তোরে পাইনি তো কি হইছে, তোর হাগুরে তো পাইছি। দিলাম এক লাত্থি ময়লার উপর।

লিখেছেন লিখেছেন গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৯:০৭:১১ রাত

কোন এক দেশে এক ভয়ানক জঙ্গলী খাসলতের ঝগড়াটে এক বনি আদম বাস করতেন। তার মুখের তিতা কথা আর শরীরের দুর্গন্ধের কারণে আশপাশের সবাই মুখে রুমাল দিয়ে থাকতো। যখন সে জনসম্মূখে আসতো মুখের বস্তাপছা কথার সাথে এতো মারাত্মাক দূর্গন্ধ বের হতো যা সহ্য করার মত নয়।

জঙ্গী খাসলতওয়ালী এতই ভয়ানক অত্যচারী ছিল যে তার নাকের ডগার উপর দিয়ে কানা মাছি পর্যন্ত যেতে পারতো না। মাছির সাথেও ঝাগড়া বাধিয়ে দিত।

তার আশপাশের এমন কোন নিরীহ বনি আদম নেই যিনি এই ভয়ানক ডাইনীর অত্যচার থেকে রেহাই পেয়েছে।

এই ডাইনির ছিল বিশাল এক চামচা বাহিনী। ছিল বিচিত্র সব অত্যচারী বাহিনীও। ডাইনী অত্যচারী বাহিনী যেদিন নিরীহ মানুষের রক্ত ঝড়ানে না পারলে সেদিন ডাইনির পেটের ভাত হজম হতো না।

চামচা আর অত্যচারী বাহিনী দিয়ে সে নিয়মিত লোটপাট চালাতো তার চার পাশের জনবসতির উপর। লোটের অর্থ দিয়ে সে গড়ে তুলেছে পাপাচারের বিশাল রঙশালা। একদিন এই ডাইনীর কালো পোষাকের হায়েনা বাহিনীর ধাওয়া খেয়ে একজন গোবেচারা টাইপের মানুষ হাপাতে হাপাতে দৌড়াতে লাগলো।

হঠাৎ তার চোখে পড়লো বিশাল অট্টালিকার এক রঙশালা। হায়িনা বাহিনীর নির্যাতন থেকে বাচাঁর জন্য সিকিউরিটি ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে সে চোখের পলকেই ঢুকে পড়লো আজব সেই রঙশালায়। এই রঙ্গশালায় হর হামেশায় চলে ল্যান্ডি দাদা আর নাচন বিবিদের খোলামেলা কাজ কারবার।

হায়রে বিপদ! যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত হয়! চারদিকে সতর্ক এলার্ণ বেজে উঠলো। খবর রটে গেল অপরিচত অচ্যুৎ লোকের অবৈধ প্রবেশ ঘটেছে ডাইনীর রঙ্গশালার নিষিদ্ধ সীমানায়!

সিকিউরিটির প্রথম ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় ধাপ অতিক্রম করার আগেই জালে আটকে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। কিন্তু সেদিকে খেয়াল নেই তেদড় স্বভাবের এই হালালখোরের।

ততক্ষণে বুঝতে আর কাবী রইলো না কোথায় এসেছে সে।

কি যে বিপদ!!

অল্প শোকে কাতর অধিক শোকে পাথর হয়ে গেছে বেচারা।

চতুর্দিকে বিপদ আর বিপদ! বাচার তো উপায় নেই।

সুতরাং মৃত্যুকে ভয় না পেয়ে বরং সে সাহসী হয়ে উঠলো।

অত্যচারী ডাইনীর বিশাল রঙ্গশালার প্রতি হালালখোরদের ঘৃণা জন্মলগ্ন থেকেই। কারণ এই রঙ্গশালা তৈরী হয়েছে স্বগোত্রীয়দের ধন-সম্পদ লোটপাট করা অর্থ দিয়ে।

চারদিকে শুধু বিপদ ঘন্টা! কিন্তু কোন মানুষ জন দেখা যাচ্ছে না কেন?

তখন তার মনের আনন্দ ও বিশ্ময় মিশ্রণে কিছুটা নিম্ন চাপের সৃষ্টি হলো।

রঙ্গশালার প্রধান গেটেই চুড়ান্তরূপে মলত্যাগ করে মুহুর্তের মধ্যে সটকে পড়লো।

ঐদিকে কিচুক্ষণ পরই রঙ্গশালার রঙ্গলীলার আসর শেষ হল। সবাই যার যার গন্তব্যের দিকে রাওনা দিলেন। মহারাণী ডাইনিও রাওনা দিলেন প্রধান গেট দিয়ে।

হঠাৎ তার নজর আটকে গেল মানব হাগুর স্তুপ প্রধান গেটের মাঝ বরাবর।

রাগে ক্ষোভে অগ্নিশর্মা নয় বরং গিরিলশর্মা হয়ে গেল অত্যাচারী ডাইনী!

