ভাল লেখাতে কমেন্টের অকাল, আজাইরা লেখাতে কমেন্ট বেশী।
লিখেছেন লিখেছেন গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি ১৯ জুন, ২০১৪, ০৩:২৬:১৬ দুপুর
বিডিটুডে ব্লগে দেশে নাম করা এবং সিনিয়র অনেক ব্লগার নিয়মিত লেখা পোস্ট করে থাকেন। পেশাগত কারণে বিদেশে অবস্থানরত বাংলা ভাষার বিখ্যাত সেলিব্রেটী লেখক/ব্লগাররাও টুডে ব্লগে নিয়মিত লেখালেখি করে। দেশ বিদেশে অবস্থানরত এসব জ্ঞানী গুণীদের মধ্যে দু’য়েজন এক্সেপশনাল ছাড়া অন্যদের লেখাতে কমেন্ট তেমন বেশী পড়তে দেখছি না। আবার কারো কারো লেখাতে নেহায়াত পঠিতের সংখ্যাও কম! এরকম কেন হয় ব্যাপারটা আমার বুঝে আসছে না। জ্ঞানী গুণীদের লেখা থেকে নিশ্চয়ই পাথেয় সংগ্রহ করার যথেষ্ট উপাদান থাকে। জ্ঞানীগুণীদের কাছ থেকেই আমাদের শিখার অনেক কিছুই আছে। কিন্তু আমরা তাদের লেখাতে ভিজিট করছি কম! এ মানসিকতা আমাদের বদলানো উচিত।
আমি একটি উদাহরণ দিচ্ছি- ব্লগার অনুসন্ধান এবং তার লিখিত একটি ব্লগের লিংক দিলাম এখানে। ভদ্রলোক একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট ডিগ্রিধারী নামকরা শিক্ষক এবং দেশের বরেণ্য একজন সুবক্তা। ডক্টর সালেহ মতীন, সম্ভবত তিনি একজন ব্যাংকার। অনেকেই আছেন আমি শুধু এখানে দু’জনের নাম উল্লেখ করলাম বিষয়টা বুঝানোর জন্য।
অবশ্য কারো প্রতি সহানুভূতি এবং সিম্পেতি জানানোর আবেদনময়ী লেখাতে যথেষ্ট কমেন্ট পড়া লক্ষ্য করা যায়। এ বিষয়টা অবশ্য একজন সচেতন মানুষ হিসেবে অন্য আরেকজন সমমনা মানুষের প্রতি এক অলিখিত সহানভূতি এবং সহমর্মিতার প্রকাশ। যা মানবিক বিবেচনায় যৌক্তিক এবং প্রশংসার দাবী রাখে। গতকাল আমি ব্লগার প্রেসিডেন্ট ভাইয়ের অসুস্থতাজনিত একটি ছোট্ট পোস্ট দিয়েছিলাম।
ব্লগার "প্রেসিডেন্ট" খুবই অসুস্থ্য। তিনি সবার কাছে রোগ মুক্তির দোয়া চেয়েছেন।
এখানে একটি স্ক্রীন সর্ট দিলাম বিষয়টা ব্যাখ্যা দেয়ার স্বার্থে। একান্ত সস্তা কোন বাহবা কুড়ানোর উদ্দেশ্য নয়।
একটা বিষয় খেয়াল করলে দেখা যাবে একজন অসুস্থ্য মানুষের রোগ মুক্তির দোয়ার আবেদনজনিত পোস্টে উল্লেখযোগ্য কমেন্ট করেছেন সম্মানিত ব্লগাররা। যদিও কমেন্টের অনুপাতে পঠিতের সংখ্যাটি দৃস্টিকটু।
শিরোনামেই বলেছি আজাইরা পোস্টে কমেন্ট বেশী তাই আরেকটি উদাহরণ দেয়া প্রয়োজন। যেহেতু অন্য কারো লেখা পোস্টের উদাহরণ দিলে তিনি মাইন্ড করতে পারেন। তাই নিজের লিখিত একটি আজাইরা গ্যাঞ্জাইম্যা পোস্টের রেফারেন্স দিচ্ছি-
আমি আর গ্যাঞ্জাম লাগামু না, চইল্লা গেলুম। সবাই আমার লিগ্যা বদ-দোয়া কইরেন।
উপরের লিংকে দেয়া ব্লগটিতে মৌলিক কোন বিষয়ে লেখা না থাকলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কমেন্ট পড়েছে। আমি যেদিন এ ব্লগটি পোস্ট করেছিলাম সেদিন একজন ব্লগার বিডিটুডে ব্লগে আর কোনদিন লেখালেখি করবে না বলে একটি ছোট্ট ব্লগ পোস্ট করে সবার কাছে ক্ষমা ও দোয়া চেয়ে বিদায় নিলেন। এ মুহুর্তে ব্লগারের নিক ও লেখার শিরোনাম মনে পড়ছে না। লেখাটি পড়ে আমার সন্দেহ সৃষ্টি হলো হয়তো তিনি পুরাতন নিক বাদ দিয়ে নতুন কোন নিক ব্যবহার শুরু করতে যাচ্ছেন। সম্ভবত তার সেই ব্লগটিতে আমিও একটি খোঁচা দিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেছিলাম।
