একটি শিরোনামবিহীন বচন।
লিখেছেন লিখেছেন গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি ২৪ মে, ২০১৪, ০৪:২৭:৫৭ বিকাল
ওরে দেখ দেখ ঐ যে কাফেলা
হাসি মুখে দিয়েছে যারা প্রাণ
ডাইনীর মুখে হিংস্রতার হাসি
বুঝে না কাফেলার জান্নাতী ঘ্রাণ।
............
সরল নিয়তে রাহবারের ডাকে
এসেছিল সবাই শাপলার চত্তর
বেশুমার শহীদের রক্তে রঞ্চিত
আছে কি হে আকাবের! কোন উত্তর?
............
একি শুনি রাহবারের মুখে ফেরাউন!
নয় তো মোর সে কোন দুশমন
কোটি কোটি মানুষের ঈমানের দাবী
কেন হবে উপেক্ষিত, হাহাকার মন!
ব্লগার প্রবাসী মজুমদারের পোস্টে মন্তব্যটি করেছিলাম। তিনি আমার এ মন্তব্যটাকে কবিতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন্। তাই এটিকে আপাততে শিরোনামবিহীন পোাস্ট করলাম। যদি কেউ এ কবিতাটির শিরোনাম লিখে দেন তার জন্য শুভেচ্ছা থাকবে।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৭ বার পঠিত, ৩৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শত প্রনাম তব চরন তলে,
কৃতজ্ঞতার জল নামিছে গলে
আদেশ কর হে-দাদা দেবতা,
হে আমার নব জন্মদাতা-
আদেশ কর মোরে,
তব মন তুষ্টির বন্ধনায়-অবিরত আমি
অদেশ কর হে করুনাময়
আমি ইসলামীত্ব বিসর্জন দিয়েছি
বাঙ্গালী ধর্মের লাগী-হে নঁম নঁম
মুসলমানের মনে মহাতংক আমি
জিহাদের মর্ম বাণীকে-করিয়াছি জঙ্গীবাদ
আমি জিন্দাবাদ তোমারই ক্ষমতায়-হে প্রভু,
আমি বিকৃতির মহা প্রলয়
ইসলামী কিতাব করেছি নিষিদ্ধ-
কোরআনকে করেছি কোনঠাসা,
মুসলিমে দিয়েছি মুশরিকি লেবাস
তব মন তুষ্টির লাগি হে প্রভু,
তুমি দানিয়াছ মোরে-ক্ষমতার সিংহাসন
তোমারই তরে করি তাই জয় বন্ধনা-হে অন্ন দাতা
লুটিয়া পুটিয়া খাই-খাওয়াই তোমারে হে দাতা
রক্তের বন্ধন ভুলিব কেমন করে
যেথা রহিয়াছে-বস্ম পিতামহের,
তব তুষ্টির তরে করিতেছি বঁলি
দিবালোকে-রাজপথে-বীরদর্পে-হে মহারাজ
তুমি দানীয়াছ মোরে ক্ষমতার মানচিত্র
তাই ছিরে ছিরে খাই-তোমাতেই করি বিলিন
তব মনতুষ্টির গান গাই দিবালোকে
জাতে বিজাতে খাওয়াই-এক ঘাটে পানি
মান অপমান যতায় তথায় দানী,
পাপিরে করি মহামহিয়ান-
নেকিরে করি অপমানের মাল্য দান,
ফন্দি ফিকির সব তোমারই দান-হে প্রভু
আরো কিছুকাল কর কৃপা মোরে-
মহাকালে করিব বিলিন-এই মানচিত্রটারে,
সর্বনাশিয়া আসিবো ফিরিয়া-তব চরন তলে
হে প্রভু-ক্ষমতার মহারাজ।
********************************
আমি কবিতাটির শিরোনাম দিতাম>>ডাইনীর মুখে হিংস্রতার হাসি<< অসাধারন লিখেছেন খান সাহেব...এখন ঐ ডাইনিকে জাহান্নামের পথে পাঠান....