রঙ্গশালার প্রধান গেটে পায়খানা করল কে?

এমন সাহস কার? এতোবড় বুকের পাটা কার হইছে?

এক বাক্যে সবাই উত্তর দিল-

আমরা তো সবাই রঙ্গলীলায় মত্ত ছিলাম। এ কাজ কে করেছে কেউ দেখেনি।

অত্যচারী ডাইনীর একনিষ্ঠ সহচর টাকলু মাথার একজন নাকে দুর্গন্ধ শুকে নিশ্চিত হলেন।

মেডাম এই হাগুতো আমাদের দল বা বাহিনীর কেউ করেনি। আমাদের গোত্রের কেউ করলে প্রচন্ড দুর্গন্ধ ছড়াত মল থেকে।

মনে হয় এখানে হালালখোর কেউ এই হাগু দিয়েছে। তাই দুর্গন্ধটা একটু কম।

এবার অত্যচারী ডাইনী রাগ আর ক্ষোভে অগ্নিরূপ ধারণ করলেন।

শালা হালালখোর!

তোর এত্তো বড় সাহস!!

আমার দরবারে এসে হাগু দিলি!

আজ তোরে ধরতে পারিনি তো কি হইছে তোর হাগুরে তো পাইছি।

অত্যাচারী ডাইনি রাগান্নিত হয়ে দিল এক লাত্থি সেই হাগুর উপর। সাথে সাথে তার চার পাশের সাঙ্গপাঙ্গদের দিকে ছড়িয়ে পড়লো সেই ময়লা।

লাত্থি দেয়ার পূর্বে মনে করেছিল হাগুর স্তুপটি হালকা শক্ত ছিল। কিন্তু উপর থেকে শক্ত মনে হলেও ভেতরে ছিল নরম। এ কারণে নিজের পা’তেও ল্যপ্টে গেল হাগু। এবার ডাইনীর মনের ক্ষোভ আরো বেড়ে গেল।

হালালখোরের গু বলে কথা!

যাদেরকে একদম সহ্য হয় না তাদের গু অত্যচারী ডাইনীর পায়ে ল্যপ্টে যাওয়া!! এ যেন জ্বলন্ত আগুনে পেট্রোল ঢেলে দেয়া।

কাল বিলম্ব না করে ডাইনীর এক অনুগত গোলাম তার পড়নের কাপড় খুলে ছুড়ে দিলেন ডাইনীর দিকে। সেই কাপড় দিয়ে ডাইনীর পা পরিস্কার করতে দাড়ানো অবস্থা থেকে ঝুকে একেবারে বসে পড়লেন।

ওখানে আরো দূর্ভাগ্য অপেক্ষা করছে অত্যচারী ডাইনীর জন্য।

ডাইনী কিন্তু প্রগতিশীল মহিলা। তার মাথার চুল অনেক লম্বা। মাথার চুলগুলো সব সময় খোলাই রাখে। বসার সাথে সাথে লম্বা চুলের আগার অংশের সাথে মেখে গেল লাত্থি দেয়া অবশিষ্ট গু’য়ের সাথে।

ডাইনীর খেয়াল ছিল না সেদিকে। যখন দাড়িয়ে হাটা শুরু করলেন তখন তার পেছনের চুলের আগার অংশ থেকে ল্যাটার মত কি যেন ডাইনীর পিঠের সাথে ঘষা খাচ্ছে। পেছনে হাত দিয়ে চুলের আগা ধরে টেনে নাকে একটু গন্ধ শুকার চেষ্টা করলেন। নাকের মাথায় সামান্য লেগেও গেল।

একি! এতো দেখি সেই হালালখোরের গু!

আমার চুলের সাথেও লেগে গেল!! রাগ তো আর শরীরে জমা রাখার ধর্য শেষ!!! অত্যচারী ডাইনী এবার রাগে ক্ষোভে মাথা নাড়াছাড়া শুরু করে দিলেন।

পাঠক আর বলতে পারছি না। দুর্গন্ধ আর দুর্গন্ধ। দুর্গন্ধ চারিদিকে চড়িয়ে গেছে। নাকে রুমাল দেন।

তাই তো বলি তোরে পাইনি তো কি হইছে, তো হাগুরে তো পাইছি!!!

বিষয়: বিবিধ

২৪০৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File