এক মাঘে শীত যায় না, গনেশ উল্টে গেলে বাংলাদেশের রউফ আব্দুর রহমানদের পরিনতি কি হবে?
লিখেছেন লিখেছেন গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি ২৩ জুন, ২০১৪, ০২:২৭:২৪ দুপুর
সুপ্রিয় পাঠক আজকের ব্লগটির সাথে কয়েকটি ছবিও দিলাম। নিম্নের পোস্টকৃত ছবিগুলোতে কোন নতুনত্ব নেই। এগুলো কোন অপরিচিত অখ্যাত ব্যক্তির ছবিও না। তারা খুবই পরিচিত এবং তাদের পক্ষে বিপক্ষের ব্যাপক অনুসারী বাংলাদেশে সক্রিয় আছে। একদল লোকের দৃষ্টিতে তারা বিখ্যাত। তাদের অনুসৃত আদর্শ ও লাইফ স্টাইলকে অনুকরণ, অনুসরণ ও গ্রহণীয় আদর্শ হিসেবে নিজের জীবনে ধারণ করে টিকে থাকার বিশাল একটি গোষ্টী বিদ্যমান রয়েছে আমাদের দেশে।
আবার অনেকের দৃষ্টিতে তারা মারাত্মক ঘৃণিত, কুখ্যাত খুনী নারী ধর্ষনকারী, সেকেলে, মধ্যযুগীয় বর্বর ভ্রান্ত আদর্শকে আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রগতিশীলত চিন্তা চেতনার বিরোধীতাকারী এবং মানবতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। এ শ্রেণীর লোকগুলোর মাথার উপর বর্তমানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিরাপত্তার ছাদর এবং বুলেটপ্রুফ নিরাপত্তায় যাবতীয় সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে মাঠে ময়দানে ঘৃণা ছড়িয়ে জনমত তৈরীর অবিরত চেষ্ঠা লক্ষ্য করা যায়।
অবশ্য আরো বেশ কিছু ধর্মীয় গোষ্টীর অস্থিত্ব দেখা যায় ছবির লোকগুলোকে ইসলামের শত্রু, অলি আওলিয়া পীর বুজুর্গ, দরগাহ-খানেখাহ’র চিরশত্রু ভেবে। এরা অলি আওলিয়ার শানে বেয়াদবী করার অপরাধে সমুলে বিনাশ করে দেয়ার প্রচার প্রচারণা করে থাকে অবিরত।
আরো কিছু ধর্মীয় গোষ্টী রয়েয়ে যারা নিজেদেরকে ইসলামের ষোল এজেন্ট দাবী করে একমাত্র ডিলারশীপ হিসেবে তাদেরই ইসলামকে বুঝার, জানার ও ফতওয়া দেয়ার অধিকার রয়েছে বিধায় তাদের আকাবেরদের চিন্তা-চেতনা ও ফিলসোফির গন্ডির বাইরে কেউ গেলেই তাকে ইসলাম থেকে জোরপূর্বক খারিজ করে দেয়ার পূর্ণ এখতিয়ার তাদেরই হাতে সংরক্ষিত।
কথা আর না বাড়িয়ে তাদের ছবিগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করি। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিশ্ব পরিক্রমার অতি তাৎপর্যপূর্ণ একটি ছবি দিয়ে সুচনা করছি। কারণ একটি ছবিই ক্ষেত্র বিষেশে বলে দেয় হাজার বছরের, হাজার পৃষ্ঠার কোন গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টের নিদর্শন।
ছবিতে ডানের ব্যক্তির পরিচয় নতুনভাবে বলার দরকার নেই। বাম পাশের ব্যক্তিকে হয়তো অনেকেই চিনবে না। তিনি হলেন ইরাকী লৌহমানব প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে প্রহসনের একটি বিচার ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যানের আসনে বসে ফাঁসিতে ঝুলানোর ফরমায়েশী আদেশদানকারী রউফ আব্দুর রহমান। মাত্র আটটি বছর পার হতে পারলো না! ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস গত ২১ জুন শতাব্দীর নতুন চকম ইরাক এবং সিরিয়াকে একত্রিত করে নতুন ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের চটকদার স্লোগান দিয়ে হঠাৎ বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণকারী সসস্ত্র সুন্নী বিপ্লবীদের হাতে ধৃত হয়ে করুণ পরিনতির শিকার হল। অথচ এই রউফ আব্দুর রহমানকে রাজনৈতিক আশ্রয়দানের প্রতিশ্রুতিদানকারী সাবেক সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশ, ইরাকের অর্ধকোটি মানুষের খুনী বিশ্ব মোড়ল আমেরিকা, ইরাকে বর্তমান আমেরিকান পুতুল নুরী আল মালিকির সরকার কেউ তাকে রক্ষা করতে পারল না?
প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন। তার শাসনামলের ভাল-মন্দ, সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে সাদ্দাম হোসেনের বিচার অন্যভাবেও গ্রহণযোগ্য উপায়ে করা যেত। কিন্তু সে পথে না গিয়ে আমেরিকার ফরমায়েশী নির্দেশ পালন করতে গিয়ে যে অবিচারসূলভ কাজ করলেন তার বিরুদ্ধে ধুমায়িত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে সুন্নী বিপ্লবীরা।
এখন আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপটে একটি ছবি নিয়ে আলোচনা করি। পাঠকই ছবির সাথে আজকের বাস্তবতার আলোকে তুলনা করবেন। জামাত নেতা কাদের মোল্লা ওরফে কশাই কাদের। বাংলাদেশের যুদ্ধপরাধ ট্রাইবুনাল তাকে কশাই কাদের হিসেবে সাব্যস্ত করে ফাঁসিতে ঝুলায়ে রায় কার্যকর করিয়েছে।
কাদের মোল্লা ওরফে কশাই কাদের, খরচ হয়ে গেছে। পাইপ লাইনে আছে অন্য রাজাকাররা।
কাদের মোল্লা ওরফে কশাই কাদেরের অনুরাসী জামাত শিবিরসহ বেশ কয়েকটি সক্রিয় গোষ্টী এ রায়কে মেনে নেয়নি। তাদের দাবী ছিল কাদের মোল্লা একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি নাকি মুক্তিযোদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য সসস্ত্র ট্রেনিংও নিয়েছিলেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ক্ষমতাসীনদের পথ কাঁটামুক্ত রাখার জন্য এবং দেশকে ইন্ডিয়ার আশ্রিত একটি করদ রাজ্য পরিনত করার তাদেরই এজেন্ডা বাস্তবায়নের প্রাথমিক প্রদক্ষেপ হচ্ছে এ ফরমায়েশী রায়। জামাত শিবির রায় কার্যকরের আগে এবং পরে সহিংস প্রতিরোধী প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে প্রবল পরাক্রমশালী একটি রাষ্ট্রীয় শক্তির বিরুদ্ধে রায় মেনে না নেয়ার সিগনেল দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে। অবশ্য প্রতিরোধী পতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে একজন কশাই কাদেরের জন্য বেশ কিছু জনশক্তিও হারিয়েছে জামাত শিবির গোষ্টী। তাতেও তারা দমে যায় নি। কশাই কাদেরের রায় কার্যকর করার পর থেকে জামাত শিবির তাদের রাজনৈতিক কৌশল পাল্টিয়েছে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে তারা দেখে শিখার পরিবর্তে ঠকে শিখার কারণে আরো কৌশলী হয়ে প্রতিপক্ষের মোকাবেলায় জাতীকে নতুনত্ব দেখানোর চকম সৃষ্টি করবে। গত উপজেলা নির্বাচনেও দেশবাসী কিছুটা অনুমান করতে পেরেছে।
3.
সাঈদী, খরচ হওয়ার পাইপ লাইনে একেবারে সম্মূখভাগে রাখা হয়েছে। তার প্রতিপক্ষরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। তাকে খরচ করার মত ভয়াবহ ঝুকি গ্রহণ করলে ক্ষমতার কুরসির চিন্তা পরে, জনরোষে পড়ে নিরাপদে পালানোর সুযোগ পাবে কিনা সে ফৌবিয়ায় আক্রান্ত বৈধতাহীন একটি জনসমর্থনশূণ্য সরকারের শেল্টারতাদারা।
মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাঈদী শুধু একটি নাম নয়। একটি ইতিহাসও বটে। তিনি একজন জামাতের নেতা হিসেবে যতটা না পরিচিত তার চেয়েও বেশী পরিচিত মোফাসসীরে কোরআন একজন জনপ্রিয় ওয়ায়েজ হিসেবে। তার সুললিত কন্ঠ ও কোরআন হাদিসের আলোকে যুক্তিপূর্ণ আলোচনা সাধারণ শ্রোতার গন্ডি পেরিয়ে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষের অন্তরের জিজ্ঞাসার জবাবও পাওয়া যেত। এ কারণে সর্ব শ্রেণীর মানুষের কাছে তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা আকাশচুম্বী। বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে এ পর্যন্ত আর কোন ব্যক্তি এমন জনপ্রিয়তার ধারে কাছেও যেতে পারেননি। আল্লাহ রাসুলে অবিশ্বাসী হাতে গোণা কিছু ধর্ম বিদ্বেষী নাস্তিক ছাড়া আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের সমর্থক নেতাকর্মীদের মধ্যে মাওলানা সাঈদী সাহেবের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
বেশ কয়েক মাস পূর্বে টিভি টকশোতে মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংঘঠক কাজী জাফর আহমদের মুখে শুনেছিলাম। ভারতের প্রত্যক্ষ সমর্থনে আওয়ামী সরকারের নিরাপত্তা সাদরে ঢাকা বর্তমান আন্তরর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের রায়ে অপরাধী সাব্যস্ত মাওলানা সাঈদীকে দেশের মানুষ অপরাধী মনে করে না। বাস্তবেও তাই। যখন তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হল তখন দেখা গেল একজন সাঈদীর জন্য দেশের আনাচে কানাচে অগণিত সাঈদীভক্ত পুলিশের তাজা বুলেটের সামনে জীবন বিলিয়ে দিতে। অথচ আমাদের দেশের ইতিহাসে কোন রাজনৈতিক বা অন্য কোন বড় মাপের ব্যক্তির জন্য এভাবে জীবন বিলিয়ে দেয়ার নজীর নেই।
আমি শিরোনামে ছবির কথা উল্লেখ করেছিলাম। যদি ঘটনাচক্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশ থেকে কালো মেঘ সরে যায় তখন নিম্নের লোকগুলোর পরিনতি কি হতে পারে? তাদেরও পরিণতি কি রঊফ আব্দুর রহমানদের মত হবে?
ধর্ম বিদ্বেশী বিশেষ করে ইসলাম বিদ্বেশী নাস্তিক শাহরিয়ার কবির গাধাটাও মাঝে মধ্য ভয়ানক দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করেছে
এই আত্মস্বীকৃত ধর্ম বিদ্বেশী বিশেষ করে ইসলাম বিদ্বেশী নাস্তিক গাধাটাও মাঝে মধ্য ভয়ানক দুঃস্বপ্ন দেখে যদি শাপ মেরে লেজে পরান রেখে দেয় তাহলে শাপ আবারো জিন্দা হয়ে ফনা তুলবে। তাই জামাত শিবিরকে শিকড়শুদ্ধ উপড়ে ফেলতে হবে। আসলেই কি পারবে একাত্তুরের মুরগি সাপ্লাইয়ার রাজাকার শাহরিয়ার কবির ও সহযোদ্ধারা জামাত শিবিরকে নির্মূল করতে? নাকি নিজেরাই নির্মূল হয়ে যাবে!
এই লোকগুলো এবং তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা কি রউফ আব্দুর রহমানদের পরিনতির আসঙ্কায় সংকিত?
শিয়ালের মত ধুর্ত আর ইদুরের মত ভীত এসব ফালতু গার্বেজরাই কি আসল তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি? নাকি প্রবল শক্তিশাসী পৃথিবীর একমাত্র পরাশক্তির তাবেদার নুরী আল মালিকির রাষ্ট্রীয় শক্তির বিরুদ্ধে ময়দানে জীবনের চুড়ান্ত ঝুকি নিয়ে লড়াই করছে তারাই জাতির কান্ডারী পকৃত তরুণ প্রজন্ম?
বিষয়: বিবিধ
২৪১৫ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই বিচার পতি দীর্ঘদিন মৃত্যুভয়ে ছিল, পৃথিবীর কোথাও সে নিরাপদ মনে না করে ইরাক কেই থাকার জন্য বাছাই করেছিল। পুরো দুনিয়াতে তার মৃত্যুতে কেউ আহত হয়েছে বলে শোনা যায় নি।
সাদ্দাম ভাল মানুষ ছিলনা। তার যথাযত বিচার হওয়া উচিত ছিল! তাই বলে মানুষ বিচারের নামে তার প্রতি অবিচারকে পছন্দ করেনি। অবিচারক সকল বিচারকের পরিনতি অত্যাচারী শাসক থেকেও জঘন্য হয়। কেননা তারা জুলুম করেন জ্ঞান দ্বারা, যে জ্ঞান দ্বারা আল্লাহকে চেনা যায়। সত্য মিথ্যার পৃথক করা যায়। ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
যদি এসব কাপুরুষদের কপালে ক্ষমতা আর ইজ্জতের চেয়ার জোটে তখন সে তার যথার্থভাবে ব্যবহার করতে পারে না। যার ফলে নিজেও ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ হয় গোটা জাতিকেও ভোগান্তির সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয়।
আপনাকে ধন্যুবাদ দিলুম এক্কান নগদ মন্তব্য করার জন্য।
তার পরেও আপনারে বেশুমার ধন্যুবাদ দিলুম ব্লগে হাজিরা দেওনের লিগ্যা।
যদি কোন কাপুরুষের কপালে ক্ষমতা আর ইজ্জতের চেয়ার জোটে তখন সে তার যথার্থভাবে ব্যবহার করতে পারে না। চেয়ার এবং ইজ্জতের মর্যাদাও বুঝার হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। যার ফলে নিজেও ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ হয় গোটা জাতিকেও ভোগান্তির সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয়।
তবে একথা সত্য যে বাংলাদেশে যদি গনেশ উল্টে যায় তবে এসব আবালদের ব্যাপারে একটা স্থায়ী এবং কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত যাতে ক্ষত স্থানের যথার্থ চিকিৎসার অবহেলায় ক্যানসারে রূপ না নেয়।
তাদের চিন্তা মুই করতাছি না, মুই চিন্তা কইরছি আমাগো বাংগাল দেশের রাজনীতিবিদরা আর কতকাল কাঙ্গাল হইয়া রইবো?
আন্নেরে ব্যায়াপক ধন্যুবাদ দিলুম। সাথে অল্প কিছু অর্থ কড়িও দিলুম। গ্রহণ করে ধন্য হয়ে যান। আর চুরিছামারি না কইরা ভালা অইয়া যান।
মুন্তব্যের আপনেরে এক্কান পাক্কা ধন্যুবাদ দিলুম।
এ জাতি বড়ই বেইমান। নষ্টাদের বদ্যভুমি। যে মানুষগুলো ১৫ই আগষ্ট ঘটিয়ে এ জাতিকে মুক্তি দিয়েছিল, তাদেরকে ফাসী দেয়ার সময় কেউ কথা বলেনি। কাজেই আর একটি ১৫ই আগষ্ট কেন ঘটাবে?
শেখ হাসিনাকে শায়েস্তার জন্য হাসিনার মতই আর এক উদ্ভ্রান্তের প্রয়োজন। আপনার বেদনার বহিপ্রকাশ নিতান্তই বাস্তবতা। ধন্যবাদ।
কারো জন্য মজাদার
আবার কারো ইজ্জাত যার।
কারো মূখে হিংস্রতার অট্টহাসি
কারো আহাজারিতে বাতাস বারী।
আইসিস বিপ্লবীদের খায় দায় কাম নেই?
বাংলাদেশে হেতারা কিল্লাই আইবো?
বাংলাদেশে কুনো পুরুষ মানুষ নেই।
যারা আছে তারা হাফ লেডিস।
মন্তব্য করতে লগইন করুন