নবজন্ম দেয়ার আগে এই আবালীটিরে দ্বিতীয়বার জন্ম দিছিল মেজর মিয়া ভাই। নাজিল হওনের অল্প কয়েকদিনের মাথায় কৃতজ্ঞতা স্বরূপ মিয়া ভাইরে জান্নাতের টিকিট একদম ফ্রিতেই হাতে ধরাইয়া দিলো।
মিয়া ভাইয়ের পরে আইলো কৃত্রিম বেইশ্যাপ্রেমিক তুক্কু বিশ্বপ্রেমিক হো.মো. কাক্কু।
দারুণ মানাইছে জুটি হো. মো. আর আবালী
নয় বছর করিল শোষণ, দেশটা করিল খালি
ওপারে নাটাই হাতে এপারে যত নর্তন কুর্দন
চুষে নিচ্ছে দাদারা সবকিছু দেশের অমূল্য ধন
বুকের কষ্টের সাথে যোগ হওয়া কথা বলেছেন
চোর মশাই! মোর পকেটে কিচ্ছু নাই রে ভাই,
মুই ধান্ধায় থাকি অন্যের পানে যদি কিছু জুটে যায়!
আগে আছিল ডাইনে চোর বামে চোর, সব দিকে চোর
এখন হয়েছে সব পরিবর্তন ক্ষমতাসীন সবাই আদমখোর
সবগুলো খারাপ লোকের ভিতর দু'চার ভাল লোক বেমানান
যারা এখনো চুরি শিখতে পারেনি তাদের কপালে আছে অপমান
শাপলা চত্ত্বর! আপনের দেয়া নামডাও খুব সুন্দর।
এই নাম দিয়া আপনেও এক্কান লিখে ফেলান অমর কবিতা।
আপনারে ধন্যবাদ দিয়ে নিজেও ধন্য হইবার চাই।
মুইও চিন্তা কইরা ভেবে পাই ন মন্তব্যডা কবিতা কিভাবে অইলো?
ইটস এ গ্যঞ্জাম।
আসলেই আপনার কথাডা বেঠিক নয়। মুসলমানদের মধ্যে আবেগী লোকজনের আনাগোনা ইদানিং বেশীয় দেখা যাচ্ছে।
আমি তো কবিতা লিখি ন। এইডা একটা মন্তব্য। এইডা কবিতা ন। আমার লেখাডারে কবিতা কইলে আপনেগো মতন জাত কবিদের কবিতাকে কি বলা অইবো? কবিতা স্কয়ার বললেও তো মনে কম অইবো।
গ্যাঞ্জামের মুখে একি শুনি
লিখ হে কবি আজ
বিরহের গান,
বুকভরা কান্নায়
জুড়াক এ প্রাণ।
শোকের পদভারে
মুহ্যমান জাতি,
শাপলার তান্ডবে
মুছে গেল খ্যাতি।
কাক পাখি কাদে ঐ
বসে নিরালায়,
নেই কেউ শুনিবার
মাতব কারবালায়।
হাজী গাজী অলি ভরা
সোনার এই দেশ,
নেই শুধু রাসুলের
ঈমানের তেজ।
গজব আলীর এই দেশে
সব যেন গাধা
বজ্রাঘাতে বলে
প্রভু মোরে বাঁচা।
শৃগালের গর্তে হাঁকি
সিংহের জাতি,
লড়ি না সত্যর পথে
ধরে জীবন বাজি।
দারুণ কবিতার জন্য ধন্যবাদ।
নয় তো মোর সে কোন দুশমন
কোটি কোটি মানুষের ঈমানের দাবী
কেন হবে উপেক্ষিত, হাহাকার মন!
মনে করতাম আপনি খুব গ্যন্জাম করতে পারেন। কিন্তু এতো দেখছি
আমাদের পাগলা কবির প্রতিভা।
যে পারে সে সবই পারে হয়তো।
ওমন কথা বইলিয়েন না - আল্লাহ নারাজ হবে। আন্নেরে আল্লাহ অনেক বড় বানাইবো। আমার চাচীরে সালাম দিয়েন।
আপনারটাও ভালোই হয়েছে, একদম আমাদের সামনের বাস্তবতার পৈশাচিক ছন্দ।
নামকরনের গ্যাঞ্জাম কিন্তু শেষ করেন নাই!
মন্তব্য করতে লগইন করুন