ডাকাতদের মেহমানদারীর নমুনা।
লিখেছেন লিখেছেন গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি ২১ এপ্রিল, ২০১৪, ০১:২৪:৩২ দুপুর
মগের মুল্লুক আইন সভার সংরক্ষিত আসনের তিনি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
তিনি তার সম্প্রদায়ের একজন অতি শানদার ও মান-ইজ্জতদার দলনেতা হওয়ার সুবাদে তাকে সংরক্ষিত সনের আইন সভার সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেতে তেমন বেগ পেতে হয়নি।
তার সম্প্রদায়ের প্রধান কয়েকটি বৈশিষ্ট্যর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মানব সেবা করা।
এ সম্প্রদায়ের মানব সেবার ধরণ খুবই অদ্ভুদ! দু'য়েকটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি বুঝতে সহজ হবে।
জনস্ংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখা- অর্থাৎ খুন খারাবির মাধ্যমে জনসংখ্যা কমানোতে এ সম্প্রদায়ের তুলনা কারো সাথে চলে না।
সুষম সম্পদ বন্টনে এদের ভূমিকা- এ সম্প্রদায়ের লোকজন খুজে খুজে বিত্তবানদের সম্পদে হানা দিয়ে লোটপাটের মাধ্যমে কুক্ষিগত করা। লুটকৃত সম্পদ নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়া করে গ্রাস করা। অবশ্য মাঝে মধ্য ভাগ বাটোয়াতে গরমিল হলে নিজেদের মধ্যেই রক্তপাতের কারণে জনসংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। এ কারণেই এদেরকে আইন সভায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে সংরক্ষিত আসনে নিয়োগ দেয়া হয়।
এ ছাড়াও আরো অনেক জনকল্যাণকর কর্মসূচী তারা বাস্তবায়ন করে থাকে। সময় সল্পতার কারণে এত সব এখানে বর্ণনা করা যাচ্ছে না।
আসল কথায় আসি। এ সম্প্রদায়ের সাধারণ সদস্যেদের দাবীর প্রেক্ষিতে তাদের গোত্রীয় প্রধান বিখ্যাত এক গায়েককে মোটা দাগের ফি'র বিনিময়ে দাওয়াত করলেন একটি কন্সার্ট করার। সারাদেশে এলান করা হলো অমূক বিখ্যাত গায়ক অমুক তারিখ তমুক স্থানে উন্মুক্ত স্ট্যাজে গান পরিবেশ করবেন। সবাই আমন্ত্রিত।
যথা সময়ের আগেই গায়েক সাহেব এসে হাজির হলেন। গায়ক সাহেবকে উত্তমরূপে মেহমানদারী করা হলো। স্ট্যাজে উঠার পূর্বেই তাকে বকশিশসহ তার নির্ধারিত ফি'এর তিনগুন পরিশোধ করলেন।
এতো সুন্দর আদর আপ্যায়ন ও ব্যবহার পেয়ে গায়ক সাহেব খুশিতে সারা রাত গান গেয়ে গলা একদম শুকিয়ে ফেললেন।
ভোরে বিদায় বেলায় পথিমধ্যে তার সমুদয় ফি সহ সব কিছু কেড়ে নিয়ে নিলেন। এমনকি পড়নের কাপড়টাও খুলে নিলেন।
আছে শুধু জাংগিয়া।
গায়ক সাহেব বললেন- ভাই আপনারা যদি আমার সমুদয় পারিশ্রমিক কেড়েই রাখবেন তাহলে আমাকে এতো আদর আপ্যায়ন করে কেন খাওয়ালেন? কেনই বা দির্ধারিত ফি'এর তিন গুণ টাকা দিয়ে আমার পকেট ভরে দিলেন?
ডাকাত সর্দার উত্তর দিলেন-
আপনাকে উত্তমরূপে মেহমানদারী করেছি। এটা হলো আমাদের রেওয়াজ, মেহমান নেওয়াজী।
আর যাওয়ার বেলায় আপনার থেকে সব কেড়ে নিচ্ছি। এমনকি পড়নের কাপড়টাশুদ্ধ। এটা হলো আমাদের স্বভাব। মানে ডাকাতি করা যে আমাদের স্বভাব। আপনি যেমন সারা রাত অত্যন্ত আন্তরিকভাবে আপনার পেশাগত দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আমাদের গান শুনিয়ে মন জুড়ায়ে দিলেন। তেমনি আমরাও আমাদের পেশার প্রতি অবিচার করতে চাই না। আজকের সকালের যাত্রাটা আপনাকে দিয়েই শুরু করলাম।
বিষয়: বিবিধ
১৪০৩ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হাসি আর থামতাছেনা কেরে...
ডাকাত গুলারে এটা উপহার দেন...
আপনের তোহফা নিজেই বিলাইয়া আইয়েন।
ডাকাতদের মেহমানদারীর আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে জায়গা করে নিয়েছে ,,এক্কান জব্বর লিখেছেন ভাইজান সমাজের আসল রূপ এটাই এটাই বাস্তবতা ধন্যবাদ ।
ডাকাতগুলা আমার বংশের মানে!!!
আবার জিগান কিল্লই? প্রথমেই ধুদ কলা দিয়ে আদর না কইরলে নাগালে পামু কেমনে?
আইয়াই যেহেতু পরছেন। তাইলো আপনেরে মেহমানদারী করণ লাগবো!!!!
চুপ চুপ করে কইয়েন। কেউ বুইঝতে পারলে জাংগিয়াশুদ্ধ খুইল্যা ছাড়বো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন