ ক্রোমোজোমের GENETIC MATERIALS এর RECOMBINATION ঘটিয়ে,CROSS OVER করে সমস্ত গুনাগুন মিশ্রিত করিয়া ফেলা হয়। মিশ্রনের পর পিতৃ মাতৃ HOMOLOGUE CHROMOSOME দ্বয়ের পূর্বের গুনাগুন আর থাকেনা।(২)

২)পিতা মাতার DIPLOID CHROMOSOME, HAPLOID CHROMOSOME এ পরিণত হয়ে যায়।

MEIOSIS -১ এ ৫টি স্তর থাকে।

৫টি স্তরের নাম-

১)প্রোফেজ-১, ২)মেটাফেজ-১,৩)এনাফেজ-১, ৪)টেলোফেজ-১,ও ৫)সাইটোকাইনেসিস-১

এর মধ্য দিয়ে কোষটি প্রথমে ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে দুইটি নব কোষ উৎপন্ন হয়। এর প্রত্যেকটি কোষে INTERPHASE এ ডবল কৃত HOMOLOGOUS CHROMOSOME এর একটি করে চলে যায়।

এখানে ৪৬ টা CHROMOSOME থাকা সত্বেও এদের HAPLOID বলা হয়।(২) চিত্র-৩ (ভিডিও দেখুন),কারন এখানে প্রত্যেকটি CHROMATID ভিন্ন ভিন্ন গুনাগুন অর্জন করে,ও পিতৃ মাতৃ এর পূর্ব বৈশিষ্ট থাকেনা।

মায়োসিস-২ এ কী ঘটে?

মায়োসিস ২ তে, মায়োসিস ১ এর উৎপন্ন কোষ দুইটি ঠিক মাইটোসিসের মতই,প্রোফেজ-২, মেটাফেজ-২, এনাফেজ-২, টেলোফেজ-২ ও সাইটোকাইনেসিস-২ এর মধ্য দিয়ে বিভাজিত হয়ে প্রত্যেকটিতে ১ টি করে HAPLOID ক্রোমাটিড সহ ৪টি HAPLOID কোষ উৎপন্ন হয়ে যায়।(২)চিত্র-৩ ও ভিডিও গুলী দেখুন।

কোষের মায়োসিস বিভাগ সম্পূর্ণ হয়ে গেল। তবে কী ভাবে বিভাজিত কোষ HAPLOID হল,কী ভাবে প্রতিটা কোষ এর GENETIC MATERIALS এ বিভিন্নতা এল, কত রকমের বিভিন্নতা আসতে পারে, এর প্রায় সবই সমাধা হয়ে যায় প্রথম স্তর প্রোফেজ-১ স্তরে। এ কারনে প্রোফেজ-১ স্তর MEIOSIS এ অতি দীর্ঘ, গুরুত্বপূর্ণ ও সবচেয়ে জটিল কার্য সমাধা করে থাকে।

এবার তাহলে মায়োসিসের স্তর গুলীকে দেখুন।

স্তর প্রোফেজ-১

এই স্তরের কাজ হল পিতৃ-মাতৃ CHROMOSOMES (HOMOLOGOUS)এর GENETIC MATERIALS এর মিশ্রন ঘটিয়ে DIPLOID CHROMOSOME কে HAPLOID CHROMOSOME এ পরিণত করা।

এই জটিল ও গুরুত্বপুর্ণ মিশ্রন টা কী কী ভাবে ঘটায় তাই ই এখানে বর্ণণা করা হয়েছে।যেমন-

১)GENETIC RECOMBINATION । চিত্র ৪,৫ দেখুন।

নীচের চিত্র-৪ ভাল করে বুঝুন তাহলে কী পদ্ধতিতে GENETIC RECOMBINATION হয় তা বুঝতে সহজ হবে।



চিত্র-৪ GENETIC RECOMBINATION

চিত্রটি সহজে বুঝার জন্য একটু ব্যাখ্যা করতেছি।

লক্ষ করুন, এই চিত্রটিতে পিতা-মাতার GENETIC MATERIAL এর আদান-প্রদান (RECOMBINATION) এর লক্ষে দুইটা DNA অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ভাবে পাশাপাশি এসে দাড়িয়ে গেছে যাকে SYNAPSIS বলে। এরপর RECOMBINATION কী ভাবে ঘটায় তার একটি স্বচ্ছ নমুনা- চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

