অনৈতিকতার সর্বপ্লাবী প্লাবন
লিখেছেন লিখেছেন আবু নাজিব ১৯ আগস্ট, ২০১৩, ০৫:০৮:২৬ বিকাল
আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে সবাই একমত যে, উন্নত নৈতিক চরিত্র গঠন করতে হবে, নইলে দেশ এবং জাতি রসাতলে যাবে। নৈতিকতার এ প্রশ্নে পূর্ব প্রজন্ম বা উত্তর প্রজন্ম অথবা আগামী প্রজন্মের মধ্যে কোন মতানৈক্য নেই। তবুও আমাদের চারপাশে দৃষ্টিসীমায় যা দেখি সেখানে নৈতিক অবক্ষয় আর চরিত্র ধ্বংসের প্লাবন যেন অনিয়ন্ত্রিত। এটি হু হু করে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ছে জন থেকে জনে, ঘর থেকে ঘরে, দেশ থেকে দেশে। এ প্লাবন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না শিশু, কিশোর, যুবা, প্রবীণ কিংবা বৃদ্ধ। কতটা অনৈতিকতার চর্চা করা যায় বোধহয় এটিরই প্রতিযোগিতা চলছে অহর্নিশ। পড়ার রুম থেকে ক্লাশ রুম, হোটেল-রেষ্টুরেন্ট, পার্ক, অফিস, বাজার সহ সর্বত্র সহজলব্ধ অনৈতিক বিভিন্ন উপকরণাদী। ঠিক যে কারনে এ নৈতিকতার অবক্ষয় সেগুলি প্রথম সনাক্ত করা প্রয়োজন এবং সেগুলির ব্যাপারে সঠিক সতর্কতা অবলম্বন করা গেলে হয়তো এ থেকে সমাজকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশে মূলত: মাদকাসক্তির কারনে ব্যাপক ভাবে যুব প্রজন্মের চরিত্র ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মাদকদ্রব্য আসক্তদের সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের দেশে এখনও পাওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি একটি দৈনিকে প্রকাশিত তথ্যে জানা যায় যে, মাদকাসক্তদের শতকরা ৬৫ জন শিক্ষিত। তাদের মধ্যে শতকরা ৮০ জন অতিমাত্রায় মাদকাসক্ত। জরিপে বলা হয়েছে, যারা মাদকদ্রব্য সেবন করেন তাদের ৮৫ জনের বয়সই ৩০ বছরের নিচে। এদের ৫০ জন অবিবাহিত, ৩৫ জন বিবাহিত। শতকরা ১০ জন সংখ্যার বিচ্ছিন্ন, শতকরা ৪০ জন মাদকদ্রব্য সেবনকারী বেকার, শতকরা ২৫ জন ছাত্র, ১৫ জন ব্যবসায়ী এবং ২০ জন অন্যান্য পেশার মানুষ। জরিপ রিপোর্টে আরও জানা যায়, মাদকাসক্তদের শতকরা ৮৫ জনই বিভিন্ন সামাজিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে ফেনসিডিল আসক্তের সংখ্যাও বাংলাদেশে বেড়ে যাচ্ছে । একটি সূত্র থেকে জানা যায়, ফেনসিডিল খাওয়ার পর টিকটিকির লেজ দিয়ে তৈরি এক ধরনের চিংড়ির কাবাবও অনেকেই খায়। ঢাকার একটি এলাকায় সামনের রাস্তায় এই টিকটিকির লেজের কাবাব তৈরি করতেও দেখা গেছে। পত্রিকা সূত্রে আরও জানা যায় যে, কয়েক বছর আগে আমিন বাজার নামক এলাকায় সাপের বিষ দিয়ে তৈরি নেশার বিক্রিও ছিল গরম খবর। তবে মারাত্মক খবর হচ্ছে এনকফ নেশাদ্রব্য হিসেবে চালু হওয়ার পর এর সঙ্গে দু’একটি রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে দেশী ফেনসিডিল তৈরি হচ্ছে যা কিনা আরও ক্ষতিকর।
নেশার এই ধরনের ওষুধ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে নিয়মিতভাবে আমাদের দেশে আসছে, ফলে নেশাগ্রস্ত হচ্ছে তরুণ যুবসমাজ। এই মাদকাসক্তির নেশা থেকে আমাদের প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে এখনই প্রয়োজন সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে এই মাদকদ্রব্যগুলোকে প্রশাসনের কড়া নিয়ন্ত্রণে আনা। এছাড়াও গাজা, ভাঙসহ আরো বিভিন্ন ধরনের নেশাদ্রব্য যুবকদের হাতের নাগালেই রয়েছে।