সেই ব্লগটির পতিক্রিয়ায় আমি তাৎক্ষনিক ছোট্ট তিন লাইনের ব্লগটি পোস্ট করেছিলাম।
আমার এ ব্লগটিতে শিখার বা শিখানোর মত যেমন কিছুই ছিল না তেমনি আমার অন্যন্যা লেখাতেও যে কোন মৌলিকত্ব নেই তাও নির্দিধায় স্বীকার করতে আমার লজ্জা নেই। আমার ধারণা ছিল তিন লাইনের লেখাটি পোস্ট করার পর পরে সরিয়ে ফেলবো। কিন্তু ওখানে অনেক জ্ঞানীগুণী ব্লগাররা বেশ কিছু সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্য করাতে ব্লগটি মুছে দেয়ার চিন্তা বাদ দিয়েছি। আমিও চেষ্টা করেছি তাদের গঠনমূলক মন্তব্যগুলোর রসালো ও তীর্যক ভাষায় প্রতি উত্তর দিয়ে আমাদের সমাজে প্রচলিত অসংগতি ও কুসংস্কারগুলোকে আঙ্গুলি দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার। মনে হয় আমি এতে সফল হতে পারিনি। কিন্তু যারা মন্তব্য করেছেন তারা সবাই নিশ্চয়ই শিক্ষিত এবং জ্ঞানীগুণী। হয়তো আমি তাদের কাতারে উঠতে পারিনি বলে থেমে থাকার পক্ষে আমি নই। আমিও চেষ্টা চালিয়ে যাবো জ্ঞানীগুণীদের কাতারে উঠতে না পারলে সমস্যা নেই। অন্তত তাদের আশেপাশে তো থাকতে পারবো।
বিষয়: বিবিধ
১৯২৯ বার পঠিত, ৪১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই লন তিন বস্তা!
আইয়েন চা নাস্তা খেয়ে যান। কমেন্ট না হয় নাইবা কইরলেন! তাতে কি অইছে! আমিও আপনে মন্তব্য না করাতে উত্তরডাও দিবার পারলুম না। তয় একই মাজহাবী পীর ভাই হিসেবে এক সাথে চা খেয়ে যান।
কিন্তু রেহনুমাপু কই?
ইক্লিপস আপু কই?
নোমান সাইফুল্লাহ ভাই কই?
আনন্দবাড়ির সদস্যরা কই?
আহমেদ মুসা ভাই পোষ্ট কম লিখে কেনো?
লিখতে গেলে পাতা ভরে যাবে তাই আর লিখলাম না।
আহমেদ মুসা ভাই পোষ্ট কম লিখে কিনা জানি না, তবে আমি [আহমদ মুসা] ব্লগে নিয়মিত এক্টিভেট থাকার চেষ্টা করি। আমি তেমন কোন যোগ্য লেখক নই। যোগ্য জ্ঞানীগুণীদের গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো পড়তে পড়তেই সময় চলে যায়। নিজে কি আর লিখবো? আমি তো কোন যোগ্য লেখকই নই।
কে বেশী লিখে আর কে কম লিখে হেইডা হিসেব করণের লিগ্যা তো আমলনামা তৈরী করি ন মুই! আপনেরে ধন্যবাদ দিলুম ব্লগে উপস্থিত হওনের লিগ্যা।
ধন্যবাদ
১. গ্যাঞ্জাম খান আমার পোস্টে কমেন্ট করে, তারটায় না করলে কেমন হয়!
২. বন্ধু মানুষ তার পোস্টে কমেন্টতো করতেই হবে।
৩. পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সুতরাং কিছু একটা কমেন্ট না করাটা কেমন দেখায়!
৪. লেখাটা ভালো, তাই কমেন্ট করাই উচিত।
৫. তীর্যক লেখাটার জবাব না দিলেই নয়।
৬. এরকম অবমাননাকর লেখার জবাব দেয়া ঈমানি(!) দায়িত্ব.....