ক) এখানে তিন জোড়ায় মোট ছয় টি DNA দেখাচ্ছে। জোড়ার একটি পিতার ও একটি মাতার DNA। ধরা যাক জোড়ার উপরের নীল কালো রঙীন টা পিতার ও তার নীচের লাল-হলুদ রঙীন টা মাতার,ঠিক ২৩ জোড়া DNA তে যেমনটা জোড়ায় জোড়ায় থাকে। এখানে রং দেওয়া শুধু মাত্র পিতৃ মাতৃ পৃথক দেখানোর জন্য। DNA এর উভয় চেইনে বেছ এর SEQUENCE গুলী ও (ACGT) সারিবদ্ধ ভাবে দেখানো হয়েছে।

খ) উপরের প্রথম জোড়াটা GENE আদান প্রদান বা মিশ্রন বা RECOMBINATION এর পূর্বের স্বাভাবিক অবস্থা।

গ) মাঝের জোড়ায় ডান কর্নারে লক্ষ্য করুন। উপরের পিতার DNA এর উপরের চেইনের নীল –কালো রংএর CGT GENE SEQUENCE টি নীচের মাতার DNA এর উপরের চেইনের লাল-হলুদ রংএর CGT GENE SEQUENCE এর সংগে আদান প্রদান করতে চলেছে।

ঘ) এবার সর্ব নিম্নের জোড়ায় লক্ষ্য করুন। এদের GENE এর এওজ বদল সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এখন উপরের পিতার DNA এর উপরের চেইনের সর্ব ডানে পিতার CGT GENE যেটা নীল কালো রঙের ছিল তার স্থলে মাতার CGT GENE (লাল-হলুদ রঙের) নিয়ে নিয়েছে।

এবং পিতার ঐ CGT জীনটা (নীল-কালো রঙের) মাতার DNA এর ঠিক একই স্থানে প্রদান করেছে।

তাহলে দুইটা DNA, একটি পিতার ও একটি মাতার,পাশা পাশি এসে উভয়ের মধ্যে কী ভাবে এওজ বদল করল তার একটা TECHNICAL নমুনা-চিত্র দেখলেন। মনে রাখবেন এই এওজ বদল টা শুধু মাত্র একজোড়া CHROMOSOME এর মাত্র একটা GENE এর মধ্যেই ঘটেনা, বরং একই সংগে ২৩ জোড়া ক্রোমজোমের প্রায় সমম্ত GENE এর মধ্যে RANDOMLY অতি দ্রত ঘটতে থাকে।শুধু মাত্র SEX CHROMOSOME এ কম মিশ্রন ঘটে।



চিত্র-৫ প্রোফেজ-১

২) CHIASMATA

এরপর একটা পর্যায়ে HOMOLOGOUS দুইটি একটা হতে আর একটা সামান্য একটু পৃথক হয়ে পাশাপাশি দাড়িয়ে যায় যাতে CHIASMATA এর পদ্ধতির মাধ্যমে মিশ্রন ঘটাতে সুবিধা হয়। এই সময় এদেরকে ৪টা দন্ডাকারে পাশাপাশি দেখায় বলে এদেরকে তখন বলা হয় BIVALENT বা TETRAD।

এই সময় আর একটি ঘটনা ঘটে। একটি CHROMATID তার আর একটি NON SISTER CHROMATID এর সংগে উভয়ে BODY এর কোন একটি জায়গায় একত্রে মিশে যায়।এই স্থানটাকে CHIASMATA বলে।

এই মিলিত হওয়ার স্থানের মধ্য দিয়ে তখন এরা উভয়ের GENETIC MATERIALS একে অপরকে আদান প্রদান করতে থাকে।

এটা যেন আমেরিকা-কানাডার নায়াগ্রা বর্ডারের ব্রীজ,যার উপর দিয়ে উভয় দেশের মালামাল এপার ওপার আসা যাওয়া করে।

আদান প্রদান সম্পন্ন হয়ে গেলেই CHIASMATA এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে HOMOLOGOUS দ্বয় পুনরায় যে যার যায়গায় চলে গিয়ে পরবর্তি METAPHASE-১ স্তরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়।

