বেগম জিয়ার পাতা ফাঁদে ধরাশায়ী বাল সরকারপন্থী আঁতেল বুদ্ধিবিক্রেতা ও জন্ডিস আক্রান্ত হলুদ মিডিয়া সন্ত্রাসীরা

লিখেছেন লিখেছেন গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি ২৩ অক্টোবর, ২০১৩, ০৬:২৪:৪৭ সন্ধ্যা



তত্বাবধায়ক ইস্যুতে দুর্দান্ত এক চাল দিয়েছেন খালেদা জিয়া। এই চালের উত্তরে তড়িঘড়ি করে পাল্টা চাল দিতে যেয়ে সরকার পন্থী সুশীল ও সাধারণ সমর্থকগন বিএনপির থিংক ট্যাংককে "আন্ডার এস্টিমেট" করতে শুরু করেন। কিন্তু পরিস্থিতি যতই ঠাণ্ডা মাথায় বিশ্লেষণ করা হচ্ছে, বেড়িয়ে আসছে বিএনপি থিংক ট্যাঙ্কের অসাধারণ গেইম প্ল্যান।

ধরুন একজন তরুণী নারী হঠাত বিধবা হয়ে গেলেন। তখন শ্বশুর-মশায় এসে বললেন, "মা, ছোট ছেলেমেয়েদের দিকে তাকিয়ে, তুমি তোমার ভাশুরদের মধ্যে থেকে কাউকে বিয়ে করো। এটা শ্বশুর হিসেবে আমার একটা অনুরোধ"।

ধরুন এর উত্তরে সদ্য-বিধবা তরুণী বললেন, "আব্বা, ভাসুরদেরতো বিয়ে করাই যায়, কিন্তু ওনাদের কারও শরীর ভালো নেই।" তখন যদি শ্বশুর-মশায় বলে বসেন, " আমার ছেলেদের শরীর ফিট না থাকলেও, আমার শরীর এখনও ফিট। তাহলে এক কাজ করো। তুমি আমারেই বিয়ে করে ফেল!"

উপরের প্রস্তাবটা প্রচণ্ড হাস্যকর শোনায়, তাই না? সরকার সমর্থকদের অবস্থা এখন এমনই। বিএনপির সেট করা ট্র্যাপে ধরা খেয়ে তারা এখন উপরের গল্পের শ্বশুরের চাইতেও খারাপ অবস্থায় আছেন।

সরকার সমর্থকরা এখন বলতে চাইছেন, যেহুতু খালেদা জিয়ার প্রস্তাবিত উপদেস্টাদের কেউ কেউ "সুস্থ" কিংবা "সক্ষম" নাই, সেহেতু দেশে ভদ্রলোকের একটা তীব্র অভাব সৃষ্টি হয়েছে। এমতবস্থায় একমাত্র শেখ হাসিনাই হতে পারেন নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রী। ইতমধ্যে কোন প্রকার মেডিকেল ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়াই, পালি কিংবা বাংলা সাহিত্যে বিএ পাস করা সাংবাদিকদের কেউ কেউ সাবেক উপদেস্টাদের শারীরিক "সক্ষমতা" ও "অক্ষমতার" সারটিফিকেট দেয়া শুরু করেছেন । জীবিত দু'একজন উপদেস্টা ইতমধ্যে হয়ে গেছেন "ডিজিটালি ডেড"

চেতনায় উজ্জীবিত সুশীল মিডিয়াকর্মীদের চোখে চিরঞ্জিব ও চিরসক্ষম মানুষ বাকী আছেন শুধু একজনই। আর তিনিই হবেন আসন্ন নির্বাচনের প্রধান রেফারী এবং প্রধান খেলোয়ার! এরূপ যুক্তির উলঙ্গপনা এখন সাধারণ পাবলিকের চোখের সামনে উদ্ভাসিত।

মোদ্দা কথা হলো, সক্ষম হোক আর অক্ষম হোক, সরকারপন্থীরা যে এখন "পবিত্র সংবিধানের" বাইরে গিয়ে উপদেষ্টা খুঁজা শুরু করেছেন, তাদের শরীর-স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিচ্ছেন, এটাই হলো খালেদা জিয়ার ভাষণের সার্থকতা। উনি শেখ হাসিনার বাইরেও যে প্রধান উপদেষ্টা পাওয়া যেতে পারে, এই ব্যাপারটি খোদ আওয়ামী লীগারদেরকেই ভাবতে শিখিয়ে দিলেন। এটুকতো নিশ্চিত যে, সুস্থ্য-সবল ভদ্রলোকের কোন অভাব দেশে নেই। এতদিন সমস্যা ছিল যে উনাদের খোঁজার কাজটিই কেউ শুরু করাতে পারছিলেন না। অনন্ত জলিলের সাহায্য ছাড়াই খালেদা জিয়া সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন মাত্র একটা স্পিচ দিয়ে। আর সাথে সাথে শুরু হয়ে গেল খোঁজ দ্যা সার্চ।

হাউজ দ্যাট?

ফেইস বুক থেকে সংগৃহীত

বিষয়: বিবিধ

১৫৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File