চরিত্র বিধ্বংসী আরেকটি নেশা এখন ছাত্র-ছাত্রী নির্বিশেষে যুবকদের চারিত্রিক অবক্ষয়ের অন্যতম নিয়ামক হিসাবে কাজ করছে, এটিকে এককথায় সাইবার অপরাধ বলে গন্য করা যায়। অবাধ সাইবার সংস্কৃতির সুফল প্রাপ্তির সাথে মূদ্রার উল্টো পিঠও দেখা শুরু হয়েছে, বেড়েছে কিশোর অপরাধ। সবচেয়ে বড় যে উদ্বেগ- বিগড়ে যাচ্ছে নতুন প্রজন্ম, যাদের বলা হয়ে থাকে আগামীর বাংলাদেশ।
হাতের নাগালে মাল্টি-মিডিয়া মুঠোফোন থাকায় তরুণরা অবাধে ঝুঁকছে পর্নোতে। তরুণ নয়, এর প্রভাবে এখন দিশেহারা শৈশব-কৈশোরও। বাঙালির ঐতিহ্য পারিবারিক বন্ধনে চিঁড় ধরছে। ঠুনকো কারণে বাড়ছে হত্যাকাণ্ড। অপরাধ বিজ্ঞান ও আইনশৃঙ্খলার সাথে সংশ্লিষ্টরা কিনারা পাচ্ছেন না- কিভাবে বন্ধ করা যাবে বৈচিত্রে ভরা এই কিশোর অপরাধ।
মাল্টি-মিডিয়া ফোন সেটের সহজলভ্যতা আর নাগালের মধ্যে সাইবার ক্যাফে থাকায় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে ঝুঁকে পড়েছে মূল্যবোধ ধ্বংসকারী অনৈতিক এসব কর্মকাণ্ডে। পরিবার থেকে আর্থিক সহায়তা বন্ধসহ চাপ দেয়া হলে বিগড়ে যাচ্ছে তারা। চুরি, ছিনতাই, খুনসহ জড়িয়ে পড়ছে নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে।
প্রযুক্তির অবারিত দ্বার সবার জন্য উন্মোচিত হবার কারণে শিশু কিশোরদের একটি ‘গিনিপিগ প্রজন্ম’ জন্ম নিচ্ছে যারা অতিমাত্রায় ইন্টারনেট আসক্তিতে পেয়ে বসেছে। আর সবচে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে এদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রয়োজনীয় তথ্যপুর্ণ ওয়েবসাইট বাদ দিয়ে পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি ব্রিটেনের পার্লামেন্ট সদস্যরা (এমপি) এ নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। এমপিদের উদ্যোগে করা এক জরিপে দেখা গেছে, ১৬ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের মধ্যে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে চার জন এবং ১০ বছর বয়সী প্রতি তিন জনের মধ্যে এক জন নিয়মিত পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইট দেখে। জরিপে আরো দেখা গেছে, ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসাধীন কিশোর-তরুণদের এক চতুর্থাংশের বেশির সমস্যা অনলাইন পর্নোগ্রাফিতে আসক্তি। এরফলে যৌন নির্যাতন, নিপিড়ন, ধর্ষণ এবং এর ধারাবাহিকতায় খুনের মতো ঘটনাও ঘটেছে এই সকল কোমলমতি শিশু কিশোর দ্বারা। সুতরাং এখনই বন্ধ করতে হবে এই সকল পর্ণগ্রাফির সাইটগুলোকে। তা না হলে এর কুফল ভোগ করতে হবে আমাদের আগামী প্রজন্মকে। ধীরে ধীরে আমরা এক মৃত সভ্যতায় পরিনত হয়ে যাব।
যে সব কারণ এ নৈতিকতা ধ্বংসের পেছনে সক্রিয় সেগুলি প্রথম চিহ্নিত করা প্রয়োজন। রোগ ধরতে পারলে সঠিক চিকিৎসাও দেয়া সম্ভব, নয়তো রোগী ধীরে ধীরে মৃত্যুমুখে পতিত হতে বাধ্য। বর্তমানে আমাদের সমাজে নৈতিকতা ধ্বংসের জন্য দায়ি বিদ্যমান সহজলভ্য উপকরণগুলি হচ্ছেঃ
১। নৈতিকতা শিক্ষার উপযুক্ত শিক্ষা এবং পরিবেশের অভাব।
২। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা-প্রযুক্তির সহজলভ্যতা এবং অপব্যবহার।
৩। নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যাপকতা।
৪। সামাজিক নৈকট্য।
৫। পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতার অভাব।
৬। আইনের দুর্বল প্রয়োগ ।
১। নৈতিকতা শিক্ষার উপযুক্ত শিক্ষা এবং পরিবেশের অভাবঃ
আজকে আমাদের পারিবারিক ব্যবস্থা মহাবিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে চলেছে। সময় থাকতে আমাদেরকে এখুনি এ ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। পারিবারিক বিপর্যয় রোধে গ্রহণ করতে হবে কার্যকর ব্যবস্থা । নিম্নে এ সম্পর্কে কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করা হলো।
১. আমাদের সমাজের নারী-পুরুষ বিশেষত যুবক-যুবতীদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধে আমূল পরিবর্তন করতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে, পাশ্চাত্যের বস্তুবাদী ও ভোগবাদী সমাজ ও পরিবার মুসলমানদের সমাজ ও পরিবারের জন্য কোন দিক দিয়েই আদর্শ ও অনুসরণীয় হতে পারে না। আমাদের আদর্শ হচ্ছে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গড়া ইসলামী সমাজ ও পরিবার ব্যবস্থা। ইউরোপীয় সমাজ ও পরিবারের রীতি-নীতি শুধু পারিবারিক বিপর্যয়েরই সৃষ্টি করে না, মানুষকে পশুর চাইতেও নিকৃষ্ট চরিত্রের বানিয়ে দেয়। অতএব, তাদের অন্ধ অনুকরণ করে আমরা কোনক্রমেই পশুত্বের স্তরে নেমে যেতে পারি না। আর এ কাজ করার জন্য পারিবারিকভাবে প্রতি সপ্তাহে একদিন সময় করে সবাইকে নিয়ে সমস্যা আলোচনা এবং আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করার জন্য কুরআন-হাদীসের আলোচনা করতে হবে।
২. অসৎ সঙ্গে মিশে ছেলে-মেয়ে যাতে নষ্ট না হয়ে যায় সেদিকে পরিবারের অভিভাবক ও সদস্যদের তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখতে
হবে। তারা কার সাথে চলাফেরা, উঠাবসা, খেলাধূলা ও বন্ধুত্ব স্থাপন করে সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে হবে। এক্ষেত্রে
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিম্নোক্ত হাদীসটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
আবূ মূসা আশ‘আরী (রা) বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “সৎ সঙ্গ ও অসৎ সঙ্গের দৃষ্টান্ত
হচ্ছে সুগন্ধি বিক্রেতা ও কামারের হাপরে ফুঁ দানকারীর মতো। সুগন্ধি বিক্রেতা হয়তো তোমাকে এমনিতেই কিছু দিয়ে
দেবে অথবা তুমি তার কাছ থেকে কিছু ক্রয় করবে অথবা তার সুঘ্রাণ তুমি পাবে। আর কামারের হাপরে ফুঁ দানকারী হয়
তোমার কাপড় জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেবে নতুবা তার দুর্গন্ধ তো তুমি পাবেই।”
৩. ছোটবেলা থেকেই ছেলে-মেয়েদের পোষাক-পরিচ্ছদের প্রতি খেয়াল রাখা।
৪. উপযুক্ত বয়সে ছেলে-মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৫. সুন্দরী প্রতিযোগিতা ও ফ্যাশন শো’র নামে নারী দেহের নগ্ন প্রদর্শনী বন্ধ করতে হবে। সাথে সাথে অশ্লীল গান ও নৃত্য
পরিহার করতে হবে।
৬. দেহব্যবসায় এর লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করে অবাধ ভ্রস্টতার পথ রুদ্ধ করতে হবে।