ইত্যাদি ইত্যাদি।
খুব কম সংখ্যক আছেন, যারা লেখার গুণগত মান দেখে কমেন্ট করেন/করেন না।
লেখা গুলোই সবাই পডুক ,কমেন্ট করুক । উনারা নতুন
বা অপরিচিত কারো লেখায় মন্তব্য করতে চান না ।পডলেও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন ।পেসটিস বলে কিছু আছে কিনা
আন্নেরে এক ট্রাক ধন্যবাদ দিলুম সুন্দর মন্তব্য উপহার দিয়ে গ্যাঞ্জাম খানের দাওয়াতে শরীক হওনের জন্য।
আপনে কি আবু আশফাক মশাইয়ের কথা কইতাছেন? হেতিনি এক্কান দারুণ ভালা মানুষ। সুন্দর কমেন্ট কইরছে।
ডাক্তার পুস্পিতাসহ আরো দু'য়েকজন আছেন যারা সমসাময়িক বিষয়াদিগুলো পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে এসবভাবে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থান করে যার ফলে এসব ব্লগারের লেখাতে পাঠক যেমন হয় কমেন্টও করে প্রচুর ব্লগার।
আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনেরে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
কি বুঝতে কি কইলেন বুঝতে গ্যাঞ্জাম লাইগা গেল।
গ্যাঞ্জাম খানের কথাডা মনে রাইখ্যোন! মন্তব্য না কইরলে কিন্তু মন্তব্যের উত্তরডা দিতে মুই বিরত থাকমু!
হুম, আসলে বিশ্লেষণধর্মী/জ্ঞানধর্মী পোস্টের পাঠক কম। সস্তা বিনোদন এর চাহিদা বেশি। সেদিকটা লক্ষ্য রেখে বিশ্লেষণধর্মী/জ্ঞানধর্মী পোস্টের লেখকদের উচিত কিছুটা রম্যের মিশেল দেয়া লেখার সাথে। পাঠক কে তো আর বদলাতে পারবেন না, লেখাকে .........
হাঁচা কেথা কইছেন প্রেসিডেন্ট মশাই!
ব্লগটিকে জমজমাট ও পাঠকদের মধ্যে ভাল লেখা পড়ার মন মানসিকতা তৈরীর জন্য ব্লগ কর্তৃপক্ষেরও কিছু কিছু উদ্যেগ নেয়া উচিত বলে মনে হয়।
আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য।
হে হে হে !!!
ফা আকার ফা ম = বাতাস!!! একটু পাম্পিং কইরলেন মনে হয়? ব্লগার হতভাগা একজনের পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে কইছিল আগে থেকেই ফুটো আছি তাই পাম্পিং করলেও সহজে ফুলে উঠি না। হেতের মত আমিও মেলাদিন আগে পাংচার কইরা দিছি। তাই পাম্প দেওনের সাথেই সাথেই সব চইল্যা যায়। ফুলে উইটবার হারি ন।
আপনের আশা মনে অইতাছে দুরাশা অইবো। লেহাডা পোস্ট কইরছি চারদিন আগে। চার দিনে মাত্র শ’খানেক বনি আদমের নজরে পড়ছে। সবাই পড়েছে কিনা তাও নিশ্চত নই। অনেকের কমেন্টর উত্তর দিয়ে গিয়ে এবং কমেন্টর উত্তর দেখতে গিয়েই প্রত্যেকের কাছে একাদিকবার খোলা হয় ব্লগটি। সুতরাং পাঠক সংখ্যাও সীমিত।
আপনেরে কক্সবাজারের উকিয়া থেইক্যা আমদানী করা কিছু সিজনাল কাঠাল দিলুম। খাওয়ার সময় কাঠালের বিচিসুদ্ধ খেয়ে ফেলবেন এবং রাত্রে যদি বদ হজম হয় তবে দরজার পাশেই প্রাকৃতিক কাজটা সেরে ফেলবেন যেন বৃষ্টির পানিতে কাঠাল বিচিগুলো ধুইয়ে মুছে পরিস্কার হয়ে যায়। হেতিনি বিচিগুলো রান্না করণের সময় যেন একদম দুর্গন্ধ অনুভব না করে!!!
সালেহ মতীন ভাই এর ইসলামী ব্যাংক নিয়ে সিরিজটা বেশ ভালো লেগেছে।
এ কয় দিন দেখা যাচ্ছে না সালেহ ভাই কে ...
মন্তব্য করতে লগইন করুন