তাহলে দেখলেনতো, কত বড় কৌশল, চতুরতা, দক্ষতার সংগে ও পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রেখে আমাদেরই পিতৃ-মাতৃ GENETIC MATERIALS গুলীর মিশ্রন বা আদান প্রদান সম্পন্ন করে ফেলা হল! এখানে কোথায় কার সংগে কিসের আদান প্রদান করা হল তা এ পর্যন্ত কারো লক্ষ্য করবার সাধ্যি হয় নাই।অত্যধিক গোপনীয়তা বজায় রেখে এই কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এই GENETIC MATERIALS এর আদান প্রদানের মাধ্যমেই CHROMATID গুলীর গুনাবলী বা ভাগ্য তথা এর থেকে উৎপাদিত ব্যক্তির ভাগ্য এখানেই সকলের অজান্তেই নির্ধারিত হয়ে বসে থাকল। অতএব আপনার আমার ভাগে কী পেলাম বা কী হতে বঞ্চিত হলাম দুনিয়ার কেউই তা জানতে সক্ষম হয়না।

অথচ এই আদান প্রদানের সময় আপনার আমার ভাগে কী পড়ল তার উপরই নির্ভর করতেছে, আপনি আমি একজন আইনষ্টাইন হব নাকি একজন DOWN’S SYNDROME এর মত একটি স্থায়ী দুরারোগ্য ব্যাধি গ্রস্থ রোগী হব নাকি, একজন সুস্থ মানুষ হয়ে জন্মাব নাকি একজন CANCER রোগ গ্রস্থ হয়ে জন্মাব।

এমন আশ্চর্যজনক ঘটনা কি আর কোথাও দেখতে পাবেন? অসম্ভব!!!

এই কারণে এত বড় জগাখিচুড়ী ধরনের মিশ্রনের মধ্য দিয়ে উৎপাদিত ১টি পুরুষ ও ১টি স্ত্রী CHROMADID এরই ৭০ ট্রিলিয়নের মত VARIATION এর PROBABILITIES এর মধ্য দিয়ে পার হয়ে যেকোন একটিতে পরিণত হতে হয়। অর্থাৎ একটি পিতৃ ও একটি মাতৃ CHROMATID হতে সৃষ্ট একজন ব্যক্তিকে ৭০ ট্রিলিয়ন প্রকারের বিভিন্ন ধরণের মানুষের মধ্য হতে মাত্র যে কোন একজনই সম্ভাবনা থাকে। এর মধ্য হতে RANDOMLY নির্বাচিত হয় আপনি কোন মানুষটি হতে চলেছেন।

শুনতে খুব খারাপ লাগলেও এখানে আসল ব্যাপাটি ঠিক তাইই ঘটে। গভীর ভাবে ঘটনাটা বুঝে দেখুন,তাহলেই ধরতে পারবেন।

সমাজেও একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন একই পিতা মাতা হওয়া সত্বেও ভাই বোনেরা প্রত্যেকেই পৃথক ধরনের হয়।

এ যেন নিউ ইয়র্ক স্টেটের POWER BALL লটারী অনুস্ঠানের ৯০মিলিয়ন ডলারের JACK POT পাওয়ার এক ভাগ্যের লড়াই।

এই অসংখ্য PROBABILITIES এর মধ্য দিয়ে পার হয়ে আসার কারণে এই ভূমন্ডলে কখনোই একটি মানুষ হুবহু আর একটি মানুষের মত হওয়া সম্ভব পর নয়, একমাত্র HOMOZYGOTE TWIN ছাড়া। (VIDEO-NO-1)

মনে রাখবেন, MEIOSIS এর মূল লক্ষ্য যা তা এখানেই অর্জিত হয়ে গেছে। এবং এটা পুরুষ- স্ত্রী উভয় উৎপাদন কোষেই (SPERMATOZOA ও OVUM) ঘটে। এর পরবর্তি ধাপ গুলীর উদ্দেশ্য শুধু মাত্র এই নির্বাচিত গুন সম্পন্ন CHROMATID হতে পুরুষের TESTES এ ৪টি বিশেষ বৈশিষ্টের SPERMATOZOA এবং নারীদের OVARY তে মাত্র একটি বিশেষ বৈশিষ্টের OVUM তৈরী হয়ে যাবে।

পরবর্তিতে SEXUAL INTERCOURSE কালে এর একট SPERM একটি OVUM কে FERTILIZE করলে একটি এক কোষী ZYGOTE উৎপন্ন হয়। এই এক কোষী ZYGOTE টাই মাতৃ UTERUS এ বাড়তে থাকে।পরে ভুমিষ্ঠ হয়ে এইটাই প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন কোষ বিশিষ্ট একটি পরিনথ মানবে পরিণত হয়।

তবে আপনার আমার জীবনটা কেমন হবে তার ব্লুপ্রিন্টটা নির্দ্ধারিত হয়ে এসেছে পিতৃ-মাতৃর উৎপাদন কোষ MEIOSIS বিভাজনের সময় যার বৃহৎ দায়িত্ব পালন করেছে এই প্রোফেজ-১ স্তর।

এখান থেকে যদি আপনার আমার ভাগে, DOWNS SYNDROME, বা THALASSAEMIA বা CANCER এর ব্লুপ্রিন্ট ভাগে পড়িয়া থাকে,আমরা তখন বড় দুর্ভাগ্য। তখন আমাদের কিছুই করার নাই।

আর এখান থেকে যদি সৌভাগ্য বসতঃ একটা অতি উন্নত মস্তিস্কের ব্লুপ্রিন্ট ভাগে পেয়ে যাই তাহলে আমরা মানুষকে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে ভ্রমন করে বেড়ানোর উপায়টা বাতলে দিতে পারব।

হ্যঁ, আমরা আসাবাদী আগামী আমাদের ই কোননা কোন বংশ ধররা উৎপাদন প্রকৃয়ার মধ্য দিয়েই এমন উন্নত মস্তিস্ক লয়ে জন্মাতে চলেছে। অথবা তারা নিজেরাই কোন পরিবরবর্তিত DNA এর মাধ্যমে এমন ক্ষমতা লয়ে জন্মাবে যে তারা নিজেরাই গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে ভ্রমন করে বেড়াতে সক্ষম হবে, যে ক্ষমতা সম্পন্ন DNA টা এখনো আমাদের মধ্যে এসে পারে নাই।

না, মোটেই গালগল্প নয়,কারণ এই GENETIC MATERIALS এর TRILLION TRILLION প্রকারের মিশ্রনের মাধ্যমে যে কত ধরনের গুনসম্পন্ন মানব উৎপাদিত হতে পারে তার ইয়ত্তা কারো পক্ষে খুজে বের করা সম্ভবপর নয়।

এ যেন আমাদের ক্ষদ্রাতিক্ষুদ্র কোষের মধ্যে এক বিশ্ব ভ্রমান্ড বিরাজমান।

বিশ্ব ভ্রমান্ডের ন্যায় ও এর অতি সামান্য কিছু জানতে পারি মাত্র।

আবার এর মাধ্যমে এমন মানব ও এসে যেতে পারে যে সমস্ত মানব জাতিকে ধংশও করে দিতে পারে।

তবে HOMOZYGOTE TWIN এ কেন একজন আর একজনের মত হয়?

তার কারণ, জরায়ুতে যখন এককোষী ZYGOTE তৈরী হয়ে যায়,তখন ALREADY সে তার জীবনের ব্লপ্রিন্ট(DNA) ভাগে পেয়ে গিয়েছে।আর নূতন কোন ব্লুপ্রিন্ট কোন খান থেকে আসবার সম্ভাবনা থাকেনা। এর থেকে MITOSIS পদ্ধতির মাধ্যমে এই হুবহু একই ব্লুপ্রিন্ট প্রতিটা নব কোষে ঠিক রেখে আজীবন বিভাজিত হয়ে হয়ে প্রায় ১০০ ট্রিলিয়নে কোষে পৌছায়। এর প্রত্যেকটি কোষেই হুবহু একই CHROMOSOME বা ব্লপ্রিন্ট থেকে যায়।

ZYGOTE টির প্রথম কয়েকদিনের বিভাজনের সময় যদি এর কোন একটি বা একাধিক কোষ মূল XYGOTE কোষপুঞ্জি হতে পৃথক হয়ে নিজের মত করে জন্মানো আরম্ভ করে তখন যেহেতু এদের CHROMOSOME একই XYGOTE থেকে কপি হয়ে এসেছে বলে এদের DNA ও হুবহু একই রকম হয়। একারণে এই যমজরাও হুবহু একই রকম হয়। এদেরকে HOMOZYGOTE বা MONOZYGOTE TWIN বা IDENTICAL TWIN বলে। (৮)

বিজ্ঞানীগন এই ফর্মুলা প্রয়োগ করে কৃত্রিম উপায়ে CLONING পদ্ধতির ব্যবহার করে পশু উৎপাদন করতেছেন।বিদেশে এভাবে নিয়মিত ভাবে পসু উৎপাদন করা হচ্ছে।

আমেরিকার FDA, CLONE এর মাধ্যমে উৎপাদিত পশুর মাংস ল্যাবেলিং ছাড়াই বাজার জাত করার অনুমোদন দিয়েছে ২৮ ডিসেম্বর,২০০৬। (৯).

এ ব্যাপারে পরে আলোচনা করা হবে।

এর পরের ঘটনা গুলী প্রায় MITOSIS এর মতই ঘটতে ঘটতে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

এরপর দুইটি CENTROSOME নিউক্লীয়াসের দুই পার্শে চলে যায়। নিউক্লীয়াছের বেড়ী খন্ড খন্ড হয়ে যায়। (২) চিত্র-৫

অনেক বিস্তারিত বিষয় এড়িয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে মৌলিক বিষয় গুলী সহজে বোধগম্য হওয়ার লক্ষ্যে প্রোফেজ-১ স্তর এখানেই শেষ করা হল।এর চাইতেও আরো অনেক কিছু সুক্ষ্য বিষয়াদি বাদ রেখেছি। পরে কখনো সুযোগ বা প্রয়োজন হলে সেগুলী আলোচনা করব।

এবার তাহলে চলুন METAPHASE-১ এ।

মেটাফেজ-১



চিত্র-৬,মেটাফেজ-১

এই স্তরে MICROTUBULE গুলী CENTROMERE এর KINETOCHORE এ সংযুক্ত হয়ে HOMOLOGOUS PAIR গুলীকে METAPHASE PLATE এর EQUATORIAL LINE এর দুই পার্শে সারি বদ্ধ ভাবে দাড় করায়। কোন্ HOMOLOGUE টি লাইনের কোন্ পার্শে যাইবে এটা পরশ্পর কোন ধরাবাধা নিয়ম মানেনা।( পূর্বেই বলা হয়েছে)

এখানে HOMOLOGOUS CHROMOSSOME দু পার্শে দুইটা চলে গিয়ে পরে দুইটা কোষ উৎপন্ন করছে। এই স্তরে একটি বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়ে যায়,যেমন ধরা যাক এর মধ্যের এক পার্শের একটির CHROMATID এ একটি CANCER GENE বহন করতেছে। তাহলে শুধু মাত্র সেই পার্শের সেই CHROMATID হতে উৎপন্ন GERM CELL হতে উৎপন্ন ব্যক্তিই ক্যান্সারে আক্রান্ত হইবে। অন্য CHROMATID হতে উৎপন্ন ব্যক্তিরা এই বিপদ থেকে রক্ষা পেয়ে যাবে।ভিডিও-১ দেখুন

এই স্তরে নিউক্লীয়াছ বেড়ী আর থাকেনা। (২) চিত্র-৬

এনাফেজ-১

চিত্র-৭



চিত্র-৭, এনাফেজ-১

এই স্তরে মাইক্রোটিউবুল গুলী SHORT হয়ে হয়ে HOMOLOGOUS PAIR গুলীকে বিপরীত মুখে উভয় CENTROSOME এর দিকে লয়ে যাইতে থাকে। আর NON KINETOCHORE MICROTUBULE গুলী পরস্পর মিলিত হয়ে ও লম্বা হয়ে হয়ে কোষকে লম্বা করতে থাকে।মনে রাখতে হবে এই HOMOLOGOUS PAIR এ দুইটি করে মোট ৪টি ভিন্ন ভিন্ন গুনের CHROMATID রয়েছে। (2) চিত্র-৭

টেলোফেজ-১

চিত্র-৮



চিত্র-৮,টেলোফেজ-১

এই স্তরে CHROMOSOME PAIR গুলী কোষের দুই প্রান্তে পৌছে যায়। নূতন নিউক্লীয়াছ বেড়ী CENTROSOME কে বাইরে রেখে নুতন HOMOLOGOUS PAIR কে ভিতরে লয়ে কোষের দুই প্রান্তে পৃথক হয়ে চলে যায়। CHROMOSOME এ CHROMATIN দেখা দিতে থাকে। কোষের CYTOPLASM এর মাঝখানে খাঁজ পড়ে যায়। এর প্রত্যেকটি HOMOLOGOUS PAIR এ একজোড়া করে CHROMATID থাকে। (২) চিত্র-৮

এর পরেই CYTOKINESIS-1 ঘটে দুইটি কোষে পরিণত হয়ে যায়। (২)চিত্র-৯



চিত্র-৯ CYTOKINESIS-১

মায়োসিস -১ শেষ হয়ে গেল। লক্ষ্য করুন MITOSIS ১ সমাপ্তি করে ১ টি কোষ ২ টি কোষে পরিণত হল এবং পত্যেক কোষে দুইটি পৃথক গুনাবলীর এক একটি HOMOLOGOUS CHROMOSOME পাইল।

এরপর কোষ INTERPHASE-২ তে চলে গিয়ে একটু বিশ্রাম লয়। তবে INTERPHASE ২ এ DNA REPLICATE করেনা। এর পর কোষ MEIOSIS-২ তে চলে যাইবে।

মায়োছিছ-২ তে, এবার এই দুইটি কোষই ঠিক MITOSIS এর ন্যায় বিভাজিত হয়ে এক একটি ভিন্ন গুনাবলীর CHROMATID লয়ে ৪ টি কোষে পরিণত হইবে।

এবার তাহলে দেখুন MEIOSIS-২)এর স্তর গুলীর নাম ১)প্রোফেজ-২ ২)মেটাফেজ-২ ৩)এনাফেজ-২ ৪)টেলোফেজ-২ ৫)ছাইটোকাইনেছিছ-২ (২)

প্রোফেজ-২



চিত্র-১০,প্রোফেজ-২

এখানে MITOTIC বিভাজনের PROPHASE স্তরের মতই উভয় কোষে ঘটতে থাকে। শুধু মাত্র পার্থক্য এই যে এখানকার HOMOLOGOUS গুলী আগে থেকেই HAPLOID ও CHROMATID গুলী ভিন্ন ভিন্ন গুনাবলী সম্পন্ন MEIOSIS -১ থেকেই হয়ে এসেছে। CHROMOSOME গুলী অত্যন্ত গাঢ় হতে থাকে। SISTER CHROMATID দ্বয় CENTROMERE এ KINETOCHORE এর মাধ্যমে আটকানো থাকে (২) চিত্র-১০ ) নিউক্লিয়াসের পার্শেই CENTROSOME থাকে। এই স্তরে নিউক্লীয়াছের বেড়ীর অখন্ডতা ভেঙ্গে গিয়ে খন্ড খন্ড হয়ে ফাক ফাক হয়ে যায়। মাইক্রোটিউবুল গুলী এই ফাক এর মধ্য দিয়ে নিউক্লীয়াছের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এই ভাবে প্রতিটা CHROMATID, দুই দিকের CENTROSOME হতে আগত MICROTUBULE দ্বারা আটকানো হয়ে যায়।

উভয়দিক হতে আগত যেসব MICROTUBULE গুলী কোন KINETOCHORE পায়না, তারা পরস্পর মিলিত হয়ে MITOTIC SPINDLE তৈরী করে।চিত্র-১০ (২)

মেটাফেজ-২



চিত্র-১১ মেটাফেজ-২

এখানে CENTROMERE এ দুইটা KINETOCHORE লাগানো থাকে,যাতে দুই মেরুর CENTROSOME হতে MICROTUBULE এসে সংযুক্ত হয়। এই স্তরের METAPHASE PLATE এর EQUATORIAL LINE, MEIOSIS ১ এর METAPHASE PLATE এর EQUATORIAL LINE, হতে ৯০ ডিগ্রী ঘুরে দাড়ায়, যাতে HOMOLOGOUS CHROMATID গুলী পৃথক হয়ে স্বাধীন ভাবে ও সহজে যার যার হবু নব কোষের দিকে যেতে পারে। ।চিত্র-১১ (২)