৭. অশ্লীল বই-পত্র ও ম্যাগাজিন বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
৮. মেয়েদের জন্য পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৯. পর্দা প্রগতির অন্তরায় নয়; বরং তা শালীনতা, শুচি-শুভ্রতার প্রতীক এবং নারী নির্যাতন,ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপ
প্রভৃতি রোধের কার্যকর উপায়। সুতরাং মেয়েদেরকে ছোটবেলা থেকেই পর্দার বিধান মেনে চলার জন্য উৎসাহিত
করতে হবে।
১০. নারী-পুরুষ উভয়েই যাতে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ
গ্রহণ করতে হবে।
১১. বাচ্চাদেরকে তীক্ষ্ণভাবে নীরিক্ষণ করতে হবে তারা ইস্টারনেটে এবং টোলিভিশনে কি দেখে এবং কি করে।
সবচেয়ে গৃরুত্বপুর্ণ বিষয় হচ্ছে অসম্ভব ধরনের সচেতনতা। আমরা যদি ভাবি আমাদের আগামী দিনের এ দেশটি একটি সুন্দর, সমৃদ্ধিশালী দেশে পরিনত হবে আমাদের এই সমাজে বয়ে যাবে শান্তির প্রস্রবন তাহলে নিষ্চয়ই এখনি এ মূহুর্তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করে তা প্রয়োগ করতে হবে। #
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৩ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকাল্লাহ..
লেখাটি আমার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছিল!
তাজ্জব ব্যাপার হলো-
১৬৪বার পড়া হলেও কেউ মন্তব্য করেন নি!
কারণ বুঝলামনা
প্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর চমৎকার একটি পোষ্ট। ধন্যবাদ।
আমার খুব বলতে ইচ্ছা করছে - অমন সমাজ (জংগল), সভ্যতা (অসভ্যতা) আজ পূর্ব হতে পশ্চিম, উত্তর হতে দক্ষিন সবজায়গায় ছড়িয়ে গেছে। এটাকে যদি আপনি আমি মুসলিম সমাজের সমস্যা মনে করি - আমাদের উচিত নয়কি সবার আগে আসলে খোঁজ করে দেখা এরকম সমাজ ও সভ্যতার কথা কি কোরান ও হাদীসে কিছু আছে কিনা? কিভাবে অমন জাহেলী সমাজ ও সভ্যতা মুসলিমদের মাঝে প্রবেশ করবে, কারা করাবে - সে সম্পর্কে কি কিছু লিখা আছে কিনা? যদি থাকে তবে দেখতে হবে একজন মুসলিম হিসাবে আপনার আমার কি করনীয়?
আপনি যেভাবে সমস্যা চিহ্নিত করেছেন এবং সমাধান সেট করেছেন 'করতে হবে' বলে - তা আমাদের স্যেকুলার লারনিং এর আলোকে ১০০% যথার্থ বলতেই হবে। কিন্তু এর সীমাবদ্ধতা হল - এই সমস্যার সমাধানে কে করবে, কেন করবে, কখন করবে, কিভাবে করবে - তার কোন এ্যাফেক্টিভ বা বাস্তবভিত্তিক উত্তর নেই। তথা বরাদ্ধ নেই, সময় নেই ইত্যাদি।
কিন্তু কোরান ও হাদীস এ যদি আপনি এ সমস্যার উল্লেখ পান - তবে সেখানে সমাধান ও পাবেন - এবং বিশ্বাস করুন সেই সমাধান আপনাকে বেহেস্তে নিতে পারে। প্রবলেম শুধু একটাই - ইসলামিক সমাধান আমাদের স্যেকুলার নলেজ এর আলোকে আমাদের নিজের কাছেই এ্যাক্সেপটেবল নয়। সো আমরা স্যেকুলার সমাধান এর পেছনে আলটিমেটলী ঘুরি।
এ্যানীওয়ে আপনাকে ধন্যবাদ, আপনার চেষ্টার জন্য, উদ্দ্যমী হবার জন্য - যা অনেক করেনা - সময়ের অপচয় মনে করে।
ভাল থাকুন।
প্রিয়তে রাখা হল। আমরা গর্বিত। অসংখ্য মোবারকবাদ।
বাংলাদেশের নারী সমাজ এসব প্রস্তান মানবে না । দরকার হলে হেফাজতের বিরুদ্ধে যেমন সমাবেশ করেছিল সেরকম কিছু করবে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন