বর্ষপূর্তির ব্যানার নিয়ে আপত্তি চলবে না!
লিখেছেন লিখেছেন গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি ২৫ আগস্ট, ২০১৪, ০৪:২৭:৪৪ বিকাল
কথার_খই নামের একজন ব্লগার গেল রাতে একটি পোস্ট দিয়েছে টুডে ব্লগের বর্ষফূর্তির ব্যানার দীর্ঘদিন টাঙ্গিয়ে রাখার প্রতিবাদে। উক্ত পোস্টে ব্লগারের পক্ষ নিয়ে মন্তব্যের মাধ্যমে তার সাথে প্রতিবাদ মিছিলে শরীক হয়েছে অনেকেই। আমিও গেছিলাম উক্ত মিছিলে সবার শেষে। অবশ্য আমার হাতে মিছিলকারীদের বিপক্ষে স্লোগান লিখিত একটি ব্যানার থাকার কারণে কেউ কেউ আমাকে ভুল বুঝতে পারেন তাই আমার অবস্থান পরিস্কার করার জন্য নতুনভাবে পোস্ট দিলাম।
তবে সবার মনে রাখতে হবে যে আমি মডিউলার বা ব্লগ কর্তৃপক্ষের পক্ষের হয়ে মিছিলে শরীক হয়েছিলাম। সুতরাং আমাকে নিয়ে কেউ যেন ভুল বুঝে গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি না করেন। আমার হাতের ব্যানারে যে স্লোগানটি ছিল তার স্ত্রীণ শর্ট দিচ্ছি এখানে সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।
দূর মিঞা! খামোখা গ্যাঞ্জাম লাগাতে চান কিল্লাই! কত্তো কষ্ট করে এক্কান ব্যানার উডাইলো মডুরা! অহনো পর্যন্ত ব্যানারের পয়সা তুইলবার হারে ন হেতারা! অলরেডি দ্বিতীয় বর্ষের আগমন ঘটছে। একই ব্যানারে দ্বিতীয় বর্ষও চালানো যাইবার পারে। ব্যানারডা অহনো পুরাতন হয়ে ত্যনাফাডা হয়ে যায়নি। আরো মেলা দিন ব্যবহার করণ যাইবো। যদি পুরাতন হওণের কারণে ত্যনাফাডা অইয়া যায় তাইলে হেইডা দিয়ে মডু মামির রান্না ঘরের হান্ডি পাতিল ধোয়া মুছার নেকড়া বানানো যাইবো। নেকড়া হিসাবে দীর্ঘদিন ব্যবহার জনিত কারণে অনুপযোগী অইগেলে তখন হেইডারে আগুনে পোড়াইয়া কয়লা বানিয়ে দাত পরিস্কার করনের লিগ্যা বোতলে ভরে শোকেসে সাজিয়ে রাখবে মডু মামি! হাজার হোক ব্যনারডার বানানোর খরচা তো উঠাতে হবে!
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পুকুর ঘাটে গিয়ে দাত পরিস্কার করে পুকুরের পানিতে কুলি করে মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। তবেই হয়তো ব্যানারের খরচা পুরোপুরি উসূল করা সম্ভব হবে। মনে রাখবেন আমি কিন্তু মডুদের পক্ষের লোক। এ জন্যই আমি তাদের পক্ষে প্রতিবাদ করতে মাঠে নেমেছি। এখানে কোন ধরণের চুদুর বুদুর চইল তো ন।
বিষয়: বিবিধ
১৭৫৩ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সব কিছু আড়ালে থাকে।
নো গ্যাঞ্জাম!!!
হাঁচা কেথা কইছেন মশাই! পর্দা থাইলে ইজ্জতও বাচানো যায়। তবে চেড়া ফাড়া পর্দা পড়ে যেন চতর ডাইকবার চেষ্টা কেউ না করে হেই দিকে একডু খেয়াল রাখন দরকার।
সেই কুলির পানিতে ব্লগার বুড়া মিয়ার বিডি মৎস্য পুকুরে মাছের পোনারা একসময় বড় হল। শ’খানেক পুকুরে মাছের চাষ থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের আনন্দে চেয়ারম্যানের বাড়িতে উৎসবের আয়োজন করা হল। এবেলা ওবেলা জাল ফেলে মাছ ধরে আনলেন আমাদের স্লেভ ভাই। সব মাছ একাই কাটলেন, ধুইলেন, শিলপাটায় মসলা বেটে নিজে রান্না করে মামীদের দাওয়াত দিলেন। লেডিস ফার্স্ট এই শর্তে মডু মামী এবং তাদের কাচ্চা বাচ্চারা খাওয়ার পর মডু মামারা বসলেন। ঠিক ঐ সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় মানে হারিকেনের তেল শেষ হওয়ায় ইমরান ভাই বললেন কাট......বেচারা মডু মামা!!! খাওয়ার মধ্যেও গ্যাঞ্জাম
সময়ডা একটু কম অইলো মনে অয়। যাউগ্যা, আসল কথায় আসি- আন্নে ঘটনার সামান্য বর্ণনা কইরা বাকীডা কার জন্য রেখে দিলেন? নতুনভাবে গ্যাঞ্জাম লাগানোর ফন্দি আইটবার চান নাকি?
চেয়ারম্যানের বাড়ীতে ভুরিভোজের আয়োজনে প্রধান অতিথি মাননীয় প্রেসিডেন্ট মহাশয়ের নাম উল্লেখ নাই কেন? দাওয়াত না পেয়ে অভিমান করে চিরবিদ্রোহী’র ভূমিকা কি আছিল? খাওয়া দাওয়ার আসরে বসেও স্বভাবজাত কারণে ভাত না খেয়ে কথার-খই ফুটাতে ব্যস্ত, অন্যদিকে মাঠির লাটি দিয়ে আরেকজন খামোখা গ্যাঞ্জাম লাগাতে উদগ্রীব। দাওয়াত না পাওয়া হতভাগা’দের ব্যাপারে কোন বক্তব্য নেই ক্যান?
মন্তব্য করতে লগইন করুন