এখানে ও এবার CHROMATID গুলী কোন কোষের দিকে যাইবে তা স্বাধীন ভাবে নির্ধারণ করে। এখানেও ভাগ্যের আর একটি নির্বাচন হয়ে যায়। যেমন ধরা যাক METAPHASE-১ এর CANCER GENE টি যে কোষের HOMOLOGUE এর যে CHROMATID টি বহন করতে ছিল, একমাত্র সেই CHROMATID হতে উৎপন্ন GERM CELL দ্বারা উৎপন্ন ব্যক্তিই ক্যান্সারে আক্রান্ত হইবে। এভাবে CANCER বহন কারী GENE টির নির্দিষ্ট GERM CELL টি বিভিন্ন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হয়ে গেল। এরপর বাকী থাকল এর বিপরীত SEX কোষের সংগে মিলিত হয়ে FERTILIZE হওয়া। যদি এটা FERTILZATION এ না যায় তাহলে এটা নষ্ট হয়ে যাবে।

সমস্ত গুনাগুন,রোগ ব্যাধি,ত্রুটি-বিচ্যুতি বিভিন্ন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে GERM CELL এ পৌছাতে হয়,তারপরে FERTILIZATION এও যেতে হবে।

এনাফেজ-২



চিত্র-১২, এনাফেজ-২

এই স্তরে এসে CENTROMERE হতে CHROMATID গুলী ছাড়িয়ে গিয়ে KINETOCHORE এ MICROTUBULE সংযুক্ত হয়ে যায় এবং MICROTUBULE গুলী CHROMATID গুলীকে দুই মেরুর দিকে লয়ে যেতে থাকে। এই পর্যায়ে SISTER CHROMATID গুলীকে SISTER CHROMOSOME বলা হয় কারণ এরাই হল হবু নব ক্রোমোজোম, যারা পরস্পর বিপরীত মেরুর দিকে চলতে থাকে।চিত্র-১২ (২)

এরপর টেলোফেজ-২ এসে যায়।

টেলোফেজ-২

চিত্র-১৩



চিত্র-১৩, টেলোফেজ-২

এখানে TELOPHASE-১ এর মতই CHROMOSOME কয়েল মুক্ত ও লম্বা হয়।SPINDLE অদৃশ্য হয়ে যায়।NUCLEOLUS আবির্ভাব হয়ে যায়। NUCLEUS বেড়ী তৈরী হয়ে যায়। প্রত্যেকটা NUCLEUS এ একটা করে HAPLOID CHROMOSOME থেকে যায়। কোষ প্রাচীরের মাঝখান দিয়ে খাঁজ পড়ে যায়।চিত্র-১৩ (২)

প্রকৃত অর্থে এই পর্যন্ত এসে MEIOSIS-২ শেষ হয়ে গেল।

এরপর CYTOKINESIS এর মাধ্যমে কোষ বিভক্ত হয়ে যায়।

ছাইটোকাইনেছিছ-২



চিত্র-১৪ ছাইটোকাইনেছিছ-২

এর পরে CITOKINESIS এর মাধ্যমে পূর্ণ CYTOPLASM বিভাজিত হয়ে পূর্ণ ৪টি HAPLOID কোষে পরিণত হয়ে যায়।

মায়োসিস সম্পূর্ণ হয়ে গেল।চিত্র-১৪ (২)

MEIOSIS এর কিছু বিচ্যুতি(NON DISJUNCTION)

MEIOSIS-১ এ অথবা MEIOSIS-২ এ কোন CHROMOSOME অথবা কোন CHROMATID যদি সঠিক ভাবে একটা হতে অন্যটা বিচ্ছিন্ন না হতে পারে, তাকে NON DISJUCTION বলে। এর ফলে কোন একটি কোষে ৩ টি CHROMOSOME চলে যেতে পারে-তখন তাকে TRISOMY বলে। আর যেটায় একটা যায় তাকে MONOSOMY বলে।

এর জন্য চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক জটিল শারীরিক ব্যাধি রুপে দেখা দেয় যেমন-

১) DOWN SYNDROME- এটা ঘটে যদি ২১ নং CHROMOSOME এ TRISOMY ঘটে যায়।

এখানে লক্ষন দেখা যায় যেমন-যে কোন স্নায়ূতান্ত্রিক অস্বাভাবিকতা,জন্ম গত হৃদপিন্ডের রোগ, থাইরয়েড এর অস্বাভাবিকতা,ক্যানসার,সন্তান জন্মদানে অক্ষমতা, দৃষ্টি শক্তি ও শ্রবন শক্তি ব্যহত হওয়া ও আরো অনেক কিছু

২) PATAU SYNDROME –এটা ঘটে যদি ১৩ নং CHROMOSOME এ TRISOMY ঘটে যায়।

এদের অনেক অস্বাভাবিক লক্ষন থাকে যেমন,মানসিক অপরিপক্কতা,MOTOR NEURONE DISEASE,ক্ষুদ্র আকৃতির মস্তিস্ক,হাতের অঙ্গুলী একত্রে মিশে থাকা,ফাটা ঠোট হওয়া, হৃদপিন্ডে VENTRCULAR SEPTAL DEFFECT সহ আরো বহূ রকমের অস্বাভাবিকতা।

৩)EDWARD SYNDROME- ১৮ নং CHROMOSOME এ TRISOMY ঘটলে এটা ঘটে যায়।

এর লক্ষন গুলী হয় যেমন-জন্মগত হৃদপিন্ডের অশুখ,যেমন,ATRIAL SEPTAL DEFFECT, VENTRICULAR SEPTAL DEFFECT, PATIENT DUCTUS ARTERIOSUS,মানসিক অপরিপক্কতা,ধীরে শরীর বৃদ্ধি, ARTHROGRYPOSIS ( জন্মগত সমস্ত জয়েন্ট গুলি শক্ত ভাবে আটকানো থাকে) ও আরো অনেক কিছু।

৪)KLINEFELTERS SYNDROME-এটা ঘটে যদি ২৩ নং কোন পরুষের SEX CHROMOSOME এর X CHROMOSOME এর TRISOMY ঘটে,অর্থাৎ XXY

এটা হলে কিছু শিখতে পারার ক্ষমতা,ভাষা শিক্ষার ক্ষমতা, কোন বিবিধ বিষয় বস্তু সমন্বয় করে করার ক্ষমতা কম হয়।

৫)TURNER SYNDROME-এটা নারীদের ক্ষেত্রে ঘটে যদি একটি মাত্র X CHROMOSOME পায় অর্থাৎ-X0 হয়। এখানে লক্ষন দেখা যায়,সন্তান উৎপাদনে অক্ষমতা,ভিন্ন ধরনের চেহারা, হৃদপিন্ডে,BICUSPID AORTIC VALV,COACTATION OF AORTA সহ আরো বহু অস্বাভাবিকতা।

৬) TRPLE X SYNDROM- এটা নারীদের ক্ষেত্রে X CHROMOME এর TRISOMY। অর্থাৎ এক্ষেত্রে একটা নারী পায়-XXX.

এদের শরীর দীর্ঘ ও মস্তিস্কের আকৃতি ক্ষুদ্র হয়। আবার কারো কারো উপর এর ফলাফল নাও আসতে পারে।

৭)XYY SYNDROME-এটা পুরুষের ২৩ নং CHROMOSOME এর Y CHROMOSOME এর TRISOMY.

এই বিচ্যুতিতে কোন লক্ষনের বহিপ্রকাশ ঘটেনা। লন্ডনে দেখা গেছে অন্য কোন প্রয়োজনে KRYOTYPE করবার সময় এই GENETIC ত্রুটি টি ধরা পড়েছে।এর জন্য রোগীরা কোন অভিযোগ করেনাই।(২)

এছাড়া ও আরো অসংখ্য রকমের GENETIC ত্রুটি বিচ্যুতি ঘটতে পারে।

সেগুলী পরে জানতে পারবেন।

নীচে MEIOSIS এর উপরে

ভিডিও গুলী দেখুন-

ভিডিও-১

[youtube http://www.youtube.com/watch?v=rB_8dTuh73c?feature=oembed]

ভিডিও-২

http://highered.mcgraw-hill.com/sites/0072495855/student_view0/chapter28/animation__how_meiosis_works.html

ভিডিও-৩

[youtube http://www.youtube.com/watch?v=35ncSrJOwME?feature=oembed]

সূত্র-

১…http://ghr.nlm.nih.gov/handbook/basics/howmanychromosomes

২. https://en.wikipedia.org/wiki/Meiosis

৩. https://en.wikipedia.org/wiki/Oogenesis

৪. https://en.wikipedia.org/wiki/Spermatogenesis

৫. http://ghr.nlm.nih.gov/handbook/basics/chromosome

৬. http://ghr.nlm.nih.gov/handbook/hgp/description

৭.. http://www.ehow.com/info_8146227_differences-male-female-chromosomes.html

৮.. http://en.wikipedia.org/wiki/Twin

৯.. http://en.wikipedia.org/wiki/Cloning

বিষয়: বিবিধ

১৬৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File